নাতু উম্মু রসূলিনা ছল্লাল্লহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম

Image result for নাত শরীফ



























بَارَكَ فِيْكَ اللهُ مِنْ غُلَامٖ … يَا ابْنَ الَّذِىْ مِنْ حَوْمَةِ الْـحِمَامٖ

বা-রকা ফি-কালল্ল-হু মিন গুলা-
ইয়া- ইবনাল লাযী- মিন হাওমাতিল হিমা-
نَـجَا بِعَوْنِ الْمَلِكِ الْمِنْعَامٖ … فَوَدٰى غَدَاةَ الضَّرْبِ بِـالـسِّـهَـامٖ
নাযা- বিআওনিল মালিকিল মিনআ-মি-
ফাওয়াদা- গদা-দাত দ্বরবি বিসসিহা-মি-
بِـمِائَةٍ مِّنْ اِبِلٍ سِوَامٖ … اِنْ صَحَّ مَااَبْصَرْتُ فِـىْ مَنَامِىْ
বিমিআতিম মিন ইবিলিন সিওয়া-মি-
ইন ছহ্হা মা আবছরতু ফি- মানা-মি-

فَاَنْتَ مَبْعُوْثٌ اِلَـى الْاَنَامٖ … مِنْ عِنْدِ ذِى الْـجَلَالِ وَالْاِكْرَامٖ
ফাআংতা মাবয়ু-ছুন ইলাল আনআম

মিং ইনদি যিল জালালি ওয়াল ইকর-মি-
تُبْعَثُ فِى الْحِلِّ وَفِى الْـحَرَامٖ … تُبْعَثُ بِالتَّحْقِيْقِ وَالْاِسْلَامٖ
তুবয়াছু ফিল হিল্লি ওয়া ফিল হার-মি
তুবয়াছু বিততাহক্বি-ক্বি ওয়াল ইসলা -মী-
دِيْنِ اَبِيْكَ الْـبَـرِّ اِبْرَاهَامٖ … … تُبْعَثُ بِالتَّخْفِيْفِ وَالْاِسْلَامٖ
দ্বী-নি আবী-কাল বিররি ইবর-হা-মী-
তুবয়াছু বিত তাহক্বি-ক্বি ওয়াল ইসলা -মী-
اَنْ لَّا تُوَالِـيَهَا مَعَ الْاَقْوَامٖ… فَاللهُ اَنْهَاكَ عَنِ الْاَصْنَامٖ
আল লা- তুওয়া-লিইয়াহা- মায়ালআক্বওয়া -মী-
ফাল্ল-হু আনহা-কা আনিল আছনা-মী-
كُلُّ حَىٍّ مَّـيّـِتٌ وَّكُلُّ جَدِيْدٍ ۢبَالٍ …… وَكُلُّ كَبِيْرٍ يَّفْنٰى وَاَنَا مَيِّـتَةٌ وَّذِكْرِىْ بَاقٍ
কুল্লু হাইয়িম মাইয়্যিতিও ওয়া কুল্লু জাদি-দিম বা-
ওয়া কুল্লু কাবি-রিও ইউফনা- ওয়াআনা- মাইতাতুও ওয়া যিকরি বা-ক্বীন
وَقَدْ تَّرَكْتُ خَيْرًا وَّوَلَدْتُّ طُهْرًا … … وَقَدْ تَّرَكْتُ خَيْرًا وَّوَلَدْتُّ طُهْرًا
ওয়া ক্বদ তারাকতু খইরন ওয়া ওয়ালাদতু তুহর-
ওয়া ক্বদ তারাকতু খইরন ওয়া ওয়ালাদতু তুহর-



بَارَكَ فِيْكَ اللهُ مِنْ غُلَامٖ … يَا ابْنَ الَّذِىْ مِنْ حَوْمَةِ الْـحِمَامٖ
বা-রকা ফি-কালল্ল-হু মিন গুলা-ম
ইয়া- ইবনাল লাযী- মিন হাওমাতিল হিমা-ম
نَـجَا بِعَوْنِ الْمَلِكِ الْمِنْعَامٖ … فَوَدٰى غَدَاةَ الضَّرْبِ بِـالـسِّـهَـامٖ
নাযা- বিআওনিল মালিকিল মিনআ-মি-
ফাওয়াদা- গদা-দাত দ্বরবি বিসসিহা-মি-
بِـمِائَةٍ مِّنْ اِبِلٍ سِوَامٖ … اِنْ صَحَّ مَا اَبْصَرْتُ فِـىْ مَنَامِىْ
বিমিআতিম মিন ইবিলিন সিওয়া-মি-
ইন ছহ্হা মা— আবছরতু ফি- মানা-মি-
فَاَنْتَ مَبْعُوْثٌ اِلَـى الْاَنَامٖ … مِنْ عِنْدِ ذِى الْـجَلَالِ وَالْاِكْرَامٖ
ফাআংতা মাবয়ু-ছুন ইলাল আনআম
মিং ইনদি যিল জালালি ওয়াল ইকর-মি-
تُبْعَثُ فِى الْحِلِّ وَفِى الْـحَرَامٖ … تُبْعَثُ بِالتَّحْقِيْقِ وَالْاِسْلَامٖ
তুবয়াছু ফিল হিল্লি ওয়া ফিল হার-মি
তুবয়াছু বিততাহক্বি-ক্বি ওয়াল ইসলা -মী-
دِيْنِ اَبِيْكَ الْـبَـرِّ اِبْرَاهَامٖ … … تُبْعَثُ بِالتَّخْفِيْفِ وَالْاِسْلَامٖ
দ্বী-নি আবী-কাল বিররি ইবর-হা-মী-
তুবয়াছু বিত তাহক্বি-ক্বি ওয়াল ইসলা -মী-
اَنْ لَّا تُوَالِـيَهَا مَعَ الْاَقْوَامٖ… فَاللهُ اَنْهَاكَ عَنِ الْاَصْنَامٖ
আল লা- তুওয়া-লিইয়াহা- মায়ালআক্বওয়া -মী-
ফাল্ল-হু আনহা-কা আনিল আছনা-মী-
كُلُّ حَىٍّ مَّـيّـِتٌ وَّكُلُّ جَدِيْدٍ ۢبَالٍ …… وَكُلُّ كَبِيْرٍ يَّفْنٰى وَاَنَا مَيِّـتَةٌ وَّذِكْرِىْ بَاقٍ
কুল্লু হাইয়িম মাইয়্যিতিও ওয়া কুল্লু জাদি-দিম বা-ল
ওয়া কুল্লু কাবি-রিও ইউফনা- ওয়াআনা- মাইতাতুও ওয়া যিকরি বা-ক্বীন
وَقَدْ تَّرَكْتُ خَيْرًا وَّوَلَدْتُّ طُهْرًا … … وَقَدْ تَّرَكْتُ خَيْرًا وَّوَلَدْتُّ طُهْرًا
ওয়া ক্বদ তারাকতু খইরন ওয়া ওয়ালাদতু তুহর-


ওয়া ক্বদ তারাকতু খইরন ওয়া ওয়ালাদতু তুহর-



নসিহতে উম্মিল উমাম আলাইহাস ছলাতু ওয়াস সালাম - পর্ব ৫
Related imageসাইয়্যিদাতুন নিসায়িল আলামীন, বাহরুল আলিমা ,নূরে মদিনা 
' গুলে মুবিনা, আফদ্বালুন নিসা, ফক্বীহাতুন নিসা, রাহনুমায়ে দ্বীন,ছিদ্দীকায়ে কুবরা , 
 আন নি'মাতুল কুবরা আলাল আলাম, মাশুকায়ে ইলাহী ,
কায়মাক্বামে হযরত উম্মাহাতুল মু'মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম, সাইয়্যিদাতুন নিসা, মুতহহারাহ্, মুতহিরাহ,






হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম
উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মহামূল্যবান নসিহত
 মুবারক থেকে সংগৃহীত
পর্ব-৫
“নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়া সাল্লাম উনার অনুসরণ করার জন্যই মূলত মহান আল্লাহ 

 পাক তিনি উনাকে আমাদের মাঝে পাঠিয়েছেন”

সাইয়্যিদাতুন নিসা, মুতহহারাহ, মুতহহিরাহ হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম
 তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, মহান আল্লাহ পাক তিনি সূরা নিসা শরীফ উনার ৬৪ নং
আয়াত শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন,

وَمَا أَرْسَلْنَا مِن رَّسُولٍ إِلاَّ لِيُطَاعَ بِإِذْنِ اللّهِ

 অর্থ মুবারক: আমি রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে পাঠিয়েছি মহান আল্লাহ 
 পাক উনার আদেশ-নিষেধ মুবারক অনুযায়ী আনুগত্য করার জন্য।
 এই মহাসম্মানিত আয়াত শরীফ উনার ব্যাখ্যায় সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম 
আলাইহাস সালাম উনার নসিহত মুবারক থেকে বুঝতে পেরেছি যে, মূলত নূরে মুজাসসাম
হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে পাঠানাে হয়েছে উনার
অনুসরণ-অনুকরণ করার জন্য। আর হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ
হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন,
تركت فيكم أمرين لن تضلوا ما ت تم بما كتاب الله وسنة رسوله
অর্থ মুবারক: আমি তােমাদের নিকট দু'টি জিনিস বা দু’টি নিয়ামত রেখে যাচ্ছি। সেই 
নিয়ামত মুবারক যতক্ষণ পর্যন্ত আঁকড়িয়ে ধরবে তোমরা কস্মিনকালেও গোমরাহ হবেনা।
১. মহান আল্লাহ পাক উনার কিতাব। ২. নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু 
আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সুন্নত মুবারক । (মিশকাত শরীফ)
 সুন্নত অর্থ হল: নিয়মনীতি, তর্জ-ত্বরিকা, পন্থা, চলার পথ।
, আর নারে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার
 নিয়মনীতি,তর্জ-তরীকাই হল সুন্নতে রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। অনেকে মনে
 করে যে, সুন্নত হল নফল। আর ফরয ত্যে ফরযই । আসলে এই কথা শুদ্ধ নয়। ইমাম
মুজতাহিদ উনারা ফরয, ওয়াজিব, সুন্নতে মুয়াক্কাদাহ, সুন্নতে জায়েদা এগুলো পার্থক্য 
করেছেন আমলের গুরুত্ব বুঝানোর জন্য। অথচ আমরা ফরজ,নফল, সুন্নত যায়িদাহ,
সুন্নাতে মুয়াক্কাদাহ হিসেবে যে আমল করি সবই নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযুর পাক 
  ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সুন্নত মুবারক তথা আদর্শ মুবারক ।
 মহান আল্লাহ পাক তিনি সূরা আহযাব শরীফ উনার ২১ নং আয়াত শরীফ উনার মধ্যে
ইরশাদ মুবারক করেন,
لَقَدْ كَانَ لَكُمْ فِي رَسُولِ اللَّهِ أُسْوَةٌ حَسَنَةٌ
অর্থ মুবারক: “অবশ্যই নরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া
সাল্লাম উনার মাঝে রয়েছে তোমাদের জন্য উত্তম আদর্শ মুবারক।"
 নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সুন্নত 
 মুবারক উনার পরিপূর্ণ ইত্তেবা করলে এবং উনার আদর্শ মুবারক অনুযায়ী আমল করতে 
পারলে উনার সুপারিশ লাভ করা যাবে এবং জান্নাতে উনার সাথে অবস্থান করা যাবে।
এ প্রসঙ্গে নুরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি।
ইরশাদ মুবারক করেন,
" مَنْ أَحْيَا سُنَّتِي فَقَدْ أَحَبَّنِي ، وَمَنْ أَحَبَّنِي كَانَ مَعِيَ فِي الْجَنَّةِ 
অর্থ মুবারক: যে ব্যক্তি আমার সুন্নত মুবারক উনাকে মুহাব্বত করল সে মূলত আমাকে
মুহাব্বত করল । আর যে আমাকে মুহাব্বত করবে সে আমার সাথে জান্নাতে অবস্থান।
করবে। (তিরমিযী, মিশকাত শরীফ)
আর যারা সুন্নত মুবারক উনার অনুসরণ করবে না তারা সেই নিয়ামত মুবারক লাভ
 করতে পারবে না। অর্থাৎ তারা নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি
 ওয়া সাল্লাম উনার সুপারিশ মুবারক পাবে না, উনার সাথে জান্নাতে অবস্থান করতে পারবে 
 না এমনকি তারা জান্নাত লাভ করতে পারবে না। 
 কিয়ামতের দিন অর্থাৎ হাশরের ময়দানে হিসাব-নিকাশ হওয়ার পর যে জান্নাতে
যাওয়ার সে জান্নাতে প্রবেশ করবে। বলা হয়, জান্নাতে প্রবেশ করা পর্যন্ত জান্নাতী ব্যক্তি
পিপাসিত হবে না। তবে তার আগে যে কঠিন একটা অবস্থা হবে, সে সময় যে হাউযে
কাউসারের পানি মোবারক পান করবে সে ইতমিনান থাকতে পারবে।
 সেই হাউযে কাউসারের কাছে যখন মানুষ পানি পান করার জন্য যাবে তখন যারা নুরে
মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সুন্নত মুবারক
উনার অনুসরণ করবে না, সুন্নত মুবারক উনাকে গুরুত্ব দিবে না, তা'যীম-তাকরীম করবে না 
, হিফাযত করবেন তাদেরকে হাউযে কাউসারের কাছ থেকে তাড়িয়ে দেয়া হবে এবং
বলা হবে, তােমরা নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম 
. উনার সুন্নত মুবারক উনার অনুসরণ করনি। তাই তােমাদেরকে পানি দেয়া হবে না, 
তোমরা চলে যাও।
মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ উনার সূরা তওবা শরীফ উনার
 ১২০নং আয়াত শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন,
مَا كَانَ لِأَهْلِ الْمَدِينَةِ وَمَنْ حَوْلَهُم مِّنَ الأَعْرَابِ أَن يَتَخَلَّفُواْ عَن رَّسُولِ اللّهِ وَلاَ يَرْغَبُواْ بِأَنفُسِهِمْ عَن نَّفْسِهِ 
অর্থ মুবারক: “আরব, আযম কারাে জন্য জায়েয হবে না শাহিদুন নবী, নূরে মুজাসসাম
হাবীবুল্লাহ হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার থেকে পিছিয়ে থাকা এবং উনার
থেকে নিজেকে বেশি প্রাধান্য দেয়া।"
মূলত: হায়াত থেকে মউত পর্যন্ত দায়িম এভাবেই শহিদুন নবী, নূরে মুজাসসাম,
হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার হাক্কী ইত্তেবা তথা সুন্নত
মুবারক উনার সুক্ষাতিসুক্ষ, পুঙ্খানুপুঙ্খ অনুসরণ অনুকরণ করতে হবে। কোন অবস্থাতেই
সুন্নত মুবারক উনার ইত্তেবা থেকে বিরত থাকা যাবে না। 
মহান আল্লাহ পাক উনার যমীনে এমন কোন স্থান নেই যেখানে সুন্নত মুবারক উনার 
পরিপূর্ণ ইত্তেবা ও শিক্ষা দেয়া হয়। একমাত্র আমাদের প্রাণপ্রিয় শায়েখ সাইয়্যিদুনা
ইমামুল উমাম আলাইহিস সালাম এবং উনারই যাওজাতুম মুতাহহারাহ সাইয়্যিদাতুনা
হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম উনারাই পরিপূর্ণ সুন্নত মুবারক উনার শিক্ষা দিয়ে
থাকেন।
তাই মুসলিম উম্মাহ সকলের জন্য ফরজ-ওয়াজিব হচ্ছে উনাদের নুরুদ দারাজাত
 মুবারক (কদম মুবারক) এসে সেই নিয়ামত মুবারক হাসিল করে দুনিয়া ও আখিরাতে 
 কামিয়াবী হাসিল করা।







নসিহতে উম্মিল উমাম আলাইহাস ছলাতু ওয়াস সালাম - পর্ব ৪
Image result for উম্মুল উমামসাইয়্যিদাতুন নিসায়িল আলামীন, বাহরুল আলিমা ,নূরে মদিনা 
' গুলে মুবিনা, আফদ্বালুন নিসা, ফক্বীহাতুন নিসা, রাহনুমায়ে দ্বীন,ছিদ্দীকায়ে কুবরা , 
 আন নি'মাতুল কুবরা আলাল আলাম, মাশুকায়ে ইলাহী ,
কায়মাক্বামে হযরত উম্মাহাতুল মু'মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম, সাইয়্যিদাতুন নিসা, মুতহহারাহ্, মুতহিরাহ,
হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম
উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মহামূল্যবান নসিহত
 মুবারক থেকে সংগৃহীত
شاهد النبي صلى الله عليه وسلم

পর্ব-৪
সাইয়্যিদাতুন নিসা, মুতহহারা, মুতহহিরাহ, উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীস শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে,

| عن أنس رضي الله تعالى عنه قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم إن العبد إذا وضع في |
ع قبره وتولى عنه أصحابه أنه ليسمع قرع نعالهم أتاه ملكان فيقعدانه فيقولاي ماكنت تقول في د
هذا الرجل محمد صلى الله عليه وسلم قام المؤمن فيقول أشهد أنه عبد الله ورسوله فقال "
|
له أنظر إلى مقعدك من النار قد أبدلك الله به مقعدا من الجنة فيراهما جميعا وأما المنافق
والكافر فيقال له ماكنت تقول في هذا الرجل فيقول فيقول لا أدري كنت أقول ما يقول
من الناس فيقال له لا دريت ولا تليت ويضرب بمطارق من حديد ضية فيصيح صيحة يشمها *
(من يليه غير الثقلين. ( متفق عليه

অর্থ: হযরত আনাস বিন মালিক রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত, তিনি 
বলেন শাহিদুন নবী, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম
তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, যখন মৃত বান্দাকে কবরে রাখা হয় এবং তার সঙ্গী-সাথীরা 
সেখান থেকে প্রত্যাবর্তন করে তখন সে তাদের জুতার আওয়াজ শুনতে পায়। ঠিক সেই
 সময় দু'জন ফেরেশতা আসেন এবং তাকে উঠিয়ে বসান।
অতঃপর উনারা বলেন, তােমরা দুনিয়াতে অবস্থানকালীন সময়ে উনার সম্পর্কে
 (শাহিদুন নবী, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কি
* ধারণা পােষণ করতে? তখন মু'মিন বান্দা বলেন, আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, উনি মহান আল্লাহ 
পাক উনার বান্দা এবং উনার রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। তখন উনাকে বলা
হবে, আপনি আপনার জাহান্নামের স্থানটি দেখে নিন। মহান আল্লাহ পাক তিনি আপনার
সেই স্থানকে জান্নাত উনার স্থান দ্বারা পরিবর্তন করে দিয়েছেন। শাহিদুন নবী, নূরে
মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক
করেন, তখন সে উভয় স্থােই দেখতে পায় । কিন্তু যখন মুনাফিক এবং কাফির তাদের 
প্রত্যেককে জিজ্ঞাস করা হবে, দুনিয়াতে তুমি উনার (শাহিদুন নবী, নূরে মুজাসসাম 
হাবীবুল্লাহ হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ব্যাপারে কি ধারণা পোষণ করতে?
তখন সে বলে, আমি কিছুই জানি না। তবে লােকজন উনার ব্যাপারে যে মন্তব্য করত 
আমিও অনুরূপ করতাম। তখন তাকে বলা হবে, তুমি নিজে বুদ্ধি-বিবেক দিয়েও বুঝার
চেষ্টা করনি এবং মহান আল্লাহ পাক উনার কিতাব পাঠ করে তা জানার চেষ্টা করনি?
 অত:পর তাকে লােহার হাতুড়ি দ্বারা কঠোরভাবে আঘাত করা হবে। যার ফলে সে
 বিকট ভাবে চিৎকার করতে থাকবে। তার চিৎকার জিন-ইনসান ব্যতীত সকলেই শুনতে 
পাবে। (বুখারী শরীফ, মুসলিম শরীফ)
উপরােক্ত হাদীছ শরীফ দ্বারা বুঝা যাচ্ছে যে, প্রত্যেক কবরে শাহিদুন নবী, নূরে
মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে দেখিয়ে সুওয়াল
করা হয়। সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম উনার নছীহত মুবারক
উনার থেকে আমরা যা বুঝতে পেরেছি তা হলাে- পৃথিবীর বিভিন্ন স্থানে একই দিনে, একই 
সময়ে একাধিক ব্যক্তিকে দাফন করা হয় এবং একই সময়ে একাধিক ব্যক্তির কবরে 
শাহিদুন নবী, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে 
দেখানো হয়ে থাকে। উনি যদি শহিদুন্নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, হাযির-নাযির
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম না হতেন তাহলে একই সময়ে প্রত্যেকে কিভাবে উনাকে 
দেখে থাকে? বিষয়টি ফিকির করলে সহজেই উপলব্ধি করা সম্ভব।
মহান আল্লাহ পাক উনাকে বান্দা দেখুক বা না দেখুক তিনি অবশ্যই সর্বত্র বিরাজমান
এবং সমস্ত কিছু দেখেন। তদ্রপ শহিদুন নবী, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযুর পাক না
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে উম্মত দেখুক বা না দেখুক অবশ্যই তিনি সর্বত্র 
বিরাজমান তথা হাজির-নাযির। মহান আল্লাহ পাক এবং বান্দার মাঝে ৭০ হাজার পদাঁ
থাকার কারণে বান্দা মহান আল্লাহ পাক উনাকে দেখতে পায় না। ঠিক তদ্রুপ শাহিদুন
নবী, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মাঝে
এবং উম্মতের মাঝে ৭০ হাজার পদ থাকার কারণে উম্মত উনাকে দেখতে পায় না।
 মেছাল স্বরূপ বলা যায় যে, আসমানে যখন চাঁদ উঠে তখন তা পৃথিবীর যে কোন স্থান )
থেকে যে কেউ দেখতে পায়। অথচ চাঁদ হল শাহিদুন নবী, নুরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযুর।
পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার গােলাম । কেননা শাহিদুন নবী, নরে মুজাসসাম 
হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যখন চাঁদকে দ্বিখন্ডিত হওয়ার জন্য
সম্মানিত নরুশ শ্বক  (আঙ্গুল মুবারক) দ্বারা ইশারা করলেন। তখন চাঁদ সাথে সাথে
. দ্বিখন্ডিত হয়ে যায় । এখন কেউ যদি দরজা-জানালা বন্ধ করে ঘরে বসে থাকে তাহলে সে
 কখনো চাঁদ দেখতে পারবে না।
আর চাঁদ না দেখে সে যদি বলে, আকাশে চাঁদ উঠেনি তাহলে তার এই কথা কখনােই
" গ্রহণযোগ্য হবে না। কাজেই দরজা-জানালা খোলা রাখার দ্বারা যেমন চাঁদ দেখা সম্ভব । "
 তদ্রুপ শাহিদুন নবী, নুরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম 
উনার এবং উনার উম্মতের মাঝে যে পর্দা রয়েছে তা উন্মোচন করার মাধ্যমেই উনাকে
দেখা সম্ভব। সেই পদগুলো উন্মোচিত হয়ে যায় যিকির করার দ্বারা অন্তর পরিশুদ্ধ করত:
তাওয়াল্লুক নিসবত হাসিল করার মাধ্যমে। (সুবহানা উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম)।
মূলতঃ শাহিদুন নবী, নুরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া
সাল্লাম উনাকে হাযির-নাযির ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হিসেবে বিশ্বাস করাই হচ্ছে 
বিশুদ্ধ আক্বীদা আর যারা এর খিলাফ আকীদা পােষণ করবে তারাই পথভ্রষ্ট।
সুতরাং আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাত উনাদের আক্বীদা হচ্ছে- শহিদুন নবী, নূরে
মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি শাহিদ তথা
হাজির-নাজির এবং এর বিপরীত আকীদা পোষণ করা কুফরী।










নসিহতে উম্মিল উমাম আলাইহাস ছলাতু ওয়াস সালাম - পর্ব ৩
Image result for উম্মুল উমামসাইয়্যিদাতুন নিসায়িল আলামীন, বাহরুল আলিমা ,নূরে মদিনা 
' গুলে মুবিনা, আফদ্বালুন নিসা, ফক্বীহাতুন নিসা, রাহনুমায়ে দ্বীন,ছিদ্দীকায়ে কুবরা , 
 আন নি'মাতুল কুবরা আলাল আলাম, মাশুকায়ে ইলাহী ,
কায়মাক্বামে হযরত উম্মাহাতুল মু'মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম, সাইয়্যিদাতুন নিসা, মুতহহারাহ্, মুতহিরাহ,
হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম
উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মহামূল্যবান নসিহত
 মুবারক থেকে সংগৃহীত
شاهد النبي صلى الله عليه وسلم
পর্ব-৩
|সাইয়্যিদাতুন নিসা, মুতহহারাহ, মুতহহিরাহ, উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম উনার
নসীহত মুবারক থেকে আমরা যা বুঝতে পেরেছি – আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াত উনার 
আক্বীদা হলাে- বান্দা মহান আল্লাহ পাক উনাকে দেখুক বা না দেখুক তিনি অবশ্যই 
হাজির-নাযির অর্থাৎ মহান আল্লাহ পাক উনাকে না দেখলে ও বান্দাকে বিশ্বাস করতে হবে 
যে, মহান আল্লাহ পাক তিনি হাজির-নাযির তথা সব জায়গায় উপস্থিত এবং সবকিছু দেখে
থাকেন। ঠিক তদ্রুপ নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি সালাম 
উনাকে উম্মত দেখুক বা না দেখুক তিনিও হাযির-নাযির তথা সব জায়গায় উপস্থিত এবং 
সবকিছু দেখে থাকেন ।
এ সম্পর্কে সাইয়্যিদাতুন নিসা, মুতহহারাহ, মুতহহিরাহ, উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম 
তিনি বলেন, মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন,
انا ارسلناك شاهدا
অর্থ: “নিশ্চয়ই আমি আপনাকে প্রত্যক্ষদর্শী তথা হাজির-নাযির হিসাবে প্রেরণ করেছি ।
সাইয়্যিদাতুন নিসা, মুতাহহারাত, মুতাহহিরাহ, উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম উনার 
 নসীহত মুবারক থেকে আমরা যা বুঝতে পেরেছি -সমস্ত লুগাতের মধ্যে شاهدا শব্দের অর্থ
প্রত্যক্ষদর্শী তথা হাজির-নাযির। আর উসূলের কিতাবে বর্ণিত রয়েছে, একটি শব্দের
একাধিক অর্থ থাকলে ব্যক্তির শান অনুযায়ী অর্থ গ্রহণ করতে হবে। তাই নূরে মুজাসসাম,
হাবীবুল্লাহ, শাহিদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ক্ষেত্রে এমন অর্থ মুবারক 
গ্রহণ করতে হবে যেটা উনার শান মুবারক উনার ক্ষেত্রে প্রযােজ্য এবং এমন কোন অর্থ
মুবারক গ্রহণ করা যাবেনা যা উনার শান মুবারক উনার খিলাফ। সুতরাং شاهدا শব্দের 
” অর্থ যদি সাক্ষ্যদাতা গ্রহণ করা হয় এবং নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ শহিদুন নবী ছল্লাল্লাহু 
আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ক্ষেত্রে এভাবে বলা হয় যে, যিনি সাক্ষ্যদানকারী হবেন, উনার 
জন্য অবশ্যই হাযির-নাজির হওয়া শর্ত। তাই তিনি হাযির-নাযির। এভাবে ঘুরিয়ে অর্থ 
মুবারক গ্রহণ করাই উনার শান মুবারক উনার খিলাফ বরং شاهدا শব্দ মুবারক উনার দ্বারা
প্রত্যক্ষদর্শী তথা হাজির-নাজির, উপস্থিত অর্থ মুবারক গ্রহণ করতে হবে। যে বিষয়টি
 সাইয়্যিদাতুন নিসা, মুতহহারাহ, মুতহহিরাহ, উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি
; আমাদেরকে বুঝিয়ে দিয়েছেন। (সুবহানা উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম!)।
 সাইয়্যিদাতুন নিসা, মুতহহারাহ, মুতহহিরাহ, উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি 
বলেন, মহান আল্লাহ পাক তিনি সূরা তওবা শরীফ উনার ১০৫ নং আয়াত শরীফ উনার
মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন,
قُلِ اعْمَلُواْ فَسَيَرَى اللّهُ عَمَلَكُمْ وَرَسُولُهُ وَالْمُؤْمِنُونَ
 অর্থ মুবারক: “(হে হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) আপনি বলুন, তােমরা 
 আমল কর।
অবশ্যই মহান আল্লাহ পাক ও উনার রসূল নুরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, শাহিদুন নবী
 ছল্লালাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনারা এবং যারা হাক্বাক্বী মু'মিন উনারাও তােমাদের আমল 
 দেখেন।" সুবহানাল্লাহি ওয়া রসূলিহী ওয়া মুরশিদিনাল আ'যম আলাইহিস সালাম।
মহান আল্লাহ পাক তিনি সূরা তওবা শরীফ উনার ৯৪ নং আয়াত শরীফ উনার মধ্যে 
আরো ইরশাদ মুবারক করেন,
وَسَيَرَى اللّهُ عَمَلَكُمْ وَرَسُولُهُ
 অর্থ মুবারক: অবশ্যই মহান আল্লাহ পাক ও উনার রসূল শাহিদুন নবী, নূরে
 মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনারা তােমাদের আমল দেখেন।" 
 এখন নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, শাহিদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি 
কিভাবে দেখেন এ প্রসঙ্গে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত
রয়েছে,
عن حضرت عبد الله ابن عمر رضي الله تعالى عنه قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم
إن الله عز وجل قد رفع إلى الدنيا فانا انظر اليها وإلى ما هو كائن فيها إلى يوم القيامة كانا یا
انظر إلى كافي هذه 
 অর্থ মুবারক: হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে উমর রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে 
বর্ণিত-
তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, শাহিদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া 
সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক তিনি এ দুনিয়াকে আমার 
সামনে এরূপভাবে তুলে ধরেছেন যে, এই দুনিয়া ও উনার মধ্যে যা কিছু সৃষ্টি হয়েছে এবং 
 কিয়ামত পর্যন্ত যা কিছু সৃষ্টি হবে, সবকিছু এরূপভাবে দেখি, যেভাবে আমি আমার হাতের 
তালু মুবারক (নুরূল মাগফিরাত) উনাকে দেখে থাকি। (তাবারানি শরীফ)
এই মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার দ্বারা স্পষ্ট বুঝা যাচ্ছে যে, নূরে 
মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, শাহিদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সমস্ত
কায়িনাতকে এমন স্পষ্টভাবে দেখে থাকেন, যেভাবে উনার নুরুল মাগফিরাত (হাত)।
মুবারক উনার তালু মুবারক দেখে থাকেন।
সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম উনার নছীহত মুবারক উনার
থেকে আমরা যা বুঝতে পেরেছি নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, শাহিদুন নবী ছল্লাল্লাহু 
আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি মূলত হায়াতুন্নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, শাহিদুন নবী
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বসিমুন  নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মুত্ত্বলা 
আলাল গাইব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ছাদিকুল মাছদ্বাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া
সাল্লাম । যা নিম্নোক্ত সম্মানিত হাদীছ শরীফ উনার দ্বারা আরাে প্রমাণিত হয়। 
 আবু জুরাই ইবনে সুলাইম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বলেন, আমি মদিনা শরীফ 
আসলাম, আমি দেখলাম লােকেরা উনার মত গ্রহণ করে চলে যাচ্ছে তিনি যে বিষয়ে 
ফায়সালা মুবারক দিয়েছেন, সে বিষয়ে কোন মত প্রকাশ না করে। আমি বললাম, উনি 
কে? তিনি বললেন, আমি মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ,
শাহিদুন নবী ছলাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম । আমি বললাম, عليك السلام  তিনি বললেন
عليك السلام বলবেন না। কারণ এটা মৃত ব্যক্তির অভিবাদন-সম্বােধন। বরং বলুন السلام عليك আমি বললাম, আপনি কি মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ?
তিনি বললেন,
أنا رسول الله الذي إذا أصابك ضُرٌّ فدعوته كشفه عنك، وإذا أصابك عام سَنَةٍ فدعوته أنْبَتَهَا لك، وإذا كنت بأرض قَفْرٍ أو فَلَاةٍ فَضَلَّتْ راحلتك، فدعوته ردها عليك

অর্থ - আমি সেই সম্মানীত রসূল শাহিদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম । যদি আপনার কাছে দুঃখ-কষ্ট, বিপদ-আপদ, মুছিবত পৌঁছে আর আপনি যদি উনাকে
 ডাকেন বা উনার কাছে সাহায্য প্রার্থনা করেন তিনি আপনার থেকে সেই দুঃখ-কষ্ট, মুছিবত ,
 দূর করে দিবেন। আর যদি আপনার কাছে কোন দুর্ভিক্ষ, অভাব-অনটন পৌছে অর্থাৎ
আপনি যদি দুর্ভিক্ষ অভাব-অনটনে পরেন। তিনি ফসল (খাদ্য-শস্য) উৎপন্ন করে দুর্ভিক্ষ দূর করে দিবেন ।যখন আপনি কোন তৃণ , পানি শূন্য মরু প্রান্তরে  অর্থাৎ  কোন জনমানহীন শূন্য ময়দানে অবস্থান করেন এবং সেখানে আপনার বাহনটি হারিয়ে যায় আর আপনি তখন উনাকে ডাকেন বা উনার কাছে সাহায্য প্রার্থনা করেন , তিনি তা আপনার কাছে ফিরিয়ে দিবেন । 
  তাই বান্দা বান্দী প্রত্যেকের উচিত হবে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ শাহিদুন্নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম  উনাকে হাযির নাযির হিসেবে বিশ্বস করা এবং সমস্ত কুফুরি মূলক আক্বিদা বর্জন করা