হাত তালি দেয়া বা করতালি দেয়া,শিস দেয়া ইসলামী শরীয়তে সম্পূর্ণভাবে হারাম এবং কুফরী।

হাত তালি দেয়া বা করতালি দেয়া,শিস দেয়া ইসলামী শরীয়তে সম্পূর্ণভাবে হারাম এবং কুফরী।

বর্তমানে সৌদি ওহাবী বাদশার মজলিসে, লা-মাযহাবী সালাফীদের মিটিং এ, দেওবন্দীদের অনুষ্ঠানে, জাকির নায়েকের মজমাতে, জামাত শিবিরের প্রোগ্রামে কোন কিছুতে খুশি প্রকাশ করে সকলকে হাত তালি দিতে দেখা যায়। আসুন আমরা হাত তালি দেয়ার শরীয়তের ফয়সালাটা জেনে নিই-
হাত তালি দেয়া বা করতালি দেয়া ইসলামী শরীয়তে সম্পূর্ণভাবে হারাম এবং কুফরী। হাত তালি দেয়া মূলত কাফির মুশরিকদের বদ স্বভাব এবং অপকর্মের অন্তর্ভুক্ত। এ প্রসঙ্গে কালামুল্লাহ শরীফে ইরশাদ হয়েছে-
وما كان صلاتهم عند البيت الا مكاء و تصدية فذوقوا العذاب بما كنتم تكفرونঅর্থ: আর কা’বা শরীফের নিকট তাদের উপাসনা বলতে শিস আর তালি বাজানো ছাড়া অন্য কোন কিছুই ছিল না। অতএব, এবার তোমরা তোমাদের কৃত কুফরীর আযাবের স্বাদ গ্রহণ করো।'”
( সূরা আনফাল ৩৫ নং আয়াত শরীফ )
এ আয়াত শরীফ এর মধ্যে শিস দেয়া ও করতালি দেয়া কাফির মুশরিকদের উপাসনা বলে উল্লেখ করা হয়েছে। নাউযুবিল্লাহ!!
এ প্রসঙ্গে হযরত সাঈদ ইবনে যুবাইর রদ্বিয়াল্লাহু আনহু তিনি বলেছেন, মুসলমানদেরকে মসজিদে হারাম অর্থাৎ কা’বা শরীফে নামাজ আদায় এবং অন্যান্য দ্বীনি কাজ থেকে বিরত রাখার উদ্দেশ্যে কাফির মুশরিকরা করতালি বা হাত তালি দিতো। এ অপকর্ম তারা হরহামেশাই করতো। ”
তারা যে নিকৃষ্ট সে বিষয়টা প্রকাশার্থে আলোচ্য আয়াত শরীফ এ শিস ও করতালিকে উপাসনা বলা হয়েছে।
হযরত সাঈদ ইবনে যুবাইর রদ্বিয়াল্লাহু আনহু তিনি আরো বলেন, হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি কা’বা শরীফ তাওয়াফ করার সময় বিধর্মী কুরাইশরা বিদ্রূপবশত উনার সামনে শিস ও করতালি দিতো। নাউযুবিল্লাহ ! এই প্রেক্ষাপটে উক্ত আয়াত শরীফ নাযিল হয়।
দলীল-
√ সমূহ তাফসীরের কিতাব।
অতএব , হাত তালি বা করতালি এবং শিস দেয়া এ অপকর্ম গুলো বিধর্মী, কাফির মুশরিকদের বদ স্বভাব এবং উপাসনার শামিল, যা কুফরীর অন্তর্ভুক্ত এবং এ কুফরীর পরিনাম হলো জাহান্নামের কঠিন শাস্তি।
সূতরাং যেসকল বাতিল ফের্কা তাদের অনুষ্ঠানে বা মজলিসে কোন কারনে হাত তালি দেয় তারা বাতিল ৭২ ফির্কা বা জাহান্নামী ফিরকার অন্তর্ভুক্ত। এই বাতিল ৭২ ফির্কার অন্যতম হচ্ছে খারেজী ফির্কা। এই খারেজী ফির্কা বর্তমানে সালাফী ফির্কা নামে মশহুর। এরা মূলত কয়েকটা শ্রেনীতে বিভক্ত,-
(১) মুসাব্বিয়া বা তাইমিয়া।
(২) ওহাবী।
(৩) দেওবন্দী ।
(৪) মওদূদী।
আর বাতিল জাকির নায়েক হচ্ছে উক্ত ওহাবী মুশাব্বিয়া সালাফী ফির্কার অন্তর্ভুক্ত। এদের মূলটা যেহেতু বিধর্মী সেহেতু এরা কাফিরদের অনুকরন করেই নিজেদের অনুষ্ঠানে হাততালি দেয়। এবং যারা এই হাত তালিকে সমর্থন করবে তারাও এই বাতিল ফির্কার অন্তর্গত।
আর হাদীস শরীফে বর্নিত আছে, ” যে যাকে অনুসরণ করে সে তাদেরই দলভুক্ত।”
( আবু দাউদ শরীফ, মিশকাত শরীফ )