“উম্মতের কেউ এত লক্বব ব্যবহার করেননি” এই মিথ্যাচারিতার জবাব (১)
Image may contain: text“উম্মতের কেউ এত লক্বব ব্যবহার করেননি”
এই মিথ্যাচারিতার জবাব (১)
মুজাদ্দিদে আ’যম, আওলাদে রসূল রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার বিরোধীতা করতে গিয়ে বাতিল ফিরকার লোকেরা আগে তারা বলতো স্বয়ং মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনারও এত লক্বব মুবারক ছিলনা। আর এখন বলছে উম্মত এত লক্বব ব্যবহার করেননি। অর্থাৎ বাতিল ফিরকার এই বক্তব্য দ্বারা এটাই বুঝা যাচ্ছে যে, উম্মত এত লক্বব ব্যবহার না করলেও উম্মতের যিনি রসূল, মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি এত লক্বব মুবারক ব্যবহার করেছেন। সুতরাং বাতিল ফিরকার বক্তব্য দ্বারাই লক্বব ব্যবহার ‘সুন্নতে রসূল’ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম প্রমাণিত হয়।
অতএব, যেখানে স্বয়ং মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি অসংখ্য লক্বব মুবারক ব্যবহার করেছেন বলে নির্ভরযোগ্য দলীল দ্বারা প্রমাণিত এবং বাতিল ফিরকারাও তা অস্বীকার করতে পারেনা সেখানে “উম্মতের কেউ এত লক্বব ব্যবহার করেননি” এ বক্তব্য প্রদান করা তাদের জিহালত ও গোমরাহী বৈ কিছুই নয়। এ ক্ষেত্রে উক্ত বক্তব্য শুধু মূল্যহীনই নয় বরং উক্ত বক্তব্য ডাহা মিথ্যাও বটে।
কারণ পূর্ববর্তী অনেক ইমাম-মুজতাহিদ ও হযরত আউলিয়ায়ে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনাদের অসংখ্য লক্বব মুবারক ছিল। নিম্নে তার কিছু দলীল ভিত্তিক প্রমাণ পেশ করা হলো-
হানাফী মায্হাব উনার প্রতিষ্ঠাতা ও ইমাম হযরত ইমামে আ’যম নু’মান বিন ছাবিত ইমাম আবূ হানীফা রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার লক্বব মুবারক
১।امام الـمكثرين فى الـحديث (ইমামুল মুকছিরীনা ফিল হাদীছ) ২।امام الكبير فى الفقه (ইমামুল কাবীরি ফিল ফিক্বহ) ৩। حافظ الـمغرب (হাফিযুল মাগরিব) ৪। امام فى العلوم الشرعية الـمرضية (ইমামুন ফিল উলূমিশ্ শারইয়্যাতিল মারদ্বিয়্যাহ) ৫। افقه اهل بلده (আফক্বাহু আহ্লি বালাদিহ) ৬। سيد العلماء (সাইয়্যিদুল উলামা) ৭।امام اهل الرائى (ইমামু আহর্লি রায়) ৮।سراج الـملة (সিরাজুল মিল্লাহ) ৯।قمر الامة (ক্বমারুল উম্মাহ) ১০। امام الـمسلمين(ইমামুল মুসলিমীন) ১১। العلامة (আলআল্লামাহ) ১২। الـحجة (আল্হুজ্জাহ) ১৩।هادى الناس (হাদিউন্ নাস) ১৪। قامع البدعة (ক্বামিউল বিদ্য়াত) ১৫। الـجامع بين الـحديث والفقه (আলজামিউ বাইনাল হাদীছ ওয়াল ফিক্বহ) ১৬। الـجليل القدر (আলজালীলুল কুদরাতু) ১৭। الـجميل ذكره (আল্জামীলু যিকরুহ) ১৮। عظيم الشان (আযীমুশ্ শা’ন) ১৯। قوى البرهان (ক্ববিয়্যুল বুরহান) ২০।عالـم القران (আলিমুল কুরআন) ২১। حافظ احاديث الرسول (হাফিযু আহাদীছির রসূলি) ২২। الامام الاعظم (আল্ ইমামুল আ’যামু) ২৩। فقيه العراق(ফাক্বীহুল ইরাক্বি) ২৪।قدوة اهل الرائى (কুদওয়াতু আহলির রায়ি) ২৫। صاحب مذهب الـمكزى(ছাহিবু মাযহাবিল মাকযিয়্যি) ২৬। امام الـهمام (ইমামুল হুমামি) ২৭। امام الائمة(ইমামুল আইম্মাহতি) ২৮।مقدام الامة (মিক্বদামুল উম্মাতি) ২৯।افقه الناس (আফক্বাহুন্ নাসি) ৩০।حافظ الـحديث (হাফিযুল হাদীছি) ৩১। جامع مقدار العظيم (জামিউ মিক্বদারিল আযীমি) ৩২। الامام الاول (আল্ ইমামুল আউওয়ালু) ৩৩।كاشف الغمة (কাশিফুল গুম্মাতি) ৩৪। ذو مناقب جـمه (যূ মানাক্বিবি জাম্মিহি) ৩৫। طبق علمه الشرق والغرب من ديار الاسلام (ত্ববাকু ইলমিহিশ্ শারক্বি ওয়াল গারবি মিন দিয়ারিল ইসলামি) ৩৬। فاز بفضل الطبعية (ফাযা বিফাদ্বলিত্ তব্ইয়্যাতি) ৩৭।اجلة العلماء الاعلم (আজলাতুল উলামাইল আ’লামি) ৩৮। ازكى بنى ادم (আযকা বানী আদামা) ৩৯। ثقة حافظ الـحديث (ছিক্বাতু হাফিযিল হাদীছি) ৪০। عالـم الدنيا (আলিমুদ্ দুন্ইয়া) ৪১। اعلم اهل زمانه (আ’লামু আহলি যামানিহী) ৪২্। اعلم بتفسير الـحديث (আ’লামু বিতাফসীরিল হাদীছি) ৪৩। اعلم الناس (আ’লামুন্ নাসি) ৪৪। اورع الناس (আওরউন্ নাসি) ৪৫। احد اعلم الـحفاظ الـمشاهير (আহাদু আ’লামিল হুফফাযিল মাশাহীরি) ৪৬। ثقة امام الصدوق (ছিক্বাতু ইমামিছ ছুদূক্বি) ৪৭। افقه اهل الارض (আফক্বহু আহলিল আরদ্বি) ৪৮। احفظ كل احاديث (আহফাযু কুিল্ল আপবিত্র হাদীছ শরীফা) ৪৯। حاكم الـحديث (হাকিমুল হাদীছি) ৫০। الـمجدد الاول(আল মুজাদ্দিদুল আউওয়াল) ৫১। الـمجتهد الـمطلق (আল মুজতাহিদুল মুতলাক)। (ইলাউস্ সুনান, তাহাবী শরীফ, আত্তারগীব ওয়াত তাহ্রীব)
এই ৫১ খানা লক্বব মুবারক ছাড়াও ইমামে আ’যম হযরত ইমাম আবূ হানীফা রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার আরো বহু লক্বব মুবারক কিতাবে উল্লেখ আছে। তাহলে “উম্মতের কেউ এত লক্বব ব্যবহার করেননি” বলা আসলে মিথ্যাচার ছাড়া কিছু নয়।
রাজারবাগ শরীফ উনার পরিচিতি-১৪
রাজারবাগ শরীফ উনার পরিচিতি-১৪
সাইয়্যিদাতুল নিসাইল আলামীন, আওলাদে রসূল, কায়িম মাকামে হযরত উম্মাহাতুল মু'মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম ছাহিবাতুল মুকাররামা লি মুজাদ্দিদে আ'যম আলাইহিস সালাম উনার শান-মান এবং বংশ পরিচয়--------------------------------------------------
"মায়ের পায়ের নীচে সন্তানের বেহেশত"--অনেক প্রচলিত একটি হাদীস শরীফ। অনেক মা আছেন যারা তার সন্তানকে আদর করে শরীয়তের নিষিদ্ধ বিষয় সেখান যেমন নাচ-গান- বাজনা আরও কত কি। সেই মাও কিন্তু চায় তার সন্তান দোযখের আগুনে না পুড়ুক সন্তান জান্নাতি হউক। কিন্তু তারপরেও তার সন্তানকে এসব শরীয়তের নিষিদ্ধ বিষয় সেখায় না জানার কারণে, নিজে শরীয়ত না মানার কারণে, না বোঝার কারণে। তাহলে যে মা নিজেই জাহান্নামী হচ্ছে এবং তার সন্তানকেও জাহান্নামী করে দিচ্ছে সেই মায়ের পায়ের নীচে সন্তানের জান্নাত কি করে হতে পারে? তাহলে প্রয়োজন এমন একজন মায়ের যিনি নিজে জান্নাতি হবেন এবং তার সকল সন্তানদেরকেও জান্নাতের উপযুক্ত করে গড়ে তুলবেন। একজন মা যদি আল্লাহওয়ালী হন তবে গোটা পরিবারই আল্লাহপাক উনার দিকে রুজু হয়ে যায় আর নতুবা হয় বিপরীত। বলা হয় একজন মহিলা (কমপক্ষে) তিনজনকে জাহান্নামে নিয়ে যাবে তার স্বামী এবং পিতা -মাতা।
কিন্তু মহিলাদের একজন আদর্শ মা , জান্নাতি মা হিসেবে গড়বেন কে? যারা পৃথিবীকে উপহার দেবেন অসংখ্য জান্নাতি মানুষ? পুরুষরা বাইরে যেতে পারে, ওয়াজ মাহফিল শুনতে পারে, তালীম নিতে পারে। কিন্তু মহিলাদের সে রকম কোন ব্যবস্থাই ছিলনা বহুদিন ধরে। আর বিশেষ করে মহিলাগণের মহান আল্লাহপাক উনার দেয়া বিশেষ শাররীক ও মানসিক গঠনের জন্য অনেক মাসয়ালা -মাসায়িল ভিন্ন যা পুরুষগণের চেয়ে আলাদা সেসব কারণেও মহিলাদের আলাদা তালিমের প্রয়োজন যা পুরুষগণ দিতে পারে না। সেই সময় মহান আল্লাহপাক তিনি দয়া করে এই যমীনে পাঠান সাইয়্যিদাতুল নিসাইল আলামীন, আওলাদে রসূল, কায়িম মাকামে হযরত উম্মাহাতুল মু'মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম, ছাহিবাতুল মুকাররামা লি মুজাদ্দিদে আ'যম আলাইহিস সালাম, উম্মুল উমাম হযরত আম্মাজী কিবলা আলাইহাস সালাম উনাকে। উনার আগমন এবং মুবারক বংশ পরিচয় না জানা থাকলে "রাজারবাগ শরীফ উনার পরিচিতি" লেখা কেবল অসম্পূর্ণই থাকবে না বরং এই লেখাটা হবে অর্থহীন।
সাইয়্যিদাতুল নিসাইল আলামীন, আওলাদে রসূল, কায়িম মাকামে হযরত উম্মাহাতুল মু'মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম, হাবীবাতুল্লাহ, মাহবুবায়ে ইলাহী হযরত আম্মাজী কিবলা আলাইহাস সালাম উনার পূর্ব পুরুষ ছিলেন পবিত্র মদীনা শরীফ উনার অধিবাসী। দ্বীন প্রচারের লক্ষ্যে উনাদের এক জামায়াত তিনশত বছর পূর্বে এ দেশে আগমন করে চট্রগ্রাম জেলায় প্রথম অবস্থান গ্রহন করেন। সেই জামায়াতের একজন অধস্থন সন্তান আওলাদুর রসূল হযরত আল্লামা সাইয়্যিদ মুহম্মদ আমজাদ আলী আলাইহিস সালাম তিনি পবিত্র ইসলাম প্রচারের লক্ষ্যে চট্রগ্রাম থেকে এসে কুমিল্লা জেলার দাঊদকান্দিতে বসতি নির্মাণ করেন। উনার বুজুর্গ সন্তান আওলাদুর রসূল হযরতুল আল্লামা সাইয়্যিদ মুহম্মদ লাল মিয়াজী আলাইহিস সালাম তিনি একই লক্ষ্যে দাউদকান্দি থেকে বর্তমান সাভার জেলাধীন চারাবাগ নামক স্থানে এসে প্রয়োজনীয় জমি কিনেন এবং বসবাস শুরু করেন এবং সেখানেই বিছাল শরীফ লাভ করেন। উনার বুজুর্গ সন্তান হযরতুল আল্লামা মাওলানা সাইয়্যিদ মুহম্মদ রুকুনুদ্দিন আলাইহিস সালাম। উনারই মুবারক সন্তান সাইয়্যিদাতুল নিসাইল আলামীন, আওলাদে রসূল, কায়িম মাকামে হযরত উম্মাহাতুল মু'মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম, হাবীবাতুল্লাহ, মাহবুবায়ে ইলাহী হযরত আম্মাজী কিবলা আলাইহাস সালাম তিনি। সুবহানাল্লাহ। সাইয়্যিদাতুল নিসাইল আলামীন হযরত আম্মাজী কিবলা আলাইহাস সালাম উনার পিতা-মাতা উনারা উভয়েই ছিলেন খাছ আওলাদুর রসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। শুধু এমন এক মহান বংশে মহান আল্লাহ পাক উনাকে পাঠিয়েছেন বলেই নয় উনার রিয়াজত-মাশাক্কাত, মুরাকাবা-মুশাহিদা এবং যিকির ফিকির হচ্ছে অতুলনীয় যার মাধ্যমে তিনি এমন এক স্তরে পৌছেছেন যার কারণে উনার সোহবত, তায়াজ্জুহ ফায়েয মুবারকের কারণে দলে দলে মহিলাগণ এসে খালিছ আল্লাহওয়ালী বনে যাচ্ছেন । উনার উপমা যে কেবল উনি। সুবহানাল্লাহ।