Headlines
Loading...
خَلِيْفَةُ اللهِ، خَلِيْفَةُ رَسُوْلِ اللهِ، رَءُوْفٌ رَّحِيْمٌ، رَحْـمَةٌ لِّلْعَالَـمِيْـنَ، صَاحِبُ سَيِّدِ سَيِّدِ الْاَعْيَادِ شَرِيْفٍ، صَاحِبِ نِعْمَتْ، اَلسَّفَّا حُ، اَلْـجَبَّارِىُّ الْاَوَّلُ، اَلْـقَوِىُّ الْاَوَّلُ، حَبِيْبُ ال لهِ، مُطَهِّرٌ، اَهْلُ بَــيْتِ رَسُوْلِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَائِمُ مَقَامِ حَبِيْبِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، مَوْلـٰـنَا مَـمْدُوْحْ مُرْشِدْ قِـبْـلَةْ سَيِّدُنَا حَضْرَتْ سُلْطَانٌ نَّصِيْـرٌ عَلَيْهِ السَّلَامُ اَلْـحَسَنِـىُّ وَالْـحُسَيْنِـىُّ وَالْقُرَيْشِىُّ، رَاجَارْبَاغُ شَرِيْفٌ، دَاكَا খলীফাতুল্লাহ, খলীফাতু রসূলিল্লাহ, রঊফুর রহীম, রহমাতুল্লিল ‘আলামীন, ছাহিবু সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, ছাহিবে নেয়ামত, আস সাফফাহ, আল জাব্বারিউল আউওয়াল, আল ক্বউইউল আউওয়াল, হাবীবুল্লাহ, মুত্বহ্হার, মুত্বহ্হির, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মাওলানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম আল হাসানী ওয়াল হুসাইনী ওয়াল কুরাঈশী, রাজারবাগ শরীফ, ঢাকা -উনার গোলাম-মুহম্মদ ইউসুফ হুসাইন রাজী খাজা
 নসিহতে উম্মিল উমাম আলাইহাস ছলাতু ওয়াস সালাম - পর্ব ২
Image result for উম্মুল উমাম

সাইয়্যিদাতুন নিসায়িল আলামীন, বাহরুল আলিমা ,নূরে মদিনা 
' গুলে মুবিনা, আফদ্বালুন নিসা, ফক্বীহাতুন নিসা, রাহনুমায়ে দ্বীন,ছিদ্দীকায়ে কুবরা , 
 আন নি'মাতুল কুবরা আলাল আলাম, মাশুকায়ে ইলাহী ,
কায়মাক্বামে হযরত উম্মাহাতুল মু'মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম, সাইয়্যিদাতুন নিসা, মুতহহারাহ্, মুতহিরাহ,

হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম

উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মহামূল্যবান নসিহত
 মুবারক থেকে সংগৃহীত

شاهد النبي صلى الله عليه وسلم

পর্ব-২
সাইয়্যিদাতুন নিসা, মুতহহারাহ, মুতহহিরাহ, উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি
মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন,

أطيعوا الله

অর্থ মুবারকঃ- “তােমরা মহান আল্লাহ পাক উনার অনুসরণ করাে।" (সূরা আনফাল শরীফ-২০)

এই আয়াত শরীফ উনার মধ্যে মহান আল্লাহ পাক তিনি উনাকে অনুসরণ করা ফরয
করে দিয়েছেন। কিন্তু উনার ইতায়াত বান্দা কিভাবে করবে ? কারণ বান্দার খাওয়া-দাওয়া,
ঘুম রয়েছে অথচ মহান আল্লাহ পাক তিনি এগুলো থেকে বেনিয়াজ।
তাই মহান আল্লাহ পাক তিনি আয়াত শরীফ উনার মাধ্যমে জানিয়ে দিয়েছেন,

مَّنْ يُطِعِ الرَّسُولَ فَقَدْ أَطَاعَ اللّهَ

অর্থ মুবারক: “যে ব্যক্তি নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া ও
সাল্লাম উনার অনুসরণ করলাে সে যেন মহান আল্লাহ পাক উনার অনুসরণ করলাে।" (সূরা
- নিসা শরীফ-৮০)

এই আয়াত শরীফ উনার মধ্যে যদিও মহান আল্লাহ পাক তিনি জানিয়ে দিয়েছেন নূরে
মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার অনুসরণের 
মাধ্যমে মহান আল্লাহ পাক উনার অনুসরণ করা যাবে তারপরেও একটি আমলের মাধ্যমে 
সরাসরি মহান আল্লাহ পাক উনার অনুসরণ করা যাবে। যেটা সাইয়্যিদাতুন নিসা,
মুতহহারাহ, মুতহহিরাহ, উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি বলেন, সেই আমলটি হল, 
নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি দরূদ ।
শরীফ পাঠ করা। যেমন: এ প্রসঙ্গে মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন,

إِنَّ اللَّهَ وَمَلَائِكَتَهُ يُصَلُّونَ عَلَى النَّبِيِّ يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا صَلُّوا عَلَيْهِ وَسَلِّمُوا تَسْلِيمًا

অর্থ মুবারক- “নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক তিনি এবং উনার সম্মানিত ফেরেশতা
আলাইহিমুস সালাম উনারা নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া
সাল্লাম উনার শান মুবারকে ছলাত তথা দরূদ শরীফ পাঠ করে থাকেন। হে ঈমানদারগণ!
তােমরাও উনার শান মুবারকে ছলাত মুবারক পাঠ করাে ও সালাম মুবারক পেশ করাে।
পেশ করার মত ।” (সূরা আহযাব শরীফ, আয়াত শরীফ: ৫৬)

সাইয়্যিদাতুন নিসা, মুতহহারাহ, মুতহহিরাহ, উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি 
ছলাত শরীফ পাঠ করার ফযীলত সম্পর্কে বলেন,

১, হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত, নূরে 
মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক 
করেন,  কিয়ামতের দিন ঐ সমস্ত লোকেরা আমার অধিক নিকটবর্তী হবে, যারা আমার
প্রতি অধিক মাত্রায় দরূদ শরীফ পাঠ করবে।” সুবহানাল্লাহি ওয়া রসূলিহী ওয়া মুরশিদিনাল আযীম আলাইহিস সালাম! (তিরমিযী শরীফ)

২. হযরত আবু হুরায়রা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত, নুরে মুজাসসাম 
হাবীবুল্লাহ হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন ,
“যে ব্যক্তি আমার রওজা শরীফ উনার নিকটে এসে আমার প্রতি ছলাত মুবারক পাঠ
করে আমি তা শুনি আর যে দূর থেকে আমার প্রতি ছলাত মুবারক পাঠ করে তা আমার
নিকট পৌঁছে।" সুবহানাল্লাহি ওয়া রসূলিহী ওয়া মুরশিদিনাল আযম আলাইহিস সালাম! 
(বাইহাকী শরীফ ফি শুয়াবুল ঈমান)

| ৩. হযরত আবু হুরায়রা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত, নুরে 
মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক 
করেন, "ঐ ব্যক্তির নাক ধুলায় ধূসরিত হোক যার কাছে আমার আলােচনা করা হল 
অথাৎ আমার নাম মুবারক নেয়া হল অথচ সে আমার প্রতি ছলাত মুবারক পাঠ করল না ।
" সুবহানাল্লাহি ওয়া রসুলিহি ওয়া মুরশিদিনাল আযম আলাইহিস সালাম।
(তিরমিযী শরীফ)।

৪. হযরত আনাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত, নূরে মুজাসসাম
হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন,
“যে ব্যক্তি আমার প্রতি একবার সলাত মুবারক পাঠ করল, মহান আল্লাহ পাক তিনি
তার প্রতি দশবার রহমত মুবারক নাযিল করবেন এবং দশটি মর্যাদা বৃদ্ধি করে দিবেন।"
সুবহানাল্লাহি ওয়া রাসুলিহি ওয়া মুরশিদিনাল আযম আলাইহিস সালাম! (নাসাঈ
শরীফ)।
৫. হযরত আবু হুরায়রা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত, নূরে 
 মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক 
করেন,“তােমরা তোমাদের ঘরগুলোকে কবর বানিও না। তোমরা রওজা শরীফ উনার
মধ্যে ছলাত তথা মিলাদ শরীফ, কিয়াম শরীফ পাঠ না করে আনন্দ-উৎসবের স্থান
বানিও না এবং আমার প্রতি ছলাত মুবারক তথা মিলাদ শরীফ, কিয়াম শরীফ পাঠ কর।
কেননা তোমরা যেখানেই থাক না কেন তোমাদের সালাত আমার নিকট পৌঁছে।"
সুবহানাল্লাহি ওয়া রাসুলিহি ওয়া মুরশিদিনাল আযম আলাইহিস সালাম! (নাসাঈ ।

সাইয়্যিদাতুন নিসা, মুতাহহারাহ, মুতহহিরাহ, উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি এই
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার ব্যাখ্যায় বলেন, যে ঘরে সলাত তথা মিলাদ-কিয়াম শরীফ পাঠ
করা হবেনা সেই ঘর কবরের মত হয়ে যাবে অর্থাৎ বিরান হয়ে যাবে। আর রওজা শরীফে
গিয়ে সলাত তথা মিলাদ শরীফ, কিয়াম শরীফ পাঠ করা ব্যতীত শুধু হাসি-খুশি করা যাবে না।
 কেননা হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, আমার প্রতি ছলাত পাঠ
 কর । তোমরা যেখানেই থাক না কেন, তোমাদের সালাত আমার নিকট পৌছে।

 ৬. হযরত কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহু 'আলাইহিস সালাম উনার থেকে বর্ণিত, নূরে 
মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযুর পাক ছল্লালুল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক 
 করেন, “বখীল ঐ ব্যক্তি যার নিকটে আমার নাম মুবরক নেয়া হল বা আমার আলোচনা
মুবারক করা হল অথচ সে আমার প্রতি সলাত পাঠ করল না।
” সুবহানাল্লাহি ওয়া রসূলিহী ওয়া মুরশিদিনাল আ'যীম আলাইহিস সালাম! (তিরমিযী শরীফ)

সাইয়্যিদাতুন নিসা, মুতহহারাহ, মুতহহিরাহ, উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি এই 
হাদীছ শরীফ উনার ব্যাখ্যায় বলেন, যতবার নূরে মুজাসসাম, হাবিবুল্লাহ, হুজুর পাক 
ছল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নাম মুবারক শুনা হবে ততবারই উনার প্রতি সলাত 
মুবারক পাঠ করতে হবে অন্যথায় সেই ব্যক্তির নাম বখালের খাতায় লিপিবদ্ধ করা হবে ।

৭. হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে, হযরত তালহা রদ্বিয়াল্লাহ তায়ালা 
আনহু উনার থেকে বর্ণিত, একদা নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি 
ওয়া সাল্লাম তিনি এমন অবস্থায় তাশরীফ মুবারক অনলেন যে , উনার চেহারা মুবারক তথা
নুরর রহমত মুবারক উনার মধ্যে খুশির ভাব পরিলক্ষিত হলাে। অতঃপর তিনি বললেন,
এই মাত্রই হযরত জিবরীল আলাইহিস সালাম তিনি আমার নিকট এসেছেন এবং বলেছেন, এ
 নিশ্চয়ই আপনার রব তায়ালা বলেন, হে হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ! আপনি কি ( শুনলে )
খুশি হবেন না আপনার উম্মতের মধ্যে যে ব্যক্তি আপনার প্রতি ছলাত পাঠ 
করবে আমি তার প্রতি দশ বার রহমত নাযিল করব। আপনার উম্মতের মধ্যে যে ব্যক্তি
আপনার প্রতি সালাম মুবারক পেশ করবে আমি তার প্রতি দশ বরকত (শান্তি) নাযিল
করব।” সুবহানাল্লাহি ওয়া রসূলিহী ওয়া মুরশিদিনাল আ'যীম আলাইহিস সালাম! 
(নাসাঈ শরীফ, দারিমী শরীফ)

 ৮. হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত,
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লালাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক
করেন, “নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক উনার ফেরেশতা আলাইহিমুস সালামগণ যমিনে ভ্রমণ
করেন এবং আমার উম্মতের সালাম আমার নিকট পৌছান।
" সুবহানাল্লাহি ওয়া রসূলিহী
ওয়া মুরশিদিনাল আযম আলাইহিস সালাম! (নাসাঈ শরীফ, দারেমী শরীফ)

৯. হযরত আবূ হুরায়রা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত, নূরে
মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক
করেন, "মহান আল্লাহ পাক আমার রূহ মুবারক এমনভাবে রেখেছেন যে, যখন কেউ
আমার প্রতি সালাম দেয় তখন আমি তার সালামের জবাব দেই ।" সুবহানাল্লাহি ওয়া
রসূলিহী ওয়া মুরশিদিনাল আ'যীম আলাইহিস সালাম! (আবু দাউদ শরীফ, বায়হাকী
শরীফ)

১০. হযরত উমর ইবনুল খত্তাব আলাইহিস সালাম উনার থেকে বর্ণিত, নূরে।
মুজাস্সাম, হাবীবুল্লাহ হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক
করেন, “নিশ্চয়ই দোয়া আসমান - যমীনের মাঝে ঝুলন্ত অবস্থায় থাকে আপনার নবী
উনার প্রতি সলাত পাঠ না করা পর্যন্ত কোন কিছুই উপরে উঠে না বা পৌছেনা।"
সুবহানাল্লাহি ওয়া রসূলিহী ওয়া মুরশিদিনাল আযীম আলাইহিস সালাম! (তিরমিযী শরীফ)

 সাইয়্যিদাতুন নিসা, মুতহহারাহ, মুতহহিরাহ, উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি 
 বলেন, সুতরাং প্রত্যেক মুসলমান নর-নারীর জন্য দায়িত্ব-কর্তব্য হচ্ছে নূরে মুজাসসাম , হাবীবুল্লাহ, হুযুরপাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি বেশি বেশি ছলাত- সালাম শরীফ তথা মিলাদ শরীফ - ক্বিয়াম শরীফ পাঠ করা 






মুসাফিরী পথের দূরত্ব সম্পর্কে বিশেষ তাজদীদ মুবারক প্রকাশ
Image result for তাজদীদ
মুসাফিরী পথের দূরত্ব সম্পর্কে বিশেষ তাজদীদ মুবারক প্রকাশ
খলীফাতুল্লাহ, খলীফাতু রসূলিল্লাহ, ইমামুশ শরী‘য়াহ ওয়াত তরীক্বাহ, কুতুবুল ‘আলম, মুজাদ্দিদে আ‘যম, আল গওছুল আ’যম, সুলত্বানুল আওলিয়া, মাখযানুল মা’রিফাহ, খযীনাতুর রহমাহ, মুঈনুল মিল্লাহ, লিসানুল উম্মাহ, তাজুল মুফাসসিরীন, রঈসুল মুহাদ্দিছীন, ফখরুল ফুক্বাহা, হাকীমুল হাদীছ, হুজ্জাতুল ইসলাম, সাইয়্যিদুল মুজতাহিদীন, মুহইস সুন্নাহ, মাহিউল বিদয়াহ, ছাহিবুল ইলহাম, রসূলে নুমা, সাইয়্যিদুল আওলিয়া, সুলত্বানুল ‘আরিফীন, ইমামুছ ছিদ্দীক্বীন, সাইয়্যিদুল মুজাদ্দিদীন, সাইয়্যিদুল খুলাফা, আবুল খুলাফা, ইমামুল আইম্মাহ, মুজাদ্দিদে আ’যম, ক্বইয়ূমুয যামান, আল জাব্বারিউল আউওয়াল, আল ক্বউইউল আউওয়াল, সুলত্বানিন নাছীর, হাবীবুল্লাহ, জামি‘উল আলক্বাব, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মাওলানা সাইয়্যিদুনা মুর্শিদুনা শায়খুনা হযরত ইমামুল উমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার সম্মানিত লখতে জিগার আওলাদ, খলীফাতুল্লাহ, খলীফাতু রসূলিল্লাহ, কুতুবুল ‘আলম, আল গওছুল আ’যম, সুলত্বানুল আওলিয়া, হাকীমুল হাদীছ, হুজ্জাতুল ইসলাম, সাইয়্যিদুল মুজতাহিদীন, মুহইস সুন্নাহ, মাহিউল বিদয়াহ, ছাহিবুল ইলহাম, রসূলে নুমা, সাইয়্যিদুল আওলিয়া, সুলত্বানুল ‘আরিফীন, ইমামুছ ছিদ্দীক্বীন, ইমামুল আইম্মাহ, ছানিয়ে মুজাদ্দিদে আ’যম, সুলত্বানিন নাছীর, হাবীবুল্লাহ, জামি‘উল আলক্বাব, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মাওলানা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল উমাম হযরত আল মানছূর আলাইহিস সালাম উনার বেমিছাল সম্মানিত তাজদীদ মুবারক এই যে-
“মুসাফিরী পথ হচ্ছে ১৮ (আঠার) ফরছখ তথা ৫৪ (চুয়ান্ন) মাইল। যা কিলোমিটার হিসেবে ৯৮.৭৫ (পৌনে নিরানব্বই) কিলোমিটার। আর শরয়ী হাত হিসেবে ২১৬০০০ (দু’ লাখ ষোল হাজার) হাত। সম্মানিত হানাফী মাযহাব উনার ইহাই নির্ভরযোগ্য ও চূড়ান্ত ফায়সালা। কিন্তু যারা মুসাফিরী পথ ৪৮ মাইল তথা ৭৮ কিলোমিটার বলে থাকে তাদের এ মতটি নির্ভরযোগ্য নয়।” 
বিস্তারিত বিশ্লেষণ:
মুসাফিরী পথের মৌলিক হিসাব: 
সকল ফিক্হ ও ফাতাওয়া উনাদের কিতাবের বর্ণনা মুতাবিক শরীয়তে মুসাফিরী পথ হচ্ছে- ৩ দিন ও ৩ রাত। যাকে মূলত: তিন দিবস বা দিনই বলা হয়ে থাকে। আর এই  ৩ দিন ও ৩ রাতের দূরত্ব  হলো ৫৪ মাইল। আর ৫৪ মাইল হচ্ছে মুসাফিরী পথ। 
মুসাফিরী পথের দূরত্বের সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্ম বিশ্লেষণ:
হানাফী মাযহাব উনার নির্ভরযোগ্য সর্বজনমান্য ও বিশুদ্ধ সকল ফিক্হ ও ফাতাওয়া উনাদের কিতাবের বর্ণনানুযায়ী যা বিস্তারিত আলোচনা পাওয়া যায়, তাহচ্ছে:  
সিংহের কেশর বা যেকোনো ঘোড়া বা তুর্কিস্তানের ঘোড়ার লেজের পশম বা গাধার পশমের পুরুত্ব একই রকম। তাই উক্ত যেকোনো একটি পশুর উল্লেখিত ৬টি পশমের সমষ্টির সমান ১টি যবের পুরুত্ব, যাকে ১ সুতাও বলা হয়। বিভিন্ন ফুক্বাহায়ে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনারা দৈর্ঘ্যরে হিসাব করতে যেয়ে উক্ত তিন প্রকার পশুর পশমের উপমা দ্বারা শুরু করেছেন। কেননা  উক্ত তিন প্রকার পশুর পশমের পুরুত্ব একই রকম।  
আর ৬টি যব পাশাপাশি বসালে এক আঙ্গুল পরিমাণ হয়। ২৪ আঙ্গুল সমান এক ذراع ‘যিরা’ তথা শরয়ী এক হাত হয়। ৪০০০ হাত সমান দৈর্র্ঘ্যে এক মাইল হয়। মানুষের হাতে ৪০০০ হাত সমান দৈর্র্ঘ্যরে পথ অতিক্রম করতে একটি উটের পা ফেলতে হয় ১০০০ পা। সে হিসেবে দেখা যাচ্ছে মানুষের প্রতি চার হাত সমান দৈর্ঘ্য উটের এক ক্বদম বা একবার পা ফেলানোর সমান দূরত্ব। দেখা যাচ্ছে যে, মানুষের ৪০০০ হাত সমান উটের ১০০০ পা অতিক্রম করার দূরত্ব। আর ইহাই শরয়ী ১ মাইল। যদিও ১৭৬০ গজে প্রচলিত হিসেবে ১ মাইল হিসাব করা হয়। প্রচলিত এ হিসাব ভুল। 
প্রতি ৩ মাইলে হয় ১ ফরছখ। ফাতাওয়াগ্রাহ্য ও প্রাধন্যপ্রাপ্ত মত অনুযায়ী মুসাফিরী পথ হচ্ছে ১৮ ফরছখ তথা 
১৮ী৩= ৫৪ মাইল। যেহেতু ১ ফরছখ সমান ৩ মাইল। তাই ১৮ ফরছখ সমান ১৮ী৩=৫৪ মাইল। যা কিলোমিটার হিসেবে ৯৮.৭৫ কিলোমিটার। যেহেতু প্রতি ১.৮২ কিলোমিটার সমান ১ মাইল। তাই ৫৪ মাইল সমান 
৫৪ী১.৮২=৯৮.৭৫ (পৌনে নিরানব্বই) কিলোমিটার। 
আর শরয়ী হাত হিসেবে ১০৮০০০ী২= ২১৬০০০ (দু’ লাখ ষোল হাজার) হাত। 
মুসাফিরী পথের ব্যাপারে উল্লেখিত হিসাবই সম্মানিত হানাফী মাযহাব উনার নির্ভরযোগ্য ও চূড়ান্ত হিসাব। কিন্তু যারা মুসাফিরী পথ ১৬ ফরছখ তথা ৪৮ মাইল বলে থাকে তাদের এ মতটি আমাদের হানাফী মাযহাব উনার মত নয়। বরং এ মতটি মালিকী, শাফিয়ী ও হাম্বলী মাযহাব উনাদের মত। আমরা যেহেতু সম্মানিত হানাফী মাযহাব উনার অনুসারী, তাই আমাদেরকে আমাদের মাযহাব উনার নির্ভরযোগ্য ও প্রাধন্যপ্রাপ্ত ফায়সালা মুবারক উনাকেই গ্রহণ করতে হবে এবং আমলে বাস্তবায়ন করতে হবে। 
(তথ্যসূত্র: আল-জাওহারাতুন নাইয়্যারাহ্ শরহে মুখতাছারুল কুদূরী, ফতহুল ক্বদীর শরহুল হিদায়াহ্ আলা বিদায়াতিল্ মুবতাদী, আল-বিনায়াহ আলাল্ হিদায়াহ লিল আইনী, আইনুল হিদায়াহ, আল-বাহরুর রায়িক্ব শরহু কানযিদ দাক্বায়িক্ব, তাবয়ীনুল হাক্বায়িক্ব শরহু কানযিদ্ দাক্বায়িক্ব লিল্ আহনী, আন-নাহরুল ফায়িক্ব শরহু কানযিদ দাক্বায়িক্ব, মিনহাতুল খালিক্ব আলাল বাহরির রায়িক্ব শরহে কানযুদ্ দাক্বায়িক্ব, আদ্ দুররুল মুখতার আলা তানবীরিল আবছার, রদ্দুল মুহতার আলাদ দুররিল মুখতার শরহে তানবীরুল আবছার, হাশিয়াতুত্ ত্বহত্বাবী আলাদ দুররিল মুখতার, গাইয়াতুল আওতার আলাদ্ দুররিল মুখতার, ফাতাওয়ায়ে তাতারখানিয়াহ, ফাতাওয়ায়ে ক্বাদ্বীখান, আল-ফাতাওয়াল আলমগীরিয়াহ (ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া), আল-ফিক্হু আলা মাযাহিবিল আরবায়াহ ইত্যাদী কিতাবসহ অন্যান্য সমস্ত নির্ভরযোগ্য ও বিশ্ববিখ্যাত ফিক্হ ও ফাতাওয়া উনাদের কিতাবে উল্লেখ আছে)