কাবা শরীফ উনার বর্ণনা
কাবা শরীফের ছাদ কি দিয়ে ঢালাই/বানানো হয়েছে ? যার জন্য ২০০০ হাজার বছরেও কিছু হয় নাই। আর কাবা
শরীফের আয়তন কত স্কয়ার ফিট ?
আমরা যে কাবা শরীফ বা আল্লাহর ঘর বলে থাকি তা বাইতুল আতিক বা বাইতুল হারাম নামেও পরিচিত সবার কাছে।এর আদী নাম ছিল বাক্কায়।
মক্কা শহরের অবস্থিত ল্যাটিচুড ২১ থেকে ২৫ ডিগ্রি নর্থ এবং লংগিচুড ৩৯ থেকে ৪৯ ডিগ্রি ইষ্ট সংযোগ স্থলে কাবা অবস্থিত। সমুদ্রপৃষ্টের ১০০০ ফুট উচ্চতায় শক্ত গ্রানাইট পাথরের ভিত্তির উপর দাড়িয়ে। কাবার বর্তমান উচ্চতা ৩৯ ফুট ৬ ইন্চি। আর ইহা আয়তন ৬২৭ স্কয়ার ফিট। ভিতরকার আয়তন ১৩×৯ মিটার। কাবার দেয়াল ১ মিটার চওড়া। আর মেঝে হাজীরা যেখানে তাওয়াফ করে তার থেকে ২.২ মিটার উচু। ছাদ দুই প্রস্তর কাঠের তৈরী যা স্টেইনলেস স্টিল দিয়ে বাধানো। আর দেয়াল সম্পুর্নটাই পাথরের।
ঐতিহাসিক মতে কাবাশরীফ পাচ থেকে ১২ বার পূর্ননির্মিত হয়েছিল। নবী হজরত ইব্রাহীম আ: এর সময় কাবার দৈর্ঘ ও উচ্চতা ছিল ভিন্ন। আদিতে কাবা আয়তকার ছিল
-পশ্চিমদিকের দেয়ালের দৈর্ঘ্য ছিল ৪৮ ফিট ৬ ইন্চি
-হাতিমের দিকটা ছিল ৩৩ ফুট
-কালো পাথর যেদিকটায় আছে তার ছিল ৩০ ফুট ও
-পুর্বদিকটায় ছিল ৪৬.৫ ফুট
হযরতমহাম্মদ নবীকরীম সা: এর নবুয়তের পুর্বেই কোরাইশরা কাবার একবার সংস্কার করেছিল। এটার ইতিহার সকলেই জানেন। তারপরও সংক্ষেপে বলি। একবার প্রবল বন্যায় কাবা ঘরের দেয়াল ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছিল। কোরাইশ বংশের ৪ গোত্রের লোকেরা মিলে এটা পুর্ননির্মান করেন। কিন্তু গোল বাধে কে হাজরে আসওয়াদ বা কালো পাথর স্থাপন করবেন তা নিয়ে। ৪ গোত্রই এ্ পবিত্র কাজের দাবীদার। এ নিয়ে কলহ যখন চরমে তখন কোরাইশ বংশের প্রবীনতম ব্যাক্তি আবু উমায়রাহ প্রস্তাব করলো যে ব্যক্তি পরের দিন সকালে প্রথম মসজিদে প্রবেশ করবে সেই যে গোত্রের নাম প্রস্তাব করবে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে। যথারীতি হজরত মহাম্মদ (সা:) ছিলেন সেই প্রথম ব্যাক্তি। আর তার প্রস্তাবনা অনুসারে একটি চাদরে চার গোত্রের প্রধান এই পাথরকে নিয়ে কাবার কাছে নিয়ে যান। নবী মহাম্মদ (সা:) সেই পাথর কাবাতে স্থাপন করেন। এখানে উল্লেখ্য যে কোরাইশ গোত্রের ফান্ড সল্পতার দরুন তখনকার মুল কাবাকে কিছুটা ছোট করে ফেলা হয়। যার দরুন এই প্রথম কাবা চৌকনা বা ঘনকাকৃতির আকার ধারন করে। আর যে অংশটা বাদ পড়ের যায় তা বর্তমানে হাতিম বলে পরিচিত।
হিজরী ৬৪ সনের (৬৮৩ খ্রীষ্টাব্দ) মহরম মাসে ইয়াজিদ বিন মুয়াবিয়ার নির্দেশে ইবনু যুবায়েরের সাথে যুব্ধের প্রাক্কালে সিরিয়ান আর্মি দ্বারা কাবা সম্পুর্ন ভাবে ধ্বংস হয়ে যায়। পরর্বতী হজ্বের পুর্বেই আব্দুল্লাহ ইবনে আয-যুবাইর কাবা পুনরায় এটা তৈরী করেন। আব্দুল্লাহর ইচ্ছা ছিল রসূল সা: কাবাকে যে রুপে দেখতে চেয়েছিলেন ঠিক সেভাবে তৈরী করবেন। এ ব্যাপারে একটি হাদীস আছে। ইবনে আজ-জুবায়ের বলেন ” আমি আয়শা(রা:) কাছে শুনেছিলাম, রসুল (সা:) বলেন ” যদি না সম্প্রতি মানুষ অজ্ঞতা(অবিশ্বাস) পরিত্যাগ করত, এবং আমার হাতে যদি কাবাকে পূর্ন:নির্মানে পযার্প্ত বিধান থাকতো, তাহলে আমি হিজরের দিকটায় আরো পাচ হাত সম্প্রসারিত করতাম। উপরোন্তু আমি আরো ২ টি দরজা তৈরী করতাম, যার একদিকে হাজীরা প্রবেশ করতো আর অন্যটা দিয়ে বের হত।” (সহি বুখারী)
আব্দুল্লাহ ইবনে আয-যুবাইর কাবার ভিতরে ৬ টি পিলারের বদলে সুগন্ধী কাঠের ৩টি পিলার স্থাপন করেন। নির্মানকালে তিনি পুর্ব ও পশ্চিম দিক মুখ করে ২টি ভুমি সমতল দরজা বসানো হয়। হাতিম (কাবার নিকটবর্তী নিচু চন্দ্রাকার দেয়াল) অংশও এর সাথে যুক্ত করা হয়। সেই সাথে ছাদের কাছাকাছি একটা জানালা লাগানো হয় যাতে আলো বাতাস প্রবেশ করতে পারে। আর আরো নয়হাত যোগ করে মোট বিশ হাত উচু করা হয়।
রসুলের স্বপ্ন বা ইচ্ছা অনুরুপে তৈরী এই কাবা ঘরের নতুন কাঠামো শুধুমাত্র ১০ বছর টিকে ছিল।হিজরী ৭৪ (৬৯৩ খ্রীষ্টাব্দ) আব্দুল মালিক ইবনে মারওয়ান দামেস্কের আধিপত্ত গ্রহন করেই হাজ্জাজ বিন ইউসুফকে মক্কা দখলের পাঠান। হাজ্জাজ বিন ইউসুফ আব্দুল্লাহ ইবনে আয-যুবাইরকে হত্যা করে মক্কা দখল করেন। আর কাবা গৃহকে আবার কোরাইশদের তৈরী আগের রুপে ফিরিয়ে নিয়ে যান। তিনি হাতিমকে কাবাগৃহ থেকে পৃথক করেন। পশ্চিমদিকার দরজা তিনি চিরতরে বন্ধ করে দেন, আর পর্বেরকার দরজা আরো উচু করেন।
ছোটখাটো সংষ্কার ছাড়া এরপর প্রায় ৯০০ বছর কাবাঘর প্রায় অবিকৃত থেকে যায়। ১০৩৯ হিজরীতে (১৬২৯ খ্রীষ্টাব্দ) প্রবল বন্যা হয় মক্কায়। এতে কাবাঘরের পুর্ব ও পশ্চিমের দেয়াল ধসে যায়। সুলতান মুরাদ এই কাবা গৃহের সংস্কার করেন। এবং কোরাইশদের তৈরী রীতিই অব্যহত রাখেন।
প্রায় ৪০০ বছরে কিছু ছোটখাট সংস্কার ছাড়া কাবাঘরের কোন পরিবর্তন হয়নি। শেষের দিকে সৌদী বাদশা ১৯৯৬ সালে মে মাসে কাবাকে পুর্ন: নির্মানে হাত দেন। কাবা শরীফের পুরানো পাথর বাদে সব কিছুই পরিবর্তন করা হয়। এর পিলার, কাঠের তৈরী ছাদ সবকিছুই। বর্তমান কাবাঘরের ভিতরে দুইটি পিলার(কারো মতে ৩টি), একটি টেবিল যেখানে সুগন্ধী রাখা হয়, দুইটি হারিকেন টাইপের বাতি আছে। আর দেয়াল ও ফ্লোর মার্বেল পাথরের তৈরী। এই হল কাবা সষ্কারের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস।
পুনশ্চ: কিছু প্রশ্ন আমার এখনো থেকে গেছে। আমরা ছোটবেলায় পড়েছি চতুর্থ আকাশে আকীক পাথরে নির্মিত ‘বায়তুল মা’মূর’ নামক একটি পবিত্র মসজিদ রয়েছে । ফেরেশ্তাগণ এ মসজিদে আল্লাহতায়ালার ইবাদত করেন । মানব জাতির পিতা হযরত আদম (আঃ) ইবাদতের জন্য এ পৃথিবীতে একটি মসজিদ নির্মাণের জন্য আল্লাহর নিকট দোয়া করেন । আল্লাহতায়ালার হুকুমে ফেরেশ্তাগণ ‘বায়তূল মা’মুরের’ নুরানী নকশা পৃথিবীর মধ্যস্হলে ফেলে দেন । অতঃপর হযরত আদম (আঃ) এবং উনার ছেলে হযরত শীছ (আঃ) ঐ নকশার উপর ভিত্তি করে ঐ স্হানে একটি মসজিদ নির্মাণ করেন । এটাই আমাদের বায়তুল্লাহ বা আল্লাহর ঘর । তাহলে এই নকশার বাড়ংবার পরিবর্তন কিভাবে বাইতূল মা’মুরের নকশা আনুসরন করে।
হুযুরপাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নসব নামা মুবারক
Related image









হাযির-নাযির, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ
হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার
মহাসম্মানিত বরকতময় পবিত্র নসবনামাহ মুবারক-

اَلْـمُؤَسِّسُ وَالْـمُشْرِفُ لِـمَرْكَزِ الْبَحْثِ مُـحَمَّدِيَّةٍ جَامِعَةٍ شَرِيْفٍ وَالْـمَجَلَّةِ الشَّهْرِيَّةِ الْبَيِّنَاتِ وَالْـجَرِيْدَةِ الْيَوْمِيَّةِ الْاِحْسَانِ- خَلِيْفَةُ اللهِ، خَلِيْفَةُ رَسُوْلِ اللهِ، اِمَامُ الشَّرِيْعَةِ وَالطَّرِيْقَةِ، قُطْبُ الْعَالَـمِ، اَلْغَوْثُ الْاَعْظَمُ، سُلْطَانُ الْاَوْلِيَاءِ، مَـخْزَنُ الْـمَعْرِفَةِ، خَزِيْنَةُ الرَّحْمَةِ، مُعِيْنُ الْـمِلَّةِ، لِسَانُ الْاُمَّةِ، تَاجُ الْـمُفَسِّرِيْنَ، رَئِيْسُ الْـمُحَدِّثِيْنَ، فَخْرُ الْفُقَهَاءِ، حَاكِمُ الْـحَدِيْثِ، حُجَّةُ الْاِسْلَامِ، سَيِّدُ الْـمُجْتَهِدِيْنَ، مُحْىُ السُّنَّةِ، مَاحِىُ الْبِدْعَةِ، صَاحِبُ الْاِلْـهَامِ، رَسُوْلِ نُـمَا، سَيِّدُ الْاَوْلِيَاءِ، سُلْطَانُ الْعَارِفِيْنَ، اِمَامُ الصِّدِّيْقِيْنَ، سَيِّدُ الْـمُجَدِّدِيْنَ، سَيِّدُ الْـخُلَفَاءِ، اَبُو الْـخُلَفَاءِ، اِمَامُ الْاَئِمَّةِ، اَلْـمُجَدِّدُ الْاَعْظَمُ، قَيُّوْمُ الزَّمَانِ، اَلْـجَبَّارِىُ الْاَوَّلُ، اَلْقَوِىُّ الْاَوَّلُ، سُلْطَانٌ نَّصِيْرٌ، حَبِيْبُ اللهِ، جَامِعُ الْاَلْقَابِ، اَلْـمُطَهَّرُ، اَلْـمُطَهِّرُ، اَهْلُ بَيْتِ رَسُوْلِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، مَوْلَانَا سَيِّدُنَا اَلْاِمَامُ
خَلِيْفَةُ اللهِ حَضْرَتْ اَلسَّفَّاحُ عَلَيْهِ الصَّلـٰوةُ وَالسَّلَامُ
اَلَـحَسَنِىُّ وَالْـحُسَيْنِىُّ وَالْقُرَيْشِىُّ وَالْـحَنَفِىُّ وَالْقَادِرِىُّ وَالْصِيْشْتِىُّ وَالنَّقْشَبَنْدِىُّ وَالْـمُجَدِّدِىُّ وَالْـمُحَمَّدِىُّ
رَاجَارْبَاغُ شَرِيْفٌ، دَاكَا

গবেষণা কেন্দ্র : মুহম্মদিয়া জামিয়া শরীফ, দৈনিক আল ইহসান শরীফ এবং মাসিক আল বাইয়্যিনাত শরীফ উনাদের প্রতিষ্ঠাতা ও পৃষ্ঠপোষক- খলীফাতুল্লাহ, খলীফাতু রসূলিল্লাহ, ইমামুশ শরী‘য়াহ ওয়াত তরীক্বাহ, কুতুবুল ‘আলম, আল গওছুল আ’যম, সুলত্বানুল আওলিয়া, মাখযানুল মা’রিফাহ, খযীনাতুর রহমাহ, মুঈনুল মিল্লাহ, লিসানুল উম্মাহ, তাজুল মুফাসসিরীন, রঈসুল মুহাদ্দিছীন, ফখরুল ফুক্বাহা, হাকীমুল হাদীছ, হুজ্জাতুল ইসলাম, সাইয়্যিদুল মুজতাহিদীন, মুহইস সুন্নাহ, মাহিউল বিদয়াহ, ছাহিবুল ইলহাম, রসূলে নুমা, সাইয়্যিদুল আওলিয়া, সুলত্বানুল ‘আরিফীন, ইমামুছ ছিদ্দীক্বীন, সাইয়্যিদুল মুজাদ্দিদীন, সাইয়্যিদুল খুলাফা, আবুল খুলাফা, ইমামুল আইম্মাহ, মুজাদ্দিদে আ’যম, ক্বইয়ূমুয যামান, আল জাব্বারিউল আউওয়াল, আল ক্বউইউল আউওয়াল, সুলত্বানুন নাছীর, হাবীবুল্লাহ, জামি‘উল আলক্বাব, মুত্বহ্হার, মুত্বহ্হির, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মাওলানা সাইয়্যিদুনা ইমাম -
খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ আলাইহিছ ছলাতু ওয়াস সালাম
আল হাসানী ওয়াল হুসাইনী ওয়াল কুরাঈশী ওয়াল হানাফী ওয়াল ক্বাদিরী ওয়াল চীশতী ওয়ান নকশবন্দী ওয়াল মুজাদ্দিদী ওয়াল মুহম্মদী
রাজারবাগ শরীফ, ঢাকা।

সম্মানিত ক্বওল শরীফ-

نَـحْمَدُهٗ وَنُصَلِّىْ وَنُسَلِّـمُ عَلـٰى رَسُوْلِهِ الْكَرِيْـمِ وَعَلـٰى حَضْرَتْ وَالِدَىْ رَسُوْلِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَعَلـٰى حَضْرَتْ اُمَّهَاتِ الْـمُؤْمِنِيْنَ عَلَيْهِنَّ السَّلَامُ وَعَلـٰى حَضْرَتْ اَهْلِ بَيْتِهِ الْكَرِيْـمِ عَلَيْهِمُ السَّلَامُ .اَمَّا بَعْدُ:

যিনি খালিক মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন,

وَتَقَلُّبَكَ فِـى السّٰجِدِيْنَ.

অর্থ: “(আমার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) আপনার স্থানান্তরিত হওয়ার বিষয়টিও ছিল মহাসম্মানিত সিজদাকারীগণ উনাদের মাধ্যমে।” সুবহানাল্লাহ! (সম্মানিত ও পবিত্র সূরা শুয়ারা শরীফ : সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ ২১৯)
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-

لَـمْ اَزَلْ اُنْقَلُ مِنْ اَصْلَابِ الطَّاهِرِيْنَ اِلـٰى اَرْحَامِ الطَّاهِرَاتِ.

অর্থ: “আমি সবসময় পূত-পবিত্র মহাসম্মানিত পুরুষ আলাইহিমুস সালাম উনাদের সম্মানিত ও পবিত্র পৃষ্ঠ মুবারক অর্থাৎ উনাদের থেকে পূত-পবিত্রা মহাসম্মানিতা মহিলা আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের সম্মানিত ও পবিত্র রেহেম শরীফ-এ অর্থাৎ উনাদের নিকট স্থানান্তরিত হয়েছি।” সুবহানাল্লাহ!
মূলত, সাইয়্যিদুনা হযরত আবুল বাশার ছফীউল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার থেকে শুরু করে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত আব্বাজান সাইয়্যিদুনা হযরত যাবীহুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার পর্যন্ত নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত পূর্বপুরুষ আলাইহিমুস সালাম উনারা প্রত্যেকেই হচ্ছেন সর্বকালের সর্বযুগের সর্বশ্রেষ্ঠ ব্যক্তিত্ব মুবারক। সুবহানাল্লাহ! শুধু তাই নয়, উনারা প্রত্যেকেই হচ্ছেন মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের অন্তর্ভুক্ত। সুবহানাল্লাহ!
আর মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত, বুযূর্গী-সম্মান মুবারক সম্পর্কে যিনি খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন,

اِنَّـمَا يُرِيْدُ اللهُ لِيُذْهِبَ عَنْكُمُ الرِّجْسَ اَهْلَ الْبَيْتِ وَيُـطَـهِّـرَكُمْ تَطْهِيْرًا.

অর্থ: “হে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম! নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক তিনি চান আপনাদের থেকে সমস্ত প্রকার অপবিত্রতা দূর করে আপনাদেরকে পবিত্র করার মতো পবিত্র করতে। অর্থাৎ তিনি আপনাদেরকে পবিত্র করার মতো পবিত্র করেই সৃষ্টি মুবারক করেছেন।” সুবহানাল্লাহ! (সম্মানিত ও পবিত্র সূরা আহযাব শরীফ : সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ ৩৩)
সম্মানিত ও পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে,

اَنَّ النَّبِـىَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ يَقُوْلُ نَـحْنُ اَهْلُ بَيْتٍ طَهَّرَهُمُ اللهُ مِنْ شَجَرَةِ النُّبُوَّةِ وَمَوْضِعِ الرِّسَالَـةِ وَمُـخْتَلِفِ الْمَلَائِكَةِ وَبَيْتِ الرَّحْمَةِ وَمَعْدِنِ الْعِلْمِ.

অর্থ: “নিশ্চয়ই নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সবসময় ইরশাদ মুবারক করতেন, আমরা মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম। সুবহানাল্লাহ! মহান আল্লাহ পাক তিনি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে (আমাদেরকে) সম্মানিত নুবুওওয়াত মুবারক উনার বৃক্ষ, সম্মানিত রিসালাত মুবারক উনার স্থান, বিভিন্ন ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনাদের, উনাদের দ্বারা সম্মানিত খিদমত মুবারক, সম্মানিত রহমত মুবারক উনার ঘর মুবারক এবং সম্মানিত ইলম মুবারক উনার খনি মুবারক (ইত্যাদি সমস্ত কিছু) থেকে পবিত্র রেখেছেন, ছমাদ তথা বেনিয়ায (অমুখাপেক্ষী) করেছেন।” সুবহানাল্লাহ! সুবহানাল্লাহ! সুবহানাল্লাহ! (তাফসীরে দুররে মানছূর ৬/৬০৬, তাফসীরে ইবনে আবী হাতিম ৯/৩১৩৩)

যিনি খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি যেমন সমস্ত মাখলূকাত থেকে, সমস্ত কিছু থেকে ছমাদ তথা বেনিয়ায (অমুখাপেক্ষী)। সুবহানাল্লাহ! ঠিক তেমনিভাবে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি একমাত্র যিনি খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি ব্যতীত সমস্ত মাখলূকাত থেকে, সমস্ত কিছু থেকে ছমাদ তথা বেনিয়ায (অমুখাপেক্ষী)। সুবহানাল্লাহ! আর ঠিক একইভাবে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনারা যিনি খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি এবং উনার হাবীব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি অর্থাৎ উনারা ব্যতীত সমস্ত কায়িনাত থেকে, সমস্ত কিছু থেকে ছমাদ তথা বেনিয়ায (অমুখাপেক্ষী)। সুবহানাল্লাহ! উনারা সম্মানিত নুবুওওয়াত মুবারক, সম্মানিত রিসালাত মুবারক, বিভিন্ন ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনাদের, উনাদের দ্বারা সম্মানিত খিদমত মুবারক, সম্মানিত রহমত মুবারক উনার ঘর মুবারক এবং সম্মানিত ইলম মুবারক উনার খনি মুবারক ইত্যাদি সমস্ত কিছু থেকে পবিত্র, ছমাদ তথা বেনিয়ায (অমুখাপেক্ষী)। সুবহানাল্লাহ! সুবহানাল্লাহ! সুবহানাল্লাহ! উনারা একমাত্র মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার হাবীব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার অর্থাৎ উনাদের মুহতাজ। এছাড়া কায়িনাতের অন্য কারো মুহতাজ নন; বরং কায়িনাতের সকলেই উনাদের মুহতাজ। সুবহানাল্লাহ! মূলত, সমগ্র সৃষ্টি জগতের মাঝে একমাত্র নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পরেই মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের সম্মানিত শ্রেষ্ঠত্ব মুবারক, সম্মানিত ফযীলত মুবারক। সুবহানাল্লাহ! আর নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত পূর্বপুরুষ আলাইহিমুস সালাম উনারা এবং মহাসম্মানিতা পূর্বমহিলা আলাইহিন্নাস সালাম উনারা প্রত্যেই হচ্ছেন মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের অন্তর্ভূক্ত। সুবহানাল্লাহ! তাহলে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত পূর্বপুরুষ আলাইহিমুস সালাম উনাদের এবং মহাসম্মানিতা পূর্বমহিলা আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত, বুযূর্গী-সম্মান মুবারক কতো বেমেছাল, সেটা সমস্ত জিন-ইনসান, তামাম কায়িনাতবাসী সকলের চিন্তা ও কল্পনার উর্ধ্বে। সুবহানাল্লাহ!

তাসাউফের একটি উছূল রয়েছে, যারা স্বীয় সম্মানিত শায়েখ উনার সম্মানিত শাজরা শরীফ সম্পর্কে জানে না, তারা মুরীদ হওয়ার উপযুক্ত না। যদি তাই হয়, তাহলে যারা সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত বরকতময় পবিত্র নসবনামাহ মুবারক জানে না, তারা কিভাবে উম্মত দাবী করতে পারে? তারা উম্মত হওয়ারই উপযুক্ত না। নাঊযুবিল্লাহ! তাই সমস্ত জিন-ইনসান, তামাম কায়িনাতবাসী সকলের জন্য ফরযে আইন হচ্ছে সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ¦াতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত বরকতময় পবিত্র নসবনামাহ মুবারক সম্পর্কে ইলম অর্জন করা বা জানা। সুবহানাল্লাহ!
যিনি খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি সবাইকে সেই তাওফীক্ব দান করুন। (আমীন!)

(সূচনা) اَلْاِبْتِدَاءُ

اَلْـحَمْدُ وَالصَّلـٰوةُ وَالسَّلَامُ لِشَيْخِنَا خَلِيْفَةِ اللهِ حَضْرَتْ اَلسَّفَّاحِ عَلَيْهِ الصَّلـٰوةُ وَالسَّلَامُ وَلـِحَضْرَتْ اَهْلِ بَيْتِهِ الْكَرِيْـمِ عَلَيْهِمُ السَّلَامُ وَالصَّلـٰوةُ وَالسَّلَامُ عَلـٰى سَيِّدِ الْاَنْۢـبِـيَـاءِ وَالْـمُرْسَلِيْنَ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَعَلـٰى حَضْرَتْ اَهْلِ بَيْتِهِ الْكَرِيْـمِ عَلَيْهِمُ السَّلَامُ وَالْـحَمْدُ لِلّٰهِ رَبِّ الْعَالَمِيْنَ. اَمَّا بَعْدُ:
মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন,

اِنَّاۤ اَعْطَيْنٰكَ الْكَوْثَرَ

অর্থ: “নিশ্চয়ই আমি আপনাকে সম্মানিত মুবারক কাউছার হাদিয়া মুবারক করেছি।” সুবহানাল্লাহ! (সম্মানিত ও পবিত্র সূরা কাওছার শরীফ : সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ ১)
এই সম্মানিত কাওছার মুবারক উনার লক্ষ-কোটি ব্যাখ্যা মুবারক। উনাদের মধ্যে একখানা ব্যাখ্যা মুবারক হচ্ছেন, ‘খইরে কাছীর’ তথা সমস্ত প্রকার ভালাই। অর্থাৎ মহান আল্লাহ পাক তিনি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে সমস্ত প্রকার ভালাই তথা সর্বোত্তম ও সর্বশ্রেষ্ঠ বিষয় মুবারকসমূহ হাদিয়া মুবারক করেছেন। সুবহানাল্লাহ! অপরদিকে উনার সাথে যে বিষয় মুবারকসমূহ সম্পৃক্ত হয়েছেন, সে বিষয় মুবারকসমূহ সর্বোত্তম ও সর্বশ্রেষ্ঠ হয়ে গেছেন। সুবহানাল্লাহ!
যার কারণে এ ব্যাপারে সমস্ত ইমাম-মুজতাহিদ রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনারা ইজমা করেছেন যে,

اِنَّ التُّرْبَةَ الَّتِىْ اِتَّصَلَتْ اِلـٰى اَعْظُمِ النَّبِـىِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اَفْضَلُ مِنَ الْاَرْضِ وَالسَّمَاءِ حَتَّى الْعَرْشِ الْعَظِيْمِ.

অর্থ: “নিশ্চয়ই এক মুহূর্তের তরেও নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র জিসম মুবারক উনার স্পর্শ মুবারক-এ এসেছেন, যেই মাটি, ধূলি-বালি (পদার্থ-বস্তু যা কিছুই হোক না কেন) উনাদের ফযীলত, মর্যাদা-মর্তবা আসমান-যমীন; এমনকি মহান আল্লাহ পাক উনার সম্মানিত আরশে আযীম মুবারক থেকেও লক্ষ কোটি গুণ বেশি।” সুবহানাল্লাহ!

অন্য ইজমা মুবারক-এ বলা হয়েছে,

فَاِنَّهٗ اَفْضَلُ مُطْلَقًا مِّنَ الْكَعْبَةِ وَالْـكُـرْسِىِّ حَتَّى الْعَرْشِ الْعَظِيْمِ.

অর্থ: “নিশ্চয়ই নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত স্পর্শ মুবারক-এ যা কিছু এসেছেন, তা অবশ্যই সম্মানিত কা’বা শরীফ, সম্মানিত কুরসী শরীফ; এমনকি মহান আল্লাহ পাক উনার সম্মানিত আরশে আযীম মুবারক থেকেও লক্ষ-কোটি গুণ বেশি ফযীলতপ্রাপ্ত, সম্মানিত এবং সর্বশ্রেষ্ঠ।” সুবহানাল্লাহ!

 অর্থাৎ এক মুহূর্তের তরেও নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার স্পর্শ মুবারক-এ যা কিছু এসেছেন, তা আসমান-যমীন, সম্মানিত কা’বা শরীফ, সম্মানিত কুরসী শরীফ, মহান আল্লাহ পাক উনার কায়িনাতে যা কিছু রয়েছে; এমনকি সম্মানিত আরশে আযীম মুবারক থেকেও লক্ষ-কোটি গুণ বেশি পবিত্র, ফযীলতপ্রাপ্ত, সম্মানিত এবং সর্বশ্রেষ্ঠ। সুবহানাল্লাহ! সেটাই আমরা দেখতে পাই যে, তূর পাহাড়ে মহান আল্লাহ পাক উনার সম্মানিত আরশে আযীম মুবারক উনার সত্তর হাজার ভাগের এক ভাগ নূর মুবারক যাহির হওয়ার কারণে জলীলুল ক্বদর নবী ও রসূল হযরত মূসা কালীমুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনাকে সেখানে যেতে হয়েছিলো, উনার সম্মানিত না’লাইন শরীফ খুলে। কিন্তু নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত ও পবিত্র না’লাইন শরীফ উনাদের স্পর্শকৃত সম্মানিত ও পবিত্র ধূলি-বালি মুবারক পাওয়ার জন্য বেকারার ছিলেন স্বয়ং মহান আল্লাহ পাক উনার সম্মানিত মূল আরশে আযীম মুবারক। সুবহানাল্লাহ!
 সম্মানিত ও পবিত্র না’লাইন শরীফ উনাদের স্পর্শকৃত সম্মানিত ও পবিত্র ধূলি-বালি মুবারক উনাদের পবিত্রতা, মর্যাদা মুবারক মূল আরশে আযীম মুবারক থেকেও লক্ষ কোটি গুণ বেশি। সুবহানাল্লাহ! শুধু তাই নয়, সম্মানিত ও পবিত্র না’লাইন শরীফ উনাদের সম্মানিত ও পবিত্র ধূলি-বালি মুবারক পেয়ে সম্মানিত মূল আরশে আযীম মুবারক আরো পবিত্রতা হাছিল করেছেন, মর্যাদাবন হয়েছেন এবং অন্য সকলের উপর ফখর করেছেন। সুবহানাল্লাহ! যদি তাই হয়ে থাকে, তাহলে যে সকল মহাসম্মানিত ব্যক্তিত্ব মুবারক এবং মহাসম্মানিতা ব্যক্তিত্বা মুবারক উনারা সরাসরি ‘মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরে হাবীবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে অর্থাৎ মূল অজুদ মুবারক’ উনাকে ধারণ মুবারক করেছেন, উনাদের তথা নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত পূর্বপুরুষ আলাইহিমুস সালাম উনাদের এবং মহাসম্মানিতা পূর্বমহিলা আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত, বুযূর্গী-সম্মান মুবারক, পবিত্রতা মুবারক কত বেমেছাল সেটা এখান থেকেই স্পষ্ট হয়ে যায়। সুবহানাল্লাহ! মূলত, এক কথায় উনারা শুধু মহান আল্লাহ পাক তিনি নন এবং নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি নন; এছাড়া যত শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত, বুযূর্গী-সম্মান মুবারক, পবিত্রতা মুবারক রয়েছেন সমস্ত কিছুর অধিকারী হচ্ছেন উনারা। সুবহানাল্লাহ!

উল্লেখ্য যে, স্বাভাবিকভাবে কিতাবে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত বরকতময় পবিত্র নসবনামাহ মুবারক-এ ৫০ জন উনাদের সম্মানিত ও পবিত্র ইসম বা নাম মুবারক উল্লেখ রয়েছে। কিন্তু নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মুজাদ্দিদে আ’যম মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ আলাইহিছ ছলাতু ওয়া সাল্লাম উনার বেমেছাল কল্পনাতীত মহাসম্মানিত তা‘য়াল্লুক-নিসবত মুবারক থাকার কারণে তিনি সম্মানিত তাহকীক্ব মুবারক করে মহাসম্মানিত বরকতময় পবিত্র নসবনামাহ মুবারক-এ আরো ৫২ জন উনাদের সম্মানিত ও পবিত্র ইসম বা নাম মুবারক সংযোজন করে ১০২ জন উনাদের সম্মানিত ও পবিত্র ইসম বা নাম মুবারক সম্বলিত মহাসম্মানিত বরকতময় পবিত্র নসবনামাহ মুবারক প্রকাশ করেছেন। সুবহানাল্লাহ!
যিনি খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি সাইয়্যিদুল খুলাফা, আবুল খুলাফা, ইমামুল আইম্মাহ, মুজাদ্দিদে আ’যম, ক্বইয়ূমুয যামান, আল জাব্বারিউল আউওয়াল, আল ক্বউইউল আউওয়াল, সুলত্বানিন নাছীর, হাবীবুল্লাহ, জামি‘উল আলক্বাব, মুত্বহ্হার, মুত্বহ্হির, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ আলাইহিছ ছলাতু ওয়াস সালাম উনার সম্মানার্থে আমাদের সবাইকে মহাসম্মানিত বরকতময় পবিত্র নসবনামাহ মুবারক সম্পর্কে ইলম অর্জন করার, জানার, মহাসম্মানিত বরকতময় পবিত্র নসবনামাহ মুবারক মুখস্ত করার এবং মহাসম্মানিত বরকতময় পবিত্র নসবনামাহ মুবারক উনার মাধ্যমে আখাছ্ছুল খাছ হাক্বীক্বী সম্মানিত রহমত-বরকত, মুহব্বত-মা’রিফত, নিসবত-ক্বুরবত, রেযামন্দি-সন্তুষ্টি মুবারক হাছিল করার তাওফীক্ব দান করুন। আমীন!



নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত বংশীয় পবিত্রতা মুবারক-

মহান আল্লাহ পাক তিনি ‘সম্মানিত ও পবিত্র সূরা শুয়ারা শরীফ’ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন,

وَتَقَلُّبَكَ فِـى السّٰجِدِيْنَ.

অর্থ: “(আমার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) আপনার স্থানান্তরিত হওয়ার বিষয়টিও ছিল মহাসম্মানিত সিজদাকারীগণ উনাদের মাধ্যমে।” সুবহানাল্লাহ! (সম্মানিত ও পবিত্র সূরা শুয়ারা শরীফ : সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ ২১৯)
‘তাফসীরে কবীর শরীফ’ উনার মধ্যে উল্লেখ রয়েছে,

فَالْاٰيَةُ دَالَّةٌ عَلـٰى اَنَّ جَمِيْعَ اٰبَاءِ سَيِّدِنَا مَوْلَانَا مُحَمَّدٍ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانُوْا مُسْلِمِيـْنَ.

অর্থ: “এই সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ থেকে প্রমাণিত হয় যে, নিশ্চয়ই নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত পূর্বপুরুষ আলাইহিমুস সালাম উনারা সকলেই মুসলমান ছিলেন, ঈমানদার ছিলেন।” সুবহানাল্লাহ! (তাফসীরে কবীর শরীফ ১৩/৩২)
আরো বর্ণিত রয়েছে,

اِنَّهٗ كَانَ يَنْقُلُ نُوْرُهٗ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنْ سَاجِدٍ اِلـٰى سَاجِدٍ.

অর্থ: “নিশ্চয়ই নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূর মুবারক মহাসম্মানিত সিজদাকারীগণ উনাদের মাধ্যমে স্থানান্তরিত হয়েছিলেন।” সুবহানাল্লাহ! (তাফসীরে কবীর শরীফ ১৩/৩২, মাওয়াহিবুল লাদুননিয়্যাহ শরীফ ১/১০৪, শরহুয যারক্বানী আলাল মাওয়াহিব ১/৩২৬, তারীখুল খমীস ১/২৩৪, সুবুলুল হুদা ওয়ার রশাদ)
আল্লামা ফখরুদ্দীন রাযী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন,

وَمِـمَّا يَدُلُّ عَلـٰى اَنَّ اٰبَاءَ سَيِّدِنَا مَوْلَانَا مُحَمَّدٍ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَا كَانُوْا مُشْرِكِيْنَ قَوْلُهٗ عَلَيْهِ الصَّلـٰوةُ وَالسَّلَامُ لَـمْ اَزَلْ اُنْقَلُ مِنْ اَصْلَابِ الطَّاهِرِيْنَ اِلـٰى اَرْحَامِ الطَّاهِرَاتِ وَقَالَ تَعَالـٰى اِنَّـمَا الْمُشْرِكُوْنَ نَـجَسٌ فَوَجَبَ اَنْ لَّا يَكُوْنَ اَحَدٌ مِّنْ اَجْدَادِهٖ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مُشْرِكًا.

 অর্থ: “আর এই বিষয়টি সুস্পষ্টভাবে প্রমাণিত যে- নিশ্চয়ই নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত পূর্বপুরুষ আলাইহিমুস সালাম উনাদের মধ্যে কেউই মুশরিক ছিলেন না। এই সম্পর্কে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি নিজেই ইরশাদ মুবারক করেন,

لَـمْ اَزَلْ اُنْقَلُ مِنْ اَصْلَابِ الطَّاهِرِيْنَ اِلـٰى اَرْحَامِ الطَّاهِرَاتِ

আমি সবসময় পূত-পবিত্র মহাসম্মানিত পুরুষ আলাইহিমুস সালাম উনাদের সম্মানিত ও পবিত্র পৃষ্ঠ মুবারক অর্থাৎ উনাদের থেকে পূত-পবিত্রা মহাসম্মানিতা মহিলা আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের সম্মানিত ও পবিত্র রেহেম শরীফ-এ অর্থাৎ উনাদের নিকট স্থানান্তরিত হয়েছি। সুবহানাল্লাহ! আর মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন,

اِنَّـمَا الْمُشْرِكُوْنَ نَـجَسٌ.

নিশ্চয়ই মুশরকিরা অপবিত্র। কাজেই এ সকল বর্ণনা থেকে চির অকাট্টভাবে প্রমাণিত যে- নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত পূর্বপুরুষ আলাইহিমুস সালাম উনাদের মধ্যে কেউই মুশরিক ছিলেন না।” সুবহানাল্লাহ! (বাহজাতুল মাহাফিল ১/৪৪, মাওয়াহিবুল লাদুননিয়্যাহ ১/১০৫, সুবুলুল হুদা ওয়ার রশাদ ১/২৫৬, তারীখুল খমীস ১/২৩৪, তাফসীরে কাবীর ১৩/৩৩, রূহুল বায়ান, রূহুল মা’য়ানী, মাযহারী, হাক্কী, আল হাওই ২/২৫৪, মাসালিকুল হুনাফা ১০ পৃ. ইত্যাদী)

সম্মানিত ও পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে,

عَن حَضْرَتْ اِبْن عَبَّاسٍ رَضِىَ اللهُ تَعَالــٰى عَنْهُ قَالَ سَاَلْتُ رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقُلْتُ بِاَبِـىْ اَنْتَ وَاُمِّىْ اَيْنَ كُنْتَ وَحَضْرَتْ اٰدَمُ عَلَيْهِ السَّلَامُ فِـى الْـجَنَّةِ فَتَبَسَّمَ حَتّٰى بَدَتْ نوَاجِذُهٗ ثُـمَّ قَالَ اِنِّـىْ كُنْتُ فِـىْ صُلْبِهٖ وَهَبَطَ اِلَـى الْاَرْضِ وَاَنَا فِـىْ صُلْبِهٖ وَرَكِبْتُ السَّفِيْنَةَ فِـىْ صُلْبِ اَبِـىْ حَضْرَتْ نُوْحٍ عَلَيْهِ السَّلَامُ وَقَذَفْتُ فِـىْ النَّارِ فِـىْ صُلْبِ اَبِـىْ حَضْرَتْ اِبْرَاهِيْمَ عَلَيْهِ السَّلَامُ وَلَـمْ يَلْتَقِ اَبَوَاىَ قَطُّ عَلـٰى سِفَاحٍ لَـمْ يَزَلِ اللهُ يَنْقُلُنِـىْ مِنَ الْاَصْلَابِ الطَّيِّـبَـةِ اِلَـى الْاَرْحَامِ الطَّاهِرَةِ.

অর্থ: “হযরত ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তা’য়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে এ বলে সুওয়াল করলাম যে, (ইয়া রাসূলাল্লাহ, ইয়া হাবীবাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) আমার পিতা-মাতা আপনার জন্য ক্বুরবান হোন, (দয়া করে বলুন) আবুল বাশার সাইয়্যিদুনা হযরত আদম ছফিউল্লাহ আলাইহিস সালাম তিনি সম্মানিত জান্নাত মুবারক-এ থাকা অবস্থায় আপনি কোথায় সম্মানিত অবস্থান মুবারক করছিলেন? তখন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সম্মানিত মুচকি হাসি মুবারক দেন। এমনকি উনার সম্মানিত মাড়ির দাঁত মুবারক প্রকাশ পেয়ে গেলেন। সুবহানাল্লাহ! এরপর তিনি ইরশাদ মুবারক করলেন, নিশ্চয়ই আমি সাইয়্যিদুনা হযরত আবুল বাশার ছফিউল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার সম্মানিত ও পবিত্র পৃষ্ঠ মুবারক অর্থাৎ উনার নিকট ছিলাম এবং আমি উনার সম্মানিত ও পবিত্র পৃষ্ঠ মুবারক অর্থাৎ উনার নিকট সম্মানিত অবস্থান মুবারক করা অবস্থায়ই তিনি যমীনে অবতরণ মুবারক করেছিলেন। সুবহানাল্লাহ! আমি সাইয়্যিদুনা হযরত নূহ আলাইহিস সালাম উনার সম্মানিত ও পবিত্র পৃষ্ঠ মুবারক অর্থাৎ উনার নিকট সম্মানিত অবস্থান মুবারক করে কিস্তিতে আরোহণ মুবারক করেছি। সুবহানাল্লাহ! আমি সাইয়্যিদুনা হযরত ইবরাহীম খলীলুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার সম্মানিত ও পবিত্র পৃষ্ঠ মুবারক অর্থাৎ উনার নিকট সম্মানিত অবস্থান মুবারক করে অগ্নিকু-ে সম্মানিত অবস্থান মুবারক করেছি। সুবহানাল্লাহ! আমার মহাসম্মানিত হযরত আব্বা আলাইহিস সালাম তিনি এবং মহাসম্মানিতা হযরত আম্মা আলাইহাস সালাম তিনি অর্থাৎ উনারা তথা আমার মহাসম্মানিত পূর্বপুরুষ আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে কস্মিনকালেও কোনো প্রকার অপবিত্রতা স্পর্শ করেনি।” সুবহানাল্লাহ! আমি সবসময় পূত-পবিত্র মহাসম্মানিত পুরুষ আলাইহিমুস সালাম উনাদের সম্মানিত ও পবিত্র পৃষ্ঠ মুবারক অর্থাৎ উনাদের থেকে পূত-পবিত্রা মহাসম্মানিতা মহিলা আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের সম্মানিত ও পবিত্র রেহেম শরীফ-এ অর্থাৎ উনাদের নিকট স্থানান্তরিত হয়েছি। সুবহানাল্লাহ! (আদ দুররুল মানছূর ১১/৩১৭, বিদায়া-নিহায়া ২/৩১৮)

সম্মানিত ও পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে আরো ইরশাদ মুবারক হয়েছে,

عَنْ اُمِّ الْمُؤْمِنِيْنَ الثَّالِثَةِ الصِّدِّيْقَةِ سَيِّدَتِنَا حَضْرَتْ عَائِشَةَ عَلَيْهَا السَّلَامُ قَالَتْ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ لِـىْ حَضْرتْ جِبْرِيْلُ عَلَيْهِ السَّلامُ قَلَبْتُ الْاَرْضَ مَشَارِقَهَا وَمَغَارِبَهَا فَلَمْ اَجِدْ رَجُلًا اَفْضَلَ مِنْ سَيِّدِنَا مَوْلَانَا مُحَمَّدٍ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَقَلَبْتُ الْاَرْضَ مَشَارِقَهَا وَمَغَارِبَهَا فَلَمْ اَجِدْ بَـنِـىْ اَبٍ اَفْضَلَ مِنْ بَـنِـىْ هَاشِمٍ.

অর্থ: “উম্মুল মু’মিনীন আছ ছালিছাহ সাইয়্যিদাতুনা হযরত ছিদ্দীক্বাহ আলাইহাস সালাম উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, হযরত জিবরীল আলাইহিস সালাম তিনি আমার সম্মানিত খিদমত মুবারক-এ বলেছেন যে, আমি সারা পৃথিবীর পূর্ব-পশ্চিম সর্বত্র তন্ন তন্ন করে দেখেছি; কিন্তু নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার চেয়ে শ্রেষ্ঠতম কোন ব্যক্তিত্ব মুবারক খুঁজে পাইনি। আবার আমি পৃথিবীর পূর্ব-পশ্চিম সর্বত্র উলট-পালট করে দেখেছি; কিন্তু আমি সম্মানিত বনী হাশিম তথা সম্মানিত হাশিম গোত্র মুবারক থেকে অন্য কোন উত্তম গোত্রের সন্ধান পাইনি।” সুবহানাল্লাহ! (দালায়িলুন নুবুওওয়াহ লিলবাইহাক্বী ১/১৭৬, আল মু’জামুল আওসাত্ব লিত্ত্ববারনী ৬/২৩৭, আবূ নাঈম, আস সুন্নাহ লিইবনে আবী ‘আছিম ২/৬৩২, ফায়যুল ক্বাদীর ৪/৬৫৪, আল জামিউছ ছগীর ২/১৪২, আল ফাতহুল কাবীর ২/২৭৬, দায়লামী শরীফ ৩/১৮৭, জামিউল আহাদীছ ১৫/৯৮, আল হাওই শরীফ ২/২০১, আল বিদায়া ওয়ান নিহায়াহ ২/৩১৭, আল খাছায়িছুল কুবরা ১/৬৭ ইত্যাদি)
সম্মানিত ও পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে আরো ইরশাদ মুবারক হয়েছে,

عَنْ حَضْرَتْ اِبْنِ عَبَّاسٍ رَضِىَ اللهُ تَعَالـٰى عَنْهُمَا قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اِنَّ اللهَ قَسَّمَ الْـخَلْقَ قِسْمَيْنِ فَجَعَلَنِـىْ فِىْ خَيْرِهِـمَا قِسْمًا ثُـمَّ جَعَلَ الْقِسْمَيْنِ اَثْلَاثًا فَجَعَلَنِـىْ فِىْ خَيْرِهَا ثُلُثًا ثُـمَّ جَعَلَ الْاَثْلَاثَ قَبَائِلَ فَجَعَلَنِـىْ فِـىْ خَيْرِهَا قَبِيْلَةً ثُـمَّ جَعَلَ الْقَبَائِلَ بُيُوْتًا فَجَعَلَنِـىْ فِـىْ خَيْرِهَا بَيْتًا فَذٰلِكَ قَوْلُهٗ تَعَالـٰى اِنَّـمَا يُرِيْدُ اللهُ لِيُذْهِبَ عَنْكُمُ الرِّجْسَ اَهْلَ الْبَيْتِ وَيُـطَـهِّـرَكُمْ تَطْهِيْرًا فَاَنَا وَاَهْلُ بَيْـتِـىْ مُطَهَّرُوْنَ مِنَ الذُّنُوْبِ.

অর্থ: “হযরত ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক তিনি সমস্ত সৃষ্টিকে দু’ভাগে বিভক্ত করে আমাকে সর্বোত্তম ভাগে রেখেছেন। সুবহানাল্লাহ! অতঃপর উভয় ভাগকে তিন প্রকারে বিভক্ত করে আমাকে সর্বোত্তম প্রকারে রেখেছেন। সুবহানাল্লাহ! এরপর প্রত্যেক প্রকারকে গোত্রে গোত্রে বিভক্ত করে আমাকে সর্বোত্তম গোত্র মুবারক-এ রেখেছেন। সুবহানাল্লাহ! তারপর গোত্রকে আহাল বা পরিবার-এ বিভক্ত করে আমাকে সর্বোত্তম মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আহাল বা পরিবার মুবারক-এ রেখেছেন। সুবহানাল্লাহ! এ কারণেই মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেছেন, ‘হে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম! নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক তিনি চান আপনাদের থেকে সমস্ত প্রকার অপবিত্রতা দূর করে পবিত্র করার মতো পবিত্র করতে। অর্থাৎ তিনি আপনাদেরকে পবিত্র করার মতো পবিত্র করেই সৃষ্টি মুবারক করেছেন।’ সুবহানাল্লাহ! আর আমি এবং আমার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনারা অর্থাৎ আমরা সকলেই যুনূব তথা সমস্ত প্রকার ছগীরা-কবীরা এবং যাবতীয় অপছন্দনীয় কাজ থেকে পূত-পবিত্র।” সুবহানাল্লাহ! (দালায়িলুন নুবুওওয়াহ লিল বায়হাক্বী, আশ শিফা ১/৩২৫, সীরাতে হালবিয়্যাহ ১/৪২, আল মা’রিফাতু ওয়াত তারীখ ১/৪৯৮, খছাইছুল কুবরা ১/৬৬, সুবুলুল হুদা ওয়ার রশাদ ১/২৩৫ ইত্যাদি)

নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত বংশমর্যাদা মুবারক কতো মহিমান্বিত ও সুউচ্চ তা আর বলার অপেক্ষাই রাখেনা। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি মহাসম্মানিত বনী হাশিম গোত্র উনার সর্বাধিক মনোনীত ব্যক্তিত্বের অধিকারী ছিলেন। যা সম্মানিত কুরাইশ বংশ উনার মূলের সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন। উনার মহাসম্মানিত হযরত আব্বা আলাইহিস সালাম উনার এবং মহাসম্মানিতা হযরত আম্মা আলাইহাস সালাম উনার অর্থাৎ উনাদের উভয়ের দিক থেকে মহাসম্মানিত বংশ মর্যাদায় আভিজাত্যের অধিকারী ছিলেন। সুবহানাল্লাহ!

সম্মানিত ও পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে,

عَنْ حَضْرَتْ رَبِيْعَةَ رَضِىَ اللهُ تَعَالـٰى عَنْهُ بْنِ الْـحَارِثِ بْنِ عَبْدِ الْـمُطَّلِبِ عَلَيْهِمَا السَّلَامُ قَالَ بَلَغَ النَّبِـىَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اِنَّ قَوْمًا نَّالُوْا مِنْهُ فَغَضِبَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ثُـمَّ قَالَ اَيُّهَا النَّاسُ اِنَّ اللهَ خَلَقَ خَلْقَهٗ فَجَعَلَهُمْ فَرِيْقَيْنِ فَجَعَلَنِـىْ فِـىْ خَيْرِ الْفَرِيْقَيْنِ ثُـمَّ جَعَلَهُمْ قَبَائِلَ فَجَعَلَنِـىْ فِـىْ خَيْرِهِمْ قَبِيْلًا ثُـمَّ جَعَلَهُمْ بُيُوْتًا فَجَعَلَنِـىْ فِـىْ خَيْرِهِمْ بَيْتًا ثُـمَّ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اَنَا خَيْرُكُمْ قَبِيْلًا وَّخَيْرُكُمْ بَيْتًا.

অর্থ: “হযরত রবী‘য়াহ রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু ইবনে হারিছ ইবনে আব্দুল মুত্তালিব আলাইহিমাস সালাম উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নিকট সংবাদ পৌঁছলো যে, একটি ক্বওম উনার সম্মানিত শান মুবারক উনার খিলাফ কথা বলেছে। নাঊযুবিল্লাহ! এ কারণে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি অত্যন্ত অসন্তুষ্টি মুবারক প্রকাশ করেন। অতঃপর নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, হে মানুষেরা, জিন-ইনসান, কায়িনাতবাসী! তোমরা জেনে রাখ; নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক তিনি উনার কায়িনাতকে সৃষ্টি করে দুই ভাগে বিভক্ত করে আমাকে সর্বোত্তম ভাগে রেখেছেন। সুবহানাল্লাহ! তারপর মহান আল্লাহ পাক তিনি উনাদেরকে সম্প্রদায়ে সম্প্রদায়ে বিভক্ত করে আমাকে সর্বোত্তম সম্প্রদায়ে রেখেছেন। সুবহানাল্লাহ! এরপর উনাদেরকে আহাল বা পরিবারে বিভক্ত করে আমাকে সর্বোত্তম মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আহাল বা পরিবার মুবারক-এ রেখেছেন। সুবহানাল্লাহ! অতঃপর নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, আমি তোমাদের মধ্যে সম্মানিত সম্প্রদায় মুবারক উনার দিক থেকে এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আহাল বা পরিবারগত দিক থেকে অর্থাৎ সামগ্রিকভাবে, সর্বদিক থেকে সর্বশ্রেষ্ঠ এবং সর্বোত্তম।” সুবহানাল্লাহ! (দুররে মানছূর ৭/৬০৬, দালাইলুন নুবুওওয়াহ ১/১৬৮)

সম্মানিত ও পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে আরো ইরশাদ মুবারক হয়েছে,

عَنْ حَضْرَتْ اَلْعَبَّاسِ عَلَيْهِ السَّلَامُ قَالَ قَالَ النَّبِـىُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اِنَّ اللهَ خَلَقَ الْـخَلْقَ فَجَعَلِنِـىْ مِنْ خَيْرِهِمْ وَمِنْ خَيْرِ قَرْنِـهِمْ ثُـمَّ تَـخَيَّرَ الْقَبَائِلَ فَجَعَلَنِـىْ مِنْ خَيْرِ قَبِيْلَةٍ ثُـمَّ تَـخَيَّرَ الْبُيُوْتَ فَجَعَلَنِـىْ مِنْ خَيْرِ بُيُوْتِـهِمْ. فَاَنَا خَيْرُهُمْ نَفْسًا وَّخَيْرُهُمْ بَيْتًا.

অর্থ: “খতিমুল মুহাজিরীন, ‘আম্মু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদুনা হযরত আব্বাস আলাইহিস সালাম উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক তিনি সমস্ত মাখলূকাত সৃষ্টি করে আমাকে সর্বোত্তম সৃষ্টির মধ্যে ও সর্বোত্তম যুগে রাখেন। তারপর মহান আল্লাহ পাক তিনি গোত্রসমূহকে মনোনীত করে আমাকে সর্বোত্তম গোত্র মুবারক-এ রাখেন। অতঃপর মহান আল্লাহ পাক তিনি আহাল বা পরিবারসমূহকে মনোনীত করে আমাকে সর্বোত্তম মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আহাল বা পরিবার মুবারক-এ রাখেন। অতএব, আমি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ওজূদ মুবারকগত দিক থেকে এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আহাল বা পরিবারগত দিক থেকে অর্থাৎ সামগ্রিকভাবে, সর্বদিক থেকে সর্বশ্রেষ্ঠ এবং সর্বোত্তম।” সুবহানাল্লাহ! (আশ শিফা শরীফ ১/৭১)

সম্মানিত ও পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে আরো ইরশাদ মুবারক হয়েছে,

عَنْ حَضْرَتْ اَلْعَبَّاسِ عَلَيْهِ السَّلَامُ اَنَّهٗ جَاءَ اِلَـى النَّبِـىِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَكَاَنَّهٗ سَـمِعَ شَيْئًا فَقَامَ النَّبِـىُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَى الْمِنْۢبَرِ فَقَالَ مَنْ اَنَا فَقَالُوْا اَنْتَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ اَنَا مُحَمَّدُ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بْنُ عَبْدِ اللهِ بْنِ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ عَلَيْهِمَا السَّلَامُ اِنَّ اللهَ خَلَقَ الْـخَلْقَ فَجَعَلَنِـىْ فِـىْ خَيْرِهِمْ ثُـمَّ جَعَلَهُمْ فِرْقَتَيْنِ فَجَعَلَنِـىْ فِـىْ خَيْرِ فِرْقَةً ثُـمَّ جَعَلَهُمْ قَبَائِلَ فَجَعَلَنِـىْ فِـىْ خَيْرِهِمْ قَبِيْلَةً ثُـمَّ جَعَلَهٗ بُيُوْتًا فَجَعَلَنِـىْ فِـىْ خَيْرِهِمْ بَيْتًا فَاَنَا خَيْرُهُمْ نَفْسًا وَّخَيْرُهُمْ بَيْتًا.

অর্থ: “খতিমুল মুহাজিরীন, ‘আম্মু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদুনা হযরত আব্বাস আলাইহিস সালাম উনার থেকে বর্ণিত। একবার তিনি কাফেরদের মুখে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিরুদ্ধে তিরস্কারমূলক কিছু কথা শুনতে পেলেন। এতে তিনি ক্ষুদ্ধ হয়ে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নিকট ছুটে এসে সে বিষয়টা বললেন। তখন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সম্মানিত ও পবিত্র মিম্বার শরীফ-এ দাঁড়িয়ে ইরশাদ মুবারক করলেন, আমি কে? হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহুম উনারা বললেন, ‘আপনি মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম।’ তিনি ইরশাদ মুবারক করলেন, ‘আমি মুহম্মদ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইবনে আব্দুল্লাহ ইবনে আব্দুল মুত্ত্বালিব আলাইহিমাস সালাম।’ সুবহানাল্লাহ! নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক তিনি সমস্ত মাখলূকাত সৃষ্টি করে আমাকে সর্বোত্তম সৃষ্টির মধ্যে রাখেন। তারপর মহান আল্লাহ পাক তিনি উক্ত সৃষ্টিকে দুই ভাগে বিভক্ত করে আমাকে সর্বোত্তম ভাগে রাখেন। অতঃপর মহান আল্লাহ পাক তিনি উক্ত ভাগ উনাকে গোত্রসমূহে বিভক্ত করে আমাকে সর্বোত্তম গোত্র মুবারক-এ রাখেন। অতঃপর মহান আল্লাহ পাক তিনি উক্ত গোত্র মুবারক উনাকে আহাল বা পরিবার মুবারক-এ বিভক্ত করে আমাকে সর্বোত্তম মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আহাল বা পরিবার মুবারক-এ রাখেন। অতএব, আমি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ওজূদ মুবারকগত দিক থেকে এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আহাল বা পরিবারগত দিক অর্থাৎ সামগ্রিকভাবে, সর্বদিক থেকে সর্বশ্রেষ্ঠ এবং সর্বোত্তম।” সুবহানাল্লাহ! (তিরমিযী শরীফ, মেশকাত শরীফ)

সম্মানিত ও পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে আরো ইরশাদ মুবারক হয়েছে,

عَنْ حَضْرَتْ وَاثِلَةَ بْنِ الْاَسْقَعِ رَضِىَ اللهُ تَعَالـٰى عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اِنَّ اللهَ اصْطَفٰى مِنْ وَّلَدِ حَضْرَتْ اِبْرَاهِيْمَ عَلَيْهِ السَّلَامُ حَضْرَتْ اِسْـمَاعِيْلَ عَلَيْهِ السَّلَامُ وَاصْطَفٰى مِنْ وَّلَدِ حَضْرَتْ اِسْـمَاعِيْلَ عَلَيْهِ السَّلَامُ بَنِـىْ كِنَانَةَ وَاصْطَفٰى مِنْۢ بَنِـىْ كِنَانَةَ قُرَيْشًا وَّاصْطَفٰى مِنْ قُرَيْشٍ بَنِـىْ هَاشِمٍ وَاصْطَفَانِـىْ مِنْۢ بَنِـىْ هَاشِمٍ

অর্থঃ “হযরত ওয়াসিলা বিন আসকা’ রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক তিনি সাইয়্যিদুনা হযরত ইবরাহীম খলীলুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার সম্মানিত আওলাদ আলাইহিমাস সালাম উনাদের মধ্য থেকে সাইয়্যিদুনা হযরত ইসমাঈল যাবীহুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনাকে মনোনীত করেছেন। সাইয়্যিদুনা হযরত ইসমাঈল যাবীহুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার সম্মানিত বংশধর উনাদের থেকে বনূ কেনানা উনাকে মনোনীত করেছেন। আর সম্মানিত বনূ কেনানা উনার থেকে সম্মানিত ক্বুরাইশ গোত্র উনাকে মনোনীত করেছেন। আর সম্মানিত ক্বুরাইশ গোত্র উনার থেকে সম্মানিত বনূ হাশিম উনাকে মনোনীত করেছেন। আর সম্মানিত বনূ হাশিম উনার থেকে আমাকে আখাছ্ছুল খাছভাবে মনোনীত করেছেন।” সুবহানাল্লাহ! (তিরমিযী শরীফ ৬/৫, মুসনাদে আবী শায়বা ৭/১২২, তাফসীরে ইবনে কাসীর ১/১৯১ আশ শিফা শরীফ ১/৭১)

সম্মানিত ও পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে আরো ইরশাদ মুবারক হয়েছে,

عَنْ حَضْرَتْ اِبْنِ عُمَرَ رَضِىَ اللهُ تَعَالـٰى عَنْهُمَا قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اِنَّ اللهَ عَزَّ وَجَلَّ اخْتَارَ خَلْقَهٗ فَاخْتَارَ مِنْهُمْ بَنِـىْ اٰدَمَ ثُـمَّ اخْتَارَ بَنِـىْ اٰدَمَ فاخْتَارَ مِنْهُمُ الْعَرَبَ ثُـمَّ اخْتَارَ الْعَرَبَ فَاخْتَارَ مِنْهُمْ قُرَيْشًا ثُـمَّ اخْتَارَ قُرَيْشًا فَاخْتَارَ مِنْهُمْ بَنِـىْ هَاشِمٍ ثُـمَّ اخْتَارَ بَنِـىْ هَاشِمٍ فَاخْتَارَنِـىْ مِنْهُمْ فَلَمْ اَزَلْ خِيَارًا مِّنْ خِيَارٍ

অর্থ: “হযরত ইবনে উমর রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহুমা উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন যে, নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক তিনি উনার মাখলূকাতকে মনোনীত করেছেন। তারপর মাখলূকাতের মধ্য থেকে বনী আদম উনাদেরকে (মানুষকে) মনোনীত করে উনাদেরকে প্রাধান্য দিয়েছেন। এরপর বনী আদম উনাদের মধ্য থেকে আরব উনাদেরকে মনোনীত করে উনাদেরকে প্রাধান্য দিয়েছেন। অতঃপর আরব উনাদের মধ্য থেকে সম্মানিত কুরাইশ গোত্র উনাকে মনোনীত করে উনাকে প্রাধান্য দিয়েছেন। তারপর কুরাইশদের মধ্য থেকে সম্মানিত বনূ হাশিম উনাকে মনোনীত করে উনাকে প্রাধান্য দিয়ে সম্মানিত বনূ হাশিম থেকে আমাকে আখাছ্ছুল খাছভাবে মনোনীত করেছেন। (সুবহানাল্লাহ!) কাজেই আমি সবসময় সর্বশ্রেষ্ঠ ও সর্বোত্তম শাখায় সম্মানিত অবস্থান মুবারক করেছি।” সুবহানাল্লাহ! (আল মাওয়াহিবুল লাদুননিয়্যাহ বিল মিনাহিল মুহম্মদিয়্যাহ শরীফ ১/৫৮, শারহুয যারক্বানী ‘আলাল মাওয়াহিব ১/১৩৩, আশ শিফা শরীফ ১/৭১)

সম্মানিত ও পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে আরো ইরশাদ মুবারক হয়েছে,

عَنْ حَضْرَتْ اِبْنِ عَبَّاسٍ رَضِىَ اللهُ تَعَالـٰى عَنْهُمَا اَنَّ النَّبِـىَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَتْ رُوْحُهٗ نُوْرًا بَيْنَ يَدَىِ اللهِ تَعَالـٰى قَبْلَ اَنْ يَّـخْلُقَ حَضْرَتْ اٰدَمَ عَلَيْهِ السَّلَامُ بِاَلْفَىْ عَامٍ يُسَبِّحُ ذٰلِكَ النُّوْرُ وَتُسَبِّحُ الْمَلَائِكَةُ بِتَسْبِيْحِهٖ فَلَمَّا خَلَقَ اللهُ حَضْرَتْ اٰدَمَ عَلَيْهِ السَّلَامُ اَلْقٰى ذٰلِكَ النُّوْرَ فِـىْ صُلْبِهٖ فَقَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَاَهْبَطَنِـىَ اللهُ اِلَـى الْاَرْضِ فِـىْ صُلْبِ حَضْرَتْ اٰدَمَ عَلَيْهِ السَّلَامُ وَجَعَلَنِـىْ فِـىْ صُلْبِ حَضْرَتْ نُوْحٍ عَلَيْهِ السَّلَامُ وَقَذَفَ بِـىْ فِـىْ صُلْبِ حَضْرَتْ اِبْرَاهِيْمَ عَلَيْهِ السَّلَامُ ثُـمَّ لَـمْ يَزَلِ اللهُ تَعَالـٰى يَنْقُلُنِـىْ مِنَ الْاَصْلَابِ الْكَرِيْـمَةِ وَالْاَرْحَامِ الطَّاهِرَةِ حَتّٰى اَخْرَجَنِـىْ مِنْ اَبَوَىَّ لَـمْ يَلْتَقِيَا عَلـٰى سِفَاحٍ قَطُّ

অর্থঃ “হযরত ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। নিশ্চয়ই নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত রূহ মুবারক আবুল বাশার সাইয়্যিদুনা হযরত আদম ছফিউল্লাহ আলাইহিস সালাম উনাকে সৃষ্টি করার দুই হাজার বছর পূর্বে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূর মুবারক হিসেবে মহান আল্লাহ পাক উনার সম্মুখে ছিলেন। সেই মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূর মুবারক মহান আল্লাহ পাক উনার সম্মানিত তাসবীহ মুবারক পাঠ করতেন এবং উনাকে অনুসরণ মুবারক করে সমস্ত হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনারা তাসবীহ পাঠ করতেন। সুবহানল্লাহ! অতঃপর যখন মহান আল্লাহ পাক তিনি আবুল বাশার সাইয়্যিদুনা হযরত আদম ছফিউল্লাহ আলাইহিস সালাম উনাকে সৃষ্টি মুবারক করেন, তখন সেই মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূর মুবারক সাইয়্যিদুনা হযরত আবুল বাশার ছফিউল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার সম্মানিত ও পবিত্র পৃষ্ঠ মুবারক-এ অর্থাৎ উনার নিকট রাখেন।
 তারপর নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, অতঃপর মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাকে সাইয়্যিদুনা হযরত আবুল বাশার ছফিউল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার মধ্যস্থতা মুবারক-এ যমীনে নিয়ে আসেন এবং আমাকে সাইয়্যিদুনা হযরত নূহ আলাইহিস সালাম উনার ও সাইয়্যিদুনা হযরত ইবরাহীম খলীলুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার অর্থাৎ উনাদের সম্মানিত ও পবিত্র পৃষ্ঠ মুবারক-এ অর্থাৎ উনাদের নিকট রাখেন। তারপর মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাকে সবসময় সর্বোত্তম সম্মানিত ও পবিত্র পৃষ্ঠ মুবারক অর্থাৎ মহাসম্মানিত ব্যক্তিত্ব মুবারক উনার থেকে সর্বশ্রেষ্ঠ সম্মানিত ও পবিত্র রেহেম শরীফ অর্থাৎ মহাসম্মানিতা ব্যক্তিত্বা মুবারক উনার নিকট স্থানান্তরিত করেন। এমনকি মহান আল্লাহ পাক তিনি আমার মহাসম্মানিত হযরত আব্বা আলাইহিস সালাম উনার এবং মহাসম্মানিতা হযরত আম্মা আলাইহাস সালাম উনার অর্থাৎ উনাদের মধ্যস্ততা মুবারক-এ আমাকে দুনিয়ার যমীনে প্রকাশ করেন, অর্থাৎ আমার মহাসম্মানিত বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করেন। সুবহানাল্লাহ! উনাদেরকে কস্মিনকালেও কোনো প্রকার অপবিত্রতা স্পর্শ করেনি।” সুবহানাল্লাহ! (খসায়িসুল কুবরা ১/৬৬ আশ শিফা শরীফ ১/৭১, দুররে মানছূর ৭/৬০৬, আশ শরী‘য়াতুল আজরী ৩/৫৫, যীলু তারীখি বাগদাদ ২/৯২)

সম্মানিত ও পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে আরো ইরশাদ মুবারক হয়েছেন,

اَخْرَجَ حَضْرَتْ عَبْدُ الرَّزَّاقِ رَحْمَةُ اللهِ عَلَيْهِ عَنْ حَضْرَتْ مَعْمَرٍ رَحْمَةُ اللهِ عَلَيْهِ عَنْ حَضْرَتْ اِبْنِ الْـمُنْكَدِرِ عَنْ حَضْرَتْ جَابِرٍ رَضِىَ اللهُ تَعَالـٰى عَنْهُ قَالَ سَاَلْتُ رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنْ اَوَّلِ شَىْءٍ خَلَقَهُ اللهُ تَعَالـٰى فَقَالَ هُوَ نُوْرُ نَبِيِّكَ يَا حَضْرَتْ جَابِرُ رَضِىَ اللهُ تَعَالـٰى عَنْهُ خَلَقَهُ اللهُ ثُـمَّ خَلَقَ فِيْهِ كُلَّ خَيْرٍ وَّخَلَقَ بَعْدَهٗ كُلَّ شَىْءٍ وَّحِيْنَ خَلَقَهٗ اَقَامَهٗ قُدَّامَهٗ مِنْ مَّقَامِ الْقُرْبِ اثْنَـىْ عَشَرَ اَلْفَ سَنَةٍ ثُـمَّ جَعَلَهٗ اَرْبَعَةَ اَقْسَامٍ فَخَلَقَ الْعَرْشَ (مِنْ قِسْمٍ) وَّالْكُرْسِىَّ مِنْ قِسْمٍ وَّحَمَلَةَ الْعَرْشِ وَخَزَنَةَ الْكُرْسِىِّ مِنْ قِسْمٍ وَّاَقَامَ الْقِسْمَ الرَّابِعَ فِـىْ مَقَامِ الْـحُبِّ اثْنَـىْ عَشَرَ اَلْفَ سَنَةٍ ثُـمَّ جَعَلَهٗ اَرْبَعَةَ اَقْسَامٍ فَخَلَقَ الْقَلَمَ مِنْ قِسْمٍ وَّاللَّوْحَ مِنْ قِسْمٍ وَّالْـجَنَّةَ مِنْ قِسْمٍ ثُـمَّ اَقَامَ الْقِسْمَ الرَّابِعَ فِـىْ مَقَامِ الْـخَوْفِ اثْنَـىْ عَشَرَ اَلْفَ سَنَةٍ ثُـمَّ جَعَلَهٗ اَرْبَعَةَ اَجْزَاءٍ فَخَلَقَ الْـمَلَائِكَةَ مِنْ جُزْءٍ وَّالشَّمْسَ مِنْ جُزْءٍ وَّالْقَمَرَ وَالْكَوَاكِبَ مِنْ جُزْءٍ وَّاَقَامَ الْـجُزْءَ الرَّابِعَ فِـىْ مَقَامِ الرَّجَاءِ اثْنَـىْ عَشَرَ اَلْفَ سَنَةٍ ثُـمَّ جَعَلَهٗ اَرْبَعَةَ اَجْزَاءٍ فَخَلَقَ الْعَقْلَ مِنْ جُزْءٍ وَّالْعِلْمَ (مِنْ جُزْءٍ) وَّالْـحِكْمَةَ وَالْعِصْمَةَ وَالتَّوْفِيْقَ مِنْ جُزْءٍ وَّاَقَامَ الْـجُزْءَ الرَّابِعَ فِـىْ مَقَامِ الْـحَيَاءِ اثْنَـىْ عَشَرَ اَلْفَ سَنَةٍ ثُـمَّ نَظَرَ اللهُ عَزَّ وَجَلَّ اِلَيْهِ فَتَرَشَّحَ النُّوْرُ عَرَقًا فَقَطَرَ مِنْهُ مِائَةُ اَلْفٍ وَّاَرْبَعَةٌ (وَّعِشْرُوْنَ اَلْفًا وَّاَرْبَعَةُ اٰلَافٍ) قَطْرَةً مِّنْ نُّوْرٍ فَخَلَقَ اللهُ مِنْ كُلِّ قَطْرَةٍ رُوْحَ نَبِـىٍّ عَلَيْهِ السَّلَامُ اَوْ رُوْحَ رَسُوْلٍ عَلَيْهِ السَّلَامُ ثُـمَّ تَنَفَّسَتْ اَرْوَاحُ الْاَنْۢبِيَاءِ فَخَلَقَ اللهُ مِنْ اَنْفَاسِهِمُ الْاَوْلِيَاءَ وَالسُّعَدَاءَ وَالشُّهَدَاءَ وَالْـمُطِيْعِيْنَ اِلـٰى يَوْمِ الْقِيَامَةِ فَالْعَرْشُ وَالْكُرِسِىُّ مِنْ نُّوْرِىْ وَالْكَرُوْبِيُّوْنَ مِنْ نُّوْرِىْ وَالرُّوْحَانِيُّوْنَ وَالْـمَلَائِكَةُ مِنْ نُّوْرِىْ وَالْـجَنَّةُ وَمَا فِيْهَا مِنَ النَّعِيْمِ مِنْ نُّوْرِىْ وَمَلَائِكَةُ السَّمٰوَاتِ السَّبْعِ مِنْ نُّوْرِىْ وَالشَّمْسُ وَالْقَمَرُ وَالْكَوَاكِبُ مِنْ نُّوْرِىْ وَالْعَقْلُ وَالتَّوْفِيْقُ مِنْ نُّوْرِىْ وَاَرْوَاحُ الرُّسُلِ وَالْاَنْۢبِيَاءِ مِنْ نُّوْرِىْ وَالشُّهَدَاءُ وَالسُّعَدَاءُ وَالصَّالِـحُوْنَ مِنْ نِّـتَاجِ نُوْرِىْ ثُـمَّ خَلَقَ اللهُ اثْنَىْ عَشَرَ اَلْفَ حِجَابٍ فَاَقَامَ اللهُ نُوْرِىْ وَهُوَ الْـجُزْءُ الرَّابِعُ فِـىْ كُلِّ حِجَابٍ اَلْفَ سَنَةٍ وَّهِىَ مَقَامَاتُ الْعُبُوْدِيَّةِ وَالسَّكِيْنَةِ وَالصَّبْرِ وَالصِّدْقِ وَالْيَقِيْنِ فَغَمَسَ اللهُ ذٰلِكَ النُّوْرَ فِـىْ كُلِّ حِجَابٍ اَلْفَ سَنَةٍ فَلَمَّا اَخْرَجَ اللهُ النُّوْرَ مِنَ الْـحُجُبِ رَكَّبَهُ اللهُ فِـى الْاَرْضِ فَكَانَ يُضِىْءُ مِنْهَا مَا بَيْنَ الْـمَشْرِقِ وَالْـمَغْرِبِ كَالسِّرَاجِ فِـى اللَّيْلِ الْـمُظْلِمِ ثُـمَّ خَلَقَ اللهُ حَضْرَتْ اٰدَمَ عَلَيْهِ السَّلَامُ مِنَ الْاَرْضِ فَرَكَّبَ فِيْهِ النُّوْرَ فِـىْ جَبِيْنِهٖ ثُـمَّ انْتَقَلَ مِنْهُ اِلـٰى حَضْرَتْ شِيْثٍ عَلَيْهِ السَّلَامُ وَكَانَ يَنْتَقِلُ مِنْ طَاهِرٍ اِلـٰى طَيِّبٍ وَمِنْ طَيِّبٍ اِلـٰى طَاهِرٍ اِلـٰى اَنْ اَوْصَلَهُ اللهُ صُلْبَ حَضْرَتْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عَبْدِ الْـمُطَّلِبِ عَلَيْهِمَا السَّلَامُ وَمِنْهُ اِلـٰى رِحْمِ اُمِّـىْ حَضْرَتْ اٰمِنَةَ بِنْتِ وَهْبٍ عَلَيْهَا السَّلَامُ ثُـمَّ اَخْرَجَنِـىْ اِلَـى الدُّنْيَا فَجَعَلَنِـىْ سَيِّدَ الْـمُرْسَلِيْنَ وَخَاتَـمَ الـنَّبِـيِّـيـْنَ وَرَحْمَةً لِّـلْـعَـالَـمِـيـْنَ وَقَائِدَ الْغُرِّ الْـمُحَجَّلِيْنَ وَهٰكَذَا كَانَ بَدْءُ خَلْقِ نَـبِيِّكَ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَا حَضْرَتْ جَابِرُ رَضِىَ اللهُ تَعَالـٰى عَنْهُ.
অর্থ: “হযরত আব্দুর রায্যাক্ব রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি হযরত মা’মার রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার থেকে, তিনি মুহম্মদ ইবনে মুনকাদির রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার থেকে, তিনি হযরত জাবির ইবনে আব্দুল্লাহ আনছারী রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণনা করেন। হযরত জাবির ইবনে আব্দুল্লাহ আনছারী রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু তিনি বলেন, আমি সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ¦াতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে মহান আল্লাহ পাক তিনি সর্বপ্রথম কোন জিনিস সৃষ্টি মুবারক করেছেন, সেই বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলাম। তখন নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, হে হযরত জাবির রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু! খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি সর্বপ্রথম আপনার যিনি মহাসম্মানিত নবী ও রসূল, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূর মুবারক সৃষ্টি মুবারক করেছেন। সুবহানাল্লাহ! অতঃপর উনার মধ্যে সমস্ত কল্যাণ ও ভালাই মুবারক সৃষ্টি করেছেন। উনার পরেই মহান আল্লাহ পাক তিনি সমস্ত কিছু সৃষ্টি করেছেন, সমস্ত মাখলূক্বাত সৃষ্টি করেছেন। সুবহানাল্লাহ! যখন মহান আল্লাহ পাক তিনি উনার হাবীব, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূর মুবারক সৃষ্টি মুবারক করেন, তখন তিনি সেই মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূর মুবারক উনাকে মহান আল্লাহ পাক উনার সম্মুখে মাক্বামে কুরব মুবারক তথা নৈকট্য মুবারক উনার মাক্বাম মুবারক-এ ১২ হাজার বছর সম্মানিত অবস্থান মুবারক করান। সুবহানাল্লাহ! তারপর উক্ত মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূর মুবারক উনাকে চার ভাগে ভাগ করেন। অতঃপর একভাগ দিয়ে ‘সম্মানিত আরশ মুবারক, অপরভাগ দিয়ে সম্মানিত কুর্সী মুবারক এবং আরেকভাগ দিয়ে সম্মানিত আরশ মুবারক বহনকারী এবং সম্মানিত কুর্সী মুবারক উনার রক্ষণাবেক্ষণকারী হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে সৃষ্টি মুবারক করেন। সুবহানাল্লাহ! তারপর মহান আল্লাহ পাক তিনি সম্মানিত চতুর্থভাগ নূর মুবারক উনাকে মাক্বামে হুব্ব তথা সম্মানিত মুহব্বত মুবারক উনার মাক্বাম মুবারক-এ ১২ হাজার বছর সম্মানিত অবস্থান মুবারক করান। সুবহানাল্লাহ!
 তারপর উক্ত সম্মানিত চতুর্থ ভাগ নূর মুবারক উনাকে চারভাগে ভাগ করেন। অতঃপর একভাগ দিয়ে সম্মানিত ক্বলম মুবারক, অপরভাগ দিয়ে সম্মানিত লাওহ মুবারক এবং তৃতীয়ভাগ দিয়ে সম্মানিত জান্নাত মুবারক সৃষ্টি করেন। সুবহানাল্লাহ! তারপর মহান আল্লাহ পাক তিনি সম্মানিত চতুর্থ ভাগ নূর মুবারক উনাকে সম্মানিত মাক্বামে খওফ মুবারক উনার মধ্যে ১২ হাজার বছর সম্মানিত অবস্থান মুবারক করান। সুবহানাল্লাহ! অতঃপর উনাকে চারভাগে ভাগ করে এক ভাগ দিয়ে সম্মানিত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে, অপরভাগ দিয়ে সূর্য এবং তৃতীয়ভাগ দিয়ে চাঁদ ওতারকারাজী সৃষ্টি করেন। সুবহানাল্লাহ! তারপর মহান আল্লাহ পাক তিনি আবার সম্মানিত চতুর্থভাগ নূর মুবারক উনাকে সম্মানিত মাক্বামে রযা’ তথা প্রত্যাশা উনার মাক্বাম মুবারক-এ ১২ হাজার বছর সম্মানিত অবস্থান মুবারক করান। সুবহানাল্লাহ! অতঃপর উক্ত সম্মানিত নূর মুবারক উনাকে চারভাগে ভাগ করে একভাগ দিয়ে সম্মানিত আক্বল মুবারক, অপরভাগ দিয়ে সম্মানিত ইলম মুবারক এবং আরেকভাগ দিয়ে সম্মানিত হিকমত মুবারক, সম্মানিত পবিত্রতা মুবারক ও সম্মানিত তাওফীক্ব মুবারক সৃষ্টি করেন। সুবহানাল্লাহ! তারপর সম্মানিত চতুর্থভাগ নূর মুবারক উনাকে সম্মানিত মাক্বামে হায়া তথা সম্মানিত লজ্জাশীলতা উনার মাক্বাম মুবারক-এ ১২ হাজার বছর সম্মানিত অবস্থান মুবারক করান। সুবহানাল্লাহ! অতঃপর মহান আল্লাহ পাক তিনি উক্ত সম্মানিত নূর মুবারক উনার প্রতি সম্মানিত বিশেষ দৃষ্টি মুবারক হাদিয়া মুবারক করেন। সুবহানাল্লাহ!
 মহান আল্লাহ পাক উনার সম্মানিত বিশেষ দৃষ্টি মুবারক উনার কারণে উক্ত সম্মানিত নূর মুবারক থেকে ফোঁটা ফোঁটা করে সম্মানিত নূর মুবারক বের হতে লাগলেন। সুবহানাল্লাহ! এভাবে উক্ত সম্মানিত নূর মুবারক উনার থেকে এক লক্ষ চব্বিশ হাজার সম্মানিত নূর মুবারক উনার ফোঁটা বা বিন্দু মুবারক বের হলেন। সুবহানাল্লাহ! অতঃপর মহান আল্লাহ পাক তিনি উক্ত প্রত্যেক সম্মানিত নূর মুবারক উনার ফোঁটা থেকে হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের সম্মানিত রূহ মুবারক সৃষ্টি করেন। সুবহানাল্লাহ! অতঃপর হযরত আম্বিয়া আলাইহিমুস সালাম উনাদের সম্মানিত রূহ মুবারক শ্বাস মুবারক গ্রহণ করেন। তারপর মহান আল্লাহ পাক তিনি হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের শ্বাস মুবারক থেকে ক্বিয়ামত পর্যন্ত যত হযরত আউলিয়া-ই কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিম, সৌভাগ্যশীল, শহীদ এবং আনুগত্যশীল ব্যক্তিত্ব মুবারক আসবেন উনাদের প্রত্যেকের সম্মানিত রূহ মুবারক সৃষ্টি করেন। সুবহানাল্লাহ! সুতরাং সম্মানিত আরশ মুবারক এবং সম্মানিত কুরসী মুবারক আমার সম্মানিত নূর মুবারক থেকে সৃষ্টি। সুবহানাল্লাহ! নৈকট্যপ্রাপ্ত হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনারা আমার সম্মানিত নূর মুবারক থেকে সৃষ্টি। সুবহানাল্লাহ! পবিত্র আত্মার অধিকারী তথা সম্মানিত রহমত মুবারক উনার সম্মানিত হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনারা এবং অন্যান্য হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনারা সকলে আমার সম্মানিত নূর মুবারক থেকে সৃষ্টি। সুবহানাল্লাহ! সম্মানিত জান্নাত মুবারক এবং উনার মধ্যে অবস্থিত সমস্ত সম্মানিত নিয়ামত মুবারক আমার সম্মানিত নূর মুবারক থেকে সৃষ্টি। সুবহানাল্লাহ! সাত আসমানের সমস্ত হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনার সম্মানিত নূর মুবারক থেকে সৃষ্টি।
 সূর্য-চর্ন্দ্র ও তারকারাজি আমার সম্মানিত নূর মুবারক থেকে সৃষ্টি। সুবহানাল্লাহ! সম্মানিত আক্বল বা বিবেক মুবারক এবং তাওফীক্ব বা সামর্থ্য মুবারক আমার সম্মানিত নূর মুবারক থেকে সৃষ্টি। সুবহানাল্লাহ! হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের সম্মানিত রূহ মুবারক আমার সম্মানিত নূর মুবারক থেকে সৃষ্টি। সুবহানাল্লাহ! এবং সকল শহীদ, সৌভাগ্যশীল ও ছালিহীন তথা হযরত আউলিয়ায়ে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনারা আমার সম্মানিত নূর মুবারক উনারই ফসল মুবারক তথা উনারাও আমার সম্মানিত নূর মুবারক থেকে সৃষ্টি। সুবহানাল্লাহ! তারপর মহান আল্লাহ পাক তিনি ১২ হাজার সম্মানিত হিজাব মুবারক সৃষ্টি করেন। অতঃপর মহান আল্লাহ পাক তিনি আমার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূর মুবারক উনাকে- হিজাবে আযমত উনার চতুর্থ হিজাব মুবারক-এ কায়িম করেন, অতঃপর মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূর মুবারক উনাকে প্রত্যেক হিজাব মুবারক উনার মধ্যে ১ হাজার বছর করে সম্মানিত অবস্থান মুবারক করান। সুবহানাল্লহ! আর তা হচ্ছে, সম্মানিত উবূদিয়্যাহ (বন্দেগী মুবারক), সাকীনা (প্রশান্তি মুবারক), ছবর (ধৈর্য্য মুবারক), ছিদক্ব (সততা মুবারক) এবং ইয়াক্বীন (দৃঢ় বিশ্বাস মুবারক) উনাদের মাক্বাম মুবারক। সুবহানাল্লাহ! অতঃপর মহান আল্লাহ পাক তিনি সেই মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূর মুবারক উনাকে প্রত্যেক হিজাব তথা পর্দা মুবারক উনাদের মধ্যে এক হাজার বছর করে নিমজ্জিত মুবারক করে রাখলেন। সুবহানাল্লাহ! তারপর মহান আল্লাহ পাক তিনি যখন সম্মানিত হিজাব তথা পর্দা মুবারক উনার ভিতর থেকে সেই মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূর মুবারক উনাকে বের করে পৃথিবীতে আরোহণ মুবারক করালেন, তখন উক্ত মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূর মুবারক উনার আলো মুবারক-এ পৃথিবীর পূর্ব-পশ্চিম এবং উভয়ের মাঝে যা কিছু রয়েছে সমস্ত কিছু আলোকিত হয়ে গেলো যেমন অন্ধকার রাতে বাতি (তার চারপাশের সমস্ত কিছুকে) আলোকিত করে থাকে। সুবহানাল্লহ! তারপর মহান আল্লাহ পাক তিনি মাটি থেকে আবুল বাশার সাইয়্যিদুনা হযরত আদম ছফিউল্লাহ আলাইহিস সালাম উনাকে সৃষ্টি করেন।
 অতঃপর মহান আল্লাহ পাক তিনি সাইয়্যিদুনা হযরত আবুল বাশার ছফিউল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার সম্মানিত কপাল মুবারক উনার মাঝে (আমার) সেই মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূর মুবারক (মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরে হাবীবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) উনাকে রাখলেন। সুবহানাল্লাহ! তারপর (আমার) সেই মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূর মুবারক (মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরে হাবীবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সাইয়্যিদুনা হযরত আবুল বাশার ছফিউল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার থেকে হযরত শীস আলাইহিস সালাম উনার মাঝে স্থানান্তরিত হলেন। সুবহানাল্লাহ! আর এই সম্মানিত স্থানান্তর মুবারক পূত-পবিত্র ও সর্বশ্রেষ্ঠ মহাসম্মানিত ব্যক্তিত্ব মুবারক উনার থেকে সর্বোত্তম ও সর্বশ্রেষ্ঠ মহাসম্মানিত ব্যক্তিত্ব মুবারক উনার মাঝে, সর্বোত্তম ও সর্বশ্রেষ্ঠ মহাসম্মানিত ব্যক্তিত্ব মুবারক উনার থেকে পূত-পবিত্র ও সর্বশ্রেষ্ঠ মহাসম্মানিত ব্যক্তিত্ব মুবারক উনার মাঝে চলতে থাকেন। সুবহানাল্লাহ! এভাবে মহান আল্লাহ পাক তিনি এই মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূর মুবারক আমার মহাসম্মানিত আব্বাজান সাইয়্যিদুনা হযরত খাজা আব্দুল্লাহ ইবনে আব্দুল মুত্ত্বালিব আলাইহিমাস সালাম উনার মাঝে পৌঁছিয়ে দেন এবং উনার থেকে আমার মহাসম্মানিতা আম্মাজান সাইয়্যিদাতুনা হযরত আমিনা বিনতে ওয়াহাব আলাইহিমাস সালাম উনার সম্মানিত খিদমত মুবারক-এ (সম্মানিত ও পবিত্র রেহেম শরীফ-এ) স্থানান্তরিত করেন। সুবহানাল্লাহ!
 তারপর মহান আল্লাহ পাক তিনি আমার মহাসম্মানিতা হযরত আম্মাজান আলাইহাস সালাম উনার মধ্যস্থতা মুবারক-এ আমাকে দুনিয়ার যমীনে প্রকাশ করেন তথা আমার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করেন। সুবহানাল্লাহ! অতঃপর মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাকে ভূষিত করেন সাইয়্যিদুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়্যীন, রহমতুল্লিল আলামীন সম্মানিত লক্বব মুবারক-এ এবং অতি উজ্জ্বল ব্যক্তিত্ব মুবারক তথা সমস্ত মাহবূব ব্যক্তিত্ব মুবারক উনাদের ক্বায়িদ হিসেবে। সুবহানাল্লাহ! এই হচ্ছে আপনার মহাসম্মানিত নবী ও রসূল, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ¦াতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত সৃষ্টি মুবারক উনার সূচনা বা উৎস মুবারক- হে হযরত জাবির রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু! সুবহানাল্লাহ! (মুছান্নাফে আব্দুর রাজ্জাক্ব: হাদীছ শরীফ নং ১৮, আল জুযউল মাফক্বূদ মিনাল জুযয়িল আউওয়াল মিনাল মুছান্নিফ লিহাফিযিল কাবীর আবী বকর আব্দুর রাজ্জাক্ব আছ ছন‘আনী ৬৩ পৃ. হাদীছ শরীফ নং ১৮)

নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত বরকতময় পবিত্র নসবনামাহ মুবারক সম্পর্কে ইলম অর্জন করা বা জানা সমস্ত উম্মত উনাদের জন্য ফরযে আইন
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সম্মানিত ও পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন,

اَيُّهَا النَّاسُ مَنْ اَنَا قَالُوْا اَنْتَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ اَنْسِبُوْنِـىْ قَالُوْا سَيِّدُنَا مَوْلَانَا مُحَمَّدُ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بْنُ عَبْدِ اللهِ بْنِ عَبْدِ الْـمُطَّلِبِ عَلَيْهِمَا السَّلَامُ.

অর্থ: “হে লোক সকল! আমি কে? সবাই বললেন, আপনি মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করলেন, আপনারা আমাকে মহাসম্মানিত বরকতময় পবিত্র নসবনামাহ মুবারক উনার সাথে সম্পৃক্ত করুন। তখন হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহুম উনারা বললেন, সাইয়্যিদুনা মুহম্মদ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইবনে আব্দুল্লাহ আলাইহিস সালাম ইবনে আব্দুল মুত্ত্বালিব আলাইহিস সালাম।” সুবহানাল্লাহ! (যাখায়েরুল ‘উক্ববা, শরফুল মুস্ত¡ফা, কাশফুল আসতার ইত্যাদি)

অপর বর্ণনায় এসেছে,

 عَنْ حَضْرَتْ عُمَرَ بْنِ عَبْدِ الْعَزِيْزِ رَحْمَةُ اللهِ عَلَيْهِ وَحَضْرَتْ اِسْـمَاعِيْلَ بْنِ رَافِعٍ رَحْمَةُ اللهِ عَلَيْهِ قَالَا قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اَنْسِبُوْنِـىْ ثُـمَّ قَالَ اَنَا مُحَمَّدُ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بْنُ عَبْدِ اللهِ بْنِ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ بْنِ هَاشِمِ بْنِ عَبْدِ مَنَافِ بْنِ قُصَىِّ بْنِ كِلَابِ بْنِ مُرَّةَ بْنِ كَعْبِ بْنِ لُؤَىِّ بْنِ غَالِبِ بْنِ فِهْرِ بْنِ مَالِكِ بْنِ النَّضْرِ بْنِ كِنَانَةَ بْنِ خُزَيـْمَةَ بْنِ مُدْرِكَةَ بْنِ اِلْيَاسَ بْنِ مُضَرَ بْنِ نِزَارِ بْنِ مَعَدِّ بْنِ عَدْنَانَ عَلَيْهِمُ السَّلَامُ.

অর্থ: “হযরত উমর ইবনে আব্দুল আযীয রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার এবং হযরত ইসমাঈল ইবনে রাফি’ রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার অর্থাৎ উনাদের থেকে বর্ণিত। উনারা বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, আপনারা আমাকে মহাসম্মানিত বরকতময় পবিত্র নসবনামাহ মুবারক উনার সাথে সম্পৃক্ত করুন। অতঃপর নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি (নিজেই) ইরশাদ মুবারক করেন, আমি হচ্ছি মুহম্মদ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইবনে আব্দুল্লাহ ইবনে আব্দুল মুত্ত্বালিব ইবনে হাশিম ইবনে আবদে মানাফ ইবনে কুছাই ইবনে কিলাব ইবনে র্মুরাহ ইবনে কা’ব ইবনে লুয়াই ইবনে গালিব ইবনে ফিহ্র ইবনে মালিক ইবনে নদ্বর ইবনে কিনানাহ্ ইবনে খুযাইমাহ্ ইবনে মুদ্রিকাহ্ ইবনে ইলইয়াস ইবনে মুদ্বর ইবনে নিযার ইবনে মা‘আদ্দ ইবনে ‘আদনান আলাইহিমুস সালাম।” সুবহানাল্লাহ! (তারিখে দিমাশক্ব)
এই সম্মানিত ও পবিত্র হাদীছ শরীফ উনাদের মধ্যে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেছেন,

اَنْسِبُوْنِـىْ

অর্থ: “আপনারা আমাকে মহাসম্মানিত বরকতময় পবিত্র নসবমাহ মুবারক উনার সাথে সম্পৃক্ত করুন।” সুবহানাল্লাহ!
তারপর তিনি নিজেই উনার মহাসম্মানিত বরকতময় পবিত্র নসবনামাহ মুবারক বর্ণনা মুবারক করেছেন। সুবহানাল্লাহ! তাই নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত বরকতময় পবিত্র নসবনামাহ মুবারক সম্পর্কে ইলম অর্জন করা বা জানা উম্মতের জন্য ফরযে আইন। সুবহানাল্লাহ!

নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত বরকতময় পবিত্র নসবনামাহ মুবারক-
মহাসম্মানিতা হযরত আম্মাজান আলাইহাস সালাম উনার দিক থেকে

اُمُّ رَسُوْلِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ سَيّـِدَتُنَا حَضْرَتْ اٰمِنَةُ عَلَيْهَا السَّلَامُ بِنْتُ وَهْبِ بْنِ عَبْدِ مَنَافِ بْنِ زُهْرَةَ بْنِ كِلَابِ بْنِ مُرَّةَ عَلَيْهِمُ السَّلَامُ.
১. اُمُّ رَسُوْلِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ سَيّـِدَتُنَا حَضْرَتْ اٰمِنَةُ عَلَيْهَا السَّلَامُ 
উম্মু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদাতুনা হযরত আমিনা আলাইহাস সালাম।
২. وَهْبٌ عَلَيْهِ السَّلَامُ سَيّـِدُنَا حَضْرَتْ সাইয়্যিদুনা হযরত ওয়াহাব আলাইহিস সালাম।
৩. عَبْدُ مَنَافٍ عَلَيْهِ السَّلَامُ سَيّـِدُنَا حَضْرَتْ সাইয়্যিদুনা হযরত ‘আবদু মানাফ আলাইহিস সালাম।
৪. سَيّـِدُنَا حَضْرَتْ زُهْرَةُ عَلَيْهِ السَّلَامُ সাইয়্যিদুনা হযরত যুহ্রাহ আলাইহিস সালাম।
৫. كِلَابٌ عَلَيْهِ السَّلَامُ سَيّـِدُنَا حَضْرَتْ সাইয়্যিদুনা হযরত কিলাব আলাইহিস সালাম।
৬. مُرَّةُ عَلَيْهِ السَّلَامُ سَيّـِدُنَا حَضْرَتْ সাইয়্যিদুনা হযরত র্মুরাহ আলাইহিস সালাম।
উল্লেখ্য যে, সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার এবং আবূ রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদুনা হযরত যাবীহুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার এবং অর্থাৎ উনাদের উভয়ের মহাসম্মানিত বরকতময় পবিত্র নসবনামাহ মুবারক সাইয়্যিদুনা হযরত কিলাব আলাইহিস সালাম উনার নিকট গিয়ে একত্রিত হয়েছেন। সুবহানাল্লাহ! (ইবনে হিশাম, আর রওদ্বুল উন্ফ)


সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার এবং আবূ রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদুনা হযরত যাবীহুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার অর্থাৎ উনাদের উভয়ের মহাসম্মানিত বরকতময় পবিত্র নসবনামাহ মুবারক একত্রিত হওয়ার বিষয়টি এক নজরে ছক আকারে-

১. সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম
২. যাবীহুল্লাহিল মুকাররাম সাইয়্যিদুনা হযরত আব্দুল্লাহ আলাইহিস সালাম ২. উম্মু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদাতুনা হযরত আমিনাহ আলাইহাস সালাম
৩. সাইয়্যিদুনা হযরত আব্দুল মুত্তালিব আলাইহিস সালাম ৩. সাইয়্যিদুনা হযরত ওয়াহাব আলাইহিস সালাম
৪. সাইয়্যিদুনা হযরত হাশিম আলাইহিস সালাম ৪. সাইয়্যিদুনা হযরত আবদে মানাফ আলাইহিস সালাম
৫. সাইয়্যিদুনা হযরত আবদে মানাফ আলাইহিস সালাম ৫. সাইয়্যিদুনা হযরত যুহরা আলাইহিস সালাম
৬. সাইয়্যিদুনা হযরত কুসাই আলাইহিস সালাম

৭+৬. সাইয়্যিদুনা হযরত কিলাব আলাইহিস সালাম। সুবহানাল্লাহ!


নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত বরকতময় পবিত্র নসবনামাহ মুবারক-

মহাসম্মানিত হযরত আব্বাজান আলাইহিস সালাম উনার দিক থেকে-

سَيِّدُ الْـمُرْسَلِيْنَ اِمَامُ الْـمُرْسَلِيْنَ خَاتَـمُ النَّـبِـيِّـيْنَ النُّوْرُ الْـمُجَسَّمُ حَبِيْبُ اللهِ سَيِّدُنَـا مَوْلَانَا مُحَمَّدٌ رَّسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ابْنُ ذَبِيْحِ اللهِ الْـمُكَرَّمِ سَيِّـدِنَـا حَضْرَتْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ بْنِ هَاشِمِ بْنِ عَبْدِ مَنَافِ بْنِ قُصَىِّ بْنِ كِلَابِ بْنِ مُرَّةَ بْنِ كَعْبِ بْنِ لُؤَىِّ بْنِ غَالِبِ بْنِ فِهْرِ بْنِ مَالِكِ بْنِ النَّضْرِ بْنِ كِنَانَةَ بْنِ خُزَيـْمَةَ بْنِ مُدْرِكَةَ بْنِ اِلْيَاسَ بْنِ مُضَرَ بْنِ نِزَارِ بْنِ مَعَدِّ بْنِ عَدْنَانَ بْنِ مَيْدَعِ بْنِ مَنِيْعِ بْنِ اُدِّ بْنِ اُدَدَ بْنِ كَعْبِ بْنِ يَشْجُبَ بْنِ يَعْرُبَ بْنِ الْيَسَعِ بْنِ الْـهَمَيْسَعِ بْنِ شَاجِبِ بْنِ سَلَامَانَ بْنِ عَوْصِ بْنِ بُوْزِ بِنْ شُوْحَا بْنِ قَمْوَالِ بْنِ كَسْدَانَا بْنِ اُبَـىِّ بْنِ الْعَوَّامِ بْنِ نَاشِدِ بْنِ حَزَّا بْنِ بِلْدَاسَ بْنِ يَدْلَافِ بْنِ طَابِخِ بْنِ جَاحِمِ بْنِ تَاحِشِ بْنِ مَاخِىِ بْنِ عَيْـفَى بْنِ عَبْقَرِ بْنِ عُبَيْدِ بْنِ الدَّعَّا بْنِ حَمْدَانَ بْنِ سَنْۢـبَرِ بْنِ يَـثْرِبـِــىِّ بْنِ يَـحْزَنَ بْنِ يَلْحُنَ بْنِ اَرْعَوِىِّ بْنِ عَيْفَى بْنِ دَيْشَانَ بْنِ عَيْصَرِ بْنِ اَقْنَادِ بْنِ اِيْهَامَ بْنِ مُقَصَّرِ بْنِ نَاحِثِ بْنِ زَارِحِ بْنِ شُـمِّـىِّ بْنِ مَزَى بْنِ عَوْصِ بْن عَرَّامِ بْن نَبْتِ بْنِ حَمْلِ بْنِ قَيْذَرِ بْنِ الْمُقَوِّمِ بْنِ نَاحُوْرَ بْنِ تَارَحَ بْنِ يَعْرُبَ بْنِ يَشْجُبَ بْنِ نَابِتِ بْنِ اِسْـمَاعِيْلَ بْنِ اِبْرَاهِيْمَ بْنِ تَارَحَ بْنِ نَاحُوْرَ بْنِ سَارُوْغِ بْنِ اَرْغُوَا بْنِ سَارِحِ بْنِ فَالِحِ بْنِ قَيْنَانَ بْنِ عَابِرِ بْنِ شَالَـخِ بْنِ اَرْفَخْشَذَ بْنِ سَامِ بْنِ نُوْحِ بْنِ لَمْكِ بْنِ مَتُّوْشَلَخَ بْنِ اَخْنُوْخَ وَهُوَ اِدْرِيْسُ النَّبِىُّ بْنِ يَرْدَ بْنِ مَهْلَائِيْلَ بْنِ قَيْنَانَ بْنِ اَنُوْشِ بْنِ شِيْثِ بْنِ اٰدَمَ عَلَيْهِمُ السَّلَامُ.

১. سَيِّدُ الْـمُرْسَلِيْنَ اِمَامُ الْـمُرْسَلِيْنَ خَاتَـمُ النَّبِيِّيْنَ اَلنُّوْرُ الْـمُجَسَّمُ حَبِيْبُ اللهِ سَيّـِدُنَا مَوْلَانَا مُحَمَّدٌ رَّسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ সাইয়্যিদুনা মাওলানা মুহম্মদুর রসূলুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম।
২. ذَبِيْحُ اللهِ الْـمُكَرَّمُ سَيِّـدُنَـا حَضْرَتْ عَبْدُ اللهِ عَلَيْهِ السَّلَامُ যাবীহুল্লাহিল মুর্কারম সাইয়্যিদুনা হযরত আব্দুল্লাহ আলাইহিস সালাম।
৩. عَبْدُ الْمُطَّلِبِ عَلَيْهِ السَّلَامُ سَيِّـدُنَـا حَضْرَتْ সাইয়্যিদুনা হযরত আব্দুল মুত্তালিব আলাইহিস সালাম।
৪. هَاشِمٌ عَلَيْهِ السَّلَامُ سَيِّـدُنَـا حَضْرَتْ সাইয়্যিদুনা হযরত হাশিম আলাইহিস সালাম।
৫. سَيِّـدُنَـا حَضْرَتْ عَبْدُ مَنَافٍ عَلَيْهِ السَّلَامُ সাইয়্যিদুনা হযরত ‘আবদু মানাফ আলাইহিস সালাম।
৬. قُصَىٌّ عَلَيْهِ السَّلَامُ سَيِّـدُنَـا حَضْرَتْ সাইয়্যিদুনা হযরত কুছাই আলাইহিস সালাম।
৭. كِلَابٌ عَلَيْهِ السَّلَامُ سَيِّـدُنَـا حَضْرَتْ সাইয়্যিদুনা হযরত কিলাব আলাইহিস সালাম।
৮. مُرَّةُ عَلَيْهِ السَّلَامُ سَيِّـدُنَـا حَضْرَتْ সাইয়্যিদুনা হযরত র্মুরাহ আলাইহিস সালাম।
৯. كَعْبٌ عَلَيْهِ السَّلَامُ سَيِّـدُنَـا حَضْرَتْ সাইয়্যিদুনা হযরত কা’ব আলাইহিস সালাম।
১০. لُؤَىٌّ عَلَيْهِ السَّلَامُ سَيِّـدُنَـا حَضْرَتْ সাইয়্যিদুনা হযরত লুআই আলাইহিস সালাম।
১১. غَالِبٌ عَلَيْهِ السَّلَامُ سَيِّـدُنَـا حَضْرَتْ সাইয়্যিদুনা হযরত গ¦ালিব আলাইহিস সালাম।
১২. فِهْرٌ عَلَيْهِ السَّلَامُ سَيِّـدُنَـا حَضْرَتْ সাইয়্যিদুনা হযরত ফিহ্র আলাইহিস সালাম।
১৩. مَالِكٌ عَلَيْهِ السَّلَامُ سَيِّـدُنَـا حَضْرَتْ সাইয়্যিদুনা হযরত মালিক আলাইহিস সালাম।
১৪. اَلنَّضْرُ عَلَيْهِ السَّلَامُ سَيِّـدُنَـا حَضْرَتْ সাইয়্যিদুনা হযরত নদ্বর আলাইহিস সালাম।
১৫. كِنَانَةُ عَلَيْهِ السَّلَامُ سَيِّـدُنَـا حَضْرَتْ সাইয়্যিদুনা হযরত কিনানাহ্ আলাইহিস সালাম।
১৬. عَلَيْهِ السَّلَامُ سَيِّـدُنَـا حَضْرَتْ خُزَيـْمَةُ সাইয়্যিদুনা হযরত খুযাইমাহ্ আলাইহিস সালাম।
১৭. مُدْرِكَةُ عَلَيْهِ السَّلَامُ سَيِّـدُنَـا حَضْرَتْ সাইয়্যিদুনা হযরত মুদ্রিকাহ আলাইহিস সালাম।
১৮. سَيِّـدُنَـا حَضْرَتْ اِلْيَاسُ عَلَيْهِ السَّلَامُ সাইয়্যিদুনা হযরত ইলইয়াস আলাইহিস সালাম।
১৯. سَيِّـدُنَـا حَضْرَتْ مُضَرُ عَلَيْهِ السَّلَامُ সাইয়্যিদুনা হযরত মুদ্বর আলাইহিস সালাম।
২০. نِزَارٌ عَلَيْهِ السَّلَامُ سَيِّـدُنَـا حَضْرَتْ সাইয়্যিদুনা হযরত নিযার আলাইহিস সালাম।
২১. مَعَدٌّ عَلَيْهِ السَّلَامُ سَيِّـدُنَـا حَضْرَتْ সাইয়্যিদুনা হযরত মা‘আদ্দ আলাইহিস সালাম।
২২. عَدْنَانُ عَلَيْهِ السَّلَامُ سَيِّـدُنَـا حَضْرَتْ সাইয়্যিদুনা হযরত ‘আদ্নান আলাইহিস সালাম।
২৩. سَيِّـدُنَـا حَضْرَتْ مَيْدَعٌ عَلَيْهِ السَّلَامُ সাইয়্যিদুনা হযরত মাইদা’ আলাইহিস সালাম।
২৪. سَيِّـدُنَـا حَضْرَتْ مَنِيْعٌ عَلَيْهِ السَّلَامُ সাইয়্যিদুনা হযরত মানী’ আলাইহিস সালাম।
২৫. سَيِّـدُنَـا حَضْرَتْ اُدٌّ عَلَيْهِ السَّلَامُ সাইয়্যিদুনা হযরত উদ্দ আলাইহিস সালাম।
২৬. سَيِّـدُنَـا حَضْرَتْ اُدَدُ عَلَيْهِ السَّلَامُ সাইয়্যিদুনা হযরত উদাদ আলাইহিস সালাম।
২৭. سَيِّـدُنَـا حَضْرَتْ كَعْبٌ عَلَيْهِ السَّلَامُ সাইয়্যিদুনা হযরত কা’ব আলাইহিস সালাম।
২৮. سَيِّـدُنَـا حَضْرَتْ يَشْجُبُ عَلَيْهِ السَّلَامُ সাইয়্যিদুনা হযরত ইয়াশজুব আলাইহিস সালাম।
২৯. سَيِّـدُنَـا حَضْرَتْ يَعْرُبُ عَلَيْهِ السَّلَامُ সাইয়্যিদুনা হযরত ইয়া’রুব আলাইহিস সালাম।
৩০. سَيِّـدُنَـا حَضْرَتْ اَلْيَسَعُ عَلَيْهِ السَّلَامُ সাইয়্যিদুনা হযরত আল ইয়াসা’ আলাইহিস সালাম।
৩১. سَيِّـدُنَـا حَضْرَتْ اَلْـهَمَيْسَعُ عَلَيْهِ السَّلَامُ সাইয়্যিদুনা হযরত হামাইসা’ আলাইহিস সালাম।
৩২. سَيِّـدُنَـا حَضْرَتْ شَاجِبٌ عَلَيْهِ السَّلَامُ সাইয়্যিদুনা হযরত শাজিব আলাইহিস সালাম।
৩৩. سَيِّـدُنَـا حَضْرَتْ سَلَامَانُ عَلَيْهِ السَّلَامُ সাইয়্যিদুনা হযরত সালামান আলাইহিস সালাম।
৩৪. سَيِّـدُنَـا حَضْرَتْ عَوْصٌ عَلَيْهِ السَّلَامُ সাইয়্যিদুনা হযরত ‘আওছ্ আলাইহিস সালাম।
৩৫. سَيِّـدُنَـا حَضْرَتْ بُوْزٌ عَلَيْهِ السَّلَامُ সাইয়্যিদুনা হযরত বূয আলাইহিস সালাম।
৩৬. سَيِّـدُنَـا حَضْرَتْ شُوْحَا عَلَيْهِ السَّلَامُ সাইয়্যিদুনা হযরত শূহা আলাইহিস সালাম।
৩৭. سَيِّـدُنَـا حَضْرَتْ قَمْوَالٌ عَلَيْهِ السَّلَامُ সাইয়্যিদুনা হযরত ক্বমওয়াল আলাইহিস সালাম।
৩৮. سَيِّـدُنَـا حَضْرَتْ كَسْدَانَا عَلَيْهِ السَّلَامُ সাইয়্যিদুনা হযরত কাসদানা আলাইহিস সালাম।
৩৯. سَيِّـدُنَـا حَضْرَتْ اُبَـىٌّ عَلَيْهِ السَّلَامُ সাইয়্যিদুনা হযরত উবাই আলাইহিস সালাম।
৪০. سَيِّـدُنَـا حَضْرَتْ اَلْعَوَّامُ عَلَيْهِ السَّلَامُ সাইয়্যিদুনা হযরত আওওয়াম আলাইহিস সালাম।
৪১. سَيِّـدُنَـا حَضْرَتْ نَاشِدٌ عَلَيْهِ السَّلَامُ সাইয়্যিদুনা হযরত নাশিদ আলাইহিস সালাম।
৪২. سَيِّـدُنَـا حَضْرَتْ حَزَّا عَلَيْهِ السَّلَامُ সাইয়্যিদুনা হযরত হায্যা আলাইহিস সালাম।
৪৩. سَيِّـدُنَـا حَضْرَتْ بِلْدَاسُ عَلَيْهِ السَّلَامُ সাইয়্যিদুনা হযরত বিলদাস আলাইহিস সালাম।
৪৪. سَيِّـدُنَـا حَضْرَتْ يَدْلَافٌ عَلَيْهِ السَّلَامُ সাইয়্যিদুনা হযরত ইয়াদলাফ আলাইহিস সালাম।
৪৫. سَيِّـدُنَـا حَضْرَتْ طَابِــخٌ عَلَيْهِ السَّلَامُ সাইয়্যিদুনা হযরত ত্বাবিখ আলাইহিস সালাম।
৪৬. سَيِّـدُنَـا حَضْرَتْ جَاحِمٌ عَلَيْهِ السَّلَامُ সাইয়্যিদুনা হযরত জাহিম আলাইহিস সালাম।
৪৭. سَيِّـدُنَـا حَضْرَتْ تَاحِشٌ عَلَيْهِ السَّلَامُ সাইয়্যিদুনা হযরত তাহিশ আলাইহিস সালাম।
৪৮. سَيِّـدُنَـا حَضْرَتْ مَاخِىْ عَلَيْهِ السَّلَامُ সাইয়্যিদুনা হযরত মাখী আলাইহিস সালাম।
৪৯. سَيِّـدُنَـا حَضْرَتْ عَيْـفٰى عَلَيْهِ السَّلَامُ সাইয়্যিদুনা হযরত ‘আইফা আলাইহিস সালাম।
৫০. سَيِّـدُنَـا حَضْرَتْ عَبْقَرٌ عَلَيْهِ السَّلَامُ সাইয়্যিদুনা হযরত ‘আব্ক্বর আলাইহিস সালাম।
৫১. سَيِّـدُنَـا حَضْرَتْ عُبَيْدٌ عَلَيْهِ السَّلَامُ সাইয়্যিদুনা হযরত ‘উবাইদ আলাইহিস সালাম।
৫২. سَيِّـدُنَـا حَضْرَتْ اَلدَّعَّا عَلَيْهِ السَّلَامُ সাইয়্যিদুনা হযরত আদ দা‘আ আলাইহিস সালাম।
৫৩. سَيِّـدُنَـا حَضْرَتْ حَمْدَانُ عَلَيْهِ السَّلَامُ সাইয়্যিদুনা হযরত হামদান আলাইহিস সালাম।
৫৪. سَيِّـدُنَـا حَضْرَتْ سَنْۢـبَـرٌ عَلَيْهِ السَّلَامُ সাইয়্যিদুনা হযরত সাম্বার আলাইহিস সালাম।
৫৫. سَيِّـدُنَـا حَضْرَتْ يَثْرِبـِـىٌّ عَلَيْهِ السَّلَامُ সাইয়্যিদুনা হযরত ইয়াছরিবী আলাইহিস সালাম।
৫৬. سَيِّـدُنَـا حَضْرَتْ يَـحْزَنُ عَلَيْهِ السَّلَامُ সাইয়্যিদুনা হযরত ইয়াহ্যান আলাইহিস সালাম।
৫৭. سَيِّـدُنَـا حَضْرَتْ يَلْحُنُ عَلَيْهِ السَّلَامُ সাইয়্যিদুনা হযরত ইয়ালহুন আলাইহিস সালাম।
৫৮. سَيِّـدُنَـا حَضْرَتْ اَرْعَوِىٌّ عَلَيْهِ السَّلَامُ সাইয়্যিদুনা হযরত আর‘আওয়ী আলাইহিস সালাম।
৫৯. سَيِّـدُنَـا حَضْرَتْ عَيْـفٰى عَلَيْهِ السَّلَامُ সাইয়্যিদুনা হযরত ‘আইফা আলাইহিস সালাম।
৬০. سَيِّـدُنَـا حَضْرَتْ دَيْشَانُ عَلَيْهِ السَّلَامُ সাইয়্যিদুনা হযরত দাইশান আলাইহিস সালাম।
৬১. سَيِّـدُنَـا حَضْرَتْ عَيْصَرٌ عَلَيْهِ السَّلَامُ সাইয়্যিদুনা হযরত ‘আইছর আলাইহিস সালাম।
৬২. سَيِّـدُنَـا حَضْرَتْ اَقْنَادٌ عَلَيْهِ السَّلَامُ সাইয়্যিদুনা হযরত আক্বনাদ আলাইহিস সালাম।
৬৩. سَيِّـدُنَـا حَضْرَتْ اِيْهَامُ عَلَيْهِ السَّلَامُ সাইয়্যিদুনা হযরত ঈহাম আলাইহিস সালাম।
৬৪. سَيِّـدُنَـا حَضْرَتْ مُقَصَّرٌ عَلَيْهِ السَّلَامُ সাইয়্যিদুনা হযরত মুক্বছ্ছর আলাইহিস সালাম।
৬৫. سَيِّـدُنَـا حَضْرَتْ نَاحِثٌ عَلَيْهِ السَّلَامُ সাইয়্যিদুনা হযরত নাহিছ আলাইহিস সালাম।
৬৬. سَيِّـدُنَـا حَضْرَتْ زَارِحٌ عَلَيْهِ السَّلَامُ সাইয়্যিদুনা হযরত যারিহ্ আলাইহিস সালাম।
৬৭. سَيِّـدُنَـا حَضْرَتْ شُـمِّـىٌّ عَلَيْهِ السَّلَامُ সাইয়্যিদুনা হযরত শুম্মী আলাইহিস সালাম।
৬৮. سَيِّـدُنَـا حَضْرَتْ مَزٰى عَلَيْهِ السَّلَامُ সাইয়্যিদুনা হযরত মাযা আলাইহিস সালাম।
৬৯. سَيِّـدُنَـا حَضْرَتْ عَوْصٌ عَلَيْهِ السَّلَامُ সাইয়্যিদুনা হযরত ‘আওছ আলাইহিস সালাম।
৭০. سَيِّـدُنَـا حَضْرَتْ عَرَّامٌ عَلَيْهِ السَّلَامُ সাইয়্যিদুনা হযরত ‘র্আরাম আলাইহিস সালাম।
৭১. سَيِّـدُنَـا حَضْرَتْ نَبْتٌ عَلَيْهِ السَّلَامُ সাইয়্যিদুনা হযরত নাব্ত আলাইহিস সালাম।
৭২. سَيِّـدُنَـا حَضْرَتْ حَـمْلٌ عَلَيْهِ السَّلَامُ সাইয়্যিদুনা হযরত হাম্ল আলাইহিস সালাম।
৭৩. سَيِّـدُنَـا حَضْرَتْ قَيْذَرٌ عَلَيْهِ السَّلَامُ সাইয়্যিদুনা হযরত ক্বইযার আলাইহিস সালাম।
৭৪. اَلْمُـقَـوِّمُ عَلَيْهِ السَّلَامُ سَيِّـدُنَـا حَضْرَتْ সাইয়্যিদুনা হযরত মুক্বওওইম আলাইহিস সালাম।
৭৫. نَاحُوْرُ عَلَيْهِ السَّلَامُ سَيِّـدُنَـا حَضْرَتْ সাইয়্যিদুনা হযরত নাহূর আলাইহিস সালাম।
৭৬. تَارَحُ عَلَيْهِ السَّلَامُ سَيِّـدُنَـا حَضْرَتْ সাইয়্যিদুনা হযরত তারাহ্ আলাইহিস সালাম।
৭৭. يَعْـرُبُ عَلَيْهِ السَّلَامُ سَيِّـدُنَـا حَضْرَتْ সাইয়্যিদুনা হযরত ইয়া’রুব আলাইহিস সালাম।
৭৮. يَشْجُبُ عَلَيْهِ السَّلَامُ سَيِّـدُنَـا حَضْرَتْ সাইয়্যিদুনা হযরত ইয়াশ্জুব আলাইহিস সালাম।
৭৯. نَابِتٌ عَلَيْهِ السَّلَامُ سَيِّـدُنَـا حَضْرَتْ সাইয়্যিদুনা হযরত নাবিত আলাইহিস সালাম।
৮০. اِسْـمَاعِيْلُ ذَبِيْحُ اللهِ عَلَيْهِ السَّلَامُ سَيِّـدُنَـا حَضْرَتْ সাইয়্যিদুনা হযরত ইসমাঈল যাবীহুল্লাহ আলাইহিস সালাম।
৮১. اِبْرَاهِيْمُ خَلِيْلُ اللهِ عَلَيْهِ السَّلَامُ سَيِّـدُنَـا حَضْرَتْ সাইয়্যিদুনা হযরত ইবরাহীম খলীলুল্লাহ আলাইহিস সালাম।
৮২. تَارَحُ عَلَيْهِ السَّلَامُ سَيِّـدُنَـا حَضْرَتْ সাইয়্যিদুনা হযরত তারাহ্ আলাইহিস সালাম। (সম্মানিত তাওরাত শরীফ উনার মধ্যে উনার সম্মানিত নাম মুবারক হচ্ছেন, সাইয়্যিদুনা হযরত তারিখ আলাইহিস সালাম।)
৮৩. نَاحُوْرُ عَلَيْهِ السَّلَامُ سَيِّـدُنَـا حَضْرَتْ সাইয়্যিদুনা হযরত নাহূর আলাইহিস সালাম।
৮৪. سَارُوْغٌ عَلَيْهِ السَّلَامُ سَيِّـدُنَـا حَضْرَتْ সাইয়্যিদুনা হযরত সারূগ আলাইহিস সালাম।
৮৫. اَرْغُوَا عَلَيْهِ السَّلَامُ سَيِّـدُنَـا حَضْرَتْ সাইয়্যিদুনা হযরত আরগুওয়া আলাইহিস সালাম।
৮৬. سَارِحٌ عَلَيْهِ السَّلَامُ سَيِّـدُنَـا حَضْرَتْ সাইয়্যিদুনা হযরত সারিহ্ আলাইহিস সালাম।
৮৭. فَالِحٌ عَلَيْهِ السَّلَامُ سَيِّـدُنَـا حَضْرَتْ সাইয়্যিদুনা হযরত ফালিহ্ আলাইহিস সালাম।
৮৮. قَيْنَانُ عَلَيْهِ السَّلَامُ سَيِّـدُنَـا حَضْرَتْ সাইয়্যিদুনা হযরত ক্বয়নান আলাইহিস সালাম।
৮৯. عَابِرٌ عَلَيْهِ السَّلَامُ سَيِّـدُنَـا حَضْرَتْ সাইয়্যিদুনা হযরত ‘আবির আলাইহিস সালাম।
৯০. شَالَـخٌ عَلَيْهِ السَّلَامُ سَيِّـدُنَـا حَضْرَتْ সাইয়্যিদুনা হযরত শালাখ আলাইহিস সালাম।
৯১. اَرْفَخْشَذُ عَلَيْهِ السَّلَامُ سَيِّـدُنَـا حَضْرَتْ সাইয়্যিদুনা হযরত আরফাখ্শায আলাইহিস সালাম।
৯২. سَامٌ عَلَيْهِ السَّلَامُ سَيِّـدُنَـا حَضْرَتْ সাইয়্যিদুনা হযরত সাম আলাইহিস সালাম।
৯৩. نُوْحٌ عَلَيْهِ السَّلَامُ سَيِّـدُنَـا حَضْرَتْ সাইয়্যিদুনা হযরত নূহ আলাইহিস সালাম।
৯৪. عَلَيْهِ السَّلَامُ لَمْكٌ سَيِّـدُنَـا حَضْرَتْ সাইয়্যিদুনা হযরত লাম্ক আলাইহিস সালাম।
৯৫. مَتُّوْشَلَخُ عَلَيْهِ السَّلَامُ سَيِّـدُنَـا حَضْرَتْ সাইয়্যিদুনা হযরত মাত্তূশালাখ আলাইহিস সালাম।
৯৬. سَيِّـدُنَـا حَضْرَتْ اَخْنُوْخُ وَهُوَ اِدْرِيْسُ النَّبِىُّ عَلَيْهِ السَّلَام সাইয়্যিদুনা হযরত আখনূখ আলাইহিস সালাম। আর তিনি হচ্ছেন সম্মানিত নবী সাইয়্যিদুনা হযরত ইদ্রীস আলাইহিস সালাম।
৯৭. يَرْدُ عَلَيْهِ السَّلَامُ سَيِّـدُنَـا حَضْرَتْ সাইয়্যিদুনা হযরত ইর্য়াদ আলাইহিস সালাম।
৯৮. مَهْلَائِيْلُ عَلَيْهِ السَّلَامُ سَيِّـدُنَـا حَضْرَتْ সাইয়্যিদুনা হযরত মাহ্লাঈল আলাইহিস সালাম।
৯৯. قَيْنَانُ عَلَيْهِ السَّلَامُ سَيِّـدُنَـا حَضْرَتْ সাইয়্যিদুনা হযরত ক্বয়নান আলাইহিস সালাম।
১০০. اَنُوْشٌ عَلَيْهِ السَّلَامُ سَيِّـدُنَـا حَضْرَتْ সাইয়্যিদুনা হযরত আনূশ আলাইহিস সালাম।
১০১. شِيْثٌ عَلَيْهِ السَّلَامُ سَيِّـدُنَـا حَضْرَتْ সাইয়্যিদুনা হযরত শীছ আলাইহিস সালাম।
১০২.  اَبُو الْبَشَرِ سَيِّـدُنَـا حَضْرَتْ اٰدَمُ صَفِىُّ اللهِ عَلَيْهِ السَّلَامُ আবুল বাশার সাইয়্যিদুনা হযরত আদম ছফিউল্লাহ আলাইহিস সালাম। সুবহানাল্লাহ!

 (দলীল: ইবনে হিশাম, আর রওদ্বুল উন্ফ, সুবুলুল হুদা ওয়ার রশাদ, দালাইলুন নুবুওওয়াহ লিলবাইহাক্বী, শুয়াবুল ঈমান, জামি‘উল আহাদীছ, তালক্বীহ, আস সুনানুল কুবরা, আল মাওয়াহিবুল লাদুননিয়্যাহ, শারহুয যারক্বনী আলাল মাওয়াহিব, সীরতুল হালবিয়্যাহ, বিদায়া-নিহায়াহ, তারীখে ত্ববারী, আত ত্ববাক্বতুল কুবরা লিইবনে সা’দ, তারীখে দিমাশক্ব, মরূজুয যাহাব, আত তারীখুল কাবীর লিল বুখারী ইত্যাদি)

{বিঃ দ্রঃ- আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মুজাদ্দিদে আ’যম মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ আলাইহিছ ছলাতু ওয়াস সালাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, অধিকাংশ ইমাম মুজতাহিদ রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনাদের অভিমত অনুযায়ী সাইয়্যিদুনা হযরত ‘আদনান আলাইহিস সালাম উনার পর্যন্ত মহাসম্মানিত বরকতময় পবিত্র নসবনামাহ মুবারক উনার ধারাবাহিকতা মোটামোটি ঠিক রয়েছেন। উনার থেকে আবুল বাশার সাইয়্যিদুনা হযরত আদম ছফিউল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার পর্যন্ত ধারাবাহিকভাবে সকলের সম্মানিত ও পবিত্র ইসম বা নাম মুবারক উল্লেখ নেই; বরং মাঝে মাঝে বিশেষ বিশেষ ব্যক্তিত্ব মুবারক উনাদের সম্মানিত ও পবিত্র ইসম বা নাম মুবারক উল্লেখ করা হয়েছে। আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মুজাদ্দিদে আ’যম মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ আলাইহিছ ছলাতু ওয়াস সালাম তিনি আরো ইরশাদ মুবারক করেন, কোন কোন ক্ষেত্রে ৫ জন, ১০ জন, ২০ জন, ৩০ জন উনাদের সম্মানিত ও পবিত্র ইসম বা নাম মুবারকও বাদ পড়েছেন। অর্থাৎ এই মহাসম্মানিত বরকতময় পবিত্র নসবনামাহ মুবারকখানা পূর্ণাঙ্গ নয়; বরং আংশিক।}

উপসংহার اَلْاِنْتِهَاءُ

যিনি খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন,

وَرَفَعْنَا لَكَ ذِكْرَكَ.

অর্থ: “আর (আমার হাবীব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) আমি আপনার সম্মানিত যিকির মুবারক, সম্মানিত আলোচনা মুবারক, শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত, বুযূর্গী-সম্মান মুবারক বুলন্দ থেকে বুলন্দতর করেছি।” সুবহানাল্লাহ! (সম্মানিত ও পবিত্র সূরা আলাম নাশ্রহ্ শরীফ : সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ ৪)

মহান আল্লাহ পাক তিনি উনার হাবীব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত, বুযূর্গী-সম্মান মুবারক এতটুকু বুলন্দ করেছেন যে, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি শুধু মহান আল্লাহ পাক তিনি নন; এছাড়া যত শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত, বুযূর্গী-সম্মান মুবারক রয়েছেন, সমস্ত শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত, বুযূর্গী-সম্মান মুবারক উনাদের অধিকারী হচ্ছেন তিনি। সুবহানাল্লাহ!
 ঠিক এই সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ উনার পরিপূর্ণ মিছদাক্ব হচ্ছেন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত পূর্বপুরুষ আলাইহিমুস সালাম উনারা এবং মহাসম্মানিতা পূর্বমহিলা আলাইহিন্নাস সালাম উনারা। সুবহানাল্লাহ!
 উনারা শুধু মহান আল্লাহ পাক তিনি নন এবং উনার হাবীব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি নন; এছাড়া যত শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত, বুযূর্গী-সম্মান মুবারক রয়েছেন, সমস্ত শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত, বুযূর্গী-সম্মান মুবারক উনাদের অধিকারী হচ্ছেন উনারা। সুবহানাল্লাহ! উনারা হচ্ছেন সম্মানিত ঈমান। সুবহানাল্লাহ!
 যারা উনাদের শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত, বুযূর্গী-সম্মান মুবারক উনাদের ব্যাপারে চূ-চেরা, ক্বীল-ক্বাল করবে, সম্মানিত শরীয়ত মুবারক উনার ফতওয়া অনুযায়ী তারা সবচেয়ে বড় কাট্টা কাফির, চিরজাহান্নামী, চিরমাল‘ঊন। তারা যদি মুসলমান বা ঈমানদার দাবি করে, তাহলে তাদের উপর মুরতাদের হুকুম বর্তাবে এবং মুরতাদের শাস্তিও বর্তাবে এবং তাদের প্রাপ্য হলো চির লা’নত ও চির জাহান্নাম। আর যদি কাফির হয়, তাহলে তারা তাদের কুফরীকে আরো বৃদ্ধি করলো। তাদেরও একমাত্র শাস্তি মৃত্যুদণ্ড। তাদেরও প্রাপ্য হলো চির লা’নত ও চির জাহান্নাম। তারা ইবলীসের ন্যায়; বরং ইবলীসের চেয়েও চরম মাল‘ঊন। তাদের প্রত্যেককেই লা’নাতুল্লাহি আলাইহি বলা ফরয, ফরয এবং ফরয।

মহান আল্লাহ পাক তিনি মুজাদ্দিদে আ’যম মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ আলাইহিছ ছলাতু ওয়াস সালাম উনার সম্মানার্থে আমাদের সবাইকে উনাদের প্রতি বিশুদ্ধ আক্বীদা ও হুসনে যন মুবারক পোষণ করার, উনাদেরকে যথাযথ তা’যীম-তাকরীম মুবারক করার, মুহব্বত মুবারক করার, উনাদের সম্মানিত খিদমত মুবারক উনার আনজাম মুবারক দেয়ার তাওফীক্ব দান করুন এবং উনাদের সম্মানার্থে হাক্বীক্বী রেযামন্দি-সন্তুষ্টি মুবারক ও ইহকাল-পরকালে হাক্বীক্বী কামিয়াবী দান করুন। আমীন!


কুল কায়িনাতের সর্বশ্রেষ্ঠ ইবাদাত অনন্তকালব্যাপী জারিকৃত 
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ
 উনার সুমহান সম্মানার্থে প্রকাশিত

بِسْمِ اللهِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِيْمِ.
وَتَقَلُّبَكَ فِـى السّٰجِدِيْنَ.
অর্থ: “(আমার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) আপনার স্থানান্তরিত হওয়ার বিষয়টিও ছিল মহাসম্মানিত সিজদাকারীগণ উনাদের মাধ্যমে।” সুবহানাল্লাহ! (সম্মানিত ও পবিত্র সূরা শুয়ারা শরীফ : সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ ২১৯)


اَلنَّسَبُ الشَّرِيْفُ الْـمُبَارَكُ الطَّاهِرْ 
لِلنُّوْرِ الْمُجَسَّمِ حَبِيْبِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ
 الْـحَاضِرِ النَّاظِرْ

গবেষণা কেন্দ্র: মুহম্মদিয়া জামিয়া শরীফ

প্রকাশনায় :
গবেষণা কেন্দ্র : মুহম্মদিয়া জামিয়া শরীফ
৫/১, আউটার সার্কুলার রোড, রাজারবাগ শরীফ, ঢাকা-১২১৭
ফোন (পিএবিএক্স) : ৯৩৩৮৭৮৭, ৮৩৩৩৯২৭ 
মোবাইল : ০১৭১১-২৬৪৬৯৪, ০১৭১১-২৩৮৪৪৭, ০১৭১২-৬৪৮৪৫৩
ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৯৩৩৮৭৮৮
ওয়েবসাইট : ঁংধিঃঁহ-যধংধহধয.হবঃ, ধষ-রযংধহ.হবঃ

প্রকাশকাল :
সম্মানিত ও পবিত্র জুমাদাল উখরা শরীফ ১৪৩৯ হিজরী সন
‘আশির            ১৩৮৫ শামসী সন

প্রাপ্তিস্থান : 
মুহম্মদিয়া জামিয়া শরীফ (বিক্রয় কেন্দ্র)
৫/১, আউটার সার্কুলার রোড, রাজারবাগ শরীফ, ঢাকা-১২১৭
ফোন (পিএবিএক্স) : ৪৮৩১৪৮৪৮ (বর্ধিত ১২৫)
মোবাইল : ০১৭১০-৩২০৪১২, ০১৭১৭-২২৬৬৬৪

কম্পিউটার অলঙ্করণ :
মুহম্মদিয়া জামিয়া শরীফ (কম্পিউটার বিভাগ)
৫/১, আউটার সার্কুলার রোড, রাজারবাগ শরীফ, ঢাকা-১২১৭
ফোন (পিএবিএক্স) : ৪৮৩১৪৮৪৮ (বর্ধিত ১২১)
মোবাইল : ০১৭১২-৮৫৫৩৪৫

মুদ্রণে :
মুহম্মদিয়া বুক বাইন্ডিং অ্যান্ড প্রিন্টিং প্রেস 
১৩/২, গোলাপবাগ, ঢাকা। ফোন : ৭৫৪৭৭৯৬
মোবাইল : ০১৭১১-১৭৮৬৮৪, ০১৮৩৪-৯৬২১৬৮


 হাদিয়া : ৫০ টাকা