হাবীবুল্লাহ হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে সর্বপ্রথম "নূর" হিসাবে সৃষ্টি করা হয়েছে।
Image result for আলোহাবীবুল্লাহ হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে সর্বপ্রথম "নূর" হিসাবে সৃষ্টি করা হয়েছে।

বর্তমান জামানা হচ্ছে ফিৎনার জামানা। আজ মুসলমান সমাজের বিভিন্ন বাতিল বাহাত্তর ফির্কার লোকে পরিপূর্ণ। এদের সাথে আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াতের মূল এবং প্রধান পার্থক্য হচ্ছে আক্বীদাগত পার্থক্য। বাতিল ফির্কার লোকেরা সাধারন মানুষদের বিভ্রাম্ত করতে সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে মাটির সৃষ্ট মানুষ বলে বিভিন্ন বই পুস্তকে, ওয়াজ মাহফিলে অপপ্রচার চালায়। নাউযুবিল্লাহ !!!
এই সকল বাতিল ফিরর্কার দাঁতভাঙ্গা জবাব দিতে এবং সুন্নী আক্বীদার সাধারণ সকল মানুষদের দলীলের প্রয়োজন মিটাতে এই নোটটা লিখা হচ্ছে। আশাকরি সবাই উপকৃত হবেন।
আলহামদুলিল্লাহ ! হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি "নূরে মুজাসসাম"। মহান আল্লাহ পাক সর্বপ্রথম উনাকে সবকিছু সৃষ্টির পূর্বে নূর হিসাবে সৃষ্টি করেছেন।
আমরা সহীহ হাদীস শরীফ থেকে প্রমান করে দেখাবো আল্লাহ পাক সর্বপ্রথম হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার "নূর" মুবারক সৃষ্টি করেছেন।
আমাদের প্রিয় নবীজী হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি নূর এ মুজাস্সাম। সর্ব প্রথম আল্লাহ পাক উনার নূর মুবারক সৃষ্টি করেন।

এ প্রসঙ্গে সহীহ হাদীস শরীফে বর্নিত আছে। হাদীস শরীফখানা বর্ননা করেন ইমাম বুখারী ও ইমাম মুসলিম রহমাতুল্লাহি আলাইহিম উনাদের উস্তাদের উস্তাদ। ইমাম আহমদ বিন হাম্মল রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার উস্তাদ,ইমামে আযম আবু হানীফা রহমাতুল্লাহি আলাইহি উনার ছাত্র, বিখ্যাত মুহাদ্দিস , তাবে তাবেয়ী, হাফিজে হাদীস, আল্লামা আব্দুর রাজ্জাক রহমাতুল্লাহি আলাইহি উনার বিখ্যাত হাদীস শরীফ গ্রন্থ "মুসনাদে আব্দুর রাজ্জাক" ১ম খন্ড ৯৯ পৃষ্ঠায় ১৮ নং হাদীস শরীফে।
ইমাম হযরত আব্দুর রাজ্জাক রহমাতুল্লাহি আলাইহি উক্ত হাদীস শরীফ বর্ননা করেন হযরত মা'মার বিন রশীদ রহমাতুল্লাহি আলাইহি থেকে, তিনি বর্ননা করেন মুহম্মদ বিন মুনকদার রহমাতুল্লাহি আলাইহি থেকে, তিনি বর্ণনা করেন বিখ্যাত ছাহাবী জাবির বিন আব্দুল্লাহ রদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে।
হাদীস শরীফ-
عن جابر رصي الله عنه قال قلت يا رسول صلي الله عليه و سلم بابي انت و امي اخبرني عن اول شييء خلق الله تعالي قبل الاشياء قال يا جابر ان الله تعالي قد خلق قبل الاشياء نور نبيك من نوره فجعل ذالك النور يدور بالقدرة حيث شاء الله تعالي ولم يكن في ذالك الوقت لوح ولا قلم ولا جتة ولا نار ولا ملك ولا سماء ولا ارض ولا شمس ولا قمر ولا جني ولا انسي ....الي اخر
অর্থ: হযরত জাবের রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্নিত, তিনি বলেন, আমি হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে বললাম, ইয়া রসূলাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আমার পিতা মাতা আপনার জন্য কুরবানি হোক, আপনি আমাকে জানিয়ে দিন যে, আল্লাহ পাক সর্ব প্রথম কোন জিনিস সৃষ্টি করেছেন? তিনি বলেন, হে জাবির রদ্বিয়াল্লাহু আনহু! নিশ্চয়ই আল্লাহ পাক সর্ব প্রথম সব কিছুর পূর্বে আপনার নবীর নূর মুবারক সৃষ্টি করেছেন। অতঃপর সেই নূর মুবারক আল্লাহ পাক উনার ইচ্ছা অনুযায়ী কুদরতের মাঝে ঘুরছিলো।আর সে সময় লওহো, ক্বলম, জান্নাত, জাহান্নাম, ফেরেশতা, আসমান, জমিন, চন্দ্র, সূর্য, মানুষ ও জ্বিন কিছুই ছিলো না। "
দলীল সমুহ ---
(১) মুসনাদে আব্দুর রাজ্জাক ১/৯৯, হাদীস ১৮
(২) দালায়েলুন নবুওয়াত ১৩/৬৩
(৩) মাওয়াহেবুল্লাদুন্নিয়া ১/৯
(৪) মাদারেজুন নবুওয়াত ২/২
(৫) যুরকানী ১/৪৬
(৬) রুহুল মায়ানী ১৭/১০৫
(৭) সিরাতে হলবীয়া ১/৩০
(৮) মাতালেউল মাসাররাত ২৬৫ পৃ
(৯) ফতোয়ায়ে হাদীসিয়া ১৮৯ পৃ
(১০) নি' মাতুল কুবরা ২ পৃ
(১১) হাদ্বীকায়ে নদীয়া ২/৩৭৫
(১২) দাইলামী শরীফ ২/১৯১
(১৩) মকতুবাত শরীফ ৩ খন্ড ১০০ নং মকতুব
(১৪) মওজুয়াতুল কবীর ৮৩ পৃ
(১৫) ইনছানুল উয়ুন ১/২৯
(১৬) নূরে মুহম্মদী ৪৭ পৃ
(১৭) আল আনোয়ার ফি মাওলিদিন নবী ৫ পৃ
(১৮) আফদ্বালুল ক্বোরা
(১৯) তারীখুল খমীস ১/২০
(২০) নুজহাতুল মাজালিস ১ খন্ড
(২১) দুররুল মুনাজ্জাম ৩২ পৃ
(২২) কাশফুল খফা ১/৩১১
(২৩) তারিখ আননূর ১/৮
(২৪) আনোয়ারে মুহম্মদীয়া ১/৭৮
(২৫) আল মাওয়ারিদে রাবী ফী মাওলীদিন নবী ৪০ পৃষ্ঠা ।
(২৬) তাওয়ারীখে মুহম্মদ
(২৭) আনফাসে রহীমিয়া
(২৮) মা' য়ারিফে মুহম্মদী
(২৯) মজমুয়ায়ে ফতোয়া ২/২৬০
(৩০) নশরুতত্বীব ৫ পৃ
(৩১) আপকা মাসায়েল আওর উনকা হাল ৩/৮৩
(৩২) শিহাবুছ ছাকিব ৫০
(৩৩) মুনছিবে ইছমত ১৬ পৃ
(৩৪) রেসালায়ে নূর ২ পৃ
(৩৫) হাদীয়াতুল মাহদী ৫৬পৃ
(৩৬) দেওবন্দী আজিজুল হক অনুবাদ কৃত বুখারী শরীফ ৫/৩
আমাদের সমাজের অনেক দেওবন্দী/ খারেজী/ওহাবী/লা মাযহাবী/ তাবলীগি ইত্যাদি বাতিল ফির্কা এই হাদীস শরীফকে নিজেদের সার্থ চরিতার্থ করার জন্য জাল/দুর্বল বলে থাক। আসুন আমরা সত্যতার মাপকাঠিতে হাদীস শরীফটির সনদ যাচাই করে দেখি।
যিনি এ হাদীস শরীফ বর্ননা করেছেন তিনি হচ্ছেন হাফিজে হাদীস,ইমাম আব্দুর রাজ্জাক রহমাতুল্লাহি আলাইহি।
ইমাম আব্দুর রাজ্জাক রাহমাতুল্লাহি আলাইহি হলেন মুসলিম উম্মাহের সর্বশ্রেষ্ঠ মুহাদ্দীস ইমাম বুখারী রাহমাতুল্লাহি আলাইহি এর দাদা উস্তাদ। যদি বিতর্কের খাতিরে ধরেই নেই আব্দুর রাজ্জাক রাহমাতুল্লাহি আলাইহি তাঁর কিতাবে দুর্বল হাদীস উল্লেখ করেছেন তাহলে বলতে হয় বুখারী শারীফেও দুর্বল হাদীস আছে যেহেতু ইমাম বুখারী রাহমাতুল্লাহি আলাইহি হাদীস শাস্ত্রের জ্ঞান লাভ করেছেন আব্দুর রাজ্জাক রাহমাতুল্লাহি আলাইহি এর কাছ থেকে। কিন্তু বুখারী শারীফে দুর্বল হাদীস আছে সেটা কেউই বলেন না। তাই "হাদীসটি দুর্বল/জাল" কথাটি ভুল প্রমাণীত হল।
হাদীসের সনদটি নিম্নরূপ :
হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম
জাবির বিন আব্দুল্লাহ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু
মুহাম্মাদ বিন মুঙ্কদার রাহমাতুল্লাহি আলাইহি
মা'মার বিন রাশীদ রহমাতুল্লাহি আলাইহি
আব্দুর রাজ্জাক রাহমাতুল্লাহি আলাইহি।
সুবহানাল্লাহ্ !!!
এবার দেখা যাক বর্নিত হাদীস শরীফ উনার রাবীদের সম্পর্কে মুহাদ্দীগণের মন্তব্য :
হাফিজে হাদীস,তাবে তাবেয়ীন ইমাম আব্দুর রাজ্জাক রহমাতুল্লাহি আলাইহি :

আহমাদ ইবন সালীহ রহমাতুল্লাহি আলাইহি বলেন, "আমি একবার আহমাদ বিন হাম্বল রহমাতুল্লাহি আলাইহি উনকে জিজ্ঞাসা করলাম, আপনি হাদীস শাস্ত্রে আব্দুর রাজ্জাক রহমতুল্লাহি আলাইহি থেকে নির্ভরযোগ্য আর কাউকে পেয়েছেন? আহমাদ বিন হাম্বল রহমাতুল্লাহি আলাইহি বলেন, না"।
দলীল-
√ তাহজিবুত তাহজিব লি হাফিয ইবনে হাজর আসক্বলানী ২/৩৩১
হাদীস শরীফ উনার অপর রাবী মা'মার বিন রাশীদ রহমাতুল্লাহি আলাইহি :
উনার সম্পর্কে আহমাদ বিন হাম্বল রহমতুল্লাহি আলাইহি বলেন, আমি বাসরার সকল হাদীস শাস্ত্রের বিশেষজ্ঞের থেকে মুসান্নাফ আব্দুর রাজ্জাকে মা'মার বিন রাশীদ এর সূত্রে পাওয়া হাদীসগুলো পছন্দ করি। ইবন হাজর আসকলানী রহমাতুল্লাহি আলাইহি উনাকে প্রখর স্বরনশক্তি সম্পন্ন এবং নির্ভরযোগ্য বলেন।
দলীল-
√ তাহজিবুত তাহজিব ১/৫০৫
√ আসমাউর রেজাল।
উক্ত মা'মার বিন রাশীদ রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার সূত্রে বর্ণিত বুখারী শারীফের হাদীস সংখ্যা প্রায় ২২৫ এবং মুসলিম শারীফে বর্ণিত হাদীস সংখ্যা প্রায় ৩০০ টি।
সুবহানাল্লাহ্ !
হাদীসটির আরেক রাবী হলেন মুহাম্মাদ বিন মুকদার রহমাতুল্লাহি আলাইহি :

ইমাম হুমায়দি রহমতুল্লাহি আলাইহি বলেন, মুকদার রহমতুল্লাহি আলাইহি একজন হাফিজ,ইমাম জারাহ তাদীলের ইমাম ইবন মা'ঈন রহমাতুল্লাহি আলাইহি বলেন, উনি নির্ভরযোগ্য।
দলীল-
√ তাহজিবুত তাহজিব ০৯/১১০৪৮
√ আসমাউর রেজাল ।
হযরত মুনকদার রহমাতুল্লাহি আলাইহি থেকে বর্ণিত হাদীসের সংখ্যা বুখারী শারীফে ৩০টি এবং মুসলিম শারীফে ২২টি।
সুবহানাল্লাহ্ !!
আর মূল বর্ননাকারী হলেন হযরত জাবির রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু একজন সুপ্রসিদ্ধ সাহাবী। বুখারী ও মুসলিম শারীফের উনার থেকে বর্ণিত অনেক হাদীস আছে।
সুতরাং বুঝা গেল। হাদীসটির সকল রাবীই নির্ভরযোগ্য এবং উনাদের সূত্রে বুখারী ও মুসলিম শারীফেও হাদীস বর্ণিত আছে। সুতরাং বলা যায়, ইমাম বুখারী ও মুসলিম রহমাতুল্লাহি আলাইহিম উভয়ের হাদীস শর্তানুসারে হাদীসটি সহীহ।
সুবহানাল্লাহ্ !!
এখন অনেকে মূল কিতাব দেখতে চাইতে পারেন। তাদের সুবিধার জন্য মূল কিতাবের স্ক্যান কপি নিম্মে দেয়া হলো--
নিচের লিঙ্কে গিয়ে মুসান্নাফ আব্দুর রাজ্জাকের মূল আরবী কিতাব দেখুন---->>>
http://wajahat-hussain.blogspot.com/…/hadeeth-e-nur-of-jabi…
আলহামদুলিল্লাহ ! আমরা পরিস্কার এবং বিশুদ্ধ সনদের মাধ্যমে হাদীস শরীফটির গ্রহনযোগ্যতা জানতে পারলাম।
এবার আসুন আমরা দেখি উক্ত হাদীস শরীফ সম্পর্কে মুহাদ্দিস এবং হাদীস শরীফ বিশারদগন কি বলেছেন।
উক্ত বিশুদ্ধ হাদীস শরীফ খানা নিজ কিতাবে সহীহ বলে উল্লেখ করেছেন বিখ্যাত মুহাদ্দিস আল্লামা বায়হাক্বী রহমাতুল্লাহি আলাইহি।
ইমাম বায়হাক্কী রহমাতুল্লাহি আলাইহি সম্পর্কে বলা হয়-
" ইমাম বায়হাক্কী রহমাতুল্লাহি আলাইহি ছিলেন স্বীয় যুগের হাদীস শরীফ এবং ফিক্বাহ শাস্ত্রের অপ্রতিদ্বন্দ্বী ব্যক্তিত্ব। উম্মত যাদের মাধ্যমে খুব উপকৃত হয়েছে এবং হাফিজে হাদীস এমন সাত ব্যক্তি ছিলেন তাদের যাদের গ্রন্থ সবচাইতে উৎকৃষ্ট বলে স্বীকৃত। সেই সাত জনের একজন হলেন, ইমাম বায়হাক্বী রহমাতুল্লাহি আলাইহি ।"
দলীল-
√ আসমাউর রেজাল-বাবু আইম্মাতুল হাদীস।
এই জগৎবিখ্যত মুহাদ্দিস ইমাম, আল্লামা বায়হাক্বী রহমাতুল্লাহি আলাইহি উনার কিতাবে বর্ননা করেন--
ان الله تعالي خلق قبل الاشياء نور نبيك
"..... নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক সর্ব প্রথম উনার নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার "নূর" মুবারক সৃষ্টি করেন।"
দলীল-
√ দালায়েলুন নবুওয়াত লিল বায়হাক্বী ১৩ তম খন্ড ৬৩ পৃষ্ঠা।

বিশ্ববিখ্যাত মুহাদ্দিস, যিনি এই উপমহাদেশে হাদীস শরীফের ব্যাপক প্রচার প্রসার করেছেন, সু দীর্ঘ সময় মদীনা শরীফে যিনি ইলিম চর্চা করেছেন। যিনি প্রতিদিন হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাক্ষাত লাভ করতেন, ইমামুল মুহাদ্দিসীন শায়েখ আব্দুল হক মুহাদ্দিস দেহলবী রহমাতুল্লাহি আলাইহি তিনি উক্ত হাদীসে জাবির রদ্বিয়াল্লাহু আনহু বা নূর সংক্রান্ত হাদীস শরীফকে সহীহ বলে উল্লেখ করেছেন।
তিনি উনার কিতাবে লিখেন-
درحديث صحيح وارد شد كه اول ما خلق الله نوري
অর্থ: "সহীহ হাদীস শরীফে" বর্নিত হয়েছে যে, হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন, মহান আল্লাহ পাক সর্ব প্রথম আমার নূর মুবারক সৃষ্টি করেন!"
দলীল-
√ মাদারেজুন নবুওয়াত ২য় খন্ড ২ পৃষ্ঠা।
বিখ্যাত মুহাদ্দিস, আরেফ বিল্লাহ, সাইয়্যিদিনা আব্দুল গনী নাবেলসী রহমাতুল্লাহি আলাইহি উক্ত হাদীস শরীফকে সরাসরি সহীহ বলে উল্লেখ করেছেন।
তিনি বলেন-
قد خلق كل شيي من نوره صلي الله عليه و سلم كما ورد به الحديث الصحيح
অর্থ: নিশ্চয়ই প্রত্যেক জনিস হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নূর মুবারক থেকে সৃষ্টি হয়েছে, যেমন এ ব্যাপারে 'সহীহ' হাদীস শরীফ বর্নিত রয়েছে।"
দলীল-
√ হাদীক্বায়ে নদীয়া- দ্বিতীয় অধ্যায়-৬০ তম অনুচ্ছেদ-২য় খন্ড ৩৭৫ পৃষ্ঠা।
ইমামুল মুফাসরিরীন, মুফতীয়ে বাগদাদ, হযরত আলূসী বাগদাদী রহমাতুল্লাহি আলাইহি উক্ত হাদীস শরীফকে নির্ভরযোগ্য বলে উল্লেখ করেছেন। তিনি উনার কিতাবে লিখেন-
ولذا كان نوره صلي الله عليه و سلم اول المخلوقات ففي الخبر اول ما خلق الله تعالي نور نبيك ياجابر
অর্থ : সকল মাখলুকাতের মধ্যে সর্বপ্রথম সৃষ্টি হলো, নূরে মুহম্মদী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। যেমন- হাদীস শরীফে বর্নিত আছে, হে জাবির রদ্বিয়াল্লাহু আনহু! আল্লাহ পাক সর্বপ্রথম আপনার নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নূর মুবারক সৃষ্টি করেছেন।"
দলীল-
√ রুহুল মায়ানী ১৭ তম খন্ড ১০৫ পৃষ্ঠা।
বিশিষ্ট আলেমে দ্বীন,আল্লামা ইমাম মুহম্মদ মাহদ ইবনে আহমদ ফার্সী রহমাতুল্লাহি আলাইহি উক্ত হাদীস শরীফকে সহীহ বলে নিজের কিতাব মুবারকে উল্লেখ করেছেন।
তিনি বর্ননা করেন-
اول ما خلق الله نوره ومن نوري خلق كل شءي
অর্থ : মহান আল্লাহ পাক সর্বপ্রথম আমার নূর মুবারক সৃষ্টি করেন এবং আমার নূর মুবারক থেকে সবকিছু সৃষ্টি করেন।"
দলীল-
√ মাতালেউল মাসাররাত ২৬৫ পৃষ্ঠা ।
উক্ত হাদীস শরীফের সমর্থনে বিখ্যাত মুহাদ্দিস, ছহীবে মেরকাত, ইমামুল মুহাদ্দিসীন মুল্লা আলী কারী রহমাতুল্লাহি আলাইহি বলেন-
وامانوره صلي الله عليه و سلم فهو في غاياة من الظهور شرقا و غربا واول ما خلق الله نوره وسماه في كتابه نورا
অর্থ: হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নূর মুবারক পূর্ব ও পশ্চিমে পূর্নরুপে প্রকাশ পেয়েছে। আর মহান আল্লাহ পাক সর্বপ্রথম উনার নূর মুবারক সৃষ্টি করেন। তাই নিজ কিতাব কালামুল্লাহ শরীফে উনার নাম মুবারক রাখেন 'নূর'।"
দলীল-
√ আল মওযুআতুল কবীর ৮৩ পৃষ্ঠা।
বিখ্যাত মুহাদ্দিস,আল্লামা আবুল হাসান বিন আব্দিল্লাহ আল বিকরী রহমাতুল্লাহি আলাইহি বলেন--
قال علي رضي الله عنه كان الله ولا شيء معه فاول ما خلق نور حبيبه قبل ان يخلق الماء والعرش والكرسي واللوح والقلم والجنة وانار والحجاب
অর্থ: হযরত আলী রদ্বিয়াল্লাহু আনহু ওয়া আলাইহিস সালাম বলেন, শুধুমাত্র আল্লাহ পাক ছিলেন, তখন অন্য কোন অস্তিত্ব ছিলো না। অতঃপর তিনি পানি,আরশ,কুরসী, লওহো,ক্বলম,জান্নাত, জাহান্নাম ও পর্দা সমূহ ইত্যাদি সৃষ্টি করার পূর্বে উনার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নূর মুবারক সৃষ্টি করেন।"
দলীল-
√ আল আনওয়ার ফী মাওলিদিন নাবিয়্যিল মুহম্মদ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ৫ পৃষ্ঠা।
বিখ্যাত তাফসির কারক,ইমামুল মুফাসসিরীন, আল্লামা ইসমাঈল হাক্কী রহমাতুল্লাহি আলাইহি বলেন-
ان الله تعالي خلق جميع الاشياء من نور محمد صلي الله عليه و سلم ولم ينقص من نوره سيء
অর্থ: এ ব্যাপারে সকলেই একমত যে, নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক সকল মাখলুকাত "নূরে মুহম্মদী" ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে সৃষ্টি করেছেন। অথচ "নূরে মুহম্মদী" ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হতে কিঞ্চিত পরিমানও কমে নাই।"
দলীল-
√ তাফসীরে রুহুল বয়ান ৭ম খন্ড ১৯৭-১৯৮ পৃষ্ঠা।
হযরত জাবির বিন আব্দুল্লাহ রদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্নিত হাদীস শরীফ খানা অত্যন্ত সহীহ।
আর সহীহ বলেই সকল জগৎ বিখ্যাত মুহাদ্দিসগন উনাদের কিতাবে উক্ত হাদীস শরীফ খানা বলিষ্ঠ ভাবে বর্ননা করেছেন। আমরা উপরে কিছু ইমামদের মতামত উল্লেখ করেছি। এছাড়াও আরো যারা উক্ত হাদীস শরীফকে বিশুদ্ধ বলে নিজেদের কিতাবে উল্লেখ করেছেন তাদের কথা উল্লেখ করা হলো--
→ বুখারী শরীফের ব্যাখ্যাকারক, হাফিজে হাদীস আল্লামা কুস্তালানী রহমাতুল্লাহি আলাইহি উনার "মাওয়াহেবুল লাদুন্নিয়া" কিতাবের ১ম খন্ড ৯ পৃষ্ঠা।
→ হাফিজে হাদীস,আল্লামা যুরকানী রহমাতুল্লাহি আলাইহি উনার "যুরকানী আলা শরহে মাওয়াহেব" কিতাবের ১ম খন্ড ৪৬ পৃষ্ঠা।
→ বিখ্যাত মুহাদ্দিস ইবনে হাজর হায়তামী রহমাতুল্লাহি আলাইহি উনার "ফতোয়ায়ে হাদীসিয়া" কিতাবে ১৮৯ পৃষ্ঠা ।
→ মুহাদ্দিস আলী ইবনে ইব্রাহীম রহমাতুল্লাহি আলাইহি উনার "সিরাতুল হলবীয়" কিতাবে ১ম খন্ড ৩০ পৃষ্ঠা।
→ হাফিজে হাদীস, হযরত ইবনে হাজার মক্কী রহমাতুল্লাহি আলাইহি উনার "আফদ্বালুল কোরা" কিতাবে।
→ বিশিষ্ট আলেম, শায়খুল আল্লামা, হযরত দিয়ার বাকরী রহমাতুল্লাহি আলাইহি উনার "তারীখুল খামীস" কিতাব সহ শতশত কিতাবে উক্ত হাদীস শরীফ খানা বর্ননা করা হয়েছে ।
প্রত্যকেই উক্ত হাদীস শরীফ এর উপর আস্থা স্থাপন করেছেন বিনা দ্বিধায়।
সুবহানাল্লাহ্ !!
যেটা উছুলের কিতাবে বলা হয়েছে-
فان الحديث يتقوي بتلقي الاءمة بالقبول كما اشر اليه الامام التر مذي في جامعه وصرح به علماءنا في الاصول
অর্থ: কোন হাদীস শরীফকে ইমামগন নিঃসংকোচে কবুল করে নেয়াই উক্ত হাদীস শরীফ খানা শক্তিশালী বা সহীহ হওয়ার প্রমান। ইমাম তিরমিযী রহমাতুল্লাহি আলাইহি উনার "জামে" তে এদিকেই ইঙ্গিত দিয়েছেন আর আলেমগন তা উছুলের কিতাবে সুস্পষ্ট ভাবে বর্ননা করেছেন।"
সূতরাং এরপরও যারা বলবে, উক্ত হাদীস শরীফ খানা সহীহ নয়, তারা হাদীস শরীফের উছুল সম্পর্কে নেহায়েত অজ্ঞ।
উক্ত হাদীস শরীফ খানা হাফিজে হাদীস ইমাম আব্দুর রাজ্জাক রহমাতুল্লাহি আলাইহি উনার কিতাব "মুসনাদে আব্দুর রাজ্জাক" কিতাবে সহীহ সনদে বর্ননা করেছেন এবং পৃথিবীর সকল ইমাম,মুহাদ্দিস গন উক্ত হাদীস শরীফের প্রতি আস্থা স্থাপন করে স্ব স্ব কিতাবে উল্লেখ করেছেন।
সূতরাং প্রমান হলো উক্ত হাদীস শরীফ খানা সর্বোচ্চ মানের সহীহ একটি হাদীস শরীফ।
এখন মজার ব্যাপার দেখুন, যেসকল ওহাবী দেওবন্দীরা উক্ত হাদীস শরীফ নিয়ে আপত্তি করে তাদের অন্যতম গুরু আশরাফ আলী থানবী নিজেই উক্ত হাদীস শরীফকে তার কিতাব "নশরুত তীব" উল্লেখ করেছে।
এবার দেখুন থানবী তার এই কিতাবে কি লিখেছে--
থানবী এই কিতাবে প্রথম যে অধ্যায় রচনা করেছে তার নাম দিয়েছে " নূরে মুহম্মদীর বিবরন"।
যাইহোক, এখানে প্রথমেই যা লিখেছে তা হলো- " আব্দুর রাজ্জাক তাঁর সনদসহ হযরত জাবের ইবনে আব্দুল্লাহ থেকে বর্ননা করেছেন যে, আমি আরজ করলাম : ইয়া রসূল্লাল্লাহ আমার পিতা মাতা আপনার জন্য কোরবান হউক, আমাকে এই খবর দিন যে, আল্লাহ পাক সর্ব প্রথম কোন বস্তুটি সৃষ্টি করেছেন?
প্রিয়নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করলেন, হে জাবির রদ্বিয়াল্লাহু আনহু! আল্লাহ পাক সবকিছুর পূর্বে আপনার নবীর নূর সৃষ্টি করেছেন...................... """"
অর্থাৎ হাদীসে জাবির বর্ণনা করেছে দেওবন্দী আশরাফ আলী থানবী নিজ কিতাবে। মজার কথা হলো থানবী মুসনাদে আব্দুর রাজ্জাকে হাদীসের সনদ খুজে পেল আর বর্তমানে তারই অনুসারী ওহাবী দেওবন্দীরা সনদ খুজে পায় না।
কত হাস্যকর লজ্জাজনক বিষয় নিজেরাই চিন্তা করুন।
শুধু তাই নয়, আশরাফ আলী থানবী উক্ত "নশরুত্বীব" কিতাবের প্রথম অধ্যায়ে "নূরে মুহম্মদীর বিবরন" শীর্ষক বর্ননায় আরো একটি হাদীস শরীফ উল্লেখ করেছে-
ইমাম জয়নুল আবেদীন আলাইহিস সালাম উনার পিতা হযরত ইমাম হুসাইন আলাইহিস সালাম থেকে এবং তিনি হযরত আলী রদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ননা করেন যে, হুজুর ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেছেন, আমি আদম আলাইহিস সালাম উনার জন্মের ১৪ হাজার বছর পূর্বে আমার পরওয়ারদিগারের দরবারে একটি "নূর" ছিলাম।"
সুবহানাল্লাহ্ !!!
দেওবন্দী/কাওমীরা হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সর্বপ্রথম নূর হিসাবে সৃষ্টি এই হাদীস অস্বীকার করলে কি হবে এদের একমাত্র অবিভাবক ভারতের দারুল উলুম দেওবন্দ আবার এই হাদীস স্বীকার করে ফতোয়া দেয়। সবাই দেখুন ভারতের দেওবন্দীরা আশরাফ আলি থানভি সাহেবের কিতাব থেকেই তাদের ওয়েবসাইটে ফতোয়া বিভাগে দলীল দিচ্ছে-->
Question: 3126 >Is the Prophet peace be upon him's nur the first thing to be created? Also, was it created before Adam alayhis salam's?
Answer: 3126 Jan 29,2008 (Fatwa: 903/876=D)
Hazrat Hakimul Ummah, Maulana Ashraf Ali Thanwi has mentioned a Hadith in his book ﻧﺸﺮ ﺍﻟﻄﯿﺐ ﻓﯽ ﺫﮐﺮ ﺍﻟﻨﺒﯽ ﺍﻟﺤﺒﯿﺐ ﺻﻠﯽ ﺍﻟﻠﮧ ﻋﻠﯿﮧ ﻭﺳﻠﻢ with reference of Ahkam bin Al- Qattan that Hazrat Ali bin Al- Hussain (Zainul Abdeen) narrated from his father Hazrat Hussain ( ﺭﺿﯽ ﺍﻟﻠﮧ ﻋﻨﮧ ) and he narrated from his father (Hazrat Ali ﺭﺿﯽ ﺍﻟﻠﮧ ﻋﻨﮧ ) that the Prophet ( ﺻﻠﯽ ﺍﻟﻠﮧ ﻋﻠﯿﮧ ﻭﺳﻠﻢ) said: ?I was a noor (light) in front of my Lord some forty thousand years before the birth of Hazrat Adam ( ﻋﻠﯿﮧ ﺍﻟﺴﻼﻡ )?. There are some more traditions which prove that the noor of the Prophet ( ﺻﻠﯽ ﺍﻟﻠﮧ ﻋﻠﯿﮧ ﻭﺳﻠﻢ ) was created in the earliest time, some traditions say that his noor was created before the Tablet, the Pen, earth, sky and even before all creatures. Allah (Subhana Wa Ta'ala) knows Best Darul Ifta, Darul Uloom Deoband
ভারতের দারুল উলুম দেওবন্দের ফতোয়ার ওয়েবসাইটের লিঙ্ক - ->>>
http://darulifta-deoband.org/showuserview.do…
আবার উক্ত হাদীসে জাবির রদ্বিয়াল্লাহু আনহু দেওবন্দীদের আরেক মৌলবী দেওবন্দীদের মৃত শায়খুল হদস আজিজুল হক তার বুখারী শরীফের অনুবাদে ৫ম খন্ড ৩ নং পৃষ্ঠায় উল্লেখ করেছে।
অর্থাৎ বিরোধিতা কারীদের কিতাবেও উক্ত হাদীস শরীফ খানা নির্ভরযোগ্য হিসাবে বিবেচনা করা হয়েছে। তাহলে প্রশ্ন হচ্ছে বর্তমানে দুই পয়সার বাজাইরা ওহাবী মৌলবীরা উক্ত হাদীস শরীফের বিরোধিতা করে কেন ?????
যাইহোক, উপরোক্ত আলোচনা থেকে দিবালোকের মত প্রমান হলো, আল্লাহ পাক সর্বপ্রথম হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নূর মুবারক সৃষ্টি করেছেন। এবং সেই নূর মুবারক থেকে সবকিছু সৃষ্টি করেন।
এটাই হলো আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াতের আক্বীদা, এবং এর বিপরীত আক্বীদা পোষন করা কুফরী।
আল্লাহ পাক আমাদের সত্য বোঝার তৌফিক দান করুন। আমীন !!
নূর হওয়া সম্পর্কিত বিখ্যাত হাদীস ও তাঁর বিশ্লেষণ
Related imageনূর হওয়া সম্পর্কিত বিখ্যাত হাদীস ও তাঁর বিশ্লেষণ
আহলে সুন্নাত ওয়াল জামা’আত তথা সাহাবায়ে কিরাম, আসলাফে কিরাম, আউলিয়ায়ে কিরাম এবং ওলামায়ে উম্মত এর স্বীকৃত আক্বিদা বা বিশ্বাস হচ্ছে, হুজুর পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সত্ত্বাগত ভাবে নূর অর্থাৎ নূরের সৃষ্টি। এর স্বপক্ষে অসংখ্য প্রমাণাদি কুর’আন-হাদীসের মধ্যে বিদ্যমানও রয়েছে।তন্মধ্যে কুর’আন শরীফের উল্লেখযোগ্য আয়াত হলো, সূরা মায়েদার পনেরোতম আয়াতটি।যার ব্যাখ্যায় অধিকাংশ তাফসীরকারকগণ নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে নূর বলে উল্লেখ করেছেন।আর অসংখ্য হাদীস শরীফের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হাদীস হচ্ছে, জলীল কদর সাহাবী হযরত জাবের রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু’র বর্ণিত হাদীসটি। যাতে হুজুর পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামা’র নবুয়তী জবানেই বলা হয়েছে যে,তিনি নূর।এর ফলে নবীজী যে নূরের সৃষ্টি,সেটা সাহাবায়ে কিরাম এবং আসলাফে কিরামের আক্বিদা হয়ে যায়।এবং পরবর্তীতে তাদের পদাঙ্ক অনুসরণে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামা’আতেরও আক্বিদা বা বিশ্বাসে পরিণত হয় এটা।
এতকাল যাবত হাদীস শরীফটির ব্যাপারে কোন মুজতাহিদ,মুফাসসির বা মুহাদ্দিসগণের কোন সংশয় বা আপত্তি না থাকলেও, বর্তমান সময়ে মাথাচাড়া দেওয়া কিছু নব্য বিদ’আতী ফির্কার লোকেরা হাদীসটিকে অস্বীকার করে আসছে। হাদীসটিকে অস্বীকার করার মূল উদ্দেশ্যই হচ্ছে, নবীর নূর হওয়াকে অস্বীকার করা। সুতরাং ভূমিকা দীর্ঘ না করে আসুন জেনে নিই হাদীসটি এবং তাঁর বিশুদ্ধতা সম্পর্কে।
নুর সম্পর্কিত বিখ্যাত হাদীসটি হচ্ছে,
عن جابر بن عبد الله رضى الله عنه قال : قلت يا رسول الله بابى انت وامى اخبرنى عن اول شئ خلق الله تعالى قبل الاشياء ؟ قال يا جابر ان الله تعالى قد خلق قبل الاشياء نورنبيك من نوره فجعل ذالك النور يدور بالقدرة حيث شاء الله تعالى ولم يكن في ذالك الوقت لوح ولا قلم ولا جنة ولا ملك ولا سماء ولا ارض ولا شمس ولا قمر ولا جن ولا انس – فلما اراد الله تعالى ان يخلق الخلق قسم ذالك النور اربعة اجزاء فخلق من الجزء الاول القلم و من الثاني اللوح ومن الثالث العرش ثم قسم الجزء الربع اربعة اجزاء فخلق من الاول حملة العرش ومن الثانى الكرسى ومن الثالث باقى الملائكة ثم قسم الربع اربع اجزاء فخلق من الاول السماوات ومن الثانى الارضين ومن الثالث الجنة والنار————————————— الخ
হযরত জাবের ইবনে আব্দুল্লাহ রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু হতে বর্ণিত আছে। তিনি বলেন, আমি আরজ করলাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামা ! আপনার প্রতি আমার পিতা মাতা উৎসর্গিত। আল্লাহ তায়ালা সব কিছুর পূর্বে কোন বস্তুটিট সৃষ্টি করেছেন ? জবাবে নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামা ইরশাদ করলেন, হে জাবের! আল্লাহ তায়ালা সর্বপ্রথম সমস্ত বস্তুর পূর্বে তাঁর আপন নূর হতে তোমার নবীর নূরকে সৃষ্টি করেছেন। তারপর আল্লাহ্‌র ইচ্ছানুযায়ী সেই নূর পরিভ্রমণ করতে লাগল। ওই সময় না ছিল লউহে-মাহফুজ, না ছিল কলম, না ছিল বেহেশত, না ছিল দোজখ, না ছিল ফেরেশতা, না ছিল আকাশ, না ছিল পৃথিবী, না ছিল সূর্য, না ছিল চন্দ্র, না ছিল জ্বিন জাতি, না ছিল মানবজাতী। অতঃপর যখন আল্লাহ্‌ তায়ালা অন্যান্য বস্তু সৃষ্টি করার মনস্থ করলেন, তখন ওই নূর কে চার ভাগ করে প্রথম ভাগ দিয়ে কলম, দ্বিতীয় ভাগ দিয়ে লউহে-মাহফুজ, তৃতীয় ভাগ দিয়ে আরশ সৃষ্টি করলেন। অবশিষ্ট এক ভাগকে আবার চার ভাগে ভাগ করে প্রথম ভাগ দিয়ে আরশ বহনকারী ফেরেশতা, দ্বিতীয় ভাগ দিয়ে কুরসি, তৃতীয় ভাগ দিয়ে অন্যান্য ফেরেশতা সৃষ্টি করলেন। দ্বিতীয় চার ভাগের অবশিষ্ট এক ভাগ কে আবার পুনরায় চার ভাগ করে প্রথম ভাগ দিয়ে আকাশ, দ্বিতীয় ভাগ দিয়ে জমিন, তৃতীয় ভাগ দিয়ে বেহেশত-দোজখ সৃষ্টি করলেন। অবশিষ্ট এক ভাগ কে আবার চার ভাগে ভাগ করে প্রথম ভাগ দিয়ে মোমেনদের নয়নের দৃষ্টি, দ্বিতীয় ভাগ দিয়ে কালবের নূর তথা আল্লাহ্‌র মারেফত, তৃতীয় ভাগ দিয়ে তাদের মহববতের নূর তথা তাওহিদী কালেমা “লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামা)” সৃষ্টি করলেন এবং বাকি এক ভাগ দিয়ে সমস্ত কিছু সৃষ্টি করলেন।
[হাদীস সূত্রঃ- মুসান্নাফ আব্দুর রাজ্জাক, খন্ড-০১, পৃষ্ঠা-৯৯, হাদীস নং-১৮।সহীহ হাদীসের এই কিতাবটি ইমাম বুখারী রহমাতুল্লাহি আলাইহি এর দাদা উস্তাদ মুহাদ্দীস আব্দুর রাজ্জাক রহমাতুল্লাহি কর্তৃক রচিত; প্রকাশনী- দারুল মুহাদ্দীস, রিয়াদ, সৌদি আরব]
বিঃদ্রঃ খারেজীরা হাদীসটিকে তার অধ্যায় সহকারেই পরবর্তীতে গায়েব করে ফেলে। আলহামদুলিল্লাহ ! তাদের ষড়যন্ত্রের শিকার হওয়া মুসান্নাফে আব্দুর রাজ্জাক সম্পাদিত আসল কিতাবের ‘নূরের’ অধ্যায়ের মূল কপিটি বহু বছর পর বর্তমানে উদ্ধার করা হয়েছে। তুরস্কের ইস্তাম্বুলের জাদুঘরে এটি সংরক্ষিত আছে।
হাদীস শরীফটির বিশুদ্ধতাঃ
(১) হাদীসের সনদটি নিম্নরূপঃ
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হতে >> জাবির বিন আব্দুল্লাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে >> মুহাম্মাদ বিন মুকদার রাহমাতুল্লাহি আলাইহি হতে >> মা’মার বিন রাশীদ হতে >> আব্দুর রাজ্জাক রাহমাতুল্লাহি আলাইহি পর্যন্ত। অর্থাৎ হাদীসটিতে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামা হতে আব্দুর রাজ্জাক রহমাতুল্লাহি আলাইহি পর্যন্ত মাঝখানে মাত্র চারজন রাবী রয়েছেন।
(২) হাদীসটি সম্পর্কে মুহাদ্দীসগণের মন্তব্যঃ
(ক) হাফেজে হাদিস, উপমহাদেশের বুখারী, মুহাদ্দিস হযরত আব্দুল হক দেহলভী রহমাতুল্লাহি আলাইহি তাঁর সুবিখ্যাত সিরাত গ্রন্থ “মাদারিজ নবুয়ত” গ্রন্থে হাদীসটিকে হাসান ও সহীহ বলেছেন।
(খ) আহমাদ ইবন সালীহ রহমাতুল্লাহি আলাইহি বলেন, “আমি একবার আহমাদ বিন হাম্বল রহমাতুল্লাহি আলাইহি’কে জিজ্ঞাসা করলাম, আপনি হাদীস শাস্ত্রে আব্দুর রাজ্জাকের থেকে ভালো আর কাউকে পেয়েছেন ? আহমাদ বিন হাম্বল রহমাতুল্লাহি আলাইহি বলেন, না”। [আসকলানী, তাহজিবুত তাহজিব ২/৩৩১]
(গ) হাদীসটির একজন রাবী হলেন মা’মার বিন রাশীদ। উনার সম্পর্কে আহমাদ বিন হাম্বল রহমাতুল্লাহি আলাইহি বলেন, আমি বসরা নগরীর সকল হাদীস শাস্ত্র বিশেষজ্ঞদের থেকে মুসান্নাফ আব্দুর রাজ্জাকের মা’মার বিন রাশীদ এর সূত্রে পাওয়া হাদীসগুলো পছন্দ করি।
(ঘ) ইমাম ইবন হাজর আসকলানী রহমাতুল্লাহি আলাইহি উনাকে দক্ষ মুখস্থবিদ এবং নির্ভরযোগ্য বলেন। [আসকলানী, তাহজিবুত তাহজিব ১/৫০৫]
(ঙ) বুখারী শরীফে মা’মার বিন রাশীদ সূত্রে বর্ণিত হাদীসের সংখ্যা প্রায় ২২৫ এবং মুসলিম শারীফে বর্ণিত হাদীস সংখ্যা প্রায় ৩০০।
(চ) হাদীসটির আরেক রাবী হলেন মুহাম্মাদ বিন মুকদার। ইমাম হুমায়দি বলেন, মুকদার একজন হাফিজ। ইবন মা’ঈন বলেন, উনি নির্ভরযোগ্য। [আসকলানী, তাহজিবুত তাহজিব খন্ডঃ-০৯/১১০৪৮]
(ছ) মুকদার থেকে বর্ণিত হাদীসের সংখ্যা বুখারী শরীফে ৩০টি এবং মুসলিম শরীফে ২২টি।
(জ) আর জাবির রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু একজন সুপ্রসিদ্ধ সাহাবী। বুখারী ও মুসলিম শরীফের উনার থেকে বর্ণিত অনেক হাদীস আছে।
সুতরাং বুঝা গেল। হাদীসটির সকল রাবীই নির্ভরযোগ্য এবং উনাদের সূত্রে বুখারী ও মুসলিম শরীফেও হাদীস বর্ণিত আছে।
(৩) নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহি ওয়াসাল্লাম এর ‘নূর’ সম্পর্কিত ‘মুসান্নাফে আব্দুর রাজ্জাক’ আরবী মূল কিতাবের স্ক্যান কপিসহ বিস্তারিত দেখুন নিচের লিঙ্কে,
http://alturath.info/hadeeth/abdel-razek/abdel-razek.htm
এবং এই হাদীস শরীফটিকে আরও যে সমস্ত কিতাবে সহীহ হাদীস হিসেবে মন্তব্য করে দলীল হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে-
১। দালায়েলুন নবুওয়াত ১৩/৬৩ ।
২। মাওয়াহেবুল্লাদুন্নিয়া ১/৯ ।
৩। মাদারেজুন নবুওয়াত ২/২ ।
৪। যুরকানী ১/৪৬ ।
৫। রুহুল মায়ানী ১৭/১০৫ ।
৬। সিরাতে হালবীয়া ১/৩০ ।
৭। মাতালেউল মাসাররাত ২৬৫ পৃষ্ঠা ।
৮। ফতোয়ায়ে হাদীসিয়া ১৮৯ পৃষ্ঠা ।
৯। নি’ মাতুল কুবরা ২ পৃষ্ঠা;
১০। হাদিকায়ে নদীয়া ২/৩৭৫ ।
১১। দাইলামী শরীফ ২/১৯১ ।
১২। মকতুবাত শরীফ ৩ খন্ড ১০০ পৃষ্ঠা ।
১৩। ইনছানুল উয়ুন ১/২৯ ।
১৪। নূরে মুহাম্মদী ৪৭ পৃষ্ঠা ।
১৫। আল আনোয়ার ফি মাওলিদিন নবী ৫ পৃষ্ঠা ।
১৬। আফদ্বালুল ক্বোরাঃ তারীখুল খমীসঃ নুজহাতুল মাজালিস ১ খন্ড ।
১৭। দুররুল মুনাজ্জাম ৩২ পৃষ্ঠা ।
১৮। কাশফুল খফা ১/৩১১ ।
১৯। তারিখ আননূর ১/৮ ।
২০। আনোয়ারে মুহম্মদীয়া ১/৭৮ ।
২১। আল মাওয়ারিদে রাবী ফী মাওলীদিন নবী ।
২২। তাওয়ারীখে মুহাম্মদ ।
২৩। আনফাসে রহীমিয়া ।
১৪। মা’ য়ারিফে মুহম্মদী ।
১৫। মজমুয়ায়ে ফতোয়া ২/২৬০ ।
১৬। নশরুতত্বীব ৫ পৃষ্ঠা ।
১৭। আপকা মাসায়েল আওর উনকা হাল ৩/৮৩ ।
১৮। শিহাবুছ ছাকিব ৫০ পৃষ্ঠা ।
১৯। মুনছিবে ইছমত ১৬ পৃষ্ঠা ।
২০। রেসালায়ে নূর ২ পৃষ্ঠা ।
২১। হাদিয়াতুল মাহদী ৫৬ পৃষ্ঠা ।
২২। দেওবন্দী আজিজুল হক অনুবাদকৃত বুখারী শরীফ ৫/৩ ।
(৪) এ সম্পর্কে আরো কয়েকটি হাদীস শরীফঃ
=> বোখারী শরীফের ব্যাখ্যাকার আল্লামা ইমাম আহমদ কুস্তলানী রহমাতুল্লাহি আলাইহি তাঁর সুপ্রসিদ্ধ কিতাব মাওয়াহেবে লাদুন্নিয়ায় হযরত ইমাম জয়নাল আবেদীন রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে, তিনি তাঁর পিতা হযরত ইমাম হোসাইন রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে, তিনি তাঁর পিতা হযরত আলী রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে, তিনি রাসূলে করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে বর্ণনা করেন,
“নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, “আমি হযরত আদম আলাইহিস সালাম সৃষ্টির চৌদ্দ হাজার(১৪,০০০) বছর পূর্বে আল্লাহর নিকট ‘নূর’ হিসাবে বিদ্যমান ছিলাম।”
[মাওয়াহেবে লাদুনিয়া, প্রথম খন্ড, পৃষ্ঠা-৯; যুরকানী শরীফ, প্রথম খন্ড, পৃষ্ঠা-৪৬; সিরাতে হালভিয়া, প্রথম খন্ড, পৃষ্ঠা-৩৭, হুজ্জাতুল্লাহি আলাল আলামিম, পৃষ্ঠা- ২৮, আনোয়ারে মুহাম্মদীয়া, পৃষ্ঠা- ০৯; ফতওয়ায়ে হাদিসিয়া, পৃষ্ঠা-৫১
=> হযরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত,
হুজুর পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন, সৃষ্ট জীবের মধ্যে আমি সর্বপ্রথম নবী হিসাবে সৃষ্টি হয়েছি। কিন্তু আমি প্রেরিত হয়েছি (যমীনে প্রকাশ পেয়েছি) সব নবী আলাইহিমুস সালাম’দের শেষে।”
[ তাফসীরে বাগবী ৫/২০২, দূররে মানছুর ৫/১৮৪, শেফা ১/৪৬৬, মানাহিলুচ্ছফা ৫/৩৬, কানযুল উম্মাল ৩১৯১৬, দায়লামী ৪৮৫০]
=> হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহুমা হতে বর্নিত,
নিশ্চয়ই হুজুর পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামা ইরশাদ করেন, হযরত জিব্রাইল আলাইহিস সালাম আমার নিকট আগমন করে বলেন, ইয়া রসূলাল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ! মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাকে এই বলে পাঠিয়েছেন যে, “আপনি যদি না হতেন তবে আমি(আল্লাহ) জান্নাত ও জাহান্নাম কিছুই সৃষ্টি করতাম না।”
[কানযুল উম্মাল- হাদীস ৩২০২২, দায়লামী শরীফ]
=> অপর একটি হাদীস শরীফের মধ্যে আসছে,
কোন এক সময় হযরত রাসূলে করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হযরত জিব্রাঈল আলাইহিস সালাম এর নিকট জিজ্ঞাসা করলেন, হে ভাই জিব্রাইল! তোমার বয়স কত বৎসর হয়েছে ? হযরত জিব্রাইল আলাইহি ওয়া সাল্লাম আরয করলেন, হে আল্লাহর রাসূল! আমি আমার বয়স সম্পর্কে কিছুই বলতে পারিনা। তবে আমি আপনাকে আমার বয়স সম্পর্কে এতটুকু তথ্য জানাতে পারি যে, চতুর্থ আসমানে একটি উজ্জ্বল তারকা ছিল। ঐ তারকাটি সত্তর হাজার বৎসর পর পর আসমানে একবার উদয় হত। আমি তাকে সত্তর হাজার বার উদয় হতে দেখেছি। এখন চিন্তা করুন, আমার বয়স কত হতে পারে ! নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হযরত জিব্রাইল আলাইহিস সালাম এর উত্তর শুনে ইরশাদ করলেন, হে ভাই জিব্রাঈল! আমি আমার পরওয়ার দেগারের নামে শপথ করে বলছি যে, উক্ত উজ্জ্বল তারকাটি আমি-ই ছিলাম।
[তাফসিরে রুহুল বায়ান প্রথম খন্ড ৯৭৪ পৃষ্টা, ইমাম বুখারীর রহমাতুল্লাহি আলাইহি লিখিত তারিখ উল কাবির, ইমাম আন নুবানি রহমাতুল্লাহি আলাইহি এর জাওয়াহিরুল নিহার কিতাব দ্রষ্টব্য]
সুতরাং, নূর সম্পর্কিত আরো অসংখ্য হাদীস শরীফ বিভিন্ন কিতাবে রয়েছে।পথহারা বাতিল ও বিদ’আতী সম্প্রদায় সরাসরি এসব সহিহ হাদিসকে একবাক্যে জাল বলে অস্বীকার করে।নূর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামা’র নূরকে অস্বীকার করার জন্যই মূলত তারা এসকল হাদীসকে মিথ্যা বলে আখ্যা দেয় করে।

আল্লাহ তায়ালা আমাদের সবাইকে সহিহ আক্বিদা বুঝার এবং বাতিল আক্বিদাকে প্রত্যাখান করার তাওফিক দান করুন।আমিন,বিহুরমাতি সাইয়্যিদিল মুরসালিন।