একজন কুতুবুজ্জামান- উনার দিদারে মাওলার দিকে প্রস্থান- সাইয়্যিদুনা হযরত দাদা হুযুর ক্বিবলা সাইয়্যিদ মুখলেছুর রহমান আলাইহিস সালাম উনার সাওয়ানেহে উমরী মুবারক-পর্ব-১৪৫

 

ওলীয়ে মাদারজাদ, মুসতাজাবুদ্ দাওয়াত, আফযালুল ইবাদ, ছাহিবে কাশফ্ ওয়া কারামত, ফখরুল আওলিয়া, ছূফীয়ে বাতিন, ছাহিবে ইস্মে আযম, লিসানুল হক্ব, গরীবে নেওয়াজ, আওলাদে রসূল, আমাদের সম্মানিত দাদা হুযূর ক্বিবলা আলাইহিস সালাম-উনার স্মরণে-

একজন কুতুবুয্ যামান-উনার দীদারে মাওলা উনার দিকে প্রস্থান- 

তিন দিনব্যাপী অঝোর ধারার বৃষ্টি

নেক দুআর উসীলায় নিমিষেই বন্ধ

নির্দেশিত ব্যক্তি তৎক্ষণাৎ খলীফাতুল্লাহ, খলীফাতু রসূলিল্লাহ, ইমামুশ শরীয়ত ওয়াত তরীক্বত, ইমামুল আইম্মাহ, মুহইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, হুজ্জাতুল ইসলাম, সুলত্বানুল আউলিয়া ওয়াল মাশায়িখ, ছাহিবু সুলত্বানিন নাছীর, জামিউল মাক্বাম, জব্বারিউল আউয়াল, ক্ববিউল আউয়াল, গাউছুল আযম, ফারূকে আযম, হাবীবে আযম, আওলাদুর রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম হযরত মুজাদ্দিদে আযম আলাইহিস সালাম উনার মুবারক সন্নিধানে যান। সমুদয় বিষয় উনাকে অবহিত করেন এবং বৃষ্টি বন্ধ হওয়ার জন্য সবিনয় আরজি পেশ করেন। সাইয়্যিদুনা ইমাম হযরত মুজাদ্দিদে আযম আলাইহিস সালাম তিনি বলেন: এর জন্য আমার কাছে কেন? আপনি অবিলম্বে আব্বা হুযূর উনার নিকট যান। উনার নিকট দুআ চান। তিনি ওলীয়ে বাতিন। সব সময় তিনি নিজেকে গোপন রাখা পছন্দ করেন। তাই আপনাকে আমার কাছে পাঠিয়েছেন। বৃষ্টি বন্ধ হওয়া এবং এ সংক্রান্ত যাবতীয় অসুবিধা ও অসঙ্গতি নিরসনের জন্য আব্বা হুযূর উনার মুবারক ইচ্ছাই যথেষ্ট। তিনি বেমেছাল মর্যাদাসম্পন্ন ওলীআল্লাহ। তিনি মুসতাজাবুদ দাওয়াত।

সূক্ষ্মদর্শী বুযূর্গ পিতা ওলীয়ে মাদারজাত, আওলাদুর রসূল হযরতুল আল্লামা সাইয়্যিদ মুহম্মদ মুখলিছুর রহমান আলাইহিস সালাম এবং উনার মুজাদ্দিদে আযম পুত্র আলাইহিস সালাম উনারা দুজনেই দুজনের বুযূর্গী, মান, শান, মর্যাদা, মর্তবা, মাক্বাম সম্পর্কে সম্যক অবহিত। বৃষ্টি বন্ধ হওয়ার জন্য প্রথমে বুযূর্গ পিতা উনার নেক দুআ চাওয়া হয়েছে। বিষয়টির সমাধান আপন আয়ত্তে অতি সহজ ও সম্ভব জেনেও অপরিসীম স্নেহ-মমতা ও মুহব্বত বাৎসল্যে দুআ প্রার্থীকে তিনি উনার মুজাদ্দিদে আযম পুত্র আলাইহিস সালাম উনার নিকট পাঠিয়েছেন। বুযূর্গ পিতা আলাইহিস সালাম উনার প্রতি অতুলনীয় সম্মান ও প্রগাঢ় মুহব্বতের কারণে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে তিনি পুনরায় বুযূর্গ পিতা উনার নিকট পাঠিয়েছেন। নইলে আমাদের আক্বল ও সমঝের সীমাহীন ঊর্ধ্বের বেমেছাল মর্যাদা, মর্তবা এবং আল্লাহ পাক ও উনার প্রিয়তম হাবীব নূরে মুজাসসাম, মাশুকে মাওলা হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের সঙ্গে নিগূঢ় নৈকট্যজনিত মাক্বামের তুলনায় অনুরূদ্ধ কাজটির সমাধান সাইয়্যিদুনা হযরত মুজাদ্দিদে আযম আলাইহিস সালাম উনার পক্ষে শুধু সহজ ও সম্ভবই নয়, একান্তই স্বাভাবিক ও নগণ্য।

সাইয়্যিদুনা ইমাম হযরত মুজাদ্দিদে আযম আলাইহিস সালাম উনার মুবারক নির্দেশমতে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ওলীয়ে মাদারজাত, মুসতাজাবুদ দাওয়াত, ছাহিবুল ইলহাম, ছাহিবে ইলম ওয়াল হিকাম ওয়াল কাশফ ওয়াল কারামত, মিছদাক্বে কুরআন ওয়াল হাদীছ, আওলাদুর রসূল হযরতুল আল্লামা সাইয়্যিদ মুহম্মদ মুখলিছুর রহমান আলাইহিস সালাম উনার কাছে ফিরে যান। বিনীত নিবেদন করেন: হুযূর! বেয়াদবী ক্ষমা চাই। সাইয়্যিদুনা ইমাম মুজাদ্দিদে আযম আলাইহিস সালাম তিনি আমাকে আপনার কাছে পাঠিয়েছেন। আপনার দয়া চাই, মেহেরবানী চাই, নেক দৃষ্টি চাই। দয়া করে আমাকে আর ফিরিয়ে দিবেন না। আফযালুল আউলিয়া, ফখরুল আউলিয়া, ছূফীয়ে বাতিন, ছাহিবে ইসমে আযম, লিসানুল হক্ব, মুসতাজাবুদ দাওয়াত, আওলাদুর রসূল সাইয়্যিদুনা হযরতুল আল্লামা সাইয়্যিদ মুহম্মদ মুখলিছুর রহমান আলাইহিস সালাম তিনি স্মিতহাস্যে বলেন: আবার আমার কাছে?

অতঃপর উনার মুবারক চেহারায় প্রস্ফুটিত হয় গাম্ভীর্যের ছাপ। গভীর মনোনিবেশে তিনি কী যেন ভাবতে থাকেন। জানতে চান: আন্ডার গ্রাউন্ডে পানির ট্যাঙ্কের নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করতে তোমাদের কত সময় লাগবে? সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বলেন: অবশিষ্ট কাজ তিন-চার দিনে শেষ করা সম্ভব হবে। তার সবিনয় প্রার্থনার প্রেক্ষিতে তিনি বলেন: হে ব্যক্তি! বিষয়টির জন্য তুমি সাইয়্যিদুনা ইমাম মুজাদ্দিদে আযম, ছাহিবু সুলত্বানিন নাছীর, জব্বারিউল আউয়াল, ক্ববিউল আউয়াল, জামিউল আলক্বাব, ক্বইয়্যূমুয যামান, মুসতাজাবুদ দাওয়াত, কুতুবুল আলম, গাউছুল আযম, আওলাদুর রসূল আলাইহিস সালাম উনার কাছে নিবেদনে পেশ করেছো। তিনি তোমাকে আমার কাছে পাঠিয়েছেন। তবে তোমার প্রার্থনা পূরণের জন্য বিষয়টি উনাকে অবহিত করাই যথেষ্ট। বিষয়টি তুমি আমাকেও জানিয়েছো। তুমি যাও। কাজ শুরু করার প্রস্তুতি গ্রহণ কর। বৃষ্টি বন্ধ হয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ। (চলবে)

আবা-২০৫

 

একজন কুতুবুজ্জামান- উনার দিদারে মাওলার দিকে প্রস্থান- সাইয়্যিদুনা হযরত দাদা হুযুর ক্বিবলা সাইয়্যিদ মুখলেছুর রহমান আলাইহিস সালাম উনার সাওয়ানেহে উমরী মুবারক-পর্ব-১৪৪

 

ওলীয়ে মাদারজাদ, মুসতাজাবুদ্ দাওয়াত, আফযালুল ইবাদ, ছাহিবে কাশফ্ ওয়া কারামত, ফখরুল আওলিয়া, ছূফীয়ে বাতিন, ছাহিবে ইস্মে আযম, লিসানুল হক্ব, গরীবে নেওয়াজ, আওলাদে রসূল, আমাদের সম্মানিত দাদা হুযূর ক্বিবলা আলাইহিস সালাম-উনার স্মরণে-

একজন কুতুবুয্ যামান-উনার দীদারে মাওলা উনার দিকে প্রস্থান-

রাতের গভীরে অদৃশ্য স্থান থেকে গায়িবী

আওয়াজে দুআ কবুলের স্বীকৃতি

ওলীয়ে মাদারজাত, ছাহিবে ইলম ওয়াল হিকাম ওয়াল কাশফ ওয়াল কারামত, ছাহিবে ইসমে আযম, মাখযানুল মারিফাত, ফখরুল আউলিয়া, আওলাদুর রসূল সাইয়্যিদুনা হযরতুল আল্লামা সাইয়্যিদ মুহম্মদ মুখলিছুর রহমান আলাইহিস সালাম উনার হিদায়েত ও নছীহতের যে আঞ্জাম দান এবং উনার মুবারক সন্তান ওলীয়ে মাদারজাত আশিকে সাইয়্যিদুল আম্বিয়া ওয়াল মুরসালীন, কুতুবুল আলম, ইমামে আযম, গাউছুল আযম, মুর্শিদে আযম, মুজাদ্দিদে আযম, হুজ্জাতুল ইসলাম, খলীফাতুল্লাহ, খলীফাতু রসূলিল্লাহ, ইমামুশ শরীয়ত ওয়াত তরীক্বত, ছাহিবে সুলত্বানিন নাছীর, আওলাদুর রসূল, হাবীবুল্লাহ, সাইয়্যিদুনা হযরত সাইয়্যিদ মুহম্মদ দিল্লুর রহমান আলাইহিস সালাম উনার যে হিদায়েত ও নছীহত এবং ইসলাম ধর্ম নবায়নের লক্ষ্যে কায়িনাতব্যাপী উনার তাজদীদের যে বিস্তার ও বাস্তবায়ন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি হলেন সে সবের মুবারক উৎসমূল।

পঞ্চদশ হিজরী শতকের মহান মুজাদ্দিদ, মুজাদ্দিদে আযম আলাইহিস সালাম উনার সম্মানিত পিতা আওলাদুর রসূল, ওলীয়ে মাদারজাত হযরতুল আল্লামা সাইয়্যিদ মুহম্মদ মুখলিছুর রহমান আলাইহিস সালাম তিনি ছিলেন বেমেছাল মর্যাদার ওলীআল্লাহ। তিনি মুসতাজাবুদ দাওয়াত। উনার মুবারক জীবনব্যাপী সকল দুআই কবুল হয়েছে। রাতের গভীরে অদৃশ্য স্থান থেকে উনার দুআ কবুলের স্বীকৃতি- উনার মান, শান, মর্যাদা ও মাক্বামের তুলনায় সাধারণ বিষয়। সাধারণ হলেও বিষয়টি উনার অসংখ্য কারামতের মধ্যে একটি অনন্য কারামত।

তিন দিনব্যাপী অঝোর ধারার বৃষ্টি

নেক দুআর উসীলায় নিমিষেই বন্ধ

রাজারবাগ দরবার শরীফস্থ বর্তমান দালানটি নির্মাণকালে পানির ট্যাঙ্ক নির্মাণের কাজ শুরু করা হয়। এজন্য আন্ডার গ্রাউন্ডে গভীর গর্ত করতে হয়। অব্যাহত গতিতে কাজ চলাকালে অবিরাম ধারার বৃষ্টি শুরু হয়। এ বৃষ্টি এক নাগাড়ে তিন দিন চলতে থাকে। অবিশ্রান্ত বৃষ্টিতে নির্মীয়মাণ দালানের সন্নিকটস্থ অন্যের মালিকানাধীন একটি বৃহৎ দালান ভেঙ্গে পড়ার উপক্রম হয়। অবিলম্বে বৃষ্টি বন্ধ না হলে অনিবার্য ক্ষতির আশঙ্কায় দুশ্চিন্তার অবধি থাকে না। এমন অবস্থায় বিষয়টি ওলীয়ে মাদারজাত, মুসতাজাবুদ দাওয়াত, আফদ্বালুল আউলিয়া, ছাহিবে ইলম ওয়াল হিকাম ওয়াল কাশফ ওয়াল কারামত, ছাহিবে ইসমে আযম, ছাহিবুল ইলহাম, ফখরুল আউলিয়া, খাজিনাতুর রহমাহ, লিসানুল হক্ব, গরীবে নেওয়াজ, আশিকুল্লাহ, আশিকু রসূলিল্লাহ, কুতুবুয যামান, আওলাদুর রসূল, হযরতুল আল্লামা শাহ ছূফী আলহাজ্জ সাইয়্যিদ মুহম্মদ মুখলিছুর রহমান আলাইহিস সালাম উনাকে অবহিত করা হয়।

উনার কাছে নিবেদন করা হয়, তিন দিন ধরে মুষলধারে বৃষ্টিতে নির্মাণাধীন দালানের আন্ডার গ্রাউন্ডের বিরাট গর্ত পানিতে টইটম্বুর। পানির ট্যাংক নির্মাণের কাজ বিনষ্ট হয়ে যাচ্ছে। অপরদিকে পাশের একটি দালান যে কোন সময় ভেঙ্গে পড়তে পারে। অবিলম্বে বৃষ্টি বন্ধ না হলে সমূহ ক্ষতিসাধিত হবে। হুযূর! দয়া করে কিছু একটা করুন।

বিষয়টি শুনে ওলীয়ে মাদারজাত, মুসতাজাবুদ দাওয়াত, ছাহিবুল ইলহাম, ছাহিবে ইলম ওয়াল হিকাম ওয়াল কাশফ ওয়াল কারামত, মিছদাক্বে কুরআন ওয়াল হাদীছ, আওলাদুর রসূল হযরতুল আল্লামা সাইয়্যিদ মুহম্মদ মুখলিছুর রহমান আলাইহিস সালাম তিনি বলেন: এ বিষয়ে আমার কাছে কেন? এর জন্য সাইয়্যিদুনা ইমাম  হযরত মুজাদ্দিদে আযম আলাইহিস সালাম উনার নেক দুআ চাইতে হবে। তিনি দুআ করলে সমস্যার সমাধান হবে ইনশাআল্লাহ। এখনই উনার কাছে যাও। (চলবে)

আবা-২০৪

একজন কুতুবুজ্জামান- উনার দিদারে মাওলার দিকে প্রস্থান- সাইয়্যিদুনা হযরত দাদা হুযুর ক্বিবলা সাইয়্যিদ মুখলেছুর রহমান আলাইহিস সালাম উনার সাওয়ানেহে উমরী মুবারক-পর্ব-১৪৩

 

ওলীয়ে মাদারজাদ, মুসতাজাবুদ্ দাওয়াত, আফযালুল ইবাদ, ছাহিবে কাশফ্ ওয়া কারামত, ফখরুল আওলিয়া, ছূফীয়ে বাতিন, ছাহিবে ইস্মে আযম, লিসানুল হক্ব, গরীবে নেওয়াজ, আওলাদে রসূল, আমাদের সম্মানিত দাদা হুযূর ক্বিবলা আলাইহিস সালাম-উনার স্মরণে-

একজন কুতুবুয্ যামান-উনার দীদারে মাওলা উনার দিকে প্রস্থান- 

রাতের গভীরে অদৃশ্য স্থান থেকে গায়িবী

আওয়াজে দুআ কবুলের স্বীকৃতি

তিনি আমাকে (লেখক) বলেন, প্রথমে উনাকে দুআ কবুলের অস্বীকৃতি জানানো হয়। অতঃপর তিনি যখন দুআর জন্য আবার মনোনিবেশ করেন, তখন রাতের গভীরে অদৃশ্য স্থান থেকে গায়িবী আওয়াজে উনাকে জানানো হয়: আপনার দুআ কবুল করা হলো। এটি ওলীয়ে মাদারজাত, আফদ্বালুল ইবাদ, মুসতাজাবুদ দাওয়াত, ফখরুল আওলিয়া, ছাহিবে ইসমে আযম, ছাহিবে কাশফ ওয়া কারামত, ওয়ালীদে মুজাদ্দিদে আযম মুদ্দা জিল্লুহুল আলী, আওলাদুর রসূল সাইয়্যিদুনা হযরতুল আল্লামা সাইয়্যিদ মুহম্মদ মুখলিছুর রহমান আলাইহিস সালাম উনার অতুলনীয় মান, শান ও মর্যাদার বহিঃপ্রকাশ এবং উনার অনন্য কারামতের অন্তর্ভুক্ত বিষয়।

সাইয়্যিদুনা হযরত দাদা হুযূর ক্বিবলা ওলীয়ে মাদারজাত, মুসতাজাবুদ দাওয়াত, ছাহিবে ইসমে আযম, লিসানুল হক্ব, আওলাদুর রসূল হযরতুল আল্লামা সাইয়্যিদ মুহম্মদ মুখলিছুর রহমান আলাইহিস সালাম উনার যবান মুবারক থেকে এমন মুবারক সংবাদ শুনে আমি অপরিসীম ইতমিনান লাভ করি। মুবারক ছোহবত শেষে অনেক রাতে আমি বাসায় ফিরে আসি। বিদেশে পারমিশনের জন্য অপেক্ষমাণ আমার দুজন আত্মীয় পরদিন আনন্দ-উদ্বেলিত কণ্ঠে ফোনে আমাকে জানান যে, একদিন পূর্বে (সাইয়্যিদুনা দাদা হুযূর ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি যেদিন দুআ করেছেন) তাদের পারমিশন হয়ে গেছে।

আফদ্বালুল ইবাদ, ছাহিবে কাশফ ওয়া কারামত, ফখরুল আউলিয়া, ছূফীয়ে বাতিন, ছাহিবে ইসমে আযম, লিসানুল হক্ব, গরীবে নেওয়াজ, ছাহিবে ইসমে আযম, মুসতাজাবুদ দাওয়াত, মিছদাক্বে কুরআন ওয়াল হাদীছ, মাখযানুল মারিফাত, আফদ্বালুল আউলিয়া, খাজিনাতুর রহমাহ, ছাহিবুল ইলহাম, আশিকুল্লাহ, আশিকু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, কুতুবুয যামান, ওলীয়ে মাদারজাত, আওলাদুর রসূল, হযরতুল আল্লামা শাহ ছূফী আলহাজ্ব সাইয়্যিদ মুহম্মদ মুখলিছুর রহমান আলাইহিস সালাম উনার ক্বদম মুবারক-এ দুআর জন্য আমি আরজ করেছি। তিনি দুআ করেছেন। উনার দুআ কবুল হয়েছে। এতে আরজু পূরণ হওয়ায় আমি আনন্দিত হয়েছি। ইতমিনান লাভ করেছি। একই সঙ্গে আমার সমঝহীনতার জন্য আমি বিস্মিতও হয়েছি। কারণ দুআ কবুল হওয়া সম্পর্কে উনাকে অবহিতকরণের সূক্ষ্ম বিষয়টি আমার কাছে দুর্বোধ্য। কিন্তু মাহবুব ওলীআল্লাহগণ আলাইহিস সালামম উনাদের মান, শান, মর্যাদা, মর্তবা এবং মহান আল্লাহ পাক এবং উনার প্রিয়তম হাবীব, নূরে মুজাসসাম হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের সঙ্গে সূক্ষ্মদর্শী ওলীআল্লাহগণ উনাদের নিগূঢ় নৈকট্যজনিত মাক্বামাত সম্পর্কে উনার যবান মুবারক-এ তাত্ত্বিক আলোচনা ও নছীহত শুনে বিষয়টি আমার কাছে সহজ হয়ে যায় এবং আমার বিশ্বাসের বুনিয়াদ মজবুত হয়। আমি বুঝতে পারি, উনার সূক্ষ্মদর্শিতা, উনার বেমেছাল, মান, শান, মর্যাদা, মর্তবা এবং মহান আল্লাহ পাক এবং সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের সঙ্গে উনার অবিচ্ছেদ্য নৈকট্যজনিত অবস্থানের তুলনায় উনার দুআ কবুল হওয়া একান্তই সহজ ও স্বাভাবিক বিষয়। বিষয়টি উনার রূহানিয়ত, ইস্তিক্বামত ও মাক্বামাতের সীমাহীন ঊর্ধ্বে।

জগৎ-সংসারের নৈমিত্তিক কাজ ছাড়াও যাবতীয় জটিল ও দুরূহ কাজসমূহ যেসব মাহবুব ওলীআল্লাহগণ উনাদের মুবারক ওসীলায় সমাধা হয়, ওলীয়ে মাদারজাত, আওলাদুর রসূল হযরতুল আল্লামা সাইয়্যিদ মুহম্মদ মুখলিছুর রহমান আলাইহিস সালাম তিনি উনাদের মধ্যে অন্যতম। নাজ-নিয়ামতের পরিপূর্ণতায় তিনি কামালিয়তের শীর্ষ মাক্বামে অধিষ্ঠিত। মুবারক ঊর্ধ্বতন পূর্বপুরুষ আলাইহিস সালামম উনাদের সঙ্গে বংশানুক্রমিক যোগসূত্রে তিনি রহমতুল্লিল আলামীন, রউফুর রহীম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত। তাই তিনি আল হাসানী ওয়াল হুসাইনী ওয়াল কুরাইশী।

সপ্তম হিজরী শতকের মুজাদ্দিদ, সুলত্বানুল হিন্দ, গরীবে নেওয়াজ, ইমামুল আইম্মাহ, আওলাদুর রসূল, হাবীবুল্লাহ হযরত খাজা সাইয়্যিদ মুঈনুদ্দীন হাসান চিশতি সানজারী ছুম্মা আজমিরী আলাইহিস সালাম উনার অন্তরঙ্গ সঙ্গী ও সুহৃদ আওলাদুর রসূল, ওলীয়ে মাদারজাত, কুতুবুল আলম, মাখযানুল মারিফাত, খাজিনাতুর রহমাহ, মঈনুল মিল্লাত, সাইয়্যিদুনা হযরত সাইয়্যিদ আবূ বকর মুজাদ্দিদী আলাইহিস সালাম তিনি আজমীর শরীফ-এ শায়িত রয়েছেন। বংশ পরম্পরায় নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সঙ্গে মুবারক সম্পৃক্ততায় তিনি হযরতুল আল্লামা সাইয়্যিদ মুহম্মদ মুখলিছুর রহমান আলাইহিস সালাম উনার ঊর্ধ্বতন প্রাণপুরুষ। (চলবে)

আবা-২০৩

একজন কুতুবুজ্জামান- উনার দিদারে মাওলার দিকে প্রস্থান- সাইয়্যিদুনা হযরত দাদা হুযুর ক্বিবলা সাইয়্যিদ মুখলেছুর রহমান আলাইহিস সালাম উনার সাওয়ানেহে উমরী মুবারক-পর্ব-১৪২

 

ওলীয়ে মাদারজাদ, মুসতাজাবুদ্ দাওয়াত, আফযালুল ইবাদ, ছাহিবে কাশফ্ ওয়া কারামত, ফখরুল আওলিয়া, ছূফীয়ে বাতিন, ছাহিবে ইস্মে আযম, লিসানুল হক্ব, গরীবে নেওয়াজ, আওলাদে রসূল, আমাদের সম্মানিত দাদা হুযূর ক্বিবলা আলাইহিস সালাম-উনার স্মরণে-

একজন কুতুবুয্ যামান-উনার দীদারে মাওলা উনার দিকে প্রস্থান-

রাতের গভীরে অদৃশ্য স্থান থেকে গায়িবী

আওয়াজে দুআ কবুলের স্বীকৃতি

ওলীয়ে মাদারজাত, মুসতাজাবুদ দাওয়াত, ফখরুল আওলিয়া, আফদ্বালুল ইবাদ, ছাহিবে ইসমে আযম, লিসানুল হক, ছূফীয়ে বাতিন, গরীবে নেওয়াজ, মিছদাক্বে কুরআন ওয়াল হাদীছ, ছাহিবে কাশফ ওয়া কারামত, কুতুবুয যামান, আশিকুল্লাহ, আশিকে রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ওয়ালীদে মুজাদ্দিদে আযম আলাইহিস সালাম, আওলাদুর রসূল, আলহাজ্ব, শাহ ছূফী সাইয়্যিদুনা হযরতুল আল্লামা সাইয়্যিদ মুহম্মদ মুখলিছুর রহমান আলাইহিস সালাম তিনি যে ইলমে গইব জানতেন, সে বিষয়টি বুঝতে গিয়ে আমরা আলোচনার অনেক দূর এসেছি। উনার মুবারক উপলব্ধি, অবহিতি ও দৃষ্টিতে দৃশ্য ও অদৃশ্য বস্তু ও বিষয়ের মধ্যে কোন অন্তরাল ছিলো না। অর্থাৎ তিনি ইলমে গইব-এর পরিমিত হিস্যালাভে কামিয়াব ছিলেন। ঈমানের মূল এবং যাবতীয় বিষয়গুলোই গইব-এর অন্তর্ভুক্ত। যাহির, বাতিন ও গইব যার অনুভব, অবহিতি ও দৃষ্টিতে সমান্তরাল হয় না, তিনি মহান আল্লাহ পাক সুবহানাহূ ওয়া তায়ালা এবং উনার প্রিয়তম হাবীব, রহমতুল্লিল আলামীন, নূরে মুজাসসাম হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের দায়িমী তায়াল্লুক নিছবত হাছিলে ধন্য হবেন কী করে? হযরতুল আল্লামা সাইয়্যিদ মুহম্মদ মুখলিছুর রহমান আলাইহিস সালাম উনার ইলমে গইব-সমৃদ্ধ উচ্চতম মাক্বামের প্রেক্ষিতে রাতের গভীরে অদৃশ্য স্থান থেকে দুআ কবুলের স্বীকৃতিলাভ, এটি অতি সহজ ও স্বাভাবিক বিষয়। সমঝদার মানুষের কাছে বিষয়টি অতি স্বাভাবিক। কিন্তু সাধারণের কাছে দুর্বোধ্য এবং অনেকের কাছে অবোধ্য। তাই এ সম্পর্কে সবিস্তার আলোচনার প্রয়াস।

দীর্ঘ বর্ণনার পর ঘটনার পুনরুল্লেখ প্রয়োজন। মূল বিষয়টি এরকম: আমার (লেখক) বেশ কজন আত্মীয় ইউরোপে থাকেন। তাদের দুজন পৃথকভাবে সেখানে গিয়ে বসবাসের জন্য সংশ্লিষ্ট দেশের সরকারের অনুমতির অপেক্ষায় দীর্ঘকাল অতিবাহিত করেন। দীর্ঘ অপেক্ষায় অনেক চেষ্টার পরও প্রত্যাশিত অনুমতি পাওয়া যাচ্ছিলোনা। তাদেরকে অনুমতি দেয়া হবে না মর্মে ওই দেশের সরকার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছিলো। অবশেষে অবস্থা এতোই প্রকট হলো যে, বাধ্য হয়ে সহসাই শূন্য হাতে তাদের দেশে ফিরে আসতে হবে। জীবনে সচ্ছল হওয়ার স্বপ্নীল আশায় বিপুল টাকা খরচ করে বিদেশে গিয়ে বিফল হয়ে ফিরে আসার যাতনা তাদের জন্য ছিলো দুর্বিষহ। বিদেশ থেকে ফিরে আসার সিদ্ধান্তের প্রায় প্রান্তিক পর্যায়ে বিষয়টি তারা আমাকে জানান এবং ঢাকা রাজারবাগ পাক দরবার শরীফ-এ পঞ্চদশ হিজরী শতকের মুজাদ্দিদে আযম আলাইহিস সালাম উনার মুবারক দুআ ও নেক দৃষ্টি প্রার্থনা করেন। তদনুযায়ী দুআর জন্য উনার ক্বদম মুবারক-এ আমি বিনীত আরজু পেশ করি। অতঃপর আমি উনার বুযুর্গ পিতা ওলীয়ে মাদারজাত, মুসতাজাবুদ দাওয়াত, ছাহিবে ইসমে আযম, ছাহিবে কাশফ ওয়া কারামত, আওলাদুর রসূল, সাইয়্যিদুনা হযরতুল আল্লামা সাইয়্যিদ মুহম্মদ মুখলিছুর রহমান আলাইহিস সালাম উনার মুবারক দুআর জন্য ও সবিনয় প্রার্থনা জানাই। প্রথমে তিনি দুআ করতে অস্বীকৃতি জানান এবং বলেন: আমার বুযূর্গ পুত্র মুজাদ্দিদে আযম আলাইহিস সালাম তিনি থাকতে আমার কাছে দুআ চাওয়া কেন? যাও তুমি উনার নিকট দুআ চাও। আমি নিবেদন করি: সাইয়্যিদুনা দাদা হুযূর ক্বিবলা! আমি উনার কাছে পূর্বেই দুআ চেয়েছি। উনার কাছে দুআ চাওয়ার পর আপনার কাছে দুআ চাইতে তো নিষেধ নেই। তিনি বলেন: যাও, দেখবো।

এভাবে কদিন চলে যায়। ইতোমধ্যে একদিন বিকেলে আমি উনার মুবারক ছোহবতে যাই। ক্বদমবুছী করে আমি নির্বাক বসে থাকি। উনার অনুপম চরিত্র মুবারক মাত্রানুপাত জামাল ও জালালের সমন্বিত রূপ হলেও মুবারক গুণ-বৈশিষ্ট্যে প্রাধান্য বিস্তার করেছে উনার জামাল। এক পর্যায়ে তিনি অত্যন্ত জামালী হালতে স্মিতহাস্যে আমাকে বলেন: তোমার প্রার্থীত বিষয়ে ফায়সালা হয়ে গেছে। এ বিষয়ে চিন্তার আর প্রয়োজন নেই। তোমার আত্মীয়-স্বজন যারা ইউরোপে বসবাসের জন্য পারমিশনের অপেক্ষায় ছিলো, সংশ্লিষ্ট দেশের সরকার তাদেরকে সে পারমিশন দিয়েছে। তাদের পারমিশন হয়ে গেছে। এখন সে দেশে থাকতে তাদের আর কোন অসুবিধা নেই। মনে রেখো, কুল-কায়িনাত এবং ইহকাল ও পরকালের সমুদয় বিষয়ের আদেশদানকারী, ফায়সালাকারী ও বণ্টনকারী হলেন মহান আল্লাহ পাক সুবহানাহূ ওয়া তায়ালা এবং রসূলু রব্বিল আলামীন, মাশুকে মাওলা, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-উনারা। উনাদের সদয় ইচ্ছায় উনাদের মনোনীত ও লক্ষ্যস্থল ওলীআল্লাহ এবং মুজাদ্দিদ-উনাদের মুবারক মাধ্যমে সেসব বিষয়গুলো যমীনে বাস্তবায়িত হয়। (চলবে)

আবা-২০২

একজন কুতুবুজ্জামান- উনার দিদারে মাওলার দিকে প্রস্থান- সাইয়্যিদুনা হযরত দাদা হুযুর ক্বিবলা সাইয়্যিদ মুখলেছুর রহমান আলাইহিস সালাম উনার সাওয়ানেহে উমরী মুবারক-পর্ব-১৪১

 

ওলীয়ে মাদারজাদ, মুসতাজাবুদ্ দাওয়াত, আফযালুল ইবাদ, ছাহিবে কাশফ্ ওয়া কারামত, ফখরুল আওলিয়া, ছূফীয়ে বাতিন, ছাহিবে ইস্মে আযম, লিসানুল হক্ব, গরীবে নেওয়াজ, আওলাদে রসূল, আমাদের সম্মানিত দাদা হুযূর ক্বিবলা আলাইহিস সালাম-উনার স্মরণে-

একজন কুতুবুয্ যামান-উনার দীদারে মাওলা উনার দিকে প্রস্থান-

রাতের গভীরে অদৃশ্য স্থান থেকে গায়িবী

আওয়াজে দুআ কবুলের স্বীকৃতি

ইলমে গইব সম্পর্কে দলীলভিত্তিক সবিস্তার আলোচনায় সুস্পষ্টভাবে প্রমাণিত হয়েছে যে, বাতিন সম্পর্কে লক্ষ্যস্থল ওলীআল্লাহগণ-উনাদের সম্যক অবহিতি, স্বজ্ঞানতা, দৃশ্যমানতা যাহিরকে প্রত্যক্ষ ও উপলব্ধি করার মতোই। উনাদের দৃষ্টির সম্মুখে একাকার হয়ে থাকা যাহির ও বাতিন যুগপৎ অবলোকন এবং এর হাক্বীক্বত উপলব্ধিতে উভয়ের (যাহির ও বাতিন) মধ্যে কোন অন্তরাল নেই। জান্নাত, জাহান্নাম, ফেরেশতা, হাশর, মিজান, পুলসিরাতসহ যাবতীয় বাতিন বিষয় প্রত্যক্ষ না করে এবং এসবের কার্যকারণ অবহিত না হয়ে এমন স্তরের মাহবুব ওলীআল্লাহগণ-উনারা নিজেদেরকে মুমিনে কামিল মনে করেন না। উনাদের কামিয়াবীর প্রথম এবং চূড়ান্ত সোপান হলো সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিয়্যীন, মাশুকে মাওলা, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-উনার সঙ্গে নিগূঢ় তায়াল্লুক-নিসবত এবং দায়িমীভাবে উনার দিদারে মশগুল থাকা। তুলনাহীন এই দিদার-নিমগ্নতায় নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-উনার সদয় আদেশ ও নিষেধ মুতাবিক সমুদয় কাজ নির্বাহ করা।

 রসূলু রব্বিল আলামীনা, সাইয়্যিদুল ক্বউনাইনি, ছাহিবু ক্বাবা ক্বওসাইনি আও আদনা, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-উনার সঙ্গে পর্দার অন্তরালবিহীন সন্নিধান লাভে ধন্য ওলীআল্লাহগণ উনাদের নিকট ইহকাল ও পরকালের সমুদয় বিষয় প্রত্যক্ষকরণ, সেসব সম্পর্কে অবহিতিলাভ এবং পরিমিত ইলম হাছিল স্বাভাবিক ও সহজ। যদিও অজ্ঞ, বাতিল, ধর্মব্যবসায়ী দুনিয়ালোভী আলিম ও ভ-রা এ বিষয়ে সন্দেহ পোষণ এবং অবিশ্বাস করে থাকে।

আপেক্ষিক যোগ্যতা অনুযায়ী সকল লক্ষ্যস্থল ওলীআল্লাহ-উনাদের সঙ্গে রহমতুল্লিল আলামীন, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-উনার দায়িমী দিদার সংঘটিত হয়। এ প্রসঙ্গে অগণিত আউলিয়ায়ে কিরাম আলাইহিস সালামম-উনাদের অনেক মুবারক ঘটনা উল্লেখ করা যায়। হযরত ইমাম আহমদ আবূল আব্বাস মারাসি আলাইহিস সালাম-তিনি উনার নিজের সম্পর্কে বর্ণনা করেন: বিগত চল্লিশ বছর ধরে কখনোই আমি নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-উনার থেকে পৃথক থাকিনি। যদি ক্ষণিকের জন্যও আমি পর্দার আড়ালে চলে যাই এবং এতে যদি রউফুর রহীম, আকরামুল আউয়ালীন ওয়াল আখিরীন, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-উনার সঙ্গে আমার দিদার নছীব না হয়, তবে নিজেকে আমি মুসলমানের অন্তর্ভুক্ত মনে করি না। সুবহানাল্লাহ! (হাক্বীক্বতে মুহম্মদী মীলাদে আহমদী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বুঝতে কষ্ট হওয়ার কথা নয়, এ মুবারক দিদার-এর অংশ বিশেষ নিদ্রায় হলেও মূলত এ দিদার প্রকৃতপক্ষে জাগ্রত অবস্থার। অর্থাৎ সর্বক্ষণের। এমন বেমেছাল তায়াল্লুক-নিসবত মাহবুব ওলীআল্লাহগণ-উনাদের মহা শান, মর্যাদা, মর্তবা ও মাক্বামাত নির্দেশ করে। এই তায়াল্লুক-নিসবতের কারণেই ওলীআল্লাহগণ-উনাদের নিকট যাহির, বাতিন, দৃশ্য, অদৃশ্য যাবতীয় বিষয়ের পর্দা অপসারিত হয়ে যায়।

বিশেষত যিনি রহমতুল্লিল আলামীন, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-উনার ক্বায়িম মক্বাম, প্রিয়তম আওলাদ, আখাছ্ছুল খাছ প্রতিনিধি, তিনি যদি দায়িমীভাবে, অর্থাৎ নিদ্রা ও জাগরণে খইরুল আলামীন, রউফুর রহীম, ছাহিবুল ওহী ওয়াল কুরআন, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-উনার সঙ্গে দায়িমীভাবে দিদারে মশগুল না থাকেন, তবে তিনি ইমামে আযম, গাউছুল আযম, মুর্শিদে আযম, হাবীবে আযম, মুজাদ্দিদে আযম হবেন কিভাবে? তবে তিনি যাহির ও বাতিন যুগপৎ দর্শনে এবং যাবতীয় বিষয়ের হাক্বীক্বী অবগতিলাভে পারঙ্গমতালাভ করবেন কিভাবে?

মূল কথা, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিয়্যীন, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-উনার সঙ্গে তায়াল্লুক-নিসবতের সোপান অনুপাতে ওলীআল্লাহগণ-উনাদের মান, শান, মর্যাদা ও মাক্বাম নিরূপিত হয়। তায়াল্লুক-নিসবতের মাত্রা অনুযায়ী অদৃশ্য বিষয়ের দৃশ্যমানতা এবং সেসবের হাক্বীক্বত উপলব্ধির জন্য ওলীআল্লাহগণের যোগ্যতা হাছিল হয়।

এর বাস্তব উদাহরণ হলেন পঞ্চদশ হিজরী শতকের মুজাদ্দিদ, মুজাদ্দিদে আযম, মুর্শিদে আযম, গাউছুল আযম, ইমামে আযম, খলীফাতুল্লাহ, খলীফাতু রসূলিল্লাহ, ইমামুশ শরীয়ত ওয়াত তরীক্বত, ইমামুল আইম্মাহ, মুহইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, ছাহিবু সুলত্বানিন নাছীর, হুজ্জাতুল ইসলাম, ওলীয়ে মাদারজাত, খাজীনাতুর রহমত, লিসানুল উম্মাহ, সুলতানুল আরিফীন, মাখযানুল মারিফাত, মঈনুল মিল্লাত, ক্বইয়ূমুয্ যামান, আল জাব্বারিউল আউয়াল, আল ক্ববিউল আউয়াল, তাজুল মুফাস্সিরীন, রঈসুল মুহাদ্দিসীন, ফখ্রুল ফুক্বাহা, হাকিমুল হাদীছ, জামিউল আলক্বাব, রসূলে নোমা, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আল হাসানী ওয়াল হুসাইনী ওয়াল কুরাঈশী ওয়াল হানাফী ওয়াল ক্বাদিরী ওয়াল চিশতী ওয়ান নকশবন্দী ওয়াল মুহম্মদী ওয়াল মাতুরিদী আলাইহিস সালাম- তিনি। (চলবে)

 আবা-২০১

 

একজন কুতুবুজ্জামান- উনার দিদারে মাওলার দিকে প্রস্থান- সাইয়্যিদুনা হযরত দাদা হুযুর ক্বিবলা সাইয়্যিদ মুখলেছুর রহমান আলাইহিস সালাম উনার সাওয়ানেহে উমরী মুবারক-পর্ব-১৪০

 


ওলীয়ে মাদারজাদ, মুসতাজাবুদ্ দাওয়াত, আফযালুল ইবাদ, ছাহিবে কাশফ্ ওয়া কারামত, ফখরুল আওলিয়া, ছূফীয়ে বাতিন, ছাহিবে ইস্মে আযম, লিসানুল হক্ব, গরীবে নেওয়াজ, আওলাদে রসূল, আমাদের সম্মানিত দাদা হুযূর ক্বিবলা আলাইহিস সালাম-উনার স্মরণে-

একজন কুতুবুয্ যামান-উনার দীদারে মাওলা উনার দিকে প্রস্থান-

রাতের গভীরে অদৃশ্য স্থান থেকে গায়িবী

আওয়াজে দুআ কবুলের স্বীকৃতি 

দ্বিতীয় প্রকার হলো: যা অবহিত হওয়া বা অনুভব করার জন্য দলীল-প্রমাণ রয়েছে। যেমন মহান আল্লাহ পাক-উনার জাত এবং উনার ছিফতসমূহ। কুরআন শরীফ-এ বর্ণিত

يؤمنون بالغيب (অদৃশ্যে বিশ্বাস স্থাপন)-এ আয়াত শরীফ দ্বারা আমভাবে দ্বিতীয় প্রকার গইবকেই বুঝানো হয়েছে। আর খাছভাবে সর্বপ্রকার গইবকে বুঝানো হয়েছে।

গইব যত প্রকারই হোক না কেন, মহান আল্লাহ পাক রব্বুল আলামীন তিনিই হলেন عالم الغيب (আলিমুল গইব)। অর্থাৎ সর্বপ্রকার গইব বা অদৃশ্য বস্তু বা বিষয়ের ইল্ম আল্লাহ পাক-উনারই রয়েছে। আল্লাহ পাক তিনি বিনা মধ্যস্থতায়, অর্থাৎ কারো মাধ্যম ছাড়াই ইল্মে গইব-এর অধিকারী। আর এরূপ ইল্মে গইব সম্পর্কেই মহান আল্লাহ পাক তিনি কালাম পাক-এ ইরশাদ করেন:

لا يعلم من فى السموت والارض الا الله

অর্থ: আসমান-যমীনে আল্লাহ পাক তিনি ব্যতীত কারো ইল্মে গইব নেই। (সূরা নমল : আয়াত শরীফ-৬৫) অর্থাৎ বিনা মধ্যস্থতায় বা কারো মাধ্যম ব্যতীত যে ইল্মে গইব, তা শুধু আল্লাহ পাক উনারই রয়েছে।

মহান আল্লাহ পাক তিনি কুরআন শরীফ-এ ইরশাদ করেন:

وما اتيتم من العلم الا قليلا

অর্থ: আমি তোমাদেরকে সামান্যতম ইল্ম দান করেছি। (সূরা বনী ইসরাইল: আয়াত শরীফ-৮৫) এ আয়াত শরীফ-এ বর্ণিত ইল্মের স্বল্পতা আল্লাহ পাক-উনার সাধারণ বান্দাদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। আল্লাহ পাক-উনার বিশেষ বা খাছ বান্দা, অর্থাৎ আম্বিয়া আলাইহিমুস সালাম-উনারা এ হুকুমের বাইরে। বিশেষত সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, ছাহিবুল ওহী ওয়াল কুরআন, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-উনি মহান আল্লাহ পাক-উনার খাছ হাবীব বা বন্ধু হওয়ার কারণে স্বয়ং আল্লাহ পাক-তিনিই উনাকে সমুদয় ইল্ম হাদিয়া করেছেন। আল্লাহ পাক তিনি عالم الغيب (আলিমুল গইব)। আর সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিয়্যীন, মাশুকে মাওলা, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি হলেন-

مطلع على الغيب

অর্থাৎ মহান আল্লাহ পাক তিনি উনার প্রিয়তম হাবীব  হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-উনাকে সর্বপ্রকার ইল্ম হাদিয়া করেছেন। কুরআন শরীফ-এ আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ করেন:

وما هو على الغيب بضنين

অর্থ: তিনি (হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) গইব-এর সংবাদ প্রকাশে কৃপণতা করেন না। এরূপ আরো অনেক আয়াত শরীফ ও হাদীছ শরীফ দ্বারা সুস্পষ্টরূপে প্রমাণিত যে, ছাহিবুল ওহী ওয়াল কুরআন, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম- তিনি পরিপূর্ণরূপে ইল্মে গইব-এর অধিকারী।

وما اتيتم من العلم الا قليلا

অর্থ: আমি তোমাদেরকে সামান্যতম ইল্ম দান করেছি। (সূরা বনী ইসরাইল : আয়াত শরীফ-৮৫)

এ আয়াত শরীফ-এ বর্ণিত ইলম-এর স্বল্পতার হুকুমের বিষয় হাক্বীক্বী নায়িবে নবী, ওয়ারাসাতুল আম্বিয়া, অর্থাৎ খাছ ওলীআল্লাহ-উনাদের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য নয়। উনারা এ আয়াত শরীফ-এর হুকুমের বাইরে। হাদীছ শরীফ-এ ইরশাদ হয়েছে: আমি উনার চোখ হয়ে যাই, যা দ্বারা তিনি দেখেন। সুতরাং উনার দেখা আল্লাহ পাক প্রদত্ত অসাধারণ শক্তি বলেই সম্পন্ন হয়ে থাকে। তাই উনার গইব সম্পর্কে অবহিত হওয়াটা বিস্ময়কর কোন বিষয় নয়।

ওলীআল্লাহ উনাদের ইল্মে গইব সম্পর্কে-

من لدنا علما

অর্থ: আর আমি আমার পক্ষ থেকে উনাকে, অর্থাৎ আমার ওলী হযরত খিজির আলাইহিস সালাম-উনাকে ইল্মে লাদুন্নী (গইব-এর ইল্ম) দান করেছি। এ আয়াত শরীফ-এর ব্যাখ্যা ইতোপূর্বে বর্ণনা করা হয়েছে। উক্ত ব্যাখ্যা সংবলিত অর্থাৎ দলীলভিত্তিক আলোচনা দ্বারা প্রমাণিত হলো যে, হযরত আওলিয়ায়ে কিরাম আলাইহিস সালামম-উনারা ইল্মে গইব-এর অধিকারী। (চলবে)

আবা-২০০