খাসী, বলদ ইত্যাদি দ্বারা পবিত্র কুরবানী করা দুরস্ত ও শরীয়তসম্মত তো অবশ্যই বরং খাছ সুন্নত উনার অন্তর্ভুক্ত।
খাসী, বলদ ইত্যাদি দ্বারা পবিত্র কুরবানী করা দুরস্ত ও শরীয়তসম্মত তো অবশ্যই বরং খাছ সুন্নত উনার অন্তর্ভুক্ত :
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ও ফিক্বাহ্র কিতাবে উল্লেখ করা হয়েছে, কোন প্রাণীর কোন এক অঙ্গ যেমন- কান, লেজ ইত্যাদির এক তৃতীয়াংশের বেশী নষ্ট হয়ে গেলে তা দ্বারা কুরবানী করা জায়িয নেই। কোন কোন ক্ষেত্রে যেমন দাঁত অর্ধেকের বেশী যদি থাকে, তাহলে তা দিয়ে কুরবানী করা দুরুস্ত রয়েছে।
এ উছূলের উপর ক্বিয়াস করে কোন কোন আলিম নামধারী মূর্খ ও গুমরাহ লোকেরা বলে থাকে যে, খাসী ও বলদ ইত্যাদি প্রাণী দ্বারা কুরবানী করলে নাকি কুরবানী দুরুস্ত হবেনা। নাঊযুবিল্লাহ! অথচ এ ধরণের ক্বিয়াস অশুদ্ধ, নাজায়িয এবং পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার বিরোধী। কেননা স্বয়ং মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি নিজে খাসী কুরবানী করেছেন। যা পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে উল্লেখ রয়েছে-
عَنْ حَضْرَتْ جَابِرٍ رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ قَالَ ذَبَحَ الِنَّبُّى صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَوْمَ الذَّبْحِ كَبْشَيْنِ أَقْرَنَيْنِ اَمْلَحَيْنِ مَوْجَوْئَيْنِ.
অর্থ : “হযরত জাবির রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বর্ণনা করেন। নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি এক কুরবানী উনার দিন সাদা-কালো মিশ্রিত রঙ্গের শিং বিশিষ্ট খাসীকৃত দু’টি তাজা দুম্বা কুরবানী করলেন।” (আবূ দাঊদ শরীফ)
কাজেই, এ পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার দ্বারা এটাই প্রমাণিত হয়, খাসী এবং খাসীকৃত প্রাণী কুরবানী করা জায়িয তো বটেই বরং খাস সুন্নত উনার অন্তর্ভুক্ত। খাসী করার কারণে প্রাণীর মধ্যে ছূরতান (প্রকাশ্য) যে ত্রুটি বা খুঁত হয়, সেটা শরয়ী ত্রুটি বা খুঁতের অন্তর্ভুক্ত নয়।

**********************************
খাসীকৃত পশু কুরবানী করা খাছ সুন্নত মুবারক


পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-

عن حضرت جابر رضى الله تعال عنه قال ذبع النبى صلى الله علعة وسلم يوم الذبح كبشين اقرنين املحين موجوئين فلما وجههما قال انى وجهت وجهى الّذى فطر السموت والارض على ملة ابراهيم حنيفا وما انا من المشركين ان صلوتى ونسكى ومحياى ومماتى لله رب العالمين لاشريك له وبذلك أمرت وانا من المسلمين اللهم منك ولك عن محمد وامته بسم الله والله اكبر ثم ذبح  رواه احمد وابو داود وابن ماجة والدارمى وفى رواية لاحمد وابى داود والترمذى ذبح بيده وقال بسم الله والله اكبر اللهم هذا عنى وعمن لم يضح من امتى .

অর্থ:- “হযরত জাবির রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বলেন। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি এক পবিত্র কুরবানী উনার দিনে দুটি ধূসর রংয়ের শিংওয়ালা খাসীকৃত দুম্বা যবেহ করলেন এবং যখন উনাদেরকে ক্বিবলামুখী করলেন, বললেন- আমি আমার চেহারাকে ফেরালাম উনার দিকে যিনি আসমানসমূহ ও যমীনকে সৃষ্টি করেছেন, সকল দিক হতে বিমুখ হয়ে এবং নিজকে হযরত ইবরাহীম আলাইহিস সালাম উনার সম্মানিত দ্বীন উনার উপর প্রতিষ্ঠিত করে, আর আমি মুশরিকদের অন্তর্গত নই (যারা দেব-দেবীর নামে যবেহ করে থাকে)। উপরন্তু আমার নামায, আমার কুরবানী, আমার অবস্থান বা হায়াত ও আমার মউত বা ইনতেকাল সবই বিশ্বজগতের পালনকর্তা মহান আল্লাহ পাক উনার উদ্দেশ্যে। উনার কোনো শরীক নেই। আমি এর জন্য আদিষ্ট হয়েছি এবং আমি মুসলমানদের (আত্মসমর্পণকারীদের) অন্তর্গত। আয় আল্লাহ পাক! আপনার পক্ষ হতেই প্রাপ্ত এবং আপনারই জন্য উৎসর্গিত। আপনি কবুল করুন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পক্ষ হতে এবং উনার উম্মতগণের পক্ষ হতে। অতঃপর নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ‘বিসমিল্লাহি ওয়াল্লাহু আকবর’ বলে যবেহ করলেন।” (আহমদ শরীফ, আবূ দাউদ শরীফ, ইবনে মাজাহ শরীফ, দারিমী শরীফ)
 
আবু দাউদ শরীফ, আহমদ শরীফ ও তিরযিমী শরীফ উনাদের মধ্যে বর্ণিত রয়েছে, “নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি আপন হাত মুবারকে যবেহ করলেন এবং বললেন, ‘বিসমিল্লাহি ওয়াল্লাহু আকবর’। আয় আল্লাহ পাক! এটা আমার পক্ষে এবং আমার উম্মতগণের মধ্যে যারা পবিত্র কুরবানী করতে পারেনি তাদের পক্ষে কবুল করুন।”

উল্লিখিত পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার দ্বারা সুস্পষ্টভাবে প্রমাণিত হলো যে, খাসীকৃত পশু কুরবানী করা শুধু জায়িযই নয়, বরং খাছ সুন্নত মুবারক। পাশাপাশি উল্লিখিত দোয়া মুবারক পাঠ করে উল্লিখিত নিয়মে নিজ হাতে পশু কুরবানী করা খাছ সুন্নত মুবারক বলে প্রমাণিত হলো। 
************************************************************************

১৯. নং- কুরআন শরীফ, হাদীছ শরীফ, ইজমা ও ক্বিয়াস-এর দৃষ্টিতে লাইলাতুন নিছফি মিন শা’বান বা শবে বরাত ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া

কুরআন শরীফ, হাদীছ শরীফ, ইজমা ও ক্বিয়াস-এর দৃষ্টিতে লাইলাতুন নিছফি মিন শাবান বা শবে বরাত ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া দেয়ার কারণ


সুন্নতের পথিকৃত, হক্বের অতন্দ্র প্রহরী, দ্বীন ইসলামের নির্ভীক সৈনিক, সারা জাহান থেকে কুফর, শিরক ও বিদয়াতের মুলোৎপাটনকারী, বাতিলের আতঙ্ক এবং আহ্লে সুন্নত ওয়াল জামায়াতের আক্বীদায় বিশ্বাসী একমাত্র দলীলভিত্তিক তাজদীদী মুখপত্র- æমাসিক আল বাইয়্যিনাতপত্রিকায় এ যাবৎ যত লেখা বা ফতওয়াই প্রকাশ বা পত্রস্থ হয়েছে এবং ইনশাআল্লাহ হবে তার প্রতিটিরই উদ্দেশ্য বা মাকছূদ এক ও অভিন্নঅর্থাৎ æমাসিক আল বাইয়্যিনাত”-এ এমন সব লেখাই পত্রস্থ হয় যা মানুষের আক্বীদা ও আমলসমূহ পরিশুদ্ধ ও হিফাযতকরণে বিশেষ সহায়ক
উলামায়ে ছূরা শবে বরাতসম্পর্কে সমাজে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছেউলামায়ে ছূবা ধর্মব্যবসায়ীরা বলে ও প্রচার করে থাকে যে, শবে বরাত কুরআন শরীফ ও হাদীছ শরীফ-এর কোথাও  নেই, শবে বরাত পালন করা বিদয়াত, নাজায়িয ও হারামনাঊযুবিল্লাহ!
তাদের এ বক্তব্যের কারণে তারা নিজেরা যেরূপ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, তদ্রুপ তাদের উক্ত কুফরীমূলক বক্তব্য ও বদ আমলের কারণে সাধারণ মুসলমানগণ ইতিক্বাদী বা আক্বীদাগত ও আমালী বা আমলগত উভয় দিক থেকেই বিরাট ক্ষতির সম্মুক্ষীন হচ্ছেকেননা হাদীছ শরীফে শবে বরাতের অশেষ ফযীলত বর্ণিত হয়েছেযেমন এ প্রসঙ্গে হাদীছ শরীফে বর্ণিত রয়েছে-
ان الدعاء يستجاب فى خمس ليال اول ليلة من رجب وليلة النصف من شعبان وليلة القدر المباركة وليلتا العيدين
অর্থ: æনিশ্চয়ই পাঁচ রাত্রিতে দোয়া নিশ্চিতভাবে কবুল হয়ে থাকে। (১) রজব মাসের প্রথম রাতে, (২) শবে বরাতের রাতে, (৩) ক্বদরের রাতে, (৪) ঈদুল ফিতরের রাতে, (৫) ঈদুল আযহার রাতে
হাদীছ শরীফে আরো ইরশাদ হয়েছে-
عن حضرت على عليه السلام قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم اذا كانت ليلة النصف من شعبان فقوموا ليلها وصوموا يومها فان الله تعالى ينزل فيها لغروب الشمس الى السماء الدنيا فيقول الامن مستغفر فاغفرله الا مسترزق فارزقه الا مبتلى فاعافيه الا كذا الا كذا حتى يطلع الفجر.
অর্থ: æহযরত আলী কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহু আলাইহিস সালাম উনার থেকে বর্ণিততিনি বলেন, আল্লাহ পাক-উনার রসূল, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন্ নাবিয়্যীন, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ করেন, যখন শাবানের পনের তারিখ রাত্রি উপস্থিত হবে তখন তোমরা উক্ত রাত্রিতে নামায আদায় করবে এবং দিনে রোযা রাখবেকেননা নিশ্চয়ই আল্লাহ পাক উক্ত রাত্রিতে সূর্যাস্তের সময় পৃথিবীর আকাশে আসেন অর্থাৎ রহমতে খাছ নাযিল করেনঅতঃপর ঘোষণা করেন, æকোন ক্ষমা প্র্রার্থনাকারী আছ কি? আমি তাকে ক্ষমা করে দিবæকোন রিযিক প্রার্থনাকারী আছ কি? আমি তাকে রিযিক দান করবæকোন মুছিবতগ্রস্থ ব্যক্তি আছ কি? আমি তার মুছিবত দূর করে দিবএভাবে ফজর পর্যন্ত ঘোষণা করতে থাকেন” (ইবনে মাজাহ্, মিশকাত)
এ ধরনের আরো অসংখ্য হাদীছ শরীফ রয়েছে, যাতে শবে বরাত-এর ফযীলতের কথা বলা হয়েছে অর্থাৎ যারা শবে বরাত পালন করবে তারা মহান আল্লাহ পাক ও উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-উনাদের উভয়েরই খাছ রেযামন্দি বা সন্তুষ্টি লাভ করবে
অতএব, নিঃসন্দেহে বলা যায় যে, উলামায়ে æছূ"দের উক্ত বক্তব্য ও বদ আমলের কারণে সাধারণ মুসলমানগণ শবে বরাতপালন থেকে বিরত থেকে অশেষ ফযীলত থেকে মাহরূম হবেযা আমলের ক্ষেত্রে বিশেষভাবে ক্ষতিকর
কাজেই যারা এ ধরনের কুফরী আক্বীদায় বিশ্বাসী ও কুফরী বক্তব্য প্রদানকারী, তারা ও হক্ব তালাশী সমঝদার মুসলমানগণ ঈমান ও আমলকে যেন হিফাযত করতে পারেঅর্থাৎ শবে বরাতসহ সকল বিষয়ে আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াতের আক্বীদার ন্যায় আক্বীদা পোষণ করতে পারে এবং কুরআন শরীফ, হাদীছ শরীফ, ইজমা ও ক্বিয়াস মোতাবেক আমল করে আল্লাহ পাক-উনার রেজামন্দী হাছিল করতে পারেসে জন্যই কুরআন শরীফ, হাদীছ শরীফ, ইজমা ও ক্বিয়াস-এর দৃষ্টিতে লাইলাতুন নিছফি মিন শাবান বা শবে বরাত’-এর আহকাম ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কিত ফতওয়াটি প্রকাশ করা হলো


শবে বরাত সম্পর্কে উলামায়ে ছূও বাতিল ফিরক্বার মনগড়া, দলীলবিহীন ও বিভ্রান্তিকর বক্তব্য এবং তার দলীলভিত্তিক খ-ণমূলক সঠিক জাওয়াব


পূর্ব প্রকাশিতের পর

ইহুদীদের আরেক দালাল ওহাবী মুনাফিক দাইয়্যুস সাঈদীর শবে বরাত সম্পর্কে গোমরাহী ও কুফরীমূলক বক্তব্য:

আরেক গ-মূর্খ তথা আশাদ্দুদ দরজার জাহিল  কাট্টা ওহাবী, দাইয়ূস সাঈদী ওরফে ইহুদী শবে বরাতসম্পর্কে মন্তব্য করেছে- æপবিত্র শবে বরাত মানুষের জন্য কোন কল্যাণ বয়ে আনে নাশবে বরাতের কোন  গুরুত্ব নেইশরীয়তে শবে বরাতের কোন জায়গা নেই” (দৈনিক সংবাদ ১৩/০৩/৯৪ইং প্রকাশিত)


মুনাফিক সন্তান, দাইয়্যূস ও ধর্মব্যবসায়ী ইহুদী এজেন্ট সাঈদীর গোমরাহী ও কুফরীমূলক বক্তব্যের দলীলভিত্তিক খ-নমূলক দাঁত ভাঙ্গা জাওয়াব:

ইহুদী এজেন্ট মুনাফিক ধর্মব্যবসায়ী দাইয়্যূস গোমরাহ সাঈদী শবে বরাত সম্পর্কে যে বক্তব্য পেশ করেছে তা মনগড়া, বানোয়াট, ভিত্তিহীন, বিভ্রান্তিকর, দলীলবিহীন ও কুফরীমূলক হয়েছেকেননা সে হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার হাদীছ শরীফ-এর স্ববিরোধী বক্তব্য দিয়েছেকুরআন শরীফ-এর আয়াত শরীফ অস্বীকার করেছেসে বলেছে শবে বরাত কোন কল্যাণ বয়ে আনেনাশবে বরাত কোন অস্তিত্ব ও গুরুত্ব শরীয়তে নেইঅথচ কুরআন শরীফ-এর আয়াত শরীফ ও অসংখ্য হাদীছ শরীফ দ্বারা লাইলাতুল বরাত, লাইলাতুন নিছফি মিন শাবান তথা শবে বরাত সম্পর্কে অসংখ্য ছহীহ হাদীছ শরীফ রয়েছে
পূর্ব প্রকাশিতের পর
কেউ কেউ ভাগ্য নির্ধারনের রাত দ্বারা ليلة القدر কে বুঝিয়ে থাকেনতবে তা সঠিক নয়, কেননা সূরা ক্বদরের তাফসীরে বিশ্ববিখ্যাত তাফসীর গ্রন্থ æতাফসীরে মাযাহারীর”-এর ১০ম খ-ে তার যথার্থ সমাধানে দলীল উল্লেখ করেছেন যে, ليلة القدر তথা শবে ক্বদরই হচ্ছে মূলত পূর্ব নির্ধারিত বিষয়ের বাস্তবায়নের রাত
যেমন এ প্রসঙ্গে উক্ত কিতাবে উল্লেখ আছে যে-
قيل (للحسن بن الفضل) فما معنى ليلة القدر قال سوق الـمقادير الى الـمواقيت وتنفيذ القضاء الـمقدر يعنى اطلاع الـملائكة الـموكلة على الا مور فى تلك الليلة ما قدر الله تعالى امر السنة فى عباده وبلاده الى السنة الـمقبلة وقال عكرمة تقدير الـمقادير وابرهم الامور فى ليلة النصف من شعبان فيها ينسخ الاحياء من الاموات فلا يزداد فيهم ولا ينقص منهم ويؤيده مارواه البغوى ان رسول الله صلى الله عليه وسلم قال يقطع الاجال من شعبان الى شعبان حتى ان الرجل لينكح ويولد له ولقد خرج اسمه فى الـموتى قلت لعل تقدير الـمقابير بنحو من الانجاء او بعضها فى ليلة النصف من شعبان وتقديرها كلها وتسليمها الى اربابها انـما هو فى ليلة القدر وروى ابو الضحى عن حضرت ابن عباس رضى الله تعالى عنه ان الله يقضى الاقضية ليلة النصف من شعبان وسلمها الى اربابها فى ليلة القدر كذا ذكر البغوى وقال الزهرى سميت بـها للعظمة والشرف قال الله تعالى وما قدروا الله حق قدره اى ما عظموه وقيل لان العمل الصالح فيه يكون ذا قدر عند الله.
অর্থ: æহযরত হাসান ইবনে ফযল রহমতুল্লাহি আলাইহিকে ক্বদরের রাত তথা শবে ক্বদরের অর্থ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি তার জবাবে বলেন, স্থিরীকৃত ফায়ছালাকে তার নির্ধারিত সময়ের দিকে পরিচালনা এবং নির্ধারিত সিদ্ধান্তের বাস্তবায়ন বা জারী করার রাতই হচ্ছে ক্বদরের রাতঅর্থাৎ মহান আল্লাহ পাক বান্দাদের আগামী এক বৎসরের যাবতীয় কিছুই ১৫ই শাবানের রাতে তথা শবে বরাতে নির্ধারণ (বা ফায়সালা) করেন, আর ক্বদরের রাতে সেই নির্ধারিত বিষয়সমূহকে বাস্তবায়ন করার জন্য বাস্তবায়নকারী হযরত ফেরেশ্তা আলাইহিমুস সালাম উনাদের হাতে অর্পন করা হয়
হযরত ইকরামা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বলেন, পূর্বে স্থিরকৃত যাবতীয় বিষয়গুলোর যথাসময়ে নির্ধারণ এবং যাবতীয় বিষয়ের ফায়ছালা হয়ে থাকে মধ্য শাবানের তথা ১৫ ই শাবানের রাতে (শবে বরাতে)  এবং আরো তালিকা প্রস্তুত করা হয় মৃত্যু ও জীবীতদেরএই তালিকা থেকে কোন বৃদ্ধিও করা হয় না এবং কোন কমতিও করা হয় নাঅর্থাৎ ঐ তালিকার কোন পরিবর্তন করা হয় নাইকরামা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু এর এই উক্তির সমর্থনে হযরত বাগবী রহমুতল্লাহি আলাইহি এর একটি বর্ণনা উল্লেখ করা হয় যে, সেখানে হাদীসের উদ্ধৃতিতে বলা হয়েছে, হযরত রসূলে পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন এক মধ্য শাবান হতে পরবর্তী বৎসরের মধ্য শাবান পর্যন্ত মৃত্যুর তালিকা প্রস্তুত করা হয়এমনকি ব্যক্তির বিবাহ এবং সেই বৎসর তার কি সন্তান জন্মলাভ করবে এবং সেই বৎসর কখন মৃত্যুবরণ করবে তার যাবতীয় তালিকাও প্রস্তুত করা হয় এই শবে বরাতেনাম থাকে তাদেরও যারা ঐ সময়ে বিবাহ করার পর ইন্তেকাল করবে
গ্রন্থকার বলেন, আমি উভয়ের পূর্ণ বা আংশিক সামঞ্জস্যে বলি, সম্ভবত নির্ধারিত বিষয়ের নুন্যতম পরিসংখ্যান প্রস্তুত করা হয় মধ্য শাবান তথা ১৫ই শাবান রাতেআর ক্বদরের রাতে নিশ্চিতরূপে বাস্তবায়ন করার জন্য তালিকা পেশ করা হয় বাস্তবায়নকারী হযরত ফেরেশ্তা আলাইহিমুস সালাম উনাদের হাতেঅর্থাৎ শবে বরাতে সমস্ত কিছু ফায়ছালা করা হয়আর ক্বদর রাতে জারী বা কার্যকরী করনের জন্য তালিকা কার্যকরী হযরত ফেরেশ্তা আলাইহিমুস সালাম উনাদের হাতে অর্পন করা হয়
কেননা এ প্রসঙ্গে হযরত আবুদ্বহা রহমতুল্লাহি আলাইহি-এর বর্ণনায় এসেছে হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বলেছেন, অর্ধ শাবান রাতে অর্থাৎ শবে বরাতে মহান আল্লাহ পাক সকল বিষয়ের ফায়ছালা অর্থাৎ তালিকা প্রস্তুত করেনআর ক্বদর রাতে তা কার্যকরী করার জন্য ঐ তালিকা অর্পন করেন বাস্তবায়নকারী হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনাদের হাতেএরূপ হাদীছ শরীফ বর্ণনা করেন মুফাস্সীরকুল শিরোমনি ইমাম হযরত বাগবী রহমতুল্লাহি আলাইহি
ইমাম যুহরী রহমতুল্লাহি আলাইহি বলেন, লাইলাতুল ক্বদর (মহিমান্বিত রাত) নামকরন করা হয়েছে তার শ্রেষ্টত্ব ও মহিমা অনুসারেযেমন মহান আল্লাহ পাক (সূরা আনয়াম ৯১নং আয়াত শরীফে) বলেন, তারা মহান আল্লাহ পাক উনাকে যথার্থ তাযীম তথা সম্মান দেয়নিঅর্থাৎ মহান আল্লাহ পাক তিনি যেমন মহান মর্যাদা ও মর্তবা পাওয়ার অধিকারী সেভাবে মূল্যায়ন করা হয়নি। (এখানে ক্বদর অর্থ হল মহত্ত্ব বা মর্যাদাকাজেই যারা বলে থাকে سورة القدر এর মধ্যে যে ليلة القدر শব্দগুলো উল্লেখ আছে তার দ্বারা শুধু ভাগ্যরজনীকে বুঝানো হয়েছে আলাদাভঅবে কোন রাত্রিকে ভাগ্যরজনী হিসেবে সাব্যস্ত করা যাবে নাতাদের এরূপ উক্তি মোটেও শুদ্ধ নয়বরং চরম জিহালতপূর্ণ কথা
অথচ উল্লেখিত তাফসীরের আলোকে জানা গেল যে, ليلة القدر বলতে এখানে সম্মানিত ও মহিমান্বিত রাত্রিকে বুঝানো হয়েছেযা রমাদ্বান শরীফের শেষের দশদিনের বিজোড় রাত্রিতে নিহিততাই সুস্পষ্টভাবে বুঝা গেল, ليلة القدر দ্বারা ভাগ্যরজনী বা ভাগ্য নির্ধারণের রাত নয়বরং মহিমান্বিত বা মর্যাদার রাত) কেননা এই ক্বদর রাতের নেক আমল মহান আল্লাহ পাক উনার কাছে মর্যাদাপূর্ণপক্ষান্তরে শবে বরাত এবং শবে ক্বদরকে আলাদা ভাগে ভাগ করা হয়েছেযেমন এ প্রসঙ্গে বিশ্বখ্যাত তাফসীর তাফসীরে মাদিরক-এ
ليلة المباركة এ আয়াতাংশের তাফসীরে উল্লেখ করেন-
(৩৮২-৩৮৩)
ليلة النصف من شعبان ... وهذه الليلة مفرق كل امر حكيم ومعنى يفرق يفصل ويكتب كل امر من ارزاق العباد واجالهم وجميع امورهم من هذه الليلة الى ليلة القدر التى تجئ فى السنة الـمقبلة.
অর্থ:- ليلة مباركة (লাইলাতুম মুবারাকাহ) দ্বারা উদ্দেশ্য হচ্ছে অর্ধ শাবানের রাত তথা শবেবরাতএবং এই মুবারকময় রাতে সকল প্রজ্ঞাপূর্ণ বিষয়সমূহের ফায়সালা করা হয়আয়াত শরীফ-এর يفرق শব্দের অর্থ হচ্ছে يفصل (ইউফাছছালু) তথা ফায়সালা করা, এবং يكتب (ইউকতাবু) তথা লেখা হয় প্রত্যেক বান্দাদের রিযিক তথা জীবিকাসমূহতাদের মৃত্যুর সময় সীমাও লেখা হয়এবং সমস্ত বিষয়ের তালিকা লেখা হয় এই মুবারক রাতে তথা শবে বরাতেআর ক্বদর রাতে তথা মর্যাদাবান রাতে ঐ সমস্ত ফয়সালাকৃত বিষয়গুলো চালু করা হয় তথা কার্যকরী করা হয় যা সামনের এক বৎসর পর্যন্ত চলতে থাকে। (তাফসীরু হাশিয়াতিল খাযিন ৪র্থ খ-,পৃঃ ১১২)
এ প্রসঙ্গে সুবিখ্যাত তাফসীর, তাফসীরুল খাযিন এর ৪র্থ খ-ের ১১২ পৃষ্ঠায় আরো উল্লেখ আছে যে-
(৩৮৪-৩৮৬)
(انا انزلناه فى ليلة مباركة).. وقيل هى ليلة النصف من شعبان عن ام الـمؤمنين حضرت عائشة عليها السلام قالت قال رسول الله صلى الله عليه وسلم ان الله تبارك وتعالى ينزل ليلة النصف من شعبان الى السماء الدنيا فيغفر لاكثر من عدد شعر غنم كلب اخرجه الترمذى .. (فيها) اى فى تلك الليلة الـمباركة  (يفرق) اى يفصل (كل أمر حكيم) وقيل هى ليلة النصف من شعبان يبرم فيها أمر السنة وينسخ الاحياء من الاموات وروى البغوى بسنده ان النبى صلى الله عليه وسلم قال تقطع الاجال من شعبان الى شعبان حتى ان الرجل لينكح ويولد له وقد خرج اسمه فى الـموتى وعن ابن عباس رضى الله تعالى عنهما ان الله يقضى الاقضية فى ليلة النصف من شعبان ويسلمها الى اربابـها فى ليلة القدر.
অর্থ: æনিশ্চয়ই আমি এক বরকতময় রাত্রিতে উহা অর্থাৎ পবিত্র কুরআন শরীফ অবতীর্ণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিতবে লাইলাতুম মুবারাকা দ্বারা অর্ধ শাবান তথা ১৫ই শাবানের রাতকে (শবে বরাত) উল্লেখ করা হয়েছেকেননা উম্মুল মুমিনীন হযরত আয়িশা ছিদ্দীক্বা আলাইহাস সালাম উনার থেকে হাদীছ শরীফ বর্ণিত আছেতিনি বলেন, হযরত নবী পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ করেন, নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক তিনি অর্ধ শাবানের রাতে (১৫ই শাবান রাতে) পৃথিবীর নিকটতম আকাশে অবতরণ করেন তথা রহমতে খাছ নাযিল করেন, অতঃপর মহান আল্লাহ পাক তিনি ওই রাতে বনী ক্বলব গোত্রের বকরীর পশমের সংখ্যা পরিমাণ অধিক সংখ্যক বান্দাদেরকে ক্ষমা করেনএই হাদীছ শরীফখানা হযরত ইমাম তিরমিযী রহমতুল্লাহি তিনি বর্ণনা করেন
পরবর্তী আয়াত শরীফ-এ বলা হয়েছে ওই মুবারকময় রাতে প্রত্যেক হিকমতপূর্ণ বিষয়ের ফায়ছালা তথা সিদ্ধান্ত করা হয়
আর ফায়ছালার তথা তালিকা প্রস্তুত করার রাত দ্বারা বুঝানো হয়েছে অর্ধ শাবানের রাত তথা ১৫ই শাবানের রাত (শবে বরাতকে)আর এই শবে বরাতে আগামী এক বৎসরের যাবতীয় বিষয়ের ভাগ্যলিপি প্রস্তুত করা হয় এবং জীবিত ও মৃত্যুদের তালিকাও ওই রাতে প্রস্তুত করা হয়কেননা এ উক্তির সমর্থনে প্রখ্যাত ইমাম ও মুজতাহিদ হযরত ইমাম বাগবী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি উনার তাফসীরে বাগবীএর মধ্যে পূর্ণ সনদের মাধ্যমে হাদীছ শরীফ উল্লেখ করেছেন যে, নিশ্চয়ই হযরত রসূলে পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বলেন, এক শাবান তথা মধ্য শাবান থেকে পরবর্তী মধ্য শাবান পর্যন্ত মৃতদের তালিকা প্রস্তুত করা হয়এবং এমনকি একজন ব্যক্তি কখন বিবাহ করবে তার কি সন্তান হবে, তার সেই বৎসরে কখন মৃত্যুবরণ করবে তার নামের তালিকাও প্রস্তুত করা হয় শবে বরাতেএ প্রসঙ্গে হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুমা উনার থেকে হাদীছ শরীফ বর্ণিত আছে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ করেন, অর্ধ শাবানের রাতে তথা ১৫ই শাবানের রাতে (শবে বরাতে) মহান আল্লাহ পাক তিনি যাবতীয় বিষয়ের সিদ্ধান্ত নেনআর ক্বদর রাতে (শবে ক্বদরে) সেই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন তথা কার্যকর করার জন্য তালিকা অর্পণ করেন বাস্তবায়নকারী হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনার হাতে। (তাফসীরে মাদারিক)
উপরোল্লিখিত দলীলভিত্তিক আলোচনা দ্বারা এটাই প্রমাণিত হলো যে, ইহুদী এজেন্ট, মুনাফিক মওদুদীর পোষ্য সন্তান, ধর্ম ব্যবসায়ী, ওহাবীদের অনুসারী, হিন্দু পুজারী, দাইয়্যুস, পথভ্রষ্ট, দে. হো সাঈদীর উক্ত বক্তব্য মনগড়া, বানোয়াট, ভিত্তিহীন, বিভ্রান্তিকর, গোমরাহী ও কুফরীমূলক হয়েছে

পরিশিষ্ট

বাতিলের আতঙ্ক হক্বের অতন্দ্র প্রহরী আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াতের আক্বীদায় বিশ্বাসী একমাত্র দলীলভিত্তিক মুখপত্র মাসিক আল বাইয়্যিনাত-এর ১৯৫ থেকে ২১৩তম সংখ্যা, অর্থাৎ ১৯টি সংখ্যায় æকুরআন শরীফ, হাদীছ শরীফ, ইজমা ও ক্বিয়াসের দৃষ্টিতে লাইলাতুন নিছফি মিন শাবান বা শবে বরাত-এর আহকাম ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়াশিরোনামে অসংখ্য নির্ভরযোগ্য ও অকাট্য দলীলের মাধ্যমে যে ফতওয়া প্রদান করা হয়েছে তার মূল বিষয়বস্তু হলো-
১. মুসলমানদের ঈমান ও আমল হিফাযতের লক্ষ্যে অর্থাৎ মহান আল্লাহ পাক এবং উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের খাছ রেযামন্দি হাছিলের লক্ষ্যেই পবিত্র শবে বরাত সম্পর্কে ফতওয়া প্রদান করা হয়েছে
২. শবে বরাতকথাটি আরবী এবং ফার্সী ভাষার সংমিশ্রনে গঠিতযার অর্থ হচ্ছে ভাগ্য রজনী বা মুক্তি তথা নাজাতের রাত
৩. পবিত্র কুরআন শরীফ-এ শবে বরাতকে লাইলাতুম মুবারাকাহঅর্থাৎ বরকতময় রজনী বলে উল্লেখ করা হয়েছে
৪. হাদীছ শরীফ-এ শবে বরাতকে লাইলাতুন নিছফি মিং শাবানঅর্থাৎ শাবানের মধ্য রাত বা শাবানের ১৫ তারিখ রাত বলা হয়েছে
৫. বিশ্বখ্যাত তাফসীর শরীফ, হাদীছ শরীফ, হাদীছ শরীফ-এর ব্যাখ্যাগ্রন্থ ফিক্বাহ ও ফতওয়ার কিতাবে শবে বরাত-এর উল্লিখিত নাম ছাড়াও আরো বহু নাম উল্লেখ রয়েছেযেমন লাইলাতুল ক্বিসমাহ, লাইলাতুত তাজবীয, লাইলাতুল ফায়ছালাহ, লাইলাতুল আফওি, লাইলাতুল কারামি, লাইলাতুত তওবাহ, লাইলাতুন নাদাম ইত্যাদি
৬. পবিত্র কুরআন শরীফ-এর সূরা দুখানের ৩-৪ নং আয়াত শরীফ-এ বর্ণিত ليلة مباركة লাইলাতুম মুবারাকাহ দ্বারা পবিত্র শবে বরাতকেই বুঝানো হয়েছেযা বিশ্বখ্যাত ও নির্ভরযোগ্য অসংখ্য তাফসীরের কিতাবে বর্ণিত রয়েছে
৭. একাধিক ছহীহ হাদীছ শরীফ এ বর্ণিতليلة النصف من شعبانলাইলাতুন নিছফি মিং শাবানদ্বারা পবিত্র শবে বরাতকেই বুঝানো হয়েছেঅর্থাৎ শাবান মাসের ১৫ তারিখ রাত অর্থাৎ ১৪ তারিখ দিবাগত রাতটিই মূলত শবে বরাতযা ছিহাহ সিত্তাহসহ অসংখ্য নির্ভরযোগ্য ও বিশ্বখ্যাত হাদীছ শরীফ ও হাদীছ শরীফ-এর ব্যাখ্যাগ্রন্থসমূহে উল্লেখ আছে
৮. যে বা যারাই শবে বরাতকে বিদয়াত বলে থাকে তারা সকলেই কাযযাব, গোমরাহ, বিদয়াতী, ধর্মব্যবসায়ী ও উলামায়ে ছূর অন্তর্ভুক্ততাদের কথা গ্রহনযোগ্য ও অনুসরণীয় নয়
মূল কথা হলো কুরআন শরীফ, হাদীছ শরীফ, ইজমা ও ক্বিয়াসের দৃষ্টিতে পবিত্র শবে বরাত পালন করা জায়িয তো অবশ্যই বরং সুন্নতে রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সুন্নতে ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম ও সুন্নতে আউলিয়ায়ে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিম এর অন্তর্ভুক্ততাই শবে বরাতের বিরোধীতা করা কাট্টা কুফরীর অন্তর্ভুক্ত
মহান আল্লাহ পাক আমাদের সকলকে অত্র ফতওয়া মুতাবেক আমল করে মহান আল্লাহ পাক এবং উনার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের খাছ রেযামন্দি হাছিল করার তাওফীক দান করুনআমীন
সমাপ্ত
আবা-২১৩