মুসলিম দেশ, মুসলিম সরকার পবিত্র রমযানে দ্রব্যমূল্যের নেই প্রতিকার!

Related image


পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে, “পবিত্র রমযান মাস ধৈর্যের মাস এবং এই ধৈর্যের পুরস্কার হলো পবিত্র জান্নাত। আর এই মাস হলো মানুষের প্রতি সমবেদনা ও সহানুভূতি প্রকাশের মাস।” (মিশকাত শরীফ)
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে অত্যন্ত সুস্পষ্টভাবে পবিত্র রমযান মাসকে মুসলমানদের প্রতি সমবেদনা ও সহানুভূতি প্রকাশের মাস হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য যে, প্রতি বছর পবিত্র রমযান মাস আসে, মাস যায় কিন্তু মুসলমানদের দুরবস্থা অপরিবর্তিতই থেকে যায়। খোদ মুসলমানদের শাসক গোষ্ঠীও প্রতি বছর দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখার আশা দিয়ে ৯৮ ভাগ মুসলমানের সাথে প্রবঞ্চনা করে থাকে। প্রতি বছরই সরকারের তরফ থেকে বলা হয়, রমযানে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি হলে কঠোর ব্যবস্থা, পবিত্র রমযানে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে কমিটি গঠন করা হয়েছে ইত্যাদি ইত্যাদি। কিন্তু এসব বক্তব্য এখন যেন কাটা ঘায়ে নূনের ছিটা। প্রতিবছরই দেখা যায় ক্ষমতাসীনদের বক্তব্য আর বাস্তবতার মধ্যে নির্মম রসিকতা।
প্রসঙ্গত বলতে হয়, বাংলাদেশ সরকারের দাবি তারা ইসলামবান্ধব ইসলামের ধারক বাহক। নির্বাচনী ইশতেহারেও বলা হয়েছে, পবিত্র কুরআন শরীফ-পবিত্র সুন্নাহ শরীফ উনার বাইরে কোনো আইন হবে না। এও বলা হয়েছে, দেশ চলবে মদীনা সনদ অনুযায়ী। তা-ই যদি হয়ে থাকে, তাহলে পবিত্র রমযান শরীফ মাসে কেন সম্মানিত মাহে রমাদ্বান উনার মর্যাদা-পবিত্রতা রক্ষা করা হয় না। কেন এ মাস আসলেই সবকিছুর দাম বেড়ে যায়? কেন এ মাসে মুসলমানগণ কোনো সহানুভূতি পায় না? কেন দরিদ্র মুসলমানগণ সরকারের সাহায্য সহযোগিতা পায় না? শাসকগোষ্ঠী কাল-হাশরের ময়দানে এর কি জবাব দিবে?
পবিত্র ৯ই রমাদ্বান শরীফ উপলক্ষে সবাইকে ছাত্র আনজুমানে আল বাইয়্যিনাত পক্ষ থেকে বিশেষ ইফতার মাহফিলের দাওয়াত

Image result for খলিফাতুল উমাম


আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ,
আপনি যেনে খুশি হবেন যে, আসছে আগামী ৯ই রমাদ্বান শরীফ যামানার ইমাম ও লক্ষস্হল ওলীআল্লাহ ,মুজাদ্দিদে আযম  মামদুহ হযরত মুরশিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার  লখতে জিগার,মুজাদ্দিদে আযমে ছানী , বাহরুল উলুম আক্বা হযরত খলীফাতুল উমাম আলাইহিস সালাম উনার মুবারক বিলাদত শরীফ উপলক্ষে ছাত্র আনজুমানে আল বাইয়্যিনাত-এর উদ্যেগে আযীমুশ শান ইফতার  মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে।
উক্ত ইফতার মাহফিলে আপনার উপস্থিতি আমাদের একান্ত কাম্য।
ওয়াস সালাম

কেন্দ্রীয় যুব আনজুমানে আল বাইয়্যিনাত , রাজারবাগ শরীফ , ঢাকা - ১২১৭
“ত্বলায়াল বাদরু আলাইনা” : ৯ই রমাদ্বান সোমবার শরীফ ‘পূর্ণিমার চাঁদ’ উঠল বাংলার আকাশে

Related image



আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ করেন, “আল্লাহ পাক (উনার খাছ ওলী হিসেবে) যাঁকে ইচ্ছা তাঁকেই মনোনীত করেন।” (সূরা শুরা: ১৩)
আরবী পঞ্চদশ শতাব্দী। গাছে গাছে ফুল ফুটেছে। পাখিদের কণ্ঠে সুমধুর সুরের বন্যা ছড়াচ্ছে বসন্তের সমারোহ চারদিকে। ঐ জান্নাত থেকে ভেসে আসা মৃদু মৃদু হাওয়া বইছে। গোটা সৃষ্টির মাঝে ঈদের খুশির ঢেউ ছড়াচ্ছে। কি যেন এক খোদায়ী বেশুমার খুশির আমেজ।
আজ সারা কায়িনাতে রহমতের সর্বত্রই ছড়াছড়ি। সেই রহমতের হিস্সা সমস্ত মাখলুকাত উপভোগ করছে। মু’মিন মু’মিনাদের অন্তরে ঈমানী জজবার ফোয়ারা। (সুবহানাল্লাহ)
সেই যে এক শহর, বড় শহর। যার ইতিহাস অনেক বড়। যার নাম ঢাকা শহর। এই শহরের মধ্যে প্রসিদ্ধ মুবারকময় পবিত্র স্থান রাজারবাগ শরীফ। কে না জানে এই পবিত্র ভূমির কথা। সবারই অন্তরে গাঁথা মুখে মুখে রাজারবাগ দরবার শরীফ-এর কথা।
সূর্য তখনও হাঁসতে শুরু করেনি। রাতের অন্ধকার দূরীভূত হয়ে পূর্ণিমার চন্দ্রের আলোয় আলোকিত হচ্ছে সারা যমীন। জান্নাত থেকে হুর গেলেমানরা দলে দলে আসছে তাঁর খিদমতে। কত ওলী, আউলিয়া, কুতুব-আবদাল, আশিক-আশিকানের ভীড়। একটু স্থান ফাঁকা নেই। সবাই যেন দাঁড়িয়ে ছলাত ও সালাম পাঠ করছে। সকলের মুখে মুখে আনন্দচিত্তে আকাশ-বাতাস মুখরিত করে উচ্চারিত হচ্ছে “ত্বলায়াল বাদরু আলাইনা……..”। সমস্ত মাখলুকের মুখে মুখে মুখভরা মুচকি হাঁসি আর হাঁসি।
একলক্ষ চব্বিশ হাজার মতান্তরে দুই লক্ষ চব্বিশ হাজার নবী-রসূল আলাইহিমুস্ সালাম উনারা আলাপ-আলোচনা করছেন আজকে নবীদের নবী, রসূদের রসূল, নূরে মুজাস্সাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র ‘সাইয়্যিদ’ বংশে উনার আওলাদ হিসেবে দুনিয়ায় তাশরীফ নিচ্ছেন পঞ্চদশ শতাব্দীর সুমহান মুজাদ্দিদ, মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমামুল আইম্মাহ, মুহইস্ সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, গাউছুল আ’যম, সাইয়্যিদুল খুলাফা, সাইয়্যিদুল আউলিয়া,  রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার প্রিয় লখ্তে জিগার, পূতঃপবিত্র  আওলাদ ,আল-মানসুর, খলীফাতুল উমাম, সাইয়্যিদুনা  ইমাম হযরত শাহযাদা ক্বিবলা আলাইহিস সালাম।
রাত্রি শুরু হয়েছে ছলাতুল মাগরিবের সময় প্রায় শেষ। এক্ষুনি আল্লাহু আকবার আযানের ধ্বনিতে আকাশ-বাতাস মুখরিত হবে। ওলীআল্লাহ, গাউছ-কুতুব, মু’মিন-মুত্তাক্বী ও আশিক-আশিকা, আসমানবাসী-যমীনবাসী সকলেই অধির আগ্রহে অপেক্ষিত। আকাশে-বাতাসে, জান্নাতের পাখ-পাখালির মুখে মুখে, পাহাড়-পর্বতে, সমস্ত সৃষ্টির মাঝে বইছে ঈদের খুশি। সবারই মুখে মুখে উচ্চারিত হচ্ছে ঈদ মুবারক! ঈদ মুবারক! ঈদ মুবারক। চাতক পাখির মত মাখলুক অপেক্ষিত, হা হা করছে সবারই অন্তর মাঝে। কখন উঠবেন পূর্ণিমার সেই চাঁদ। কখন প্রকাশ পাবেন, কবে নিয়ে আসবেন মুক্তির বার্তা। সেই সময়টি ছিল রহমতের মাস, বরকতের দিন। পবিত্র রমাদ্বান শরীফ, যার মধ্যে রহমত, বরকত, বেশুমার বর্ষিত হয়ে থাকে। এই দিনে জান্নাতের সমস্ত দরজা মুবারক খুলে রাখা হয়েছে। রহমতের সমস্ত দরজা খুলে দেয়া হয়েছে। আকাশের দরজাগুলো খুলে রাখা হয়েছে। তার বিপরীতে জাহান্নামের সমস্ত দরজাগুলো বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। মরদুদ শয়তানদের আবদ্ধ করে রাখা হয়েছে। কোথাও কোন স্থান খালি নেই, সর্বত্রই অকাতরে রহমত বইছে।
এমনি এক সময় আল্লাহ পাক ও উনার হাবীব, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিয়্যীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পছন্দনীয় সময়ে, পবিত্র মাসে বিলাদত শরীফ লাভ করেন আল্লাহ পাক উনার খাছ মাহবুব, প্রিয় বান্দা এবং সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আদরের দুলাল, চোখের মণি, লখতে জিগার, প্রিয়তম আওলাদ এবং যামানার ইমাম, আল্লাহ পাক-এর খাছ লক্ষ্যস্থল ওলী মুজাদ্দিদে আ’যম, হাবীবুল্লাহ, সাইয়্যিদুল আউলিয়া, হুজ্জাতুল ইসলাম, কুতুবুল আলম, ঢাকা রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার সবচেয়ে প্রিয়পাত্র, কলিজার টুকরা, চোখের মণি, লখতে জিগার, প্রিয়তম সন্তান, আল-মানসুর, খলীফাতুল উমাম, সাইয়্যিদুনা  ইমাম হযরত শাহযাদা ক্বিবলা আলাইহিস সালাম। (সুবহানাল্লাহ) সেই রাতটি ছিল সোমবার শরীফ, ৯ই রমাদ্বান ইশার ওয়াক্ত।
স্মরণীয় যে, নূরে মুকাররম, হাবীবুল্লাহ, আওলাদে রসূল, আল-মানসুর, খলীফাতুল উমাম, সাইয়্যিদুনা  ইমাম হযরত শাহযাদা ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি আল্লাহ পাক উনার পক্ষ থেকে এক বিশেষ রহমত। যিনি পাক পাঞ্জাতনের একজন, পবিত্র আহলে বাইত শরীফ উনাদের অন্তর্ভুক্ত। যিনি আল্লাহ পাক উনার মনোনীত ও প্রেরিত।
এ সম্পর্কে আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ করেন, “হে হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আপনি (উম্মতদেরকে) বলে দিন, আল্লাহ পাক-এর ফযল ও রহমত লাভ করার কারণে তারা যেন আনন্দ, খুশি প্রকাশ করে।” (সূরা ইউনূছ: ৫৮)
কাজেই আওলাদে রসূল, আল-মানসুর, খলীফাতুল উমাম, সাইয়্যিদুনা  ইমাম হযরত শাহযাদা ক্বিবলা আলাইহিস সালাম আল্লাহ পাক উনার তরফ থেকে এক বিশেষ রহমত। তাই উনার বিলাদত শরীফ উপলক্ষে খুশি প্রকাশ করা, উনার তা’যীম-তাকরীম, ছানা-ছিফত ও খিদমত করা মূলতঃ আল্লাহ পাক ও উনার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আদেশ-নির্দেশের অন্তর্ভুক্ত। আল্লাহ পাক তিনি সমস্ত কায়িনাতবাসীকে এই মুবারক দিনে খুশি প্রকাশ করার তাওফিক দান করুন। (আমীন)
৯ই রমাদ্বান, ৯ই রমাদ্বান

Related image৯ই রমাদ্বান, ৯ই রমাদ্বান
আজ ঈদের দোলা, দোলছে নিরালা
আসমান আর যমীন, খুশিতে বিলীন
পেয়ে নূরী চাঁন।
নিয়ে নূরী মাক্বাম, খলীফাতুল উমাম
যুগের সেরা ওলী, হয়ে ফুলকলি
সূরভী ছড়ান।
ফুটে হাসনাহেনা, বলে ছিফত ছানা
তিনি আউলিয়া তাজ, হলেন খোদায়ী নাজ
সবার তরে ইহসান।
পিতা ইমামুল উমাম, মাতা উম্মুল উমাম
দুনিয়ার তামাম, উনাদের গোলাম
উনারা আল্লাহতে কুরবান।
বিদয়াত আর বেশরা, করতে দুনিয়া ছাড়া
শয়তানী ঐ রাজ, ভাঙ্গতে যে আজ
এলেন জান্নাতী রায়হান।
ওই উলামায়ে সূ’, ঈমান নিভু নিভু
ইবলিশের চেলা, দ্বীনে অবহেলা
উড়াতে ওদেরই গর্দান।
দেখো ! খিলাফতী নিশান, আজ জুড়েছে জাহান
জান্নাতের শান্তি, নেই কোন ক্লান্তি
দিবেন আক্বাজান।
উনার হাতে সমশীর, তিনি বিজয়ী বীর
বিজয়ী বেশে, তাশরীফ দেশে দেশে
খলীফা সুলতান।
৯ই রমাদ্বান শরীফ মারহাবা ইয়া শাহযাদা

Related image


মারহাবা, মারহাবা, মারহাবা ইয়া শাহযাদা।
মাহে রমাদ্বান, হলো আলোয়ান,
আপনার মুবারক ছোঁয়ায়
৯ই রমাদ্বান হলো মহীয়ান,
আক্বা আপনাকে পাওয়ায়।
আল মানছুর, মুবারক নূর,
মুবারক শান আপনার,
নূরী খিলাফত, আপনার মতে মত,
চাইলেই হবে ইজহার।
যুলুম নির্যাতন, করবেন পতন,
নূরী মুবারক আদর্শে,
ক্লান্তি মিটাবেন, শান্তি দানিবেন,
রইবেন সবার শীর্ষে।
হক্ব নাহক্বের করবেন ফারাক্ব,
সুন্নী সীরতের আলোকে
সত্য মিথ্যা সব বুঝাবেন,
একটি চোখের পলকে।
হইবে বায়াত জিন ইনসানে
আপনার মুবারক হাতে
দলে দলে আসবে মিলে,
আপনার নূরী খিদমতে।
নয়তো দূরে, আসবে ঘুরে,
কায়িনাত আপনার হাতে
ধরা চালাবেন, পথ দেখাবেন,
থাকবেন দায়িম সুন্নতে।
মহান, বরকতময় পবিত্র ৯ই রমাদ্বান শরীফ- হযরত খলীফাতুল উমাম আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র বিলাদত শরীফ দিবস

Related image

মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, ‘হে আমার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! তাদের (বান্দা-বান্দী ও উম্মতদের)কে মহান আল্লাহ পাক উনার বিশেষ বিশেষ দিন ও রাতগুলো স্মরণ করিয়ে দিন।’
সুমহান, বরকতময় পবিত্র ৯ই রমাদ্বান শরীফ-
আওলাদে রসূল হযরত খলীফাতুল উমাম আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র বিলাদত শরীফ দিবস।
যা মহান আল্লাহ পাক উনার বিশেষ দিন অর্থাৎ রহমত, বরকত ও খুশি প্রকাশ তথা ঈদের দিন।
তাই সকলের দায়িত্ব ও কর্তব্য হচ্ছে- আওলাদে রসূল হযরত খলীফাতুল উমাম আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র বিলাদত শরীফ দিবস অত্যন্ত জওক্ব-শওক্ব ও শান-শওক্বত উনার সাথে উদযাপনের লক্ষ্যে এখন থেকেই প্রস্তুতি গ্রহণ করা।
যা উদযাপনকারী সকলের জন্যই রহমত, বরকত, সাকীনা, মাগফিরাত ও নাযাত লাভের অন্যতম কারণ হবে।
যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ, মুজাদ্দিদে আ’যম, সাইয়্যিদুল আউলিয়া, ইমামুল আইম্মাহ, কুতুবুল আলম, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, হযরত আওলাদে রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের পবিত্র বিলাদত শরীফ বেমেছাল রহমত, বরকত ও খুশি প্রকাশের কারণ। তাই সকলের উচিত- উনাদের পবিত্র বিলাদত শরীফ উপলক্ষে অত্যন্ত জওক-শওক ও শান-শওকতের সাথে খুশি প্রকাশ করে রহমত, বরকত, সাকীনা, মাগফিরাত ও নাযাতের হিসসা লাভ করা।
ক্বায়িম-মক্বামে মুজাদ্দিদে আ’যম, মুজাদ্দিদে আ’যমে ছানী, খলীফাতুল উমাম, আওলাদে রসূল রাজারবাগ শরীফ উনার হযরত শাহযাদা হুযূর ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র বিলাদত শরীফ সুমহান ৯ই রমাদ্বান শরীফ উপলক্ষে কুল-কায়িনাতের করণীয় সম্পর্কে আলোচনাকালে এক ক্বওল শরীফ-এ তিনি এসব কথা বলেন।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার রহমত মুবারক উনার হিসসা লাভ করে রহমত মুবারক উনার অধিকারী হয়েছেন অন্যান্য সমস্ত হযরত নবী ও রসূল আলাইহিমুস সালাম উনারা একইভাবে পবিত্র রিসালত উনার যুগ শেষ হয়ে যাওয়ার পর তথা আখিরী রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র বিছাল শরীফ উনার পর উনার যাঁরা ক্বায়িম-মক্বাম ওলীআল্লাহ উনারা সেই রহমত মুবারক উনার হিসসা পেয়ে রহমত মুবারক উনার অধিকারী হয়েছেন।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, মহান আল্লাহ পাক তিনি উনার মনোনীত ও মাহবুব বান্দা-বান্দী উনাদের পবিত্র বিলাদত শরীফ ও পবিত্র বিছাল শরীফ উনাদের মাধ্যমে অনেক মাস, তারিখ ও বারকে মহাসম্মানিত করেন। যেমন নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র বিলাদত শরীফ ও পবিত্র বিছাল শরীফ উনাদের মাধ্যমে পবিত্র রবীউল আউয়াল শরীফ মাস উনাকে, পবিত্র ১২ই শরীফ তারিখ উনাকে এবং পবিত্র ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীমি বা সোমবার শরীফ বার উনাকে মহাসম্মানিত করেছেন। সুবহানাল্লাহ! অনুরূপ পবিত্র শা’বান মাসটিও অনেক সুমহান ব্যক্তিগণ উনাদের পবিত্র বিলাদত শরীফ উনার কারণে মহাসম্মানিত। কারণ পবিত্র শা’বান মাস উনার ৫ তারিখ সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুছ ছালিছ মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র বিলাদত শরীফ দিবস। ১৫ই শা’বান সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুছ ছানী মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র বিলাদত শরীফ দিবস। পহেলা রমাদ্বান শরীফ গাউছুল আ’যম হযরত বড়পীর ছাহেব রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার পবিত্র বিলাদত শরীফ দিবস। ৩রা রমাদ্বান শরীফ উম্মু আবীহা হযরত যাহরা আলাইহাস সালাম উনার পবিত্র বিছাল শরীফ দিবস। সুবহানাল্লাহ!
আর সুমহান ৯ই রমাদ্বান শরীফ হচ্ছে আওলাদে রসূল হযরত খলীফাতুল উমাম আলাইহিস সালাম উনার মহা পবিত্র বিলাদত শরীফ দিবস। যে দিবসগুলো কুল-কায়িনাতের সকলের জন্যই মহান ঈদের বা খুশির দিন। সুবহানাল্লাহ!
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, আওলাদে রসূল হযরত খলীফাতুল উমাম আলাইহিস সালাম তিনি আখাছ্ছুল খাছ আওলাদে রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। সম্মানিত পিতা এবং সম্মানিত মাতা উভয় দিক থেকেই তিনি আখিরী রসূল, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার খাছ বংশধর। অর্থাৎ হযরত আওলাদে রসূল আলাইহিস সালাম। উনার বংশগত পরিচয় মুবারকই উনার সুমহান শান-মান, মর্যাদা-মর্তবা, ফাযায়িল-ফযীলত, বুযূর্গী-সম্মান বুঝার জন্য যথেষ্ট।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, হযরত আওলাদে রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের ফাযায়িল-ফযীলত, মর্যাদা-মর্তবা, শান-মান মুবারক সম্পর্কে পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে, হযরত জাবির রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বলেন, “আমি নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে দেখেছি, তিনি বিদায় হজ্জে আরাফার দিন উনার ‘কাসওয়া’ নামক উষ্ট্রীর উপর সাওয়ার অবস্থায় খুৎবা মুবারক প্রদান করেছেন।” আমি শুনেছি, তিনি খুৎবা মুবারকে বলেছেন, “হে লোক সকল! আমি তোমাদের মাঝে এমন দু’টি মহান নিয়ামত মুবারক রেখে যাচ্ছি, তোমরা যদি তা শক্তভাবে ধরে রাখ। অর্থাৎ মুহব্বত ও খিদমত করো, তবে তোমরা কখনও গুমরাহ বা ধ্বংস হবে না; তা হলো মহান আল্লাহ পাক উনার পবিত্র কিতাব ও আমার সম্মানিত ইতরত বা আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম বা আওলাদ আলাইহিমুস সালাম উনারা।”
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, আওলাদে রসূল হযরত খলীফাতুল উমাম আলাইহিস সালাম তিনি উক্ত পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার হাক্বীক্বী মিছদাক। উক্ত পবিত্র হাদীছ শরীফ দ্বারা বুঝা যায়, আওলাদে রসূল হযরত খলীফাতুল উমাম আলাইহিস সালাম তিনি উম্মতগণের জন্য সুমহান নিয়ামত, বরকত, সাকীনা এবং মাগফিরাত, নাযাত লাভের উসীলা। তাই পবিত্র ৯ই রমাদ্বান শরীফ জ্বিন-ইনসান সকলের জন্যই অত্যন্ত আনন্দের দিন তথা ঈদ বা খুশীর দিন।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, মূলকথা হলো- সুমহান, বরকতময় পবিত্র ৯ই রমাদ্বান শরীফ- আওলাদে রসূল হযরত খলীফাতুল উমাম আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র বিলাদত শরীফ দিবস। যা মহান আল্লাহ পাক উনার বিশেষ দিন অর্থাৎ রহমত, বরকত ও খুশি প্রকাশ তথা ঈদের দিন। তাই সকলের দায়িত্ব ও কর্তব্য হচ্ছে- আওলাদে রসূল হযরত খলীফাতুল উমাম আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র বিলাদত শরীফ দিবস অত্যন্ত জওক্ব-শওক্ব ও শান-শওক্বত উনার সাথে উদযাপনের লক্ষ্যে এখন থেকেই প্রস্তুতি গ্রহণ করা। যা উদযাপনকারী সকলের জন্যই রহমত, বরকত, সাকীনা, মাগফিরাত ও নাযাত লাভের অন্যতম কারণ হবে।
সুমহান ঐতিহাসিক ও অবিস্মরণীয় পবিত্র ৯ই রমাদ্বান শরীফ

Related image 


সীমাহীন রহমত, রবকত, মাগফিরাত ও নাজাতে ভরপুর। নববী স্নিগ্ধধারা, কুল-কায়িনাতের মহান অভিভাবক, দুনিয়া ও আখিরাতের নাজাতের কাণ্ডরী, পবিত্র জান্নাতী নূরী ফুল, নকশায়ে নবী, আওলাদে রসূল, ছানীয়ে মুজাদ্দিদে আ’যম, সাইয়্যিদুনা ইমাম হযরত খলীফাতুল উমাম আলাইহিস সালাম উনার পবিত্রতম বিলাদত শরীফ। যা কুল কায়িনাতের সর্বশ্রেষ্ঠ ঈদ তথা খুশির দিন
জলীলুল ক্বদর ছাহাবী হযরত আবূ যর গিফারী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত, তিনি পবিত্র কা’বা শরীফ উনার দরজা মুবারক ধরে বলেন, আমি নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে বলতে শুনেছি, “হে কায়িনাতবাসী, সাবধান! আমার পবিত্রতম হযরত আওলাদ আলাইহিমুস সালাম উনারা হলেন তোমাদের জন্য হযরত নূহ আলাইহিস সালাম উনার নৌকার মতো। যে ব্যক্তি উনার মধ্যে আরোহণ করবে, সে নাজাত পাবে। সুবহানাল্লাহ! আর যে উনার থেকে দূরে থাকবে সে ধ্বংস হয়ে যাবে।” নাউযুবিল্লাহ!
এই পবিত্রতম হাদীছ শরীফ থেকে সুস্পষ্ট হচ্ছে যে, হযরত আওলাদুর রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের পবিত্রতম বিলাদত শরীফই হচ্ছেন সকল জিন-ইনসানসহ সমগ্র কায়িনাতবাসীর জন্য নাজাতের একমাত্র উপায়-অবলম্বন তথা নাজাতের প্রধানতম উসীলা। সুবহানাল্লাহ!
এ কারণেই ঐতিহাসিক ও অবিস্মরণীয় পবিত্র ৯ই রমাদ্বান শরীফ সমস্ত মাখলুকাতের মধ্যে বিশেষ করে জিন-ইনসান উনাদের জন্য সীমাহীন রহমত বরকত, সাকীনা, মাগফিরাত ও নাজাতে পরিপূর্ণ। সুবহানাল্লাহ! কেননা এই পবিত্র ৯ই রমাদ্বান শরীফ-এ মুবারক তাশরীফ নিয়ে অফুরন্ত রহমত-বরকত, সাকীনা, মাগফিরাত ও নাজাত দানে সমগ্র কায়িনাতবাসীকে যিনি ধন্য করেেেছন তিনিই হচ্ছেন খলীফাতুল্লাহ, খলীফাতু রসূলিল্লাহ, ইমামুশ শরীয়ত ওয়াত ত্বরীকাত, ইমামুল আইম্মাহ, মুহইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, রাহবারে আ’যম, আল গাউছুল আ’যম, নূরে আ’যম, নূরে মুকাররম, নূরে মদীনা, ওয়ারাছাতুল আম্বিয়া, ইরাদাতুর রব্বি ওয়ার রসূল, ইমামুদ দুনিয়া ওয়াল আখিরা, আন নি’মাতুল কুবরা আলাল আলাম, সমগ্র কায়িনাতের মহান অভিভাবক দুনিয়া ও আখিরাতের নাজাতের কা-ারী, জান্নাতী নূরী মেহমান, মাশুকে মাওলা, হাবীবুল্লাহ, জামিউন নিয়ামত, জামিউল আলক্বাব, নকশায়ে রসূল, পবিত্রতম লখতে জিগারে রসূল, নববী খুশবু ও স্নিগ্ধধারা, আখাছ্ছুল খাছ আওলাদুর রসূল, ছানীয়ে মুজাদ্দিদে আ’যম, সাইয়্যিদুনা ইমাম হযরত খলীফাতুল উমাম আলাইহিস সালাম, রাজারবাগ শরীফ, ঢাকা। উনার মুবারক তাশরীফে পবিত্র জান্নাতী সুশীতল সমীরণ শিরশির করে বইছে। পবিত্র জান্নাতী হুর গেলমান ঈদের আনন্দে আজ মাতোয়ারা। খোদ ইলাহী তায়ালা তিনি উনার প্রিয়তম রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকেসহ সকল হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে নিয়ে ঈদ তথা খুশি প্রকাশ করছেন। ঈদ তথা খুশি প্রকাশ করছেন খাতুনে জান্নাহ হযরত যাহরা আলাইহাস সালামসহ সকল হযরত আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম এবং হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনারা। তাই সমস্ত কায়িনাতে উচ্চ আওয়াজে প্রতিধ্বনিত হচ্ছে ঈদ মুবারক! ঈদ মুবারক!!
লক্ষ-কোটি কারণে পবিত্র ৯ই রমাদ্বান শরীফ সমস্ত কায়িনাতবাসীর জন্য সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ, সাইয়্যিদে ঈদে আ’যম, সাইয়্যিদে ঈদে আকবর তথা কুল-মাখলুকাতের সর্বশ্রেষ্ঠ ঈদ বা খুশির দিন। সুবহানাল্লাহ! যা পালন করা পবিত্র ফরয উনার অন্তর্ভুক্ত। যেমন, এ প্রসঙ্গে মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, قل بفضل الله و برحمته فبذالك فليفرحوا هو خير مما يجمعون- অর্থাৎ “আয় আমার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আপনি কুল-কায়িনাতবাসীকে জানিয়ে দিন- হে কায়িনাতবাসী! নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে সবচেয়ে বড় ফযল তথা মহান অনুগ্রহ ও রহমত তথা সবচেয়ে বড় নিয়ামত হিসেবে পাওয়ার কারণেই তোমরা সর্বশ্রেষ্ঠ ঈদ তথা খুশি প্রকাশ করো। আর এই ঈদ তথা খুশি প্রকাশ করাই হবে তোমাদের দুনিয়া ও আখিরাতের সর্বত্তোম পাথেয়।” সুবহানাল্লাহ!
উক্ত পবিত্র আয়াত শরীফ উনার মাধ্যমে মহান আল্লাহ পাক তিনি নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্রতম আগমন শরীফ উপলক্ষে সাইয়্যিদুল আইয়াদ, সাইয়্যিদে ঈদে আ’যম, সাইয়্যিদে ঈদে আকবর, পবিত্র ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করা ‘ফরযকরণের’ মাধ্যমেও পবিত্রতম আওলাদুর রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের পবিত্রতম বিলাদত শরীফ উপলক্ষে ঈদ তথা খুশি প্রকাশ করা ফরয করে দিয়েছেন। সুবহানাল্লাহ!
এ হেতুতেও পবিত্র ৯ই রমাদ্বান শরীফ মুসলিম উম্মাহ উনাদের ঈমান উনার সাথে ওতপ্রোতভাবে সংশ্লিষ্ট। কেননা এই পবিত্রতম দিনে এমন এক মহান অযুদ পাক তাশরীফ নিয়েছেন, যাঁর পবিত্রতম শিরা-উপশিরা ও ধমনী মুবারক-এ সঞ্চারিত ও সঞ্চিত রয়েছে, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্রতম নূর মুবারক ও খুন মুবারক। অর্থাৎ নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্রতম নূর মুবারক উনার সাথেই উনার মহান সম্পৃক্ততা। উনার মহাসম্মানিত আব্বাজান আলাইহিস সালাম তিনি হচ্ছেন যামানার খাছ লক্ষ্যস্থল ওলীআল্লাহ, কুল-কায়িনাতের মহান ধারক-বাহক ও অভিভাবক, দুনিয়া ও আখিরাতের নাজাতের মূল উসীলা, যিনি যামানার খাছ লক্ষ্যস্থল, ইমামুল আইম্মাহ, মুহইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদে আ’যম, হাবীবে আ’যম, আল গাউছুল আ’যম, খলীফাতুল্লাহ, খলীফাতু রসূলিল্লাহ, ইমামুশ শরীয়ত ওয়াত ত্বরীক্বত, আন নি’মাতুল কুবরা আলাল আলাম, নকশায়ে নবী, নববী নূর, নূরে মদীনা, নূরে মুকাররাম, জামিউল আলক্বাব, হাবীবুল্লাহ, আখাছ্ছুল খাছ আওলাদুর রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম হযরত মুজাদ্দিদে আ’যম কিবলা কা’বা আলাইহিস সালাম এবং উনার মহাসম্মানিতা আম্মাজান আলাইহাস সালাম তিনি হচ্ছেন আন নি’মাতুল কুবরা আলাল আলাম, উম্মুল খাইর, ত্বহিরা, ত্বইয়্যিবা, ছহিবাতুল কাশফ ওয়াল কারামাত, কুল-কায়িনাতের রহমত, বিশেষ করে নারী জাতির মুক্তির একমাত্র সোপান, নূরে মুকাররাম, নূরে মদীনা, গুলে মদীনা, ক্বায়িম-মাক্বামে উম্মাহাতুল মু’মিনীন, সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, আখাচ্ছুল খাছ আওলাদুর রসূল সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম ক্বিবলা কা’বা আলাইহাস সালাম রাজারবাগ শরীফ, ঢাকা। সুবহানাল্লাহ! কাজেই মহা সম্মানিত আব্বাজান ও আম্মাজান আলাইহিমাস সালাম উনাদের উভয় দিক থেকে আখাছ্ছুল খাছ আওলাদুর রসূল, অর্থাৎ তিনি নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার খুন মুবারক ও নূর মুবারক উনার সাথে মিশে একাকার হয়ে আছেন। সুবহানাল্লাহ!
তাই নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে গভীর থেকে গভীরতম তায়াল্লুক, নিসবত, মুহব্বত, মা’রিফাত, খাছ রেযামন্দি, সন্তুষ্টিসহ সীমাহীন রহমত, বরকত, সাকীনা, মাগফিরাত ও নাজাত লাভ করতে হলে উনার পবিত্রতম আখাছ্ছুল খাছ আওলাদ, ছানীয়ে মুজাদ্দিদে আ’যম হযরত খলীফাতুল উমাম আলাইহিস সালাম উনার প্রকৃত মুহব্বত মা’রিফাত, রেযামন্দি, সন্তুষ্টি, তায়াল্লুক, নিসবত, সাকীনা, মাগফিরাত, ইতায়াত লাভ করা সর্বপ্রথম ঈমানী দায়িত্ব-কর্তব্য তথা প্রধানতম ফরয কাজ। তাছাড়া কসি¥নকালেও খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার এবং নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের রহমত, বরকত, সাকীনা, মাগফিরাত, নাজাত ও তায়াল্লুক-নিসবত হাছিল করা সম্ভব নয়। কেননা তিনি মহান আল্লাহ পাক ও উনার রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের পবিত্রতম ‘ইরাদা মুবারক’ উনার হাক্বীক্বী নকশা। তিনি ক্বায়িম-মাক্বামে রহমতুল্লিল আলামীন, রউফুর রহীম। তিনি পবিত্রতম সীরত মুবারক, ছূরত মুবারক, ইলম, আমল, আক্বীদা এবং সার্বিক আদর্শ মুবারক অনুসরণে মুজাদ্দিদে আ’যম আলাইহিস সালাম উনার হাক্বীক্বী নায়িব তথা ক্বায়িম-মাক্বাম ও পরিপূর্ণ মিছদাক হিসেবে ছানীয়ে মুজাদ্দিদে আ’যম লক্বব মুবারকে ভূষিত হয়ে যমীনে মুবারক তাশরীফ নেন। যিনি বিশ্ব সংসারের মহান অভিভাবকত্বের মহা আসনে সমাসীন হয়ে আছেন! উনার নূরানী বদন মুবারকে পবিত্র নববী নূর চমকাচ্ছেন! উনার সুদর্শন মুবারক সমগ্র বিশ্ব সন্তানের দৃষ্টিকে হরণ করছেন! এমনকি পূর্ণচাঁদও উনার দিকে উঁকি দিচ্ছেন! উনি মহান আরবী, মদীনা মুনাওওয়ারার প্রতিচ্ছবি! উনার পবিত্রতম বাম হস্ত মুবারক-এ খিলাফতের ঝা-া আসন গ্রহণ করার জন্য পতপত করে উড়ছেন। উনার পবিত্রতম ডান হস্ত মুবারক-এ খিলাফতের চাবুক ঝিলমিল করছেন। পবিত্রতম দ্বীন ইসলাম, নির্যাতিত ও নিপিড়িত মুসলিম উম্মাহসহ সকল কায়িনাতবাসী উনাকে মহান ধারক-বাহক ও অভিভাবক হিসেবে পাওয়ার জন্য ডুকরে ডুকরে কাঁদছেন। হাক্বীক্বী দ্বীন ইসলাম ও মুসলিম উম্মাহ উনাদেরকে হাক্বীক্বী নববী নকশায় গড়তেই কুল-কায়িনাতবাসীর মাঝে উনার মহান বিলাদত শরীফ। সুবহানাল্লাহ! তিনি সমস্ত তাগূতী অপশক্তিকে মূলোৎপাটন করার জন্য আসাদুল্লাহিল গালিব উনার পবিত্র রঙে রঙিন। অসীম উনার হিম্মত ও কুওওয়াত। তিনি শহীদে কারবালা উনাদের বদলা নিতে বদ্ধপরিকর। তিনি হিমাদ্রির চেয়েও মহান কঠিনতম। তিনি বাধা বন্ধনহীন মুক্ত স্বাধীন। উনাকে রুখবার নেই কেউই। অসীম উনার ইলম মুবারক। সুবহানাল্লাহ! তিনি কুদরতে ইলাহী। তিনি মু’জিযায়ে রসূল। সুবহানাল্লাহ! সমস্ত পবিত্র কারামত উনার মুবারক ইচ্ছা ও ইরাদাধীন। উনার সীমাহীন শান-শুয়ূনাত, বুযুর্গী-কারামত ও মাকামাত। যার কারণে সমস্ত আনুগত্যশীল সৃষ্টিকুল উনার পাক ক্বদম মুবারকে ক্বদমবুছীতে মশগুল। সুবহানাল্লাহ! তিনি মহান আল্লাহ পাক ও উনার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের পবিত্রতম ছিফত মুবারকে মহান মাউছুফ। সুবহানাল্লাহ! উনার পবিত্রতম মুহব্বতই হচ্ছে পবিত্রতম ঈমান। এ প্রসঙ্গে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, احبوا اهل بيتى لحبى অর্থাৎ: “হে কায়িনাতবাসী! তোমরা আমার পবিত্রতম মুহব্বতের জন্যে আমার পবিত্র আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে মুহব্বত করো।” সুবহানাল্লাহ! কাজেই উক্ত পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার আলোকেই নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আখাছ্ছুল খাছ আওলাদ হচ্ছেন, ছানীয়ে মুজাদ্দিদে আ’যম সাইয়্যিদুনা হযরত খলীফাতুল উমাম আলাইহিস সালাম তিনিই।
তাই উনার খাছ মুহব্বত, মা’রিফত, তায়াল্লুক, নিসবত, রেযামন্দি, সন্তুষ্টি হাছিলের লক্ষ্যে উনার ‘পবিত্রতম বিলাদত শরীফ’ তথা ‘পবিত্রতম ৯ই রমাদ্বান শরীফ’ উনাকে যথাযথ ইজ্জত, সম্মান, তা’যীম-তাকরীম, ও বিশেষ শান-শওকতের সাথে স্মরণ ও পালন করা মুসলিম উম্মাহ উনাদের ঈমানী দায়িত্ব এবং কর্তব্য। যা আইয়্যামিল্লাহ উনার অন্তর্ভুক্ত। এই জন্যই মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন, ذكرهم بايام الله অর্থাৎ “হে আমার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আপনি কায়িনতবাসীকে জানিয়ে দিন, মহান আল্লাহ পাক উনার বিশেষ বিশেষ দিবস মুবারক তথা উনার মাহবুব বান্দা-বান্দী উনাদের পবিত্রতম বিলাদত শরীফ ও তৎসংশ্লিষ্ট দিবসগুলোতে শোকরগুজারী ও ধৈর্যশীল বান্দা-বান্দীদের জন্য রয়েছে  লক্ষ-কোটি নিদর্শন তথা রহমত-বরকত, মুহব্বত, মা’রিফাত, সাকীনা, নাজাত, খাছ রেযামন্দি-সন্তুষ্টি।’
অতএব, খালিক্ব মালিক রব তায়ালা উনার ও উনার হাবীব নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের সাথে একইভাবে ক্বায়িম-মাক্বামে রহমাতুল্লিল আলামীন, রউফুর রহীম, আখাছ্ছুল খাছ আওলাদুর রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম হযরত মুজাদ্দিদে আ’যম আলাইহিস সালাম ও সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন ক্বায়িম-মাক্বামে উম্মাহাতুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম এবং জান্নাতী নূরী ফুল হযরত সাইয়্যিদাতাল উমাম আলাইহিমাস সালাম, অনুরূপভাবে ত্বাহিরা, ত্বাইয়্যিবা, নকশায়ে যাহরা হযরত নাক্বীবাতুল উমাম আলাইহাস সালাম ও ত্বাহিরা, ত্বাইয়্যিবা, নকশায়ে যাহরা সাইয়্যিদাতুনা হযরত নিবরাসাতুল উমাম আলাইহাস সালাম ঠিক অনুরূপভাবে ছানীয়ে মুজাদ্দিদে আ’যম, সাইয়্যিদুল আউলিয়া, আখাছ্ছুল খাছ আওলাদুর রসূল সাইয়্যিদুনা ইমাম হযরত খলীফাতুল উমাম আলাইহিস সালাম এবং বাবুল ইলম ওয়াল হিকাম, সাইয়্যিদুনা হযরত শাফিউল উমাম আলাইহিস সালাম ও বাবুল ইলম ওয়াল হিকাম, সাইয়্যিদুনা হযরত হাদিউল উমাম আলাইহিস সালাম উনাদের সকলেরই খাছ তাওয়াজ্জুহ-ফায়িয, খাছ মুহব্বত, মা’রিফাত, গভীর তায়াল্লুক-নিসবত লাভের লক্ষ্যে পবিত্র ৯ই রমাদ্বান শরীফ অত্যন্ত ধ্যানে-খেয়ালে, চিন্তা-ফিকিরের সাথে জান-মাল উজাড় করে সর্বসেরা ঈদ হিসেবে খুশি প্রকাশ করা মুসলিম উম্মাহ উনাদের সকলের জন্য ফরয-ওয়াজিব উনার অন্তর্ভুক্ত।
আয় আল্লাহ পাক! আমাদের সবাইকে তা পালন করার তাওফীক দান করুন। আমীন
মুবারক হো মহামহিমান্বিত আযীমুশ শান ৯ই রমাদ্বান শরীফ

Related image


ঈদে বিলাদতে খলীফাতুল উমাম, ছাহিবে জামিউল মাক্বামত, জামিউল আলক্বাব, ওলীয়ে মাদারযাদ, ছানীয়ে মুজাদ্দিদে আ’যম, আল মানছূর, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম মামদূহ হযরত শাহযাদা আক্বা ক্বিবলা কা’বা আল হাসানী ওয়াল হুসাইনী ওয়াল কুরাইশী আলাইহিস সালাম আজ মহামহিমান্বিত আযীমুশ শান ৯ই রমাদ্বান শরীফ।
খলীফাতুল উমাম, লখতে জিগারে মুজাদ্দিদে আ’যম, মুজাদ্দিদে আ’যমে ছানী, কুতুবুল আলম, ওলীয়ে মাদারজাত, ছাহিবুল খাইর, মুত্বহিরুল আ’যীম, নূরে মুকাররম, শামসে ইলাহী, মাহবুবে ইলাহী, নূরে রহমানী, ছাহিবে জামিউল মাক্বামত, জামিউল আলক্বাব, আওলাদে রসূল সাইয়্যিদুনা হযরত শাহযাদা হুযূর ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার বেমেছাল সম্মানিত বিলাদত শরীফ।
যা আমাদের জন্য তথা কুল-কায়িনাতের জন্য সব ঈদের সেরা ঈদ। তথা সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ। মূলত সাইয়্যিদে ঈদে বিলাদতে মুজাদ্দিদে আ’যমে ছানী, খলীফাতুল উমাম হযরত শাহযাদা হুযূর ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার মহান ঈদ যথাযথ পালন ব্যতীত অন্য কোন ঈদ পালনই সম্ভব নয়। মহিমান্বিত ওই ঈদের বরকতেই অন্য সব ঈদ পালনের কুওওয়াত ও রহমত হাছিল হয়। তাই এ ঈদ সব ঈদের সরদার বা সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ।
প্রসঙ্গত মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “হে হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আপনি (উম্মতদেরকে) বলে দিন, মহান আল্লাহ পাক উনার ফযল ও রহমত মুবারক লাভ করার কারণে তারা যেন আনন্দ, খুশি প্রকাশ করে।” (পবিত্র সূরা ইউনূছ শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ৫৮)
বলাবাহুল্য, ক্বায়িম-মাক্বাম হিসেবে এ পবিত্র আয়াত শরীফ সাইয়্যিদে ঈদে বিলাদতে খলীফাতুল উমাম, মুজাদ্দিদে আ’যমে ছানী হযরত শাহযাদা হুযূর ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার জন্য খাছ।
বলাবাহুল্য, মহিমান্বিত এ সাইয়্যিদুল আইয়াদ শরীফ সম্পর্কে হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনারাও অবগত ছিলেন না। হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনারা মহান আল্লাহ পাক উনার কাছে প্রশ্ন রেখেছিলেন- “আপনি কী এমন এক সম্প্রদায় সৃষ্টি করবেন, যারা মারামারি করবে, কাটাকাটি করবে।” মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেছিলেন, “আমি যা জানি তোমরা তা জানো না।”
মহান আল্লাহ পাক তিনি খলীফাতুল উমাম হযরত শাহযাদা আক্বা, ক্বিবলা কা’বা আলাইহিস সালাম উনাকে এমন ফযীলত ও বুযুর্গী দিয়ে সৃষ্টি করেছেন যে, খলীফাতুল উমাম হযরত শাহযাদা ক্বিবলা কা’বা আলাইহিস সালাম উনাকে দেখলে শয়তানের মাথা খারাপ হয়ে যাবে। সে পালানোর রাস্তা খুঁজে পাবে না।
শুধু তাই নয়, খলীফাতুল উমাম আলাইহিস সালাম উনার উসীলায় লক্ষ-কোটি উম্মতে হাবীবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনারা শয়তানের ওয়াসওয়াসা প্রত্যাখ্যান করে খালিছ আল্লাহওয়ালা হবেন। সুবহানাল্লাহ!
পাশাপাশি মহান আল্লাহ পাক তিনি খলীফাতুল উমাম আলাইহিস সালাম উনাকে এতো ফযীলত দিয়েছেন যে, তিনি মহান আল্লাহ পাক উনার ও উনার হাবীব, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের যে মুহব্বত-মা’রিফত, কুরবত মুবারক হাসিল করবেন তার কাছে নিকটবর্তী হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালামগণ উনারাও পৌঁছতে পারবেন না। সুবহানাল্লাহ!
কাজেই হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম, উনাদের বক্তব্যের বিপরীতে খলীফাতুল উমাম আলাইহিস সালাম তিনি মহান আল্লাহ পাক উনার ফখর।
অপরদিকে মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেছেন যে, উনার রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে তিনি কাওছার বা সর্বোত্তম বিষয় হাদিয়া করেছেন। খলীফাতুল উমাম আলাইহিস সালাম সেই সর্বোত্তম বিষয়ের অন্যতম এবং বর্তমান যামানার লক্ষ্যস্থল। অর্থাৎ খলীফাতুল উমাম আলাইহিস সালাম শুধু আখাচ্ছুল খাছ আওলাদে রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামই নন, তিনি অন্যতম কাওছারও বটে। সুবহানাল্লাহ!
পাশাপাশি সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি পবিত্র ঈমান আনাই, ছিদ্দীক্বে আকবর আলাইহিস সালাম উনার সব নেকী। খলীফাতুল উমাম আলাইহিস সালাম তিনি সে পবিত্র ঈমান উনারই মহিমান্বিত অংশ।
অপরদিকে ইমামুল হুমামাইন আলাইহিমুস সালাম উনাদের গোলাম হওয়াই হযরত ফারূকে আ’যম আলাইহিস সালাম উনার শান। খলীফাতুল উমাম আলাইহিস সালাম তিনি ইমামুল হুমামাইন আলাইহিস সালাম উনাদেরই মুবারক ধারাবাহিকতা। তিনি যিন নূরাইন আলাইহিস সালাম উনার দু’নূরের বর্তমান অধিকারী। খলীফাতুল উমাম আলাইহিস সালাম উনার হুঙ্কার আজ হযরত আলী হায়দার কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহূ আলাইহিস সালাম উনারই বেমেছাল হুঁশিয়ারী।
স্বয়ং সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি যা পবিত্র ওহী মুবারক নাযিল হয়েছে উনার সবকিছুই খলীফাতুল উমাম আলাইহিস সালাম উনার অন্তরে তিনি নিক্ষেপ করেছেন। সুবহানাল্লাহ! স্বীয় ইলমের সবকিছুই সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে হাদিয়া করেছেন।
তাই খলীফাতুল উমাম আলাইহিস সালাম তিনি সব শরীয়ত ও তরীক্বতের সব ইমাম ও মুজতাহিদ তথা আলিম, ফক্বীহ, মুহাদ্দিস, মুফতীই নয়, পাশাপাশি সব বিজ্ঞানী, কবি, বোদ্ধাদেরও বিস্ময়। সব বিজ্ঞানীদের গবেষণা পূর্ণতা পেতো এবং পাবে উনার মুবারক ছোহবতে। অতীতের বিজ্ঞানীরা নয় বর্তমান বিজ্ঞানীরাও বিস্মিত হচ্ছেন উনার জ্ঞানের গভীরতা দেখে। উনার বিবৃত সমকোণ যে লম্বাকোণ অথবা আত তাক্বউমুস শামসী এক্ষেত্রে বিচ্ছিন্ন উদাহরণ মাত্র।
হযরত শাহযাদা ক্বিবলা কা’বা আলাইহিস সালাম উনার তাশরীফে সব কবিদের সব আরজু পূরণ হয়েছে। নজরুলের বিদ্রোহী কবিতার যে আবেদন ছিলো উনার উসীলায় তা পূরণ হয়েছে। ফররুখ আহমেদের পাঞ্জেরীর যে আহবান ছিলো তা দিশা পেয়েছে। কবি ইকবালের খুদী দর্শনের যে সমুন্নত করার কথা ছিলো তা পূর্ণতা পেয়েছে। কবি ফেরদৌসীর কবিতার প্রশস্ততা, কবি খৈয়ামের কবিতার প্রেমধারা, কবি সাদীর হেকমতী বচন সব খলীফাতুল উমাম আলাইহিস সালাম উনার সুমহান ইলমেরই ক্ষুদ্রতম বহিঃপ্রকাশ।
মূলত, খলীফাতুল উমাম আলাইহিস সালাম উনার বেমেছাল ওজুদ মুবারক, উনার মহিমান্বিত দেহাবয়ব, উনার অপূর্ব, চেহারা মুবারক উনার ধারালো- তীক্ষè চাহনি, উনার বিস্মিত বাকভঙ্গী, উনার সুমন্নত দেহভঙ্গী, উনার সাবলীল নির্দেশনা সবকিছু যেন মহান আল্লাহ পাক উনার সুমহান কুদরত। সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার খাছ মু’জিযা শরীফ এবং যামানার ইমাম ও মুজাদ্দিদে আ’যম আলাইহিস সালাম উনার আযীমুশ শান কারামত। সুবহানাল্লাহ! উনার দর্শনে ও ছোহবতে ভক্ত হৃদয়ে এমন ফল্গুধারা বহে যাতে, হযরত ছাহাবাযে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনারা যেমন সিজদার আকুতি জানিয়েছিলেন সে জজবারই পুনরাবৃত্তি জাগে। জাহিরীভাবে তা জায়িয না হলেও বাতিনীভাবে আত্মসমর্পণের মাধ্যমে পুরোটাই মিটে।
মূলত খলীফাতুল উমাম হযরত শাহযাদা আক্বাজান আলাইহিস সালাম উনার সুমহান শান মুবারক সম্পর্কে যুগপৎভাবে সম্যক অবগত এবং উনাকে যথাযথ সম্মান দানের মর্যাদা কেবল তদীয় পিতাজান ইমামুল আইম্মাহ, মুজাদ্দিদে আ’যম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনারই।
তিনি এমন ফযীলত হাদিয়া করেছেন যেন উভয়ে উভয়ের প্রতিবিম্ব, প্রতিচ্ছবি। পার্থক্য শুধু একজন পিতা। অপরজন পুত্র। একজন মুজাদ্দিদে আ’যম। অপরজন মুজাদ্দিদে আ’যমে ছানী। একজন বর্তমান যামানায়ই তাজদীদ ও খিলাফত জারি করছেন। অপরজন অনাগত কালে সেই ধারাবাহিকতা বজায় রাখার জন্য যথাযোগ্যরূপে দিন দিন বিকশিত হচ্ছেন।
সঙ্গতকারণেই এই সুমহান বিলাদত শরীফ-এর তাৎপর্য, গুরুত্ব, মহত্ত্ব, শান-শওকত লিখিবার যেমন কোনো ভাষার শুরু এবং শেষ নেই তেমনি বিলাদত শরীফ পালনের ব্যাপকতার, ঘনঘটার, শান-শওকতেরও তথা সমন্বিত আয়োজনেরও কোনো পরিশেষ নেই। সবকিছুই এখানে ব্যর্থ। সস্পৃক্ত শুধুই অক্ষমতা প্রকাশ। অনিবার্য এখানে ক্ষমা প্রার্থনা।
বলার অপেক্ষা রাখে না, পবিত্র ৯ই রমাদ্বান শরীফ উনার পরিসর কেবল রাজারবাগ শরীফ অথবা রাজারবাগ শরীফ উনার সিলসিলাভুক্ত পরিম-লেই পরিশেষ হবার জন্য নয়।
বরং অনিবার্য কারণেই তথা নিজস্ব প্রয়োজনেই পৃথিবীর প্রত্যেককেই খলীফাতুল উমাম, মুজাদ্দিদে আ’যমে ছানী উনার প্রসঙ্গে প্রজ্ঞাপূর্ণ ইলম পরিপূর্ণভাবে অর্জন করতে হবে।
মহান আল্লাহ পাক রব্বুল আলামীন তিনি মুজাদ্দিদে আ’যম, গাউছুল আ’যম, দস্তগীর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার লখতে জিগার মুজাদ্দিদে আ’যমে ছানী, খলীফাতুল উমাম আমাদের প্রাণের আক্বা মামদূহ হযরত শাহযাদা ক্বিবলাজান আলাইহিস সালাম উনার মুবারক উসীলায় সেটা খুলুছিয়াতের সাথে করার তাওফিক দান করুন। (আমীন)
খোশ আমদেদ! পবিত্র ৯ রমাদ্বান ।। ঈদে বিলাদতে মুজাদ্দিদে আযমে ছানী, খলীফাতুল উমাম, আওলাদে রসূল সাইয়্যিদুনা হযরত শাহযাদা হুযূর ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার সুমহান বিলাদত শরীফ দিবস

Related image


ঈদ মুবারক! ঈদ মুবারক!! ঈদ মুবারক!!!
ঈদে বিলাদতে মুজাদ্দিদে আযমে ছানী, হাকিমুল হাদীছ, খলীফাতুল উমাম, মাদারজাদ ওলী, আওলাদে রসূল সাইয়্যিদুনা হযরত শাহযাদা হুযূর ক্বিবলা আলাইহিস সালাম।
আজ পবিত্র ৯ রমাদ্বান শরীফ। খলীফাতুল্লাহ, খলীফাতু রসূলিল্লাহ, সুলত্বানুল আউলিয়া, মাখযানুল মারিফাত, খাযীনাতুর রহমাহ, মঈনুল মিল্লাত, লিসানুল উম্মাহ, তাজুল মুফাসসিরীন, রঈসুল মুহাদ্দিছীন, ফখরুল ফুক্বাহা, হাকীমুল হাদীছ, হুজ্জাতুল ইসলাম, সাইয়্যিদুল মুজতাহিদীন, মুহইস সুন্নাহ, মাহিউল বিদয়াত, ছাহিবুল ইলহাম, রসূলে নোমা, সাইয়্যিদুল আউলিয়া, সুলত্বানুল আরিফীন, ইমামুছ ছিদ্দীক্বীন, ছাহিবু সুলত্বানিন নাছীর, মুসতাজাবুদ দাওয়াত, কুতুবুল আলম, আল গাউছুল আযম, আল জব্বারিউল আউয়াল, আল ক্বাবিউল আউয়াল, ক্বাইয়্যূমুয যামান, ইমামুল আইম্মাহ, ইমামুশ শরীয়ত ওয়াত তরীক্বত, হাবীবুল্লাহ, জামিউল আলক্বাব, আওলাদে রসূল সাইয়্যিদুনা হযরত মুজাদ্দিদে আযম আলাইহিস সালাম এবং সাইয়্যিদাতুন নিসা, ইমামাতুছ ছিদ্দীক্বা, বাহরুল উলুম, নূরে মুবীনা, গুলে মুদীনা, উম্মুল উমাম, উম্মুল খায়ের, আফযালুন নিসা, ফক্বীহাতুন নিসা, ত্বাহিরাতুন নিসা, হামীদাতুন নিসা, মজীদাতুন নিসা, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদাতুনা হযরত আম্মা হুযূর ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনাদের একমাত্র পুত্র সন্তান।
মুজাদ্দিদে আযমে ছানী, খলীফাতুল উমাম, মাদারজাদ ওলী, হাকিমুল হাদীছ, হাফিযে কুরআন মাহিউল বিদয়াত, মুহইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা হযরত শাহযাদা হুযূর ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার সুমহান বিলাদত শরীফ দিবস।
মুজাদ্দিদে আযমে ছানী, খলীফাতুল উমাম, মাদারজাদ ওলী, হাকিমুল হাদীছ, হাফিযে কুরআন, মাহিউল বিদয়াত, মুহইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, আওলাদে রসূল সাইয়্যিদুনা হযরত শাহযাদা হুযূর ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি মাতা এবং পিতা উভয় দিক থেকেই আখিরী রসূল, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আখাছ্ছুল খাছ আওলাদ বা বংশধর।
মুজাদ্দিদে আযমে ছানী, মাদারজাদ ওলী, খলীফাতুল উমাম সাইয়্যিদুনা হযরত শাহযাদা হুযূর ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি একজন মাহবুব শ্রেণীর ওলীআল্লাহ। মহান আল্লাহ পাক রব্বুল আলামীন তিনি যেসব মহান ব্যক্তিদের ওলীআল্লাহ হিসেবে খাছভাবে মনোনীত করেছেন, উনাদের মধ্যে মুজাদ্দিদে আযমে ছানী, খলীফাতুল উমাম, হাকিমুল হাদীছ, হাফিযুল কুরআন, মাহিউল বিদয়াত, মুহইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম সাইয়্যিদুনা হযরত শাহযাদা হুযূর ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি অন্যতম।
মুজাদ্দিদে আযমে ছানী, খলীফাতুল উমাম, হাকিমুল হাদীছ, হাফিযে কুরআন, মাহিউল বিদয়াত, মুহইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, সাইয়্যিদুনা হযরত শাহযাদা হুযূর ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার সুমহান বংশ পরিচয় মুবারক, উনার শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত, বুযূর্গী-সম্মান, মর্যাদা প্রকাশ করে
মহান আল্লাহ পাক রব্বুল আলামীন তিনি পবিত্র কালাম পাক-এ ইরশাদ করেন, হে আমার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আপনি (উম্মতদেরকে) বলুন, আমি তোমাদেরকে হিদায়েত দানের প্রতিদানস্বরূপ কোনো বিনিময় চাই না, তবে আমার নিকটজন তথা আহলে বাইতগণ উনাদের প্রতি তোমরা (উম্মতগণ) সদাচারণ করবে। (সূরা শূরা : আয়াত শরীফ ২৩)
হাদীছ শরীফ-এ ইরশাদ হয়েছে, হযরত জাবির রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে দেখেছি, তিনি বিদায় হজ্জে আরাফার দিন উনার ‘কাসওয়া নামক উষ্ট্রির উপর সাওয়ার অবস্থায় খুতবা দান করেছেন। আমি শুনেছি, তিনি খুতবায় বলেছেন, হে লোক সকল! আমি তোমাদের মাঝে এমন দুটি জিনিস রেখে যাচ্ছি তোমরা যদি তা শক্তভাবে ধরে রাখ তবে তোমরা কখনও গুমরাহ হবে না; আর তা হলো- মহান আল্লাহ পাক উনার কিতাব ও আমার ইতরত বা আহলে বাইত। (তিরমিযী শরীফ)
মুজাদ্দিদে আযমে ছানী, মাদারজাদ ওলী, হাকিমুল হাদীছ, হাফিযে কুরআন, মাহিউল বিদয়াত, মুহইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, হাবীবুল্লাহ, সাইয়্যিদুনা হযরত শাহযাদা হুযূর ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার খাছ আওলাদ তথা আহলে বাইত। তাই তিনি উপরোক্ত আয়াত শরীফ এবং হাদীছ শরীফ-এর হাক্বীক্বী মিছদাক। উক্ত আয়াত শরীফ এবং হাদীছ শরীফ অনুযায়ী সহজেই উপলব্ধ যে, মাদারজাদ ওলী, মুজাদ্দিদে আযমে ছানী, হাকিমুল হাদীছ, হাফিযে কুরআন, মাহিউল বিদয়াত, মুহইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, হাবীবুল্লাহ সাইয়্যিদুনা হযরত শাহযাদা হুযূর ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি উম্মতদের মাঝে, নিয়ামত, বরকত, সাকীনা, মাগফিরাত, নাযাত রহমতস্বরূপ। উনার অনুসরণ-অনুকরণ, মুহব্বত-মারিফাতের মাঝেই রয়েছে উম্মতদের চিরকল্যাণ। তাই আজ পবিত্র ৯ রমাদ্বান উম্মতদের জন্য অবর্ননীয় খুশির দিন তথা ঈদের দিন।
মুজাদ্দিদে আযমে ছানী, মাহিউল বিদয়াত, মাদারজাদ ওলী হযরত শাহযাদা হুযূর ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার সুমহান বিলাদত শরীফ উপলক্ষে খুশি প্রকাশ করা সকলের জন্যই আবশ্যক। এছাড়াও এই সুমহান বিলাদত শরীফ উপলক্ষে মীলাদ শরীফ, ক্বিয়াম শরীফ, ওয়াজ শরীফ-এর মাহফিলের আয়োজন করা সকলের জন্য আবশ্যক। মহান আল্লাহ পাক রব্বুল আলামীন যেনো আমাদের সকল মুমিন-মুসলমানদেরকে মুজাদ্দিদে আযমে ছানী, খলীফাতুল উমাম, মাদারজাদ ওলী, হাকিমুল হাদীছ, হাফিযে কুরআন, মাহিউল বিদয়াত, মুহইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, হাবীবুল্লাহ সাইয়্যিদুনা হযরত শাহযাদা হুযূর ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার সুমহান শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত, বুযূর্গী-সম্মান, মর্যাদা-মর্তবা, হাক্বীক্বীভাবে উপলব্ধি করে উনার সুমহান বিলাদত শরীফ যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করার তাওফীক দান করেন। আমীন! সুম্মা আমীন!