সাইয়্যিদুনা মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার মহা সম্মানিতা আম্মা আওলাদুর রসূল, সাইয়্যিদাতুনা আমাদের- হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম উনার সাওয়ানেহে উমরী মুবারক-পর্ব-৫৬

 

পঞ্চদশ হিজরী শতকের মুজাদ্দিদ, মুজাদ্দিদে আ’যম, আওলাদুর রসূল, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার সাইয়্যিদুনা মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার মহা সম্মানিতা আম্মা, আওলাদুর রসূল, সাইয়্যিদাতুনা আমাদের-

হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা কা’বা আলাইহাস সালাম

উনার সীমাহীন ফাদ্বায়িল-ফদ্বীলত, বুযূর্গী-সম্মান, মান-শান, বৈশিষ্ট্য এবং উনার অনুপম মাক্বাম সম্পর্কে কিঞ্চিৎ আলোকপাত-

মুবারক শৈশব ও কৈশোর থেকেই সাইয়্যিদাতুনা হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা কা’বা আলাইহাস সালাম উনার সুন্নত মুবারক এবং শরয়ী পর্দা পালনের

একনিষ্ঠ অভ্যস্ততা:

প্রাণের আক্বা, ক্বিবলা কা’বা, মুহইস সুন্নাহ, মাহিউল বিদয়াত, সাইয়্যিদে মুজাদ্দিদে আ’যম, আন নি’মাতুল কুবরা আলাল আলাম, ইমামুল উমাম, হাবীবুল্লাহ সাইয়্যিদুনা মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি যে সম্মানিত সুন্নত পালন করেন, মানুষকে পালনে অভ্যস্ত  করে তোলেন এবং তিনি যে আকরামুল আউওয়ালীন ওয়াল আখিরীন, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার রেখে যাওয়া সম্মানিত দ্বীন- ইসলাম উনাকে পবিত্র নুবুওওয়াত ও রিসালত উনাদের ধারায় যমীনে বাস্তবায়ন করেন, তার প্রকৃতি ও পরিধি প্রমাণ্য ইতিহাস এবং তাযকিরাতুল আউলিয়াসহ অন্যান্য কিতাবাদিতে উল্লিখিত কারো মধ্যেই দেখা যায় না। সুবহানাল্লাহ!

একইভাবে উনার ঈমানী কুওওয়াত, বিশুদ্ধ ই’তিক্বাদ, সীমাহীন হীম্মত, বিষ্ময়কর রো’ব, অতুলণীয় জযবা এবং সম্মানিত যাবতীয় সুন্নতী আমল সম্পাদনের ক্ষেত্রে অতীতে ও বর্তমানে উনার সমকক্ষ খুঁজে পাওয়াও দুষ্কর। অর্থাৎ তিনি সার্বিকভাবে নূরে মুজাসসাম, মাশুকে মাওলা, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার হাক্বীক্বী ক্বায়িম মাক্বাম। সুবহানাল্লাহ!

উপরোক্ত পবিত্র আয়াত শরীফ উনার আলোকে সুস্পষ্টভাবে প্রমাণিত হয় যে, মুজাদ্দিদে মাদারযাদ, সাইয়্যিদে মুজাদ্দিদে আ’যম, আওলাদুর রসূল, হাবীবুল্লাহ সাইয়্যিদুনা মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা কা’বা আলাইহিস সালাম তিনি হাক্বীক্বীভাবে রহমতুল্লিল আলামীন, রউফুর রহীম, হাবীবুল্লাহ হুযূূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহা-সম্মানিত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের মধ্যমণি। সুবহানাল্লাহ!

সম্মানিত সুন্নত পালনের সীমাহীন ফাযায়িল-ফযীলত, শান-মান, মর্যাদা-মাক্বাম সম্পর্কে মহান আল্লাহ পাক সুবহানাহূ ওয়া তায়ালা তিনি পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন-

قُلْ اِنْ كُنْتُمْ تُحِبُّوْنَ اللّٰـهَ فَاتَّبِعُوْنِيْ يُحْبِبْكُمُ اللّٰهُ وَيَغْفِرْ لَكُمْ ذُنُوْبَكُمْ ۗ وَاللّٰـهُ غَفُوْرٌ رَحِيمٌ

অর্থ: “(হে আমার প্রিয়তম হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) আপনি কায়িনাতবাসীকে বলে দিন: যদি তোমরা মহান আল্লাহ পাক উনার মুহব্বত মা’রিফাত, রিযামন্দি-সন্তুষ্টি, তায়াল্লুক-নিসবত হাছিল করতে চাও, তবে আমার (নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ইতায়াত করো, অনুসরণ ও অনুকরণ করো। তা হলে মহান আল্লাহ পাক তিনি তোমাদেরকে মুহব্বত করবেন। তোমাদের গুনাহখতা ক্ষমা করবেন এবং তোমাদের প্রতি দয়ালু হবেন।” সুবহানাল্লাহ! (পবিত্র সূরা আলে ইমরান শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ৩১)

পবিত্র এই আয়াত শরীফ যে বিষয়টি সুস্পষ্টভাবে ইরশাদ মুবারক হয়েছে তা হলো, সূক্ষ্মাতিসূক্ষ ও পুঙ্খানুপুঙ্খরূপে সম্মানিত সুন্নত উনার অনুসরণ-অনুকরণ দ্বারাই মহান আল্লাহ পাক এবং রউফুর রহীম, রহমতুল্লিল আলামীন, আকরামুল আউওয়ালীন ওয়াল আখিরীন, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের পরিপূর্ণ ও হাক্বীক্বী মুহব্বত-মা’রিফাত, রিযামন্দি-সন্তুষ্টি ও নিগূঢ় নৈকট্য হাছিলের শীর্ষ সোপানে উপনীত হওয়া যায়। ওলীয়ে মাদারযাদ আওলাদে রসূল, ক্বায়িম মাক্বামে উম্মু রসূলিনা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদাতুনা হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা কা’বা আলাইহাস সালাম তিনি ছিলেন উপরোক্ত পবিত্র আয়াত শরীফ উনার পরিপূর্ণ মিছদাক্ব। সুবহানাল্লাহ!

মহান আল্লাহ পাক সুবহানাহু ওয়া তায়ালা উনার উদ্দিষ্ট সকল প্রকার ইবাদত-বন্দেগী ও আমল সম্পাদনের অর্থই হলো সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন্নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে হাক্বীক্বীভাবে ও পরিপূর্ণরূপে অনুসরণ ও অনুকরণ করা। (চলবে)

আবা-২৬৬

সাইয়্যিদুনা মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার মহা সম্মানিতা আম্মা আওলাদুর রসূল, সাইয়্যিদাতুনা আমাদের- হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম উনার সাওয়ানেহে উমরী মুবারক-পর্ব-৫৫

 

পঞ্চদশ হিজরী শতকের মুজাদ্দিদ, মুজাদ্দিদে আ’যম, আওলাদুর রসূল, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার সাইয়্যিদুনা মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার মহা সম্মানিতা আম্মা, আওলাদুর রসূল, সাইয়্যিদাতুনা আমাদের-

হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা কা’বা আলাইহাস সালাম

উনার সীমাহীন ফাদ্বায়িল-ফদ্বীলত, বুযূর্গী-সম্মান, মান-শান, বৈশিষ্ট্য এবং উনার অনুপম মাক্বাম সম্পর্কে কিঞ্চিৎ আলোকপাত-

মুবারক শৈশব ও কৈশোর থেকেই সাইয়্যিদাতুনা হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা কা’বা আলাইহাস সালাম উনার সুন্নত মুবারক এবং শরয়ী পর্দা পালনের একনিষ্ঠ অভ্যস্ততা:

আলোচ্য পবিত্র হাদীছ শরীফ দ্বারা এটিও প্রমাণিত হয় যে, মহিলাদের পর্দাপালনের পাশাপাশি পুরুষদের জন্যও শরয়ী পর্দাপালন ফরয। অর্থাৎ পুরুষদের চলাফেরা ও গতিবিধি এমন হবে যে, তারাও কখনো বেপর্দা হবে না। সম্মানিত শরয়ী পর্দাপালনের জন্য মহান আল্লাহ পাক সুবহানাহূ ওয়া তায়ালা তিনি এবং নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি অর্থাৎ উনারা মহিলা ও পুরুষ উভয়কেই সমভাবে পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ উনার মধ্যে এবং পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে মুবারক নির্দেশনাদান করেছেন। সুবহানাল্লাহ!

উপরোক্ত পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মাধ্যমে যে সূক্ষ্ম বিষয়টি উপলদ্ধিতে আসে তা হলো, আন নূরুর রবিয়া, উম্মু আবীহা, সাইয়্যিদাতুনা হযরত যাহরা আলাইহাস সালাম তিনি স্বয়ং নিজে পরিপূর্ণরূপে সম্মানিত শরীয়ত ও পর্দাপালন করার কারণে সাইয়্যিদুল ক্বওনাইন ওয়াছ ছাক্বালাইন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি উনার প্রতি পরম সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন। তিনি যে বিদ্বয়াতুম মির রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তথা মহা-সম্মানিত হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের অন্তর্ভুক্ত, সে মুবারক বিষয়টি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি প্রকাশ করেছেন। সুবহানাল্লাহ!

অর্থাৎ যিনি মহা-সম্মানিত হযরত আহলূ বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের অন্তর্ভুক্ত হন তথা যিনি অনুরূপ বেমেছাল মর্যাদা ও মাক্বাম হাছিল করেন, তিনি অবশ্যই সম্মানিত শরীয়ত ও সম্মানিত সুন্নত উনাদের অনুসরণকারী ও অনুকরণকারী হয়ে থাকেন। সুবহানাল্লাহ!

এই মর্মে সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিয়্যীন, মাশুকে মাওলা, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন:

من سلك على طريقى فهو عيالى

অর্থ: “যে ব্যক্তি আমার সম্মানিত তর্জ-তরীক্বা অুসরণে নিজে চলেন এবং অন্যকে চালান, তিনি আমার মহা-সম্মানিত হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যান।” সুবহানাল্লাহ!

ওলীয়ে মাদারযাদ, আওলাদে রসূল, ক্বায়িম-মাক্বামে উম্মু রসূলিনা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদাতুনা হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা কা’বা আলাইহাস সালাম তিনি হাক্বীক্বীভাবে রহমতুল্লিল আলামীন, রউফুর রহীম, মাশুকে মাওলা, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহা-সম্মানিত হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের অন্তর্ভুক্ত। বিষয়টি উনার মুবারক বংশগত সম্পৃক্ততা দ্বারা প্রমাণিত। একইভাবে পরিপূর্ণরূপে উনার সম্মানিত শরীয়ত, সম্মানিত সুন্নত মুবারক ও পর্দাপালন এবং যাবতীয় নেক আমল সম্পাদন দ্বারাও সুষ্পষ্টভাবে প্রমাণিত। সুবহানাল্লাহ!

একই কারণে ওলীয়ে মাদারযাদ, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা দাদা হুযূর ক্বিবলা কা’বা হযরতুল আল্লামা সাইয়্যিদ মুহম্মদ মুখলিছুর রহমান আলাইহিস সালাম তিনিও মুবারক বংশগতভাবে এবং পরিপূর্ণরূপে সম্মানিত শরীয়ত, সম্মানিত সুন্নত ও যাবতীয় নেক আমল সম্পাদনের মাধ্যমে নূরে মুজাসাসম, মাশুকে মাওলা হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্রতম হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের অন্তর্ভুক্ত। সুবহানাল্লাহ! (চলবে)

আবা-২৬৫

সাইয়্যিদুনা মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার মহা সম্মানিতা আম্মা আওলাদুর রসূল, সাইয়্যিদাতুনা আমাদের- হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম উনার সাওয়ানেহে উমরী মুবারক-পর্ব-৫৪

পঞ্চদশ হিজরী শতকের মুজাদ্দিদ, মুজাদ্দিদে আ’যম, আওলাদুর রসূল, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার সাইয়্যিদুনা মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার মহা সম্মানিতা আম্মা, আওলাদুর রসূল, সাইয়্যিদাতুনা আমাদের-

হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা কা’বা আলাইহাস সালাম

উনার সীমাহীন ফাদ্বায়িল-ফদ্বীলত, বুযূর্গী-সম্মান, মান-শান, বৈশিষ্ট্য এবং উনার অনুপম মাক্বাম সম্পর্কে কিঞ্চিৎ আলোকপাত-

মুবারক শৈশব ও কৈশোর থেকেই সাইয়্যিদাতুনা হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা কা’বা আলাইহাস সালাম উনার সুন্নত মুবারক এবং শরয়ী পর্দা পালনের একনিষ্ঠ অভ্যস্ততা:

 

সম্মানিত হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত রয়েছে-

عَنْ حَضْرَتْ عَلِىٍّ عليْهِ السلام اَنَّهٗ كَانَ عِنْدَ رَسُوْلِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وسلم فَقَالَ اَىُّ شَيْءٍ خَيْرٌ لِلْمَرْأَةِ فَسَكَتُوا فَلَمَّا رَجَعْتُ قُلْتُ لِسَيِّدَةِ نِسَاءِ اَهْلِ الْجَنَّةِ حضرت فَاطِمَةَ الزهراء عليها السلام اَيُّ شَيْءٍ خَيْرٌ لِّلنِّسَاءِ قَالَتْ اَلَّا يَرَاهُنَّ الرِّجَالُ وَلَا يَرَوْنَهم فَذَكَرْتُ ذٰلِكَ لِلنَّبِىِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ مِمَّنْ قُلْتُ مِنْ سَيِّدَةِ نِسَاءِ اَهْلِ الْجَنَّةِ حضرت فَاطِمَةَ الزهراء عليها السلام فَقَالَ رَسُوْل اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وسلم حضرت فَاطِمَةُ الزهراء عليها السلام بِضْعَةٌ مِنِّـىْ.

অর্থ: ..“সাইয়্যিদুনা হযরত কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহূ আলাইহিস সালাম উনার থেকে বর্ণিত। একদিন তিনি (এবং অনেক বিশিষ্ট ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহুম উনারা) নূরে মুজাসসাম, হাবীবল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত খিদমত মুবারক-এ (সম্মানিত দরবারে নববী শরীফ-এ) বসে ছিলেন। তখন নূরে মুজাসসাম, হাবীবল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি (সবাইকে উদ্দেশ্য করে) জিজ্ঞাসা মুবারক করলেন-  মেয়েদের জন্য কোন আমলটা সবচেয়ে উত্তম? সাইয়্যিদুনা হযরত কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহূ আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, সকলেই চুপ থাকলেন। আমি (আস্তে করে পিছন থেকে উঠে) সম্মানিত হুজরা শরীফ-এ এসে সাইয়্যিদাতু নিসায়ি আহলিল জান্নাহ, সাইয়্যিদাতুনা আন নূরুর রাবি‘য়াহ হযরত যাহরা আলাইহাস সালাম উনাকে জিজ্ঞাসা করলাম- মেয়েদের জন্য কোন আমলটা সবচাইতে উত্তম? তিনি বললেন, মেয়েদের জন্য সবচাইতে উত্তম আমল হচ্ছে, কোন পুরুষ সে মহিলাকে দেখবে না এবং সে মহিলা কোন পুরুষকে দেখবে না। সুবহানাল্লাহ! সাইয়্যিদুনা হযরত কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহূ আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, আমি সেখান থেকে এটা শুনে সরাসরি যেয়ে সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, ¦াতামন নাবিইয়্যীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে বললাম, ইয়া রসলাল্লাহ, ইয়া হাবীবাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! মেয়েদের জন্য শ্রেষ্ঠ আমল হচ্ছে তারা কোন পুরুষকে দেখবে না এবং তাদেরকেও কোন পুরুষ দেখবে না। (এটা শুনে) সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, ¦াতামুন নাবিইয়্যীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করলেন- আপনি কার কাছ থেকে জেনে এটা বললেন? তিনি বলেন, আমি সাইয়্যিদাতুনা আন নূরুর রাবি‘য়াহ হযরত যাহরা আলাইহাস সালাম উনার থেকে জেনে এটা বলেছি। সুবহানাল্লাহ! সেটা শুনে নূরে মুজাসসাম, হাবীবল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি (খুশি মুবারক প্রকাশ করলেন এবং) বললেন- সাইয়্যিদাতু নিসায়ি আহলিল জান্নাহ, সাইয়্যিদাতুনা আন নূরুর রাবি‘য়াহ হযরত যাহরা আলাইহাস সালাম তিনি তো আমার সম্মানিত জিস্ম মুবারক উনার সম্মানিত গোশত মুবারক উনার একখানা টুকরো মুবারক, আমার সম্মানিত লখতে জিগার মুবারক (সেজন্য তিনি হাক্বীক্বী বিষয়টা বলে দিয়েছেন, জানিয়ে দিয়েছেন)।” সুবহানাল্লাহ! (মাসিক আল বাইয়্যিনাত শরীফ ২০৮ এবং ২০৯তম সংখ্যা)

উপরোক্ত পবিত্র হাদীছ শরীফ থেকে সুস্পষ্টভাবে প্রতীয়মান হয় যে, প্রত্যেক মহিলার জন্য শরয়ী পর্দাপালন করা ফরয। মহিলারা কখনোই কোনো পরপুরুষকে দেখবে না। এমনভাবে তাদের চলাফেরা ও গতিবিধি হবে, যাতে কোনো পরপুরুষ মহিলাদের দেখতে না পারে। ওলীয়ে মাদরাযাদ, আওলাদে রসূল, ক্বায়িম-মাক্বামে উম্মু রসূলিনা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদাতুনা হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা কা’বা আলাইহাস সালাম তিনি ছিলেন এই পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার পরিপূর্ণ মিছদাক্ব। সুবহানাল্লাহ!(চলবে)

 আবা-২৬৪ 

সাইয়্যিদুনা মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার মহা সম্মানিতা আম্মা আওলাদুর রসূল, সাইয়্যিদাতুনা আমাদের- হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম উনার সাওয়ানেহে উমরী মুবারক-পর্ব-৫৩

 

পঞ্চদশ হিজরী শতকের মুজাদ্দিদ, মুজাদ্দিদে আ’যম, আওলাদুর রসূল, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার সাইয়্যিদুনা মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার মহা সম্মানিতা আম্মা, আওলাদুর রসূল, সাইয়্যিদাতুনা আমাদের-

হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা কা’বা আলাইহাস সালাম

উনার সীমাহীন ফাদ্বায়িল-ফদ্বীলত, বুযূর্গী-সম্মান, মান-শান, বৈশিষ্ট্য এবং উনার অনুপম মাক্বাম সম্পর্কে কিঞ্চিৎ আলোকপাত-

মুবারক শৈশব ও কৈশোর থেকেই সাইয়্যিদাতুনা হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা কা’বা আলাইহাস সালাম উনার সুন্নত মুবারক

এবং শরয়ী পর্দা পালনের একনিষ্ঠ অভ্যস্ততা:

তাইতো আমরা লক্ষ্য করি, উম্মুল উমাম, সাইয়্যিদাতুনা হযরত আম্মা হুযূর ক্বিবলা কা’বা আলাইহাস সালাম উনার মুবারক হিদায়েত ও নছীহতে এবং উনার মুবারক ছোহবতে মহিলারা তাদের অলসতা, হীনম্মন্যতা, অজ্ঞতা ও অসচেতনতা থেকে মুক্তিলাভ করছেন। মহিলাদের আক্বীদা বিশুদ্ধ হচ্ছে। তারা সম্মানিত ইসলামী জযবায় অনুপ্রাণিত হচ্ছেন। তারা সীরাতুল মুস্তাক্বীমে অধিষ্ঠিত হয়ে নেক আমলে অভ্যস্ত হচ্ছেন। সুবহানাল্লাহ!

ওলীয়ে মাদারযাদ, আওলাদে রসূল, উম্মুল উমাম, সাইয়্যিদাতুনা হযরত আম্মা হুযূর ক্বিবলা কা’বা আলাইহাস সালাম উনার মুবারক প্রয়াস ও প্রভাব বাংলাদেশের সীমানা ছাড়িয়ে আন্তর্জাতিক পরিম-লে পরিব্যাপ্ত। তিনি মহিলাদের আদব, শরাফত, ইলমে ফিক্বাহ ও ইলমে তাছাওউফ শিক্ষাদানকারিণী। তিনি মহিলাদের অন্তর ইছলাহকারিণী। স্বামী-স্ত্রীর মনোমালিন্য, দ্বন্দ্ব-কলহ ও দূরত্ব নিরসনে তিনি পারিবারিক বন্ধন নবায়নকারিণী। সুবহানাল্লাহ!

ওলীয়ে মাদারযাদ, আওলাদে রসূল, ক্বায়িম-মাক্বামে উম্মু রসূলিনা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদাতুনা হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা কা’বা আলাইহাস সালাম উনার অনুসৃত মুবারক পদ্ধতি অনুসরণে মহিলাদের অজ্ঞতা, দীনতা, হীনতা, পর্দাহীনতা, সম্মানিত সুন্নতপালনের অনীহা এবং বিজাতীয় আচার-আচরণে অভ্যস্ততাসহ সম্মানিত ইসলাম না মানার ক্ষেত্রে মহিলাদের মাঝে সৃষ্ট অনাগ্রহ ও ঔদাসীন্য পর্যায়ক্রমে অপসারণ করছেন উম্মুল উমাম, সাইয়্যিদাতুনা হযরত আম্মা হুযূর ক্বিবলা কা’বা আলাইহাস সালাম তিনি। সুবহানাল্লাহ!

সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসাসম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন:

اذا مات الانسان انقطع عنه عمله الا من ثلاثة الا من صدقة جارية او علم ينتفع به او ولد صالح يدعو له

অর্থ: “ইন্তিকালের পর মানুষের সমস্ত আমল বন্ধ হয়ে যায়। তবে তিনটি আমল জারি থাকে: ১. ছদক্বায়ে জারিয়া ২. ইলমুন নাফে (উপকারী ইলম) এবং ৩. নেক সন্তান, যিনি তার জন্য দুয়া করবেন।” (মিশকাতুল মাছাবীহ) পবিত্র এই হাদীছ শরীফ সম্পর্কে ইতোপূর্বেও আমরা আলোচনা করেছি। সাইয়্যিদাতুনা হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা কা’বা আলাইহাস সালাম এবং সাইয়্যিদুনা হযরত দাদা হুযূর ক্বিবলা কা’বা আলাইহিস সালাম উনারা উভয়ে উপরোক্ত পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার হাক্বীক্বী মিছদাক্ব। সুবহানাল্লাহ!

সম্মানিত সুন্নত উনার হাক্বীক্বী অনুসরণ এবং সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্মভাবে শরয়ী পর্দাপালন সম্পর্কে পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-

عن حضرت كرم الله وجهه عليه السلام قال سأل رسول الله صلى الله عليه وسلم اى شىء خير للنساء فسكتوا ...

অর্থ: “ইমামুল আউওয়াল মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, বাবুল ইলম ওয়াল হিকাম, খলীফাতুর রবি’, সাইয়্যিদুনা হযরত কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহূ আলাইহিস সালাম তিনি বর্ণনা করেন: সাইয়্যিদুল ক্বওনাইন, ওয়াস সাক্বালাইন, ছাহিবুল ওহী ওয়াল কুরআন, মাশুকে মাওলা, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লা তিনি একদা হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদেরকে জিজ্ঞাসা মুবারক করেন, ‘মহিলাদের জন্য কোন আমল সর্বোত্তম?’ সকলেই নিশ্চুপ থাকেন।...” (চলবে)

আবা-২৬৩

সাইয়্যিদুনা মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার মহা সম্মানিতা আম্মা আওলাদুর রসূল, সাইয়্যিদাতুনা আমাদের- হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম উনার সাওয়ানেহে উমরী মুবারক-পর্ব-৫২


 পঞ্চদশ হিজরী শতকের মুজাদ্দিদ, মুজাদ্দিদে আযম, আওলাদুর রসূল, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার সাইয়্যিদুনা মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার মহা সম্মানিতা আম্মা আওলাদুর রসূল, সাইয়্যিদাতুনা আমাদের- হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা কাবা আলাইহাস সালাম উনার সীমাহীন ফাদ্বায়িল-ফদ্বীলত, বুযূর্গী-সম্মান, মান-শান, বৈশিষ্ট্য এবং উনার অনুপম মাক্বাম সম্পর্কে কিঞ্চিৎ আলোকপাত-

মুবারক শৈশব ও কৈশোর থেকেই সাইয়্যিদাতুনা হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা কাবা আলাইহাস সালাম উনার সুন্নত মুবারক এবং শরয়ী পর্দা পালনের

একনিষ্ঠ অভ্যস্ততা:

উম্মুল উমাম, সাইয়্যিদাতুনা হযরত আম্মা হুযূর ক্বিবলা কাবা আলাইহাস সালাম তিনি পাঁচ বছরের অনধিক বয়সের কোনো ছেলের সঙ্গে কখনোই দেখা-সাক্ষাৎ করেন না। অনুরূপ পবিত্র রাজারবাগ দরবার শরীফ উনার, বিশেষ করে বালিকা মাদারাসার পাঁচ বছরের অনধিক বয়সের কোনো মেয়ে কখনোই কোনো পুরুষের সঙ্গে দেখা-সাক্ষাৎ করেন না। শরয়ী পর্দা পালনের এমন অনন্য নযীর পৃথিবীর কোথাও খুঁজে পাওয়া যাবে না। সুবহানাল্লাহ!

ওলীয়ে মাদারযাদ, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদাতুনা হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা কাবা আলাইহাস সালাম উনার মুবারক অনুসরণে ওলীয়ে মাদারযাদ, আওলাদে রসূল, উম্মুল উমাম, সাইয়্যিদাতুনা হযরত আম্মা হুযূর ক্বিবলা কাবা আলাইহাস সালাম উনার এবং উনার মহাসম্মানিত, পুত-পবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের শরয়ী পর্দা-পালনের দৃষ্টান্ত কুল-কায়িনাতের কোথাও নেই। সুবহানাল্লাহ!

বিস্ময়ের বিষয় যে, সম্মানিত শরীয়ত বিরোধী বিভিন্ন কালচার এবং সম্মানিত ইসলাম বৈরী আক্বীদা, সম্মানিত সুন্নত বিবর্জিত আমল ও আচার-আচরণে অভ্যস্ত, বিরূপ পরিবেশ-প্রতিবেশ থেকে উম্মুল উমাম, সাইয়্যিদাতুনা হযরত আম্মা হুযূর ক্বিবলা কাবা আলাইহাস সালাম উনার মুবারক ছোহবতে এসে গাফিল ও গুমরাহীতে নিমজ্জিত মহিলারা নিমিষে পরিপূর্ণরূপে সম্মানিত ইসলামী ছকে তৈরি হয়ে যান। শরয়ী পর্দা ও সম্মানিত সুন্নত পালনে অনায়াসে সকলেই অভ্যস্ত হয়ে উঠেন। সুবহানাল্লাহ!

ওলীয়ে মাদারযাদ, আওলাদে রসূল, উম্মুল উমাম সাইয়্যিদাতুনা হযরত আম্মা হুযূর ক্বিবলা কাবা আলাইহাস সালাম উনার মাঝে ওলীয়ে মাদারযাদ, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদাতুনা হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা কাবা আলাইহাস সালাম উনার সম্মানিত সুন্নত এবং সম্মানিত শরয়ী পর্দা পালনের অনুসৃত মুবারক পদ্ধতি প্রত্যক্ষ করে বাংলাদেশসহ সমগ্র বিশ্ব পরিসরে সম্মানিত সুন্নত ও সম্মানিত শরয়ী পর্দা পালনের দায়িমী অভ্যস্ততা শুরু হয়েছে। সুবহানাল্লাহ!

ওলীয়ে মাদারযাদ, আওলাদে রসূল, ক্বায়িম-মাক্বামে উম্মু রসূলিনা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদাতুনা হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা কাবা আলাইহাস সালাম উনার এবং ওলীয়ে মাদারযাদ, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা হযরত দাদা হুযূর ক্বিবলা কাবা আলাইহিস সালাম উনাদের আখাছছুল খাছ শরয়ী পর্দাপালন, সম্মানিত সুন্নত অনুসরণ, উনাদের হিদায়েত-নছীহত, দরস্-তাদরীস উনাদের মুবারক ক্রমধারা সাইয়্যিদে মুজাদ্দিদে আযম, আন নিমাতুল কুবরা আলাল আলাম, ইমামুল উমাম, সুলত্বানুন নাছীর, ক্বইয়্যুমুযযামান, জাব্বারিউল আউওয়াল, ক্বউইয়্যুল আউওয়াল, আসসাফফা, আওলাদে রসূল, হাবীবুল্লাহ, সাইয়্যিদুনা মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা কাবা আলাইহিস সালাম উনার ছাহিবাতুল মুকাররামা, ওলীয়ে মাদারযাদ, আওলাদে রসূল, ক্বায়িম-মাক্বামে উম্মাহাতুল মুমিনীন আলাইহিন্নাস সালাম, সাইয়্যিদাতুন নিসা, সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, উম্মুল উমাম, সাইয়্যিদাতুনা হযরত আম্মা হুযূর ক্বিবলা কাবা আলাইহাস সালাম উনার এবং হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের মাঝে অধিকতরভাবে প্রতিফলিত ও প্রস্ফুটিত হচ্ছে। সুবহানাল্লাহ! (চলবে)

আবা-২৬২

সাইয়্যিদুনা মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার মহা সম্মানিতা আম্মা আওলাদুর রসূল, সাইয়্যিদাতুনা আমাদের- হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম উনার সাওয়ানেহে উমরী মুবারক-পর্ব-৫১

 

পঞ্চদশ হিজরী শতকের মুজাদ্দিদ, মুজাদ্দিদে আ’যম, আওলাদুর রসূল, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার সাইয়্যিদুনা মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার মহা সম্মানিতা আম্মা আওলাদুর রসূল, সাইয়্যিদাতুনা আমাদের-

হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম

উনার সীমাহীন ফাদ্বায়িল-ফদ্বীলত, বুযূর্গী-সম্মান, মান-শান, বৈশিষ্ট্য এবং উনার অনুপম মাক্বাম সম্পর্কে কিঞ্চিৎ আলোকপাত-

মুবারক শৈশব ও কৈশোর থেকেই সাইয়্যিদাতুনা হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা কা’বা আলাইহাস সালাম উনার সুন্নত মুবারক এবং শরয়ী পর্দা পালনের একনিষ্ঠ অভ্যস্ততা:

পবিত্র রাজারবাগ দরবার শরীফ-এ প্রতিষ্ঠিত পবিত্র মসজিদ, মাদরাসা, মক্তব, ইয়াতীমখানা, কোটি-কোটি টাকার কিতাব সম্বলিত সুবিশাল লাইব্রেরী, গবেষণাগার ইত্যাদি সমস্ত স্থাপনা ওলীয়ে মাদারযাদ, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা হযরত দাদা হুযূর ক্বিবলা কা’বা আলাইহিস সালাম উনার এবং উনার ছাহিবাতুল মুকাররামা ওলীয়ে মাদারযাদ, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদাতুনা হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা কা’বা আলাইহাস সালাম উনাদের সীমাহীন দয়া-দানের অনন্য উদাহরণ। সুবহানাল্লাহ!

সম্মানিত দ্বীন-ইসলাম উনার প্রচার ও প্রসারে, অর্থাৎ মানুষকে হিদায়েতদান এবং ইলিম ও তা’লীম দানের সিলসিলা ক্বিয়ামত অবধি জারি রাখার লক্ষ্যে উনাদের মুবারক অবদান শুধু পবিত্র রাজারবাগ শরীফ উনার মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। উনাদের সীমাহীন দান এবং মক্ববুল দুআ’র বদৌলতে দেশের ও বিদেশের কত যে মানুষ হাক্বীক্বী ইলিম ও তা’লীম হাছিলে সিরাতুল মুস্তাক্বীমে অধিষ্ঠিত হয়েছে, তার হিসাব কে রাখে? সুবহানাল্লাহ!

নূরানীগঞ্জ জেলাধীন প্রভাকরদী শরীফস্থ নিজ মুবারক বাড়িতে প্রতিষ্ঠিত মসজিদের খিদমতের সীমাহীন আঞ্জাম দেয়ার সঙ্গে সঙ্গে প্রভাকরদী শরীফ বাজারে উনারা যে মুবারক মাদরাসা প্রতিষ্ঠা করেছেন, তা দীর্ঘকাল ধরে সম্মানিত দ্বীনী কাজে উনাদের প্রকৃষ্ট খিদমতদানের মুবারক সাক্ষ্য বহন করে চলেছে। সুবহানাল্লাহ!

মহান আল্লাহ পাক সুবহানাহূ ওয়া তায়ালা উনার এবং উনার হাবীব মাশুকে মাওলা, নূরে মুজাসাসম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার তায়াল্লুক-নিসবত, মুহব্বত-মা’রিফাত, রেযামন্দি-সন্তুষ্টি হাছিলের সুমহান লক্ষ্যে পবিত্রতম বিছালী শান মুবারক প্রকাশ অবধি ওলীয়ে মাদারযাদ, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদাতুনা হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা কা’বা আলাইহাস সালাম তিনি এবং ওলীয়ে মাদারযাদ, আওলাদে রসূল সাইয়্যিদুনা হযরত দাদা হুযূর ক্বিবলা কা’বা আলাইহিস সালাম তিনি অর্থাৎ উনারা শরয়ী পর্দা পালন ও সুন্নত অনুসরণ, হিদায়েত-নছীহত ও সীমাহীন দান-খয়রাত, মানুষকে তা’লীম দান এবং হালাল খাদ্য গ্রহণে নিরন্তর ব্যাপৃত ছিলেন। এ কারণেই উনাদের পক্ষে উনাদের প্রিয়তম সম্মানিত আওলাদ সাইয়্যিদে মুজাদ্দিদে আ’যম, আন নি’মাতুল কুবরা আলাল আলাম, সাইয়্যিদুনা মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা কা’বা আলাইহিস সালাম উনাকে কায়িনাতবাসীর সার্বিক কল্যাণে হাদিয়া করা সহজ ও সম্ভব হয়েছে। সুবহানাল্লাহ!

ওলীয়ে মাদারযাদ, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদাতুন নিসা, সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, ক্বায়িম-মাক্বামে উম্মু রসূলিনা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদাতুনা হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা কা’বা আলাইহাস সালাম তিনি মুবারক বাল্যকাল থেকে পবিত্র বিছালী শান মুবারক প্রকাশ করা অবধি শরয়ী পর্দা ও সম্মানিত সুন্নত পালনের অনন্য নযীর স্থাপন করেছেন। সুবহানাল্লাহ! সে বাস্তবতায় বর্তমানে ওলীয়ে মাদারযাদ, আওলাদে রসূল, ক্বায়িম-মাক্বামে উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম, সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, বাহরুল উলূম, উম্মুল উমাম, সাইয়্যিদাতুন নিসা, সাইয়্যিদাতুনা হযরত আম্মা হুযূর ক্বিবলা কা’বা আলাইহাস সালাম উনার মাধ্যমে কায়িনাতবাসী হাক্বীক্বী পর্দা ও সুন্নত পালনের শিক্ষালাভ করছে। সুবহানাল্লাহ!

আবা-২৬১