সাইয়্যিদুনা মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার মহা সম্মানিতা আম্মা আওলাদুর রসূল, সাইয়্যিদাতুনা আমাদের- হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম উনার সাওয়ানেহে উমরী মুবারক-পর্ব-৬৯

 পঞ্চদশ হিজরী শতকের মুজাদ্দিদ, মুজাদ্দিদে আ’যম, আওলাদুর রসূল, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার সাইয়্যিদুনা মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার মহা সম্মানিতা আম্মা, আওলাদুর রসূল, সাইয়্যিদাতুনা আমাদের- হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা কা’বা আলাইহাস সালাম উনার সীমাহীন ফাদ্বায়িল-ফদ্বীলত, বুযূর্গী-সম্মান, মান-শান, বৈশিষ্ট্য এবং উনার অনুপম মাক্বাম সম্পর্কে কিঞ্চিৎ আলোকপাত-

মুবারক শৈশব ও কৈশোর থেকেই সাইয়্যিদাতুনা হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা কা’বা আলাইহাস সালাম উনার সুন্নত মুবারক এবং শরয়ী পর্দা পালনের একনিষ্ঠ অভ্যস্ততা:

পবিত্র হাদীছে কুদসী শরীফে ইরশাদ মুবারক হয়েছে:

لَا يَزَالُ عَبْدِي يَتَقَرَّبُ إلَيَّ بِالنَّوَافِلِ حَتّٰى أُحِبَّهٗ، فَإِذَا أَحْبَبْتُهٗ كُنْتُ سَمْعَهُ الَّذِيْ يَسْمَعُ بِهٖ، وَبَصَرَهُ الَّذِيْ يُبْصِرُ بِهٖ، وَيَدَهُ الَّتِي يَبْطِشُ بِهَا، وَرِجْلَهُ الَّتِيْ يَمْشِيْ بِهَا، وَلَئِنْ سَأَلَنِيْ لَأُعْطِيَنَّهٗ

অর্থ: “বান্দা নিরবিচ্ছিন্নভাবে আমার নফল ইবাদত করতে করতে এতটুকু নৈকট্য-সান্নিধ্য লাভ করেন যে, স্বয়ং আমি উনার কান হয়ে যাই, তিনি আমার কুদরতী কান মুবারকে শোনেন। আমি উনার চক্ষু হয়ে যাই, তিনি আমার কুদরতী চক্ষু মুবারকে দেখেন। আমি উনার হাত হয়ে যাই, তিনি আমার কুদরতী হাত মুবারকে স্পর্শ করেন। আমি উনার পা হয়ে যাই, তিনি আমার কুদরতী পা মুবারকে চলালচল করেন। ওই বান্দা যদি আমার কাছে কোনো নিয়ামত চান, আমি সাথে সাথেই উনাকে তা দিয়ে দিই।” সুবহানাল্লাহ! পাবিত্র হাদীছ শরীফখানা বক্ষমাণ নিবন্ধে পূর্বেও উল্লেখ করা হয়েছে।

ওলীয়ে মাদারযাদ, আওলাদে রসূল, ক্বায়িম-মাক্বামে উম্মু রসূলিনা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, আখাছছুল খাছ আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদাতুনা হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা কা’বা আলাইহাস সালাম তিনি একনিষ্ঠ ও দায়িমীভাবে যে সম্মানিত শরয়ী পর্দা পালন করেছেন, তা সকলের জন্যই মুবারক দৃষ্টান্ত হয়ে আছেন। সুবহানাল্লাহ!

আখাছছুল খাছ আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদাতুনা হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা কা’বা আলাইহাস সালাম এবং ওলীয়ে মাদারযাদ, আওলাদে রসূল, ক্বায়িম-মাক্বামে হযরত আবূ রসূলিনা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ফখরুল আউলিয়া, ছাহিবে ইসমে আ’যম, গরীবে নেওয়াজ, লিসানুল হক্ব, আওলাদুর রসূল, আখাছছুল খাছ আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, আল মুত্বহ্হার, আল মুত্বহ্হির, আছ ছমাদ সাইয়্যিদুনা হযরত দাদা হুযূর ক্বিবলা কা’বা আলাইহিস সালাম উনাদের সম্মানিত সুন্নত এবং সম্মানিত শরয়ী পর্দা পালনের কারণেই কায়িনাতবাসী সাইয়্যিদে মুজাদ্দিদে আ’যম,  ইমামুল উমাম, আন নি’মাতুল উযমা আলাল আলাম, হুজ্জাতুল ইসলাম, ছাহিবে কুন ফাইয়াকুন, ইমামুদ দুনিয়া ওয়াল আখিরাহ, আছ ছমাদ, আওলাদুর রসূল, হাবীবুল্লাহ, আখাছছুল খাছ আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদুনা মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা কা’বা আলাইহিস সালাম উনাকে, উনার ছাহিবাতুল মুকাররামা, ওলীয়ে মাদারযাদ, আওলাদে রসূল, ক্বায়িম-মাক্বামে হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম, আখাছছুল খাছ আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, আল মুত্বাহ্হার, আল মুত্বহ্হির, আছছমাদ সাইয়্যিদাতুনা হযরত আম্মা হুযূর ক্বিবলা কা’বা আলাইহাস সালাম উনাকে এবং উনাদের মহাসম্মানিত হযরত আহলু পাক আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে লাভ করতে পেরেছেন। সুবহানাল্লাহ!

একই কারণে কায়িনাতবাসী পবিত্র “ফালইয়াফরহূ শরীফ” অর্থাৎ পবিত্র সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ, কোটি কোটি কণ্ঠে মীলাদ শরীফ এবং পবিত্র রাজারবাগ দরবার শরীফ উনাদের সীমাহীন নিয়ামত লাভে ধন্য হচ্ছেন। (চলবে)

আবা-২৭৯


সাইয়্যিদুনা মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার মহা সম্মানিতা আম্মা আওলাদুর রসূল, সাইয়্যিদাতুনা আমাদের- হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম উনার সাওয়ানেহে উমরী মুবারক-পর্ব-৬৮

 পঞ্চদশ হিজরী শতকের মুজাদ্দিদ, মুজাদ্দিদে আ’যম, আওলাদুর রসূল, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার সাইয়্যিদুনা মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার মহা সম্মানিতা আম্মা, আওলাদুর রসূল, সাইয়্যিদাতুনা আমাদের- হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা কা’বা আলাইহাস সালাম উনার সীমাহীন ফাদ্বায়িল-ফদ্বীলত, বুযূর্গী-সম্মান, মান-শান, বৈশিষ্ট্য এবং উনার অনুপম মাক্বাম সম্পর্কে কিঞ্চিৎ আলোকপাত-

মুবারক শৈশব ও কৈশোর থেকেই সাইয়্যিদাতুনা হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা কা’বা আলাইহাস সালাম উনার সুন্নত মুবারক এবং শরয়ী পর্দা পালনেরএকনিষ্ঠ অভ্যস্ততা:

পূর্ব প্রকাশিত পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার সম্মানিত আমল মুবারক জীবনে বাস্তবায়ন করতে গিয়ে হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম, আখাছছুল খাছ হযরত আউলিয়া কিরাম  রহমতুল্লাহি আলাইহিম, মহান মুজাদ্দিদ রহমতুল্লাহি আলাইহিম, গউস, কুতুব-আবদাল, নজীব-নুজাবা, নক্বীব-নুক্বাবা, ইমাম-মুজতাহিদ রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনারা প্রত্যেকেই আপন আপন অবস্থান অনুযায়ী পবিত্রতম দরূদ শরীফ পাঠ, পবিত্রতম ক্বিয়াম শরীফ, পবিত্রতম মীলাদ শরীফ পাঠ এবং সম্মানিত সুন্নত শরীফ উনাদের সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্ম ও পুঙ্খানুপুঙ্খ অনুসরণসহ মুবারক জীবনব্যাপী সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাপবিত্রতম ছানা-ছিফত মুবারক করেছেন, শান-মান, মর্যাদা-মাক্বাম বর্ণনা করেছেন এবং হাক্বীক্বীভাবে পালন করার আপ্রাণ কোশেশ করেছেন। সুবহানাল্লাহ!

ওলীয়ে মাদারযাদ, আওলাদে রসূল, ক্বায়িম-মাক্বাম উম্মু রসূলিনা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, উম্মু সাইয়্যিদে মুজাদ্দিদিদিল আ’যম আলাইহিস সালাম, জাদ্দাতু হযরত খলীফাতুল উমাম আলাইহিস সালাম, আখাছছুল খাছ আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদাতুনা হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা কা’বা আলাইহাস সালাম তিনি উপরোক্ত মুবারক সকল বিষয়  মুবারক মন ও মননে ধারণ, অনুধাবন, করেছেন এবং পবিত্রতম বিছাল শরীফ অবধি দায়িমীভাবে আমল করেছেন। সুবহানাল্লাহ!

অর্থাৎ সাইয্যিদাতুনা হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা কা’বা আলাইহাস সালাম তিনি উনার সমগ্র মুবারক জীবন নির্বাহে যাবতীয় কার্যাদি পরিপূর্ণরূপে শরয়ী পর্দাপালনসহ পবিত্র সুন্নাহ শরীফ তথা সম্মানিত শরীয়ত অনুযায়ী পবিত্রতম হায়াতে যিন্দেগী মুবারক উনার প্রতিটি মুহূর্ত অতিক্রম করেছেন। এ কারণেই তিনি উপরোক্ত পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার পরিপূর্ণ মিছদাক্ব। সুবহানাল্লাহ! (চলবে)

আবকা-২৭৮



সাইয়্যিদুনা মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার মহা সম্মানিতা আম্মা আওলাদুর রসূল, সাইয়্যিদাতুনা আমাদের- হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম উনার সাওয়ানেহে উমরী মুবারক-পর্ব-৬৭

 পঞ্চদশ হিজরী শতকের মুজাদ্দিদ, মুজাদ্দিদে আ’যম, আওলাদুর রসূল, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার সাইয়্যিদুনা মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার মহা সম্মানিতা আম্মা, আওলাদুর রসূল, সাইয়্যিদাতুনা আমাদের- হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা কা’বা আলাইহাস সালাম উনার সীমাহীন ফাদ্বায়িল-ফদ্বীলত, বুযূর্গী-সম্মান, মান-শান, বৈশিষ্ট্য এবং উনার অনুপম মাক্বাম সম্পর্কে কিঞ্চিৎ আলোকপাত-

মুবারক শৈশব ও কৈশোর থেকেই সাইয়্যিদাতুনা হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা কা’বা আলাইহাস সালাম উনার সুন্নত মুবারক এবং শরয়ী পর্দা পালনের একনিষ্ঠ অভ্যস্ততা:

পবিত্র এই আয়াত শরীফ উনার প্রেক্ষিতে পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে: “হযরত উবাই বিন কা’ব রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত:

عَنْ حَضْرَتْ أُبَـىِّ بْنِ كَعْبٍ رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ قَالَ قُلْتُ يَا رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِنِّـيْ أُكْثِرُ الصَّلاَةَ عَلَيْكَ فَكَمْ أَجْعَلُ لَكَ مِنْ صَلَاتِيْ فَقَالَ ‏”‏مَا شِئْتَ‏”‏ ‏.‏ قَالَ قُلْتُ الرُّبُعَ ‏.‏ قَالَ ‏”‏مَا شِئْتَ فَإِنْ زِدْتَ فَهُوَ خَيْرٌ لَّكَ”‏ ‏.‏ قُلْتُ النِّصْفَ ‏.‏ قَالَ ‏”‏مَا شِئْتَ فَإِنْ زِدْتَ فَهُوَ خَيْرٌ لَّكَ‏”‏ ‏.‏ قَالَ قُلْتُ فَالثُّلُثَيْنِ ‏.‏ قَالَ ‏”‏مَا شِئْتَ فَإِنْ زِدْتَ فَهُوَ خَيْرٌ لَّكَ”‏ ‏.‏ قُلْتُ أَجْعَلُ لَكَ صَلاَتِيْ كُلَّهَا‏.‏ قَالَ ‏”‏إِذًا تُكْفٰى هَـمُّكَ وَيُغْفَرُ لَكَ ذَنْبُكَ”‏

অর্থ: “হযরত উবাই বিন কা’ব রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি একদা নিবেদন করেন: ইয়া রসূলাল্লাহ, ইয়া হাবীবাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আমি আপনার পবিত্রতম শান মুবারকে অধিক পরিমাণে পবিত্র ছলাত শরীফ পাঠ করতে চাই। সুতরাং, পবিত্র ছলাত শরীফ পাঠে আমি কতোটুকু সময় নির্ধারণ করবো? নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন: যতটুকু সময় আপনি ইচ্ছা করেন। তখন হযরত উবাই বিন কা’ব রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি নিবেদন করেন: ইয়া রসূলাল্লাহ, ইয়া হাবীবাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আমি চার ভাগের একভাগ সময় ব্যয় করতে চাই। এই প্রেক্ষিতে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন: আপনার ইচ্ছা। তবে আরো বেশি করতে পারলে আপনার জন্য কল্যাণকর হবে। হযরত উবাই বিন কা’ব রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি নিবেদন করেন: ইয়া রসূলাল্লাহ, ইয়া হাবীবাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! তা হলে আমি অর্ধেক সময় পবিত্র ছলাত শরীফ পাঠে ব্যয় করতে চাই। তখন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন: আপনার ইচ্ছা। তবে সময় আরো বৃদ্ধি করলে আপনার জন্য কল্যাণকর হবে। হযরত উবাই বিন কা’বা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি তখন নিবেদন করেন: ইয়া রসূলাল্লাহ ইয়া হাবীবাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আমি আমার জীবনের দুই-তৃতীয়াংশ সময় আপনার পবিত্রতম শান মুবারকে পবিত্র ছলাত শরীফ পাঠে ব্যয় করতে চাই। এই প্রেক্ষিতে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন: আপনার ইচ্ছা। তবে আরো সময় বৃদ্ধি করতে পারলে আপনি আরো বেশি লাভবান হবেন। তখন হযরত উবাই বিন কা’বা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি নিবেদন করেন: ইয়া রসূলাল্লাহ, ইয়া হাবীবাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! তাহলে আমি আমার জীবনের পুরো সময়টাই আপনার পবিত্রতম শানে ছলাত শরীফ পাঠে, তথা পবিত্র ছানা-ছিফত মুবারকে ব্যয় করবো। সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিয়্যীন, মাশুকে মাওলা, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি এ প্রেক্ষিতে ইরশাদ মুবারক করেন: যদি আপনি তা করতে পারেন, তাহলে আপনার জীবনের সমস্ত চাহিদা পূরণ করে আপনার সমস্ত গুনাহ ক্ষমা করে দেয়া হবে। সুবহানাল্লাহ! (তিরমিযী শরীফ, মিশকাত শরীফ)

উপরোক্ত পবিত্র হাদীছ শরীফ থেকে প্রমাণিত হয় যে, প্রত্যেক জিন-ইনসান, বিশেষ করে প্রত্যেক মুসলমান পুরুষ-মহিলা সকলের জন্য দায়িমীভাবে সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম, মাশুকে মাওলা, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্রতম শান মুবারকে পবিত্র ছলাত-সালাম শরীফ পাঠ করা অর্থাৎ পবিত্রতম ছানা ছিফত মুবারকে মশগুল থাকা ফরয আইনের অন্তর্ভুক্ত। (চলবে)

লিংক-২৭৭



সাইয়্যিদুনা মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার মহা সম্মানিতা আম্মা আওলাদুর রসূল, সাইয়্যিদাতুনা আমাদের- হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম উনার সাওয়ানেহে উমরী মুবারক-পর্ব-৬৬


 
পঞ্চদশ হিজরী শতকের মুজাদ্দিদ, মুজাদ্দিদে আ’যম, আওলাদুর রসূল, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার সাইয়্যিদুনা মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার মহা সম্মানিতা আম্মা, আওলাদুর রসূল, সাইয়্যিদাতুনা আমাদের- হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা কা’বা আলাইহাস সালাম উনার সীমাহীন ফাদ্বায়িল-ফদ্বীলত, বুযূর্গী-সম্মান, মান-শান, বৈশিষ্ট্য এবং উনার অনুপম মাক্বাম সম্পর্কে কিঞ্চিৎ আলোকপাত

মুবারক শৈশব ও কৈশোর থেকেই সাইয়্যিদাতুনা হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা কা’বা আলাইহাস সালাম উনার সুন্নত মুবারক এবং শরয়ী পর্দা পালনের একনিষ্ঠ অভ্যস্ততা:

মহান আল্লাহ পাক সুবহানাহু ওয়া তা’য়ালা তিনি পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন:

كُلَّ يَوْمٍ هُوَ فِـىْ شَأْنٍ

অর্থ: “মহান আল্লাহ পাক তিনি প্রতিদিন তথা প্রতি মুহূর্ত, প্রতিক্ষণ, অনুক্ষণ নতুন নতুন শান মুবারকে অধিষ্ঠিত থাকেন।” (পবিত্র সূরা আররহমান শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ২৯)

পবিত্র আয়াত শরীফ উনার ব্যাখ্যায় বলা হয়, মহান আল্লাহ পাক তিনি সদা-সর্বদা সমভাবে একই শান মুবারকে অধিষ্ঠিত থাকেন। তিনি নতুন কোনো শান মুবারক ধারণ ও প্রকাশ করেন না। তবে মহান আল্লাহ পাক উনার সীমাহীন শান মুাবরক থেকে কোনো কোনো শান মুবারক কখনো কখনো প্রকাশিত হয়। সুবহানাল্লাহ!

এ ক্ষেত্রে একান্ত সূক্ষ্মভাবে উপলব্ধির বিষয় হলো, সাইয়্যিদুল আম্বিয়া ওয়াল মুরসালীন, খতামুন নাবিয়্যীন, আকরামুল আউওয়ালীন ওয়াল আখিরীন, রহমাতুল্লিল আলামীন, মাশুকে মাওলা, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহানতম শানে নিরবচ্ছিন্ন মুহব্বত মুবারকে মহান আল্লাহ পাক উনার দায়িমীভাবে মশগুল থাকা এবং পবিত্রতম ছলাত শরীফ পাঠ করা, অর্থাৎ সীমাহীন ছানা-ছিফত মুবারক করার বিষয়টি “কখনো কখনো নয় (বিরতিহীনভাবে নয়)” বরং সার্বক্ষণিকভাবে। মহান আল্লাহ পাক তিনি অনুক্ষণ উনার প্রিয়তম হাবীব, প্রিয়তম মাশুক, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সীমাহীন, উনার অন্তহীন শান মুবারকে দায়িমীভাবে পবিত্রতম ছলাত শরীফ পাঠ এবং উনার পবিত্রতম ছানা-ছিফত মুবারকে মশগুল রয়েছেন। সুবহানাল্লাহ!

খলিক্ব, মালিক, রব মহান আল্লাহ পাক সুবহানাহূ ওয়া তায়ালা তিনি শুধু নিজেই যে পবিত্র ছলাত শরীফ পাঠে এবং পবিত্র ছানা ছিফতে মশগুল রয়েছেন এমন নয়। সমস্ত মাখলূক্বাতকেও তিনি উনার প্রিয়তম হাবীব, প্রিয়তম মাশুক, আকরামুল আউওয়ালীন ওয়াল আখিরীন, সাইয়্যিদুল আম্বিয়া ওয়াল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত ছলাত শরীফ পাঠে এবং উনার মহাসম্মানিত ছানা ছিফত মুবারকে মশগুল থাকার জন্য পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ উনার মধ্যে নির্দেশনা মুবারক দিয়েছেন। সুবহানাল্লাহ! (চলবে)

সাইয়্যিদুনা মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার মহা সম্মানিতা আম্মা আওলাদুর রসূল, সাইয়্যিদাতুনা আমাদের- হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম উনার সাওয়ানেহে উমরী মুবারক-পর্ব-৬৫

 

পঞ্চদশ হিজরী শতকের মুজাদ্দিদ, মুজাদ্দিদে আ’যম, আওলাদুর রসূল, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার সাইয়্যিদুনা মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার মহা সম্মানিতা আম্মা, আওলাদুর রসূল, সাইয়্যিদাতুনা আমাদের- হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা কা’বা আলাইহাস সালাম উনার সীমাহীন ফাদ্বায়িল-ফদ্বীলত, বুযূর্গী-সম্মান, মান-শান, বৈশিষ্ট্য এবং উনার অনুপম মাক্বাম সম্পর্কে কিঞ্চিৎ আলোকপাত-

মুবারক শৈশব ও কৈশোর থেকেই সাইয়্যিদাতুনা হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা কাবা আলাইহাস সালাম উনার সুন্নত মুবারক এবং শরয়ী পর্দা পালনের একনিষ্ঠ অভ্যস্ততা:

সাইয়্যিদে মুজাদ্দিদে আযম, গাউছুল আযম, ইমামুল আইম্মাহ, ইমামুল উমাম, আন নিমাতুল উজমা আলাল আলাম, হাবীবুল্লাহ, আওলাদুর রসূল, সাইয়্যিদুনা মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা কাবা আলাইহিস সালাম উনাকে মূল নিয়ামত হিসেবে পবিত্রতম রেহেম শরীফে ধারণকালে সাইয়্যিদাতুনা হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা কাবা আলাইহাস সালাম তিনি কোনোই কষ্টভোগ করেননি। অত্যন্ত হালকাবোধ করেছেন। সুবহানাল্লাহ!

অনেক গউছ, কুতুব, আবদাল, নজীব-নুজাবা, নক্বীব-নুক্বাবা, ইমাম, মুজতাহিদ, মুজাদ্দিদ, ওলীআল্লাহ উনারা প্রতিনিয়ত সাইয়্যিদাতুনা হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা কাবা আলাইহিস সালাম উনার খিদমত মুবারক রূহানীভাবে তাশরীফ মুবারক এনে উনাকে সশ্রদ্ধ সালাম মুবারক পেশ করেছেন। উনাকে সুসংবাদ মুবারক দিয়েছেন যে, তিনি (সাইয়্যিদাতুনা হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা কাবা আলাইহাস সালাম) কায়িনাতবাসির সার্বিক কল্যাণের জন্য যাঁকে হাদিয়া করতে যাচ্ছেন, তিনি হলেন কুল কায়িনাতের শ্রেষ্ঠতম নিমাতে উজমা, কুল কায়িনাতের রাহবারে আযম, গোটা বিশ্বের সকল জিন-ইনসানের মুক্তির একমাত্র দিশারী, সকল বিধর্মীদের নিপাতকারী, সর্বনিকৃষ্ট ধর্ম ব্যবসায়ী উলামায়ে সূদের বিনাশসাধনকারী, সম্মানিত সুন্নত যিন্দাকারী এবং নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার রেখে যাওয়া সম্মানিত দ্বীন-ইসলাম উনাকে হাক্বীক্বীভাবে যিন্দাকারী এবং যমীনে বাস্তবায়নকারী। সুবহানাল্লাহ!

স্বয়ং সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, মাশুকে মাওলা হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি উনার খাছ আওলাদ, উনার খাছ আহলু বাইত শরীফ, ওলীয়ে মাদারযাদ, আওলাদে রসূল, ক্বায়িম মাক্বামে সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মু রসূলিনা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদাতুনা হযরত দাদীজান ক্বিবলা কাবা আলাইহাস সালাম উনাকে অনেকবার, বহুবার, শতবার, হাজারবার মুবারক সুংবাদ জানিয়েছেন যে, তিনি উনার পবিত্রতম রেহেম শরীফে ধারণ করেছেন, বেমেছাল মর্যাদা ও মাক্বামসম্পন্ন এমন এক মহাসম্মানিত আওলাদ, যিনি সাইয়্যিদে মুজাদ্দিদে আযম, যিনি ইমামুল উমাম, যিনি আন নিমাতুল উজমা আলাল আলাম, যিনি হাক্বীক্বী ক্বায়িম-মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। আরো জানিয়েছেন যে, ক্বিয়ামতব্যাপী পরিব্যাপ্ত ও কার্যকর উনার অপ্রতিরোধ্য তাজদীদ মুবারক উনার প্রভাব ও বিস্তার ঘটবে কুল কায়িনাতব্যাপী। তিনি বাতিল বিনাশকারী, তিনি হক্ব প্রতিষ্ঠাকারী। সুবহানাল্লাহ!

প্রাণের আক্বা, ক্বিবলা কাবা সাইয়্যিদে মুজাদ্দিদে আযম, ইমামুল উমাম, আন নিমাতুল উজমা আলাল আলাম, সাইয়্যিদুনা মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি পবিত্র রেহেম শলীফে মুবারক তাশরীফ গ্রহণের পর উনার মহাসম্মানিত আম্মাজান আলাইহাস সালাম উনাকে স্বপ্নে ও জাগরণে প্রতিদিন, প্রতি মুহূর্ত জানানো হয়েছে: আপনি মহা-সম্মানিতা। আপনি পরম ভাগ্যবতী। পবিত্র রেহেম শরীফে আপনি যে মহাসম্মানিত এবং মহা মর্যাদা ও মাক্বামসম্পন্ন বুযুর্গ আওলাদ ধারণ করেছেন, তিনি কায়িনাবাসীর সর্বক্ষণের ধ্যান, জ্ঞান, মনোযোগ, আনুগত্য ও মুরকাবার ক্বিবলা কাবা। উনার দূর্বার তাজদীদে সম্মানিত দ্বীন-ইসলাম নবায়ন হবে। সুবহানাল্লাহ!

মহান আল্লাহ পাক সুবহানাহু ওয়া তায়ালা তিনি পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন:

إِنَّ اللهَ وَمَلَائِكَتَهيُصَلُّوْنَ عَلَى النَّبِيِّ

অর্থ: নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক তিনি এবং উনার সমস্ত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনারা নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, মাশুকে মাওলা হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র শান মুবারকে সৃষ্টির আদিকাল থেকে পবিত্রতম সাইয়্যিদুল আইয়াদ শরীফ পালনে মশগুল রয়েছেন। সুবহানাল্লাহ! (পবিত্র সূরা আহযাব শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ- ৫৬)

ওলীয়ে মাদারযাদ, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদাতুনা হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা কাবা আলাইহাস সালাম তিনি এমন এক বুযুর্গ আওলাদ কায়িনাতবাসীকে হাদিয়া করেছেন, যিনি মহান আল্লাহ পাক উনার আখাছছুল খাছ আমল মুবারক, অর্থাৎ মহাপবিত্রতম সাইয়্যিদুল আইয়াদ শরীফ অনন্তকালের জন্য জারী করেছেন এবং সর্বক্ষণ পালন করে যাচ্ছেন। সুবহানাল্লাহ!  (চলবে)

আবা-২৭৫