সাইয়্যিদুনা মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার মহা সম্মানিতা আম্মা আওলাদুর রসূল, সাইয়্যিদাতুনা আমাদের- হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম উনার সাওয়ানেহে উমরী মুবারক-পর্ব-৬৭

 পঞ্চদশ হিজরী শতকের মুজাদ্দিদ, মুজাদ্দিদে আ’যম, আওলাদুর রসূল, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার সাইয়্যিদুনা মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার মহা সম্মানিতা আম্মা, আওলাদুর রসূল, সাইয়্যিদাতুনা আমাদের- হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা কা’বা আলাইহাস সালাম উনার সীমাহীন ফাদ্বায়িল-ফদ্বীলত, বুযূর্গী-সম্মান, মান-শান, বৈশিষ্ট্য এবং উনার অনুপম মাক্বাম সম্পর্কে কিঞ্চিৎ আলোকপাত-

মুবারক শৈশব ও কৈশোর থেকেই সাইয়্যিদাতুনা হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা কা’বা আলাইহাস সালাম উনার সুন্নত মুবারক এবং শরয়ী পর্দা পালনের একনিষ্ঠ অভ্যস্ততা:

পবিত্র এই আয়াত শরীফ উনার প্রেক্ষিতে পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে: “হযরত উবাই বিন কা’ব রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত:

عَنْ حَضْرَتْ أُبَـىِّ بْنِ كَعْبٍ رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ قَالَ قُلْتُ يَا رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِنِّـيْ أُكْثِرُ الصَّلاَةَ عَلَيْكَ فَكَمْ أَجْعَلُ لَكَ مِنْ صَلَاتِيْ فَقَالَ ‏”‏مَا شِئْتَ‏”‏ ‏.‏ قَالَ قُلْتُ الرُّبُعَ ‏.‏ قَالَ ‏”‏مَا شِئْتَ فَإِنْ زِدْتَ فَهُوَ خَيْرٌ لَّكَ”‏ ‏.‏ قُلْتُ النِّصْفَ ‏.‏ قَالَ ‏”‏مَا شِئْتَ فَإِنْ زِدْتَ فَهُوَ خَيْرٌ لَّكَ‏”‏ ‏.‏ قَالَ قُلْتُ فَالثُّلُثَيْنِ ‏.‏ قَالَ ‏”‏مَا شِئْتَ فَإِنْ زِدْتَ فَهُوَ خَيْرٌ لَّكَ”‏ ‏.‏ قُلْتُ أَجْعَلُ لَكَ صَلاَتِيْ كُلَّهَا‏.‏ قَالَ ‏”‏إِذًا تُكْفٰى هَـمُّكَ وَيُغْفَرُ لَكَ ذَنْبُكَ”‏

অর্থ: “হযরত উবাই বিন কা’ব রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি একদা নিবেদন করেন: ইয়া রসূলাল্লাহ, ইয়া হাবীবাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আমি আপনার পবিত্রতম শান মুবারকে অধিক পরিমাণে পবিত্র ছলাত শরীফ পাঠ করতে চাই। সুতরাং, পবিত্র ছলাত শরীফ পাঠে আমি কতোটুকু সময় নির্ধারণ করবো? নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন: যতটুকু সময় আপনি ইচ্ছা করেন। তখন হযরত উবাই বিন কা’ব রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি নিবেদন করেন: ইয়া রসূলাল্লাহ, ইয়া হাবীবাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আমি চার ভাগের একভাগ সময় ব্যয় করতে চাই। এই প্রেক্ষিতে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন: আপনার ইচ্ছা। তবে আরো বেশি করতে পারলে আপনার জন্য কল্যাণকর হবে। হযরত উবাই বিন কা’ব রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি নিবেদন করেন: ইয়া রসূলাল্লাহ, ইয়া হাবীবাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! তা হলে আমি অর্ধেক সময় পবিত্র ছলাত শরীফ পাঠে ব্যয় করতে চাই। তখন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন: আপনার ইচ্ছা। তবে সময় আরো বৃদ্ধি করলে আপনার জন্য কল্যাণকর হবে। হযরত উবাই বিন কা’বা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি তখন নিবেদন করেন: ইয়া রসূলাল্লাহ ইয়া হাবীবাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আমি আমার জীবনের দুই-তৃতীয়াংশ সময় আপনার পবিত্রতম শান মুবারকে পবিত্র ছলাত শরীফ পাঠে ব্যয় করতে চাই। এই প্রেক্ষিতে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন: আপনার ইচ্ছা। তবে আরো সময় বৃদ্ধি করতে পারলে আপনি আরো বেশি লাভবান হবেন। তখন হযরত উবাই বিন কা’বা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি নিবেদন করেন: ইয়া রসূলাল্লাহ, ইয়া হাবীবাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! তাহলে আমি আমার জীবনের পুরো সময়টাই আপনার পবিত্রতম শানে ছলাত শরীফ পাঠে, তথা পবিত্র ছানা-ছিফত মুবারকে ব্যয় করবো। সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিয়্যীন, মাশুকে মাওলা, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি এ প্রেক্ষিতে ইরশাদ মুবারক করেন: যদি আপনি তা করতে পারেন, তাহলে আপনার জীবনের সমস্ত চাহিদা পূরণ করে আপনার সমস্ত গুনাহ ক্ষমা করে দেয়া হবে। সুবহানাল্লাহ! (তিরমিযী শরীফ, মিশকাত শরীফ)

উপরোক্ত পবিত্র হাদীছ শরীফ থেকে প্রমাণিত হয় যে, প্রত্যেক জিন-ইনসান, বিশেষ করে প্রত্যেক মুসলমান পুরুষ-মহিলা সকলের জন্য দায়িমীভাবে সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম, মাশুকে মাওলা, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্রতম শান মুবারকে পবিত্র ছলাত-সালাম শরীফ পাঠ করা অর্থাৎ পবিত্রতম ছানা ছিফত মুবারকে মশগুল থাকা ফরয আইনের অন্তর্ভুক্ত। (চলবে)

লিংক-২৭৭



0 Comments: