একজন কুতুবুজ্জামান- উনার দিদারে মাওলার দিকে প্রস্থান- সাইয়্যিদুনা হযরত দাদা হুযুর ক্বিবলা সাইয়্যিদ মুখলেছুর রহমান আলাইহিস সালাম উনার সাওয়ানেহে উমরী মুবারক-পর্ব-৬৫

 


ওলীয়ে মাদারজাদ, মুসতাজাবুদ্ দাওয়াত, আফযালুল ইবাদ, ছাহিবে কাশ্ফ ওয়া কারামত, ফখরুল আউলিয়া, ছুফীয়ে বাতিন, ছাহিবে ইস্মে আযম, লিসানুল হক্ব, গরীবে নেওয়াজ, আওলার্দু রসূল, আমাদের সম্মানিত দাদা হুযূর ক্বিবলা রহমতুল্লাহি আলাইহিস সালাম-উনার স্মরণে-

একজন কুতুবুজ্জামান-উনার দিদারে মাওলা উনার দিকে প্রস্থান-

  হজ্ব এবং যিয়ারত শেষে দেশে  ফেরার পালা ॥ মন পড়ে রয়েছে  পবিত্র রওযা মুবারকে-

 রফীক্বে ছাহিবে কুদরত, ছাহিবে লাওলাক, রউফুর রহীম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-উনার মুবারক স্পর্শে উনার অবস্থানস্থল অতুলনীয় মর্যাদা ও মহত্ত্বে সমৃদ্ধ ও পরিপূর্ণ হয়ে উঠে। মহান আল্লাহ্ পাক-উনার পরই উনার প্রিয়তম হাবীব, মাশুকে মাওলা, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-উনার মুবারক অধিষ্ঠান। উনার মহানতম শান, মান ও সীমাহীন মর্যাদার পরিধি এতো উর্ধ্বে যে, তিনিই সমুদয় সৃষ্টির মূল। সৃষ্টিকুল প্রাণময়, বিকশিত, সঞ্জীবিত ও প্রবাহমান রাখা এবং পরিণতির দিকে এগিয়ে নেয়ার ক্ষেত্রে আল্লাহ পাক-উনার উদ্দিষ্ট ব্যবস্থায় তিনি (মাশুকে মাওলা, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) নিয়ামক মাধ্যম।

 তাইতো আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াতের সকল ইমাম-মুজতাহিদ এবং হক্কানী-রব্বানী আলিমগণ-উনার ইজমা (ঐক্যমত) প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, পবিত্র রওযা শরীফের  যে মাটি মুবারক ফখরুল আউয়ালীন ওয়াল আখিরীন, দলীলে কাবায়ে মাক্বছূদ, হাবীবে আযম, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-উনার মুবারক শরীর স্পর্শ করে আছে, সে মাটি মুবারক আরশে মুয়াল্লাহ থেকেও অধিক মর্যাদাবান। মূলতঃ সে মাটি মুবারক আল্লাহ্ পাক এবং উনার প্রিয়তম হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ব্যতীত অন্য সকল কিছু থেকেই অধিক সম্মানিত ও মর্যাদাবান। হাদীছ শরীফে বর্ণিত হয়েছে যে, মাশুকে মাওলা, রসূলু রব্বিল আলামীন, খযীনু কামালিল্লাহ্, তাজেদারে মদীনা, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-উনার অবস্থানস্থল (পবিত্র রওযা শরীফ) রওযাতুম্ মিন রিয়াদ্বিল জান্নাহঅভিধায় অভিষিক্ত।

 তিনি জান্নাতে তাশরীফ নিলে জান্নাত মহিমান্বিত  ও গৌরবান্বিত হয়। জান্নাতের জন্ম স্বার্থক হয়। হাক্বীক্বত এই যে, উনার যে কোন অবস্থানস্থল জান্নাতের মর্যাদায় অভিষিক্ত হয়। ওলীয়ে মাদারজাদ, মুসতাজাবুদ্ দাওয়াত, আফযালুল ইবাদ, ছাহিবে কাশফ্ ওয়া কারামাত, ফখরুল আউলিয়া, লিসানুল হক্ব, কুতুবুজ্জামান, আওলাদুর রসূল, হযরতুল আল্লামা, শাহ ছূফী সাইয়্যিদ মুহম্মদ মুখলেছুর রহমান আল হাসানী ওয়াল হুসাইনী ওয়াল কুরাঈশী রহমতুল্লাহি আলাইহি-উনার মন বলে যে, খযীনাতুর রহমত, সনদুল আম্বিয়া ওয়াল মুরসালীন, সাইয়্যিদুল আনাম, সিরাজুম্ মুনীরা, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-উনার সঙ্গে দায়িমী সাক্ষাৎ ও দিদারে যে অবিচ্ছেদ্য সংযোগ ও অনুপম নিয়ামত হাছিল হয়েছে, জান্নাতে তার চেয়ে অধিক প্রাপ্তিযোগ ও ইতমিনান আছে কী?

 জান্নাতে খইরুল আনাম, ছাহিবু মীছাক্ব, ছাহিবু কাবা ক্বওসাইন আও আদ্না, তাফসীরে কালামে ইলাহী, হাবীবুল্লাহ্, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-উনার মুবারক ছোহবতে অবস্থান এবং আল্লাহ্ পাক-উনার দিদার লাভ করাই মাহবুব ওলীগণের মূল প্রত্যাশা। এ প্রত্যাশাকে কেন্দ্র করেই জীবদ্দশায় উনাদের ধ্যান, ধারণা, আচরণ, বিচরণ এবং জীবনের যাবতীয় কার্যাবলী অন্তরে অঙ্কুরিত ও  বাস্তবে  পরিচালিত হয়। আল্লাহ্ পাক-উনার দিদার হাছিলের নিয়ামক মাধ্যম ইমামুস্ সাক্বালাইন, সাইয়্যিদুল খলায়িক্ব, নবীয়ে আক্বদাস, মাশুকে মাওলা, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-উনার সঙ্গে অবিচ্ছেদ্য নৈকট্য সাধিত হলে ওলীআল্লাহ্গণের প্রত্যাশা পূরণের কোন প্রতিবন্ধকতাই আর অবশিষ্ট থাকে না। আশৈশব অন্তরে লালিত এমন প্রত্যাশা পূরণের পরিতৃপ্তিতে নৈকট্য সুধায় ধন্য কামিয়াবীর শীর্ষ মাক্বামে অবস্থানকারী আশিকে নবী, আওলাদে রসূল, হযরতুল আল্লামা সাইয়্যিদ মুহম্মদ মুখলেছুর রহমান আলাইহিস সালাম-উনার মন কিছুতেই চায়না এই নিগূঢ় সান্নিধ্য ছেড়ে দেশে ফিরে যেতে।      (অসমাপ্ত)

আবা-১২৪

একজন কুতুবুজ্জামান- উনার দিদারে মাওলার দিকে প্রস্থান- সাইয়্যিদুনা হযরত দাদা হুযুর ক্বিবলা সাইয়্যিদ মুখলেছুর রহমান আলাইহিস সালাম উনার সাওয়ানেহে উমরী মুবারক-পর্ব-৬৪

 

ওলীয়ে মাদারজাদ, মুসতাজাবুদ দাওয়াত, আফযালুল ইবাদ, ছহিবে কাশফ ওয়া কারামত, ফখরুল আউলিয়া, ছূফীয়ে বাতিন, ছহিবে ইসমে আযম, লিসানুল হক্ব, গরীবে নেওয়াজ, আওলাদুর রসূল, আমাদের সম্মানিত দাদা হুযূর ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার স্মরণে-

একজন কুতুবুজ্জামান-উনার দিদারে মাওলা উনার দিকে প্রস্থান-

হজ্ব এবং যিয়ারত শেষে দেশে ফেরার পালা ॥ মন পড়ে রয়েছে পবিত্র রওযা মুবারকে-

         নৈকট্য সুধাদানে মাহবুব ওলীগণকে কামিয়াবী দান করার ক্ষেত্রে এই নির্দেশনা আল্লাহ্ পাক এবং উনার প্রিয়তম হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-উনার অতুলনীয় বখ্শিশ।

যে সব ওলী আল্লাহ্গণ এই অনুপম নিয়ামতে সমৃদ্ধ হয়েছেন মাদারজাদ ওলী, আওলাদে রসুল, ফখরুল আউলিয়া, কুতুবুজ্জামান, হযরতুল আল্লামা সাইয়্যিদ মুহম্মদ মুখলেছুর রহমান রহমতুল্লাহি আলাইহি উনাদের অন্যতম। আশিকে রসূল সকল সম্মানিত আউলিয়া-ই-কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিমগণের অনুসৃত পথে পবিত্র মদীনা শরীফ থেকে দেশে ফেরার পূর্বে তিনি তাজেদারে মদীনা, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-উনার মুবারক নির্দেশের প্রতীক্ষায় থাকবেন, এটাইতো সংগত। মূলতঃ উনার জন্য এটি অপরিহার্য।

 কারণ জীবন যাপনসহ উনার যাবতীয় কার্যাদি নবীয়ে আক্বদাস, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-উনার আদেশ, নির্দেশ ও উপদেশে পরিচালিত হয়। আল্লাহ্ পাক-উনার পরম নৈকট্য হাছিলের অগ্রযাত্রা, জীবনের উদ্দিষ্ট সকল কাজ সমাপন এবং সংকট ও সমস্যা নিরসনে ছহিবু লাওলাক, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-উনার মুবারক নির্দেশনার জন্য বিনয়ী প্রত্যাশা, প্রত্যাশা পূরণের প্রতীক্ষা এবং পরম নিয়ামত লাভ করেই তো তিনি বর্তমান অবস্থানে উপনীত হয়েছেন।

এ দুনিয়ায় যতো আনন্দ, প্রশান্তি ও নিয়ামত রয়েছে, উনার মূল হলো রহমাতুল্লিল আলামীন, ছহিবু তাতমাইন্নুল কুলুব, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-উনার সঙ্গে মুবারক দায়িমী সান্নিধ্য-সংযোগ। অর্থাৎ উনার পরিপূর্ণ সন্তুষ্টি হাছিলে ধন্য হওয়া।

 এই সন্তুষ্টি হাছিলে আশিক উম্মতের  ব্যথাতুর অন্তরে যে ঐশ্বর্য, আগ্রহ, আকর্ষণ ও আকুলতার দরকার, একান্তভাবে তাআল্লাহ্ পাক-উনার দান এবং উনার প্রিয়তম হাবীব, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-উনার খাছ অনুগ্রহ। মাশুক হাবীব, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-উনার অনুগ্রহ ও সংযোগ বিচ্ছিন্নতায় এমন অন্তর বিশিষ্ট আশিক উম্মতের প্রাণ বাঁচেনা।

তাইতো বিরহ কাতরতায় অধীর আওলাদে রসূল, মুসতাজাবুদ্ দাওয়াত, আফযালুল ইবাদ, লিসানুল হক্ব, ছহিবু কাশফ ওয়া কারামত, কুতুবুজ্জামান, হযরতুল আল্লামা, সাইয়্যিদ মুহম্মদ মুখলেছুর রহমান রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার মাশুক হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-উনার সদয় অনুমতি ও নির্দেশনার প্রহর গুণছেন। নিত্যদিন অবিরাম দিদার ও সাক্ষাৎ সংঘটিত হচ্ছে। তবু আরো পাবার প্রত্যাশা ফুরায়না। কারণ অনন্ত ধারায় এ পাওয়ার শেষ নেই।

সদয় নির্দেশনা সংবলিত অনুমতির প্রতীক্ষা এ কারণে নয় যে, দেশে ফেরার জন্য তিনি অধীর হয়ে উঠেছেন। পূর্ণতা প্রাপ্তির পবিত্র কেন্দ্রভূমিতে হাজির হয়ে আত্মীয়-পরিজন ও জগৎ সংসার তিনি ভুলে গেছেন। জীবন-মরণ ও ইহকাল-পরকাল এখন একাকার হয়ে গছে। পরম নৈকট্যযোগে যে নিয়ামত হাছিলের জন্য জীবনের এতোগুলো দিন দুঃসহ কৃচ্ছতায় সযত্নে গুছিয়ে তোলা হয়েছে, তার পরিপূর্ণতায় জীবনের অন্যসব গৌণ প্রয়োজনের আয়োজন থেমে গেছে। কে বলে পবিত্র মদীনা শরীফের সমমর্যাদা সম্পন্ন স্থান আর কোথাও আছে? কে বলে পবিত্র রওযা মুবারক ছেড়ে দেশে ফিরে গেলে ভালো লাগবে? কে বলে মদীনা শরীফ ছেড়ে গেলে জীবনের স্বাভাবিক গতিময়তা সুস্থির ও এতমিনান থাকবে? (অসমাপ্ত)

আবা-১২৩

একজন কুতুবুজ্জামান- উনার দিদারে মাওলার দিকে প্রস্থান- সাইয়্যিদুনা হযরত দাদা হুযুর ক্বিবলা সাইয়্যিদ মুখলেছুর রহমান আলাইহিস সালাম উনার সাওয়ানেহে উমরী মুবারক-পর্ব-৬৩

 

ওলীয়ে মাদারজাদ, মুসতাজাবুদ দাওয়াত, আফযালুল ইবাদ, ছহিবে কাশফ ওয়া কারামত, ফখরুল আউলিয়া, ছূফীয়ে বাতিন, ছহিবে ইসমে আযম, লিসানুল হক্ব, গরীবে নেওয়াজ, আওলাদুর রসূল, আমাদের সম্মানিত দাদা হুযূর ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার স্মরণে-

একজন কুতুবুজ্জামান-উনার দিদারে মাওলা উনার দিকে প্রস্থান-

হজ্ব এবং যিয়ারত শেষে দেশে  ফেরার পালা ॥

 মন পড়ে রয়েছে  পবিত্র রওযা মুবারকে আল্লাহ পাক-উনার নিগূঢ় নৈকট্য লাভকারী সূক্ষ্মদর্শী ওলীগণতো অনেক দূরের কথা, তরীক্বতের হক্ব সিলসিলাভুক্ত একজন সাধারণ সালিকও (মুরীদ) জানেন যে, শরীয়তের সম্পর্ক যাহিরী তাহ্যীবের সঙ্গে, বাতিনী সম্পর্ক অন্তরের পবিত্রতার সঙ্গে। যেমন, পাক-পবিত্র কাপড় পরিধান করে নামাজ পড়া শরীয়ত। কিন্তু অন্তরকে পবিত্র রাখা তরীক্বত। ওজু করে পবিত্রতা হাছিল করা শরীয়তের বিধান। আর অন্তরকে অনুক্ষণ পাক-পবিত্র রাখা তাছাউফের বিধান। ক্বিবলামুখী হওয়া শরীয়তের হুকুম। আর নিরন্তর অন্তরকে আল্লাহ্ পাক-উনার দিকে রুজু করে রাখা আল্লাহ্ পাক-উনার হুকুম। রওযা মুবারক যিয়ারত করা হাদীছ শরীফের আদেশ। কিন্তু সরওয়ারে দোজাহাঁ, খতিবুল আম্বিয়া, ছহিবুল ওহী ওয়াল কুরআন, হাবীবুল্লাহ্, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-উনার সঙ্গে দায়িমীভাবে অবিচ্ছেদ্য সম্পর্ক রাখা আল্লাহ্ পাক-উনার আদেশ। অর্থাৎ দ্বীনী মুআমেলাত যাহিরের (শরীয়ত) সঙ্গে এবং ক্বলব-উনার মুআমেলাত অন্তরের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত। তাজেদারে মদীনা, ছহিবু জাওয়ামিউল কালিম, রহমতে আলম, হাবীবুল্লাহ্ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-উনার সঙ্গে উনারই আশিক আওলাদ, ওলীয়ে মাদারজাদ, আফযালুল ইবাদ, ফখরুল আউলিয়া, হযরতুল আল্লামা সাইয়্যিদ মুহম্মদ মুখলেছুর রহমান রহমতুল্লাহি আলাইহি-উনার ক্বলব ও অন্তরের সম্পর্ক স্থাপিত হয়েছে উনার (হযরতুল আল্লামা সাইয়্যিদ মুহম্মদ মুখলেছুর রহমান রহমতুল্লাহি আলাইহি) মুবারক জন্মলগ্ন থেকেই। সে সম্পর্ক নিগূঢ় ও অবিচ্ছেদ্য।

          হজ্ব এবং যিয়ারতে শরীয়তের আহকাম ইখলাছের সঙ্গে পরিপূর্ণরূপে প্রতিপালিত হয়েছে। আওলাদুর রসূল, হযরতুল আল্লামা সাইয়্যিদ মুহম্মদ মুখলেছুর রহমান আলাইহিস সালাম প্রতিনিয়ত দিদার লাভের যোগ্যতা হাছিল করেছেন। নিত্যদিন সাক্ষাৎ লাভের জন্য আশান্বিতও হয়েছেন। দেশে ফিরে এলে লব্ধ নিয়ামত ও কামিয়াবী হ্রাস পাবার ভয় নেই, নিরন্তর দিদার হাছিল না হবার শঙ্কা নেই এবং অগ্রযাত্রা ব্যাহত হবার মতো কোন প্রতিবন্ধকতাও নেই। তবু মন চায় পবিত্র রওযা মুবারকে অবস্থান করে নৈকট্য সুধাপানে অবিরাম নিমগ্ন থাকতে। ছহিবুল ইহছান, হাবীবে আযম, রউফুর রহীম, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-উনার সঙ্গে পরিপূর্ণ মনঃসংযোগের এমন পর্যায়ে পূর্ণতা প্রাপ্তির আনন্দ-বেদনা এবং বিদায়-বিচ্ছেদের দুঃসহ যাতনায় উনার মাহবুব আওলাদ এখন ব্যথ্যাভারে মুহ্যমান।

          ওলী আল্লাহ্গণের হিদায়েতের প্রক্রিয়া, বিন্যাস ও বিস্তৃতি এবং তাঁদের কর্মপরিধি ও অবস্থান আল্লাহ্ পাক কর্তৃক নির্ধারিত। নির্ধারিত এ নিগূঢ় বিষয়গুলো ইল্হাম, ইলকা ও ইলমে লাদুন্নীর মাধ্যমে আল্লাহ্ পাক উনার মাহবুব ওলীগণকে জানিয়ে দিয়ে থাকেন। রহমাতুল উম্মাহ, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-উনার সঙ্গে দায়িমী নিছবত (সার্বক্ষণিক সম্পর্ক-সম্পৃক্ততা) বিদ্যমান থাকায় ওলী আল্লাহ্গণের যাবতীয় কার্যাবলী উনার সদয় আদেশ, নির্দেশ ও ইঙ্গিতে পরিচালিত হয়। মাশুকে মাওলা, আকরামুল আউয়ালীন ওয়াল আখিরীন, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম দুনিয়ায় ইসলাম ধর্ম আবাদ এবং সমগ্র বিশ্বজগৎ প্রতিপালন ও পরিচালনায় আল্লাহ্ পাক-উনার সকল কাজের ইন্তিজামকারী। আল্লাহ্ পাক যাবতীয় বিষয়ের কার্যকারণ উনার প্রিয়তম হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-উনার ইচ্ছাধীন করেছেন। ছহিবুল ওহী ওয়াল কুরআন, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সল্লাম-উনার নিকট থেকেই আল্লাহ্ পাক-উনার সকল আদেশ ও নির্দেশ জারী হয়।

          ছহিবু সুলতানুন্ নাছীর, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে মহান আল্লাহ্ পাক আধিপত্য, ক্ষমতা ও ইখতিয়ার দান করেছেন এবং উনাকে আদ্যন্তকালের সুমহান মর্যাদা ও সর্বোত্তম মহিমায় অভিষিক্ত করেছেন। তাই উনার অবলুপ্ত সুন্নত (হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-উনার সকল আদেশ, নির্দেশ ও আদর্শ) যিন্দাকরণ এবং সুন্নত পালনে মানুষকে অভ্যস্ত করে তোলার মাধ্যমে দুনিয়ায় ইসলাম ধর্ম আবাদের ইন্তিজামকারী ওয়ারাসাতুল আম্বিয়া(হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-উনার ক্বায়িম মক্বাম খালিছ ওলী আল্লাহ)গণকে হাবীবে আযম, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সল্লাম অনুক্ষণ আদেশ-নির্দেশ দানের মাধ্যমে পরিচালিত করে থাকেন। আশিকে রসূল ওলী আল্লাহ্গণকে তিনি এই আদেশ, নির্দেশ ও ইঙ্গিত দান করেন স্বপ্ন দিদারে, কখনো রওযা মুবারক যিয়ারতকালে, আবার কখনো ওলী আল্লাহ্গণের জাগ্রত অবস্থায় প্রত্যক্ষ সাক্ষাৎদানের মাধ্যমে। (অসমাপ্ত)

আবা-১২২

একজন কুতুবুজ্জামান- উনার দিদারে মাওলার দিকে প্রস্থান- সাইয়্যিদুনা হযরত দাদা হুযুর ক্বিবলা সাইয়্যিদ মুখলেছুর রহমান আলাইহিস সালাম উনার সাওয়ানেহে উমরী মুবারক-পর্ব-৬২

 

ওলীয়ে মাদারজাদ, মুসতাজাবুদ্ দাওয়াত, আফযালুল ইবাদ, ছহিবে কাশ্ফ ওয়া কারামত, ফখরুল আউলিয়া, ছূফীয়ে বাতিন, ছহিবে ইস্মে আযম, লিসানুল হক্ব, গরীবে নেওয়াজ, আওলার্দু রসূল, আমাদের সম্মানিত দাদা হুযূর ক্বিবলা আলাইহিস সালাম-উনার স্মরণে-

একজন কুতুবুজ্জামান-উনার দিদারে মাওলার দিকে প্রস্থান-

হজ্ব এবং যিয়ারত মুবারক শেষে দেশে  ফেরার পালা ॥

 মন পড়ে রয়েছে পবিত্র রওযা মুবারকে প্রতিটি বিষয়েরই দুটি দিক রয়েছে। একটি যাহিরী এবং অপরটি বাতিনী। দৃশ্যমান এবং উপলব্ধ যাবতীয় বিষয়ের ফায়সালা মেধা, প্রজ্ঞা এবং শরীয়তের মানদণ্ডে নির্ধারিত হয়ে থাকে। অদৃশ্য এবং অনুপলব্ধ বিষয় সাধারণ মানুষের একান্তই অজ্ঞাত। তাই এসবের সমাধানে শরীয়তের নিয়ামক ভূমিকা নেই। কৌতূহলী ও  অনুসন্ধিৎসু  মানব মন অজানাকেও জানতে চায়। মানুষের এ দুর্নিবার আকাঙ্খার আরম্ভ ও নিবৃত্তি কেবলই অনুমান নির্ভর। ব্যক্তিভেদে আপেক্ষিক ধারণা ও অনুমানে আত্মগত পন্থায় সত্য সন্ধানে বিচরণ করা গেলেও আদৌ হাক্বীক্বতে পৌঁছা যায় না। পক্ষান্তরে মাহবুব ওলীগণকে আল্লাহ্ পাক ইলহাম, ইলকা এবং ইলমে লাদুন্নী দ্বারা সমৃদ্ধ ও সম্মানিত করে থাকেন। 

          আকরামুল আউয়ালীন ওয়াল আখিরীন, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল  মুরসালীন, হাবীবুল্লাহ্, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-উনার সঙ্গে দিদার ও অবিরাম সংযোগ-সম্পৃক্ততায় সূক্ষ্মদর্শী ওলীআল্লাহগণ কামিয়াবীর যে পরিণত মাকামে উপনীত হন, তাতে আল্লাহ্ পাক-উনার সদয় ইচ্ছায় অজানা বিষয় ও রহস্যের দরজাও উনাদের কাছে অবারিত হয়ে যায়। অর্থাৎ উনারা হক্কুল ইয়াক্বীনের স্তরে পৌঁছে যান। আর হক্কুল ইয়াক্বীন এমন পরিপূর্ণ স্তর যে স্তরে জানা ও অজানার ভেদরেখা মুছে যায়। 

          প্রকৃত কামালত হাছিলের ক্ষেত্রে বান্দার জন্য এটি একটি মূল সোপান। সাধারণ মানুষ ওলীআল্লাহ্গণের মর্যাদা লাভের প্রক্রিয়া এবং পরিধি সম্পর্কে অজ্ঞাত। এমনকি অতি উচুঁ মাকামের ওলীগণের অবস্থা সম্পর্কে অপেক্ষাকৃত নীচু মাকামের ওলীগণও অনবহিত থাকেন, যতক্ষণ না ঐ উচুঁ মাকামে উনাদের উত্তরণ ঘটে।   কাজেই বিরহকাতর অন্তরের ব্যাকুল আগ্রহে মদীনা শরীফে স্বশরীরে হাজির হয়ে ওলীয়ে মাদারজাদ, হযরতুল আল্লামা সাইয়্যিদ মুহম্মদ মুখলেছুর রহমান রহমতুল্লাহি আলাইহি ছহিবু ফাতহিম মুবীন, আশিকে উম্মত, মাশুকে মাওলা, হাবীবুল্লাহ্, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-উনার পবিত্র যবান মুবারক থেকে স্বীকৃতিলাভে যে পরিপূর্ণতা হাছিল করলেন, তা সবিস্তার আলোচনায় জানা গেলেও উনার লব্ধ অতল গভীর মাকাম  ও কামিয়াবীর স্তর ও মর্যাদার সোপান আমাদের কাছে অজ্ঞাত রয়ে গেল। 

          হজ্ব সমাপন হয়েছে এবং প্রত্যাশিত পরম নিয়ামতও হাছিল হয়েছে। বাহ্যতঃ সকল কাজই সমাপ্ত হয়েছে। এখন দেশে ফেরার পালা। সে প্রস্তুতিও চলছে। কিন্তু মন পড়ে রয়েছে পবিত্র রওযা মুবারকে। পবিত্র রওযা মুবারক এবং মসজিদে নববীতে যে পরম নিয়ামত হাছিল হয়েছে তারপরে পাবার আর কিছুই অবশিষ্ট থাকে না। মনতো কিছুতেই চায়না মদীনা শরীফ ছেড়ে আসতে। মূলতঃ মদীনা শরীফের সঙ্গে ওলীআল্লাহ্গণের মনঃসংযোগ এরূপই হয়ে থাকে।

          বর্তমান বাংলাদেশ, পাকিস্তান, আফগানিস্তান, ভারতের বিশাল জনপদে তৎকালে হাদীছ শরীফ প্রচার ও প্রসারকারী আশিকে রসূল, হযরত শায়খ আব্দুল হক মুহাদ্দিসে দেহলভী রহমতুল্লাহি আলাইহি পবিত্র রওযা মুবারকে হাজির হয়ে সবিনয়ে প্রার্থনা জানালেনঃ ইয়া রসূল্লাল্লাহ, ইয়া হাবীবাল্লাহ্, ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মন কিছুতেই চায়না আপনার মুবারক সন্নিধান ছেড়ে দূরে যেতে। আপনি বিহনে জীবন আমার দুর্বিষহ এবং অবশেষে ইন্তিকাল। দয়া করে আমাকে আপনার মুবারক ছোহবতে থাকার অনুমতি দান করুন। 

রওযা মুবারক থেকে জবাব এলোঃ হে শায়খ আব্দুল হক, তোমার কর্মক্ষেত্র দিল্লী।আপনি দিল্লী চলে যান। সেখানে আমার হাদীছ শরীফ এবং দ্বীন ইসলামের প্রচার-প্রসার করেন। একই সঙ্গে আমার অবলুপ্ত সুন্নতগুলো যিন্দা করেন।আপনি আশ্বস্ত হও যে, প্রতিদিনই অন্ততঃ একবারআপনি আমার সাক্ষাৎ পাবেন।আশ্বাসবাণী পেয়ে নির্দেশমতো তিনি দিল্লী চলে এলেন এবং প্রতিদিনই মুবারক দিদার লাভ করতে থাকলেন।  (অসমাপ্ত)

আবা-১২১

একজন কুতুবুজ্জামান- উনার দিদারে মাওলার দিকে প্রস্থান- সাইয়্যিদুনা হযরত দাদা হুযুর ক্বিবলা সাইয়্যিদ মুখলেছুর রহমান আলাইহিস সালাম উনার সাওয়ানেহে উমরী মুবারক-পর্ব-৬১

 


ওলীয়ে মাদারজাদ, মুসতাজাবুদ্ দাওয়াত, আফযালুল ইবাদ, ছহিবে কাশ্ফ ওয়া কারামত, ফখরুল আউলিয়া, ছূফীয়ে বাতিন, ছহিবে ইস্মে আযম, লিসানুল হক্ব, গরীবে নেওয়াজ, আওলার্দু রসূল,

আমাদের সম্মানিত দাদা হুযূর ক্বিবলা আলাইহিস সালাম-উনার স্মরণে-

একজন কুতুবুজ্জামান-উনার দিদারে মাওলার দিকে প্রস্থান- 

 হজ্ব সমাপন এবং মসজিদে  নববীতে বিশেষ নিয়ামত লাভ ওলীয়ে মাদারজাদ, আওলাদুর রসূল, হযরতুল আল্লামা সাইয়্যিদ মুহম্মদ মুখলেছুর রহমান আলাইহিস সালাম অতঃপর আফযালুন্ নাস বাদাল আম্বিয়া হযরত আবু বকর ছিদ্দীক রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু এবং ফারুকে আযম হযরত উমর ইবনুল খত্তাব রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুকে কদমবুছি করলেন। উভয়ে পর্যায়ক্রমে উনাকে উনাদের বুক মুবারকে জড়িয়ে নিলেন। সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন্ নাবিয়্যীন, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-উনার সঙ্গে উনার আনুষ্ঠানিক মহা-মিলনের পরম মুহূর্তে আফযালুন্ নাস বাদাল আম্বিয়া হযরত আবু বকর ছিদ্দীক রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু এবং ফারুকে আযম হযরত উমর ইবনুল খাত্তাব আলাইহিস সালাম উনাকে মুবারকবাদ জানালেন এবং স্বীকৃতিদান করলেন।

          একথা জানা যে, একজন সাধারণ মুমিনেরও প্রত্যাশা বহুতর। সে চায় দুনিয়া বিরাগী মন ও মনন, অনাবিল অন্তঃকরণ (ইখলাছ), বিশুদ্ধ আমল (আমলে ছলেহ)-উনার নিমগ্নতা। সে চায় কথা, কাজ, আচরণ ও বিচরণের নির্মলতা, চায় কামিয়াবী। আরো চায় হাবীবে আযম হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এবং আল্লাহ্ পাক-উনার সন্তুষ্টি। মাহবুব ওলীআল্লাহ্গণের মূল লক্ষ্য কেবলই আল্লাহ্ পাক-উনার পরিপূর্ণ রেযামন্দী হাছিলে অনুভব, অনুসন্ধান ও আমলে নিরন্তর নিমগ্ন থাকা। এ বিষয়গুলোর কাম্য পর্যায়ের যোগ্যতা অর্জনের জন্য যাঅপরিহার্য বলে উনারা জানেন, তা হলো মাশুকে মাওলা, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে দায়েমীভাবে (অনুক্ষণ) প্রাণাধিক মুহব্বত করা, উনাকে সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্ম ও পুঙ্খানুপুঙ্খরূপে অনুসরণ ও অনুকরণ করা। কারণ, আল্লাহ্ পাক-উনার সন্তুষ্টি হাছিলের জন্য তিনি অবধারিত মাধ্যম।

          রহমতে আলম, হাবীবুল আউয়ালীন ওয়াল আখিরীন, রফিকু ছহিবিল কুদরত, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-উনার আশিক উম্মতের মুহব্বতের মাত্রা উপলব্ধির ক্ষেত্রে আফযালুল আউলিয়া, ইমামে রব্বানী, মুজাদ্দিদে আলফে ছানী, হযরত শায়খ আহমদ ফারুকী সিরহিন্দী রহমতুল্লাহি আলাইহি-উনার মনন এবং অবনত মানসিকতা এখানে প্রনিধানযোগ্য।

তিনি বলেছেন, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাদেরকে আল্লাহ্ পাক-উনার পরিচিতি দান করেছেন। খালিক্ব ও মাখলুকের মধ্যে পার্থক্যের পরিপূর্ণ ও বোধগম্য ব্যাখ্যা তিনিই দান করেছেন। আল্লাহ্ পাক সম্পর্কে মানুষের নিবিড়তম চিন্তা, মনোযোগ, অনুসন্ধান, অনুভব ও আনুগত্যের প্রবেশদ্বার তিনিই উম্মোচন করে দিয়েছেন। সর্বোপরি তিনি বলেছেন যে, আল্লাহ্ পাক, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-উনার আল্লাহ্ পাক বলেই ঐ একই আল্লাহ্ পাক উনারও (হযরত মুজাদ্দিদে আলফে ছানী রহমতুল্লাহি আলাইহি) আল্লাহ্ পাক। অর্থাৎ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-উনার প্রতি মুহব্বত ও আনুগত্যের কারণেই তিনি আল্লাহ্ পাক-উনার প্রতি দায়েমীভাবে অনুগত।

          ছহিবুল ওহী ওয়াল কুরআন, সাইয়্যিদুল খলায়িক্ব, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে মুহব্বত এবং বিশ্বাস না করার কারণেই কাফির সম্প্রদায় আল্লাহ্ পাক-উনার প্রতি ঈমান আনতে পারেনি। বুঝতে কষ্ট হবার কথা নয় যে, ঈমানদার ব্যক্তির আমলের অর্থই হলো রসূলে আকরাম, হাবীবে আযম, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে অনুসরণ ও অনুকরণ করা। অর্থাৎ পরিপূর্ণরূপে সুন্নতের পাবন্দ হওয়া। অনুসরণ ও অনুকরণের মাত্রা ও যথার্থতা অনুযায়ী আল্লাহ্ পাক আমলকারী মুমিনের মান, মর্যাদা ও কামিয়াবীর সোপান নির্ধারণ করে থাকেন।

          হযরত মুজাদ্দিদে আলফে ছানী রহমতুল্লাহি আলাইহি-উনার অনুভব ও আনুগত্যের মতো একই অনুভব, উপলদ্ধি ও আনুগত্যে আশিকে নবী, আওলার্দু রসূল, হযরতুল আল্লামা সাইয়্যিদ মুহম্মদ মুখলেছুর রহমান রহমতুল্লাহি আলাইহি, খাযীনার্তু রহমত, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-উনার প্রতি সমর্পিত। তাই আজ মহা মিলনের প্রত্যাশিত মুহূর্তে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতির অভিষেকে তিনি পরিপূর্ণরূপে কামিয়াবীর সনদ লাভ করলেন। ছহিবু সুলতানিন্ নাছীর, সিরাজুম্ মুনীরা, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এবং আল্লাহ্ পাক ছাড়া লব্ধ এ নিয়ামতের পরিমাপ ও পরিধি নির্ধারণ ও উপলদ্ধি করার সাধ্য কার?

আবা-১২০

একজন কুতুবুজ্জামান- উনার দিদারে মাওলার দিকে প্রস্থান- সাইয়্যিদুনা হযরত দাদা হুযুর ক্বিবলা সাইয়্যিদ মুখলেছুর রহমান আলাইহিস সালাম উনার সাওয়ানেহে উমরী মুবারক-পর্ব-৬০

 


ওলীয়ে মাদারজাদ, মুসতাজাবুদ্ দাওয়াত, আফযালুল ইবাদ, ছহিবে কাশ্ফ ওয়া কারামত, ফখরুল আউলিয়া, ছূফীয়ে বাতিন, ছহিবে  ইস্মে আযম, লিসানুল হক্ব, গরীবে নেওয়াজ, আওলাদুর রসূল, আমাদের সম্মানিত দাদা হুযূর ক্বিবলা আলাইহিস সালাম-উনার স্মরণে-

একজন কুতুবুজ্জামান-উনার দিদারে মাওলা উনার দিকে প্রস্থান-

হজ্ব সমাপন এবং মসজিদে

 নববীতে বিশেষ নিয়ামত লাভ

সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-উনার সঙ্গে জাগ্রত অবস্থায় যার সাক্ষাৎ হয়নি, তার জন্য স্বপ্নযোগে দিদারলাভ বিরাট কামিয়াবী। এই অতুলনীয় সাফল্য ও সৌভাগ্য লাভে মানুষের প্রার্থনা, প্রয়াস ও আমলের কোন ভূমিকা নেই। এটি কেবলই আল্লাহ্ পাক-উনার মেহেরবানী। তাইতো বিদগ্ধ কবি এভাবে তার অনুভূতি ব্যক্ত করেছেন, “আমি চাই উনার মিলন। আর তিনি চান আমার বিরহ। তাই উনার ইচ্ছায় আমি আমার মিলনের প্রত্যাশা পরিত্যাগ করলাম।মিলন ও বিরহের তাত্ত্বিক ব্যাখ্যায় হযরত আরিফ শিরাজী রহমতুল্লাহি আলাইহি বলেছেন, “মিলন ও বিরহ দিয়ে কী হয়। যাকাম্য, তাতো বন্ধুর সন্তুষ্টি। এটি অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় যে, আপনি প্রিয়তমের নিকট উনাকে ছাড়া অন্য কিছু চাইবে।

          স্বপ্ন ও জাগ্রত অবস্থায় দিদারলাভ সম্পর্কে হাদীছ শরীফে অনেক ফযীলত বর্ণিত হয়েছে। হযরত আবূ হুরায়রা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু-উনার বর্ণনায় আশিকে উম্মত হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেছেন, “যে ব্যক্তি আমাকে স্বপ্নে দেখে, প্রকৃতপক্ষে সে আমাকেই দেখে। কারণ, শয়তান কখনো আমার আকৃতি ধারণ করতে পারেনা।” (তিরমিযী)

তিনি আরো ইরশাদ করেছেন, “যে ব্যক্তি স্বপ্নে আমার যিয়ারত লাভ করবে, সে অচিরেই জাগ্রত অবস্থায়ও আমার দিদার লাভ করবে। আর শয়তান আমার ছূরত ধারণে অক্ষম।” (বুখারী,মুসলিম)           উল্লিখিত হাদীছ শরীফ দুটির মর্মবাণী হলো যে, যে ব্যক্তি সরওয়ারে দোজাহাঁ, হাবীবে কুওয়াতে আজালান ওয়া আবাদান, রসূলে মকবুল হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-উনার যিয়ারত লাভ করবে, তাজাগ্রত অবস্থায় হোক অথবা স্বপ্নযোগেই হোক, সে দুনিয়া ও আখিরাতে কামিয়াবী হাছিল করবে। উভয় অবস্থার দিদারেই (স্বপ্নযোগে অথবা জাগ্রত অবস্থায়) কামিয়াবী রয়েছে। তবে জাগ্রত অবস্থায় দিদারলাভ, দিদারলাভকারীর অতি উঁচু মাকামের (কামিয়াবীর পরিণত সোপান) পরিচয় বহন করে। স্বপ্নযোগে অবিরাম সাক্ষাৎ লাভ তো বটেই, জাগ্রত অবস্থায়ও হাবীবে আযম, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-উনার সঙ্গে নিরবচ্ছিন্ন যিয়ারত লাভ এবং সার্বক্ষণিক যোগাযোগ-সংশ্লিষ্টতায় আশিকে নবী, আওলাদুর রসূল, আফযালুল ইবাদ, ওলীয়ে মাদারজাদ, হযরতুল আল্লামা শাহ্ ছূফী সাইয়্যিদ মুহম্মদ মুখলেছুর রহমান রহমতুল্লাহি আলাইহি যে অতুলনীয় মর্যাদা ও মাকামে অধিষ্ঠিত হয়েছেন, তা বলার অপেক্ষা রাখেনা। আউয়ালু শাফিয়ীন, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-উনার সঙ্গে অনেক ক্ষেত্রে স্বপ্নে অতি সাধারণ স্তরের মানুষেরও (যে সাক্ষাতের প্রত্যাশাও করেনি) সাক্ষাৎ লাভ হয়ে থাকে। তবে সাক্ষাৎ লাভের পর সে ব্যক্তি খোশ নছীবের অধিকারী হয়ে যায়, যদি সে নেক নিয়তে ঈমান ও আমলে নিবেদিত থাকে এবং পরিপূর্ণরূপে সুন্নতের পাবন্দ হয়। জাগ্রত অবস্থায় অবিরাম দিদার ও নিয়ামত লাভে কামিয়াব হওয়ার জন্য লিসানুল হক্ব, ফখরুল আউলিয়া, মুসতাজাবুদ দাওয়াত, আওলাদুর রসূল, হযরতুল আল্লামা সাইয়্যিদ মুহম্মদ মুখলেছুর রহমান রহমতুল্লাহি আলাইহি-উনার মতো পরিপূর্ণ আশিক এবং আল্লাহ্ পাক-উনার মাহবুব ওলী হওয়া আবশ্যক।

মসজিদে নববীতে আজ সে মুবারক দিদার সংঘটিত হচ্ছে। প্রত্যাশা পূরণের পরম মুহূর্তে তন্দ্রাচ্ছন্ন আশিক নির্বাক। আদব ও বিনয়ের সঙ্গে তিনি রহমতে আলম, মাশুকে মাওলা, ছহিবে খুলুক্বে আযীম, সাইয়্যিদুল কাওনাইন, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে কদমবুছি করলেন, কপাল মুবারকে চুমু খেলেন। অস্ফুট আওয়াজে নিবেদন জানালেন, “ইয়া রসূলাল্লাহ, ইয়া হাবীবাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, অনুগ্রহ করে আমাকে গ্রহণ করুন, আমাকে পূর্ণ করুন, কামিয়াব করুন।রউফুর রহীম, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রিয় আওলাদকে কাছে টেনে নিলেন। জড়িয়ে ধরলেন এবং বললেন, “আপনি আমার আশিক, আপনি পরিপূর্ণ, আপনি কামিয়াব।(অসমাপ্ত)

আবা-১১৯

একজন কুতুবুজ্জামান- উনার দিদারে মাওলার দিকে প্রস্থান- সাইয়্যিদুনা হযরত দাদা হুযুর ক্বিবলা সাইয়্যিদ মুখলেছুর রহমান আলাইহিস সালাম উনার সাওয়ানেহে উমরী মুবারক-পর্ব-৫৯

 


ওলীয়ে মাদারজাদ, মুসতাজাবুদ্ দাওয়াত, আফযালুল ইবাদ, ছহিবে কাশ্ফ ওয়া কারামত, ফখরুল আউলিয়া, ছূফীয়ে বাতিন, ছহিবে  ইস্মে আযম, লিসানুল হক্ব, গরীবে নেওয়াজ, আওলাদুর রসূল, আমাদের সম্মানিত দাদা হুযূর ক্বিবলা আলাইহিস সালাম-উনার স্মরণে-

একজন কুতুবুজ্জামান-উনার দিদারে মাওলা উনার দিকে প্রস্থান-

হজ্ব সমাপন এবং মসজিদে নববীতে

বিশেষ নিয়ামত লাভ

চাওয়া-পাওয়া, আনন্দ-বিষাদ, স্বস্তি-শঙ্কা ও মিলন-বিরহের উদ্বেগে এক যন্তনাকাতর মানসিকতায় ওলীয়ে মাদারজাদ, আশিকে নবী, আওলাদুর রসূল, হযরতুল আল্লামা সাইয়্যিদ মুহম্মদ মুখলেছুর রহমান  আলাইহিস সালাম পবিত্র মদীনা শরীফে উপস্থিত হলেন। আশৈশব মন ও মননে লালিত মধুরতম স্বপ্ন বাস্তবায়নের পরম মুহূর্তে তিনি বাকরুদ্ধ। এটি এমন এক চাওয়া, যানা পেলে জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠে এবং যাপ্রাপ্তির পূর্ণতায় আনন্দ-বেদনার মিশ্রধারায় চোখের পাতা ভিজে যায়। তাইতো ইহকাল ও পরকালের পবিত্র কেন্দ্রভূমি মদীনা শরীফের মুবারক মাটিতে কদম রেখে কেবলই উনার মন বলে, “ইয়া রসূলাল্লাহ, ইয়া হাবীবাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! দূর থেকে ছলাত-সালাম পাঠিয়ে তৃষ্ণা মিটেনি। আপনার সদয় আহবানে প্রাণ জুড়াবার পরম প্রত্যাশায় আমি আপনার পাক দরবারে হাজির হয়েছি। স্বশরীরে আপনার মুবারক সান্নিধ্যে এসে বাকরুদ্ধ আমি বেকারার হয়ে পড়েছি। এখন কিভাবে নিজেকে আপনার কাছে সমর্পন করবো দয়া করে বলে দিন।          মেহেরবান আল্লাহ্ পাক উনার মাহবুব ওলীগণকে এমন কিছু খাছ নিয়ামত দান করেন, যাআয়াসসাধ্য নিপুন আয়োজনে আমৃত্যু আমল ও কোশেশ করেও লাভ করা যায়না। এই অতুলনীয় নিয়ামত আল্লাহ্ পাক-উনার সদয় বখ্শিশ। ছহিবু লাওলাক, শাফিউল মুজনেবিন, আকরামুল আউওয়ালীন ওয়াল আখিরীন, মাশুকে মাওলা, তাজেদারে মদীনা, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম দুনিয়ার মূল নিয়ামত। এ নিয়ামত হাছিল হলে পাবার আর কিছুই অবশিষ্ট থাকেনা। এই পরম নিয়ামত হাছিলকারী আল্লাহ্ পাককে স্মরণের পূর্বেই আল্লাহ্ পাক উনাকে স্মরণ করে থাকেন। তখন দুনিয়া ও আখিরাত একাকার হয়ে যায়। ছহিবে নিয়ামত হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে পুঙ্খানুপুঙ্খ ও সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্মরূপে অনুসরণ ও অনুকরণ, পরিপূর্ণভাবে সুন্নতের ইতায়াত, উনার সঙ্গে নিরবচ্ছিন্ন সংযোগ স্থাপন, মুবারক দিদার ও নিগূঢ় সান্নিধ্য লাভের মাধ্যমেই আলোচ্য নিয়ামত হাছিল হয়। আশিক উম্মত জানেইনা বর্তমান, পরবর্তী ও পরিণত ধাপে তার প্রাপ্তিযোগ ও কামিয়াবীর সোপান কোনটি। আল্লাহ্ পাক-উনার মাহবুব ওলী হযরতুল আল্লামা সাইয়্যিদ মুহম্মদ মুখলেছুর রহমান রহমতুল্লাহি আলাইহিও এখন জানেননা কতো মধুর নিয়ামত উনার জন্য অপেক্ষা করছে! শুধু জানেন নিজেকে নিঃশেষে বিলীন করার প্রত্যাশিত পরম মুহূর্ত সমাগত।

খাজিনাতুর রহমত, রহমতে আলম, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-উনার সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ স্থাপনকারী এবং মুবারক দিদারলাভে ধন্য আশিকে রসূল, হযরতুল আল্লামা সাইয়্যিদ মুহম্মদ মুখলেছুর রহমান  আলাইহিস সালামপাক রওজা মুবারকে হাজির হয়ে সালাম পেশ করলেন। স্বভাব-সম্পৃক্ত বিনয় ও অন্তরের সবটুকু মমতায় নিবেদন জানালেন, “ইয়া রসূলাল্লাহ, ইয়া হাবীবাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! অনুগ্রহ করে আমাকে ধন্য করুন, আমাকে পরিপূর্ণ করুন।পবিত্র মদীনা শরীফের মুবারক মাটিতে হাঁটতে উনার পা মুবারক কাঁপছেন, পা মুবারক জড়িয়ে যাচ্ছেন। কেবলই মনে হচ্ছে, সাইয়্যিদুল খলায়িক্ব, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মদীনা শরীফের এই পাক মাটিতে কদম মুবারক রেখে হেঁটেছেন। জগৎ-সংসার, ইহকাল-পরকাল, এমনকি মনের গভীরে সত্নে গুছিয়ে রাখা নিজের কোন কথাই এখন আর মনে নেই। আপন অস্তিত্ব প্রায় বিলোপের এমন নাজুক অবস্থায় মন ও মননের সবটুকু জুড়ে আছেন কেবল মাশুক হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম।    নামাযের সময় হয়েছে। মসজিদে নববীতে নামায শেষে ছহিবু কাবা কাওসাইন, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-উনার সাক্ষাৎ লাভ এবং উনাকে কদমবুছি করার পরম প্রত্যাশায় বসে আছেন উনার মাহবুব আওলাদ, ওলীয়ে মাদারজাদ, কুতুবুয্ যামান, ফখরুল আউলিয়া, আফযালুল ইবাদ, লিসানুল হক্ব, হযরতুল আল্লামা, শাহ্ ছূফী, সাইয়্যিদ মুহম্মদ মুখলেছুর রহমান আলাইহিস সালাম। ভাবনায় বিভোর আশিক আওলাদ এক পর্যায়ে তন্দ্রায় আচ্ছন্ন হয়ে পড়েছেন। তন্দ্রাচ্ছন্ন নিবিড় পরিবেশের পরম মুহূর্তে আফযালুল ক্বায়িনাত, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-উনার দিদার নছীব হলো। কিছুক্ষণের মধ্যে হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-উনার দুজন প্রিয় সহচর সেখানে উপস্থিত হলেন। তিনি পরিচয় করিয়ে দিলেন, একজন আফযালুন নাস বাদাল আম্বিয়া হযরত আবূ বকর ছিদ্দীক রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু এবং অপরজন ফারুকে আযম হযরত উমর ইবনুল খাত্তাব রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু।

আবা-১১৮