সাইয়্যিদুনা মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার মহা সম্মানিতা আম্মা আওলাদুর রসূল, সাইয়্যিদাতুনা আমাদের- হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম উনার সাওয়ানেহে উমরী মুবারক-পর্ব-৬৪


 
পঞ্চদশ হিজরী শতকের মুজাদ্দিদ, মুজাদ্দিদে আ’যম, আওলাদুর রসূল, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার সাইয়্যিদুনা মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার মহা সম্মানিতা আম্মা, আওলাদুর রসূল, সাইয়্যিদাতুনা আমাদের- হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা কা’বা আলাইহাস সালাম উনার সীমাহীন ফাদ্বায়িল-ফদ্বীলত, বুযূর্গী-সম্মান, মান-শান, বৈশিষ্ট্য এবং উনার অনুপম মাক্বাম সম্পর্কে কিঞ্চিৎ আলোকপাত-

মুবারক শৈশব ও কৈশোর থেকেই সাইয়্যিদাতুনা হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা কা’বা আলাইহাস সালাম উনার সুন্নত মুবারক এবং শরয়ী পর্দা পালনের একনিষ্ঠ অভ্যস্ততা:

একজন মানুষ তার দুনিয়াবী বিভিন্ন কাজ যেমন: বিয়ে শাদী, ব্যবসা-বাণিজ্য ইত্যাদি হিসেব করে পবিত্র সুন্নতী তারিখ, পবিত্র সুন্নতী দিন, পবিত্র সুন্নতী সময়ে সমাধা করতে পারে। বিষয়টি অনেকাংশে মানুষের ইখতিয়ারাধীন। কিন্তু পবিত্র রগায়িব শরীফ, পবিত্র বিলাদত শরীফ এবং পবিত্র বিছাল শরীফ উনাদের তারিখ, দিন ও সময় ইচ্ছে করলেও সম্মানিত সুন্নতী তারতীবে করা আদৌ সম্ভব নয়। মুবারক এ বিষয়গুলো মহান আল্লাহ পাক উনার কুদরত এবং ক্বসিমুন নিয়াম, সাইয়্যিদুল আনাম, নূরে মুজাসসাম, মাশুকে মাওলা, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার দয়া-দান, ইহসান ও মু’জিযা শরীফ উনাদের অন্তর্ভুক্ত। সুবহানাল্লাহ!

যিনি মক্ববুল, যিনি আখাছছুল খাছ, যিনি মুরাদ শ্রেণির ওলীআল্লাহ, যিনি বিলায়েতে কুবরার ধারক ও বাহক এবং যিনি পরিপূর্ণরূপে মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার প্রিয়তম রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের দায়িমী নিসবতে মশগুল এবং যিনি উনাদের পক্ষে যাবতীয় কাজ সম্পাদনকারী উনার মুবারক ক্ষেত্রেই এই সম্মানিত সুন্নতসমূহ পালিত হয়ে থাকে। সুবহানাল্লাহ!

একই মুবারক কারণে ওলীয়ে মাদারযাদ, আওলাদে রসূল, ক্বায়িম-মাক্বামে হযরত উম্মু রসূলিনা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, আখাছছুল খাছ আহলে বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদাতুনা হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা কা’বা আলাইহাস সালাম তিনি সম্মানিত রজবুল হারাম শরীফ মাস উনার ২৭ তারিখে পবিত্র লাইলাতুল মি’রাজ শরীফ রজনীতে কায়িনাতের সর্বশ্রেষ্ঠ নি’মাতুল উজমা, সাইয়্যিদে মুজাদ্দিদে আ’যম, আওলাদে রসূল, ক্বায়িম-মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, হাবীবুুল্লাহ, সাইয়্যিদুনা মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা কা’বা আলাইহিস সালাম উনাকে পবিত্রতম রেহেম শরীফে মূল নিয়ামত হিসেবে ধারণ করেছেন। অভিন্ন কারণে পবিত্র ১২ই রবীউল আউওয়াল শরীফে উনাকে কুল কায়িনাতবাসীর হিদায়েত ও নছীহতের জন্য হাদিয়া মুবারক করেছেন। সুবহানাল্লাহ!

উপরোক্ত আলোচনায় যে মুবারক বিষয়টি সুস্পষ্টভাবে পরিস্ফুটিত হয় তা হলো, সূক্ষ্মদর্শী মাহবুব ওলীআল্লাহ উনাদেরকে অবিচ্ছিন্ন নিগূঢ় নৈকট্যসুধায় ধন্য করার জন্য মহান আল্লাহ পাক সুবহানাহু ওয়া তায়ালা তিনি উনাদেরকে আমল ও কোশেশ বহির্ভূত সাধ্যাতীত সম্মানিত সুন্নত মুবারকসমূহ কুদরতীভাবে পালনের অনুকুল ক্ষেত্র তৈরী করে দিয়ে থাকেন। ওলীয়ে মাদারযাদ, আওলাদে রসূল, ক্বায়িম মাক্বামে সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মু রসূলিনা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদাতুনা হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা কা’বা আলাইহাস সালাম তিনি উল্লিখিত নিয়ামত উনার ধারক ও বাহক এবং পরিপূর্ণ মিছদাক্ব। সুবহানাল্লাহ!চলবে

আবা-২৭৪





সাইয়্যিদুনা মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার মহা সম্মানিতা আম্মা আওলাদুর রসূল, সাইয়্যিদাতুনা আমাদের- হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম উনার সাওয়ানেহে উমরী মুবারক-পর্ব-৬৩

 

পঞ্চদশ হিজরী শতকের মুজাদ্দিদ, মুজাদ্দিদে আ’যম, আওলাদুর রসূল, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার সাইয়্যিদুনা মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার মহা সম্মানিতা আম্মা, আওলাদুর রসূল, সাইয়্যিদাতুনা আমাদের-

হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা কা’বা আলাইহাস সালাম

উনার সীমাহীন ফাদ্বায়িল-ফদ্বীলত, বুযূর্গী-সম্মান, মান-শান, বৈশিষ্ট্য এবং উনার অনুপম মাক্বাম সম্পর্কে কিঞ্চিৎ আলোকপাত-

মুবারক শৈশব ও কৈশোর থেকেই সাইয়্যিদাতুনা হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা কা’বা আলাইহাস সালাম উনার সুন্নত মুবারক এবং শরয়ী পর্দা পালনের একনিষ্ঠ অভ্যস্ততা:

দুনিয়ার প্রত্যেক ওলীআল্লাহ, গউছ, কুতুব, আবদাল, ইমাম, মুজতাহিদ, মুজাদ্দিদ উনাদের মুবারক ক্ষেত্রে আমরা একই সুমহান আদর্শ ও নিয়মের বহিঃপ্রকাশ দেখতে পাই। সুবহানাল্লাহ!

তা’ হলে যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ, খলীফাতুল্লাহ, খলীফাতু রসূলিল্লাহ, ইমামুশ শরীয়ত ওয়াত তরীক্বত,  মুহইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদে মিল্লাত ওয়াদ দ্বীন, হাকিমুল হাদীছ, হুজ্জাতুল ইসলাম, রসূলে নু’মা, সুলত্বানুল আরিফীন, সুলত্বানুল আউলিয়া ওয়াল মাশায়িখ, ইমামুল আইম্মাহ, ক্বইয়্যূমুয যামান, জাব্বারিউল আউওয়াল, ক্বউইয়্যূল আউওয়াল, সুলত্বানুন নাছীর, হাবীবুল্লাহ, জামিউল আলক্বাব, জামিউন নি’মাত, জামিউন নিসবত, আন নি’মাতুল উজমা আলাল আলাম, সাইয়্যিদে মুজাদ্দিদে আ’যম, আওলাদুর রসূল, ইমামুল উমাম, আখাছছুল খাছ আহলে বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদুনা মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা কা’বা আলাইহিস সালাম-

যিনি সম্মানিত শরীয়ত উনার প্রতিটি ক্ষেত্রে চূড়ান্ত পর্যায়ের এবং শীর্ষতম মাক্বামের মুবারক তাজদীদ করে যাচ্ছেন এবং সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিয়্যীন, মাশুকে মাওলা, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সমস্ত সম্মানিত সুন্নত জারী ও পালন করে যাচ্ছেন-

যিনি অনন্তকালব্যাপী পবিত্রতম সাইয়্যিদুল আইয়াদ শরীফ এবং কোটি কণ্ঠে পবিত্র মীলাদ শরীফ জারী করেছেন, যিনি দুনিয়াবী সকল কুফর, শিরক, বিদয়াত, বেশরা দূরীভূত করছেন এবং তাবৎ উলামায়ে সূ’সহ কাফির মুশরিকদের নিপাত করছেন, উনাকে পাওয়ার জন্য কী পরিমাণ তাক্বওয়াধারী, কী পরিমাণ সম্মানিত সুন্নত ও সম্মানিত পর্দাপালনকারী শীর্ষ মাক্বামের বুযূর্গ পিতা-মাতা আলাইহিমাস সালাম প্রয়োজন, তা’ প্রকাশের ভাষা আজো সৃষ্টি হয়নি। সুবহানাল্লাহ!

পবিত্র সুন্নতপালনের ক্ষেত্রে একটি বিষয় বিশেষভাবে লক্ষ্যণীয়। তা হলো, সূক্ষ্মদর্শী মাহবূব ওলীআল্লাহগণ উনারা স্বতঃপ্রবৃত্ত হয়ে যাবতীয় সম্মানিত সুন্নতপালন করে থাকেন। সাথে সাথে উনাদের অজান্তেও উনাদের ইখতিয়ার বহির্ভূত অনেক সম্মানিত সুন্নত পালিত হয়ে থাকে। যা মহান আল্লাহ পাক সুবহানাহূ ওয়া তায়ালা এবং উনার প্রিয়তম রসূল, নূরে মুজাসসাম, মাশুকে মাওলা, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের আখাছছুল খাছ দয়া-দান ইহসানের অন্তর্ভুক্ত। সুবহানাল্লাহ!

একান্ত নৈকট্যধন্য মাহবূব ওলীআল্লাহ ব্যতীত অজানা সুন্নত (যে সব সম্মানিত সুন্নতপালন আপন ইখতিয়ার বহির্ভূত) পালন করা কস্মিনকালেও সম্ভব নয়। ওলীয়ে মাদারযাদ, আওলাদে রসূল, ক্বায়িম-মাক্বামে হযরত আবূ রসূলিনা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, আখাছছুল খাছ আহলে বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদুনা হযরত দাদা হুযূর ক্বিবলা কা’বা আলাইহিস সালাম, ওলীয়ে মাদারযাদ, আওলাদে রসূল, ক্বায়িম-মাক্বামে হযরত উম্মু রসূলিনা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, আখাছছুল খাছ আহলে বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদাতুনা হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা কা’বা আলাইহাস সালাম এবং প্রাণের আক্বা ক্বিবলা কা’বা মুজাদ্দিদে মাদারযাদ, সাইয়্যিদে মুজাদ্দিদে আ’যম, আন নি’মাতুল কুবরা আলাল আলাম, হুজ্জাতুল ইসলাম, গউছুল আ’যম, ইমামুল উমাম, আওলাদে রসূল, জামিউন নিসবত, জামিউন নি’মাত, জামিউল আলক্বাব, ছাহিবু সুলত্বানিন নাছীর, আখাছছুল খাছ আহলে বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদুনা মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা কা’বা আলাইহিস সালাম উনাদের যাবতীয় বিষয় উপরোক্ত মুবারক তারতীব উনাদের অনুরূপ। অর্থাৎ পবিত্র রগায়িব শরীফ, পবিত্র বিলাদত শরীফ, পবিত্র নিসবাতুল আযীম শরীফ, পবিত্র বিছাল শরীফসহ সকল প্রকার ঘটনা ও কার্যাবলী এই নিয়ম, অর্থাৎ সম্মানিত সুন্নত মুবারক উনার অন্তর্ভুক্ত। সুবহানাল্লাহ!

 আবা-২৭৩

সাইয়্যিদুনা মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার মহা সম্মানিতা আম্মা আওলাদুর রসূল, সাইয়্যিদাতুনা আমাদের- হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম উনার সাওয়ানেহে উমরী মুবারক-পর্ব-৬২

 

পঞ্চদশ হিজরী শতকের মুজাদ্দিদ, মুজাদ্দিদে আ’যম, আওলাদুর রসূল, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার সাইয়্যিদুনা মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার মহা সম্মানিতা আম্মা, আওলাদুর রসূল, সাইয়্যিদাতুনা আমাদের-

হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা কা’বা আলাইহাস সালাম

উনার সীমাহীন ফাদ্বায়িল-ফদ্বীলত, বুযূর্গী-সম্মান, মান-শান, বৈশিষ্ট্য এবং উনার অনুপম মাক্বাম সম্পর্কে কিঞ্চিৎ আলোকপাত-

মুবারক শৈশব ও কৈশোর থেকেই সাইয়্যিদাতুনা হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা কা’বা আলাইহাস সালাম উনার সুন্নত মুবারক এবং শরয়ী পর্দা পালনের একনিষ্ঠ অভ্যস্ততা:

 

এমন সম্মানিত সুন্নতপালনের সীমাহীন ফাযায়িল-ফযীলত সম্পর্কে সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন:

مَنْ اَحَبَّ سُنَّتِـيْ فَقَدْ أَحَبَّنِـيْ وَمَنْ أَحَبَّنِـيْ كَانَ مَعِىَ فِي الْـجَنَّةِ

অর্থ: “যিনি আমার সম্মানিত সুন্নত মুবারক উনাকে মুহব্বত করলেন, তিনি যেনো স্বয়ং আমাকে মুহব্বত করলেন। আর যিনি আমাকে মুহব্বত করলেন, তিনি আমার সাথেই সম্মানিত জান্নাতে অবস্থান মুবারক করবেন।” সুবহানাল্লাহ! সাইয়্যিদাতুনা হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা কা’বা আলাইহাস সালাম তিনি এই পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার পরিপূর্ণ মিছদাক্ব ছিলেন। সুবহানাল্লাহ!

অর্থাৎ ওলীয়ে মাদারযাদ, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদাতুনা হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা কা’বা আলাইহাস সালাম তিনি উনার হায়াতে তইয়্যিবা মুবারকে স্বতঃপ্রবৃত্ত হয়ে সম্মানিত সকল সুন্নত মুবারক সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্মভাবে এবং পুঙ্খানুপুঙ্খরূপে পালন করছেন। এ কারণে তিনি পবিত্রতম বিছালী শান মুবারক প্রকাশের পর নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার দায়িমী দীদারে মশগুল রয়েছেন এবং সম্মানিত জান্নাতেও একই শান মুবারকে অবস্থান মুবারক করবেন। সুবহানাল্লাহ!

প্রত্যেক পিতা-মাতারই একান্ত আরজু থাকে যে, উনাদের সন্তান উনাদের চেয়ে বড় হোক, অতুলনীয় গুণাবলী বিশিষ্ট কর্ম অবদানে জগৎ-সংসার আলোকিত ও আন্দোলিত করুক। একথা স্বতঃসিদ্ধ যে, দ্বীনদার আল্লাহওয়ালা-আল্লাহওয়ালী বুযুর্গ পিতা-মাতার ঘরেই নেকে সন্তানের আগমন ঘটে থাকে। সুবহানাল্লাহ!

যেমন গাউসুল আ’যম, মাহবূবে সুবহানী, কুতুবে রব্বানী, সাইয়্যিদুল আউলিয়া, মুজাদ্দিদে যামান, আওলাদে রসূল, মুহিউদ্দীন, হযরত বড়পীর ছাহিব রহমতুল্লাহি আলাইহি উনাকে পাওয়ার জন্য চরম ও পরমভাবে হালাল-হারাম যাচাইকারী হযরত আবূ ছালেহ মূসা জঙ্গীদোস্ত রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার এবং পরিপূর্ণরূপে সম্মানিত শরীয়ত ও পর্দাপালনকারিণী একজন বুযূর্গ আম্মা আলাইহাস সালাম উনার প্রয়োজন হয়েছিলো। সুবহানাল্লাহ!

একইভাবে আফদ্বালুল আউলিয়া ক্বইয়্যূমে আউওয়াল, আবুল বারাকাত, ছিলাহে উম্মত, শায়েখ আহমদ ফারূক্বী সিরহিন্দী হযরত মুজাদ্দিদে আলফেসানী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনাকে পাওয়ার জন্য বিশ্বখ্যাত ওলীআল্লাহ হযরত শায়েখ আবদুল আহাদ রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার এবং পরিপুর্ণরূপে সম্মানিত শরীয়ত ও পর্দাপালনকারিণী একজন বুযুর্গ আম্মা আলাইহাস সালাম উনার প্রয়োজন হয়েছিলো। সুবহানাল্লাহ!

অনুরূপ সুলত্বানুল হিন্দ, গরীবে নেওয়াজ, ইমামুল আইম্মাহ, খাজায়ে খাজেগা, মুজাদ্দিদে যামান, আওলাদে রসূল, হাবীবুল্লাহ হযরত খাজা ছাহিব রহমতুল্লাহি আলাইহি উনাকে পাওয়ার জন্যও সম্মানিত শরীয়ত ও পর্দাপালনকারী উনার বুযুর্গ পিতা আলাইহিস সালাম এবং বুযুর্গ আম্মা আলাইহাস সালাম উনাদের প্রয়োজন হয়েছিলো। সুবহানাল্লাহ! (চলবে)

আবা-২৭২

সাইয়্যিদুনা মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার মহা সম্মানিতা আম্মা আওলাদুর রসূল, সাইয়্যিদাতুনা আমাদের- হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম উনার সাওয়ানেহে উমরী মুবারক-পর্ব-৬১

 

 পঞ্চদশ হিজরী শতকের মুজাদ্দিদ, মুজাদ্দিদে আ’যম, আওলাদুর রসূল, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার সাইয়্যিদুনা মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার মহা সম্মানিতা আম্মা, আওলাদুর রসূল, সাইয়্যিদাতুনা আমাদের-

হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা কা’বা আলাইহাস সালাম

উনার সীমাহীন ফাদ্বায়িল-ফদ্বীলত, বুযূর্গী-সম্মান, মান-শান, বৈশিষ্ট্য এবং উনার অনুপম মাক্বাম সম্পর্কে কিঞ্চিৎ আলোকপাত

মুবারক শৈশব ও কৈশোর থেকেই সাইয়্যিদাতুনা হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা কা’বা আলাইহাস সালাম উনার সুন্নত মুবারক এবং শরয়ী পর্দা পালনের

একনিষ্ঠ অভ্যস্ততা:

অধিক বয়স মুবারকেও সাইয়্যিদাতুনা হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা কা’বা আলাইহাস সালাম তিনি সর্বক্ষণ পাক-পবিত্র থাকতেন। এক ওয়াক্তের নামায আদায়ের পর তিনি পরবর্তী ওয়াক্তের নামাযের জন্য অধিক আগ্রহে ইন্তিজার করতেন। তিনি খাদিমাদের কাছে জানতে চাইতেন: “নামাযের সময় কী হয়েছে? আযান কী দেয়া হয়েছে? তিন সারাক্ষণ যিকির ফিকিরে এবং পবিত্র দুরূদ শরীফ পাঠে মশগুল থাকতেন। সুবহানাল্লাহ!

পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে:

عَنْ حَضْرَتْ أَبِـىْ هُرَيْرَةَ رَضِىَ اللهِ تَعَالٰـى عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اِسْبَاغُ الْوُضُوْءِ عِنْدَ الْمَكَارِه مِنَ الْكَفَّارَاتِ وَكَثْرَةُ الْـخُطَا اِلَـى الْمَسَاجِدِ مِنَ الْكَفَّارَاتِ وَاِنْتِظَارُ الصَّلاَةِ بَعْدَ الصَّلاَةِ مِنَ الْكَفَّارَاتِ.

অর্থ: হযরত আবূ হুরায়রা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বর্ণনা করেন: সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম, মাশুকে মাওলা, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন: “কষ্ট হওয়া সত্ত্বেও অযুর সাথে থাকা বা অযু করা, মসজিদের প্রতি ঝুঁকে থাকা, এক নামাযের পরে আরেক নামাযের অপেক্ষায় থাকা গুনাহ মাফ বা মর্যাদা বৃদ্ধির কারণ।” (মুসলিম শরীফ, তিরমিযী শরীফ)। সুবহানাল্লাহ!

ওলীয়ে মাদারযাদ, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদাতুনা হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা কা’বা আলাইহাস সালাম তিনি এই পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার পরিপূর্ণ মিছদাক্ব ছিলেন। সুবহানাল্লাহ!

তিনি প্রতি ইয়াওমুল জুমুয়াহ, অর্থাৎ জুমুয়াবার শরীফ নখ মুবারক কাটতেন। গোসল মুবারক করতেন। পবিত্র ইছনাইনিল আযীম শরীফ, অর্থাৎ সোমবারেও তিনি গোসল মুবারক করতেন। তিনি প্রতিক্ষণ কুল কায়িনাবাসীর জন্য দুআ’ মুবারক করতেন। ২৪ শাওওয়াল শরীফ, ১৪৩২ হিজরী ইয়াওমুল জুমুয়াবার তিনি যথারীতি নখ মুবারক কেটেছেন। পবিত্র যুহর, আসর ও মাগরিব নামায আদায় করেছেন। সবার জন্য দুআ’ করেছেন। আবার কিছুক্ষণ ঘুমিয়েছেন। ঘুম থেকে জেগে তিনি অযু করে পবিত্র দুরূদ শরীফ পাঠ অবস্থায় পূর্ণ প্রস্তুতিসহ মহান আল্লাহ পাক সুবহানাহূ ওয়া তায়ালা উনার পবিত্রতম দীদারে গমন করেন। সুবহানাল্লাহ!

প্রাণের আক্বা ক্বিবলা কা’বা, সাইয়্যিদে মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমামুল উমাম, আন নি’মাতুল উজমা আলাল আলাম সাইয়্যিদুনা মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি মুবারক মাহফিল শেষে, পবিত্র ছোহবতদান শেষে, আরশ কাঁপানো মক্ববুল দুআ মুনাযাত শেষে যখন ভেতরে যেতেন, তখনই ওলীয়ে মাদারযাদ, আওলাদে রসূল, ক্বায়িম মাক্বামে উম্মু রসূলিনা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদাতুনা হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা কা’বা আলাইহাস সালাম তিনি বলতেন: “আমার মুজাদ্দিদে আ’যম বাবা এসেছেন। তোমরা উনাকে ঠাণ্ডা পানি দাও, শরবত দাও, উনি ক্লান্ত।” সুবহানাল্লাহ!

তিনি আরো বলতেন: “হে মুজাদ্দিদে আ’যম বাবা আপনি এসেছেন? আমাকে আপনার মুবারক ফুঁক দিন।” সুবহানাল্লাহ!

ওলীয়ে মাদারযাদ, আওলাদে রসূল, ক্বায়িম-মাক্বামে হযরত উম্মু রসূলিনা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদাতুনা হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা কা’বা আলাইহাস সালাম তিনি সর্বক্ষেত্রেই সর্বক্ষণ নামায, কালাম, যিকির, ফিকির, তাসবীহ-তাহলিল, অর্থাৎ ইবাদত-বন্দেগীর সকল স্তরে সম্মানিত শরীয়ত এবং সম্মানিত সুন্নত পরিপূর্ণরূপে পালন করতেন। চলবে

আবা-২৭১

 

 

সাইয়্যিদুনা মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার মহা সম্মানিতা আম্মা আওলাদুর রসূল, সাইয়্যিদাতুনা আমাদের- হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম উনার সাওয়ানেহে উমরী মুবারক-পর্ব-৬০

 

পঞ্চদশ হিজরী শতকের মুজাদ্দিদ, মুজাদ্দিদে আ’যম, আওলাদুর রসূল, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার সাইয়্যিদুনা মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার মহা সম্মানিতা আম্মা, আওলাদুর রসূল, সাইয়্যিদাতুনা আমাদের-

হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা কা’বা আলাইহাস সালাম

উনার সীমাহীন ফাদ্বায়িল-ফদ্বীলত, বুযূর্গী-সম্মান, মান-শান, বৈশিষ্ট্য এবং উনার অনুপম মাক্বাম

সম্পর্কে কিঞ্চিৎ আলোকপাত-

মুবারক শৈশব ও কৈশোর থেকেই সাইয়্যিদাতুনা হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা কা’বা আলাইহাস সালাম উনার

সুন্নত মুবারক এবং শরয়ী পর্দা পালনের একনিষ্ঠ অভ্যস্ততা:

উনাদের মুবারক উসীলায় সাইয়্যিদুনা মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা কা’বা আলাইহিস সালাম উনার আনুষ্ঠানিকভাবে বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশের মাধ্যমে উল্লিখিত মুবারক আয়োজন চূড়ান্ত রূপলাভ করে। সুবহানাল্লাহ!

ওলীয়ে মাদারযাদ, আওলাদে রসূল, ক্বায়িম-মাক্বামে উম্মু রসূলিনা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদাতুনা হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা কা’বা আলাইহাস সালাম তিনি পবিত্রতম বিছালী শান মুবারক প্রকাশ অবধি মুবারক জীবনব্যাপী সর্বক্ষেত্রেই সম্মানিত সুন্নতপালনে তৎপর থাকতেন। সুবহানাল্লাহ!

পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে:

اَحَبُّ الأَعْمَالِ اِلَى اللهِ تَعَالٰـى اَدْوَمُهَا وَاِنْ قَلَّ

অর্থ: “মহান আল্লাহ পাক সুবহানাহূ ওয়া তায়ালা উনার কাছে ওই আমলই অধিক প্রিয়, যা দায়িমীভাবে করা হয়, যদিও তা আল্প হোক না কেন”। সাইয়্যিদাতুনা হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা কা’বা আলাইহাস সালাম তিনি এই পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার পরিপূর্ণ মিছদাক্ব ছিলেন। সুবহানাল্লাহ!

যাবতীয় ইবাদত বন্দেগী সম্পাদন, শরয়ী পর্দাপালন, পোশাক-পরিচ্ছদ, খাওয়া-দাওয়া, যিকির-ফিকির, পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ তিলাওয়াত এবং মর্ম অনুধাবন, মুরাকাবা-মুশাহাদা, সম্মানিত আওলাদ-ফরজন্দ উনাদের প্রতিপালন ও শিক্ষাদান, পারিবারিক যাবতীয় দায়িত্বপালন, আতিথেয়তা, বড়দের প্রতি সম্মান এবং ছোটদের প্রতি হে বাৎসল্য, অর্থাৎ সম্মানিত পুরো যিন্দেগী মুবারকের প্রতিক্ষেত্রেই সম্মানিত সুন্নত ও শরয়ী পর্দাপালনে সাইয়্যিদাতুনা দাদী হুযূর ক্বিবলা কা’বা আলাইহাস সালাম উনার একনিষ্ঠতা ছিলো সীমাহীন। সুবহানাল্লাহ! (চলবে)

আবা-২৭০

সাইয়্যিদুনা মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার মহা সম্মানিতা আম্মা আওলাদুর রসূল, সাইয়্যিদাতুনা আমাদের- হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম উনার সাওয়ানেহে উমরী মুবারক-পর্ব-৫৯

 

পঞ্চদশ হিজরী শতকের মুজাদ্দিদ, মুজাদ্দিদে আ’যম, আওলাদুর রসূল, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার সাইয়্যিদুনা মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার মহা সম্মানিতা আম্মা, আওলাদুর রসূল, সাইয়্যিদাতুনা আমাদের-

হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা কা’বা আলাইহাস সালাম

উনার সীমাহীন ফাদ্বায়িল-ফদ্বীলত, বুযূর্গী-সম্মান, মান-শান, বৈশিষ্ট্য এবং উনার অনুপম মাক্বাম সম্পর্কে কিঞ্চিৎ আলোকপাত-

মুবারক শৈশব ও কৈশোর থেকেই সাইয়্যিদাতুনা হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা কা’বা আলাইহাস সালাম উনার সুন্নত মুবারক এবং শরয়ী পর্দা পালনের

একনিষ্ঠ অভ্যস্ততা:

সাইয়্যিদাতুনা হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা কা’বা আলাইহাস সালাম তিনি ওলীয়ে মাদারযাদ, তিনি আখাছছুল খাছ আওলাদে রসূল এবং তিনি মহা-সম্মানিত হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহাস সালাম হওয়ার কারণে পরকালেও পুলসিরাত অতিক্রম করাসহ সর্বক্ষেত্রে তিনি অনুরূপ সীমাহীন মর্যাদা ও মাক্বামের অধিকারী হবেন। সুবহানাল্লাহ!

ওলীয়ে মাদারযাদ, আওলাদে রসূল, মুজাদ্দিদে যামান, কুতুবে রব্বানী, মাহবূবে সুবহানী, গাউছুল আ’যম, মুহীউদ্দীন, গাউসে সামদানী হযরত বড়পীর ছাহিব রহমতুল্লাহি আলাইহি উনাকে পবিত্র রেহেম শরীফে ধারণকালে উনার সম্মানিত আম্মাজান রহমতুল্লাহি আলাইহা তিনি নিয়মিতভাবে পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ তিলাওয়াত করতেন। এ কারণে সাইয়্যিদুনা হযরত বড়পীর ছাহিব রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি ১৮ পারা পবিত্র কুরআন শরীফ হিফয অবস্থায় পবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করেন। সুবহানাল্লাহ!

তা হলে মুজাদ্দিদে মাদারযাদ, সাইয়্যিদে মুজাদ্দিদে আ’যম, আন নি’মাতুল কুবরা আলাল আলাম, হুজ্জাতুল ইসলাম, আওলাদে রসূল, হাবীবুল্লাহ, ইমামুল উমাম, জামিউন নিসবত, জামিউন নি’মাত, জামিউল আলক্বাব, সাইয়্যিদুনা মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা কা’বা আলাইহিস সালাম উনার যিনি মহা সম্মানিতা আম্মাজান, ওলীয়ে মাদারযাদ, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, ক্বায়িম-মাক্বামে সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মু রসূলিনা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদাতুনা হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা কা’বা আলাইহাস সালাম উনার সম্মানিত শরীয়ত পালন, সম্মানিত সুন্নত পালন এবং সম্মানিত পর্দাপালনের দায়িমী অভ্যস্ততা কতো গভীর ও সীমাহীন ছিলো, তা বর্ণনার ভাষা সৃষ্টি হয়নি। সুবহানাল্লাহ!

প্রাণের আক্বা, ক্বিবলা কা’বা, সাইয়্যিদুনা মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি যে সব কারণে সাইয়্যিদে মুজাদ্দিদে আ’যম, আন নি’মাতুল কুবরা আলাল আলাম, ইমামুল উমাম, সুলত্বানুন নাছীর, হাবীবুল্লাহ, জামিউল আলক্বাব, হুজ্জাতুল ইসলাম, সুলত্বানুল আরিফীন, মুজাদ্দিদে মিল্লাত ওয়াদ দ্বীন, জাব্বারিউল আউওয়াল, ক্বউইয়্যুল আউওয়াল হয়েছেন, সেসব কারণের মধ্যে উনার মহাসম্মানিতা আম্মাজান আলাইহাস সালাম তিনি এবং উনার মহা-সম্মানিত আব্বাজান আলাইহিস সালাম তিনি অর্থাৎ উনাদের শান-মান, মর্যাদা-মাক্বাম মূল। সুবহানাল্লাহ!

মহান আল্লাহ পাক সুবহানাহূ ওয়া তায়ালা উনার পবিত্রতম অভিপ্রায় অনুযায়ী উনার মনোনীত সাইয়্যিদে মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমামুল উমাম, সাইয়্যিদুনা মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা কা’বা আলাইহিস সালাম উনাকে আনুষ্ঠানিকভাবে যমীনে প্রেরণের মুবারক আয়োজন শুরু হয়েছে সৃষ্টির আদিকালে। বিশেষভাবে এই পবিত্র আয়োজন সার্বিকভাবে শুরু হয়েছে সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিয়্যীন, মাশুকে মাওলা, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মুবারক সময় থেকে। সুবহানাল্লাহ!

সাইয়্যিদে মুজাদ্দিদে আ’যম, আওলাদে রসূল, হাবীবুল্লাহ, ইমামুল উমাম, সাইয়্যিদুনা মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা কা’বা আলাইহিস সালাম উনার মহা-সম্মানিত আব্বাজান, উনার এবং উনার মহা-সম্মানিতা আম্মাজান আলাইহাস সালাম উনার, অর্থাৎ উনাদের পবিত্রতম নিসবাতুল আযীম মুবারক উনার মাধ্যমে উনার যমীনে পবিত্রতম তাশরীফ মুবারক গ্রহণের সূত্রপাত ঘটে। সুবহানাল্লাহ! (চলবে)

আবা-২৬৯