উম্মু আবীহা সাইয়্যিদাতুনা হযরত ছালিছাহ আলাইহাস সালাম উনার সম্মানিত জীবনী মুবারক-৩
Related imageউম্মু আবীহা সাইয়্যিদাতুনা হযরত ছালিছাহ আলাইহাস সালাম উনার সম্মানিত জীবনী মুবারক-৩
সম্মানিত লালন-পালন মুবারক

আফদ্বলুন নিসা ওয়ান নাস বা’দা রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদাতুনা হযরত ছালিছাহ আলাইহাস সালাম তিনি উনার সম্মানিত পিতা সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার এবং সম্মানিতা মাতা উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত কুবরা আলাইহাস সালাম উনাদের সর্বাধিক সম্মানিত আদর-যতœ মুবারক-এ, সম্মানিত তত্ত্বাবধান মুবারক-এ লালিত-পালিত হয়েছেন। সুবহানাল্লাহ! তিনি উনার সম্মানিত পিতা নূরে মুজাস্সাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার এবং সম্মানিতা মাতা উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত কুবরা আলাইহাস সালাম উনাদের যাবতীয় সমস্ত খুছূছিয়াত ও বৈশিষ্ট্য মুবারক উনার অধিকারিণী ছিলেন। সুবহানাল্লাহ!

সম্মানিত ইলম মুবারক

নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
إِنَّمَا أَنَا قَاسِمٌ وَاللَّهُ يُعْطِي
অর্থ: “মহান আল্লাহ পাক তিনি হচ্ছেন দাতা আর আমি হচ্ছি বণ্টনকারী।” সুবহানাল্লাহ! (বুখারী শরীফ, মুসলিম শরীফ, মিশকাত শরীফ)
মহান আল্লাহ পাক এবং নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনারা সাইয়্যিদাতুনা হযরত ছালিছাহ আলাইহাস সালাম উনাকে সৃষ্টির শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সমস্ত প্রকার ইলম মুবারক হাদিয়া করেছেন। সুবহানাল্লাহ! শুধু সম্মানিত ওহী মুবারক নাযিল হওয়া ব্যতীত সমস্ত প্রকার সম্মানিত ইলম মুবারক উনার অধিকারিণী ছিলেন তিনি। মূলত উনার সম্মানার্থে সমস্ত কায়িনাত ইলম, আলম, ইখলাছ, রেযামন্দি-সন্তুষ্টি মুবারক লাভ করেছে। সুবহানাল্লাহ!


সম্মানিত ছূরত মুবারক

বিদ্ব‘য়াতুম মির রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, উম্মুল আবীহা, সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত ছালিছাহ আলাইহাস সালাম তিনি ছিলেন বেমেছাল সৌন্দর্য মুবারক-এর অধিকারিণী। সুবহানাল্লাহ!
মুজাদ্দিদে আ’যম সম্মানিত রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ আলাইহিছ ছলাতু ওয়াস সালাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “হযরত বানাতু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনারা প্রত্যেকেই প্রত্যেকের মাক্বাম মুবারক-এ অনন্যা।” সুবহানাল্লাহ!
মুজাদ্দিদে আ’যম মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ আলাইহিছ ছলাতু ওয়াস সালাম তিনি আরো ইরশাদ মুবারক করেন, “সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, সাইয়্যিদাতু নিসায়ি আহলিল জান্নাহ সাইয়্যিদাতুনা হযরত যাহরা আলাইহাস সালাম তিনি যেরূপ নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার হুবহু নকশা মুবারক ছিলেন, তদ্রƒপ সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, সাইয়্যিদাতু নিসায়ি আহলিল জান্নাহ সাইয়্যিদাতুনা হযরত ঊলা আলাইহাস সালাম তিনি ছিলেন উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত কুবরা আলাইহাস সালাম উনার হুবহু নকশা মুবারক। সুবহানাল্লাহ! আর সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, সাইয়্যিদাতু নিসায়ি আহলিল জান্নাহ সাইয়্যিদাতুনা হযরত ছানিয়াহ আলাইহাস সালাম এবং সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, সাইয়্যিদাতু নিসায়ি আহলিল জান্নাহ সাইয়্যিদাতুনা হযরত ছালিছাহ আলাইহাস সালাম উনাদের নিসবত মুবারক উনার বিষয়টি ছিলো উভয় দিক থেকে। অর্থাৎ উনারা নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এবং সাইয়্যিদাতুনা হযরত কুবরা আলাইহাস সালাম উনাদের উভয়ের থেকে সমানভাবে সম্মানিত নিসবত মুবারক পেয়েছিলেন।” সুবহানাল্লাহ!
আর এই কারণে কিতাবে বর্ণিত রয়েছে যে, সাইয়্যিদাতুনা হযরত ছানিয়াহ আলাইহাস সালাম এবং সাইয়্যিদাতুনা হযরত ছালিছাহ আলাইহাস সালাম উনাদের উভয়ের মাঝে সীরত-ছূরত মুবারক, আকার-আকৃতি মুবারক, চাল-চলন মুবারক সর্বদিক থেকে হুবহু মিল ছিলো। সুবহানাল্লাহ!

সম্মানিত পবিত্রতা মুবারক

মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন,
اِنَّـمَا يُرِيْدُ اللهُ لِيُذْهِبَ عَنْكُمُ الرِّجْسَ اَهْلَ الْبَيْتِ وَيُـطَـهِّـرَكُمْ تَطْهِيْراً.
অর্থ: “হে সম্মানিত হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম, নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক তিনি চান আপনাদের থেকে সমস্ত প্রকার অপবিত্রতা দূর করে পবিত্র করার মতো পবিত্র করতে। অর্থাৎ তিনি আপনাদের থেকে সমস্ত প্রকার অপবিত্রতা দূর করে আপনাদেরকে পবিত্র করার মতো পবিত্র করেই সৃষ্টি মুবারক করেছেন।” সুবহানাল্লাহ! (সম্মানিত সূরা আহযাব শরীফ: সম্মানিত আয়াত শরীফ ৩৩)
এই সম্মানিত আয়াত শরীফ উনার পরিপূর্ণ মিছদাক্ব হচ্ছেন সাইয়্যিদাতুনা হযরত ছালিছাহ আলাইহাস সালাম তিনি। সুবহানাল্লাহ! মহান আল্লাহ পাক তিনি সাইয়্যিদাতুনা হযরত ছালিছাহ আলাইহাস সালাম উনাকে পবিত্র করার মতো পবিত্র করেই সৃষ্টি মুবারক করেছেন। সুবহানাল্লাহ!

সম্মানিত শাদী মুবারক


সম্মানিত দ্বীন ইসলাম প্রকাশ পাওয়ার পূর্বে সাইয়্যিদাতুনা হযরত ছানিয়াহ আলাইহাস সালাম উনার শাদী মুবারক হয়েছিলো আবূ লাহাবের পুত্র উতবার সাথে এবং সাইয়্যিদাতুনা হযরত ছালিছাহ আলাইহাস সালাম উনার শাদী মুবারক হয়েছিলো উতাইবার সাথে। এটি ছিল শুধু একটি আনুষ্ঠানিক বিবাহ। উনাদেরকে তাদের গৃহে যেতে হয়নি। সুবহানাল্লাহ! তার আগেই সম্মানিত সূরা ‘লাহাব শরীফ’ নাযিল হওয়ার পর আবূ লাহাব ও তার স্ত্রীর কারণে উতবা সাইয়্যিদাতুনা হযরত ছানিয়াহ আলাইহাস সালাম উনার খিদমত মুবারক থেকে মাহরূম হয়ে যায় এবং উতাইবাহ সাইয়্যিদাতুনা হযরত ছালিছাহ আলাইহাস সালাম উনার খিদমত মুবারক থেকে মাহরূম হয়ে যায়। নাঊযুবিল্লাহ!

সম্মানিত দ্বীন ইসলাম গ্রহণ



মুজাদ্দিদে আ’যম মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ আলাইহিছ ছলাতু ওয়াস সালাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, আনুষ্ঠানিকভাবে সম্মানিত নুবুওওয়াত মুবারক প্রকাশ পাওয়ার পর নূরে মুজাস্সাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি তা সর্বপ্রথম উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত কুবরা আলাইহাস সালাম উনার নিকট প্রকাশ করেন। উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত কুবরা আলাইহাস সালাম তিনি পুরুষ-মহিলা সকলের পূর্বে সর্বপ্রথম সম্মানিত দ্বীন ইসলাম গ্রহণ করেন। সুবহানাল্লাহ! উনার সাথে সাথে উনার সম্মানিত আওলাদ আলাইহিন্নাস সালাম সাইয়্যিদাতুনা হযরত রুকাইয়া আলাইহাস তিনি, সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মে কুলছূম আলাইহাস সালাম তিনি এবং সাইয়্যিদাতুনা হযরত যাহরা আলাইহাস সালাম উনারাও সম্মানিত দ্বীন ইসলাম গ্রহণ করেন। সুবহানাল্লাহ! অতঃপর সাইয়্যিদাতুনা হযরত যয়নাব আলাইহাস তিনিও সংবাদ মুবারক পাওয়ার সাথে সাথে এসে সম্মানিত দ্বীন ইসলাম গ্রহণ করেন। সুবহানাল্লাহ! উনারাই হচ্ছেন পুরুষ-মহিলা সকলের মাঝে সর্বপ্রথম সম্মানিত দ্বীন ইসলাম গ্রহণকারিণী। সুবহানাল্লাহ!
সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, সাইয়্যিদাতু নিসায়ি আহলিল জান্নাহ, বিনতু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদাতুনা হযরত ছালিছাহ আলাইহাস উনার সম্মানিত জীবনী মুবারক-১
Related image
















সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, সাইয়্যিদাতু নিসায়ি আহলিল
জান্নাহ, বিনতু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদাতুনা হযরত ছালিছাহ আলাইহাস উনার সম্মানিত জীবনী মুবারক-১

সম্মানিত পরিচিতি মুবারক:
নূরে মুজাসসাম, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খতামুন নাবিয়্যীন, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আবনা আলাইহিমুস সালাম এবং বানাত আলাইহিন্নাস সালাম উনারা ছিলেন মোট আট জন। সম্মানিত বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করার ধারাবাহিকক্রমে উনাদের সম্মানিত নাম মুবারক হচ্ছেন,
১. সাইয়্যিদুনা হযরত ক্বাসিম আলাইহিস সালাম,
২. সাইয়্যিদাতুনা হযরত যাইনাব আলাইহাস সালাম,
৩. সাইয়্যিদুনা হযরত ত্বইয়্যিব আলাইহিস সালাম,
৪. সাইয়্যিদুনা হযরত ত্বাহির আলাইহিস সালাম,
৫. সাইয়্যিদাতুনা হযরত রুক্বাইয়্যাহ আলাইহাস সালাম,
৬. সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মে কুলছূম আলাইহাস সালাম
৭. সাইয়্যিদাতুনা হযরত যাহরা আলাইহাস সালাম এবং
৮. সাইয়্যিদুনা হযরত ইবরাহীম আলাইহিস সালাম। সুবহানাল্লাহ!
সাইয়্যিদুনা হযরত ইবরাহীম আলাইহিস সালাম তিনি শুধু উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত মারিয়া ক্বিবতীয়াহ আলাইহাস সালাম উনার মাধ্যমে দুনিয়ার যমীনে সম্মানিত বরতময় বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করেছেন। আর অন্য সকল আবনা আলাইহিমুস সালাম এবং বানাত আলাইহিন্নাস সালাম উনারা উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত কুবরা আলাইহাস সালাম উনার মাধ্যমে দুনিয়ার যমীনে সম্মানিত বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করেছেন। সুবহানাল্লাহ!

আফদ্বালুন নিসা ওয়ান নাস বা’দা রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, সাইয়্যিদাতু নিসায়ি আহলিল জান্নাহ সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মে কুলছূম আলাইহাস সালাম তিনি হচ্ছেন নূরে মুজাস্সাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত বানাত আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের মধ্যে ‘ছালিছাহ’ বা তৃতীয়া। সুবহানাল্লাহ! এই ব্যাপারে কারো কোনো দ্বিমত নেই। আর নূরে মুজাস্সাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আবনা আলাইহিমুস সালাম এবং বানাত আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের মধ্যে তিনি হচ্ছেন ‘ষষ্ঠ’। সুবহানাল্লাহ!
সম্মানিত বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ-
সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মু কুলছূম আলাইহাস সালাম তিনি যখন সম্মানিত বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করেন, তখন দুনিয়াবী জিন্দেগীতে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সালাম উনার সম্মানিত বয়স মুবারক ছিলো ৩৫ বছর। আর উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত কুবরা আলাইহাস সালাম উনার বয়স মুবারক ছিলো ৫০ বছর। সময়টি ছিলো আনুষ্ঠানিকভাবে সম্মানিত নুবুওওয়াত মুবারক প্রকাশের প্রায় ৫ বছর পূর্বে। সুবহানাল্লাহ!

সম্মানিত ইসম বা নাম মুবারক
নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি উনার সম্মানিত আওলাদ, লখতে জিগার সাইয়্যিদাতুনা হযরত ছালিছা আলাইহাস সালাম উনার সম্মানিত বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশের সপ্তম দিনে উনার নাম মুবারক রাখেন ‘হযরত উমাইয়্যাহ আলাইহাস সালাম’। সুবহানাল্লাহ!
এই সম্পর্কে কিতাবে বর্ণিত রয়েছে,
وَاسْمُ حَضْرَتْ أُمِّ كُلْثُومٍ بِنْتِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حَضْرَتْ أُمَيَّةُ عَلَيْهَا السَّلَامُ،
অর্থ: “সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মে কুলছূম বিনতে রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত ইসম বা নাম মুবারক হচ্ছেন ‘সাইয়্যিদাতুনা হযরত উমাইয়্যাহ আলাইহাস সালাম’।” সুবহানাল্লাহ! (মুস্তাদরকে হাকিম ৪/৫৩)
সম্মানিত কুনিয়াত মুবারক
সাইয়্যিদাতুনা হযরত ছালিছাহ আলাইহাস সালাম উনার সম্মানিত কুনিয়াত মুবারক ছিলো ‘উম্মে কুলছূম আলাইহাস সালাম’। নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি উনার সম্মানিত আওলাদ লখতে জিগার সাইয়্যিদাতুনা হযরত ছালিছাহ আলাইহাস সালাম উনাকে অত্যন্ত মুহব্বত মুবারক করে ‘উম্মে কুলছূম আলাইহাস সালাম’ বলে আহ্বান মুবারক করতেন। সুবহানাল্লাহ! আরবী ‘কুলছূম’ শব্দ মুবারক উনার অর্থ মুবারক এমন একজন সুমহান ব্যক্তিত্ব মুবারক, যার রয়েছে পূর্ণ গোলাকার মুখম-ল। সুবহানাল্লাহ! এরপর থেকেই তিনি সকলের নিকট ‘উম্মে কুলছূম’ হিসেবে পরিচিতি মুবারক গ্রহণ করেন। সুবহানাল্লাহ!
সাইয়্যিদাতুনা হযরত ছালিছাহ আলাইহাস সালাম তিনি সেই সুমহান ব্যক্তিত্বা মুবারক যিনি নাম মুবারক দ্বারা পরিচিতি মুবারক গ্রহণ না করে, সম্মানিত কুনিয়াত মুবারক দ্বারা পরিচিতি মুবারক গ্রহণ করেছেন। সুবহানাল্লাহ! এই সম্পর্কে কিতাবে উল্লেখ রয়েছে,
وهى ممن عرف بكنيته ولم يعرف لها اسم.
অর্থ: “তিনি সেই সুমহান ব্যক্তিত্বা মুবারক যিনি কুনিয়াত মুবারক দ্বারা পরিচিতি মুবারক গ্রহণ করেছেন; কিন্তু নাম মুবারক দ্বারা পরিচিতি মুবারক গ্রহণ করেননি।” সুবহানাল্লাহ! (যখাইরুল ‘উক্ববা ১/১৬৪, তারীখুল খমীস ১/২৭৫)
উম্মু আবীহা সাইয়্যিদাতুনা হযরত ছালিছাহ আলাইহাস উনার সম্মানিত জীবনী মুবারক-২
Image result for madina sharif












উম্মু আবীহা সাইয়্যিদাতুনা হযরত ছালিছাহ আলাইহাস উনার
সম্মানিত জীবনী মুবারক-২
সম্মানিত লক্বব মুবারক
মহান আল্লাহ পাক তিনি সম্মানিত কালামুল্লাহ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন,
وَلِلّهِ الْأَسْمَاءُ الْحُسْنى فَادْعُوه بِهَا
অর্থ: “মহান আল্লাহ পাক উনার অনেক সুন্দর সুন্দর সম্মানিত নাম তথা লক্বব মুবারক রয়েছে, তোমরা উনাকে সেই সম্মানিত নাম তথা লক্বব দ্বারা আহ্বান করো।” সুবহানাল্লাহ! (সম্মানিত সূরা আ’রাফ শরীফ: সম্মানিত আয়াত শরীফ ১৮০)
মহান আল্লাহ পাক তিনি যেমন অসীম ঠিক তেমনিভাবে উনার সম্মানিত লক্বব মুবারক উনার সংখ্যাও অসীম। সুবহানাল্লাহ! অনুরূপভাবে মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত লক্বব মুবারক উনার সংখ্যাও অসংখ্য। এক কথায় তিনি শুধু মহান আল্লাহ পাক তিনি নন; এছাড়া সমস্ত লক্বব মুবারক উনার অধিকারী। সুবহানাল্লাহ! ঠিক একইভাবে আফদ্বালুন নিসা ওয়ান নাস বা’দা রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদাতুনা হযরত ছালিছাহ আলাইহাস সালাম তিনি শুধু মহান আল্লাহ পাক তিনি নন এবং নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি নন; এছাড়া যত সম্মানিত লক্বব মুবারক রয়েছে সমস্ত সম্মানিত লক্বব মুবারক উনাদের অধিকারী হচ্ছেন তিনি। সুবহানাল্লাহ! এখানে উনার কতিপয় সম্মানিত বরকতময় লক্বব মুবারক উল্লেখ করা হলো:
বিনতু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম,
বিদ্ব‘আতুম মির রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম,
উম্মু আবীহা, সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন,
সাইয়্যিদাতু নিসায়ি আহলিল জান্নাহ, আফদ্বালুন নাস ওয়ান নিসা বা’দা রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম,
আস সাইয়্যিদাহ, আত্ব ত্বাহিরাহ, আত্ব ত্বইয়্যিবাহ, আর রদ্বিয়াহ, আল মারদ্বিইয়্যাহ, হাবীবাতুল্লাহ, আল বালীগাহ, আল হাফিযাহ, আল হামিদাহ, আল হাকীমাহ, আল হালীমাহ, আল খালিছাহ, খলীলাহ, আয যাকিরাহ, আর রাজিয়াহ, আর রাগিবাহ, আর রাফিয়াহ, রহমতুল উম্মাহ, রহমতুল্লিল আলামীন, আর রশীদাহ, আর রফীক্বাহ, রফীক্বাতুল্লাহ, আয যাহিদাহ, আয যাকিয়াহ, আস সাবিক্বাতু বিল খইরাত, আস সাজিদাহ, আস সাখিয়াহ, সাঈদাহ, সাইয়্যিদাতুছ ছাক্বলাইন, সাইয়্যিদাতুল কাওনাইন, আশ শাফি‘য়াহ, আশ শাকিরাহ, আশ শাহিদাহ, আশ শারীফাহ, আছ ছাবিরাহ, আছ ছাহিবাহ, ছাহিবাতুল বুরহান, ছাহিবাতুল খইর, ছাহিবাতু দারাজাতিল ‘আলিয়্যাহ ওয়ার রফী‘য়াহ, আছ ছিদ্দীক্বাহ, আত্ব ত্বাহিরাহ, আত্ব ত্বইয়্যিবাহ, আত্ব ত্ববীবাহ, আয যাহিরাহ, আল ‘আবিদাহ, আল ‘আদিলাহ, আল ‘আরিফাহ, আল ‘আলিমাহ, আল ‘আলীমাহ, আল ‘আযীমাহ, আল ‘আযীযাহ, আল গালিবাহ, আল ফাদ্বিলাহ, আল ফায়িক্বাহ, আল ফাছীহাহ, আল ক্বাসিমাহ, আল ক্বাদ্বিয়াহ, আল ক্বায়িদাহ, আল ক্বায়িমাহ, আল কাফিয়াহ, আল কামিলাহ, আল কারীমাহ, আল মু’তামানাহ, আল মা’মূনাহ, আল মু’মিনাহ, আল মাজিদাহ, আল মুবারকাহ, আল মুবাশশিরাহ, আল মাব‘ঊছাতু বিল হাক্ক, আল মুবাল্লিগাহ, আল মুতাবাসসিমাহ, আল মুত্তাক্বিয়াহ, আল মুতাওয়াক্কিলাহ, আল মাতীনাহ, আল মুছাব্বিতাহ, আল মুজাহিদাহ, আল মুজতাহিদাহ, আল মুজীবাহ, আল মুজীরাহ, আল মাহফূযাহ, আল মাহমূদাহ, আল মাখ¦ছূছাতু বিল ‘ইজ্জা, আল মুখলিছাহ, আল মুখলাছাহ, আল মুযাক্কিরাহ, আল মুরশিদাহ, আল মুস্তাজীবাহ, আল মুস্তাক্বীমাহ, আল মাস‘ঊদাহ, আল মাছদূক্বাহ, আল মুত্বহ্হারাহ, আল মুয¦ফ্ফারাহ, আল মা’রূফাহ, আল মু‘আয্যারাহ, আল মু‘য়ায্যামাহ, আল মু‘য়াল্লিমাহ, আল মু‘ঈনাহ, আল মুক্বদ্দিসাহ, আল মুক্বসিত্বাহ, মুক্বীমাতুস সুন্নাহ, আল মুকাররামাহ, মালিকাতুল জান্নাহ, মালিকাতুল কায়িনাত, আল মুনতাছিরাহ, আল মুনজিদাহ, আন নাছিরাহ, নি’মাতুল্লাহ, আন নাক্বীবাহ ইত্যাদি ইত্যাদি।
নূরান্বিত অপরূপ সৌন্দর্য দেখে পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার মধ্যে দীক্ষিত হলো ইহুদী মহিলারা সুবহানাল্লাহ!
Image result for madina sharifনূরান্বিত অপরূপ সৌন্দর্য দেখে পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার মধ্যে দীক্ষিত হলো ইহুদী মহিলারা সুবহানাল্লাহ!


একবার কিছু ইহুদী মহিলা নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মুবারক খিদমতে হাযির হয়ে আরজি পেশ করলো যে, তাদের এক বিবাহের অনুষ্ঠানে তিনি যেন সাইয়্যিদাতু নিসায়ি আহলিল জান্নাহ হযরত ফাতিমাতুয যাহরা আলাইহাস সালাম উনাকে যাওয়ার অনুমতি দান করেন। যে অনুষ্ঠানটি শুধু মহিলাদের জন্য আয়োজন করা হয়েছিল। নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইহুদী মহিলাদের আরজি কবুল করলেন।
ইহুদীদের কাজই হলো নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে কষ্ট দেয়া। নাউযুবিল্লাহ! তাই দাওয়াত দানকারিণী ইহুদী মহিলাদের উদ্দেশ্যও ভালো ছিল না। তাদের উদ্দেশ্য ছিল ইহুদী মহিলারা দামি দামি পোশাক-পরিচ্ছদ পরিধান করে এবং হীরা-মণি, মুক্তা ও স্বর্ণালঙ্কারে সুসজ্জিত হয়ে অনুষ্ঠানে যাবে। আর তাদের ধারণা হলো সাইয়্যিদাতুনা হযরত যাহরা আলাইহাস সালাম তিনি তো তাদের মতো অতো সাজসজ্জা ও দুনিয়াবী রছম-রেওয়াজ পছন্দ করেন না। অতএব, তিনি স্বাভাবিক লেবাছ মুবারক-এ-ই অনুষ্ঠানে আসবেন। যার ফলে উনার কাছে তারা তাদের বড়ত্ব, মহত্ত্ব প্রকাশ করে উনাকে হেয় প্রতিপন্ন করার চেষ্টা করবে। নাঊযুবিল্লাহ!
ইহুদী মহিলাদের এই কূট চক্রান্ত কেউ না জানলেও যিনি খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি এবং উনার যিনি রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনারা তো ঠিকই জানেন। ফলে বিবাহ অনুষ্ঠানের নির্দিষ্ট তারিখে স্বয়ং মহান আল্লাহ পাক তিনি হযরত জিবরীল আলাইহিস সালাম উনার মাধ্যমে বেহেশত থেকে বেহেশতী পোশাক ও অলঙ্কারাদি পাঠিয়ে দিলেন নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার কাছে হযরত জিবরীল আলাইহিস সালাম উনার মাধ্যমে। অর্থাৎ হযরত জিবরীল আলাইহিস সালাম তিনি এসে বললেন, ইয়া রসূলাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! মহান আল্লাহ পাক তিনি এই পোশাক ও অলঙ্কার আপনার মেয়ে হযরত যাহরা আলাইহাস সালাম উনাকে হাদিয়া করেছেন এবং আরো বলেছেন, তিনি যেন এগুলো পরিধান করে ইহুদী মহিলাদের অনুষ্ঠানে যান। সুবহানাল্লাহ! সত্যিই বেহেশতী পোশাক ও অলঙ্কার পরিধান করে যথাসময়ে সাইয়্যিদাতুনা হযরত যাহরা আলাইহাস সালাম তিনি ইহুদী মহিলাদের অনুষ্ঠানে গেলেন। আল্লাহু আকবার! বেহেশতী মানুষ উনার শরীর মুবারকে বেহেশতী পোশাক ও অলঙ্কার কী অপরূপ সৌন্দর্য প্রকাশ করবে তা বলার অপেক্ষা রাখে না! তাও আবার সাধারণ বেহেশতী নন, বেহেশতবাসিনী মহিলাকুল উনাদের সাইয়্যিদাহ এবং পোশাক এবং অলঙ্কারও তদ্রƒপ মর্যাদাম-িত। সুবহানাল্লাহ!
শুধু কী তাই, তিনি হলেন সমস্ত সৌন্দর্যের মূল- আজমালুল কায়িনাত, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনারই পবিত্র ও নূরানী দেহ মুবারকেরই অংশ মুবারক। সুবহানাল্লাহ!
কাজেই তিনি যখন উনার এই বেমেছাল শান ও সৌন্দর্য নিয়ে সেই অনুষ্ঠানে তাশরীফ নিলেন ইহুদী মহিলারা দেখতে পেলো সাইয়্যিদাতুনা হযরত যাহরা আলাইহাস সালাম উনার চেহারা মুবারক হতে নূর বিচ্ছুরিত হচ্ছে এবং উনার অসাধারণ পোশাক ও অলঙ্কার দেখে তারা বিস্মিত হয়ে জিজ্ঞেস করলো, হে হযরত যাহরা আলাইহাস সালাম! এ পোশাক ও অলঙ্কারগুলো আপনি কোথায় পেলেন? তিনি বললেন, কেন, আমার আব্বাজান ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি আমাকে হাদিয়া করেছেন। তারা পুনরায় জিজ্ঞেস করলো, আপনার সম্মানিত আব্বাজান ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি এগুলো কোথায় পেলেন? তিনি বললেন, আমার আব্বাজান ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে স্বয়ং মহান খালিক্ব মালিক রব আল্লাহ পাক তিনি হযরত জিবরীল আলাইহিস সালাম উনার মাধ্যমে বেহেশত থেকে হাদিয়া পাঠিয়েছেন। এটা শুনে দাওয়াত দানকারিণী মূল যে ইহুদী মহিলা সে তার স্বামীসহ মুসলমান হয়ে যায়। সুবহানাল্লাহ! উনাদের দেখাদেখি অনুষ্ঠানে উপস্থিত সমস্ত ইহুদী মহিলা তাদের স্বামীসহ মুসলমান হয়ে যায়। সুবহানাল্লাহ!
সেই সাইয়্যিদাতু নিসায়ি আহলিল জান্নাহ হযরত যাহরা আলাইহাস সালাম উনার পবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ হয়েছে পবিত্র জুমাদাল উখরা মাস উনার ২০ তারিখে জুমুয়ার দিন ছুবহে সাদিকের সময় আর উনার সুমহান পবিত্র বিছালী শান মুবারক প্রকাশ হয়েছে পবিত্র রমাদ্বান শরীফ মাস উনার ৩ তারিখে ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম শরীফ (সোমবার) বাদ আছর।
কাজেই উনার শান-মান, মর্যাদা-মর্তবা জেনে-বুঝে উনাকে উত্তমভাবে অনুসরণ করে হাক্বীক্বী মুসলমান হওয়ার জন্য প্রত্যেককেই উনার সম্মানার্থে পবিত্র মীলাদ শরীফ, ওয়াজ শরীফ ইত্যাদির ব্যবস্থা করে এই দিবস উনার যে বারাকাত, ফুয়ুজাত, নিয়ামত, রহমত, বরকত, সাক্বীনা, মাগফিরাত মুবারক রয়েছে তা লাভ করার জন্য যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা।



যে বা যারা উনার সামান্য থেকে সামান্যতম বিরোধিতা করবে, উনার প্রতি বিন্দু থেকে বিন্দুতমও বিদ্বেষ পোষণ করবে তার হাশর-নশর হবে ইহুদীদের সাথে; যদিও তারা রোযা রাখে, নামায পড়ে এবং দাবি করে যে- তারা মুসলমান।
Image result for madina sharifযে বা যারা উনার সামান্য থেকে সামান্যতম বিরোধিতা করবে, উনার প্রতি বিন্দু থেকে বিন্দুতমও বিদ্বেষ পোষণ করবে তার হাশর-নশর হবে ইহুদীদের সাথে; যদিও তারা রোযা রাখে, নামায পড়ে এবং দাবি করে যে- তারা মুসলমান।

এই সম্পর্কে সম্মানিত হাদীছ শরীফ মুবারক উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে,
عن حضرت جَابِر بْن عَبْدِ اللَّهِ الْأَنْصَارِيُّ رضى الله تعالى عنه قَالَ: خَطَبَنَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَسَمِعْتُهُ وَهُوَ يَقُولُ: ্রأَيُّهَا النَّاسُ مَنْ أَبْغَضَنَا أَهْلَ الْبَيْتِ حَشَرَهُ اللَّهُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ يَهُودِيًّاগ্ধ فَقُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، وَإِنْ صَامَ وَصَلَّى؟ قَالَ: ্রوَإِنْ صَامَ وَصَلَّى، وَزَعَمَ أَنَّهُ مُسْلِمٌ.
“হযরত জাবির ইবনে আব্দুল্লাহ আনছারী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, যিনি সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি একদা আমাদের উদ্দেশ্যে খুতবা মুবারক দিলেন এবং বলতে থাকলেন যে, হে লোক সকল! যারা আমার হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের প্রতি বিদ্বেষ পোষণ করলো, উনাদের বিরোধীতা করলো, তাদের হাশর-নশর হবে ইহুদীদের সাথে। আমি আরজ করলাম, ইয়া রসূলাল্লাহ, ইয়া হাবীবাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! যদিও তারা রোযা রাখে এবং নামায পড়ে? উত্তরে তিনি ইরশাদ মুবারক করলেন, হ্যাঁ! যদিও তারা রোযা রাখে, নামায পড়ে এবং দাবী করে যে, তারা মুসলমান। (তা সত্ত্বেও হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের বিরোধীতা করার কারণে, উনাদের শত্রু হওয়ার কারণে যিনি খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি তাদের সমস্ত ইবাদত বিনষ্ট করে দিয়ে তাদেরকে ক্বিয়ামতের দিন ইহুদীদের দলভুক্ত করে উঠাবেন।)” (আল মু’জামুল আওসাত্ব লিতত্ববারণী ৪/২১২, জামিউল আহাদীছ লিস সুয়ূত্বী ১০/৪৭৫, জামউল জাওয়ামি‘ লিস সুয়ূত্বী, মাজমাউয যাওয়াইদ লিল হাইছামী ৯/৭১২ তারীখে জুরজান ৩৬৯ পৃ.)
সুতরাং সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, সাইয়্যিদাতু নিসায়ি আহলিল জান্নাহ, উম্মু আবীহা সাইয়্যিদাতুনা হযরত যাহরা আলাইহাস সালাম তিনি হচ্ছেন হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের অন্যতম বিশেষ ব্যক্তিত্বা মুবারক। তাই যে বা যারা উনার সামান্য থেকে সামান্যতম বিরোধিতা করবে, উনার প্রতি বিন্দু থেকে বিন্দুতমও বিদ্বেষ পোষণ করবে তার হাশর-নশর হবে ইহুদীদের সাথে। যদিও তারা রোযা রাখে, নামায পড়ে এবং দাবি করে যে, তারা মুসলমান।