সাইয়্যিদুনা মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার মহা সম্মানিতা আম্মা আওলাদুর রসূল, সাইয়্যিদাতুনা আমাদের- হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম উনার সাওয়ানেহে উমরী মুবারক-পর্ব-৪৬

 

পঞ্চদশ হিজরী শতকের মুজাদ্দিদ, মুজাদ্দিদে আযম, আওলাদুর রসূল, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার সাইয়্যিদুনা মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার মহা সম্মানিতা আম্মা আওলাদুর রসূল, সাইয়্যিদাতুনা আমাদের-

হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম

উনার সীমাহীন ফাদ্বায়িল-ফদ্বীলত, বুযূর্গী-সম্মান, মান-শান, বৈশিষ্ট্য এবং উনার অনুপম মাক্বাম সম্পর্কে কিঞ্চিৎ আলোকপাত

মুবারক শৈশব ও কৈশোর থেকেই সাইয়্যিদাতুনা হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম উনার সুন্নত মুবারক ও শরয়ী পর্দা পালনের একনিষ্ঠ অভ্যস্ততা

অতঃপর তিনি সাইয়্যিদে মুজাদ্দিদে আযম,  সাইয়্যিদুনা মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা কাবা আলাইহিস সালাম উনার মুবারক সন্নিধানে চার তলায় উনার পবিত্র হুজরা শরীফে মুবারক তাশরীফ গ্রহণ করেন। সেখানেই তিনি উনার পবিত্র বিছালী শান মুবারক প্রকাশ করেন। সুবহানাল্লাহ!

মুবারক পবিত্রতম জীবনের সকল কর্মপ্রবাহে, ধ্যান-ধারণা ও অনুভবে এবং পবিত্রম বিছালী শান মুবারক প্রকাশের পর মহান আল্লাহ পাক সুবহানাহূ ওয়া তায়ালা এবং উনার প্রিয়তম হাবীব, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের পবিত্রতম দীদারে গমন করেও সম্মানিত সুন্নতপালনের কী আকুলতা! যে নিগূঢ়তম নৈকট্য হাছিলের জন্য সম্মানিত সুন্নত উনাকে হাক্বীক্বীভাবে মুহব্বত ও প্রতিপালনের মাধ্যমে মুবারক পবিত্র সমগ্র জীবনের দিনগুলো ওলীয়ে মাদারযাদ, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদাতুনা হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা কাবা আলাইহাস সালাম তিনি নিখুঁতভাবে গুছিয়ে তুলেছেন, পবিত্রতম বিছালী শান মুবারক প্রকাশের পর অনন্তকালের জন্য তিনি তা ষোলআনাই হাছিল করেছেন। সুবহানাল্লাহ!

এছাড়াও যাঁর মুবারক লখতে জিগার আওলাদ, হুজ্জাতুল ইসলাম, ক্বইয়ূমুযযামান, জাব্বারিউল আউওয়াল, ক্বউইয়্যূল  আউওয়াল, সুলত্বানুন নাছীর, জামিউল আলক্বাব, আওলাদুর রসূল, হাবীবুল্লাহ, সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুল উমাম আলাইহিস সালাম, উনার (সাইয়্যিদাতুনা হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা কাবা আলাইহাস সালাম) ইহকাল ও পরকালে পাবার আর কী বাকী আছে! সুবহানাল্লাহ!

ওলীয়ে মাদারযাদ, আওলাদে রসূল, ক্বায়িম-মাক্বামে হযরত উম্মু রসূলিনা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদাতুনা হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা ক্বিবলা কাবা আলাইহাস সালাম উনার মুবারক অন্তিম অছিয়ত অনুযায়ী সম্মানিত ইসলামী শরীয়ত উনাকে পরিপূর্ণরূপে অনুসরণের মাধ্যমে সম্মানিত সুন্নতী তর্জ-তরীক্বায় উনার পবিত্রতম জিসিম মুবারক উনার যাওজুল মুকাররাম আলাইহিস সালাম উনার মুবারক সন্নিধানে পবিত্র মাযার শরীফে রাখা হয়। সেখানে তিনি সার্বক্ষণিকভাবে পবিত্রতম দীদারে মশগুল রয়েছেন। সুবহানাল্লাহ!

ওলীয়ে মাদারযাদ, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, উম্মু মুজাদ্দিদিল আযম আলাইহিমাস সালাম, জাদ্দু খলীফাতিল উমাম আলাইহিমাস সালাম, মিছদাক্বে কুরআন ওয়াল হাদীছ, ক্বায়িম মাক্বামে উম্মু রসূলিনা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, হাবীবাতুল্লাহ, সাইয়্যিদাতুনা হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা কাবা আলাইহাস সালাম তিনি নিয়মিতভাবে সর্বদা নফল রোযা রাখতেন। পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার পরিভাষায়  উল্লিখিত রিবাত্ব’ (এক নামাযের পর পরবর্তী নামাযের জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করা) উনার মধ্যেই তিনি পবিত্র মুবারক সমগ্র জীবন অতিবাহিত করেছেন। সুবহানাল্লাহ!

পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার আলোকে যাবতীয় ইবাদত-বন্দেগীসহ পবিত্র রিবাত্বউনার মধ্যে সর্বদা মশগুল থাকার মুবারক বিষয়টি মহান আল্লাহ পাক সুবহানাহু ওয়া তায়ালা এবং উনার প্রিয়তম রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের নিগূঢ় নৈকট্য সন্নিধানে অবস্থান মুবারক করার পরমতম বহিঃপ্রকাশ। সুবহানাল্লাহ!

হাক্বীক্বী আওলাদে রসূল এবং আখাছছুল খাছভাবে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের অন্তর্ভুক্ত হওয়ার কারণেই ওলীয়ে মাদারযাদ, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদাতুনা হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা কাবা আলাইহাস সালাম উনার পক্ষে উল্লিখিত রিবাত্বউনার হাক্বীক্বী অনুসরণ করা সম্ভব হয়েছে। সুবহানাল্লাহ!

অনুরূপভাবে পবিত্র ছলাতুত তাহাজ্জুদসহ ইশরাক, ছলাতুছ চাশত, ছলাতুল আউওয়াবীন ইত্যাদি সকল নামায তিনি নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার অনুকরণে ও অনুসরণে নিয়মিতভাবে আদায় করতেন। সুবহানাল্লাহ! (চলবে)

আবা-২৫৬

সাইয়্যিদুনা মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার মহা সম্মানিতা আম্মা আওলাদুর রসূল, সাইয়্যিদাতুনা আমাদের- হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম উনার সাওয়ানেহে উমরী মুবারক-পর্ব-৪৫

 

পঞ্চদশ হিজরী শতকের মুজাদ্দিদ, মুজাদ্দিদে আযম, আওলাদুর রসূল, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার সাইয়্যিদুনা মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার মহা সম্মানিতা আম্মা আওলাদুর রসূল, সাইয়্যিদাতুনা আমাদের-

হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম

উনার সীমাহীন ফাদ্বায়িল-ফদ্বীলত, বুযূর্গী-সম্মান, মান-শান, বৈশিষ্ট্য এবং উনার অনুপম মাক্বাম সম্পর্কে কিঞ্চিৎ আলোকপাত

মুবারক শৈশব ও কৈশোর থেকেই সাইয়্যিদাতুনা হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম

উনার সুন্নত মুবারক ও শরয়ী পর্দা পালনের একনিষ্ঠ অভ্যস্ততা

প্রেক্ষিত কারণে রউফুর রহীম, রহমাতুল্লিল আলামীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার যাঁরা খাছ আওলাদ, খাছ নায়িব, বিশেষ করে আখাছছুল খাছ হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের দেখা স্বপ্ন সর্বাংশে সত্য। ওলীয়ে মাদারযাদ, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদাতুনা হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা কাবা আলাইহাস সালাম তিনি নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আখাছছুল খাছ আওলাদ এবং হাক্বীক্বীভাবে উনার হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের অন্তর্ভুক্ত। কাজেই, উনার দেখা মুবারক সকল স্বপ্নই সর্বাংশে সত্য। উনার মুবারক স্বপ্ন সম্পর্কে আপত্তি উত্থাপন করলে কিংবা কোনো প্রকার সন্দেহ পোষণ করলে ঈমানহারা হতে হবে।

মুবারক স্বপ্ন বৃত্তান্ত:

ওলীয়ে মাদারযাদ, আওলাদে রসূল, ক্বায়িম মাক্বামে হযরত উম্মু রসূলিনা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদাতুনা হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা কাবা আলাইহাস সালাম তিনি পবিত্রতম বিছালী শান মুবারক প্রকাশের আনুমানিক ৩/৪ মাস পূর্বে বর্তমান মূল ভবনের তিন তলায় উনার কনিষ্ঠ আওলাদ আলাইহিস সালাম উনার পাশে অবস্থান করতেন।

সেখান থেকে উনাকে উনার লখতে জিগার আওলাদ, আওলাদে রসূল, আন নিমাতুল কুবরা আলাল আলাম, সুলত্বানুন নাছীর, মুজাদ্দিদে মাদারযাদ, সাইয়্যিদে মুজাদ্দিদে আযম, হাবীবুল্লাহ, সাইয়্যিদুনা মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা কাবা আলাইহিস সালাম উনার মুবারক সন্নিধানে চার তলায় আনা হয়।

কিছুদিন পর আবার উনাকে তিন তলায় পূর্বের স্থানে নেয়া হয় পবিত্র ২৮ রমাদ্বান শরীফ, ১৪৩২ হিজরী সনে। সেখানে ২/১ দিন অবস্থানের পর পুনরায় তিনি উনার লখতে জিগার, সাইয়্যিদে মুজাদ্দিদে আযম, সাইয়্যিদুনা মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা কাবা আলাইহিস সালাম উনার মুবারক সন্নিধানে চার তলায় আসার জন্য ব্যাকুল হয়ে উঠেন।

তিন তলায় অবস্থানকারী কনিষ্ঠ আওলাদ উনার কাছে সাইয়্যিদাতুনা হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা কাবা আলাইহাস সালাম তিনি একখানা মুবারক স্বপ্ন বর্ণনা করেন। তিনি উনার কনিষ্ঠ পুত্রকে বলেন: তোমাদের সম্মানিত আব্বাজান আলাইহিস সালাম তিনি মুবারক স্বপ্নযোগে আমাকে জানিয়েছেন যে, তোমরা উনার পবিত্র জিসিম মুবারক পবিত্র রওজা শরীফে রাখার সময় তিনি উনার ঘাড় মুবারকে একটু ব্যথা অনুভব করেন।

সাইয়্যিদাতুনা হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা কাবা আলাইহাস সালাম তিনি মুবারক স্বপ্ন বৃত্তান্তে কনিষ্ট আওলাদ উনাকে আরো বলেন: আমি পবিত্র বিছালী শান মুবারক প্রকাশের পর আমার জিসিম মুবারক পবিত্র রওজা শরীফে রাখার সময় তোমরা সতর্কতা অবলম্বন করবে এবং সম্মানিত সুন্নতী তর্জ-তরীক্বা পরিপূর্ণরূপে অনুসরণ করবে।সুবহানাল্লাহ! (চলবে)

আবা-২৫৫

সাইয়্যিদুনা মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার মহা সম্মানিতা আম্মা আওলাদুর রসূল, সাইয়্যিদাতুনা আমাদের- হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম উনার সাওয়ানেহে উমরী মুবারক-পর্ব-৪৪

 

পঞ্চদশ হিজরী শতকের মুজাদ্দিদ, মুজাদ্দিদে আযম, আওলাদুর রসূল, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার সাইয়্যিদুনা মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার মহা সম্মানিতা আম্মা আওলাদুর রসূল, সাইয়্যিদাতুনা আমাদের-

হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম

উনার সীমাহীন ফাদ্বায়িল-ফদ্বীলত, বুযূর্গী-সম্মান, মান-শান, বৈশিষ্ট্য এবং উনার অনুপম মাক্বাম সম্পর্কে কিঞ্চিৎ আলোকপাত

মুবারক শৈশব ও কৈশোর থেকেই সাইয়্যিদাতুনা হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম উনার সুন্নত মুবারক ও শরয়ী পর্দা পালনের একনিষ্ঠ অভ্যস্ততা

পবিত্র বিছালী শান মুবারক প্রকাশ করা অবধি তিনি দায়িমীভাবে যাবতীয় সুন্নতপালনে অভ্যস্ত ছিলেন। একই সঙ্গে তিনি অন্যদেরকেও সম্মানিত সুন্নতপালনে অভ্যস্ত করে তুলেছেন। এজন্য মুবারক হায়াতে ত্বইয়্যিবাতে তিনি সীমাহীন শান-মান, মর্যাদা-মাক্বাম উনাদের অধিকারী ছিলেন। সুবহানাল্লাহ!

পবিত্র বিছালী শান মুবারক প্রকাশের পরও তিনি তুলনাহীন শান-মান ও মর্যাদা মাক্বাম উনাদের অধিকারী হয়েছেন। মূলত তিনি সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আখাছছুল খাছ নিছবত মুবারকেই সম্মানিত জান্নাতে অবস্থান করবেন। সুবহানাল্লাহ!

মানুষের জীবনে সম্মানিত সুন্নত দুভাবে পালিত হয়ে থাকে। ১. ইচ্ছাকৃতভাবে সুন্নত পালন, যা মানুষের ইখতিয়ারভুক্ত। ২. যে সব সুন্নত ইখতিয়ার বহির্ভূত, অর্থাৎ সাধ্যাতীত সুন্নত, যা অন্য বিষয় বা অন্য ব্যক্তির মাধ্যমে পালনের ক্ষেত্রে সৃষ্টি হয়। অন্য ব্যক্তি বা বিষয়ের মাধ্যমে যে সব সম্মানিত সুন্নত প্রতিপালিত হয়, তাও আবার দুপ্রকার।

১.    নেককার-পরহেযগার-আল্লাহওয়ালা উনাদের নেক নিয়তপ্রসূত সাহায্য-সহযোগিতার কারণে সম্মানিত সুন্নত পালিত হওয়া। ২. সম্মানিত দ্বীন ইসলাম বিরোধিদের বিদ্বেষের কারণে সম্মানিত সুন্নত পালনের সুযোগ সৃষ্টি হওয়া। সুবহানাল্লাহ!

সূক্ষ্মদর্শী মাহবূব ওলীআল্লাহ উনাদের পবিত্র জীবন মুবারকে আলোচ্য দুধরণের সুন্নত মুবারক উনাদের মুবারক সংযোগ ঘটে। কারণ নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার যাবতীয় সম্মানিত সুন্নত মুবারক হাক্বীক্বীভাবে মুহব্বত ও অনুসরণ-অনুকরণের মাধ্যমেই নিগূঢ় নৈকট্যধন্য সূক্ষ্মদর্শী মাহবূব ওলীআল্লাহ হওয়ার বিষয়টি শর্তযুক্ত। সুবহানাল্লাহ!

কাফিররা সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সার্বিক বিরোধিতা করছে। আর তিনি সেসব বিরোধিতায় পবিত্র কোমলান্তকরণময়তায় সীমাহীন ধৈর্যধারণ করেছেন। মুবারক ধৈর্যধারণের মাধ্যমে তিনি কায়িনাতবাসীকে সুখে:দুখে, আপদে-বিপদে এবং আনন্দ-বেদনায় ধৈর্য শিক্ষা ও উপকারিতাদান করেছেন। সুবহানাল্লাহ!

সম্মানিত ইসলাম বিরোধিদের বিরোধিতা, নিন্দুকের নিন্দা এবং সমালোচকদের সমালোচনা ইত্যাদির মাধ্যমে অসহনীয় জুলুম, নিযাতন ও কষ্টভোগ করা হচ্ছে খাছ সুন্নত উনার অন্তর্ভুক্ত। সুবহানাল্লাহ!

পবিত্র বিছালী শান মুবারক প্রকাশ করা অবধি ইখতিয়ারভুক্ত সকল সম্মানিত সুন্নতপালনে দায়িমীভাবে অভ্যস্ত থাকা আখাছছুল খাছ ওলীআল্লাহ উনাদের মুবারক স্বভাব-সম্পৃক্ত। একই সঙ্গে নেককার-পরহেযগার, আল্লাহওয়ালা উনাদের সাহায্য-সহযোগিতার মাধ্যমে সম্মানিত সুন্নত মুবারক পালিত হওয়ার বিষয়টিও নৈকট্যধন্য ওলীআল্লাহ উনাদের মুবারক গুণ-বৈশিষ্ট্য। মাহবূব ওলীআল্লাহগণ উনারা উপরোক্ত দুপ্রকার সম্মানিত সুন্নত মুবারকেই বিভূষিত হয়ে থাকেন। সুবহানাল্লাহ! (চলবে)

আবা-২৫৪

সাইয়্যিদুনা মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার মহা সম্মানিতা আম্মা আওলাদুর রসূল, সাইয়্যিদাতুনা আমাদের- হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম উনার সাওয়ানেহে উমরী মুবারক-পর্ব-৪৩

 

পঞ্চদশ হিজরী শতকের মুজাদ্দিদ, মুজাদ্দিদে আযম, আওলাদুর রসূল, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার সাইয়্যিদুনা মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার মহা সম্মানিতা আম্মা আওলাদুর রসূল, সাইয়্যিদাতুনা আমাদের-

হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম

উনার সীমাহীন ফাদ্বায়িল-ফদ্বীলত, বুযূর্গী-সম্মান, মান-শান, বৈশিষ্ট্য এবং উনার অনুপম মাক্বাম সম্পর্কে কিঞ্চিৎ আলোকপাত

মুবারক শৈশব ও কৈশোর থেকেই সাইয়্যিদাতুনা হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম উনার সুন্নত মুবারক ও শরয়ী পর্দা পালনের একনিষ্ঠ অভ্যস্ততা

সাইয়্যিদাতুনা হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা কাবা আলাইহিস সালাম তিনি পবিত্র বিছালী শান মুবারক প্রকাশ করা অবধি সম্মানিত যাবতীয় সুন্নত দায়িমীভাবে পালন করেছেন। মুবারক জীবনব্যাপী সর্বক্ষণ তিনি যিকির-ফিকিরে মশগুল থেকেছেন। সুবহানাল্লাহ! অপরদিকে উনার লখতে জিগার আওলাদ, আওলাদে রসূল, খলীফাতুল্লাহ, খলীফাতু রসূলিল্লাহ, মুহইউস সুন্নাহ, সাইয়্যিদে মুজাদ্দিদে আযম, ইমামুল আইম্মাহ, ক্বইয়্যূমুয যামান, জাব্বারিউল আউওয়াল, ক্বউইয়্যূল আউওয়াল, সুলত্বানুন নাছীর, গউছুল আযম, আন নিমাতুল কুবরা আলাল আলাম, হুজ্জাতুল ইসলাম, জামিউল আলক্বাব, সাইয়্যিদুনা মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা কাবা আলাইহিস সালাম তিনি সমগ্র কায়িনাতে লক্ষ-কোটি জিন-ইনসানকে সম্মানিত সুন্নতপালনে অভ্যস্ত করে তুলেছেন। সুবহানাল্লাহ!

কাজেই, বুঝতে কষ্ট হওয়ার কথা নয় যে, শান-মান, মর্যাদা-মাক্বাম ও ফযীলত হাছিলের ক্ষেত্রে ওলীয়ে মাদারযাদ, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদাতুনা হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা কাবা আলাইহিস সালাম তিনি এবং উনার লখতে জিগার আওলাদ, সাইয়্যিদে মুজাদ্দিদে আযম, সাইয়্যিদুনা মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা কাবা আলাইহিস সালাম উনারা দুজনেই দুজনের সহায়ক। সুবহানাল্লাহ!

মূলত উপরোক্ত উপমা থেকে উনারা পরিপূর্ণরূপে বেনিয়াজ। কারণ উনারা উভয়েই স্ব-স্ব মাক্বাম মুবারকে আপন মহিমায় অধিষ্ঠিত। উনারা হযরত আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের অন্তর্ভুক্ত এবং উনারা সমগ্র কায়িনাতবাসীর নিরাপত্তাদানকারী। উনাদেরকে হাক্বীক্বীভাবে নিয়ামত-সমৃদ্ধ করেই মহান আল্লাহ পাক তিনি সৃষ্টি মুবারক করেছেন। সুবহানাল্লাহ!

এ প্রেক্ষিতেই উনাদের ছানা-ছিফত মুবারক-এর কোশেশ করতে গিয়ে সংক্ষেপে বলা হয় যে, সাইয়্যিদে মুজাদ্দিদে আযম, সাইয়্যিদুনা মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা কাবা আলাইহিস সালাম, উনার মহা-সম্মানিত পিতা-মাতা আলাইহিমাস সালাম উনারা এবং উনার মহা সম্মানিত আহাল ও ইয়াল শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনারা সকলেই কেবল মহান আল্লাহ পাক সুবহানাহূ ওয়া তায়ালা তিনি নন এবং উনার প্রিয়তম হাবীব, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি নন। এছাড়া উনারা সকল শান-মান, মর্যাদা-মাক্বাম, ইজ্জত-ঐতিহ্য ও নিয়ামত উনাদের অধিকারী। সুবহানাল্লাহ!

দায়িমীভাবে সম্মানিত সুন্নতপালন এবং সুন্নত যিন্দা করার ফযীলত সম্পর্কে পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে:

قال رسول الله صلى الله عليه وسلم من احب سنتى فقد احبنى ومن احبنى كان معى فى الجنة. وفى رواية اخرى من احيا سنتى فقد احيانى ومن احيانى كان معى فى الجنة.

অর্থ: নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন:  যে ব্যক্তি আমার সম্মানিত সুন্নত উনাকে মুহব্বত করলেন (মূলত আমল করলেন), তিনি যেনো আমাকেই মুহব্বত করলেন। আর যিনি আমাকে মুহব্বত করলেন, তিনি আমার সঙ্গেই সম্মানিত জান্নাতে অবস্থান করবেন।সুবহানাল্লাহ!

পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে আরো ইরশাদ মুবারক হয়েছে: যে ব্যক্তি আমার সম্মানিত সুন্নত উনাকে যিন্দা করলেন, তিনি মূলত আমাকেই যিন্দা করলেন। তিনি আমার সঙ্গেই সম্মানিত জান্নাতে অবস্থান করবেন।সুবহানাল্লাহ!

ওলীয়ে মাদারযাদ, আওলাদে রসূল, ক্বায়িম-মাক্বামে হযরত উম্মু রসূলিনা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, সাইয়্যিদাতুনা হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা কাবা আলাইহাস সালাম তিনি ছিলেন উপরোক্ত পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার পরিপূর্ণ মিছদাক্ব। সুবহানাল্লাহ! (চলবে)

আবা-২৫৩

সাইয়্যিদুনা মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার মহা সম্মানিতা আম্মা আওলাদুর রসূল, সাইয়্যিদাতুনা আমাদের- হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম উনার সাওয়ানেহে উমরী মুবারক-পর্ব-৪২

 

পঞ্চদশ হিজরী শতকের মুজাদ্দিদ, মুজাদ্দিদে আযম, আওলাদুর রসূল, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার সাইয়্যিদুনা মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার মহা সম্মানিতা আম্মা আওলাদুর রসূল, সাইয়্যিদাতুনা আমাদের-

হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম

উনার সীমাহীন ফাদ্বায়িল-ফদ্বীলত, বুযূর্গী-সম্মান, মান-শান, বৈশিষ্ট্য এবং উনার অনুপম মাক্বাম সম্পর্কে কিঞ্চিৎ আলোকপাত

মুবারক শৈশব ও কৈশোর থেকেই সাইয়্যিদাতুনা হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম উনার সুন্নত মুবারক ও শরয়ী পর্দা পালনের একনিষ্ঠ অভ্যস্ততা

পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে:

قال رسول الله صلى الله عليه وسلم من قرأ القران وعمل بما فيه البس والداه تاجا يوم القيامة ضوئه احسن من ضوء الشمس فما ظنكم بالذى عمل بهذا.

অর্থ: নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন: যে ব্যক্তি পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ পাঠ করলেন এবং তদনুযায়ী আমল করলেন, উনার পিতা-মাতাকে মহান আল্লাহ পাক তিনি হাশরের দিন সূর্যের চেয়েও অধিক দীপ্তিমান নূর মুবারক উনার টুপী মুবারক হাদিয়া করবেন। এ প্রেক্ষিতে যিনি স্বয়ং পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ পাঠকারী ও আমলকারী উনাকে কী পরিমাণ ফযীলতদান করা হবে? অর্থাৎ, উনাকে যে অতুলনীয় ফযীলতদান করা হবে, তার পরিমাণ কেবল মহান আল্লাহ পাক সুবহানাহু ওয়া তায়ালা তিনি এবং সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি অর্থাৎ উনারাই সম্যকরূপে অবহিত। সুবহানাল্লাহ!

উপরে বর্ণিত পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মর্মানুযায়ী সহজেই অনুমেয় যে, যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ, খলীফাতুল্লাহ, খলীফাতু রসূলিল্লাহ, ইমামুশ শরীয়ত ওয়াত তরীক্বত, মুহইউস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদে মাদারযাদ, সাইয়্যিদে মুজাদ্দিদে আযম, হুজ্জাতুল ইসলাম, সুলত্বানুন নাছীর, সুলত্বানুল আউলিয়া ওয়াল মাশায়িখ, সুলত্বানুল আরিফীন, ইমামুল আইম্মাহ, ক্বইয়্যূমুয যামান, জাব্বারিউল আউওয়াল, ক্বউইয়্যুল আউয়াল, মুজাদ্দিদে মিল্লাত ওয়াদ দ্বীন, জামিউল আলক্বাব, হাবীবুল্লাহ, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা কাবা আলাইহিস সালাম উনার মহা-সম্মানিতা আম্মাজান ক্বিবলা কাবা আলাইহাস সালাম তিনি কতোটুকু সম্মান ও মর্যাদার অধিকারিণী! যদিও আপন শান-মান, মর্যাদা ও মাক্বাম উনাদের বদৌলতেই তিনি যাবতীয় নিয়ামতের ধারক ও বাহক। সুবহানাল্লাহ!

পবিত্র হাদীছে কুদসী শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে:

ان اوليائى تحت قبائى لا يعرفهم غيرى الا اوليائى

অর্থ: নিশ্চয়ই আমার মাহবূব ওলীগণ আমার কুদরতী জুব্বাহ মুবারক উনার মধ্যে অবস্থান করেন। উনাদের শান-মান, মর্যাদা-মাক্বাম হাক্বীক্বীভাবে একমাত্র আমি এবং আমার আখাছছুল খাছ ওলীগণ ছাড়া অন্য কারো সমঝ ও উপলব্ধিতে নেই। সুবহানাল্লাহ! 

উপরোক্ত পবিত্র হাদীছ শরীফ থেকে সুস্পষ্টভাবে দুটি বিষয় প্রতিভাত হয়। ১. আমলকারীর আমলের কারণে আমলকারীর পিতা-মাতা ফযীলতপ্রাপ্ত হবেন। ২. আমলকারী তিনি নিজেও বেমেছাল মর্যাদার অধিকারী হবেন। এ প্রেক্ষিতে ওলীয়ে মাদারযাদ, আওলাদে রসূল, উম্মু সাইয়্যিদে মুজাদ্দিদিল আযম, জাদ্দাতু খলীফাতিল উমাম আলাইহিস সালাম, ক্বায়িম-মাক্বামে উম্মু রসূলিল্লাহি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, সাইয়্যিদাতু নিসায়ি আহলিল জান্নাহ, ত্বহিরা, ত্বইয়্যিবা, মালিকায়ে জান্নাহ, সাইয়্যিদাতুনা হযরত সাইয়্যিদাহ দাদী হুযূর ক্বিবলা কাবা আলাইহিস সালাম উনার সীমাহীন শান-মান ও মর্যাদা-মাক্বামের বিষয়টি সহজেই অনুমেয়। সুবহানাল্লাহ! (চলবে)

আবা-২৫২

সাইয়্যিদুনা মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার মহা সম্মানিতা আম্মা আওলাদুর রসূল, সাইয়্যিদাতুনা আমাদের- হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম উনার সাওয়ানেহে উমরী মুবারক-পর্ব-৪১

 

পঞ্চদশ হিজরী শতকের মুজাদ্দিদ, মুজাদ্দিদে আযম, আওলাদুর রসূল, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার সাইয়্যিদুনা মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার মহা সম্মানিতা আম্মা আওলাদুর রসূল, সাইয়্যিদাতুনা আমাদের-

হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম

উনার সীমাহীন ফাদ্বায়িল-ফদ্বীলত, বুযূর্গী-সম্মান, মান-শান, বৈশিষ্ট্য এবং উনার অনুপম মাক্বাম সম্পর্কে কিঞ্চিৎ আলোকপাত

মুবারক শৈশব ও কৈশোর থেকেই সাইয়্যিদাতুনা হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম উনার সুন্নত মুবারক ও শরয়ী পর্দা পালনের একনিষ্ঠ অভ্যস্ততা

আখাছছুল খাছভাবে যাঁরা সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সঙ্গে নিগূঢ় তায়াল্লুক-নিসবত স্থাপনের মাধ্যমে উনার এবং মহান আল্লাহ পাক রব্বুল আলামীন উনার রিযামন্দি-সন্তুষ্টি ও মুহব্বত-মারিফাতলাভে কামিয়াব হয়েছেন, উনারা সমধিক মর্যাদার অধিকারী হয়েছেন। উনাদের মধ্যে কেউ কেউ আবার বিশেষ বৈশিষ্ট্য ও বিশেষ নিসবত উনার কারণে সীমাহীন মর্যাদা ও সম্মানলাভে ধন্য হয়েছেন। উনাদের মর্যাদা ও সম্মান এমন যে, কুল কায়িনাতের যাবতীয় কার্যাদি নির্বাহে উনাদের মুবারক উসীলাকে মহান আল্লাহ পাক সুবহানাহূ ওয়া তায়ালা তিনি এবং উনার প্রিয়তম হাবীব, নূরে মুজাসসাম, মাশুকে মাওলা, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনারা মুবারক মাধ্যম হিসেবে সাব্যস্ত করে দিয়েছেন। সুবহানাল্লাহ!

মানুষের সম্মানিত ও মর্যাদাবান হওয়ার বিষয়টি নানাভাবেই হয়ে থাকে। যেমন ১. মহান আল্লাহ পাক উনার এবং আকরামুল আউওয়ালীন ওয়াল আখিরীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের মুবারক বখ্শিশ, যারিয়াযত-মাশাক্কাত করে কখনোই হাছিল করা যায়না। ২. ব্যক্তিগত কোশেশ, রিয়াযত মাশাক্কাত ইত্যাদি।

মূল যা বিষয় তা হলো, হাক্বীক্বী কামিয়াবী হাছিলের মাধ্যমে অভীষ্ট গন্তব্যে উপনীত হওয়ার জন্য মহান আল্লাহ পাক সুবহানাহূ ওয়া তায়ালা উনার এবং উনার প্রিয়তম রসূল, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের আখাছছুল খাছ দয়া, দান ও ইহসান অত্যাবশ্যক।

মহান আল্লাহ পাক উনার নিয়ামত কেবল বান্দার যোগ্য অন্তরেই ঠাঁইলাভ করে। এই পরম নিয়ামত পেলেই বান্দা সম্মানিত ও মর্যাদাবান হয়।

তাই কামিয়াব-সমৃদ্ধ বিদগ্ধ কবি উনার মরমী ক্বাছীদায় বলেন:

داد حق را قابلیت شرط نیست

بلک شرط قابلیت داد اوست

অর্থ: নাজ-নিয়ামত কোনো যোগ্যতার মুখাপেক্ষী নয়। ছাহিবে নিয়ামত মহান আল্লাহ পাক সুবহানাহু ওয়া তায়ালা উনার এবং রউফুর রহীম, রহমাতুল্লিল আলামীন, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার, অর্থাৎ উনারা উনাদের অপার করুণাময় ইহসান-সমৃদ্ধ নিয়ামত হাদিয়া করলেই বান্দা যোগ্যতার আসনে অধিষ্ঠিত হয়।সুবহানাল্লাহ!

ওলীয়ে মাদারযাদ, আওলাদে রসূল, ক্বায়িম-মাক্বামে হযরত উম্মু রসূলিনা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, সাইয়্যিদাতুনা হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা কাবা আলাইহাস সালাম তিনি যে বেমেছাল রিয়াযত-মাশাক্কাত, যিকির-ফিকির করেছেন এবং দায়িমীভাবে সকল সম্মানিত সুন্নত মুবারক উনার ইত্তিবা করেছেন, তার কোনোই তুলনা নেই। সুবহানাল্লাহ!

সর্বোপরি আখাছছুল খাছ আওলাদে রসূল হিসেবে, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহা-সম্মানিত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের অন্তর্ভুক্ত হিসেবে, মহান আল্লাহ পাক সুবহানাহু ওয়া তায়ালা এবং উনার প্রিয়তম হাবীব, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের সঙ্গে নিগূঢ় তায়াল্লুক-নিসবতের কারণে তিনি সীমাহীন মর্যাদা ও মাক্বাম উনাদের অধিকারী হয়েছেন। সুবহানাল্লাহ! (চলবে)

আবা-২৫১