সাইয়্যিদুনা মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার মহা সম্মানিতা আম্মা আওলাদুর রসূল, সাইয়্যিদাতুনা আমাদের- হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম উনার সাওয়ানেহে উমরী মুবারক-পর্ব-৪৯

 

পঞ্চদশ হিজরী শতকের মুজাদ্দিদ, মুজাদ্দিদে আ’যম, আওলাদুর রসূল, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার সাইয়্যিদুনা মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার মহা সম্মানিতা আম্মা আওলাদুর রসূল, সাইয়্যিদাতুনা আমাদের-

হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম

উনার সীমাহীন ফাদ্বায়িল-ফদ্বীলত, বুযূর্গী-সম্মান, মান-শান, বৈশিষ্ট্য এবং উনার অনুপম মাক্বাম সম্পর্কে কিঞ্চিৎ আলোকপাত-

মুবারক শৈশব ও কৈশোর থেকেই সাইয়্যিদাতুনা হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম

উনার সুন্নত মুবারক ও শরয়ী পর্দা পালনের একনিষ্ঠ অভ্যস্ততা

কারণ যিকির-ফিকিরে মশগুল থাকা ছিলো উনার দায়িমী অভ্যস্ততা। সাইয়্যিদে মুজাদ্দিদে আ’যম, আন নি’মাতুল কুবরা আলাল আলাম, ক্বায়িম-মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ইমামুল উমাম, আওলাদুর রসূল, হাবীবুল্লাহ, সাইয়্যিদুনা মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা কা’বা আলাইহিস সালাম উনার মহাসম্মানিতা আম্মাজান আলাইহাস সালাম হওয়ার কারণে তিনি সমগ্র জীবন মুবারকব্যাপী শুকরিয়া আদায়ে দায়িমীভাবে মশগুল থেকেছেন। সুবহানাল্লাহ!

শুকরিয়া স্বরূপ তিনি এবং উনার যাওজুল মুকাররাম, ওলীয়ে মাদারযাদ, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা হযরত দাদা হুযূর ক্বিবলা কা’বা আলাইহিস সালাম উনারা সারা দেশব্যাপী, বিশেষ করে ঢাকার প্রাণকেন্দ্র পবিত্র রাজারবাগ দরবার শরীফে পবিত্র মসজিদ, পবিত্র খানকা শরীফ, গবেষণাগার, লিল্লাহ বোর্ডিং এবং কোটি কোটি টাকার কিতাবাদি সমৃদ্ধ বিশাল লাইব্রেরী হাদিয়া করে গেছেন। হাদিয়া করে গেছেন উনাদের লখতে জিগার আওলাদ, সাইয়্যিদে মুজাদ্দিদে আ’যম আলাইহিস সালাম উনাকে। সুবহানাল্লাহ!

ওলীয়ে মাদারযাদ, আওলাদে রসূল, ক্বায়িম-মাক্বামে উম্মু রসূলিনা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদাতুনা হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা কা’বা আলাইহাস সালাম তিনি সম্মানিত দ্বীন-ইসলাম উনার কাজে সার্বিক সহায়তাদানকারিণী আখাছছুল খাছ মু’মিনা-আল্লাহওয়ালী আহলিয়া। অর্থাৎ তিনি সাইয়্যিদুনা হযরত দাদা হুযূর ক্বিবলা কা’বা আলাইহিস সালাম উনার সম্মানিত দ্বীন পালন এবং মানুষকে উনার হিদায়েত নছীহতসহ সম্মানিত ইসলাম উনার খিদমতের সার্বিক আঞ্জামদানের জন্য সর্বোতভাবে সাহায্য-সহযোগিতাদানের অনুপম দৃষ্টান্ত স্থাপন করে গেছেন। সুবহানাল্লাহ!

কায়িনাতের সকলেরই জানা যে, মহান আল্লাহ পাক সুবহানাহূ ওয়া তায়ালা এবং সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিয়্যীন, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের মুবারক নির্দেশানুযায়ী হালাল খাদ্য গ্রহণ এবং হাক্বীক্বী শরয়ী পর্দাপালনের কারণেই আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা হযরত আবূ ছালেহ মূসা জঙ্গী দোস্ত রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি এবং উনার সম্মানিতা আহলিয়া আওলাদে রসূল, উম্মুল খইর, আমাতুল জাব্বার, সাইয়্যিদাতুনা হযরত ফাতিমা রহমতুল্লাহি আলাইহা তিনি অর্থাৎ উনারা কুল কায়িনাতবাসীকে হাদিয়া করতে পেরেছেন উনাদের সম্মানিত আওলাদ, যিনি ৬ষ্ঠ হিজরী শতকের সুমহান মুজাদ্দিদ, ক্বাদিরিয়া তরীক্বার সম্মানিত ইমাম, মাহবূবে সুবহানী, কুতুবে রব্বানী, গাউসুল আ’যম, সাইয়্যিদুল আউলিয়া, মুহীউদ্দীন, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা হযরত শায়েখ সাইয়্যিদ আব্দুল ক্বাদির জিলানী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনাকে। সুবহানাল্লাহ!

পর্দাপালন সম্পর্কে মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন:

وَقَرْنَ فِي بُيُوتِكُنَّ وَلَا تَبَرَّجْنَ تَبَرُّجَ الْجَاهِلِيَّةِ الْأُوْلٰى

অর্থ: “মহিলারা তোমরা ঘরের মধ্যে অবস্থান করো। অর্থাৎ শরয়ী পর্দাপালন করো এবং আইয়্যামে জাহিলিয়াতের মতো সৌন্দর্য প্রদর্শনের জন্য ঘরের বাইরে বের হয়ো না।” (পবিত্র সূরা আহযাব শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ৩৩)

নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন:

الـمرأة عورة فاذا خرجت فاستشرفها الشيطان

অর্থ: “মহিলারা পর্দায় থাকবে। যখন তারা বেপর্দা হয়ে বাইরে বের হয়, তখন তাদের মাধ্যমে হারাম কাজ সংঘটিত করার জন্য শয়তান তাদের দিকে উঁকি ঝুঁকি দিতে থাকে। নাউযুবিল্লাহ! (চলবে)

আবা-২৫৯

সাইয়্যিদুনা মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার মহা সম্মানিতা আম্মা আওলাদুর রসূল, সাইয়্যিদাতুনা আমাদের- হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম উনার সাওয়ানেহে উমরী মুবারক-পর্ব-৪৮

পঞ্চদশ হিজরী শতকের মুজাদ্দিদ, মুজাদ্দিদে আযম, আওলাদুর রসূল, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার সাইয়্যিদুনা মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার মহা সম্মানিতা আম্মা আওলাদুর রসূল, সাইয়্যিদাতুনা আমাদের-

হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম

উনার সীমাহীন ফাদ্বায়িল-ফদ্বীলত, বুযূর্গী-সম্মান, মান-শান, বৈশিষ্ট্য এবং উনার অনুপম মাক্বাম সম্পর্কে কিঞ্চিৎ আলোকপাত-

মুবারক শৈশব ও কৈশোর থেকেই সাইয়্যিদাতুনা হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম উনার সুন্নত মুবারক ও শরয়ী পর্দা পালনের একনিষ্ঠ অভ্যস্ততা

ওলীয়ে মাদারযাদ, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদাতুন নিসা, সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, আত্ব-ত্বহিরা, আত্ব-ত্বইয়্যিবা, ক্বায়িম মাক্বামে উম্মু রসূলিনা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, জাদ্দাতু খলীফাতিল উমাম আলাইহিস সালাম, উম্মু মুজাদ্দিদিল আযম আলাইহিস সালাম, সাইয়্যিদাতুনা হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা কাবা আলাইহাস সালাম তিনি হাক্বীক্বীভাবে আকরামুল আউওয়ালীন ওয়াল আখিরীন, ছাহিবু কাবা ক্বওসাইনী আও আদনা, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আখাছছুল খাছ আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের অন্তর্ভুক্ত। সুবহানাল্লাহ!

মুবারক বংশগত কারণে এবং সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিয়্যীন, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক  ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিতা আম্মাজান আলাইহাস সালাম উনার হাক্বীক্বী ক্বায়িম-মাক্বাম হওয়ার কারণে সাইয়্যিদাতুনা হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা কাবা আলাইহাস সালাম তিনি উম্মু রসূলিনা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এবং সাইয়্যিদাতুন নিসা, সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, সাইয়্যিদাতু নিসায়ি আহলিল জান্নাহ, উম্মু আবীহা, শাবীহাতুর রসূল, বিদয়াতুম মির রসূল, নূরুর রবিয়াহ, সাইয়্যিদাতুনা হযরত যাহরা আলাইহাস সালাম উনার পরমতম সৌন্দর্য মুবারকের পরিমিত হিস্যালাভে ধন্য হয়েছেন। সুবহানাল্লাহ!

সূক্ষ্মদর্শী মাহবূব ওলীআল্লাহ উনারা মহান আল্লাহ পাক সুবহানাহূ ওয়া তায়ালা উনার এবং উনার প্রিয়তম রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের নিগূঢ় নৈকট্য, মুহব্বত-মারিফাত, তায়াল্লুক-নিসবত এবং রিযামন্দি-সন্তুষ্টি মুবারক হাছিল করে থাকেন বিধায় সঙ্গত কারণেই উনাদের মুবারক অভ্যন্তরভাগ সৌন্দর্যমন্ডিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বাহ্যিকভাবেও উনাদের চেহারা মুবারক বর্ণনাতীতভাবে নূরাণী হয়ে থাকেন। এ মুবারক নূর উনাদের মুবারক অবয়বে, অর্থাৎ মুবারক শরীরের সর্বাঙ্গে বিকশিত হয়ে পড়ে। সুবহানাল্লাহ!

রউফুর রহীম, রহমতুল্লিল আলামীন, নূরে মুজাসসাম, মাশূকে মাওলা, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন:

لسان ذاكر قلب شاكر زوجة مؤمنة تعين على ايمانه

অর্থ: সর্বোত্তম সম্পদ হলো, যে যবান মহান আল্লাহ পাক উনার যিকিরে মশগুল, যে ক্বলব শোকরগুযারীতে মশগুল আর যে মুমিনা আহলিয়া তিনি উনার আহালকে সম্মানিত দ্বীন পালনে ও ঈমানী বিষয়ে সর্বদা সহযোগিতা করে থাকেন।সুবহানাল্লাহ!

ওলীয়ে মাদারযাদ, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদাতুনা হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা কাবা আলাইহাস সালাম তিনি উপরোক্ত পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার পরিপূর্ণ মিছদাক্ব ছিলেন। সুবহানাল্লাহ!

আবা-২৫৮ 

সাইয়্যিদুনা মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার মহা সম্মানিতা আম্মা আওলাদুর রসূল, সাইয়্যিদাতুনা আমাদের- হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম উনার সাওয়ানেহে উমরী মুবারক-পর্ব-৪৭

 

পঞ্চদশ হিজরী শতকের মুজাদ্দিদ, মুজাদ্দিদে আযম, আওলাদুর রসূল, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার সাইয়্যিদুনা মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার মহা সম্মানিতা আম্মা আওলাদুর রসূল, সাইয়্যিদাতুনা আমাদের-

হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম

উনার সীমাহীন ফাদ্বায়িল-ফদ্বীলত, বুযূর্গী-সম্মান, মান-শান, বৈশিষ্ট্য এবং উনার অনুপম মাক্বাম সম্পর্কে কিঞ্চিৎ আলোকপাত-

­­­­­­­­­­­­­­মুবারক শৈশব ও কৈশোর থেকেই সাইয়্যিদাতুনা হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম উনার সুন্নত মুবারক ও শরয়ী পর্দা পালনের একনিষ্ঠ অভ্যস্ততা

পবিত্র বয়স মুবারক একশত বছরের কোঠায় উপনীত হলেও কখনো তিনি পবিত্র ফরজসহ সুন্নত, নফল ও মুস্তাহাব ইবাদত-বন্দেগী থেকে বিরত থাকেননি। সুবহানাল্লাহ!

আজ কুল কায়িনাতব্যাপী সম্মানিত দ্বীন-ইসলাম উনার যে পরিব্যাপ্তি, তা ওলীয়ে মাদারযাদ, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদাতুনা হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা  কাবা আলাইহাস সালাম এবং উনার যাওজুম মুকাররাম ওলীয়ে মাদারযাদ, আওলাদে রসূল সাইয়্যিদুনা দাদা হুযূর ক্বিবলা কাবা হযরতুল আল্লামা সাইয়্যিদ মুহম্মদ মুখলিছুর রহমান আলাইহিস সালাম উনাদেরই সীমাহীন অবদান। সুবহানাল্লাহ!

আজ বাংলাদেশের সীমানা ছাড়িয়ে সমগ্র বিশ্ব পরিসরে সম্মানিত দ্বীন-ইসলাম উনার যে প্রসার, প্রভাব ও প্রচার তা মহান আল্লাহ পাক সুবহানাহু ওয়া তায়ালা এবং উনার প্রিয়তম রসূল, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের পূর্ব নির্ধারিত। তবে তার মূল কারণ হলো, মহান আল্লাহ পাক উনারই উদ্দিষ্ট মুবারক ব্যবস্থাধীনে সাইয়্যিদে মুজাদ্দিদে আযম, আন নিমাতুল কুবরা আলাল আলাম, সাইয়্যিদুনা মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা কাবা আলাইহিস সালাম উনাকে কেন্দ্র করে উনার মহা সম্মানিত আব্বা-আম্মাজান আলাইহিমাস সালাম উনাদের ক্লান্তিহীন দায়িমী আঞ্জামদান। সুবহানাল্লাহ!

রউফুর রহীম, রহমতুল্লিল আলামীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন:

من كثر صلوته بالليل حسن وجهه بالنهار

অর্থ: যে ব্যক্তি রাতে অধিক পরিমাণে সজাগ থেকে নামায-কালাম আদায়সহ অন্যান্য ইবাদত-বন্দেগীতে সময় অতিবাহিত করেন, দিনের বেলায় উনার চেহারা মুবারক নূরে দীপ্তিমান হওয়ার কারণে সৌন্দর্যমণ্ডিত হয়ে উঠে। ওলীয়ে মাদারযাদ, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদাতুন নিসা, সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, ক্বায়িম-মাক্বামে উম্মু রসূলিনা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, হাবীবাতুল্লাহ, সাইয়্যিদাতুনা হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা কাবা আলাইহিস সালাম তিনি উপরোক্ত হাদীছ শরীফ উনার পরিপূর্ণ মিছদাক্ব ছিলেন। সুবহানাল্লাহ!

সাইয়্যিদাতুনা হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা কাবা আলাইহাস সালাম তিনি সমগ্র জীবন মুবারকে দায়িমীভাবে যিকির-ফিকির, তাছবীহ-তাহলীল, ছলাত-কালামে মশগুল থেকেছেন। এ কারণে তিনি কুদরতীভাবে পবিত্র নূরাণী দীপ্তিতে পরমতম সৌন্দর্যমণ্ডিত ছিলেন। যদিও বাহ্যিকভাবেও তিনি পরম সৌন্দর্য মুবারকের অধিকারিণী ছিলেন। অবশ্য আখাছছুল খাছভাবে শরয়ী পর্দা পালনের কারণে উনাকে কেউই কখনো দেখতে পারেনি। সুবহানাল্লাহ!

সাইয়্যিদাতুনা হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা কাবা আলাইহাস সালাম উনার কুদরতী সৌন্দর্য মুবারকের সঙ্গে বাহ্যিক সৌন্দর্য মুবারক একাকার হয়ে যাবার কারণে তিনি অনন্য সৌন্দর্য-শান মুবারকের অধিকারিণী ছিলেন। সুবহানাল্লাহ!

উম্মুল বাশার, সাইয়্যিদাতুনা হযরত হাওওয়া আলাইহাস সালাম উনার সঙ্গে সাইয়্যিদুনা হযরত আবুল বাশার ছফিউল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার প্রথম মুবারক সাক্ষাতে তিনি (সাইয়্যিদুনা হযরত আবুল বাশার ছফিউল্লাহ আলাইহিস সালাম) বিস্মিত হয়েছিলেন। অবাক বিস্ময়ে তিনি মনে মনে ভেবেছিলেন, (উম্মুল বাশার, সাইয়্যিদাতুনা হযরত হাওওয়া আলাইহাস সালাম) উনার চেয়ে অধিক সৌন্দর্যমণ্ডিত আরো কেউ হতে পারেন কী?

মুবারক ভাবনার এমন পরম পর্যায়ে মহান আল্লাহ পাক সুবহানাহূ ওয়া তায়ালা তিনি কুদরতীভাবে সাইয়্যিদুনা হযরত আবুল বাশার ছফিউল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার সম্মুখে শাবিহাতু রসূলিল্লাহ, নূরুর রসূল, বিদ্বয়াতুম মির রসূল, সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, সাইয়্যিদাতু নিসায়ি আহলিল জান্নাহ, ত্বহিরা, ত্বইয়্যিবা, উম্মু আবীহা সাইয়্যিদাতুনা হযরত যাহরা আলাইহাস সালাম উনার হাক্বীক্বী নূরাণী শান মুবারক উদ্ভাসিত করেন। উনাকে দেখে সাইয়্যিদুনা হযরত আবুল বাশার ছফিউল্লাহ আলাইহিস সালাম তিনি আরো অধিক পরিমাণে আশ্চর্যবোধ করেন। উনি কে এবং উনার সম্মানিত আহাল কে হবেন, তা জানার জন্য মহান আল্লাহ পাক সমীপে তিনি আরজু মুবারক প্রকাশ করেন। সুবহানাল্লাহ! (চলবে)

আবা-২৫৭