কেন রাজারবাগ দরবার শরীফের বিরুদ্ধে অপপ্রচার ?
Image result for রাজারবাগকেন রাজারবাগ দরবার শরীফের বিরুদ্ধে অপপ্রচার ?
সারা দেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যখন অসংখ্য মুসলমান ছাত্রী যখন হিজাব ও বোরকা পরিধান করার কারণে নিপীড়নের শিকার হচ্ছিলো, ঠিক তখন তাদের সহায়তায় এগিয়ে আসে ঢাকাস্থ রাজারবাগ দরবার শরীফ। দরবার শরীফ থেকে প্রকাশিত দৈনিক আল ইহসান ও মাসিক আল বাইয়্যিনাত পত্রিকার পক্ষ থেকে হাইকোর্টে এই বৈষম্যের প্রতিবাদে রিট দায়ের করা হয় এবং সেই রিটের কারণে হাইকোর্ট রুল দেয়, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে বোরকা ও হিজাব পরিধান করার কারণে কোন ছাত্রীকে এখন থেকে আর হয়রানী করা যাবে না এবং হয়রানী করাকে অবশ্যই শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে গণ্য প্রশাসনকে আদেশ দেয়।
বোরকা ও হিজাব পরিহিতা ছাত্রীদের হয়নারী বন্ধে করতে রাজারবাগ দরবার শরীফের পক্ষ থেকে যে রিট করা হয় তা বিভিন্ন মিডিয়ায় প্রকাশিত-
১) দৈনিক যুগান্তর- https://tinyurl.com/y39aeh79
২) দৈনিক ইনকিলাব- https://tinyurl.com/y6t5y4ae
৩) বাংলাট্রিবিউন- https://tinyurl.com/y3ftvwrg
মূলতঃ যাদের এজেন্ডা ছিলো পর্দানশীন ছাত্রীদের হেনস্তা করে বাংলাদেশে বোরকা নিষিদ্ধ করবে এই ঘটনার পরেই তারা ঢাকাস্থ রাজারবাগ দরবার শরীফের বিরুদ্ধে ক্ষেপে যায়, কারণ এ রিটের মাধ্যমে পর্দানশীন নারীদের বোরকা ও হিজাবের পক্ষে একটি আইনী ভিত্তি তৈরী হয়, যা আগে কখন ছিলো না। এরপরই ঐ বিশেষ দলটি ঢাকাস্থ রাজারবাগ শরীফের বিরুদ্ধে নানান প্রোপাগাণ্ডা ও অপপ্রচার তৈরীর উদ্যোগ নেয়। সম্প্রতি এনটিভি’তে প্রচারিত ধারবাহিক প্রতিবেদন সেই প্রোপাগাণ্ডারই অংশবিশেষ।
ছবিতে দেখতে পাচ্ছেন, এনটিভির সেই কুখ্যাত সাংবাদিক সাংবাদিক সফিক শাহীনকে, যে রাজারবাগ দরবার শরীফ সম্পর্কে মিথ্যা ধারাবাহিক রিপোর্ট তৈরী করেছে। সে মূূলতঃ সুলতানা কামালদের গোত্রের সদস্য, যাদের মূল কাজ মুসলমান নারীদের পর্দা ও বোরকার বিরুদ্ধে কাজ করা।
সুলতান মাহমুদ গযনবীর পীর সাহেব এর নিকট গমন


Image result for অলী আল্লাহ









সুলতান মাহমুদ গযনবীর পীর সাহেব এর নিকট গমন-
সতেরবার ভারত বিজয়ী গজনীর সুলতান মাহমুদের খেয়াল হলো তিনি ওলী আল্লাহর জিয়ারতে যাবেন। এদিকে-সেদিকে অনেক নামধারীর সাক্ষাতই হলো। তারা তাকে অনেক তাযীম-তাকরীমও করলো। কিন্তু সুলতান মাহমুদের ব্যাকুল মন তাতে শান্তি পেলনা। তিনি উজীরে আযমকে বললেন, অন্য কোথাও নিয়ে যেতে।

উজীরে আযম এবার তাকে নিয়ে আসলেন হযরত আবুল হাসান খারক্বানী রহমতুল্লাহি আলাইহি-এর আছে। অন্যান্যদের মত ইনি, তাকে দেখে উঠে দাঁড়ালেন না, এমনকি মোসাফাহ্ করার জন্য হাতও বাড়িয়ে দিলেন না। অতঃপর সুলতান মাহমুদ নিজেই সেখানে যথা নিয়মে বসে পড়লেন। তার তাক্বওয়া, রূহানী জ্ঞান তথা ইলমে লাদুন্নী সমৃদ্ধ তত্ত্বমূলক কথা সুলতান মাহমুদকে অভিভূত করলো। এক পর্যায় হযরত আবুল হাসান খারক্বানী রমহতুল্লাহি আলাইহি স্বীয় পীর ছাহেব সুলতানুল আরিফীন, হযরত বায়েযীদ বোস্তামী রহমতুল্লাহি আলাইহি-এর প্রশংসা করতে গিয়ে বললেন, “আমার পীর ছাহেব সুলতানুল আরিফীন হযরত বায়েযীদ বোস্তামী রহমতুল্লাহি আলাইহিকে যারা দেখেছেন তারা নাযাত পেয়েছেন, জাহান্নাম থেকে মুক্তি পেয়েছেন।” দ্বিগ্বীজয়ী সুলতান মাহমুদ এবার আর চুপ থাকতে পারলেননা। তিনি বলে উঠলেন, “হুযূর! আপনার পীর ছাহেব কি সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, রহমাতুল্লিল আ’লামীন, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার থেকেও বড় হয়ে গেলেন? আখিরী রসূল, হাবীবুল্লাহ্ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে আবূ জেহেল, আবূ লাহাব সারাজীবনে লাখ-লাখ বার দেখলো এতদ্বসত্ত্বেও তারা জাহান্নামী বলে সাব্যস্ত হলো, আর আপনার পীর ছাহেবকে যেই দেখেছে সেই জামান্নাম থেকে নাযাত পেয়েছে, এটা কেমন কথা হলো?” সুলতান মাহমুদের প্রশ্ন শেষ না হতেই হযরত আবুল হাসান খারক্বানী রহমতুল্লাহি আলাইহি-এর বদনমন্ডলে ফুটে উঠলো রক্তিম আভা। তিনি জ্বালালী তবিয়তে বলে উঠলেন, “মুখ সামলে কথা বলো হে সুলতান।” আবূ জেহেল, আবূ লাহাব কখনও মহান আল্লাহ্ পাক-এর রসূল সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, রহমাতুল্লিল আ’লামীন, হাবীবুল্লাহ্, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে দেখেনি। তারা দেখেছে তাদের ভাতিজা মুহম্মদকে (ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)।

গাছ, পাথর, বনের হরিণী, মেঘমালা মহান আল্লাহ্ পাক-এর রসূল হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে চিনেছে। তারা ছালাম দিয়েছে, ঈমান এনেছে। কিন্তু মক্কার কাফিরদের বেলায় কি তাই হয়েছে? বরং মহান আল্লাহ্ পাক-এর রসূল হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সম্পর্কে তাদের জিহালতি ও গোমরাহী প্রকাশ পেয়েছে। নিন্মোক্ত পবিত্র আয়াত শরীফে, “উনি কেমন রসূল, যিনি বাজারে যান, খাদ্য খান” অর্থাৎ কাফিররা মহান আল্লাহ্ পাক-এর রসূল হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বাজার এবং খাদ্য ক্রয়ের মাঝে জ্যান্ত একজন সাধারণ মানুষ হিসেবেই দেখেছে। (নাউযুবিল্লাহ্)



ঢাকাস্থ রাজারবাগ দরবার শরীফ নিয়ে এনটিভি’র অপপ্রচারের জবাব (পর্ব– ৪)

Related imageঢাকাস্থ রাজারবাগ দরবার শরীফ নিয়ে এনটিভি’র অপপ্রচারের জবাব (পর্ব– ৪)

জমির দখলদারের পক্ষে এনটিভি সাংবাদিক

এনটিভি সাংবাদিক সফিক শাহীনের বানানো মিথ্যা রিপোর্টের ৫ম পর্বে খাগড়াছড়ি জেলার দিঘীনালায় খলিল হাওলাদার নামক এক ব্যক্তির সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়, যেখানে খলিল হাওলাদার বলে, ঢাকাস্থ রাজারবাগ দরবার নাকি জমি নিয়ে গেছে। ভিডিওতে দেখানো হয় ঐ জমির এক অংশে পুকুর করা হয়েছে, অন্য অংশে টিনের একটি ঘর তুলে মাদ্রাসার সাইনবোর্ড ঝুলানো হয়েছে। ভিডিও’র উপস্থাপন ছিলো এমন যে, এই কাজগুলো করে ঢাকাস্থ রাজারবাগ দরবার শরীফ মস্ত অপরাধ করে ফেলেছে।
[তথ্যসূত্র: https://youtu.be/1y1CiJtYEfI?t=341]

তবে ভিডিওতে একটি কথা স্পষ্ট প্রকাশ পেয়েছে, ঐ জমির মালিকের নাম আবুল হোসেন লিডার (এনটিভি তার সাক্ষাৎকার নেয়নি) এবং জমির ক্রেতা ঢাকাস্থ রাজারবাগ দরবার শরীফের মুহম্মদীয়া জামিয়া শরীফ মাদ্রাসা।
তাহলে কথা হচ্ছে, খলিল হাওলাদার নামক যে ব্যক্তির সাক্ষাৎকার নেয়া হলো,
সে মালিকও না আবার ক্রেতাও না।
তাহলে সে কে ?
আসলে সাক্ষাৎকার দেয়া ব্যক্তি ছিলো জমির দখলদার।
সে এতদিন আবুল হোসেন লিডার নামক ব্যক্তির জমি অবৈধ দখল করে আসছিলো।
আবুল হোসেন লিডার ঐ দখলকারকে উচ্ছেদ করে জমিটা মুহম্মদীয়া জামিয়া শরীফ মাদ্রাসার কাছে বিক্রি করে। এই উচ্ছেদ করা নিয়ে জমির পূর্বের মালিক আবুল হোসেন ও দখলদার খলিল হাওলাদারের সাথে বহুদিন ধরে একাধিক মামলা মোকাদ্দমা হয়, যা তাদের সম্পূর্ণ নিজস্ব ব্যাপার।

কথা হচ্ছে, মাদ্রাসার জন্য একটা জমি ক্রয় করে কি রাজারবাগ দরবার শরীফ মস্ত অপরাধ করে ফেললো ?
আর এনটিভি সাংবাদিক অবৈধ দখলদারের সাক্ষাৎকার নিয়ে ক্রেতাকে অপরাধী বানিয়ে দিলো।
কিন্তু জমির ক্রেতা বা বিক্রেতা কারো সাক্ষাৎকার নিতে পারলো না !
আশ্চর্য !!

মুহম্মদীয়া জামিয়া শরীফ মাদ্রাসা উক্ত জমির বৈধ মালিক এবং সরকারকে নিয়মিত জমির খাজনা প্রদান করে, তার দলিল হিসেবে খাজনার কাগজ পোস্টের ছবিতে সংযুক্ত করা হলো।
ঢাকাস্থ রাজারবার দরবার শরীফ নিয়ে এনটিভি’র অপপ্রচারের জবাব (পর্ব– ২)
Image result for রাজারবাগঢাকাস্থ রাজারবার দরবার শরীফ নিয়ে এনটিভি’র অপপ্রচারের জবাব (পর্ব– ২)
ক্যাসিনো ব্যবসায়ীদের মুখপাত্র এনটিভি সাংবাদিক
ঢাকা রাজারবাগ দরবার শরীফ নিয়ে যখন এনটিভিতে ধারবাহিক অপপ্রচার হচ্ছে, তখন একজন তাদের ইউটিউব পেইজের লিঙ্ক দিয়ে বললো- “দেখুন রাজারবাগ শরীফের বিরুদ্ধে কত অভিযোগ। ”
আমি লিঙ্কের ভিডিও দেখা শুরু করলাম। কিন্তু প্রথমেই আমরা খটকা লাগলো, যখন দেখলাম- যে লোকগুলো রাজারবাগ দরবার শরীফ সম্পর্কে কটূকথা বলছে, তাদের একজনকে আমি খুব ভালো করি চিনি। সে খবরের মধ্যে খুব ইনোসেন্ট সাজছিলো, দু’চোখ বেয়ে তার পানি ঝড়ছে। [https://youtu.be/jXYgZoF811k?t=294]।
কিন্তু বাস্তবে ঐ লোকটা এত ইনোসেন্ট নয়। এনটিভির খবরে তার নাম দেখানো হয় ‘আব্দুল কাদের’ নামে। কিন্তু এলাকাবাসী তাকে চিনে ‘নবা’ নামে। তার আলাদা কোন পেশা নেই। সে ৫ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আশরাফুজ্জামান ফরিদের ডান হাত। এই আব্দুল কাদের ওরফে নবা নামক লোকটি নিজেই এলাকায় সন্ত্রাসী, চাদাবাজ ও জমি দখলকারী হিসেবে এক নামে পরিচিত। এই ধরনের এক সন্ত্রাসী কোয়ালিটির লোক কিভাবে একজন সম্মানিত ব্যক্তির নামে জমি জবর দখলের অভিযোগ দেয়, তা আমার মাথায় আসে না।।
কারণ বর্তমান সরকারের যুগে একজন হুজুর মানুষ এলাকার কাউন্সিলরের সঙ্গীসাথীদের জমি জোর দখল চাইবে, এটা হতে পারে না। নিশ্চয়ই এর পেছনে অন্য কারণ আছে। আর তাছাড়া নবা যে ৫ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আশরাফুজ্জামান ফরিদের ডান হাত হিসেবে কাজ করে সেই কাউন্সিলর কোন সাধারণ কাউন্সিলর নন, তিনি বর্তমান সময়ে বেশ আলোচিত একজন ও যুবলীগ নেতা সম্রাটের ঘনিষ্টজন। কিছুদিন আগে ক্যাসিনোকাণ্ডে যাদের নাম এসেছে এবং ঐ কারণে প্রশাসনের তরফ থেকে দেশ ত্যাগে নিষেধাজ্ঞা এসেছে তাদের মধ্যে আশরাফুজ্জামান ফরিদ অন্যতম।
[তথ্যসূত্র: https://www.dailyjagaran.com/crime/news/31762]
সেই আশরাফুজ্জামান ফরিদের ডান হাত আব্দুল কাদের ওরফে নবা’র জমি হুজুররা জবর-দখল চাইবে এটা তো স্বাভাবিক বিষয় নয়। আমি এক সময় বাসাবো কদমতলার অধিবাসী থাকায়, বিষয়টি পরিচিতদের মারফত খবর নিলাম। খবর নিয়ে জানলাম ভিন্ন কথা। এই নবা নামক লোকটি নিজেই অপরাধী ও দখলদার। সেই বরং অন্য কারো জমি দখল করে নিজের নামে মিথ্যা দলিল করিয়ে এক পর্যায়ে বিক্রি করতে চায়। তখন এক লোকের থেকেও বায়না বাবদ নগদ বেশ কিছু টাকা নেয়। কিন্তু পরে নিজের প্রভাব খাটিয়ে জমি দিতে অস্বীকার করে আবার বায়নার টাকা ফেরত দিতেও অস্বীকার করে। এই নিয়ে দুইজনের মধ্যে পাল্টাপাল্টি মামলা মোকাদ্দমা হয়। যেই লোক জমির বায়নাতে টাকা দেয়, সে আবার ঢাকাস্থ রাজারবাগ দরবারে মাঝে মাঝে আসা যাওয়া করে। আমার জানা মতে, এ রকম লক্ষ লক্ষ লোক প্রতিনিয়ত রাজারবাগ দরবার শরীফে আসা যাওয়া করে, তাদের ব্যক্তিগত জীবনে অনেক ঘটনা, মামলা-মোকাদ্দমা, লেনদেন আছে। কিন্তু সেটা সম্পুর্ণ তাদের ব্যক্তিগত বিষয়, এর সাথে ঢাকাস্থ রাজারবাগ দরবার শরীফের কোন সম্পর্ক থাকার কথা নয়। কিন্তু এনটিভি’র সাংবাদিক সম্পূর্ণ অযাচিতভাবে এক যায়গার ঘটনা অন্য যায়গায় লাগিয়ে রাজারবাগ দরবার শরীফ সম্পর্কে অপপ্রচার করেছে, যা তার ধারবাহিক রিপোর্টে স্পষ্ট হয়েছে।
[ধারাবাহিক]
ঢাকাস্থ রাজারবার দরবার শরীফ নিয়ে এনটিভি’র অপপ্রচারের জবাব (পর্ব– ৩)
Image result for রাজারবাগঢাকাস্থ রাজারবার দরবার শরীফ নিয়ে এনটিভি’র অপপ্রচারের জবাব (পর্ব– ৩)
ভুয়া ছবি ব্যবহার করে মানহানীর চেষ্টা এনটিভি সাংবাদিকের
এনটিভি থেকে ৬ পর্বের অপপ্রচার ছিলো ঢাকাস্থ রাজারবাগ দরবার শরীফ সম্পর্কে মিথ্যা তথ্যে ভরপুর। কথিত সাংবাদিক শফিক শাহীন নিজেকে মানবাধিকার বিভাগের সাংবাদিক হিসেবে প্রচার করলেও উক্ত প্রতিবেদেনে সে নিজের সাংবাদিকতার শক্তিকে ব্যক্তি প্রতিহিংসার অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করে, যার সবচেয়ে বড় উদহারণ হলো ঢাকা রাজারবাগ শরীফের পীর সাহেব হুজুরের নামে মিথ্যা ছবি ছড়ানো।
বাংলাদেশের সবাই জানে, কোরআন হাদীসে ছবি তোলা হারাম বলে যে ফতওয়া আছে, সে ফতওয়া একমাত্র ঢাকাস্থ রাজারবাগ দরবার শরীফের পীর সাহেব হুজুর মেনে চলেন। তিনি কখনই কোন ছবি তুলেননি এবং কেউ দেখাতেও পারবে না। কিন্তু সে বিষয়টি প্রশ্নবিদ্ধ করতে পীর সাহেব হুজুরের নামে একটি মিথ্যা ছবি ছড়িয়ে দেয়া হয়। অথচ উক্ত ছবিটি মোটেও পীর সাহেবের নয়। বরং ছবিটি আশরাফ জাহাঙ্গীর নামক এক ব্যক্তির, যিনি ২০০৭-২০১২ পর্যন্ত দরবার শরীফের মেইন গেইটে সিকিউরিটি হিসেবে কর্মরত ছিলেন। বর্তমানে তিনি নিজ বাড়ি ‍মুন্সিগঞ্জ সদরে থাকেন। মেইন গেইটে থাকা অবস্থায় লুক্বয়িত কোন ক্যামেরা দিয়ে বিনা অনুমতিতে ছবিটি তোলা হয়। অথচ শুধুমাত্র অপপ্রচার ও প্রোপাগাণ্ডা তৈরীর উদ্দেশ্যে একজন সিকিউরিটির ছবি পীর সাহেব হুজুরের মিথ্যা চালিয়ে দেয়া হয়। এ ধরনের নিকৃষ্ট সাংবাদিকতা বাংলাদেশের পুরো সাংবাদিক মহলকে প্রশ্নবিদ্ধ করে, ছিঃ।
[ধারাবাহিক]