১২৯ নং- সুওয়ালঃ সম্প্রতি আমাদের পাটগ্রাম এলাকায় ফরজ নামাযের পর মোনাজাত করা জায়েয বা নাজায়েয এ বিষয় নিয়ে বড় ধরণের ফেৎনা-ফ্যাসাদ চলিতেছে। এ সম্বন্ধে ইসলামের সহীহ ফয়সালা জানালে আমাদের খুবই উপকার হয়।

সুওয়ালঃ সম্প্রতি আমাদের পাটগ্রাম এলাকায় ফরজ নামাযের পর মোনাজাত করা জায়েয বা নাজায়েয এ বিষয় নিয়ে বড় ধরণের ফেৎনা-ফ্যাসাদ চলিতেছে। এ সম্বন্ধে ইসলামের সহীহ ফয়সালা জানালে আমাদের খুবই উপকার হয়।
জাওয়াবঃ পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার কিতাব মুসান্নেফে ইবনে আবী শায়বায়, আবু বকর ইবনে আবী শায়বায়ে আসওয়াদ আমীরী রহমতুল্লাহি আলাইহিম হতে এবং তিনি তাহার পিতা থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন- আমি নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সহিত ফজরের নামায পড়িলাম। যখন তিনি নামাযের সালাম ফিরাইলেন, তখন ঘুরিয়া বসিলেন এবং উভয় হাত মুবারক উঠিয়ে দোয়া করিলেন। ফরজ নামাযের পর হাত উঠিয়ে দোয়া করে হাত দ্বারা মুখমন্ডল মসেহ করা সহীহ হাদীছ শরীফ দ্বারা প্রমাণিত আছে। এটা সুন্নত। (ইমদাদুল মুফতীন, মাআরেফে মাদানিয়া, আজীজুল ফতওয়া)
মাওলানা আশরাফ আলী থানভী সাহেবের ইস্তেহবাবুদ্দাওয়াত, আকিমুচ্ছালাত কিতাবেও ফরজ নামাযের পর হাত উঠিয়ে দোয়া করিয়া হাত দ্বারা মুখ মসেহ্ করা সুন্নত লেখা আছে। আরও লিখা আছে যে, এটা চারি মাযহাব অনুযায়ী অবশ্যই সুন্নত ও শরীয়তসম্মত। এছাড়াও আরও অনেক দলীল রয়েছে, যার বিস্তারিত জানতে হলে আমাদের পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার দৃষ্টিতে মোনাজাত কিতাবখানা সংগ্রহ করে পড়ুন। এছাড়াও আমরা অতি শীঘ্রই আমাদের মাসিক আল বাইয়্যিনাত পত্রিকাতে মোনাজাত সম্বন্ধে বিস্তারিত ফতওয়া দেব ইনশাআল্লাহ।
আবা-১৩ 

লিংক -

১. https://khawajarazi.blogspot.com/2018/09/blog-post_655.html


২. https://khawajarazi.blogspot.com/2018/09/blog-post_972.html


৩. https://khawajarazi.blogspot.com/2018/09/blog-post_453.html


৪. https://khawajarazi.blogspot.com/2018/10/blog-post.html


৫. https://khawajarazi.blogspot.com/2018/10/blog-post_1.html


৬. https://khawajarazi.blogspot.com/2018/10/blog-post_49.html


৭. https://khawajarazi.blogspot.com/2018/10/blog-post_75.html
১২৮ নং- সুওয়ালঃ পবিত্র সূরা নাজিয়াত শরীফ উনার শেষ পবিত্রত আয়াত শরী উনার তাফসীর মুবারক জানতে চাই।

সুওয়ালঃ পবিত্র সূরা নাজিয়াত শরীফ উনার শেষ পবিত্রত আয়াত শরী উনার তাফসীর মুবারক জানতে চাই।
জাওয়াব :
كانهم يوم يرونها لم يلبثو الا عشية او ضحها-
অর্থঃ-  তারা যেদিন তাকে দেখবে, তখন মনে করবে দুনিয়াতে তারা অবস্থান করেনি মাত্র এক সন্ধ্যা বা এক সকাল ব্যতীত          এই পবিত্র আয়াত শরীফ উনার মধ্যে ক্বিয়ামত সম্পর্কে বলা হয়েছে। ক্বিয়ামতের দিন মানুষ যখন উপস্থিত হবে, তখন ক্বিয়ামত দিনের সময়ের বিশালতা এবং তার আযাব-গযব দেখে দুনিয়াবী এবং কবর বা বরযখের জিন্দেগী তার নিকট যৎসামান্য মনে হবে। সেটাই মহান আল্লাহ পাক তিনি এখানে উল্লেখ করেছেন। আশিয়াতা বলতে দিনের শেষভাগ, আর দোহা বলতে দিনের প্রথমভাগ বুঝানো হয়েছে। দুনিয়াবী এবং বরযখী জিন্দেগীকে সে একটি পূর্ণদিনও মনে করবে না। মূলতঃ দুনিয়াবী এবং বরযখী জিন্দেগী একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে। আর পরকালের জিন্দেগীর কোন সময়সীমা নির্দিষ্ট নেই। দ্বিতীয়তঃ তার আযাব এত কঠোর বা শক্ত যে, তার কাঠিন্যের কাছে অতীতের দুনিয়াবী সমস্ত কিছু তার নিকট তুচ্ছ মনে হবে। মহান আল্লাহ পাক এই সমস্ত কথাগুলি পূর্বেই স্মরণ করে দেবার জন্যই এই পবিত্র আয়াত শরীফ এবং এরকম আনুষাঙ্গিক আরও পবিত্র আয়াত শরীফ নাজিল করেছেন। (তফসীরে মাযহারী ও অন্যান্য তফসীর গ্রন্থ)
আবা-১৩
১২৭ নং- সুওয়ালঃ পবিত্র সূরা যিলযাল শরীফ উনার ৪নং পবিত্র আয়াত শরীফ উনার ব্যাখ্যা কি?

সুওয়ালঃ পবিত্র সূরা যিলযাল শরীফ উনার ৪নং পবিত্র আয়াত শরীফ উনার ব্যাখ্যা কি?
بومنذ تحدث اخبارها.
অর্থাৎ- সেদিন সে তার সংবাদসমূহ বর্ণনা করবে?
জাওয়াবঃ হযরত আবু হুরায়রা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম বর্ণনা করেন, একদিন নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বলেন, “যমীন কি খবর দিবে তোমরা কি জান?তখন হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম বললেন,  ইয়া রসূলাল্লাহ, ইয়া হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আপনিই ভাল জানেন। তখন নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বলেন, “যমীন ইহাই খবর দিবে যে, বান্দা এবং বান্দীরা তার উপর কি করেছে এবং সাক্ষী দিবে ও বলবে, মহান আল্লাহ পাক অমুক অমুক বান্দা আমার উপর এরূপ এরূপ করেছে(আহমদ, নাসায়ী, বায়হাক্বী, তিরমীযী, ইবনে হারান)
তিবরানী শরীফ উনার পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে হযরত রবীয়া রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম হতে বর্ণিত আছে- তিনি বলেছেন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বলেন, “তোমরা মাটির থেকে সতর্ক থাকো, কেননা তোমরা ভাল-মন্দ যা করবে, মাটি তার সবকিছু বলে দিবে।
মূলত এই পবিত্র আয়াত শরীফ উনার মধ্যে যমীন সম্পর্কে বলা হয়েছে, মানুষ যা নেকীবদী করবে, যমীন তার সাক্ষী হবে। আর শুধু মাটিই নয়, যমীনের সমস্ত গাছপালা, লতাপাতা এমনকি অঙ্গপ্রত্যঙ্গও মানুষের কাজকর্মের সাক্ষ্য দিবে, যা অন্যান্য আয়াত শরীফে এবং হাদীছ শরীফে উল্লেখ করা হয়েছে। সুতরাং প্রতিটি মানুষ তার আমলের ব্যাপারে সে যেন পাপ কাজ থেকে বিরত থাকে এবং নেক কাজে মশগুল থাকে ও ইস্তেগ্ফারে কায়েম থাকে, সে বিষয়ে শতর্ক থাকতে হবে। (তফসীরে মাযহারী ও অন্যান্য তফসীর গ্রন্থ)
আবা-১৩
১২৬ নং-সুওয়ালঃ তারাবীহ নামায পড়িয়ে বা অন্যের বাড়ীতে পবিত্র কুরআন শরীফ খতম করে হাদীয়া নেয়া জায়েয কি-না?

সুওয়ালঃ তারাবীহ নামায পড়িয়ে বা অন্যের বাড়ীতে পবিত্র কুরআন শরীফ খতম করে হাদীয়া নেয়া জায়েয কি-না?
জাওয়াবঃ হ্যাঁ, তারাবীহ্ নামায পড়িয়ে পয়সা নেয়া জায়েয আছে। তবে শর্ত হলো হাফেয সাহেবকে ইমাম হিসেবে রাখতে হবে। অথবা সময় ও স্থান নির্ধারণ করে দিতে হবে। আর কুরআন শরীফ খতম করার ব্যাপারে সময় ও স্থান নির্ধারণ করে দিলেই চলবে এবং এ ব্যাপারে দলীল-আদীল্লাহ্সহ বিস্তারিত ফতওয়া আমরা আমাদের মাসিক আল বাইয়্যিনাত শরীফ উনার মধ্যে ভবিষ্যতে ছাপাবো ইনশাআল্লাহ্। আর এ ব্যাপারে বিস্তারিত জানতে হলে ইমামুল আরেফিন, সুলতানুল আউলিয়া, ফক্বীহুল উম্মত, হুজ্জাতুল ইসলাম, বাহরুল উলুম, ফখরুল ফুক্বাহা, রইছুল মুহাদ্দেসীন, তাজুল মুফাসসিরীন, হাফেযে হাদীছ, মুফতিয়ে আ’যম, পীরে কামেল, মুর্শেদে মোকাম্মেল হযরত মাওলানা আল্লামা শাহ সূফী মুহম্মদ রুহুল আমীন রহমতুল্লাহি আলাইহিম কর্তৃক প্রণীত খতম ও জিয়ারতের ওজরতের সমাধান, কিতাবখানা পড়ুন।
আবা-১৩
১২৫ নং- প্রশ্নঃ- আমার মেয়েকে ১০০ মাইল দূরে বিবাহ দিয়েছি। এখন ঐ মেয়ে আমার বাড়ীতে ১০/১২ দিনের জন্য বেড়াতে এসেছে। এখন তাকে কসর পড়তে হবে কিনা?

সুওয়ালঃ মাসিক মদীনায় এপ্রিল/৯০ সংখ্যায় প্রশ্ন-উত্তর ছাপা হয়যা নিম্নে উল্লেখ করা হলো।
 প্রশ্নঃ- আমার মেয়েকে ১০০ মাইল দূরে বিবাহ দিয়েছি। এখন ঐ মেয়ে আমার বাড়ীতে ১০/১২ দিনের জন্য বেড়াতে এসেছে। এখন তাকে কসর পড়তে হবে কিনা?
উত্তরঃ- বাপের বাড়ীতে তো মেয়ের জন্মস্থান এবং স্থায়ী ঠিকানা। বিবাহ্ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার কারণে তাকে স্বামীর বাড়ী থাকতে হয়। এমতাবস্থায় নিজের স্থায়ী ঠিকানায় আসার পর মেয়েকে নামায কসর পড়তে হবে না।
জাওয়াবঃ- এই উত্তরও শুদ্ধ হয়নি। কারণ মেয়ের যখন বিবাহ হয়ে যায় এবং স্বামীর বাড়ীতে স্থায়ীভাবে বসবাস করার জন্য তুলে নেয়া হয়, তখন তার ওয়াতনে আছলি হয় স্বামীর বাড়ী। কাজেই তার স্বামীর বাড়ী ও বাপের বাড়ীর মধ্যে যদি কসর পরিমাণ দুরত্ব হয়, তাহলে তাকে কসর পড়তে হবে তার বাপের বাড়ীতে আর স্বামীর বাড়ীতে পুরো নামায পড়তে হবে। মেয়েকে স্থায়ীভাবে তুলে নেয়া না হয়, তাহলে বাপের বাড়ীতে সে মুক্বীম অবস্থায় থাকবে। (ফতওয়ায়ে দারুল উলুম দেওবন্দ, বেহেশ্তী জিওর)
আবা-১৩
১২৪ নং- প্রশ্নঃ- আমরা জানি যে, টেলিভিশনে অনুষ্ঠান দেখলে পাপ হয়। কিন্তু টেলিভিশনে যখন পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার আলোচনা হয় বা সম্মানিত দ্বীন ইসলাম সম্পর্কিত কোন অনুষ্ঠান প্রচার করে, তখন তা দেখলেও কি গুণাহ্ হবে?

সুওয়ালঃ মাসিক মদীনা মার্চ/৯৩ সংখ্যায় এক প্রশ্ন ও উত্তর ছাপা হয় যা নিম্নে দেয়া হলো-
প্রশ্নঃ- আমরা জানি যে, টেলিভিশনে অনুষ্ঠান দেখলে পাপ হয়। কিন্তু টেলিভিশনে যখন পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার আলোচনা হয় বা সম্মানিত দ্বীন ইসলাম সম্পর্কিত কোন অনুষ্ঠান প্রচার করে, তখন তা দেখলেও কি গুণাহ্ হবে?
উত্তরঃ- টেলিভিশন একটি যন্ত্র ছাড়া আর কিছু নয়। সাধারণভাবে খালি চোখে যা দেখা জায়েয, টেলিভিশনের পর্দাতেও তা দেখা জায়েয। যে সব দৃশ্য সাদা চোখে দেখা জায়েয নয়, টেলিভিশনের পর্দাতেও তা দেখা জায়েয নয়।
জাওয়াবঃ উপরোক্ত জাওয়াব শুদ্ধ হয়নি। কারণ ক্যামেরাও একটি যন্ত্র, তাই বলে সেটাতে ছবি তুললে জায়েজ হবে না। সুতরাং যন্ত্র হওয়া শর্ত নয়, শর্ত হলো ছবি নিয়ে। আর যেহেতু টেলিভিশনের মূল বিষয় হলো ছবি। কাজেই এটা দেখা জায়েয নয় এবং গুণাহের কারণ। আজকাল অনেকে বিজ্ঞান সম্বন্ধে অজ্ঞ থাকার কারণে নব্য আবিষ্কৃত যন্ত্রপাতি সম্পর্কে শরীয়ত উনার সঠিক ফয়সালা দিতে পারে না। আর এই টেলিভিশন, ভিসিআর ইত্যাদি নিয়েও একই সমস্যা দেখা দিয়েছে। তারই সুষ্ঠু সমাধানের জন্য আমরা আমাদের মাসিক আল বাইয়্যিনাত শরীফ উনার পঞ্চম, ষষ্ঠ ও সপ্তম এই তিন সংখ্যার মধ্যে আকলী ও নকলী দলীলের দ্বারা টেলিভিশন ও ভিসিআর ইত্যাদি সম্পর্কে বিস্তারিত ফতওয়া দিয়েছি, যা বিশ্বের সকল মানুষের জন্য যথেষ্ট। সেটাতে প্রায় ৩৫০টিরও বেশী দলীল পেশ করা হয়েছে। কাজেই টেলিভিশন, ভিসিআর ইত্যাদি দেখা নাজায়েয ও গুণাহের কারণ। সুতরাং আপনি আমাদের মাসিক আল বাইয়্যিনাত শরীফ উনার পঞ্চম, ষষ্ট ও সপ্তম সংখ্যা সংগ্রহ করে পড়ুন এবং যারা ভুল ফতওয়া দিয়ে থাকে তাদেরও পড়া উচিত।

আবা-১৩
১২৩ নং- সুওয়ালঃ পবিত্র সুরা বাক্বারা শরীফ উনার ১৭৪নং পবিত্র আয়াত শরীফ উনার মধ্যে বলা হয়েছে, “নিশ্চয়ই যারা গোপন রাখে মহান আল্লাহ পাক তিনি যা কিতাব মুবারক উনার মধ্যে নাজিল করেছেন এবং তার বিণিময়ে অল্প সম্পদ বা মূল্য গ্রহণ করে, তারা তাদের পেটে আগুন ব্যতীত কিছু প্রবেশ করেনা বা খায়না। আর মহান আল্লাহ পাক তাদের সাথে ক্বিয়ামতের দিন কথাও বলবেন না এবং তাদের পবিত্রও করবেন না। আর তাদের জন্য রয়েছে কঠোর শাস্তি।” এই পবিত্র আয়াত শরীফ উনার কিতাবের বিণিময়ে দুনিয়ার ন্যায্য সম্পদ বলতে কি কাউকে কুরআন শরীফ শিক্ষা দিয়ে টাকা-পয়সা বা অন্য কিছু গ্রহণ করার কথা বলা হয়েছে?

সুওয়ালঃ পবিত্র সুরা বাক্বারা শরীফ উনার ১৭৪নং পবিত্র আয়াত শরীফ উনার মধ্যে বলা হয়েছে, “নিশ্চয়ই যারা গোপন রাখে মহান আল্লাহ পাক তিনি যা কিতাব মুবারক উনার মধ্যে নাজিল করেছেন এবং তার বিণিময়ে অল্প সম্পদ বা মূল্য গ্রহণ করে, তারা তাদের পেটে আগুন ব্যতীত কিছু প্রবেশ করেনা বা খায়না। আর মহান আল্লাহ পাক তাদের সাথে ক্বিয়ামতের দিন কথাও বলবেন না এবং তাদের পবিত্রও করবেন না। আর তাদের জন্য রয়েছে কঠোর শাস্তি। এই পবিত্র আয়াত শরীফ উনার কিতাবের বিণিময়ে দুনিয়ার ন্যায্য সম্পদ বলতে কি কাউকে কুরআন শরীফ শিক্ষা দিয়ে টাকা-পয়সা বা অন্য কিছু গ্রহণ করার কথা বলা হয়েছে?
জাওয়াবঃ হযরত ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম তিনি বলেছেন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার গুণাবলী ও নুবুওতের সংবাদ তাওরাত শরীফ উনার মধ্যে উল্লেখিত ছিল। নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার এই জগতে আগমনের পূর্বে তারা এই সংবাদ জনসমাজে প্রচার করতো, কিন্তু তিনি জগতে আগমন করলে তারা লোকের নিকট হতে যে টাকা-কড়ি উপঢৌকন প্রাপ্ত হতো, তার গতিরোধ ও তাদের প্রভুত্ব বিনষ্ট হওয়ার আশঙ্কায় তারা শেষ পয়গম্বরের নবুওতের কথা গোপন করতে লাগলো। তাদের সম্বন্ধে মহান আল্লাহ মহান পাক তিনি বলেছেন, যারা মহান আল্লাহ তাআলা উনার প্রেরিত কিতাবের কথা গোপন করে এবং ওটার পরিবর্তে সামান্য অর্থ ও নশ্বর মর্যাদা লাভ করে, তারা দোযখের অগ্নি উদরস্থ করছে। অর্থাৎ ওটা অগ্নিরূপ ধারণ করতঃ দোযখে তাদের উদরে প্রবেশ করবে। মহান আল্লাহ পাক তিনি ক্বিয়ামতে তাদের দিকে কৃপাদৃষ্টি করবেন না, তারা মহা যন্ত্রণাদায়ক শাস্তিতে নিক্ষিপ্ত হবে। (তাফসীরে আমিনিয়া, ইবনে কাসীর, রুহুল মাআনী)   
মূলতঃ পবিত্র এই আয়াত শরীফ উনার মধ্যে ইহুদী এবং খ্রীষ্টানদের মধ্যে যে সমস্ত আলেমরা সামান্য পয়সা বা দুনিয়ার বিণিময়ে মনগড়া ফতওয়া দিত এবং জায়গা বিশেষ তাওরাত-ইঞ্জিল কিতাব পরিবর্তন করতে দ্বিধাবোধ করতো না, তাদের সম্পর্কে নাজিল হয়েছে। তাই যারা পবিত্র কুরআন শরীফ শিক্ষা দিয়ে টাকা নেয়, তারা এই পবিত্র আয়াত শরীফ উনার অন্তর্ভূক্ত হবে না। অবশ্য বর্তমান বিশ্বে এমন অনেক আলেম নামধারী ব্যক্তি রয়েছে অর্থাৎ ওলামায়ে ছু’, যারা সামান্য পয়সা বা দুনিয়ার বিণিময়ে হালালকে হারাম বা হারামকে হালাল করতে দ্বিধাবোধ করে না, তারা এই পবিত্র আয়াত শরীফ উনার অন্তর্ভূক্ত হবে।
আবা-১৩
১২২ নং- সুওয়ালঃ  সালোয়ার কামিজ পরিধান করে ব্যাডমিন্টন খেলা যাবে কিনা?

সুওয়ালঃ এপ্রিল/৯০ সংখ্যায় মাসিক মদীনায় নিম্নোক্ত প্রশ্ন-উত্তর ছাপা হয়:
প্রশ্নঃ সালোয়ার কামিজ পরিধান করে ব্যাডমিন্টন খেলা যাবে কিনা?
উত্তরঃ- শরীর চর্চার উদ্দেশ্যে এসব খেলা অবৈধ নয়। উপরোক্ত জাওয়াব বিশুদ্ধ কিনা জানাবেন।
জাওয়াবঃ মোস্তাদরেকে হাকেমের মধ্যে হযরত আবু হুরায়রা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বর্ণনা করেন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বলেন, সর্বপ্রকার খেলা বাতিল তিনটি ব্যতীত- (১) তীর-ধনুক চালনা করা, (২) অশ্বকে প্রশিক্ষণ দান, (৩) নিজের স্ত্রীর সাথে শরীয়তসম্মত হাসি-খুশী।
আরও উল্লেখ্য যে, আবু দাউদ শরীফ, তিরমিযী শরীফ, নাসায়ী শরীফ, ইবনে মাজাহ ইত্যাদি পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার গ্রন্থেও হযরত ওকবা ইবনে আমের রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের হতে অনুরূপ পবিত্র হাদীছ বর্ণিত আছে, তবে তার শব্দের কিছু তারতম্য রয়েছে।     
হযরত ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম হতে রেওয়ায়েত আছে, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বলেন, “মুমিনের শ্রেষ্ঠ খেলা সাঁতার কাটা আর নারীর শ্রেষ্ঠ খেলা সূতা কাটা।        
সহীহ মুসলিম ও মসনদে আহমদ শরীফ উনার মধ্যে হযরত সালমান ইবনে আকওয়া রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম হতে বর্ণিত আছে, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি দৌড় অনুশীলনে এজাযত দিয়েছেন।          
আর আবূ দাউদ শরীফ কিতাবে বর্ণিত আছে, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি রোকনা পাহলোয়ানকে কুস্তিতে ধরাশায়ী করেছিলেন।
খেলা এমন কাজকে বলা হয়, যাতে কোন উল্লেখযোগ্য ধর্মীয় ও পার্থিব উপকারিতা নেই। যে খেলা দ্বীন থেকে পথভ্রষ্ট হওয়ার এবং অপরকে পথভ্রষ্ট করার উপায় হয়, তা কুফরী। আর যে খেলা মানুষকে ইসলামী বিশ্বাস থেকে সরিয়ে নেয় না কিন্তু কোন হারাম ও গুণাহের কাজে লিপ্ত করে দেয়, এরকম খেলা কুফরী নয়, তবে হারাম ও কঠোর গুণাহ্। আর যে সকল খেলায় কুফরী ও হারাম কোনটাই নেই, প্রকাশ্য কোন গুণাহ্ও নেই, সে সকল খেলা মাকরূহ, কারণ এতে অনর্থক কাজে আপন শক্তি ও সময় বিনষ্ট করা হয়। কেননা মহান আল্লাহ পাক তিনি কুরআন শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন,
ان المبذرين كانوا اخوان الشياطين.
অর্থঃ- নিশ্চয়ই অপচয়কারী শয়তানের ভাই।
আর পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বলা হয়েছে,
من حسن الاسلام المرء تركه مالا يعيه.
 অর্থঃ-  কোন ব্যক্তির দ্বীনে সৌন্দর্য হলো অহেতুক বা অপ্রয়োজনীয় কাজ থেকে বিরত থাকা       
কাজেই যেগুলো জায়েয বলা হয়েছে, সেগুলোর সাথে ধর্মীয় ও পার্থিব অনেক উপকারিতা জড়িত রয়েছে। যেমন তীর নিক্ষেপ, অশ্বকে প্রশিক্ষণ দেয়া, সাঁতার কাটা, দৌড় অনুশীলন ইত্যাদি জিহাদের প্রস্তুতি গ্রহণের অন্তর্ভূক্ত। আর সূতা কাটা মেয়েদের সাংসারিক কাজের অন্তর্ভূক্ত। এবং স্ত্রীর সাথে শরীয়তসম্মত হাসি-খুশী করা বংশবৃদ্ধির লক্ষ্যকে পূর্ণতা দান করে।          
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে হাফিয আল্লামা রুহুল আমীন রহমতুল্লাহি আলাইহিম ওনার মজমুয়ায়ে ফতওয়ায়ে আমিনিয়া কিতাবে লিখেন, ‍‌জায়েয কাজ দ্বারা যখন ব্যায়াম করার উপায় আছে, তখন নাজায়েয কাজের দ্বারা কিরূপে জায়েয হবে? খেলার প্রতিযোগীতা করলে কি ফল হবে? কিন্তু লাঠি তীর ছোড়া, তরবারী ভাজা, ঘৌড়-দৌড় ইত্যাদিতে শত্রুদের হস্ত হতে কতকটা নিষ্কৃতি লাভের উপায় হতে পারে। পক্ষান্তরে খেলাতে এই প্রকার কোন লাভ হতে পারে না। বরং ওটা খাঁটি খেলবাজি ভিন্ন আর কিছুই নহে। কাজেই ওটা কিছুতেই জায়েয হতে পারে না। কেবল দুনিয়াদার স্বার্থপর আলেম দুএকজন ওটা জায়েয হওয়ার ফতওয়া দিয়েছেন। তাদের ফতওয়া কিছুতেই গ্রহণীয় হতে পারে না।
আবা-১৩
১২১ নং- সুওয়াল: সম্প্রতি মাসিক মদীনা পত্রিকার এপ্রিল-১৯৯৩ ইং সংখ্যায় এক প্রশ্নের জওয়াবে যে পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার উদ্ধতি দিয়ে বলা হয়েছে যে, হাশরের ময়দানে ৭৩টি কাতার হবে এবং তার মধ্যে মাত্র এক কাতার বেহেস্তে যাবে। অথচ আমরা জানি যে, পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে উল্লেখ আছে, ৭৩ ফিরক্বাহবে এই দুনিয়াতে উম্মতে হাবীবীর মধ্যে এবং তার মধ্যে এক ফিরক্বা হবে জান্নাতি, যারা আহ্লে সুন্নাত ওয়াল জামায়াত হিসেবে মশহুর। আর বাকী ৭২ ফিরক্বা হবে জাহান্নামী। তাহলে কোনটি সত্য?

সুওয়াল: সম্প্রতি মাসিক মদীনা পত্রিকার এপ্রিল-১৯৯৩ ইং সংখ্যায় এক প্রশ্নের জওয়াবে যে পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার উদ্ধতি দিয়ে বলা হয়েছে যে, হাশরের ময়দানে ৭৩টি কাতার হবে এবং তার মধ্যে মাত্র এক কাতার বেহেস্তে যাবে। অথচ আমরা জানি যে, পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে উল্লেখ আছে, ৭৩ ফিরক্বাহবে এই দুনিয়াতে উম্মতে হাবীবীর মধ্যে এবং তার মধ্যে এক ফিরক্বা হবে জান্নাতি, যারা আহ্লে সুন্নাত ওয়াল জামায়াত হিসেবে মশহুর। আর বাকী ৭২ ফিরক্বা হবে জাহান্নামী। তাহলে কোনটি সত্য?
জাওয়াব: মাসিক মদীনার জওয়াব শুদ্ধ নয়। এই দুনিয়াতে উম্মতে হাবীবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মধ্যে হবে ৭৩ ফিরক্বা। তার মধ্যে একদল হবে জান্নাতী, আর বাকী ৭২ ফিরক্বা জাহান্নামী।
আবা-১২
১২০ নং- সুওয়াল: আযানে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নাম মোবারক শ্রবণ করে বৃদ্ধাঙ্গুলি চুমো খাওয়া জায়েয আছে কিনা?

সুওয়াল: আযানে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নাম মোবারক শ্রবণ করে বৃদ্ধাঙ্গুলি চুমো খাওয়া জায়েয আছে কিনা? বৃদ্ধাঙ্গুলি চুম্বন করার যে পবিত্র হাদীছ শরীফ বলা হয়, ওটা কি ছহীহ্ হাদীছ শরীফ, না মওজু হাদীছ শরীফ? সম্প্রতি এক ইসলামী মাসিক পত্রিকায় আযানে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নাম মোবারক শুনে অঙ্গুলি চুম্বন দেয়া সম্পর্কে উল্লেখ করেছে যে, এ সম্বন্ধে কোন সহীহ্ হাদীছ শরীফ নেই। আরও উল্লেখ করেছে ফেরদাউস কিতাবে অঙ্গুলি চুমো দিয়ে চোখে বুছা সম্বন্ধে পবিত্র হাদীছ শরীফ রয়েছে। তবে হযরত শাহ্ আবদুল আযীয মুহাদ্দেস দেহলবী রহমতুল্লাহি আলাইহি  তিনি বলেছেন, এ কিতাবে অনেক মওজু হাদীছ শরীফ রয়েছে।
আরো উল্লেখ্য যে, বৃদ্ধাঙ্গুলি চুম্বন খাওয়া সম্পর্কে কানজুলিবাদ ও ফতওয়ায়ে সুফিয়া গ্রন্থে হাদীছ উল্লেখ করা হয়েছে। তবে আল্লামা শামী  রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি একে সহীহ্ মনে করেন না এবং আল্লামা ইবনে জয়নুল আবেদীন রহমতুল্লাহি আলাইহি বর্ণনা করেন, বৃদ্ধাঙ্গুলি চুম্বন করা সম্পর্কে সুন্নত বা মোস্তাহাব বলা সম্বন্ধে কোন পবিত্র হাদীছ শরীফ পাওয়া যাবে না।
জাওয়াব: আযানে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নাম মোবারক শ্রবণ করে অঙ্গুলি চুম্বন করে চোখে বুছা দেয়া সুন্নতে ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম। আযানে প্রথম নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নাম মোবারক শুনে চোখে বুছা দেন হযরত আবু বকর ছিদ্দীক আলাইহিস সালাম। যিনি
افضل الناس بعد الانبياء.
অর্থাৎ হযরত নবী-রসূল আলাইহিস সালামগণ উনাদের পরে শ্রেষ্ঠ মানুষ। জেনে রাখা উচিত, পবিত্র হাদীছ শরীফটিকে কেউ জয়ীফ বললেও কেউ মওকুফ বলেছেন। কেউ মওকুফ হিসেবে সহীহ্ বলেছেন। এছাড়াও দায়লামী শরীফ ও মারাকিউল ফালাহ কিতাবে মরফু হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।
আরও উল্লেখ্য যে, হযরত আল্লামা ছাকাবী রহমতুল্লাহি আলাইহি, হযরত ইমাম মোল্লা আলী ক্বারী রহমতুল্লাহি আলাইহি, হযরত মোহাম্মদ তাহের ফাত্তানী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনারা স্বস্ব কিতাবে মরফু হিসেবে সহীহ্ বলে উল্লেখ করেছেন।
অনেক ছহীহ্ হাদীছ শরীফ উনার কিতাবেও মওজু হাদীছ শরীফ উল্লেখ করা হয়েছে। হ্যাঁ, কোন কোন কিতাবে মওজু হাদীছ শরীফ উনার সংখ্যা বেশী রয়েছে। তবে সে কারণে সেই কিতাবের অন্যান্য সহীহ্ ও হাসান হাদীছ শরীফকে মওজু হিসেবে উল্লেখ করা যাবে না। তাতে হাদীছ গ্রন্থের অনির্ভরযোগ্যতা প্রমাণিত হয় না। অনেক ইমাম মুজতাহিদগণই অনেক কিতাবকে নির্ভরযোগ্য বলে মনে করেননি, কিন্তু অনেক ইমাম মুজতাহিদগণ সেই কিতাবকে নির্ভরযোগ্য বলে প্রমাণ করেছেন। যেমন, সীহাহ সিত্তাহ্ উনার ইমামগণ কেউ কেউ কোন কোন পবিত্র হাদীছ শরীফ উনাকে সহীহ্ হিসেবে গ্রহণ করেননি অথচ সীহাহ সিত্তাহ শরীফ উনারই অন্য ইমামগণ আবার সেই পবিত্র হাদীছ শরীফ উনাকে সহীহ্ হিসেবে গ্রহণ করেছেন। কাজেই কোন পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার গ্রহণযোগ্যতা বা অগ্রহণযোগ্যতা সমষ্টিগতভাবে দেখতে হয়। আমলের জন্য ছহীহ্ হাদীছ শরীফ হওয়া শর্ত নয়। তবে ছহীহ্ হাদীছ শরীফ হলে উত্তম। আমলের ক্ষেত্রে পবিত্র হাদীছ শরীফ জয়ীফ হলেও তা গ্রহণযোগ্য (উসুলে হাদীছ)।           আযানে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নাম মোবারক শুনে অঙ্গুলি চুম্বন করে চোখে বুছা দেয়া সম্পর্কে বিস্তারিত ফতওয়া উল্লেখ করা হয়েছে, আমাদের মাসিক আল বাইয়্যিনাতের ১ম বর্ষ ৩য় সংখ্যায়। সেটা সংগ্রহ করে পড়ৃন। সমস্ত সুওয়ালের জাওয়াব পাবেন।
আবা-১২

১১৯ নং- সুওয়াল: সম্প্রতি মাসিক মদীনা পত্রিকার মার্চ-১৯৯৩ সংখ্যায় হযরত বড় পীর ছাহেব আব্দুল কাদির জ্বিলানী  রহমতুল্লাহি আলাইহিকে গাউসুল আ’যম বলা হলো কেন? এ প্রশ্নের জওয়াবে বলা হয়েছে, “গাওসুল” শব্দের আভিধানিক অর্থ “ফরিয়াদ শ্রবণকারী, বিপদ ত্রাণকারী, সাহায্যকারী।” এ অর্থে কোন মানুষের প্রতি এ শব্দ ব্যবহার শরীয়তের দৃষ্টিতে বৈধ হতে পারে না। হযরত আব্দুল কাদির জ্বিলানী রহমতুল্লাহি আলাইহি খুব উঁচুস্তরের ওলী ছিলেন। ওলী-আওলিয়াগণের মধ্যে উনাকে সর্বোচ্চস্তরের একজন বলে মনে করা হয়। জীবিতকালে বিপন্ন মানুষের সেবা এবং আশ্রয় প্রদানের ক্ষেত্রেও তিনি অগ্রণী ভূমিকা পালন করতেন। এজন্য হয়ত উনাকে গাউস অর্থাৎ সাহায্যকারী বা ফরিয়াদ শ্রবণকারী বলে অভিহিত করা হতো। কিন্তু ইন্তেকালের পরেও তিনি মানুষের ফরিয়াদ শ্রবণ করেন এবং তিনি সর্বাপেক্ষা বড় ফরিয়াদ শ্রবণকারী। এরূপ আক্বীদা পোষণ কিংবা বাস্তব অর্থেই এ নামে উনাকে সম্বোধন করা শরীয়তসম্মত হতে পারে না।

১১৯ নং- সুওয়াল: সম্প্রতি মাসিক মদীনা পত্রিকার মার্চ-১৯৯৩ সংখ্যায় হযরত বড় পীর ছাহেব আব্দুল কাদির জ্বিলানী রহমতুল্লাহি আলাইহিকে গাউসুল আ’যম বলা হলো কেন? এ প্রশ্নের জওয়াবে বলা হয়েছে, “গাওসুল” শব্দের আভিধানিক অর্থ “ফরিয়াদ শ্রবণকারী, বিপদ ত্রাণকারী, সাহায্যকারী।” এ অর্থে কোন মানুষের প্রতি এ শব্দ ব্যবহার শরীয়তের দৃষ্টিতে বৈধ হতে পারে না। হযরত আব্দুল কাদির জ্বিলানী রহমতুল্লাহি আলাইহি খুব উঁচুস্তরের ওলী ছিলেন। ওলী-আওলিয়াগণের মধ্যে উনাকে সর্বোচ্চস্তরের একজন বলে মনে করা হয়। জীবিতকালে বিপন্ন মানুষের সেবা এবং আশ্রয় প্রদানের ক্ষেত্রেও তিনি অগ্রণী ভূমিকা পালন করতেন। এজন্য হয়ত উনাকে গাউস অর্থাৎ সাহায্যকারী বা ফরিয়াদ শ্রবণকারী বলে অভিহিত করা হতো। কিন্তু ইন্তেকালের পরেও তিনি মানুষের ফরিয়াদ শ্রবণ করেন এবং তিনি সর্বাপেক্ষা বড় ফরিয়াদ শ্রবণকারী। এরূপ আক্বীদা পোষণ কিংবা বাস্তব অর্থেই এ নামে উনাকে সম্বোধন করা শরীয়তসম্মত হতে পারে না।


সুওয়াল: সম্প্রতি মাসিক মদীনা পত্রিকার মার্চ-১৯৯৩ সংখ্যায় হযরত বড় পীর ছাহেব আব্দুল কাদির জ্বিলানী  রহমতুল্লাহি আলাইহিকে গাউসুল আযম বলা হলো কেন? এ প্রশ্নের জওয়াবে বলা হয়েছে, “গাওসুলশব্দের আভিধানিক অর্থ ফরিয়াদ শ্রবণকারী, বিপদ ত্রাণকারী, সাহায্যকারী।এ অর্থে কোন মানুষের প্রতি এ শব্দ ব্যবহার শরীয়তের দৃষ্টিতে বৈধ হতে পারে না। হযরত আব্দুল কাদির জ্বিলানী রহমতুল্লাহি আলাইহি খুব উঁচুস্তরের ওলী ছিলেন। ওলী-আওলিয়াগণের মধ্যে উনাকে সর্বোচ্চস্তরের একজন বলে মনে করা হয়। জীবিতকালে বিপন্ন মানুষের সেবা এবং আশ্রয় প্রদানের ক্ষেত্রেও তিনি অগ্রণী ভূমিকা পালন করতেন। এজন্য হয়ত উনাকে গাউস অর্থাৎ সাহায্যকারী বা ফরিয়াদ শ্রবণকারী বলে অভিহিত করা হতো। কিন্তু ইন্তেকালের পরেও তিনি মানুষের ফরিয়াদ শ্রবণ করেন এবং তিনি সর্বাপেক্ষা বড় ফরিয়াদ শ্রবণকারী। এরূপ আক্বীদা পোষণ কিংবা বাস্তব অর্থেই এ নামে উনাকে সম্বোধন করা শরীয়তসম্মত হতে পারে না।
জাওয়াব: মাসিক মদীনার উপরোক্ত জাওয়াব বিশুদ্ধ হয়নি। গাউসুল আযমশব্দটি তাসাউফের একটি লক্বব। তাসাউফের উচ্চস্তরে পৌঁছলে আউলিয়া-ই-কিরামগণ উনাদেরকে মহান আল্লাহ পাক উনার তরফ থেকে যোগ্যতা অনুযায়ী বিভিন্ন লক্বব দিয়ে সন্মানিত করে বিভিন্ন দায়িত্বে নিয়োজিত করা হয়। যেমন, পবিত্র হাদীছ শরীফ মোতাবেক মোজাদ্দিদ এর লক্বব দেয়া হয়, এটা ব্যতীত কুতুবুল আলম, সুলতানুল আরেফীন, কাইউম, ইমামুল আইম্মা ইত্যাদি। এরূপ বিভিন্ন লক্ববের মধ্যে একটি উচ্চ মর্যাদাসম্পন্ন লক্বব হলো গাউসুল আযম। যেমন কুরআন শরীফে সুরা নাজেয়াতে৫নং আয়াত শরীফে আল্লাহ পাক তিনি ইরমাদ করেন,
المدبرات امرا
অর্থঃ যারা কার্যনির্বাহ করে। এই পবিত্র আয়াত শরীফ উনার ব্যাখ্যায় বলা হয়েছে যে, মহান আল্লাহ পাক উনার কায়েনাত পরিচালনার জন্য বিভিন্ন ফেরেস্তা ও ইনসান নিয়োজিত রয়েছেন। যেমন, হযরত ইলিয়াস আলাইহিস সালাম উনাকে বনভূমির, হযরত খিজির আলাইহিস সালাম উনাকে পানির জিম্মাদারী দেয়া হয়েছে এবং কিছু রেজালুল গায়ের অর্থাৎ অদৃশ্য মানব, যাদেরকে মরুভূমি অথবা কোন নির্জন এলাকায় কোন পথহারা ব্যক্তিকে পথ দেখানোর জন্য নিয়োজিত করা হয়েছে। অপরদিকে হযরত জীবরাঈল আলাইহিস সালাম উনাকে ওহীর দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল, হযরত মীকাঈল আলাইহিস সালাম উনাকে রিযিক বন্টন করার দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল। হযরত ইসরাফিল আলাইহিস সালাম উনাকে সিঙ্গায় ফু দেয়ার জন্য এবং হযরত আজরাঈল আলাইহিস সালাম উনাকে জান কবজ করার দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। এরূপ বিভিন্ন আউলিয়ায়ে কিরামগণ উনাদেরকে বিভিন্ন কাজ পরিচালনার জন্য মহান আল্লাহ পাক কর্তৃক দায়িত্ব দেয়া হয় এবং সে জন্য বিভিন্ন লক্ববও দেয়া হয়ে থাকে। যার বিস্তারিত আলোচনা করেছেন হযরত মোজাদ্দিদে আলফে সানী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার মকতুবাত শরীফে। আর কোন আউলিয়ায়ে কিরাম ইন্তেকাল করলেই উনাকে উনার লক্বব মুবারক দ্বারা সম্বোধন করা যাবে না এটা বিশুদ্ধ নয়। যেমন হযরত নবী-রসূল আলাইহিস সালামগণ উনারা ইন্তেকালের পরও উনারা উনাদের স্বস্ব সন্মানিত লক্বব মুবারক উনার দ্বারাই সম্বোন্বিত হবেন। কাজেই গাউসুল আযম ও এই প্রকার লক্ববসমূহকে শাব্দিক অর্থে ব্যবহার করা চলবেনা। বিশুদ্ধ জাওয়াব পেতে হলে যারা তাসাউফে পারদর্শী, উনাদের কাছ হতে এসকল বিষয় জেনে নেয়া উচিত। কারণ যারা তাসাউফে পারদর্শী নয়, তাদের পক্ষে এসকল লক্ববের মর্মার্থ উপলব্ধি করা দুরূহ। আর এ সমস্ত লক্বব সম্বন্ধে কারো মনে কোন প্রকার সংশয় রাখা উচিত নয় এবং বিনাদ্বিধায় এগুলো মেনে নেয়া উচিত। কেননা এগুলো পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ, পবিত্র ইজমা শরীফ ও পবিত্র কিয়াস শরীফ উনাদের দ্বারা প্রমাণিত।
আবা-১২
১১৮ নং- সুওয়াল: যদি কোন রোকন বেশী আদায় করে যেমন, দুই সিজদার স্থলে তিন সিজদা দেয় তাহলে কি হবে?

সুওয়াল: যদি কোন রোকন বেশী আদায় করে যেমন, দুই সিজদার স্থলে তিন সিজদা দেয় তাহলে কি হবে?

জাওয়াব: যদি কোন রোকন ইচ্ছাকৃত বেশী আদায় করে, তাহলে নামায বাতিল হয়ে যাবে। আর যদি অনিচ্ছাকৃত বেশী আদায় করে, তাহলে সহু সিজদা ওয়াজিব হবে।
আবা-১২
১১৭ নং- সুওয়াল: নামাযের মধ্যে কোন এক রোকন ছেড়ে দিলে  নামায  বাতিল হবে কিনা, যেমন এক সিজদাহ।

সুওয়াল: নামাযের মধ্যে কোন এক রোকন ছেড়ে দিলে  নামায  বাতিল হবে কিনা, যেমন এক সিজদাহ।
জাওয়াব: হ্যাঁ, রোকন বাদ হলে নামায বাতিল হয়ে যাবে।
আবা-১২
১১৬ নং- সুওয়াল: শরীরের যে সমস্ত অঙ্গ ঢেকে রাখা ফরজ, তার কতটুকু কি পরিমাণ সময় অনাবৃত থাকলে  নামায  বাতিল হয়ে যাবে?

সুওয়াল: শরীরের যে সমস্ত অঙ্গ ঢেকে রাখা ফরজ, তার কতটুকু কি পরিমাণ সময় অনাবৃত থাকলে  নামায  বাতিল হয়ে যাবে?
জাওয়াব: নামাযের মধ্যে যে সমস্ত অঙ্গ বা স্থান ঢেকে রাখা ফরজ সে সকল স্থানের কিছু কিছু অনাবৃত হয়ে গেলে যদি সেই অনাবৃত স্থানের কয়েক অংশ মিলিত হয়ে উহাদের মধ্যে সবচেয়ে ছোট অঙ্গের এক চুতর্থাংশ হয় এবং তিন তছবীহ্ পরিমাণ সময় অনাবৃত থাকে, তাহলে  নামায  ফাসেদ হয়ে যাবে।
 (বিঃ দ্রঃ- কোন এক অঙ্গের এক চতুর্থাংশ স্থান তিন তসবীহ্ পরিমাণ সময় অনাবৃত থাকলেই  নামায  বাতিল হয়ে যাবে)
আবা-১২
১১৫ নং- সুওয়াল: গাউসিয়া মার্কেটে আমাদের একটি মহিলাদের পোশাক-আশাক বিক্রয়ের দোকান আছে। সেখানে পোশাক কেনার জন্য অনেক মহিলা এসে থাকে। তাদের অনেকেরই পর্দা থাকে না অথচ আমরা তাদের কাছে পোশাক বিক্রয় করে থাকি। আমাদের এই বিক্রয়লব্ধ অর্থ হালাল হবে কিনা?

সুওয়াল: গাউসিয়া মার্কেটে আমাদের একটি মহিলাদের পোশাক-আশাক বিক্রয়ের দোকান আছে। সেখানে পোশাক কেনার জন্য অনেক মহিলা এসে থাকে। তাদের অনেকেরই পর্দা থাকে না অথচ আমরা তাদের কাছে পোশাক বিক্রয় করে থাকি। আমাদের এই বিক্রয়লব্ধ অর্থ হালাল হবে কিনা?
জাওয়াব: আপনাদের দোকানের এই উপার্জিত আয় হালাল হবে। তবে মহিলাদের উচিত নয় দোকানে এসে মালামাল ক্রয় করা, কেননা এতে পর্দার খেলাফ হয়। সম্মানিত ইসলামী শরীয়ত উনার নির্দেশ মুবারক হলো- পুরুষগণই এসে সমস্ত যাবতীয় জিনিস খরিদ করবে। যদি কারো কোন পুরুষ লোক না থাকে, তবে সেই মহিলা যথাযথ পর্দা রক্ষা করে কেনা-কাটা করতে পারবে। আর যদি কেউ বেপর্দা হয়ে আসেই, তবে দোকানের কর্মচারীগণ নিজেরা সংযত হয়ে বেচা-কেনা করবেন। কেননা পুরুষদের জন্য হালাল কামাই করা ফরজ। কাজেই তাকে ব্যবসা, চাকরী বা অন্য কোন ব্যবস্থার মাধ্যমে হালাল কামাই করতে হবে।

আবা-১২
১১৪ নং- সুওয়াল: হযরত আবদুল কাদির জ্বিলানী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু এই নামটি অনেকে ব্যবহার করেন। অর্থাৎ (রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু) উনার নামের সাথে কি রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু এটা যুক্ত করা যাবে? অথবা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তার দ্বারা অন্য কোন ব্যাখ্যা আছে কিনা জানাবেন।

সুওয়াল: হযরত আবদুল কাদির জ্বিলানী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু এই নামটি অনেকে ব্যবহার করেন। অর্থাৎ (রাদিয়াল্লাহু তাআলা আনহু) উনার নামের সাথে কি রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু এটা যুক্ত করা যাবে? অথবা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তার দ্বারা অন্য কোন ব্যাখ্যা আছে কিনা জানাবেন।
 জাওয়াব: হ্যাঁ, মহান আল্লাহ পাক উনার উঁচুস্তরের ওলী হিসেবে উনাদের রদ্বিয়াল্লাহু তাআলা আনহু বলা যাবে। যেমন ইমাম মাহদী আলাইহিস সালাম বলা হয়। উনি মহান আল্লাহ পাক উনার ওলী, তবে উঁচুস্তরের বুযুর্গ হওয়ার কারণে এবং উনার মর্যাদা যথাযথভাবে প্রকাশ করার জন্য উনাকে আলাইহিস্ সালাম বলা হয়। তবে সাধারণ উসুল হলো  হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নাম মোবারক শুনলে দরূদ শরীফ ও সালাম বলতে হবে। নবী-রসূল আলাইহিস সালামগণ উনাদের নাম মোবারক শুনলে আলাইহিমু সালাম বলতে হবে। হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুগণ উনাদের নাম মুবারক শুনলে রদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বলতে হবে। আর আউলিয়ায়ে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিগণ উনাদের নাম মোবারক শুনলে রহমতুল্লাহি আলাইহি বলতে হবে। তবে জায়গা বিশেষে ব্যতিক্রম জায়েয হলেও ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামশুধুমাত্র নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নাম মোবারকের জন্যই খাছ।
আবা-১২
১১৩ নং- সুওয়াল: যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সহশিক্ষা ব্যবস্থা চালু আছে, সেখানে শিক্ষকতা করা কি?

সুওয়াল: যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সহশিক্ষা ব্যবস্থা চালু আছে, সেখানে শিক্ষকতা করা কি?  
জাওয়াব: যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছেলে-মেয়েদের পর্দা রক্ষা করে শিক্ষা দেয়া হয়, সে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষকতা করা জায়েয। আর যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পর্দা রক্ষা করে শিক্ষা দেয়া হয় না, সেখানে শিক্ষকতা করা হারাম। যেহেতু পর্দা রক্ষা করা ফরজ। অবশ্য একথা জেনে রাখা উচিত যে, কোন ব্যক্তি এমন কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে চাকরী নিয়েছে বা করছে, যেখানে পর্দা রক্ষা করা হয় না অথচ এটাই তার একমাত্র আয়ের উৎস অর্থাৎ এই আয়ের মাধ্যমেই তার পিতা-মাতা, ছেলে-মেয়ে, স্ত্রী, ভাই-বোন ইত্যাদি সকলেরই ভরণ-পোষণ করা হয়, এমতাবস্থায় মাজুর হিসেবে সেই প্রতিষ্ঠানে চাকরী করা তার জন্য মোবাহ্।
الضرو رات تبح المحظورات.
অর্থঃ- জরূরত হারামকে মোবাহ্ করে দেয়।      তবে অবশ্যই জরুরী যে, তাকে খালেছভাবে শরীয়তসম্মত পদ্ধতিতে আয় করার জন্য অন্যত্র কোশেশ অব্যাহত রাখতে হবে। আর শরীয়তসম্মত পদ্ধতিতে অন্য কোন আয়ের উৎস না হওয়া পর্যন্ত তাকে খালেছভাবে আল্লাহ পাক উনার নিকট ইস্তেগফার করতে হবে, যাতে মহান আল্লাহ পাক তাকে অন্য একটি শরীয়তসম্মত ব্যবস্থা শীঘ্রই করে দেন। যদি অন্য কোন শরীয়তসম্মত ব্যবস্থা হওয়ার পরেও সে গাফলতি করে পূর্বের চাকরীতে বহাল থাকে, তাহলে তার এই উপার্জিত আয় সম্পূর্ণরূপে হারাম হবে।
আবা-১২
১১২ নং-সুওয়াল: যদি কোন ব্যক্তি ইমাম সাহেবের পিছনে আলাদাভাবে ক্বিরাত পাঠ করে, তাহলে কি তার  নামায  ভঙ্গ হবে?

সুওয়াল: যদি কোন ব্যক্তি ইমাম সাহেবের পিছনে আলাদাভাবে ক্বিরাত পাঠ করে, তাহলে কি তার  নামায  ভঙ্গ হবে?
জাওয়াব: ইমাম সাহেবের পিছনে ক্বিরাত পড়া মাকরূহ্ তাহরীমী।
আবা-১২
১১১ নং- সুওয়াল: যদি কোন ব্যক্তি এক রাকায়াতে তিন সেজদা করে, তাহলে তার কি ফয়সালা?

সুওয়াল: যদি কোন ব্যক্তি এক রাকায়াতে তিন সেজদা করে, তাহলে তার কি ফয়সালা?
জাওয়াব: সাহু সেজদা ওয়াজিব হবে, সাহু সেজদা আদায় করলে  নামায  শুদ্ধ হয়ে যাবে।
আবা-১২
১১০ নং- সুওয়াল: হাল্কি নফল বলতে কি বুঝায়?

সুওয়াল: হাল্কি নফল বলতে কি বুঝায়?
জাওয়াব: বেতের নামাযের পরে যে দুরাকায়াত নফল  নামায পড়তে হয়, তাকে হাল্কি নফল বলে। এ দুরাকায়াত নফল নামায বসে পড়া সুন্নত ও ফযীলতের কারণ। অন্যান্য নফল নামায বসে পড়লে অর্ধেক সওয়াব, আর হাল্কি নফল বসে পড়লে সুন্নতের কারণে পূর্ণ সওয়াব।
আবা-১২