নফসের অনুসারী এবং মন্দ আমলের কারণে সকলের নিকট নিন্দনীয় হওয়া সত্ত্বেও মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদুল আইয়াদ শরীফ পালনকারী উনাকে ইন্তেকালের পর মহান আল্লাহ পাক উনার বিশেষ ওলী হিসেবে ঘোষণা এবং সম্মানিত জান্নাত মুবারক-এ বিশেষ সম্মান লাভ
উল্লেখ্য যে, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদুল আ'ইয়াদ শরীফ পালন করার বেমেছাল ফযীলত মুবারক সম্পর্কে বাস্তবেও অসংখ্য ঘটনা মুবারক বর্ণিত রয়েছেন। নিম্নে কয়েকখানা ঘটনা মুবারক উল্লেখ করা হলো

১) নফসের অনুসারী এবং মন্দ আমলের কারণে সকলের নিকট নিন্দনীয় হওয়া সত্ত্বেও মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদুল আ'ইয়াদ শরীফ পালনকারী উনাকে ইন্তেকালের পর মহান আল্লাহ পাক উনার বিশেষ ওলী হিসেবে ঘোষণা এবং সম্মানিত জান্নাত মুবারক-এ বিশেষ সম্মান লাভ

কিতাবে উল্লেখ রয়েছেন-
إنه كان في زمان أمير المؤمنين هارون الرشيد شاب في البصرة مشرف على نفسه وكان أهل البلد ينظرون إليه بعين التخفير لأجل أفعاله الخبيثة غير أنه كان إذا قدم شهر ربيع الأول غسل ثيابه وتعطر وتجمل وعمل وليمة واستقرا فيها مولد النبي صلى الله عليه وسلم ودام على هذا الحال زمانا طويلا ثم لما مات شمع أهل البلد هاتفا يقول أحضروا يا أهل البصرة واشهدوا جنازة ولي من أولياء الله فإنه عزيز عندي فحضر أهل البلد جنازته ودفنوه فراوة في المنام وهو يرفل في خلل سندس واستبرق فقيل له يم يلت هذه الفضيلة قال بتعظيم مولد النبي صلى الله عليه وسلم অর্থ: “কথিত খলীফা হারুনুর রশীদের যামানায় বছরা শহরে নফসের অনুসারী এক যুবক ছিলো। শহরের লোকেরা তার মন্দ কাজের জন্য তাকে ঘৃণার চোখে, অবজ্ঞার চোখে দেখতো। তবে যখনই সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিশ শুহুরিল আ'যম শরীফ (মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র রবীউল আউওয়াল শরীফ) মাস আগমন করতেন, তখনই এই যুবক উত্তমরূপে উনার কাপড় ধৌত করে সুগন্ধি ব্যবহার করে সুসজ্জিত হয়ে ওলীমা বা খাবারের মজলিস অর্থাৎ মেহমানদারীর ব্যবস্থা করতেন এবং সেখানে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মু'জিযাহ্ শরীফসমূহ, ঘটনা মুবারকসমূহ পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে আলোচনা করতেন, বিশ্লেষণ করতেন। আর তিনি এই সম্মানিত আমল মুবারক উনার মধ্যে দীর্ঘসময় লেগে থাকেন অর্থাৎ প্রতি বছর সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিশ শুহুরিল আ'যম শরীফ (মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র রবীউল আউওয়াল শরীফ) মাস আগমন করলেই তিনি এরূপ করতেন । সুবহানাল্লাহ! তারপর যখন তিনি ইন্তিকাল করেন, তখন শহরবাসীগণ গায়েবী আওয়াজ শুনতে পান যে, একজন ঘোষণাকারী বলছেন- “হে বছরার অধিবাসীগণ! আপনারা একত্রিত হয়ে মহান আল্লাহ পাক উনার ওলীগণ উনাদের মধ্য থেকে একজন বিশেষ ওলীআল্লাহ উনার জানাযায় উপস্থিত হোন । কেননা তিনি আমার কাছে অত্যন্ত প্রিয় ব্যক্তিত্ব মুবারক।' তখন শহরবাসীগণ উনার জানাযায় উপস্থিত হন এবং উনার দাফন সম্পন্ন করেন। তারপর শহরবাসীগণ স্বপ্নে দেখেন যে, সেই যুবক তিনি পাতলা এবং পুরু কারুকার্যপূর্ণ জান্নাতী রেশমী পোশাক পরে অত্যন্ত শান-শওকতের সাথে সম্মানিত জান্নাত মুবারক-এ বিচরণ করছেন। সুবহানাল্লাহ! তখন উনাকে জিজ্ঞাসা করা হলো ‘এই শ্রেষ্ঠত্ব-মর্যাদা আপনি কিভাবে লাভ করলেন?' তিনি বললেন, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদুল আ'ইয়াদ শরীফ উনাকেতা'যীম-তাকরীম, সম্মান প্রদর্শন করার মাধ্যমে।” সুবহানাল্লাহ! (ইয়ানাতুত ত্বালিবীন ৩/৪১৫, আশ্ শারফুল আমজাদ ২৫৬ নং পৃষ্ঠা)
#7RobiulAwalShareef
#12RobiulAwalShareef
#90DaysMahfil 
#RajarbagDorberShareef
sunnat.info
Sm40.com
ঈমানের সাথে ইন্তেকাল এবং বিনা  হিসেবে সম্মানিত জান্নাত মুবারক-এ প্রবেশ
ঈমানের সাথে ইন্তেকাল এবং বিনা  হিসেবে সম্মানিত জান্নাত মুবারক-এ প্রবেশ

এ সম্পর্কে ইমামুল আউয়াল সাইয়্যিদুনা হযরত কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহূ আলাইহিস সালাম তিনি বলেন,
من عظم مولد النبي صلى الله عليه وسلم وكان سببا لقرائته لا يخرج من الدنيا إلا

بالإيمان ويدخل الجنة بغير حساب

অর্থ: “যে ব্যক্তি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদুল আ'ইয়াদ শরীফ উনাকে সম্মান করবেন, মর্যাদা দিবেন এবং এই উদ্দেশ্যে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মীলাদ শরীফ অর্থাৎ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদুল আ'ইয়াদ শরীফ মাহফিল উনার ইন্তিজাম মুবারক করবেন, তিনি অবশ্যই সম্মানিত ঈমান নিয়ে দুনিয়া থেকে বিদায় নিবেন এবং বিনা হিসাবে সম্মানিত জান্নাত মুবারক-এ প্রবেশ করবেন।” সুবহানাল্লাহ! (আন নি'মাতুল কুবরা আলাল আলাম ৬ নং পৃষ্ঠা, নাফহাতুল আম্বরিয়া ৮ নং পৃষ্ঠা, মাদারিজুস সউদ, তালহীনুছ ছাননাজ ইত্যাদি)
#7RobiulAwalShareef
#12RobiulAwalShareef
#90DaysMahfil 
#RajarbagDorberShareef
sunnat.info
Sm40.com
সত্য স্বপ্নকে বিশ্বাস না করা কুফুরি

মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছেন,

عَنْ  حضرت أَبِي سَعِيدٍ الخُدْرِيِّ رضى الله تعالى عنه سَمِعَ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ مَنْ رَآنِي فَقَدْ رَأَى الحَقَّ، فَإِنَّ الشَّيْطَانَ لاَ يَتَكَوَّنُنِي

অর্থ: “হযরত আবূ সাঈদ খুদরী রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে ইরশাদ মুবারক করতে শুনেছেন, যে ব্যক্তি আমাকে স্বপ্ন দেখলো, অবশ্যই সে সঠিকই দেখলো। কেননা নিশ্চয়ই শয়তান আমার আকৃতি মুবারক ধারণ করতে পারেনা।” (বুখারী শরীফ, আল আহকামুশ শরইয়্যাহ ৪/২৬১, আল মুখতাছারুন নাছীহ ৩/৩৫৮)

মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে আরো ইরশাদ মুবারক হয়েছেন,

 عن حضرت عبد الرحمن بن عائذ رضى الله تعالى عنه قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم من لم يؤمن بالرؤيا الصادقة فإنه لم يؤمن بالله ورسوله. 

  অর্থ: “হযরত আব্দুর রহমান ইবনে আয়িয রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, যে ব্যক্তি সত্য স্বপ্নকে বিশ্বাস করে না, নিশ্চয়ই সে মহান আল্লাহ পাক উনাকে এবং উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে অর্থাৎ উনাদেরকেও বিশ্বাস করে না অর্থাৎ সে অমুসলিম বা কাফির।” (জামিউল আহাদীছ, কিরমানী, কানযুল উম্মাল, দায়লামী শরীফ ইত্যাদি)

কিতাবে বর্ণিত রয়েছেন-
 শাযালী ত্বরীক্বার সম্মানিত ইমাম, আওলাদে রসূল হযরত শায়খ আবুল মাওয়াহেব শাযালী রহমাতুল্লাহি আলাইহি (বিলাদত শরীফ ৫৭১ হিজরী শরীফ) তিনি বলেন, “আমি সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিয়্যীন, মহাসম্মানিত হাবীব ও মাহবূব, নূরে মুজাস্সাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে প্রায়ই স্বপ্নে দেখি এবং উনার নিকট থেকে সরাসরি নির্দেশপ্রাপ্ত হই। এ ব্যাপারে কেউ কেউ সন্দেহ পোষণ করতো। না‘ঊযুবিল্লাহ! এমন কি আমাকে মিথ্যাবাদী সাব্যস্ত করারও চেষ্ঠা করতো। না‘ঊযুবিল্লাহ! এ সম্পর্কেই একবার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব মাহবূব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি আমাকে বললেন, আমি আমার উম্মতের মধ্য থেকে প্রিয়জনদের সাক্ষাৎ দান করে থাকি এবং তারা আমার নিকট থেকে বিভিন্ন বিষয়ে ইলিমও অর্জন করে থাকে। এ সত্য যে ব্যক্তি অস্বীকার করে, সে ইহুদী বা নাসারাদের ন্যায় মৃত্যু বরণ করবে।” না‘ঊযুবিল্লাহ! (নে’মাতে উয্মা)

এ বিষয়ে আরো অসংখ্য দলীল-প্রমান মওজুদ রয়েছেন। অতিসত্ত্বর এ বিষয়ে বিস্তারিত দলীল-আদিল্লাহসহ রেসালা শরীফ প্রকাশিত হবেন। ইনশাআল্লাহ!
افضل العبادة والاعمال سيد سيد الاعياد شريف (1)
افضل العبادة والاعمال سيد سيد الاعياد شريف (1) 

قال الله تعالى فى القران الكريم {قُلْ بِفَضْلِ اللَّهِ وَبِرَحْمَتِهِ فَبِذَلِكَ فَلْيَفْرَحُوا هُوَ خَيْرٌ مِمَّا يَجْمَعُونَ} [يونس: 58] وقال تعالى ايضا { إِنَّ اللَّهَ وَمَلَائِكَتَهُ يُصَلُّونَ عَلَى النَّبِيِّ يَاأَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا صَلُّوا عَلَيْهِ وَسَلِّمُوا تَسْلِيمًا } [الأحزاب: 56] 
قال حضرت أبو بكر (المشهور بالبكري) عثمان بن محمد شطا الدمياطي الشافعي رحمة الله عليه (المتوفى: 1310هـ) فى كتابه "إعانة الطالبين على حل ألفاظ فتح المعين `3/ 415  -(وحكي) أنه كان في زمان أمير المؤمنين هارون الرشيد شاب في البصرة مسرف على نفسه وكان أهل البلد ينظرون إليه بعين التحقير لأجل أفعاله الخبيثة، غير أنه كان إذا قدم شهر ربيع الأول غسل ثيابه وتعطر وتجمل وعمل وليمة واستقرأ فيها مولد النبي - صلى الله عليه وسلم - ودام على هذا الحال زمانا طويلا، ثم لما مات سمع أهل البلد هاتفا يقول: احضروا يا أهل البصرة واشهدوا جنازة ولي من أولياء الله فإنه عزيز عندي، فحضر أهل البلد جنازته ودفنوه، فرأوه في المنام وهو يرفل في حلل سندس واستبرق، فقيل له بم نلت هذه الفضيلة؟ قال بتعظيم مولد النبي - صلى الله عليه وسلم -. 
(وحكي) أنه كان في زمان الخليفة عبد الملك بن مروان شاب حسن الصورة في الشام، وكان يلهو بركوب الخيل فبينما هو ذات يوم على ظهر حصانه إذ أجفل الحصان وحمله في سكك الشام ولم يكن له قدرة على منعه فوقع طريقه على باب الخليفة فصادف ولده ولم يقدر الولد على رد الحصان فصدمه بالفرس وقتله، فوصل الخبر إلى الخليفة فأمر بإحضاره، فلما أن أشرف إليه خطر على باله أن قال إن خلصني الله تعالى من هذه الواقعة أعمل وليمة عظيمة وأستقرئ فيها مولد النبي - صلى الله عليه وسلم - فلما حضر قدامه ونظر إليه ضحك بعدما كان يخنقه الغضب، فقال: يا هذا أتحسن السحر؟ قال لا والله يا أمير المؤمنين. فقال عفوت عنك، ولكن قل لي ماذا قلت؟ قال: قلت إن خلصني الله تعالى من هذه الواقعة الجسيمة أعمل له وليمة لأجل مولد النبي - صلى الله عليه وسلم -.فقال الخليفة قد عفوت عنك، وهذه ألف دينار لأجل مولد النبي - صلى الله عليه وسلم -، وأنت في حل من دم ولدي. فخرج الشاب وعفى عن القصاص وأخذ ألف دينار ببركة مولد النبي - صلى الله عليه وسلم -. 
وإنما أطلت الكلام في ذلك لأجل أن يعتني ويرغب جميع الإخوان، في قراءة مولد سيد ولد عدنان، لأن من لأجله خلقت الأرواح والأجسام، بحق أن يهدى له الروح والمال والطعام. وفقنا الله وإياكم لقراءة مولد نبيه الكريم (سيد سيد الاعياد شريف) على الدوام، وإنفاق المال لأجله في سائر الأوقات والأيام آمين

#7RobiulAwalShareef
#12RobiulAwalShareef
#90DaysMahfil 
#RajarbagDorberShareef
sunnat.info
Sm40.com
মা'ছূম হওয়া, রহমতের সমস্ত দরজা খুলে যাওয়া, শাফায়াত মুবারক লাভ এবং হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তা'য়ালা আনহুম উনাদের অনুরূপ নাজাত লাভ করা

৮. মা'ছূম হওয়া, রহমতের সমস্ত দরজা খুলে যাওয়া, শাফায়াত মুবারক লাভ এবং হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তা'য়ালা আনহুম উনাদের অনুরূপ নাজাত লাভ করা

মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছেন
 عن حضرت أبي الدرداء رضي الله تعالى عنه أنه مر مع النبي صلى الله عليه وسلم إلى بيت حضرت عامر الأنصاري رضي الله تعالى عنه وكان يعلم وقائع ولادته صلى الله عليه وسلم لأبنائه وعشيرته ويقول هذا اليوم لهذا اليوم فقال عليه الصلوة والسّلام إن الله فتح لك أبواب الرحمة والملائكة كلهم يستغفرون لك من فعل

فعلك تجي تجتك 
অর্থ: “হযরত আবূ দারদা রদ্বিয়াল্লাহু তা'য়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত রয়েছেন যে, একবার তিনি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে হযরত আমের আনছারী রদ্বিয়াল্লাহু তা'য়ালা আনহু উনার বাড়িতে উপস্থিত হয়ে দেখতে পেলেন যে, তিনি উনার সন্তানাদি এবং আত্মীয়-স্বজন, জ্ঞাতি-গোষ্ঠী, পাড়া-প্রতিবেশী উনাদেরকে নিয়ে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ সম্পর্কিত মহাসম্মানিত ঘটনা মুবারকসমূহ শুনাচ্ছেন এবং বলছেন, এই দিবস; এই দিবস (অর্থাৎ এই দিবসে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি যমীনে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র তাশরীফ মুবারক এনেছেন এবং ইত্যাদি ইত্যাদি ঘটনা ঘটেছেন। এই মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মজলিস মুবারক দেখে এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ছানা-ছিফত মুবারক শুনে অর্থাৎ সাইয়্যিদুল আ'ইয়াদ শরীফ পালন দেখে) নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক তিনি সম্মানিত রহমত মুবারক উনার সমস্ত দরজা মুবারকসমূহ আপনার জন্য উম্মুক্ত করে দিয়েছেন এবং সমস্ত হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনারা আপনার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করছেন এবং যে কেউ আপনার মত এরূপ কাজ করবেন, তিনিও আপনার মত নাজাত (ফযীলত মুবারক) লাভ করবেন।” সুবহানাল্লাহ! (আত তানউইর ফী মাওলিদিল বাশীর ওয়ান নাযীর,
মাওলূদুল কাবীর, দুররুল মুনাযযাম, ইশবাউল কালাম, হাক্বীক্বতে মুহম্মদী মীলাদে আহমদী)

মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে আরো ইরশাদ মুবারক

হয়েছেন

عن حضرت ابن عباس رضی الله تعالى عنه أنه كان يحدث ذات يوم في بيته وقائع ولادته صلى الله عليه وسلم يقوم فيستبشرون ويحمدون الله ويصلون عليه صلى الله عليه وسلم فإذا جاء النبي صلى الله عليه وسلم قال خلت لكم شفاعتي

অর্থ: “হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তা'য়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত আছে যে, একবার তিনি উনার বাড়িতে সমবেত হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তা'য়ালা আনহুম উনাদেরকে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ সম্পর্কিত মহাসম্মানিত ঘটনা মুবারকসমূহ শুনাচ্ছিলেন। এতে শ্রবণকারী উনারা আনন্দ ও খুশি প্রকাশ করছিলেন এবং মহান আল্লাহ পাক উনার প্রশংসা অর্থাৎ তাসবীহ-তাহলীল মুবারক পাঠ করছিলেন এবং নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি সম্মানিত ছলাত মুবারক পাঠ করছিলেন। এমন সময় নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সেখানে সম্মানিত তাশরীফ মুবারক নেন এবং (উনাদের এই সম্মানিত আমল মুবারক দেখে অর্থাৎ সাইয়্যিদুল আ'ইয়াদ শরীফ পালন দেখে তিনি) ইরশাদ মুবারক করেন, আপনাদের জন্য আমার সম্মানিত শাফা'আত মুবারক ওয়াজিব।” সুবহানাল্লাহ! (আত তানউইর ফী মাওলিদিল বাশীর ওয়ান নাযীর, মাওলুদুল কাবীর, দুররুল মুনাযযাম, সুবুলুল হুদা ফী মাওলিদিল মুস্তফা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ইশবাউল কালাম, হাক্বীক্বতে মুহম্মদী মীলাদে আহমদী)

মূলত, কোনো ব্যক্তি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আলোচনা মুবারক করার নিয়ত করলেই, আলোচনা মুবারক শুরু করার আগেই তার সমস্ত গুনাহ্-খতাগুলো মাফ করা হয়, তারপর তার দ্বারা নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আলোচনা মুবারক করানো হয়। সে মা'ছুম অবস্থায় উনার আলোচনা মুবারক করে। সুবহানাল্লাহ!

কাজেই, যাঁরা মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদুল আ'ইয়াদ শরীফ পালন করেন, উনারা মা'ছূম হয়ে যান। উনাদের জন্য সম্মানিত রহমত মুবারক উনার সমস্ত দরজাগুলো খুলে দেয়া হয় এবং উনারা নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত শাফায়াত মুবারক লাভ করবেন অর্থাৎ উনাদের জন্য শাফায়াত মুবারক ওয়াজিব করে দেয়া হয় । এবং হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তা'য়ালা আনহুম উনাদের অনুরূপ নাজাত লাভ করবেন, ফযীলত মুবারক লাভ করবেন । সুবহানাল্লাহ! হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তা'য়ালা আনহুম উনারা যেমন বিনা হিসেবে সম্মানিত জান্নাত মুবারক-এ প্রবেশ করবেন, ঠিক তেমনিভাবে যাঁরা মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদুল আ'ইয়াদ শরীফ পালন করবেন, উনারাও বিনা হিসেবে সম্মানিত জান্নাত মুবারক-এ প্রবেশ করবেন। সুবহানাল্লাহ!
#7RobiulAwalShareef
#12RobiulAwalShareef
#90DaysMahfil 
#RajarbagDorberShareef
sunnat.info
Sm40.com