সিয়া সিত্তার বাইরে আরো অর্ধশত হাদীস শরীফের কিতাবের নাম

সিয়া সিত্তার বাইরে আরো অর্ধশত হাদীস শরীফের কিতাবের নাম

এখনকার সময়ের মানুষের জন্য আফসোস তারা তারা পবিত্র হাদীস শরীফ সম্পর্কে জানে না। আর বিশেষ করে ওহাবী সম্প্রদায়ের অপপ্রচারের ফলে মানুষের অজ্ঞতা আরো বৃদ্ধি পেয়েছে। তারা প্রচার করে থাকে সিয়া ছিত্তার বাইরে আর কোন হাদীস শরীফ নেই। নাউযুবিল্লাহ!!
মূলতঃ সিয়া ছিত্তার বাইরেও অসংখ্য সহীহ হাদীসের কিতাব রয়েছে। এ প্রসঙ্গে বিখ্যাত মুহাদ্দিস ইমাম নববী রহমাতুল্লাহি আলাইহি , ইবনুস সালাহ রহমাতুল্লাহি আলাইহি , হযরত শাহ আব্দুল আযীয মুহাদ্দিস দেহলবী রহমাতুল্লাহি আলাইহি প্রমূখ বিখ্যাত হাদীস শরীফ বিশারদগন বলেন, সিয়া ছিত্তা ছাড়াও আরো ৫০ এরও বেশি সহীহ হাদীস শরীফের কিতাব আছে।
নিম্নে এর কতিপয় কিতাবের নাম মুবারক উল্লেখ করা হলো-
(১) মুসনাদুল ইমাম আবু হানীফা।
বিলাদাত- ৮০ হিজরী, ওফাত- ১৫০ হিজরী।
(২) আল মুয়াত্তা লি ইমাম মালেক।
জন্ম- ৯৫ হিজরী, ওফাত- ১৭৯ হিজরী।
(৩) আল মুয়াত্তা লি ইমাম মুহম্মদ ।
জন্ম- ১৩৫ হিজরী, ওফাত- ১৮৯ হিজরী।
(৪) আল মুছান্নাফ লি আব্দুর রাজ্জাক।
জন্ম- ১২০/১২৬ হিজরী, ওফাত- ২১১ হিজরী।
(৫) মুসনদে আহমদ বিন হাম্বল।
জন্ম- ১৬৪ হিজরী, ওফাত- ২৪১ হিজরী।
(৬) মুসনাদুত তায়লাসী।
জন্ম-___, ওফাত- ২০৪ হিজরী।
(৭) কিতাবুল আছার লি ইমাম আবু ইউছুফ।
জন্ম- ১১৩ হিজরী, ওফাত- ১৮২ হিজরী।
(৮) মুসনাদুল হুমায়দী।
জন্ম-____ , ওফাত- ২১৯ হিজরী।
(৯) মুছান্নাফে ইবনে আবী শায়বাহ।
জন্ম- ১৫৯ হিজরী, ওফাত- ২৩৫ হিজরী।
(১০) আল জামিউল মুসনাদুছ ছহীহুল মুখতাছারু মিন উমুরি রসূলিল্লাহি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ওয়া সুনানিহী ওয়া আইয়ামিহী ( বুখারী শরীফ)
জন্ম- ১৯৪ হিজরী, ওফাত- ২৫৬ হিজরী।
(১১) আছ ছহীহুল মুসলিম ।
জন্ম- ২০৪ হিজরী, ওফাত- ২৬১ হিজরী।
(১২) সুনানু আবু দাউদ।
জন্ম- ২০২ হিজরী, ওফাত- ২৭৫ হিজরী।
(১৩) আল জামিউ ওয়াস সুনানুত তিরমিযী।
জন্ম- ২১০ হিজরী, ওফাত ২৭৯ হিজরী।
(১৪) সুনানুন নাসায়ী।
জন্ম- ২১৫ হিজরী, ওফাত- ৩০৩ হিজরী।
(১৫) সুনানু ইবনে মাজাহ।
জন্ম- ২০৯ হিজরী, ওফাত- ২৭৩ হিজরী।
(১৬) সুনানুদ দারিমী।
জন্ম- ১৮১ হিজরী, ওফাত- ২৫৫ হিজরী।
(১৭) মুসনাদুল বাযযার
জন্ম-_____ , ওফাত- ২৯২ হিজরী।
(১৮) শরহু মা’আনিল আছার (ত্বাহাবী শরীফ)
জন্ম- ২২৯ হিজরী, ওফাত- ৩২১ হিজরী।
(১৯) ছহীহ ইবনে হিব্বান।
জন্ম- ৩৫৪ হিজরী, ওফাত- ৪৬৫ হিজরী।
(২০) মাছাবিহুস সুন্নাহ ও মিশকাত।
জন্ম- ৪৩৬ হিজরী, ওফাত- ৫১৬ হিজরী।
(২১) আল মু’জামুছ ছগীর লিত তাবরানী।
জন্ম- ২৬০ হিজরী, ওফাত- ৩৬০ হিজরী।
(২২) আল মু’জামুল আওসাত লিত ত্বাবরানী।
জন্ম- ২৬০ হিজরী, ওফাত- ৩৬০ হিজরী।
(২৩) আল মু’জামুল কবীর লিত তাবরানী।
জন্ম- ২৬০ হিজরী, ওফাত- ৩৬০ হিজরী।
(২৪) আল মুস্তাদরাক আলাছ ছহীহাইন।
জন্ম- ৩২১ হিজরী, ওফাত- ৪৫০ হিজরী।
(২৫) ছহীহ ইবনু খুযাইমাহ।
জন্ম- ২২৩ হিজরী, ওফাত- ৩১১ হিজরী।
(২৬) আস সুনানুল কুবরা লিল বাইহাক্বী।
জন্ম- ৩৮৪ হিজরী, ওফাত- ৪৫৮ হিজরী।
(২৭) আস সুনানুছ ছগীর লিল বাইহাক্বী।
জন্ম- ৩৮৪ হিজরী, ওফাত- ৪৫৮ হিজরী।
(২৮) শুয়াইবুল ঈমান লিল বাইহাক্বী।
জন্ম- ৩৮৪ হিজরী, ওফাত- ৪৫৮ হিজরী।
(২৯) মা’রিফাতুস সুনান ওয়াল আছার লিল বাইহাক্বী।
জন্ম- ৩৮৪ হিজরী, ওফাত- ৩৫৮ হিজরী।
(৩০) শরহুস সুন্নাহ লিল বাগবী।
জন্ম- ৪৩৬ হিজরী, ওফাত- ৫১৬ হিজরী।
(৩১) মা’রিফাতুছ ছাহাবা লি আবী নুয়াইম।
জন্ম- ৩৩৬ হিজরী, ৪৩০ হিজরী।
(৩২) জামিউল আহাদীস লিছ সূয়ুতি।
জন্ম- ৮৪৯ হিজরী, ওফাত- ৯১১ হিজরী।
(৩৩) গায়াতুল মাক্বছাদ ফী যাওয়ায়িদিল মুসনাদ।
জন্ম- ৭৩৫, ওফাত- ৮০৭ হিজরী।
(৩৪) কানযুল উম্মাল।
জন্ম-_____ , ওফাত- ৯৭৫ হিজরী।
(৩৫) আখবারু মক্কতা লি আযরাক্বী।
(৩৬) ছহীহ ইবনে ওয়ায়না।
(৩৭) সহীহ ইবনুস সাকান।
(৩৮) সহীহ মোন্তাকা।
(৩৯) মুখতাসা রেজিয়াহ।
(৪০) সহীহ যুরকানী।
(৪১) সহীহ ইসফেহানী।
(৪২) সহীহ ইসমাঈলী।
(৪৩) কিতাবুল খেরাজ।
(৪৪) কিতাবুল হেজাজ।
(৪৫) কিতাবুল আ’মলী।
(৪৬) মুসনাদে শাফেয়ী।
(৪৭) মুসনাদে আবু ইয়ালা।
(৪৮) মুসনাদে দারে কুতনী।
(৪৯) কিতাবুল ই’তিকাদ।
(৫০) কিতাবুদ দোয়া।
(৫১) মুসনাদে হারেস ইবনে উমামা।
(৫২) মুসনাদে বাজ্জার।
(৫৩) সুনানে সাঈদ ইবনে মনছুর।
(৫৪) সুনানে আবী মুসলিম।
(৫৫) শিফা শরীফ।
(৫৬) আল হুলইয়া।
(৫৭) তাহযীবুল আছার।
(৫৮) আল মুখতারা।
(৫৯) জামিউল মাসানিদ ওয়াস সুনান
(((( রহমাতুল্লাহি আলাইহিম )))
এছাড়াও আরো অসংখ্য অগনিত সহীহ হাদীস শরীফের কিতাব রয়েছে। সুবহানাল্লাহ্!
মুলত হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম দুনিয়াতে তাশরীফ মুবারক হতে শুরু করে বিছাল শরীফ পর্যন্ত অর্থাৎ ৬৩ বছর পর্যন্ত যত কথা, কাজ, সম্মতি প্রকাশ করেছেন সবই পবিত্র হাদীস শরীফের অন্তর্গত। কিন্তু উছুল অনুযায়ী যদি ৪০ বছর মুবারক থেকে ৬৩ বছর মুবারক পর্যন্ত ২৩ বছরও যদি ধরি, এই ২৩ বছরে যত কথা, কাজ, সম্মতি প্রদান করেছেন সবই হাদীস শরীফ।
অংক করে দেখুন,
২৩×৩৬৫= ৮৩৯৫ দিন।
আবার, ৮৩৯৫×২৪= ২০১৪৮০ ঘন্টা।
আবার, ২০১৪৮০×৬০= ১২০৮৮৮০০ মিনিট।
অর্থাৎ মিনিটে হিসাব করলেও এক কোটি বিশ লক্ষ আটাশি হাজার আটশত মিনিট।
এখন সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতিটা কওল, ফেল, তাকরীর সবই যদি হাদীস শরীফ হয় চিন্তা এবং ফিকিরের বিষয় ২৩ বছরে কতগুলো হাদীস শরীফ হবে।
অথচ আজকাল কিছু ওহাবী খারেজীরা বলে বুখারী মুসলিম ছাড়া আর কিছু মানি না। নাউযুবিল্লাহ!!
তাদের কাছে প্রশ্ন তবে কি হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ২৩ বছরে মাত্র দশ হাজার কওল (কথা), ফেল (কাজ), তাকরীর( মৌন সম্মতি) করেছেন ?
বিবেক বোধ কি কিছু আছে নাকি নষ্ট হয়ে গেছে ???
এই কিতাবের তালিকাই দেখুন। ওহাবীরা এর কয়টা নাম জানে ? এসব কিতাব কি তারা কখনো দেখেছে না গবেষনা করেছে ?
এসব কিতাব দেখাতো দূরের কথা তারা মূল আরবি বুখারী শরীফ মুসলিম শরীফই চোখে দেখে নাই। শুধু বুখারী শরীফ পড়তেই এদের সারা জীবন লেগে যাবে আর এসকল কিতাব যাচাই করবে কখন? উক্ত তালিকায় এমনও অনেক কিতাব আছে যার এক একটাতেই ২০-৫০ হাজারেরও বেশি হাদীস শরীফ আছে।কয়টা তারা পড়েছে? কয়টার রাবির জীবনি সম্পর্কে ধারনা আছে? কোন যোগ্যতায় তারা হাদীস অস্বীকার করে?
এসকল কুয়ার ব্যঙ ওহাবীরা কোন লেখাপড়া না করেই ফতোয়বাজি করে।
সৌদি আরবে ১২ রবিউল আউয়ালকে রাষ্ট্রীয় ছুটি ঘোষণা
সৌদি আরবে প্রথম বারের মতো পবিত্র ১২ রবিউল আউয়াল উপলক্ষে রাষ্ট্রীয় ছুটি ঘোষণা করেছেন বাদশাহ সালমান। চন্দ্র মাসের হিসাব অনুযায়ী আগামী ৩০ নভেম্বর ২০১৭ সৌদি আরবে পবিত্র ১২ রবিউল আউয়াল। ওই দিন বৃহস্পতিবার হওয়ায় সাপ্তাহিক দুই দিন ছুটিসহ মোট তিন দিন ছুটি পাবেন সেখানকার সরকারী-বেসরকারী কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।
সৌদি আরবের 'আল-আরব আল-ইয়াওম' পত্রিকা ও 'সৌদি ৩৬৫ ডটকম'  এ সংবাদ প্রকাশ করেছে। ইসলামের ইতিহাসে পবিত্র ১২ রবিউল আউয়াল অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ দিন। প্রসিদ্ধ অভিমত অনুযায়ী, এই দিনে মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) সৌদি আরবের মক্কা নগরীর কোরাইশ বংশে জন্মগ্রহণ করেছেন। এবং এই দিনেই তিনি ওফাত লাভ করেছেন। 
এই দিনে বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন মুসলিম দেশে সরকারীভাবে ছুটি থাকলেও সৌদি আরবে আগে তা ছিল না। এই প্রথম এই দিনের গুরুত্ব তুলে ধরার জন্য সৌদি সরকার ছুটি ঘোষণা করেছে। বিষয়টাকে সৌদি আরবের সাম্প্রতিক পরিবর্তনের অংশ হিসেবে দেখছেন বিশেষজ্ঞরা।
উল্লেখ্য, ২০১৫ সালে প্রকাশিত এক ফতোয়ায় সৌদি আরবের গ্রান্ড মুফতি আবদুল আজিজ বিন বায পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উদযাপন বিদআত হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। লিংক: https://tinyurl.com/yaxtcvh8
বিরোধীতাকারীদের মুরুব্বীদের কিতাব থেকে ঈদে মীলাদুন্নবীর দলীল

বিরোধীতাকারীদের মুরুব্বীদের কিতাব থেকে ঈদে মীলাদুন্নবীর দলীল


দেওবন্দী, তাবলীগি কওমীদের  চাইতে বড় ভন্ড মুনাফিক দুনিয়ায় আছে কিনা সন্দেহ আছে। আমারা যে আমল গুলো করলে তারা শিরক- বিদয়াতের গরম ফতোয়া দেয়, সে কাজগুলো তাদের মুরুব্বীরা করলো সম্পূর্ণ নিশ্চুপ থাকে। নবীজী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আশেকগনের বৈশিষ্ট্য হচ্ছে, উনারা মীলাদ শরীফ এবং ক্বিয়াম শরীফ করে থাকেন। অথচ দেওবন্দী – তাবলীগি- কওমী খারেজীরা এইটাকে সরাসরি বিদয়াত, কুফরী, শিরিক ফতোয়া দিয়ে থাকে।

অথচ, এই দেওবন্দী তাবলীগি দের মুরুব্বীরা ও মান্যবররা এই মীলাদ শরীফ এবং ক্বিয়াম শরীফকে জায়েজ বলেই ফতোয়া প্রদান করেছে এবং পালনও করেছে । তাদের ব্যাপারে দেওবন্দীদের ফতোয়ার ছুরি চলে না কেন?
আসুন তাদের কিতাব থেকেই দলীল প্রদান করি —

ইবনে তাইমিয়ার “ইক্বতিদ্বাউছ্ ছিরাতিল মুস্তাক্বিম” নামক কিতাবে উল্লেখ আছে,
وكذلك ما يحدثه بعض الناس اما مضاهاة للنصارى فى ميلاد عيسى عليهالسلام واما محبة للنبى صلى الله عليه وسلم وتعظيما له والله قد يثيبهم علىهذه المحبة والاجتهاد.
অর্থাৎ- “কতক লোকের (অশুদ্ধ) বর্ণনা হচ্ছে যে, নাছারাদের দ্বারা হযরত ঈসা রুহুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার বিলাদত দিবস পালনের অনুসরণে পবিত্র মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করা হয়ে থাকে। প্রকৃতপক্ষে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মুহব্বত ও সম্মান প্রদর্শনের জন্য পবিত্র মীলাদ শরীফ করা হয়ে থাকে। আর এ মুহব্বত ও সম্মান প্রদর্শনের কারণে মহান আল্লাহ পাক তিনি অবশ্যই ছওয়াব প্রদান করবেন।” 

উক্ত কিতাবে আরো উল্লেখ আছে,
فتعظيم المولد واتخاذه موسما قد يفعله بعض الناس ويكون له فيه اجرعظيم لحسن قصدة وتعظيمة لرسول الله صلى الله عليه وسلم.

অর্থ: “বরং ঐ দিনে (নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মুবারক আগমনের দিনে) পরিপূর্ণরূপে অনুষ্ঠান করা এবং এ দিনের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করা, উত্তম নিয়ত এবং নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি সম্মান প্রদর্শন করার কারণে বিরাট প্রতিদান লাভ করবে।” সুবহানাল্লাহ! 

আশরাফ আলী থানবী , রশিদ আহমদ গাঙ্গুহী, সহ সকল উলামায়ে দেওবন্দীদের পীর শায়েখে আরব ওয়াল আযম ,হাজী এমদাদুল্লাহ মুহাজির মক্কী রহমাতুল্লাহি আলাইহি তাঁর কিতাবে বর্ননা করেন –
مولود شريف كو ذريعه بركلت سمجه كر هر سال منعقد كرتاهون اورقيامكے وقت بے حد لطف ولذت پاتاهوی
অর্থ- মীলাদ শরীফের মাহফিলকে বরকত লাভের উসিলা মনে করে আমি প্রতি বছর মীলাদ শরীফ এর মজলিস করি এবং মীলাদ মাহফিলে ক্বিয়াম শরীফ করার সময় আমি অশেষ আনন্দ ও স্বাদ উপভোগ করি।”(দলীল  ফয়সালায়ে হাফতে মাসায়লা পৃষ্ঠা ৫)

হাজী এমদাদুল্লাহ মুহাজিরে মক্কী রহমাতুল্লাহি আলাইহি উনার অন্য কিতাবে বলেন —
” আমাদের আলেমগন (দেওবন্দী) মীলাদ শরীফের বিষয়ে খুবই বিরোধ করছে। তবু আমি ক্বিয়াম শরীফ জায়েজ পন্থি আলেমগনের পক্ষেই গেলাম। যখন ক্বিয়াম শরীফ জায়েজ হওয়ার দলীল মওজুদ আছে , তখন কেন এতো বাড়াবড়ি করা হচ্ছে ? আমাদের জন্য তো মক্কা শরীফ মদীনা শরীফের অনুকরনই যথেষ্ট।অবশ্য ক্বিয়ামের সময় জন্মের এতেকাদ না রাখা চাই। যদি ( মাহফিলে) হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আগমনের বিষয়ে বিশ্বাস করা হয় , এতে কোন অসুবিধা নাই। কেননা আলমে খালক এবং কালের সাথে সম্পৃক্ত , এবং আলমে আমর উভয়বিধ অবস্থা থেকে পবিত্র । সূতরাং হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মীলাদ মাহফিলে আগমন করা উনার পবিত্র জাত মুবরকের জন্য অসম্ভব নয় !” (শামায়েলে এমদাদীয়া ৮ পৃষ্ঠা)


হযরত মাওলানা আব্দুল হাই লাখনবী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি উনার “মাজমুয়ায়ে ফতওয়া” কিতাবের মধ্যে লিখেন-


جو لوگ میلاد کی محفل کو بدعت مذ مومہ کھتے ہے خلاف شرعکہتے ہے جس زمانہ میں بطرز مندوب محفل میلاد  کی جائے باعثثواب ہے اور حرمیں بصرہ سشام یمن اور دوسرے ممالک کے لوگبہی ربیع الاول کا چاند دیکہ کر خوشی اور محفل میلاد اور کار خیرکرتے ہیں قرائت اور سماعت میلاد میں اہتمام کرتے ہیں اور ربیعالاول کے علاوہ دوسرے مھینوں میں بہی ان ممالک میں محفل میلادہوتی ہیں  اور یہ اعتقاد نہ کرنا چاہئے  کہ ربیع الاول میں میلاد شریفکیا جائیگا تو ثواب ملیگا ورنہ نہیں.



অর্থ: “যে ব্যক্তি পবিত্র মীলাদ শরীফ উনার মাহফিলকে নিন্দনীয় বিদয়াত বললো, সে নিশ্চয়ই সম্মানিত শরীয়ত উনার বিরোধী কথাই বললো। যে যুগে উত্তম তরতীব অনুযায়ী পবিত্র মীলাদ শরীফ মাহফিল অনুষ্ঠান করা হবে, তা পুণ্যের মাধ্যম নিশ্চয়ই। পবিত্র হারামাইন শরীফাইন অর্থাৎ পবিত্র মক্কা শরীফ ও পবিত্র মদীনা শরীফ, বছরা, সিরিয়া ইয়ামেনসহ অন্যান্য দেশসমূহে পবিত্র রবীউল আউওয়াল শরীফ মাস উনার চাঁদ দেখে আনন্দ প্রকাশে পবিত্র মীলাদ শরীফ মাহফিলের অনুষ্ঠান ও অন্যান্য পুণ্যময় কাজকর্ম সম্পাদন করে থাকেন, পবিত্র মীলাদ শরীফ পড়া ও ঐ সব ঘটনাবলীর শ্রবণকে খুবই গুরুত্ব দিয়ে থাকেন। এসব দেশে পবিত্র রবীউল আউওয়াল শরীফ ছাড়া অন্যান্য মাসেও পবিত্র মীলাদ শরীফ উনার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। শুধু পবিত্র রবীউল আউওয়াল শরীফ মাসে পবিত্র মীলাদ শরীফ উনার অনুষ্ঠান করলে ছাওয়াব মিলে, অন্যথায় ছওয়াব মিলে না- একরম বিশ্বাস রাখা ঠিক নয়।”


দেওবন্দ মাদরাসার প্রতিষ্ঠাতা কাসেম নানুতবী-এর জামাতা মালানা আব্দুল্লাহ ছাহেব “দুররুল মুনাজ্জাম” কিতাবের উপর অভিমত লিখতে গিয়ে কাসেম নানুতবী ও মালানা ইয়াকুব নানুতুবী (দেওবন্দের হেড মুহাদ্দিছ) সম্পর্কে লিখেছে,


زبۃ الفضلاء استاذ العلماء مولانا محمد یعقوب صاحب مرحوم مدرساعلی مدرسہ عربیہ دیوبند خاص  دیوبند میں بارھا محفل میلاد میںشریک ہوئے اور بحالت قیام قاری وسامعین قیام بھی کیا اور فرمایا کہ...جبکہ تمام مجلس ذکر ولادت کی تعظیم کو اٹھ کھڑی ہو ایسی حالتمیں قیام نہ کرنا سوء ادبی سے خالی نہیں چنانچہ مولانا ومخدومنا کےاس قول وفعل پر بہت سے شاگرت رشید اور باشندگا شہر شاہد ہں ماسوا اسکے سلسلہء خواندان مصطفی جامع الشریعہ والطر یقہ جاجیسید محمد عابد مہتمم مدرسہ دیوبند نے خاص مولانا ممدوح سے اپنےمکان پر ذکر ولادت شریف بطریق وعظ کرایا اور شیرنی بھی تقسیمفرمائی اور  کھف الفضلاء مولانا محمد قاسم صاحب ناظم مدرسہمذکور کی کثرۃ مرۃ سنا گیا ہے ذکر ولادت با اسعادت موجب خیروبرکت اور خاص مولانا بھی بعض جگہ مجلس میلاد میں شریک ہوئےچنانچہ پیر جی واجد علی صاحب جو مولانا کے مرید اور میلاد خواںہیں اس امرکے شاہد ہیں.
অর্থ: “আলিমকুল শ্রেষ্ঠ, উস্তাযুল আসাতিযা মালানা মুহম্মদ ইয়াকুব ছাহেব (প্রধান শিক্ষক মাদরাসায়ে আরাবিয়া দেওবন্দ) স্বয়ং দেওবন্দে বহুবার পবিত্র মীলাদ শরীফ মাহফিলে শরীক হয়েছে। সবাই পবিত্র ক্বিয়াম শরীফ করার সময় তিনিও পবিত্র ক্বিয়াম শরীফ করেছেন এবং বলেছেন, ..... নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আগমন আলোচনার সম্মানার্থে পুরো মজলিস যখন দাঁড়িয়ে যাবে, তখন না দাঁড়িয়ে বসে থাকা বেয়াদবী। মালানার এ উক্তি ও আমলের উপর তার অনেক প্রিয় শাগরেদ এবং শহরের অনেক বাসিন্দা সাক্ষী রয়েছেন।
তাছাড়াও হাজী সাইয়্যিদ মুহম্মদ আবিদ (মুহতামিম মাদরাসায়ে দেওবন্দ)ও মালানাকে নিয়ে নিজ বাড়িতে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আগমন বৃত্তান্ত আলোচনা ওয়াযের মধ্যে করেছেন এবং শিরনীও বিতরণ করেছেন। মালানা কাসেম ছাহেবের (নাজেম উক্ত মাদরাসা) মুখ থেকেও এ কথাটি বহুবার শুনা গেছে যে- নূরে মুজাস্সাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আগমন-বৃত্তান্ত আলোচনা হচ্ছে খায়ের ও বরকত লাভের মাধ্যম। মালানাও কোনো কোনো জায়গায় পবিত্র মীলাদ শরীফ মাহফিলে শরীক হয়েছে। পীর ওয়াজেদ আলী ছাহেব দেওবন্দী (যিনি মালানার মুরীদ এবং পবিত্র মীলাদ শরীফ পাঠকারী ছিলেন) এ কথার সাক্ষী।”


মালানা আশরাফ আলী থানভী বলেছে,
ذکر ولادت شریف نبوی صلی اللہ علیہ مثل دیگر اذ کار خیر کے ثؤاباور افضل ھے اگر بدعات وقبائح سے خالی ھو تو اس سے بہتر کیاھے؟ قال الشاعر:
ذکرک للمشتاق خیر شراب + وکل شراب دونہ کسراب.
অর্থ: “নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূরে পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র মীলাদ শরীফ মাহফিল অনুষ্ঠান অন্যান্য উত্তম কার্যাবলীর মতো ছওয়াব ও উত্তম কাজ। যদি তা খারাপ বিদয়াত থেকে মুক্ত হয়, তবে এর চেয়ে ভালো ও উত্তম কাজ আর কীইবা হতে পারে? এ আলোচনার মাহফিল যে উত্তম এর সমর্থনে সে একজন কবির কবিতা আবৃত্তি করে। আশিকের তরে আপনার আলোচনাই অমৃত,
সে আলোচনাহীন স্থানেই আছে মরীচিকা মূর্ত।” (ইমদাদুল ফাতাওয়া ৪র্থ খ- পৃষ্ঠা ৫৩)

দেওবন্দী সর্বোচ্চ গুরু আশরাফ আলী থানবী তার কিতাবে লিখেছে —
ولاحتفال بذكر الودة ان كان خاليا حن البدعات المروجة جاءز بل مندوبكساءر اذكاره صلي الله عليه و سلم – والقيم عند ذكر ولادته الشريفة حاشاالله ان يكون كفرا
অর্থ– ” হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিলাদত শরীফের বর্ননা করার জন্য মাহফিল করা জায়েজ বরং মুস্তাহাব , যখন উহা (হিন্দুস্থনের) প্রচলিত বিদয়াত হতে পবিত্র হবে এবং ( মীলাদ শরীফে) তাওয়াল্লুদ শরীফ পাঠ করার সময় ক্বিয়ম করা কখনোই কুফরী নয় !”(ইমদাদুল ফতোয়া ৪ র্থ খন্ড ৩২০ পৃষ্ঠা)

আশরাফ আলী থানবী অপর এক কিতাবে লিখেছে —
” ঐ সকল কার্যাবলী ( অর্থাৎ শিরনী, ক্বিয়াম ইত্যাদি) প্রকৃত পক্ষে মুবাহ কাজ সমূহের অন্তর্ভুক্ত। তাতে কোন ক্ষতি নেই এবং সেজন্য প্রকৃত মীলাদ শরীফ এর ব্যাপারে কোন প্রকার নিষেধ আসতে পারে না।” (তরীকায়ে মীলাদ ৮ পৃষ্ঠা )

দেওবন্দী ইমাম মাওলানা খলীল আহমদ সাহারানপুরী রচিত “আল মুহান্নাদ আ’লাল মুফান্নাদ” কিতাবে পবিত্র মক্কা শরীফ এবং মদীনা শরীফ এর আলেমদের মীলাদ শরীফ সম্পর্কে প্রশ্নের জবাব দেওবন্দী খলীল আহমদ সাহারানপুরী লিখেন-
“সূলে করীম ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের মুবারক বেলাদতের আলোচনা বা মীলাদ শরীফ পাঠ এমন কি তাঁর পাদুকা সংশ্লিষ্ট ধূলি অথবা তাঁর বাহন গাধাটির প্রশ্রাব-পায়খানা মুবারক আলোচনাকে আমরা কেন কোন সাধারণ মুসলমান বেদআতে মুহররমা বা হারাম বলতে পারে না। না আমরা কখনো বলিনি বলিও না।
ঐ অবস্থা যার বিন্দুমাত্র সম্পর্ক হযরত রসূলে করীম ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সাথে রয়েছে তার আলোচনা আমাদের মতে অধিকতর পছন্দনীয় ও উন্নতমানের মুস্তাহাব।” (আল মহান্নাদ আলাল মুফান্নাদ ২১ তম প্রশ্নের জবাব লেখক- মাওলানা খলীল আহমদ সাহারানপুরী দেওবন্দী।,প্রকাশনা-ইত্তেহাদ বুক ডিপো, দেওবন্দ (ইউ পি)


খলীল আহমদ সাহারানপুরী এই বইতে লিখেছে এটাই দেওবন্দী আকাবিরদের আক্বীদা। এর বিপরীত আক্বীদা পোষনকারীরা দেওবন্দী গ্রুপের নয়।

মৌলভী রশীদ আহমদ গাঙ্গুহী ছাহেবের ওস্তাদ শাহ আব্দুল গণী দেহ্লভী ছাহেব মন্তব্য করেছে,

وحق انست كه نفس ذكر ولادت انحضرت صلى الله عليه وسلم وسرورفاتحة نمودن يعنى ايصال ثواب بروح پر فتوح سيد الثقلين كمال سعادتانسان است.
অর্থ: “সঠিক মতামত হচ্ছে- নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র মীলাদ শরীফ পাঠে এবং পবিত্র সূরা ফাতিহা শরীফ পাঠ করে ঈছালে ছাওয়াব করার এবং পবিত্র মীলাদুন্ নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার খুশি উদ্যাপনে মানবজাতির জন্য পূর্ণ সৌভাগ্য অবধারিত।” (শিফউস্ সা-ইল)

সকল দেওবন্দী ও বাংলাদেশর কওমীদের অন্যতম গর্ব আশরাফ আলী থানবীর খলীফা , শামছুল হক ফরিদপুরী তার ” তাছাউফ তত্ত্ব” কিতাবে মীলাদ শরীফ ও ক্বিয়াম শরীফ এর ব্যাপারে প্রশ্নের জবাবে লিখে —
“ক্বিয়াম জিনিসটা আসলে ফিকাহের অন্তর্ভুক্ত নাহে – ইহা তাছাউফের অন্তর্ভুক্ত। অর্থাৎ মুহব্বত বাড়ানোর উদ্দেশ্যে হযরত রাসূলুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর তারিফের কাসীদা পড়া হয় তাহা দ্বারা মুহব্বত বাড়ে এবং লোকজন মুহব্বতের জোশে খাড়া হইয়া যায় । মুহব্বতের জোশে খাড়া হইলে তাহাকে বিদয়াত বলা যায় না। তাহা ছাড়া হযরত নবীজী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কে সালাম করার সময় বসিয়া বসিয়া সালাম করা শরীফ তবিয়তের লোকের কাছে বড়ই বেয়াদবী লাগে। ( তাছাউফ তত্ত্ব ৪১ পৃষ্ঠা)

শুধু তাই নয়, দেওবন্দী সিলসিলার প্রতিষ্ঠিাতা সহ সকল দেওবন্দীদের পীর সাহেব হযরত হাজী ইমদাদুল্লাহ মুহাজিরে মক্কী রহমাতুল্লাহি আলাইহি উনার নিজের ত্বরীকা সম্পর্কে সকল অনুসারি দের মধ্যে কিছু উপদেশ লিখিত আকারে রেখে গিয়েছিলেন ! আসুন দেখা যাক উপদেশগুলা কি ছিলো –
 গৌরব করবে না।
 নিজেকে বড় মনে করবে না।
 খায়ের ও বরকতের জন্য মীলাদ মাহফিলের আঞ্জাম করবে এবং ক্বিয়াম করবে।
 পীর আওলিয়া গনের ঈসালে সাওয়াব মাহফিলে যোগদান করবে।
 ফাতেহাখানীতে যোগদান করবে।
 মাশায়েখ ও পীর আওলিয়াগনের মাযার শরীফ যিয়ারত করবে।
 অবসর সময় তাঁদের মাযার শরীফের পার্শ্বে এসে রূহানীয়ত সহ মুতাওজ্জুহ হবে এবং স্বীয় মুর্শিদের সুরতে তাদের ধ্যান করবে ও ফয়েজ হাসিলের চেষ্টা করবে। কারন তাঁরা আল্লাহ পাক এবং উনার রসূল পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার স্থলাভিষিক্ত বলে গন্য।
 এগুলোই আমার ত্বরীকা।
আর এসবই বরকতময় কর্ম। আমার লেখা “ফায়সালায়ে হাফতে মাসায়লা” কিতাবে এসকল বিষয় বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে।”(যিয়াউল কুলুব- কতিপয় বিশেষ উপদেশ পরিচ্ছেদ ,লেখক- হাজী ইমদাদুল্লাহ মুহাজির মক্কী রহমাতুল্লাহি আলাইহি)

মুসলমান ভাইগন, আমার প্রশ্ন হচ্ছে-দেওবন্দী সিলসিলায় কয়জন এই উপদেশ মান্যকরে ?
দেওবন্দী দের কাছে এই আমাল গুলাতো শিরিক আর বিদয়াত !!
তবে তারা কি উনাকে মুশরিক/বিদয়াতি বলবে ?

পীরের ত্বরীকা অস্বীকার করে কি তারা পীরের সিলসিলায় থাকতে পারে ?
জবাব পেলে ভালো হতো।

এবার একটু চিন্তা করুন দেওবন্দীরা কত নিকৃষ্ট। নিজেদের সিলসিলার সবাই মীলাদ -ক্বিয়ামে পক্ষে ফতোয়া দিয়ে গেছে সেটা দেখে না। আমরা সুন্নী মুসলমানরা মীলাদ ক্বিয়াম করলে সেটা তাদের কাছে শিরক-বিদায়াত হয়ে যায়। যদি আমাদেরকে শিরকি- বিদয়াতি ফতোয়া দিতে চায় তাহলে সর্বপ্রথম যেন নিজেদের মুরুব্বী দের মুশরিক আর বেদাতী ফতোয়া দিয়ে নেয় । নচেত আমাদের বিরুদ্ধে কিছু বলার অধিকার তাদের নাই।