একজন কুতুবুজ্জামান- উনার দিদারে মাওলার দিকে প্রস্থান- সাইয়্যিদুনা হযরত দাদা হুযুর ক্বিবলা সাইয়্যিদ মুখলেছুর রহমান আলাইহিস সালাম উনার সাওয়ানেহে উমরী মুবারক-পর্ব-৫৩

ওলীয়ে মাদারজাদমুসতাজাবুদ্ দাওয়াতআফযালুল ইবাদছাহিবে কাশফ ওয়া কারামতফখরুল আউলিয়াছূফীয়ে বাতিনছাহিবে  ইসমে আযমলিসানুল হক্বগরীবে নেওয়াজআওলাদুর রসূলআমাদের সম্মানিত দাদা হুযূর ক্বিবলা আলাইহিস সালাম-উনার স্মরণে-

একজন কুতুবুজ্জামান-উনার দিদারে মাওলা ‍উনার দিকে প্রস্থান-

 মুর্শিদ ক্বিবলা উনার বিরহে অতলান্ত মনোবেদনা-

          আল্লাহ্ পাক-উনার প্রতি একান্তভাবে সমর্পিত এবং সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন্ নাবিয়্যীন, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-উনার পথে পরিপূর্ণরূপে অধিষ্ঠিত ওলীয়ে মাদারজাদ, আওলার্দু রসূল, হযরতুল আল্লামা সাইয়্যিদ মুহম্মদ মুখলেছুর রহমান  আলাইহিস সালাম কামিয়াবীর পরিণত স্তরে উপরোক্ত হাদীস শরীফের মিছদাক হয়েছেন। উনার আমল, আচরণ, বাক্যালাপ, কর্মপ্রবাহ ও জীবন-যাপন প্রণালী স্বাভাবিকতার আবরণে এতো সূক্ষ্ম যে, আশপাশের মানুষ, পরিচিত মহল এবং জাগতিক বন্ধনে আপনজনদের পক্ষেও তাঁকে চিনে ফেলা এবং উনার অতি মর্যাদাবান অবস্থা উপলদ্ধি করা সহজ ও সম্ভব নয়। উনার যতো আনন্দ-বেদনা, সুখ-দুঃখ, অনুরাগ-বিরাগ, যন্ত্রনা-সান্তনা, প্রশান্তি ও অন্তর্দহন কেবলই উনার নিজের। ভাব বিনিময়ের স্বজন নেই। প্রাণের আঁকা মুর্শিদ ক্বিবলা বিদায় নিয়েছেন। সঙ্গলাভের জন্য মন চায় আবার একজন অন্তরঙ্গ মানুষ খুঁজে পেতে। অন্তরের সবটুকু মমতা ও শ্রদ্ধায় এমন একজনকে মুহব্বত করতে, যাঁর সান্নিধ্যে আনন্দ-বেদনার বিমিশ্র ধারায় নৈকট্যের দরজা অনুক্ষণ অবারিত থাকে। কিন্তু তিনি কোথায়?

          সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন্ নাবিয়্যীন, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন,

كل شيئ يرجع الى اصله.

অর্থঃ- প্রত্যেক বস্তুই তার মূলের দিকে ফিরে যায় (মূলের সঙ্গে সম্মিলিত হয়)।এ হাদীস শরীফের অনিবার্যতায় ওলীয়ে মাদারজাদ, কুতুবুজ্জামান, আওলাদুর রসূল, হযরতুল আল্লামা, শাহ্ ছূফী, আলহাজ্ব, শায়খ সাইয়্যিদ মুহম্মদ মুখলেছুর রহমান  আলাইহিস সালাম যে উনার মনোবেদনা নিবারণে একজন অন্তরঙ্গ সঙ্গী খুঁজে পাবেন, এটাইতো স্বাভাবিক ও সংগত। মাহবুব ওলীগণের পারস্পরিক যোগাযোগ, ভাব বিনিময় ও নিয়ামতের লেনদেন আল্লাহ্ পাক-উনারই বিধান। জীবদ্দশায় অনুক্ষণ অন্তরঙ্গ যোগাযোগ যেমন জরুরী, ইন্তিকালের পরে ও ওলীগণের অবিরাম রূহানী মিলন ও সাক্ষাৎ একটি স্বাভাবিক নিয়ম। জীবনে ও মরণে উনাদের পারস্পরিক দেখা-সাক্ষাৎ ও সম্মিলন মহান আল্লাহ্ পাক-উনার সদয় ইচ্ছায় সংঘটিত হয়ে থাকে।

          পূর্বেই বলা হয়েছে, আমীরে শরীয়ত, মাহতাবে ত্বরীকত, হাজীউল হারামাইন, হাদীউস্ সাক্বালাইন, মাহিউল বিদয়াত, মুহ্ইস্ সুন্নাতিন্ নুবুবিয়্যা, ইমামুল হুদা, ক্বাইউমুয্যামান, কুতুবুল আলম, খলিফাতুল্লাহ, নায়িবে মুজাদ্দিদ, আলহাজ্ব, হযরত মাওলানা আবূ নছর মুহম্মদ আব্দুল হাই ছিদ্দীকী ফুরফুরাবী রহমতুল্লাহি আলাইহি-উনার নিকট বাইয়াত হবার পর হযরতুল আল্লামা সাইয়্যিদ মুহম্মদ মুখলেছুর রহমান  আলাইহিস সালাম বাইয়াত হন ওলীয়ে মাদারজাদ, সুলতানুল আরিফীন, হযরত মাওলানা, শাহ্ ছূফী, আবূ নজম মুহম্মদ নাজমুস্ সায়াদাত ছিদ্দীকী ফুরফুরাবী রহমতুল্লাহি আলাইহি-উনার নিকট। তিনি হিজরী ১৪০০ শতকের মুজাদ্দিদ, কুতুবে রব্বানী, মাহবুবে সুবহানী, দস্তগীর, শাইখুল মুহাক্বিকীন, ইমামুল মুসলিমীন, মাশায়িখুল মিল্লাত ওয়াদ্দ্বীন, ইমামুল হুদা, হাদীয়ে যামান, যুবদাতুল আরিফীন, ইমামুত্ ত্বরীকত, আফতাবে শরীয়ত, কুতুবুল আকতাব, আলহাজ্ব, হযরতুল আল্লামা আবূ বকর ছিদ্দীকী ফুরফুরাবী রহমতুল্লাহি আলাইহি-উনার সুযোগ্য সন্তান এবং নায়িবে মুজাদ্দিদ হযরত মাওলানা আবূ নছর মুহম্মদ আব্দুল হাই ছিদ্দীকী ফুরফুরাবী রহমতুল্লাহি আলাইহি-উনার অনুজ। ঢাকাস্থ গেন্ডারিয়ায় ছিল উনার খানকা শরীফ। ওলীয়ে মাদারজাদ, কুতুবুজ্জামান, হযরতুল আল্লামা সাইয়্যিদ মুহম্মদ মুখলেছুর রহমান  আলাইহিস সালাম নিয়মিতভাবে ঐ খানকা শরীফে প্রাণের আঁকা মুর্শিদ ক্বিবলার মুবারক সান্নিধ্যে হাজির থাকতেন। (অসমাপ্ত)

আবা-১১২

একজন কুতুবুজ্জামান- উনার দিদারে মাওলার দিকে প্রস্থান- সাইয়্যিদুনা হযরত দাদা হুযুর ক্বিবলা সাইয়্যিদ মুখলেছুর রহমান আলাইহিস সালাম উনার সাওয়ানেহে উমরী মুবারক-পর্ব-৫২

 


ওলীয়ে মাদারজাদ, মুসতাজাবুদ্ দাওয়াত, আফযালুল ইবাদ, ছাহিবে কাশফ ওয়া কারামত, ফখরুল আউলিয়া, ছূফীয়ে বাতিন, ছাহিবে  ইসমে আযম, লিসানুল হক্ব, গরীবে নেওয়াজ, আওলাদুর রসূল, আমাদের সম্মানিত দাদা হুযূর ক্বিবলা আলাইহিস সালাম-উনার স্মরণে-

একজন কুতুবুজ্জামান-উনার দিদারে মাওলা উনার দিকে প্রস্থান

মুর্শিদ ক্বিবলা উনার বিরহে অতলান্ত মনোবেদনা-

  বিগত দিনের মশহুর ওলীগণের মুবারক জীবনচরিত পাঠে জানা যায়, আপন শায়েখ উনার সান্নিধ্যে উনারা প্রত্যেকেই পূর্ণমাত্রায় কামিয়াবী হাছিল করেছেন। উনারা সকলেই উত্তরণের এমন শীর্ষ সোপানে উপনীত হয়েছিলেন, যেখান থেকে বিচ্যূতির কোন পথই অবশিষ্ট ছিলোনা। আল্লাহ্ পাক এবং উনার প্রিয়তম হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-উনার সঙ্গে নৈকট্য সোপানের এমন অটুট পর্যায়ে নতুন করে উনাদের কোন শায়েখ উনার ছোহবত ইখতিয়ারের ও প্রয়োজন ছিলোনা। তবু উনারা সকলেই আপন শায়েখ উনার ইন্তিকালে বিরহ-বিধুর মন ও মননে বাকরুদ্ধ হয়েছেন, বিমর্ষ হয়েছেন, অব্যক্ত বেদনায় অধীর থেকেছেন ইন্তিকাল অবধি। মাদারজাদ ওলী, আওলার্দু রসূল, হযরতুল আল্লামা সাইয়্যিদ মুহম্মদ মুখলেছুর রহমান আলাইহিস সালাম ও উনার প্রাণের আঁকা শায়েখ উনার বিরহে অভিন্ন যন্ত্রণাকাতরতায় আক্রান্ত হয়েছেন। এই নিদারুণ আক্রান্তি থেকে বিমুক্তি নেই। বিমুক্তি কাম্যও নয়।কারণ, বেদনার নিরন্তর দহন ও পীড়নে প্রাপ্ত নিয়ামতের অজস্রধারা সকল প্রত্যাশা পূরণে সহায়ক হচ্ছে।     

 কামিয়াবীর শীর্ষ মন্জিলে অধিষ্ঠিত ওলীগণের বাহ্যিক আচরণ ও আমল সাধারণের আচরণ ও আমলের মতোই স্বাভাবিক মনে হওয়ায় উনাদের উত্তরণের নিগূঢ় স্তর এবং অতি উন্নত মর্যাদা সকলের অবহিতিতে থাকেনা। থাকা সম্ভবও নয়। পূর্ণতাপ্রাপ্ত ওলীগণের অনুভব ও অনুসন্ধানের ব্যাপ্তি উনাদের মুবারক জীবন যাপন প্রণালী, দৃশ্যমান আমল এবং যাবতীয় কর্মপ্রবাহে সঙ্গত কারণেই প্রতিফলিত হয়। আয়াসসাধ্য আয়োজনে নির্ধারিত সকল নিয়ামত হাছিল করেও আরো পাবার প্রত্যাশায় অথবা না পাবার উদ্বেগে উনারা নিশিদিন বেদনাদগ্ধ হতে থাকেন। এ যাতনা নিত্য সঙ্গী বলেই কামিয়াবীর আরো অগ্রযাত্রায় উনারা কখনো ক্লান্ত হননা। সাধারণ মানুষ, আশপাশের বাসিন্দা, এমনকি নিকট বন্ধু-পরিজনও এসব কিছুতেই বেখবর। সাধারণ মানুষ কেবল ফরয, ওয়াজিব, সুন্নতে মুয়াক্কাদা প্রতিপালনকেই বুযূর্গী হাছিলের নিয়ামক মাধ্যম হিসেবে সাব্যস্ত করে নেয়। তাও আবার ঈমান ও আক্বীদার বিশুদ্ধতায় এসব আমলে ইখলাছ-উনার অপরিহার্যতার বিষয়টি তাদের কাছে অনুপস্থিত। অনেকের কাছে গৌণ এবং কারো কাছে অবোধ্য। আল্লাহ্ পাক-উনার নৈকট্যসুধায় পরিপ্লুত সূক্ষ্মদর্শী ওলীগণ উনাদের স্বভাবসঞ্জাত অন্তর্বেদনায় অনুক্ষণ ভারাক্রান্ত থাকেন। কামিয়াবীর প্রেক্ষিতে উনাদের অন্তর রাজ্যের গতিবিধি অন্যের কাছে অবোধ্য।

          আল্লাহ্ পাক-উনার নৈকট্য তালাশে আরম্ভকারী, আরম্ভে প্রবাহমান অথবা নিমজ্জিত এবং আরম্ভ শেষে গন্তব্যে উপনীত ব্যক্তির অবস্থা উনাদের প্রকৃতিগত কারণেই পৃথক। যদিও আরম্ভ শুরুই করেননি এবং প্রত্যাশিত মন্জিলে পৌঁছে গেছেন, এমন দুজনের দৃশ্যমান আচরণ অভিন্ন মনে হয়। এমনকি গন্তব্যে পৌঁছার কোশেশে নিয়োজিত ব্যক্তির (সালিক) প্রেক্ষিত একান্ত ভিন্ন হওয়া সত্ত্বেও উনাকে ও পরিপূর্ণ কামিয়াব ভেবে ভুল করার ঘটনাও অস্বাভাবিক এবং বিরল নয়। আসলে পরিপূর্ণরূপে কামিয়াব ওলীর দৃঢ় প্রত্যয় ও অবিচল স্থিতি উনার মনোগত এবং প্রশান্তি ও অন্তর্দহনও একান্তই উনার নিজস্ব সম্পদ। লব্ধ নিয়ামত ও অন্তরের বৈভব উনার বাইরের আচরণ, আমল ও কর্মপ্রবাহে যে প্রকৃতি ও প্রক্রিয়ায় প্রতিভাত হয়, তাঅতি সূক্ষ্ম। তাই সূক্ষ্মদর্শী ওলীগণের অবস্থা, কামিয়াবীর স্তর, মর্যাদা ও মাহাত্ম্য সাধারণের উপলব্ধিতে থাকেনা। 

          এ মর্মে আল্লাহ্ পাক হাদীসে কুদসীতে বলেন,

ان اوليائى تحت قبائى لايعرفهم غيرى الا اوليائى.

অর্থঃ- নিশ্চয়ই আমার মাহবুব ওলীগণ আমার কুদরতী জুব্বার নীচে (আমার ইল্ম-উনার অধীনে এবং একান্ত নিরাপত্তা হিফাজতে) অবস্থান করেন। আমি এবং আমার মনোনীত বন্ধুগণ (সমমর্যাদার সূক্ষ্মদর্শী ওলী)ছাড়া হাক্বীকীভাবে উনাদেরকে আর কেউই চিনতে পারেনা।

 (অসমাপ্ত)

আবা-১১১

 

একজন কুতুবুজ্জামান- উনার দিদারে মাওলার দিকে প্রস্থান- সাইয়্যিদুনা হযরত দাদা হুযুর ক্বিবলা সাইয়্যিদ মুখলেছুর রহমান আলাইহিস সালাম উনার সাওয়ানেহে উমরী মুবারক-পর্ব-৫১

 

ওলীয়ে মাদারজাদ, মুসতাজাবুদ দাওয়াত, আফযালুল ইবাদ, ছাহিবে কাশফ ওয়া কারামত, ফখরুল আউলিয়া, ছূফীয়ে বাতিন, ছাহিবে  ইসমে আযম, লিসানুল হক্ব, গরীবে নেওয়াজ, আওলাদুর রসূল, আমাদের সম্মানিত দাদা হুযূর ক্বিবলা আলাইহিস সালাম-উনার স্মরণে-

একজন কুতুবুজ্জামান-উনার দিদারে মাওলা উনার দিকে প্রস্থান-

মুর্শিদ ক্বিবলা উনার বিরহে অতলান্ত মনোবেদনা         

আল্লাহ পাক উনার আদ্দিষ্ট সকল কাজ সমাপন শেষে মুর্শিদ ক্বিবলা দুনিয়া থেকে বিদায় নিয়েছেন। ইন্তিকালে ওলীগণের কোন ক্ষতি নেই। কারণ, ইন্তিকালের মাধ্যমেই জান্নাতুল ফিরদাউসে অবস্থান এবং আল্লাহ পাক উনার সঙ্গে কাঙ্খিত দিদারের পথ অবারিত হয়। হযরত আব্দুল্লাহ বিন যাকারিয়া রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বলেন, “ যদি আল্লাহ পাক একশত বছর জীবিত থেকে উনার ইবাদত-বন্দিগীতে মশগুল থাকতে অথবা আজই মৃত্যুবরণ করতে আমাকে স্বাধীনতা দিতেন, তবে আজই আমি মৃত্যুবরণ করাকে শ্রেয় মনে করতাম। যেহেতু মৃত্যুর মাধ্যমেই আমি আল্লাহ পাক উনার দিদার, উনার প্রিয়তম হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এবং আল্লাহ পাক উনার মাহবুব বান্দাগণের সঙ্গে অতি তাড়াতাড়ি মিলিত হবার সুযোগ পেয়ে যাবো।ইন্তিকালের জন্য অনুক্ষণ প্রস্তুত থেকে আখিরাতে আল্লাহ পাক উনার দিদার এবং ছহিবে শাফায়াতে কুবরা, মাশুকে মাওলা, হাবীবে আযম, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-উনার সঙ্গে মুবারক ছোহবত লাভের এমন দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করা মাহবুব ওলীগণের পক্ষেই সম্ভব। সাধারণ বান্দার পক্ষে কল্পনা মাত্র।

          আল্লাহ পাক আপন ইচ্ছায় উনার এক প্রিয় বান্দাকে দায়িত্ব পালন শেষে নির্ধারিত সময়ে নিজের দিকে ডেকে নিয়েছেন। সকল ইচ্ছা ও ইখতিয়ারের মালিক মহান আল্লাহ পাক। উনার সদয় ইচ্ছার সঙ্গে বান্দার ইচ্ছার অনাবিল সংযোগ সাধিত না হলে বন্দিগীর ভিত্তি বিনষ্ট হয়। ওলীয়ে মাদারজাদ, ফখরুল আউলিয়া, লিসানুল হক্ব, আওলাদুর রসূল, হযরতুল আল্লামা সাইয়্যিদ মুহম্মদ মুখলেছুর রহমান আলাইহিস সালাম-উনার ও নিজস্ব কোন মত বা ইচ্ছা নেই। সকল বিষয়েই তিনি আল্লাহ পাক উনার অভিপ্রায়ের সঙ্গে নিজ মন ও মনন পরিপূর্ণরূপে মিলিয়ে দিয়েছেন। সুখ-দুঃখ, আনন্দ-বিষাদ, যন্ত্রণা-সান্তনা, দারিদ্র-প্রাচুর্য, আহার-অনাহারসহ উনার যাবতীয় বিষয় এবং মানবিক প্রবৃত্তি ও প্রত্যাশা আল্লাহ পাক উনার সদয় অভিপ্রায়ে নিয়ন্ত্রিত ও পরিচালিত। তাই অপার বেদনা ও যন্ত্রণাকাতরতার মাঝেও প্রাণের আঁকা মুর্শিদ ক্বিবলা উনার ইন্তিকালকে তিনি মেনে নিতে সক্ষম হয়েছেন।

          মুর্শিদ ক্বিবলার সঙ্গে প্রত্যক্ষ সংযোগ বিচ্ছিন্নতার বেদনা সীমাহীন। সবাইকে হারাতে হচ্ছে। একে একে সকল মুর্শিদ ক্বিবলাই বিদায় নিলেন। অবশেষে যাঁর মুবারক সন্নিধানে অন্তরের প্রচ্ছন্ন ইচ্ছাগুলো স্বতঃস্ফূর্তভাবে পল্লবিত হয়ে আল্লাহ পাক উনার সদয় মর্জির সঙ্গে পরিপূর্ণরূপে সমর্পিত হয়েছিল, সেই মুর্শিদ ক্বিবলা হাদিউস সাক্বালাইন, শাইখুল ইসলাম, ইমামুল হুদা, ক্বাইয়্যূমুয যামান, কুতুবুল আলম, নায়িবে মুজাদ্দিদ, খলীফাতুল্লাহ, বড় হুযূর ক্বিবলা, আলহাজ্ব হযরত মাওলানা আবু নছর মুহম্মদ আব্দুল হাই ছিদ্দীকী ফুরফুরাবী রহমতুল্লাহি আলাইহি ও আর নেই। নিদারুণ ব্যথা। এ ব্যথার প্রকৃতি ও পরিধি অনভিজ্ঞ জন বুঝবে কি করে! প্রত্যক্ষ ও গোপন মুয়ামেলা ও ছোহবত লাভের জন্যে এখন আর কাকে পাওয়া যাবে? কোথায় পাওয়া যাবে? বেদনার গহীন আবর্তে হযরতুল আল্লামা সাইয়্যিদ মুহম্মদ মুখলেছুর রহমান আলাইহিস সালাম এখন নিজেকে গভীরভাবে পরখ করে দেখছেন। দেখছেন যে, বর্তমান নৈকট্য সোপান থেকে আল্লাহ পাক উনার সঙ্গে উনার সংযোগ বিচ্ছিন্ন হবার কোন কারণই আর অবশিষ্ট নেই।

          মুবারক জীবনব্যাপী মুর্শিদ ক্বিবলার যে কর্মপরিধি, তা ছিল বিপুল, বিশাল। দেশ-বিদেশে তিনি অসংখ্য মুরীদ ও অনেক খলীফা রেখে গেছেন। স্তর ভেদে উনারা সকলেই কামিয়াব। আল্লাহ পাক উনার সদয় মর্জিতে মুর্শিদ ক্বিবলার মুবারক সিলসিলা ক্রমবর্ধিষ্ণুরূপে আপন গতিতে প্রবাহমান। যে সব খলীফাগণ নিয়ামতলাভে পরিপূর্ণরূপে ধন্য ও কামিয়াব হয়েছেন, আফযালুল ইবাদ, কুতুবুয যামান, মাদারজাদ ওলী, আওলাদুর রসূল, হযরতুল আল্লামা সাইয়্যিদ মুহম্মদ মুখলেছুর রহমান আলাইহিস সালামউনাদের মধ্যে বিশিষ্টজন। কারণ, মুর্শিদ ক্বিবলা উনার অন্তরঙ্গ খলীফা হিসেবে লব্ধ নিয়ামতের নির্যাস অকাতরে উনাকেই দান করেছেন। এই মাদারজাদ ওলী প্রাণের আঁকা মুর্শিদ ক্বিবলার মুবারক ছোহবতে পরিপূর্ণ কামিয়াবী হাছিল করেছেন। কিছু আর এখন হারাবার নেই। আল্লাহ পাক উনার সন্নিধানে, এখন কেবলই উনার অগ্রযাত্রা। কিন্তু যে মুর্শিদ ক্বিবলার উছীলায় এতো পাওয়া, উনাকে ছাড়া তো জীবন দুর্বিষহ। (অসমাপ্ত)

আবা-১১০

একজন কুতুবুজ্জামান- উনার দিদারে মাওলার দিকে প্রস্থান- সাইয়্যিদুনা হযরত দাদা হুযুর ক্বিবলা সাইয়্যিদ মুখলেছুর রহমান আলাইহিস সালাম উনার সাওয়ানেহে উমরী মুবারক-পর্ব-৫০

 


ওলীয়ে মাদারজাদ, মুসতাজাবুদ্ দাওয়াত, আফযালুল ইবাদ, ছাহিবে কাশফ ওয়া কারামত, ফখরুল আউলিয়া, ছূফীয়ে বাতিন, ছাহিবে  ইস্মে আযম, লিসানুল হক্ব, গরীবে নেওয়াজ, আওলাদুর রসূল, আমাদের সম্মানিত দাদা হুযূর ক্বিবলা আলাইহিস সালাম-উনার স্মরণে-

একজন কুতুবুজ্জামান-উনার দিদারে মাওলার দিকে প্রস্থান-

মুর্শীদ ক্বিবলা উনার কর্ম পরিধি ও বিছাল শরীফ লাভ-

মুসলমান সমাজের এক মহা দুর্যোগকালে পিতার যোগ্য উত্তরসূরী হিসেবে নায়িবে মুজাদ্দিদ হযরত মাওলানা আবূ নছর মুহম্মদ আবদুল হাই ছিদ্দীকী ফুরফুরাবী রহমতুল্লাহি আলাইহি বাতিলের মূলোৎপাটনে অগ্রণী ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন। বিপর্যস্ত ঈমান-আক্বীদায় অধিকাংশ মুসলমান তখন বিধর্মী আচরণ ও দর্শনে আকৃষ্ট হতে শুরু করেছিল। তিনি চির ধরা অনুভব ও বিশ্বাসের নবায়নে ব্রতী হয়ে মুসলমানদেরকে পরিপূর্ণরূপে ইসলাম পালনে অভ্যস্ত করে তুলেছিলেন। কাজটি সে সময়ে খুব কঠিন ছিল।

          তখনকার মুসলমানদের শোচনীয় অবস্থা সম্পর্কে জার্মান ঐতিহাসিক Hans Kohan তার "A History of Nation in The East" গ্রন্থে লিখেছেন, In India, especially, Many people were Mohammedans only in name. They observed the customs of Hindus, celebrated their festivals, maintained their laws of inheritance and marriage and prayed to their many Gods" অর্থঃ- সে সময়ে অনেক মানুষ, বিশেষ করে ভারতের মানুষ, মুসলমান ছিল নামে মাত্র। তারা হিন্দুদের ধর্মীয় প্রথা পালন করতো। তাদের অনুষ্ঠানাদি (পূজা-পার্বণ) উপভোগ করতো। সম্পত্তির উত্তরাধিকার ও বিয়ে শাদীতে হিন্দুদের রীতিনীতি মেনে চলতো এবং অনেক দেব-দেবীর উপাসনা করতো।        হাদীয়ে যামান হযরত মাওলানা আবূ নছর মুহম্মদ আবদুল হাই ছিদ্দীকী ফুরফুরাবী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার মুবারক জীবনব্যাপী ইসলাম ধর্মের জন্য যে সংগ্রাম করেছেন এবং তাতে কামিয়াবী হাছিল করেছেন, তা অতুলনীয়।

          বাংলাদেশ ইসলামী ফাউন্ডেশন কর্তৃক প্রকাশিত ইসলামী বিশ্বকোষ”-উনার ১ম খন্ডে উনার সম্পর্কে লিখা হয়েছে, “পিতার ন্যায় তিনিও র্শিক, বিদয়াত ও কুফরীর বিরুদ্ধে সংগ্রাম করেন। সমাজে বিরাজিত যাবতীয় অপসংস্কৃতি, কুসংস্কার ও ইসলাম বিরোধী আচার-অনুষ্ঠানের বিরুদ্ধে তিনি সোচ্চার হন। খৃষ্টান মিশনারীদের অপপ্রচারের বিরুদ্ধেও তিনি রুখে দাঁড়ান।

          তিনি উনার সময়কালে যে সব ফিত্নার বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে উঠেন এবং প্রবল প্রতিরোধ গড়ে তোলেন, সে সবের বিশেষ কটি হলো-

১. কমিউনিজম ও নাস্তিকতা,

২. কাদিয়ানী মতবাদ,

৩. পবিত্র মুর্হরম পালনে শরীয়ত বিরোধী কার্যকলাপ,

৪. মুতাজিলা মতবাদ,

৫. পুনর্জন্ম ও জন্মান্তরবাদ,

৬. পবিত্র কুরআন শরীফ হযরত মুহম্মদ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-উনার বাণী-এ ভ্রান্ত মতবাদ ৭. ভন্ড পীর, ফকীর ও উলামায়ে ছূদের বিরুদ্ধে আন্দোলন।

৮. র্শিক, বিদয়াত ও কুফরীর বিরুদ্ধে সংগ্রাম,

৯. খৃষ্টান মিশনারীদের বিরুদ্ধে আন্দোলন,

১০. সুন্নত পালনে মানুষকে উদ্বুদ্ধ করণ এবং সর্বোপরি.

১১. মানুষের মানসিক পরিশোধন (ইসলাহ্) করণ।

          ইসলাম বিরোধী কার্যকলাপের বিরুদ্ধে সংগ্রাম ও প্রতিরোধের জন্য হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা রহমতুল্লাহি আলাইহি বাহ্যিক যে পদ্ধতি অবলম্বন করেন এবং যে সব প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন, সংক্ষেপে তা হলো-

১. অবিরাম ওয়াজ-নছীহত,

২. ঈছালে ছাওয়াব মাহ্ফিল প্রতিষ্ঠা,

৩. লাইব্রেরী ও গবেষণা বিভাগ স্থাপন,

৪. প্রকাশনা কার্যক্রম,

৫. মসজিদ ও মাদ্রাসা স্থাপন,

৬. খানকাহ্ শরীফ প্রতিষ্ঠা,

৭. ভারত, বাংলাদেশ এবং অন্যান্য স্থানে খলিফা প্রেরণ,

৮. সমাজ হিতৈষণামূলক বিভিন্ন সংস্থা ও সংগঠন প্রতিষ্ঠা,

৯. বাহাস-মুবাহাসা ও মানবসেবা কার্যক্রম। সার্বিকভাবে এসব কাজ পরিচালনার জন্য তিনি ইসলাম মিশননামে একটি কেন্দ্রীয় সংগঠন তৈরী করেন। উনার জন্য তিনি কমিটি গঠন করেন। সারা দুনিয়াব্যাপী-উনার কর্মবিস্তৃতির উল্লেখসহ তিনি একটি অতুলনীয় গঠনতন্ত্রও প্রণয়ন করেন।

  তিনি অত্যন্ত সহজ-সরল জীবন যাপনে অভ্যস্ত ছিলেন। উনার অনেক কারামত প্রকাশিত হয়েছে মর্মে জীবনী গ্রন্থে উল্লেখ রয়েছে। সুন্নতের পরিপূর্ণ অনুসরণে কঠোর পরিশ্রম এবং ইসলাম-সম্পৃক্ত আমল ও বিপুল কর্মপরিচালনায় তিনি আজীবন ব্যস্ত থাকেন। এতে উনার শরীর মুবারকে প্রভাব পড়ে। ১৯৭৭ ঈসায়ী সনের ১২ মে তিনি এক সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হন। ২৪ জুমাদাল উলা ১৩৯৭, ১৩ মে ১৯৭৭, ৩০ বৈশাখ ১৩৮৪ শুক্রবার ৭৩ বছর বয়স মুবারকে কলিকাতার সেন্ট মারিস নার্সিং হোমে উনার দুনিয়ার যাবতীয় কর্মসম্পৃক্তির অবসান হয়। মহান আল্লাহ্ পাক-উনার দিদারে তিনি দুনিয়া থেকে বিদায় নেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। নিজ গ্রাম ভারতের পশ্চিম বাংলার হুগলী জেলাধীন ফুরফুরা শরীফেউনার পিতার মাযার শরীফের সন্নিকটে উনাকে দাফন করা হয়।  (অসমাপ্ত) 

আবা-১০৯

 

একজন কুতুবুজ্জামান- উনার দিদারে মাওলার দিকে প্রস্থান- সাইয়্যিদুনা হযরত দাদা হুযুর ক্বিবলা সাইয়্যিদ মুখলেছুর রহমান আলাইহিস সালাম উনার সাওয়ানেহে উমরী মুবারক-পর্ব-৪৯


ওলীয়ে মাদারজাদ, মুসতাজাবুদ্ দাওয়াত, আফযালুল ইবাদ, ছাহিবে কাশ্ফ ওয়া কারামত, ফখরুল আউলিয়া, ছূফীয়ে বাতিন, ছাহিবে  ইস্মে আযম, লিসানুল হক্ব, গরীবে নেওয়াজ, আওলার্দু রসূল, আমাদের সম্মানিত দাদা হুযূর ক্বিবলা আলাইহিস সালাম-উনার স্মরণে-

একজন কুতুবুজ্জামান-উনার দিদারে মাওলা উনার দিকে প্রস্থান- 

            মানুষের বড় দুঃখ যে, প্রত্যাশা পূরণের আগেই তাকে বিদায় নিতে হয়। দুনিয়ার প্রতি প্রলুব্ধি এই দুঃখবোধের মূল কারণ। দুনিয়ার আসক্তি যতো বেপরোয়া, দুঃখের পরিধি ও গভীরতাও ততো প্রবল হয়। জাগতিক মোহগ্রস্থতায় মৃত্যু-চিন্তায় মানুষ বিষন্ন হয় এবং বেশী করে বেঁচে থাকার নিষ্ফল প্রয়াসে নিশিদিন ব্যাপৃত থাকে। প্রিয়জনের মৃত্যুর বিরহ যাতনায় মানুষ মনঃক্ষুন্ন হয়। মৃত্যুর অনিবার্যতা সাধারণ মানুষ মেনে নেয় না, শুধু বিশ্বাস করে মাত্র। মৃত্যুর হাক্বীক্বত জানতে না পারায় কেবল এই বাধ্যগত বিশ্বাসের কারণে অবধারিত মৃত্যু সম্পর্কে আমাদের যতো বিপত্তি, যতো অর্থহীন কথা। নির্ভুল সত্যের সংবাদ দাতা সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন্ নাবিয়্যীন, হায়াতুন্ নবী, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেছেন, “আদম সন্তান সর্বদা দুটি জিনিস অপছন্দ করে থাকে। একটি হলো মৃত্যু, অপরটি দরিদ্রতা। অথচ ফিৎনা-ফাসাদের চেয়ে মৃত্যু তাদের জন্য শ্রেয়।তিনি আরো বলেছেন, “দুটি বস্তু আদম সন্তানের নিকট বড় প্রিয়। তার একটি হলো জীবন, অপরটি ধন-সম্পদের প্রাচুর্য। অথচ প্রকৃত প্রস্তাবে মৃত্যুই তাদের জন্য উত্তম বস্তু। আর দরিদ্রতা ও ধন-সম্পদহীনতা হিসাব-নিকাশ দেয়ার বেলায় খুবই সহজ।    দুনিয়ার প্রতি পরিপূর্ণরূপে আসক্ত মানুষের পক্ষে উপরোক্ত হাদীস শরীফের মর্মবাণী উপলব্ধি করা আদৌ সম্ভব নয়। কারণ মৃত্যু, দারিদ্র্য ও রোগ-শোকের ভয় আমাদেরকে আখিরাতের প্রতি উদাসীন করে রাখে। তবে মুমিনে কামিল, অর্থাৎ আল্লাহ্ পাক-উনার মাহবুব ওলীগণের নিগূঢ় বিবেচনায় ইন্তিকালের তাৎপর্য একান্তই ভিন্ন প্রকৃতির। আল্লাহ্ পাক-উনার সঙ্গে নৈকট্যের পরিণত ধাপে উপনীত হয়ে অকাট্য বোধ ও বিশ্বাসে জীবদ্দশাতেই তাঁরা প্রত্যয়ী হয়ে উঠেন যে, মৃত্যু সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস ও বিলীন হওয়ার নাম নয়। দৈহিক কাঠামো হতে আত্মা পৃথক হয়ে উভয়ের বিচ্ছেদ হয়ে যাওয়ার নামই হলো ইন্তিকাল। অন্য কথায়, দুনিয়া হতে আখিরাতে স্থানান্তরিত হওয়াকেই ইন্তিকাল বলে। সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, আকরামুল আউয়ালীন ওয়াল আখিরীন, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া  সাল্লাম মৃত্যুর মর্ম ও মহিমা সম্পর্কে ইরশাদ করেছেন, “মুমিনদের উপঢৌকন হলো তাদের মৃত্যু।আল্লাহ্ পাক-উনার দিদার লাভের জন্য ওলীআল্লাহ্গণকে মৃত্যুরূপ সেতু পার হয়ে দুনিয়া থেকে আখিরাতে প্রস্থান করতে হয়। ওলীআল্লাহ্গণের অন্তররাজ্যে ও আখিরাতে যে সব নিয়ামতরাজি দেখা দেয়, ইন্তিকাল তার প্রাথমিক উপকরণ। তাই অধীর আগ্রহে ইন্তিকালের প্রহর গুণতে আল্লাহ্ পাক-উনার মাহবুব ওলীগণের অন্ত থাকেনা।

            ওলীয়ে মাদারজাদ, ফখরুল আউলিয়া, আওলার্দু রসূল, হযরতুল আল্লামা সাইয়্যিদ মুহম্মদ মুখলেছুর রহমান আলাইহিস সালাম-উনার প্রাণের আঁকা মুর্শীদ ক্বিবলা আমীরে শরীয়ত, মাহতাবে তরীক্বত, হাজীউল হারামাইন, হাদীউস্ সাক্বালাইন, মাহিউল বিদ্য়াত, মুহইস্ সুন্নাতিন নুবুবিয়া, নাশিরুল মিল্লাতিল মুস্তাফিয়া, ছদরে জামিয়তে উলামায়ে হানাফিয়া, শাইখুল ইসলাম, ইমামুল হুদা, ক্বাইউমুয্ যামান, কুতুবুল আলম, নায়িবে মুজাদ্দিদ, খলিফাতুল্লাহ, ছাজ্জাদনশীন পীর, পীরে দস্তগীর, পীরে কামিলে মুকামিল, বড় হুযূর ক্বিবলা, আলহাজ্ব, হযরত মাওলানা আবূ নছর মুহম্মদ আব্দুল হাই ছিদ্দীকী ফুরফুরাবী রহমতুল্লাহি আলাইহি ও আল্লাহ্ পাক-উনার দিদারের জন্য এখন ইন্তিকালের প্রহর গুণছেন। তিনি তাঁর বুযুর্গ পিতা হাদীয়ে যামান, ইমামুল মুসলিমীন, মাশায়েখুল মিল্লাত ওয়াদ্দ্বীন, ইমামুল হুদা, কুদওয়াতুস্ সালিক্বীন, যুবদাতুল আরিফীন, ইমামে রব্বানী, ক্বাইউমুয্ যামান, আমীরুশ্ শরীয়ত, ইমামুত তরীক্বত, মুজাদ্দিদুয্ যামান, সিরাজুস্ সালিক্বীন, ফখরুল মুহাদ্দিসীন, হাদীয়ে দাওরান, আফতাবে শরীয়ত, মাহতাবে তরীক্বত, মাহিউল বিদ্য়াত, মুহইস্ সুন্নাহ, শাইখুল মুহাক্কিক্বীন, কুতুবে রব্বানী, মাহবুবে ছুবহানী, দস্তগীর, মুর্শীদে বেনজীর, কুতুবুল আকতাব, মারজাউল খালক্বি ওয়াল মায়াব, গাউসুস্ সাক্বালাইন, ক্বামিউদ্ দালালাত ওয়াল গাওইয়াত, আলা হযরত, আলহাজ্ব, হযরতুল আল্লামা আবূ বকর ছিদ্দীকী ফুরফুরাবী রহমতুল্লাহি আলাইহি-উনার স্থলাভিষিক্ত হয়েছিলেন।  (অসমাপ্ত)

আবা-১০৮