১২ রবিউল আউয়াল শরীফ নিয়ে আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীরের মিথ্যাচারের দাঁতভাঙ্গা জবাব
ঈদে মীলাদুন্নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নিয়ে ওহাবী আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীরের মিথ্যাচারের দাঁতভাঙ্গা জবাব- 
বাংলাদেশে ওহাবী এজেন্ডা বাস্তবায়নের অপপ্রয়াসকারী , কুস্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের কুখ্যাত শিক্ষক আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর পবিত্র ঈদে মীলাদুন্নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নিয়ে নিকৃষ্টভাবে একের পর এক মিথ্যাচার করে যাচ্ছে। সহীহ এবং স্পষ্ট দলীল সমূহকে সে বারবার না দেখার ভান করে সরাসরি অস্বীকার করে যাচ্ছে। এই ইহুদী এজেন্ট জাহাঙ্গীর তার এক লেখায় উল্লেখ করেছে-
/// এভাবে আমরা হাদীস শরীফের আলোকে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের জন্ম বৎসর ও জন্ম বার সম্পর্কে জানতে পারি। কিন্তু রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের কোন হাদীসে তাঁর জন্মমাস ও জন্মতারিখ সম্পর্কে কোন তথ্য পাওয়া যায় না। একারণে পরবতী যুগের আলেম ও ঐতিহাসিকগণ তাঁর জন্মতারিখ সম্পর্কে অনেক মতভেদ করেছেন।
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের জন্মদিন: আলেমগণ ও ঐতিহাসিকদের মতামত:
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের জন্ম তারিখ সম্পর্কে যেহেতু হাদীসে রাসূলের হাদীসে কোন বর্ণনা আসে নি এবং সাহাবীগণের মাঝেও এ বিষয়ে কোন সুনির্দিষ্ট মত প্রচলিত ছিল না, তাই মুসলিম ঐতিহাসিকগণ এ বিষয়ে বিভিন্ন মত পোষণ করেছেন।//
এর পর সে বিভিন্ন ঐতিহাসিক ও আলেমদের নামে পাইকারী মিথ্যাচার করেছে।

তথ্যসূত্রঃ http://tinyurl.com/jz9tj25
সে বলেছে ১২ রবিউল আউয়াল সম্পের্কে নাকি কোন সহীহ সনদ নাই । এমনকি বিখ্যাতি ঐতিহাসিক ইবনে ইসহাক রহমতুল্লাহি আলাইহি সম্পের্কেও সে নিলর্জ্জ মত মিথ্যাচার করেছে। তিনিও নাকি সনদ ছাড়া বর্ননা করেছেন।
ইহুদী এজেন্ট আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীরে মুখোশ খুলে দিতে নিম্নে সহীহ হাদীসের সনদ সহ দলীল দেয়া হলো, যেখানে নবীজী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর আগমন মাস,বার, তারিখ সব স্পষ্ট উল্লেখ আছেঃ
দেখুন সহীহ হাদীস শরীফে হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিলাদত শরীফের তারিখ,বার, মাস সবই বর্ণনা করা আছে । হাফিজে হাদীস হযরত আবু বকর ইবনে আবী শায়বা রহমাতুল্লাহি আলাইহি যেটা বিশুদ্ধ সনদে হাদীস শরীফে বর্ননা করেন-
ﻋﻦ ﻋﻔﺎﻥ ﻋﻦ ﺳﻌﻴﺪ ﺑﻦ ﻣﻴﻦ ﻋﻦ ﺟﺎﺑﺮ ﻭﺍﺑﻦ ﻋﺒﺎﺱ ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻬﻤﺎ ﻗﺎﻝ ﻭﻟﺪ ﺭﺳﻮﻝ ﺻﻠﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭ ﺳﻠﻢ ﻋﺎﻡ ﺍﻟﻔﻴﻞ ﻳﻮﻡ ﺍﻻﺛﻨﻴﻦ ﺍﻟﺜﺎﻧﻲ ﻋﺸﺮ ﻣﻦ ﺷﻬﺮ ﺭﺑﻴﻊ ﺍﻻﻭﻝ
অর্থ : হযরত আফফান রহমাতুল্লাহি আলাইহি হতে বর্নিত,তিনি হযরত সাঈদ ইবনে মীনা রহমাতুল্লাহি আলাইহি থেকে বর্ননা করেছেন যে, হযরত জাবির ও হযরত ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু আনহুমা বলেন, হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিলাদত শরীফ হস্তি বাহীনি বর্ষের ১২ই রবীউল আউয়াল সোমবার শরীফ হয়েছিল।”
দলীল-
√ মুছান্নাফ ইবনে আবী শায়বা
√ বুলুগুল আমানী শরহিল ফতহুর রব্বানী ২য় খন্ড ১৮৯ পৃস্ঠা।
√ বিদায়া ওয়ান নিহায়া ৩ য় খন্ড ১০৯ পৃষ্ঠা , প্রকাশনা- দারূল ফিকর , বৈরূত লেবানন।
উক্ত হাদীস শরীফ এর রাবীগন অত্যান্ত সেকাহ বা বিশস্ত। রবীগনের নাম ও তাদের সম্পর্কে রেজাল বিদগন কি বলেছেন আসুন দেখা যাক। উপরোক্ত হাদীস শরীফের সনদে রাবীগন হচ্ছেন,
–হযরত ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু আনহু।
– হযরত জাবির রদ্বিয়াল্লাহু আনহু
– সাঈদ ইবনে মীনা রহমাতুল্লাহি আলাইহি
– হযরত আফফান রহমাতুল্লাহি আলাইহি
সনদের উপরের দুজনতো সাহাবী উনাদের তে কোন তুলনাই নাই । অপর দুই জন রাবী সাঈদ ইবনে মীনা রহমাতুল্লাহি আলাইহি ও হযরত আফফান রহমাতুল্লাহি আলাইহি সম্পর্কে রেজালের কিতাবে বলা হয়েছে– উচ্চ পর্যায়ের নির্ভযোগ্য ইমাম, সিকাহ, তীক্ষ্ণ স্মরন শক্তি সম্পন্ন, বিশস্ত এবং নির্ভরযোগ্য ,দৃঢ় প্রত্যয় সম্পন্ন ব্যাক্তিত্ব।’’
দলীল-
√ খুলাছাতুত তাহযীব ২৬৮ পৃষ্ঠা
√ ত্বাকরীবুত তাহযীব ২ খন্ড ১২৬ পৃষ্ঠা।
শুধু তাই নয় সহীহ হাদীস শরীফে অন্য সনদেও এ বিষয়ে হাদীস শরীফ উল্লেখ আছে। ইমাম হাকিম নিশাপুরী রহমতুল্লাহি আলাইহি এ প্রসঙ্গে উনার কিতাবে উল্লেখ করেন,
মুহম্মদ বিন ইসহাক রহমতুল্লাহি আলিইহি (তাবেয়ী) বলেন, নবী করিম ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ১২ ই রবিউল আউয়াল শরীফ এর রাতে বিলাদত (জন্ম) লাভ করেন।’’ ইমাম হাকিম ও ইমাম যাহাবী রহমতুল্লাহি আলাইহিম বলেন- উক্ত হাদীস শরীফটি সহীহ।
দলীলঃ
আল মুস্তাদরাকে হাকিম ২য় খন্ড ৬৫৯ পৃস্ঠা , কিতাবুল মানাকিব অধ্যায় , হাদীস নম্বর ৪১৮২।
শুধু তাই নয় পৃথীবির ইতিহাসে সকল নির্ভযোগ্য ইমাম ও ঐতিহাসিকগন একবাক্যে ইজমা করেছেন ‘নবী করিম ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম রবিউল আউয়াল শরীফ মাসের ১২ তারিখ সোমবার তাশরীফ আনেন। এবিষয়ে বিস্তারিত দেখতে এই লেখাটি পড়তে পারেনঃ http://tinyurl.com/nlwlrfq
সূতরাং আমরা দেখতে পেলাম সহীহ হদীস শরীফ এবং ইজমায়ে উম্মত দ্বারা প্রমানিত যে নবীজীর আগমনের বার, মাস, দিন সবই উল্লেখ করা আছে। অথচ তারপরও এই ইহুদী এজেন্ট জাহাঙ্গীর একদম ইচ্ছাকৃতভাবে সেসব গোপন করে স্পষ্ট মিথ্যাচার করেছে। হাদীস শরীফে আছে নবীজী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন‘ যে আমার নামে মিথ্যাচার করলো সে যেন দুনিয়া থাকতেই তার স্থান জাহান্নমে নির্ধারন করে নিলো। (বুখারী শরীফ হাদীস ১১০)
আমরা সবাই জানি যারা হাদীস শরীফ এর ব্যাপারে মিথ্যা বলে, পরবর্তীতে তওবা করলেও হাদীস শরীফের ব্যাপারে তাদের কোন কথা , স্বাক্ষী , কোন বিষয় গ্রহনযোগ্য নয়। (সকল উসূলের কিতাবে দ্রষ্টব্য)
যেহেতু প্রমান হলো আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর সহীহ হাদীস শরীফের ব্যাপারে মিথ্যাবাদী এবং হাদীস শরীফ গোপনকারী তাই তার কোন কথা ,বক্তব্য লেখা গ্রহনযোগ্য নয়।
রাজারবাগ শরীফ উনার পরিচিতি-৫১
রাজারবাগ শরীফ উনার পরিচিতি-৫১
আন্তর্জাতিক চাঁদ দেখা কমিটি রুইয়াতে হিলাল মজলিস গঠনের কারণ এবং এ যাবৎ রুইয়াতে হিলাল মজলিস থেকে যে সকল কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে-
চাঁদ দেখে আরবী মাস শুরু করা নিয়ে শরীয়তে বেশ কিছু মাসয়ালা-মাসায়িল আলোচনা হয়েছে। তবে সকল আলোচনাই হচ্ছে চাঁদ দেখে আরবী মাস শুরু করা এবং কোন মাসে কতজন দেখলে তা গ্রহণযোগ্য হবে সেসব প্রসঙ্গে। চাঁদের আলোচনায় কোন জটিলতা স্থান পায়নি। এর কারণ, চাঁদ দেখে আরবী মাস শুরু করা নিয়ে যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হতে পারে বা কেউ তা পরিকল্পিতভাবে সৃষ্টি করতে পারে তা পূর্ববর্তী মানুষের অনুভূতিতেও জন্ম নেয়নি।
কিন্তু পরবর্তীতে দেখা গেলো চাঁদের তারিখ একদিন হের-ফের করলেই মুসলমানদের অনেক আমল যেমন পবিত্র হজ্জ, দুই পবিত্র ঈদ, বিশেষ দিন এবং রাত সমূহ যেমন শবে বরাত, লাইলাতুল ক্বদর, লাইলাতুর রগায়িব, আখিরী চাহার শোম্বাহ, ১২ই রবীউল আউয়াল শরীফ ইত্যাদি মহান দিন এবং রাত্রিগুলোর ফযীলত থেকে বিরত রাখা যায়। সে কারণেই কাফির-মুশরিকরা অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে কিছু নামধারী মুসলমান মুনাফিক শাসকগোষ্ঠীকে সাথে নিয়ে সেই বিভ্রান্তি সারা পৃথিবীর মুসলমান দেশসমূহে ছড়িয়ে দিচ্ছে।
পনের শতকের সম্মানিত মুজাদ্দিদ, মুজাদ্দিদে আ’যম মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি তাদের ষড়যন্ত্রের এই মুখোশ উন্মোচন এবং সারা বিশ্বের মুসলমানদেরকে সচেতন করার লক্ষ্যে চাঁদ নিয়ে ব্যাপক আলোচনা, লেখা-লেখি, ওয়াজ-নসীহত এমনকি আন্তর্জাতিক চাঁদ দেখা কমিটি গঠন করেছেন।
প্রশ্ন হতে পারে একটি আন্তর্জাতিক চাঁদ দেখা কমিটি গঠনের পেছনে আর কি কারণ থাকতে পারে আর কমিটির নানা কার্যক্রম গ্রহণের নেপথ্যেই বা কি কারণ রয়েছে? এ প্রশ্নের উত্তর অত্যন্ত ব্যাপক। তবুও সংক্ষেপে বলা যায়- পূর্বে মুসলমানদের মধ্যে আরবী মাস গণনার প্রচলন ছিল। ফলে মাস শেষে অর্থাৎ ২৯তম দিনে সচেতনভাবেই চাঁদ দেখে আরবী মাস গণনা করতেন। কিন্তু পরবর্তীতে যখন হিজরী তারিখ গণনার পরিবর্তে গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডারের প্রচলন হলো তখন চাঁদ দেখার সচেতনতা জনসাধারণ থেকে কমে গেলো। তখন মুসলিম দেশগুলোতে সরকারি তরফ থেকে চাঁদ দেখার কমিটি গঠন করা হলো আরবী তারিখের হিসাব রাখার উদ্দেশ্যে। কিন্তু এই চাঁদ দেখা কমিটির চাঁদের তারিখ হিসাব রাখার পদ্ধতি এবং কমিটির সদস্যদের মানসিকতার মধ্যে একটি ব্যাপক পরিবর্তন আসলো ১৯৪৮ সালের পর থেকে। এই পরিবর্তনের নেপথ্য নায়ক ইহুদী মদদপুষ্ট সউদী ওহাবী সরকার।
শরীয়তে স্পষ্ট নির্দেশ রয়েছে মাসের ২৯তম তারিখে চাঁদ তালাশ করতে হবে। চাঁদ দেখা না গেলে মাস ৩০ দিনে পূর্ণ করতে হবে। কিন্তু এই সহজ পদ্ধতি বাদ দিয়ে বিভিন্ন মুসলিম দেশে আরবী মাস গণনা শুরু হতে লাগলো বিভিন্ন মনগড়া পদ্ধতি অনুযায়ী। বিভিন্ন অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল ক্রাইটেরিয়া ব্যবহার হতে লাগলো মাস শুরুর ব্যাপারে। সউদী আরব, যে দেশের দিকে তাকিয়ে থাকে সমস্ত মুসলিম বিশ্ব তাদের ক্যালেন্ডার রচনা করার কর্তৃপক্ষ হচ্ছে ‘উম্মুল কুরা’। এই উম্মুল কুরা চাঁদ দেখে আরবী মাস গণনা না করে একটি নিজস্ব পদ্ধতি তৈরি করে নিয়ে সে অনুযায়ী মাস গণনা করে যাচ্ছে। অনেকের পক্ষেই বিষয়টি গ্রহণ করা কঠিন হলেও এটা সত্য সউদী আরব দীর্ঘ কয়েক যুগ ধরে সঠিক তারিখে মাস গণনা না করার কারণে পবিত্র হজ্জসহ মুসলমানদের অনেক আমল নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। অথচ প্রতিবাদ করার কেউ নেই। আমাদের দেশেও আরবী মাস শুরু নিয়ে বিভ্রান্তি করার চেষ্টা করেছিল দেশের তথাকথিত এক মুফতী। সামগ্রিকভাবে সকল বিষয়গুলো লক্ষ্য রেখে দেশের মুসলমানদের আমলের সুবিধার্থে আরবী মাসের সঠিক তারিখ জানাবার উদ্দেশ্যে এই আন্তর্জাতিক চাঁদ দেখা কমিটি ‘মাজলিসু রুইয়াতিল হিলাল’ গঠন করা হয়েছে। ১৪২৭ হিজরী সনের পবিত্র যিলহজ্জ মাস থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে রুইয়াতে হিলাল মজলিসের জন্ম। প্রথম দিকে এটি জাতীয় পর্যায়ে কার্যক্রম চালিয়ে যেতে থাকে। পরবর্তীতে আন্তর্জাতিকভাবে কার্যক্রম শুরু করে।
এ যাবৎ রুইয়াতে হিলাল মজলিস থেকে যে সব কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে, সে সবের বিবরণ :
১। দৈনিক পত্রিকাসমূহের মধ্যে একমাত্র বিশ্বে বহুল পঠিত দৈনিক আল ইহসান শরীফ পত্রিকাতেই রুইয়াতে হিলাল মজলিসের যিনি প্রতিষ্ঠাতা এবং পৃষ্ঠপোষক মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার ক্বওল শরীফ-এর আলোকে ব্যানার হেডিং প্রকাশ করা হয়।
২। রুইয়াতে হিলাল মজলিসের যিনি সম্মানিত প্রতিষ্ঠাতা ও পৃষ্ঠপোষক যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ, মুজাদ্দিদে আ’যম মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার মুবারক নির্দেশে মাসিক আল বাইয়্যিনাত শরীফ-এ নিয়মিত চাঁদ বিষয়ে লেখা প্রকাশিত হয়ে আসছে।
৩। চাঁদ বিষয়ে সাধারণ মানুষকে ধারণা দেবার উদ্দেশ্যে রেসালা প্রস্তুত করা হয়েছে।
৪। প্রথম হিজরী ক্যালেন্ডার প্রকাশ করা হয়েছে।
৫। রুইয়াতে হিলাল মজলিস শরীয়ত সম্মত পদ্ধতিতে চাঁদ দেখার রিপোর্ট সংগ্রহ করে। বাইনোকুলার এবং টেলিস্কোপে চাঁদ দেখার রিপোর্ট গ্রহণ করা হয় না।
৬। দেশের ৬৪টি জেলায় রুইয়াতে হিলাল মজলিসের প্রতিনিধি রয়েছেন যারা শরীয়তের পাবন্দ।
৭। রুইয়াতে হিলাল মজলিস বিভিন্নভাবে লেখা এবং ই-মেইলের মাধ্যমে সউদী ওহাবী সরকারকে সতর্ক করার চেষ্টা করেছে।
৮। আন্তর্জাতিক কমিটি হওয়াতে বিদেশী মেম্বারদের রিপোর্ট সংগ্রহ করা হয় এবং অন্যান্য আন্তর্জাতিক কমিটির সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করা হয়।
৯। রমাদ্বান শরীফ-এ আলাদা সময় সূচি প্রকাশ করতে সার্বিক সহায়তা প্রদান করে থাকে।
১০। বিভিন্ন ঐতিহাসিক ঘটনার দিন-তারিখ বিশ্লেষণ কার্যক্রম নিয়ে থাকে।
১১। মানুষকে সচেতন করার লক্ষ্যে চাঁদের উপর সিডি প্রকাশ করা হয়েছে।
১২। বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষাদানের উদ্দেশ্যে চাঁদ বিষয়ে সিলেবাস প্রণয়ন করা হয়েছে।
১৩। প্রামাণ্য চিত্রসহ চাঁদ বিষয়ে আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে এবং হতে থাকবে।
১৪। সউদী আরবের মাস গণনার পদ্ধতির ত্রুটির উপর প্রমাণাদি উপস্থাপন করা হয়েছে।
১৫। বিশ্বে প্রথম নামাযের সময় সূচিতে ইশরাক, চাশত এবং তাহাজ্জুদ ওয়াক্ত সন্নিবেশন করা হয়েছে।
১৬) দেশ ও আন্তর্জাতিকভাবে ছড়িয়ে দেবার লক্ষ্যে জাতীয় প্রেস ক্লাবে সেমিনার করা হয়েছে এবং আরও করার প্রক্রিয়া চলছে এবং চলবে ইনশাআল্লাহ্‌।
রুইয়াতে হিলাল মজলিসের প্রতিষ্ঠাতা যেহেতু যামানার মুজাদ্দিদ, মুজাদ্দিদে আ’যম মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম; সেহেতু বিশ্বব্যাপী এর গ্রহণযোগ্যতা ব্যাপক হারে বাড়ছে। প্রায় প্রতি মাসে বিশেষ করে যে সকল মাসগুলোতে ফযীলতপূর্ণ বিশেষ দিন এবং রাত থাকে সে দিন এবং রাতগুলো সঠিকভাবে পালন করার জন্য আমল করার জন্য দেশ বিদেশ থেকে অসংখ্য-অগণিত মানুষ ফোনের মাধ্যমে সঠিক তারিখ জেনে থাকেন। ফলে রুইয়াতে হিলাল মজলিসের সদস্য হওয়া, এর কার্যক্রম সহায়তা করা মূলত সদকায়ে জারিয়ার কাজে সহযোগিতা করা। মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদের সবাইকে এর কার্যক্রমে সফল ভূমিকা রাখার তাওফীক দান করুন। (আমীন)
রাজারবাগ শরীফ উনার পরিচিতি-৫০
রাজারবাগ শরীফ উনার পরিচিতি-৫০
মাজলিসু রুইয়াতিল হিলাল গঠনের উদ্যোগ ও গুরুত্ব
মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র কুরআন শরীফ-এ ইরশাদ করেন, “তারা আপনাকে বাঁকা চাঁদ সম্পর্কে প্রশ্ন করে। আপনি বলুন, এটি মানুষের জন্য সময় নির্ধারণ ও হজ্জের সময় ঠিক করার মাধ্যম।” কুরআন শরীফ-এ স্পষ্টভাবে বাঁকা চাঁদকে সময় নির্ধারণ করার মাধ্যম বলে উল্লেখ করা হয়েছে। অমাবস্যার চাঁদ, জোছনার চাঁদ, অর্ধ চন্দ্র, সূর্যাস্তের কিছু পূর্বে ডুবে যাওয়া চাঁদ, নির্দিষ্ট বয়সের চাঁদ এসবের উল্লেখ করা হয়নি। অথচ আজকাল ইহুদীদের মদদপুষ্ট খারিজী, রাফিজী, সালাফী, ওহাবী গং কুরআন শরীফ-এর এই আয়াত শরীফ-এর মনগড়া ব্যাখ্যা করে তাদের বানানো নিয়মে মাস শুরু করে যাচ্ছে। আরবী মাসের ২৯তম তারিখে চাঁদ তালাশ করা এবং কোন কারণে চাঁদ দেখা না গেলে মাস ৩০ দিনে পূর্ণ করা শরীয়তের নির্দেশ। এছাড়াও হাদীছ শরীফ-এ ইরশাদ হয়েছে, “তোমরা চাঁদ দেখে রোযা শুরু কর এবং চাঁদ দেখে ঈদ কর।”
তবে শুধু শা’বান, রমাদ্বান শরীফ, শাওওয়াল এবং যিলহজ্জ শরীফ-এ চাঁদ তালাশ করা ওয়াজিবে কিফায়া- এ ফতওয়াটি আম ফতওয়া। খাছ ফতওয়া হচ্ছে- প্রতি মাসেই চাঁদ তালাশ করা ওয়াজিবে কিফায়া। প্রতি মাসেই মুসলমানদের জন্য রয়েছে বিশেষ বিশেষ কিছু দিন এবং রাত। আর সে কারণে চাঁদ না দেখে মনগড়া তারিখে আরবী মাস শুরু করা কবীরা গুনাহ। এখানে একটি বিষয় অনেক গুরুত্বপূর্ণ তা হচ্ছে, প্রতি মাসেই চাঁদ তালাশ করা ওয়াজিবে কিফায়া। কিন্তু সঠিক তারিখে মাস শুরু করা ফরয। কেননা সঠিক তারিখে মাস শুরু না হলে অনেক ফরয-ওয়াজিব ইবাদত পালনে ত্রুটি হবে। যেমন রোযা, হজ্জ, দুই ঈদের নামায ইত্যাদি। কাজেই প্রতি মাসে নতুন চাঁদ তালাশ করা শরীয়তে ওয়াজিবে কিফায়া। আর চাঁদ না দেখে মনগড়া তারিখে রোযা শুরু করা ও ঈদ করা কঠিন কবীরা গুনাহ।
সউদী ওহাবী সরকারের বানানো মনগড়া ক্যালেন্ডারের অনুসরণের কারণে প্রতি বছর হজ্জ বাতিল হচ্ছে, রোযা নষ্ট হচ্ছে, ঈদ বাতিল হচ্ছে। সউদী আরব ছাড়াও অনেক মুসলিম দেশেও চাঁদ দেখে আরবী মাস শুরু হচ্ছে না। চাঁদের তারিখ হের-ফের করে সহজেই মুসলমানদের আমল নষ্ট করা যায়। তাই মুনাফিকদের সাথে নিয়ে কাফির-মুশরিকরা সারা বিশ্বে চাঁদ দেখে আরবী মাস শুরু করার শরীয়তের পদ্ধতির পরিবর্তে তাদের বানানো পদ্ধতি চাপিয়ে দিচ্ছে। এ ব্যাপারে এখনও বিশ্বের অধিকাংশ মুসলিম দেশের মুসলমানগণ উদাসীন। মুসলমানদের আমল হিফাজতের জন্য, সচেতনতার জন্য আমাদের দেশে এবং বিদেশে চাঁদ দেখে সঠিক তারিখে আরবী মাস শুরু করার অভিপ্রায় নিয়ে তৈরি করা হয়েছে আন্তর্জাতিক চাঁদ দেখা কমিটি “রুইয়াতে হিলাল মজলিস”।
রাজারবাগ শরীফ উনার পরিচিতি-৪৯
রাজারবাগ শরীফ উনার পরিচিতি-৪৯
সুমহান বিশেষ নাত শরীফ প্রকাশের উদ্যোগ ও প্রচারের গুরুত্ব
যেহেতু সঙ্গীত সম্মানিত ইসলাম উনার মাঝে নিষিদ্ধ কিন্তু হামদ শরীফ, নাত শরীফ শোনা সুন্নত এবং জায়িয তাই মানুষের জন্য, সমাজের জন্য, জাতির জন্য, দেশের জন্য রহমত, বরকত, কল্যাণ বয়ে নিয়ে আসার জন্য পনেরো শতকের সম্মানিত মুজাদ্দিদ হযরত মুজাদ্দিদে আযম আলাইহিস সালাম তিনি নাতু উম্মু রাসূলিনা সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মুসলমান উনার ব্যাপক প্রচারের লক্ষ্যে বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহন করেন। সুবহানা মামদুহ হযরত মুরশিদ কিবলা আলাইহিস সালাম। আমরা সে বিষয়েই সংক্ষিপ্ত আলোচনা করবো ইনশাআল্লাহ্‌।
নাত শরীফ কি?
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত নিয়ে লিখিত কবিতাই মূলত নাত-এ রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। নাত শরীফ লিখেছেন হযরত ছাহাবায়ে ক্বিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুমগণ, হযরত আউলিয়া ক্বিরামগণ এবং অনেক পরহেজগার মুমিন মুমিনাগণ।
বিশেষ নাত শরীফ কি?
বিশেষ নাত শরীফ মূলত নাত শরীফ অর্থাৎ লিখিত হয়েছে সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার শান মান প্রকাশের উদ্দেশ্যে। তবে তা রচনা করেছেন যিনি খাইরুল উম্মাহাত, ত্বহিরা, ত্বইয়্যিবাহ, মুনাওওয়ারাহ, সাইয়্যিদাতুন নিসায়ি আলাল আ'লামীন হযরত আমিনা আলাইহাস সালাম যিনি নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত মাতা। তিনি মহান আল্লাহ পাক উনার মনোননীতা লক্ষ্যস্থল ওলীআল্লাহ এবং ইলমে গাইব তথা অদৃশ্যে ইলম উনার অধিকারীনি ছিলেন।মহান আল্লাহ পাক উনার প্রদত্ত ইলমে গাইব উনার মাধ্যমে রচনা করেন বিশেষ মর্যাদা সম্পন্ন বিশেষ নাত শরীফ।
কি রয়েছে এই বিশেষ নাত শরীফ উনার মধ্যেঃ
সাইয়্যিদাতুন নিসায়ি আলাল আ'লামীন হযরত আমিনা আলাইহাস সালাম তিনি ইলমে গাইব তথা ইলহাম-ইলকা উনার মাধ্যমে স্বীয় আওলাদ পাক নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সুমহান শান সম্পর্কে উনার সুমহান জীবন মুবারক প্রসঙ্গে বাণীগুলো আগাম কবিতার ভাষায় ব্যক্ত করেছিলেন। যার বাস্তবতা পরবর্তিতে পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ এবং উনার সমগ্র যিন্দিগী মুবারকে আমরা লক্ষ্য করি। তিনি উনার পবিত্র বিছাল শরীফ গ্রহণ করার কয়েকদিন পূর্বে (আবৃত্তি) করেছিলেন। যা আল্লামা হযরত জালালুদ্দীন সুয়ূতি শাফিয়ী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি উনার কিতাবুল আ’যীম ওয়াস সুন্নাহ কিতাবে সঙ্কলন করেছেন।” এই নাত শরীফ মূলত ইলমে গায়িব উনার সূস্পষ্ট দলীল।
এই বিশেষ নাত শরীফ যখন পাঠ করা হয় তখন নিসবত হয় খাইরাতুল উম্মাহাত, ত্বহিরা, ত্বইয়্যিবাহ, হযরত আমিনা আলাইহাস সালাম উনার সঙ্গে এবং খাছ করে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সঙ্গে।
এই সুমহান নাত শরীফ লিখিত হয়েছে ১৫০০শ বছর আগে। কিতাবে সঙ্কলনের দিক থেকে আমরা দেখতে পাই হযরত জালালুদ্দীন সুয়ূতী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি উনার কিতাবুল আ’যীম ওয়াস সুন্নাহ” কিতাবে সঙ্কলনে করেছেন তাও সঙ্কলন হয়েছে ৮৪৯-৯১১ হিজরি সালে। তখন থেকে কিতাবে রয়েছে কিন্তু এই বিশেষ নাত শরীফ পাঠ করে, পাঠের মাধ্যমে রহমত, বরকত হাছিল করার বিষয়টি, নিসবত হাছিলের বিষয়টি যিনি সর্বকালের, সর্বযুগের সর্বশ্রেষ্ঠ মুজাদ্দিদ, মুজাদ্দিদে আ’যম আলাইহিস সালাম তিনি ছাড়া কেউ তা উপলব্ধি করতে পারেনি এবং এই নাত শরীফ পাঠের কোন আয়োজন হয়নি। তিনি সর্বপ্রথম ব্যাপকভাবে এই বিশেষ নাত শরীফ পাঠের এবং শোনার সুযোগ করে দিয়েছেন। সুবহানাল্লাহ! শুধু তাই নয়। আরবীতে লিখা বিশেষ নাত শরীফ হয়তো সকলের উপলব্ধির গভীরে পৌছেনা তাই তিনি এই নাত শরীফ উনার কাব্যানুবাদ বাংলা এবং ইংরেজী উভয় ভাষায় রচিত হবার সুযোগ সৃষ্টি করে দিয়েছেন অর্থাৎ পৃথিবীর যে কোন ভাষা-ভাষী মানুষ তা অনুবাদ করে নিয়ে পাঠ করতে পারে তার দিগন্ত উম্মোচন করেছেন।
যদি বিশেষ নাত শরীফ সর্বত্র প্রচলিত হয় তবে তা হবে মানুষের জন্য হবে আরও কল্যাণকর।কারণ বিশেষ নাত শরীফ পাঠের মাধ্যমে
১। আল্লাহ পাক উনার রহমত বর্ষিত হয়।
২। মহান আল্লাহ পাক উনার স্বরণ হয়।
৩। ইলমে গায়িবের বিষয়ে মানুষের মধ্যে ফিকির তৈরী হয়।
৪। সাইয়্যিদাতুন নিসায়ি আলাল আ'লামীন হযরত আমিনা আলাইহাস সালাম উনার শ্রেষ্ঠত্বের কথা স্মরণ হয়।
৫। সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সঙ্গে নিসবত তৈরি হয়।
৬। আমাদের অস্তিত্বের কথা স্বরণ হয়।
৭। (فليفرحوا) ফাল-ইয়াফরাহু অর্থাৎ খুশী প্রকাশ করা হয় আর আমাদের স্মরণ হয় সর্বপ্রথম খুশি প্রকাশ করেছেন নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত মাতা ।
আমাদের যে অনন্তকালের সাইয়্যিদুল আইয়াদ শরীফ পালন , খুশী প্রকাশ করা তা এই পবিত্র বিশেষ নাত শরীফ উনার মাধ্যমেই শুরু হয়ে গিয়েছে।
এখন এই সূক্ষ্ম বিষয়ের প্রচলনকারী যিনি, তিনি হচ্ছেন যামানার ইমাম ও মুস্তাহিদ মুজাদ্দিদে আ’যম মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম। আমরা বলেছি এই নাত শরীফ আগেও ছিল কিন্তু প্রচলিত ছিলোনা। একটি বিষয় সত্য, কেউ চাইলেই তা প্রচলন করতে পারবে না। যিনি নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সঙ্গে গভীরভাবে নিসবত যুক্ত উনি ছাড়া এই বিষয়ের ফিকির কারো পক্ষে করা সম্ভব নয়। সবার দ্বারা সব কাজ হয়নি,হয়না আর হবেও না। কোন কিছু জারী করার জন্য বা জারী রাখার জন্য মহান আল্লাহ পাক এবং উনার হাবিব নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের কাছে কবুলকৃত হতে হয় । কিয়ামত পর্যন্ত বিশেষ নাত শরীফ পাঠের এই প্রচলন জারী থাকবে। ইনশাআল্লাহ!
যদি দাড়িয়ে জাতীয় সঙ্গীত পাঠ করতে হয় দেশের সম্মানের জন্য,তাহলে বিশেষ নাত শরীফ শুনতে হবে, পাঠ করতে হবে কতটা আদবের সঙ্গে তা বলার আর অপেক্ষাই রাখে না। তাই সুন্নতি জামে মাসজিদে প্রতিদিন বাদঃ ইশার নামাজ আদায়ের পর এই বিশেষ নাত শরীফ আরবীতে পাঠ করা হয় এবং পাঠের পূর্বে একটি ঘোষণাও দেয়া হয় যাতে যারা কাছে বা দূরে থেকে শুনবেন উনারা যেন পরিপূর্ণ আদব উনার সাথে তা শুনেন এবং প্রয়োজনে তা সাথে সাথে পাঠ করেন। আর যারা পবিত্র দরবার শরীফে বিশেষভাবে মাসজিদে অবস্থান করেন উনারা দাঁড়িয়ে এই বিশেষ নাত শরীফ শুনে থাকেন। সুনহানাল্লাহ। এই বিশেষ নাত শরীফ উনার সার্বিক প্রচলনে মূলত মুজাদ্দিদে আ’যম মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার অত্যন্ত গভীর, হিকমতপূর্ণ, সূক্ষ্ম তাজদীদ মুবারক উনার অন্তর্ভূক্ত।
মহান আল্লাহ পাক তিনি যেন আমাদেরকে মুজাদ্দিদে আ’যম মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার তাজদীদী কাজ উনার মধ্যে শরীক করে নেন। আদবের সঙ্গে আমল করার তওফীক দান করেন এবং যিনি আমাদের ঈমান বাঁচানোর উদ্দেশ্যে তা জারী করছেন উনার গোলামীতে আজীবন থাকার তাওফীক দান করেন। আমিন।
রাজারবাগ শরীফ উনার পরিচিতি-৪৮
রাজারবাগ শরীফ উনার পরিচিতি-৪৮
ঝ) দান বাক্স ও হাদিয়া বাক্সের প্রচলন ও সম্প্রসারণ
পনেরো শতকের সম্মানিত মুজাদ্দিদ হযরত সাইয়্যিদে মুজাদ্দিদে আযম আলাইহিস সালাম উনার এক অনবদ্য তাজদীদ মুবারক হচ্ছে দান বাক্সের প্রচলন। সুবহানা মামদুহ হযরত মুরশিদ কিবলা আলাইহিস সালাম।
কোথাও যাচ্ছেন, পথে একটা দুর্ঘটনা থেকে বেঁচে গেলেন। অথবা একটা দুঃস্বপ্ন দেখে চিৎকার দিয়ে জেগে উঠলেন, তখন আপনার নিকটজন বিশেষ করে মা বাবা হয়তো বলবেন সদকা করে দিও। এই সদকা হতে পারে খাসি, মুরগী এরকম কিছু। কিন্তু বর্তমান সমাজের ১০ ভাগ মানুষের সদকার প্রতি বিশ্বাস নেই। ৩০ ভাগ মানুষের জানের বিনিময়ে জান সদকা করার বিষয়টি জানা থাকলেও সদকা না দেয়ার অভ্যাসের কারণে বা কাকে, কোথায় দিতে হবে এসব ভাবতে ভাবতে সদকা করতে ভুলে যান। আর ৬০ ভাগ মানুষ সদকা আদায় করলেও ৬০ ভাগের মাত্র ১০ ভাগ সঠিক জায়গায় সদকা পৌছাতে পারেন।
যারা সদকা করা বিশ্বাস করেন না তাদের জন্য আমার আলোচনা নয়।
যারা সদকা দেয়ার গুরুত্ব বিশ্বাস করেন কিন্তু দিতে ভুলে যান তাদের বলছি, একটা খাসী বা মুরগী কিনেই শুধু সদকা করতে হয় তা কিন্তু নয় আপনি সমপরিমাণ টাকাও দান করতে পারেন। আর সদকা দেবার উত্তম জায়গা হচ্ছে লিল্লাহ বোর্ডিং যুক্ত মাদরাসা এতিম খানা। ফলে সদকা দেয়ার বিষয় ভুলে না গিয়ে দ্রুত আদায় করে নেয়া উত্তম।
৬০ ভাগের মাত্র ১০ ভাগ মানুষ সঠিক জায়গা দিতে পারেন অর্থাৎ যে ৫০ ভাগ মানুষ ভুল জায়গা দিয়ে থাকেন তার অর্থ হচ্ছে যে সব মাদ্রাসায় লিল্লাহ বোর্ডিং নেই সেখানে বা অন্য কোথাও পৌছিয়ে থাকে।আবার যেসব মাদরাসা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত সেখানেও সদকা দিলে তা আদায় হবে না।
দান সদকা করার সহজ পথঃ
হাদিস শরীফ উনার মাঝে ইরশাদ মুবারক হয়েছে "সফরে যাবার পূর্বে কেও দান করে বের হলে সফর থেকে প্রত্যাবর্তন পর্যন্ত ফিরিশতা আলাইহিমুস সালাম উনাকে পাহারা দিয়ে ফিরিয়ে নিয়ে আসেন"।
সুতরাং আপনি ঘরে একটি দান বাক্স রাখতে পারেন । ঘর থেকে বের হবার সময় দান করতে চাইলে তখন ফকির , মিসকিন, এতিম খানা কোথায় পাবেন? ফলে আপনি যদি একটি দান বাক্স বাসায় রাখেন তাহলে বের হবার সময়, দুঃস্বপ্ন দেখে দেখে ঘুম থেকে উঠার পর, ভাল কিছু করার আগে নিয়ত করে সেখানে ফেলতে পারেন। দান বাক্সের ফযিলত নিয়ে হযরত মুজাদ্দিদে আযম আলাইহিস সালাম তিনি বলেন,
১) যিনি দানশীল তিনি আল্লাহ পাক উনার বন্ধু। তাহলে দান বাক্স রাখার মাধ্যমে আল্লাহ পাক উনার বন্ধু হবার সুযোগ পাওয়া যায়।
اَلسَّخِىُ حَبِيْبُ الله وَلَوْ كَانَ فَاسِقًا اَلْبَخِيْلُ عَدُوُّ الله وَلَوْ كَانَ عَابِدًا
অর্থ: দানশীল আল্লাহ পাক উনার বন্ধু যদিও সে ফাসিক হোক না কেন । আর বখীল আল্লাহ পাক উনার শত্রু যদিও সে আবিদ হোক না কেন ।
২) সচ্ছলতাঃ বৃদ্ধি পায় কমপক্ষে ৭০০ গুণ।
যা দান করা হবে মহান আল্লাহ পাক তা ৭ গুন, ৭০০ গুন এভাবে বাড়িয়ে প্রতিদান দেবেন। নিয়তের বিশুদ্ধতার উপর সওয়াবের পরিমাণ নির্ভর করে।
كَمَثَلِ حَبَّةٍ أَنبَتت سَبْعَ سَنَابِلَ فِي كُلِّ سُنبُلَةٍ مِّائَةُ حَبَّةٍ ۗ وَاللهُ يُضَاعِفُ لِمَن يَشَاءُ ۗ وَاللهُ وَاسِعٌ عَلِيمٌ
অর্থ: “যারা মহান আল্লাহ পাক উনার পথে ধন-সম্পদ ব্যয় করে তাদের উদাহরণ হলো সেই শস্য দানার মতো যা থেকে গজায় সাতটি শীষ, প্রত্যেকটি শীষে ১০০টি করে দানা (উৎপন্ন) হয়। আর মহান আল্লাহ পাক তিনি যাকে চান বহুগুণে বাড়িয়ে দেন। মহান আল্লাহ পাক তিনি প্রাচুর্য্যময়, প্রশস্ত, সর্বজ্ঞানী।” (পবিত্র সূরা বাক্বারা শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ২৬১)
৩) দানশীলতা আত্মার একটি গুন। দান বাক্সে অর্থ রাখার মাধ্যমে সে গুন বিকশিত হয়। সাখাওয়াতের মাধ্যমে হাবীবুল্লাহ হওয়া যায়।
৪) দান বাক্সে টাকা রাখার মাধ্যমে নিজেকে ফিরিশতা আলাইইমুস সালাম উনাদের দ্বারা সুরক্ষিত হওয়া যায়। দান করে ঘরের বাইরে বের হলে, প্রত্যাবর্তন না করা পর্যন্ত পথের নিরাপত্তার জন্য ২ জন হযরত ফিরিশতা আলাইহিমুস সালাম নিযুক্ত থাকেন।
৫) কোন দুঃস্বপ্ন দেখে দান বাক্সে টাকা ফেলে সেই স্বপ্নকে ভাল দিকে নিয়ন্ত্রণ করার সুযোগ পাওয়া যায়। সাধারণভাবে বলা হয় প্রথম স্বপ্নের যে তাবির করা হয় তাই ফলে সে কারণে কেও কারো কাছে স্বপ্ন ব্যাখ্যা করলে বলতে হয় যা দেখেছেন উত্তম দেখেছেন। তাহলে দান করা হলে মহান আল্লাহ পাক চাহেনতো সেই স্বপনের ফল ভাল হবে।
৬) জমাকৃত টাকা মুহম্মদিয়া জামিয়া শরীফ মাদরাসা ও এতিমখানায় পাঠালে তখন তা পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ জায়গায় পাঠানো হল।
৭) দান বাক্সে টাকা ফেললে বালা-মুছিবত দূর হয়।
الصدقة ترد البلاء
অর্থ : “দান-ছদকা বালা-মুছীবত দূর করে।” (দারিমী শরীফ, মিশকাত শরীফ)
৮) মাল-সম্পদ বৃদ্ধি হয়।
ما نقصت صدقة من مال
অর্থ: দানে সম্পদ কমেনা। (মিশকাত শরীফ)
৯) রিযিকের সংকির্ণতা দূর হয়
وَمَن قُدِرَ عَلَيْهِ رِزْقُهُ فَلْيُنفِقْ مِمَّا آتَاهُ اللَّـهُ ۚ لَا يُكَلِّفُ اللَّـهُ نَفْسًا إِلَّا مَا آتَاهَا ۚ سَيَجْعَلُ اللَّـهُ بَعْدَ عُسْرٍ يُسْرًا ﴿٧﴾
অর্থ: কেউ যদি মনে করে তার রিযিকে সংকির্ণতা রয়েছে তাহলে সে যেন মহান আল্লাহ পাক উনার রাস্তায় খরচ করে। মহান আল্লাহ পাক তিনি সাধ্যের বাইরে কাউকে কষ্ট দেননা। অচেরই মহান আল্লাহ পাক তাকে স্বচ্চলতা দান করবেন। (পবিত্র সূরা: আত তলাক্ব; আয়াত শরীফ-৭)
১০) যে কোন ভালো কাজ শুরু করার আগে দান বাক্সে টাকা ফেললে বরকত লাভ হয়।
১১) রোগ-বালাই থেকে মুক্তি লাভ করা যায়
১২) নেক মাকছুদ পুরণ হয়।
১৩) পবিত্রতা অর্জন হয় : হারাম থেকে বেঁচে থাকা, মাল-সম্পদ হারাম থেকে পবিত্র হয় ।
خُذْ مِنْ أَمْوَالِهِمْ صَدَقَةً تُطَهِّرُهُمْ وَتُزَكِّيهِم بِهَا وَصَلِّ عَلَيْهِمْ ۖ إِنَّ صَلَاتَكَ سَكَنٌ لَّهُمْ ۗ وَاللهُ سَمِيعٌ عَلِيمٌ
পবিত্র সূরা তওবা শরীফ-পবিত্র আয়াত শরীফ ১০৩
১৪) হযরত ফেরাশতা আলাইহিস সালাম প্রতিদানের জন্য দোয়া করেন (বুখারী শরীফ ও মুসলিম শরীফ)
আপনার করনীয়ঃ
১) একটি দান বাক্স নিজ উদ্যোগে সংগ্রহ করতে হবে।
২) সেখানে দান করার নিয়তে টাকা ফেলার অভ্যাস গড়তে হবে।
৩) প্রতি মাসে মুহম্মদিয়া জামিয়া শরীফ মাদরাসা ও এতিমখানায় টাকা পাঠানোর বা দান বাক্স পাঠাবার ব্যবস্থা করতে হবে।
৪) অন্যদের উৎসাহিত করার লক্ষ্যে একটি তালিকা করে উনাদের দান বাক্সের ফযিলত সম্পর্কে বলার অভ্যাস করতে হবে।
৫) মাস শেষে আপনার দান বাক্স সহ অন্য যাদের দান বাক্স দেয়া হয়েছে তা পৌছানোর ব্যবস্থা করতে হবে।
বিশেষভাবে স্মরণীয়ঃ আজকে কোয়ান্টাম সহ বিভিন্ন বাতিল আকিদার লোক মানুষের বাসায়, বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে তাদের মাটির ব্যঙ্ক দিয়ে যাচ্ছে এতে নীচের ক্ষতি গুলো হচ্ছে
১) মানুষের টাকা বাতিলদের কাছে যাচ্ছে যা দ্বারা ইসলাম উনার ক্ষতি সাধিত হচ্ছে।
২) যারা হকদ্বার উনারা বঞ্চিত হচ্ছেন।
৩) আপনি দান বাক্স না রাখার কারণে আপনার ভাই বা বন্ধু বা ব্যবসায়িক পার্টনার তিনি অন্য বাতিলদের বাক্স এনে রেখে দিচ্ছে। ফলে এই দান বাক্সের গুরুত্ব আমাদের উপলব্ধি করতে হবে এবং এই বিষয়ে কাজ করার জন্য সচেষ্ট হতে হবে।
রাজারবাগ শরীফ উনার পরিচিতি-৪৭
রাজারবাগ শরীফ উনার পরিচিতি-৪৭
বাইতুল-মাল
বাইতুল-মাল বা ট্রেজারি (Treasury) এক বিশাল দফতর যা খিলাফত ব্যবস্থার এক অপরিহার্য অংশ হিসেবে সকল অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের আনজাম দেয়ার সাথে জড়িত। মুসলমান উনাদের সকল চাহিদা পূরন সহ খিলাফতের সমস্ত আয় ও ব্যয়ের জন্যও দায়িত্বশীল। মাসজিদ, মাদরাসা, এতিমখানা, ভূমি, দালানকোঠা ইত্যাদি তৈরি সহ সার্বিক কাজের আনজাম দেয়া হত বাইতুল মাল থেকে।
বাইতুল মাল প্রথম প্রতিষ্ঠিত হয় নিম্নোক্ত আয়াতশরীফখানি নাযিল হবার পর:
يَسْأَلُونَكَ عَنِ الْأَنْفَالِ قُلِ الْأَنْفَالُ لِلَّهِ وَالرَّسُولِ فَاتَّقُوا اللَّهَ وَأَصْلِحُوا ذَاتَ بَيْنِكُمْ وَأَطِيعُوا اللَّهَ وَرَسُولَهُ إِنْ كُنْتُمْ مُؤْمِنِينَ
“তারা আপনার কাছে আনফাল (যুদ্ধলব্ধ সম্পদ) প্রসঙ্গে প্রশ্ন করে। আপনি বলে দিন, আনফাল হল আল্লাহপাক এবং উনার রসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উনাদের । অতএব, তোমরা আল্লাহপাক উনাকে ভয় কর এবং নিজেদের মধ্যকার অবস্থা সংশোধন করে নাও। আর আল্লাহপাক এবং উনার রসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উনার হুকুম মান্য কর, যদি ঈমানদার হয়ে থাক।” [আল-আনফাল ১] এই আয়াত শরীফখানি মূলত নাযিল হয় বদরের যুদ্ধ পরবর্তী প্রেক্ষাপটে। এই আয়াত শরীফ সম্মানিত বদরের জিহাদের সময় নাযিল হয়েছে।
পনেরো শতকের সম্মানিত মুজাদ্দিদ হযরত মুজাদ্দিদে আযম আলাইহিস সালাম তিনি নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযুর পাক সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উনার পরিপূর্ণ সুন্নত জারী করার লক্ষ্যে সম্মানিত বাইতুল মাল প্রতিষ্ঠা করেন। সম্মানিত বাইতুল মালের কার্যক্রম পবিত্র দরবার শরীফ উনার মাঝে অনেক আগে থেকেই চলছে তবে বর্তমানে এর কার্যক্রম অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। মহান মুজাদ্দিদে আযম আলাইহিস সালাম তিনি মানুষকে নাজাত দেয়ার লক্ষ্যে, মালি বন্দেগিতে শরীক থেকে বখিলতার মত আত্মিক রোগ দূর করার জন্য বিশেষভাবে খাস সুন্নত মুবারক জারী করার লক্ষ্যে এই বাইতুল মাল শরীফ চালু করেন।
এযাবৎ দেশে প্রায় হাজার হাজার মাসজিদ-মাদরাসা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে এবং সারা পৃথিবীতে কোটি-কোটি মাসজিদ মাদরাসা প্রতিষ্ঠার সাথে যাতে মানুষ সম্পৃক্ত থাকতে পারেন এমনকি পূর্বপুরুষের নামে দান করে তাদের আমল নামাতেও সওয়াব লেখাতে পারেন সেই লক্ষ্যে তিনি এই বাইতুল মালের কার্যক্রমকে এগিয়ে নিয়ে যাবার জন্য উৎসাহিত করে চলেছেন।
রাজারবাগ শরীফ উনার পরিচিতি-৪৬
রাজারবাগ শরীফ উনার পরিচিতি-৪৬
ছ-১) কেন্দ্রীয় লাইব্রেরী এবং দেশব্যাপী লাইব্রেরী প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ-২
বিভিন্ন অঞ্চলে গিয়ে বিভিন্ন ব্যাক্তি এবং প্রকাশনী থেকে কিতাব সংগ্রহ করে তা ফটোকপির মাধ্যমে সংগ্রহে রাখার মহান উদ্যোগ।
সম্মানিত রাজারবাগ শরীফ সিলসিলার মূল মূলত সম্মানিত ফুরফুরা সিলসিলা। আর সে কারণেই ফুরফুরা সিলসিলার অন্তর্ভুক্ত সকল আউলীয়া কিরাম আলাইহিমুস সালাম উনাদের লিখিত কিতাব সংগ্রহ করার একবার এক পদক্ষেপ নেয়া হয় যেন তা হারিয়ে না যায় এবং মুবারক লাইব্রেরিতে রাখা যায়। এই সিলসিলার অনেক বুজুরগানে দ্বীনের কিতাব হারিয়ে যাচ্ছিল এর মধ্যে বিশেষ করে হযরত রুহুল আমীন বশীরহাটি রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার নাম উল্লেখযোগ্য। পনেরো শতকের সম্মানিত মুজাদ্দিদ হযরত মুজাদ্দিদে আযম আলাইহিস সালাম তিনি একটি টিম গঠন করে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এই সম্মানিত সিলসিলাভুক্ত যাদের কাছেই এই কিতাবের পান্ডুলিপি পাওয়া যায় তা সংগ্রহের এক মহান উদ্যোগ গ্রহন করেন এবং এই লক্ষ্যে লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করেন । সুবহানাল্লাহ। অনেকের কাছে বিভিন্ন কেতাবের কেবল একটি মাত্র কপি থাকায় তা ফটোকপি করে পুনরায় ফিরিয়ে দেবার নিশ্চয়তা দেয়া হয়। সেই সময় একটি ফটোকপি মেশিনে এ সকল দুস্প্রাপ কিতাব ফটোকপি করে, বাধাই করে লাইব্রেরিতে রাখা হয়।লাইব্রেরিতে রাখার পাশাপাশি অনেকে মুবারক নির্দেশক্রমে তা ব্যক্তিগতভাবেও সংগ্রহ করেন। কিতাব সংগ্রহের এ রকম নযীর সত্যিই অসাধারণ।
যদিও এভাবে কিতাব সংগ্রহ কেবল ফুরফুরা সিলসিলাভুক্ত বুযুরগানে দ্বীনের কিতাবের মাঝেই সীমাবদ্ধ ছিলনা। পরে যেকোন দুর্লভ কিতাব এভাবে সংগ্রহ করে রাখা হত এবং এখন আরও বড় পরিসরে তা করা হচ্ছে। সুবহানা মামদুহ মুরশিদ কিবলা আলাইহিস সালাম ।
রাজারবাগ শরীফ উনার পরিচিতি-৪৫
রাজারবাগ শরীফ উনার পরিচিতি-৪৫
ছ) কেন্দ্রীয় লাইব্রেরী এবং দেশব্যাপী লাইব্রেরী প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ-১
১৫০০ শতকের সুমহান মুজাদ্দিদ, হযরত মুজাদ্দিদে আযম আলাইহিস সালাম তিনি উনার ছাত্রাবস্থা থেকেই কিতাব সংগ্রহ করে যাচ্ছেন। সে কারণে উনার সুমহান আম্মাজান হযরত উম্মু মুজাদ্দিদে আযম আলাইহিস সালাম (আমাদের সম্মানিত দাদীজান কিবলা আলাইহাস সালাম) তিনি হযরত মুজাদ্দিদে আযম আলাইহিসালাম উনার কিতাব কেনা এবং তা রাখার জন্য আলমারি বানিয়ে দেয়া সহ বিশেষ ব্যবস্থা নিতেন। সুবহানাল্লাহ। আলমারির সংখ্যা সহস্রের ঘরে পৌঁছে যাবার পথে আর কিতাব সংখ্যা লক্ষের ঘরে পৌঁছেছে অনেক আগেই। কত টাকা মূল্যের কিতাব রয়েছে এটি উত্তর দেয়া বাতুলতা মাত্র কেননা এমন অনেক দুষ্প্রাপ্য কেতাব হযরত মুজাদ্দিদে আযম আলাইহিস সালাম উনার ব্যাক্তিগত সংগ্রহে রয়েছে যা অনেকের কাছেই নেই এবং সেই হিসেবে এর মূল্যায়ন কখনোই সম্ভব নয়। কেবল ধারণা দেবার জন্য আমরা এতটুকু বলি যে শতকোটি টাকার কিতাব সংগ্রহে আছে এবং এই সংগ্রহের পরিমাণ প্রতিদিন বাড়ছে। একটি সফটওয়্যারে কিতাব সমূহের নাম তোলা হচ্ছে আজ বহু বছর যাবত। কিতাব কেনা ও দেখাশুনাতেই রয়েছেন কয়েকজন।
হযরত মুজাদ্দিদে আযম আলাইহিস সালাম তিনি এই কেন্দ্রীয় লাইব্রেরী প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি সারা দেশব্যাপী জেলা ভিত্তিক, থানা ভিত্তিক, আনজুমান ভিত্তিক এমনকি ব্যাক্তিগতভাবে লাইব্রেরী প্রতিষ্ঠার প্রতি যথেস্ট গুরুত্ব আরোপ করেছেন। 
রাজারবাগ শরীফ উনার পরিচিতি-৪৪
রাজারবাগ শরীফ উনার পরিচিতি-৪৪
ভয়েস আল হিকমাহঃ বিশ্বের সকল প্রান্তেই সম্মানিত রাজারবাগ শরীফ সিলসিলাভুক্ত পীর ভাই ও বোন রয়েছেন। তাছাড়া মুহব্বতকারীর সংখ্যা রয়েছেন অগনিত-অসংখ্য। উনারা সকলেই যেন হযরত মুজাদ্দিদে আযম আলাইহিস সালাম উনার মুবারক জবান নিঃসৃত নসীহত শরীফ শুনতে পারেন, মিলাদ শরীফ পাঠ করতে পারেন, অন্যান্য আলোচনা শুনতে পারেন সে কারণে তৈরি করা হয় ভয়েস আল হিকমাহ সফটওয়ার। অর্থাৎ দেশে ও বিদেশে অবস্থানরত যারা সরাসরি মাহফিলে উপস্থিত হতে পারেন না তারা যেন ঘরে বা রাস্তায় লাইভ অনুষ্ঠান শুনে ঈমান-আমল বিশুদ্ধ করতে পারেন তার জন্য এই বিশেষ আয়োজন।২০১০ সাল থেকে শুরু হয় ভয়েস আল হিকমাহর যাত্রা। একই সঙ্গে প্রায় ১০০০ জন এখানে লগ ইন করে অনুষ্ঠান শুনতে পারেন।
প্রথম দিকে নামমাত্র রেজিস্ট্রেশন ফি নিয়ে মোবাইলে এই সফটওয়্যার ব্যবহার করা যেত অথচ এই সফটওয়্যার ব্যবস্থাপনার জন্য প্রতি মাসেই হাজার হাজার টাকা খরচ করতে হয়। কিন্তু মানুষের ঈমান-আকিদার বিষয় লক্ষ্য রেখে হযরত মুজাদ্দিদে আযম আলাইহিস আলাম তিনি পরবর্তীতে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে মানুষকে শোনার আয়োজন করে দেন। সুবহানাল্লাহ। কম্পিউটারে বা মোবাইলে al-hikmah.net লিখলেই চলে আসে এই সফটওয়্যারের লিঙ্ক। সেখানে ক্লিক করলেই চলতে থাকে লাইভ অনুষ্ঠান। সুবহানাল্লাহ।
রাজারবাগ শরীফ উনার পরিচিতি-৪৩
রাজারবাগ শরীফ উনার পরিচিতি-৪৩
অনলাইন ভিত্তিক কার্যক্রমঃ প্যালটক (সিরাজাম মুনিরা, আন-নিসা, নুরুন আলা নূর রুম ইত্যাদি)
প্যালটকের আত্মপ্রকাশ ঘটে ১৯৯৮ সালের জুন মাসে। ভিডিওর মাধ্যমে বা ছাড়া আলাপচারিতা করার জন্যই কেবল ইন্টারনেটে এই Chat Room Service শুরু হয়। কাফেরদের যেহেতু কোন আদর্শ নেই,আখিরাতের ভয় নেই, মৃত্যুর পর জবাবদিহিতারও চিন্তা নেই ফলে তাদের জীবন-যাপনে রয়েছে বেপরোয়া ভাব। অর্থহীন, অনৈতিক,অশ্লীল আলাপে তারা সময় নস্ট করতে পারে কিন্তু মুসলমান উনাদের তা সাজে না। কিন্তু প্যাল্টকের প্রভাব গিয়ে পরে মুসলিম বিশ্বেও। আরব বিশ্বের যুবক-যুবতিরা এই চ্যাটরুমে অনেক সময় এবং টাকা নস্ট করতে থাকে আর বিনিময়ে কাফিররা হাতিয়ে নিতে থাকে কাড়ি-কাড়ি টাকা এই কার্যক্রমের মাধ্যমে। মুসলমান উনাদের ঈমান নস্টের জন্যও এই চ্যাটরুম সার্ভিস বড় ভূমিকা রাখে। আমাদের দেশেও প্যাল টকে অনেক চ্যাটরুম দেখা যায় যেখানে তথাকথিত সুশীলরা গান শোনার রুম, অশ্লীল আড্ডা দেবার রুম খুলে মানুষের ঈমান নস্ট করে যাচ্ছিল। যখন এই বিষয়টি পনেরো শতকের সম্মানিত মুজাদ্দিদ হযরত মুজাদ্দিদে আযম আলাইহিস সালাম উনার গোচরীভূত হয় তখন তিনি সম্পূর্ণ ইসলামী ভাব ধারায় একটি রুম খোলার নির্দেশ প্রদান করেন যার নাম দেয়া হয় "নুরুন আলা নূর"। ২০০৫-০৬ সালের দিকে প্রথম প্যাল্টকে সম্মানিত দরবার শরীফের পক্ষ থেকে "নূরুন আলা নূর" রুম খোলা হয়। এই রুম থেকে ২৪ ঘণ্টা শুরু হয় দ্বীনের তালিম-তালকীন দেবার কার্যক্রম। সুবহানাল্লাহ। পর্যায়ক্রমে প্যাল্টকের এই "নূরুন আলা নূর" হিদায়েত উনার নূর বিস্তারে এক অনন্য ভূমিকা রাখে। যেভাবে এই রুমে দ্বীনি কার্যক্রম পরিচালিত হত এবং এখন হচ্ছে তার কিছু বর্ণনা নীচে তুলে ধরা হল।
সপ্তাহের সাতদিন বিষয় ভিত্তিক আলোচনা অনুষ্ঠান হত।
আলোচনার ফাঁকে ফাঁকে চলতো কাসিদা শরীফ। কখনো লাইভ আর কখনো রেকর্ড ছাড়া হত।
সপ্তাহের একদিন হত আন্তর্জাতিক আনজুমান। বিভিন্ন দেশ থেকে আলোচকগণ অংশগ্রহণ করতেন।
পবিত্র মিলাদ শরীফ উনার মাধ্যমে রুম খোলা হত এবং পবিত্র মিলাদ শরীফ পাঠের মধ্য দিয়ে রুম বন্ধ হত।
বাদ ফজর চলতো দৈনিক আল-ইহসান শরীফ পাঠ এবং সমকালীন বিষয় নিয়ে আলোচনা।
বিশেষ বিশেষ দিন সমূহে নূরুন আলা নূর রুমে বিশেষ আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হত এবং আয়োজন করা হত "সামা" অনুষ্ঠানের।
মহিলাদের জন্য খোলা হয় "আন নিসা" নামে অন্য একটি রুম। তাছাড়া বিদেশীদের জন্য খোলা হয় ইংরেজি ভাষায় আলোচনা করার জন্য বিশেষ রুম "সিরাজাম মুনিরা"। সুবহানাল্লাহ।
এখনও প্যাল্টকে "নূরুন আলা নূর" রুমের কার্যক্রম চলছে তবে কিছুটা ভিন্ন আঙ্গিকে। প্যাল্টকের বিষয়টি এখানে একারণেই তুলে ধরা হল যেন মানুষ উপলব্ধি করতে পারে যামানার সম্মানিত মুজাদ্দিদ হযরত মুজাদ্দিদে আযম আলাইহিস সালাম তিনি এবং সম্মানিত হযরত আহলে বাইত শরীফ আলাইহিস সালাম উনারা কিভাবে সকল প্রতিকূল-পরিস্থিতিকেও হিকমত উনার মাধ্যমে সম্মানিত শরীয়ত উনার আলোকে পরিচালিত করে থাকেন ।
রাজারবাগ শরীফ উনার পরিচিতি-৪২(খ)
রাজারবাগ শরীফ উনার পরিচিতি-৪২
হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা
যিনি খ্বলিক,যিনি মালিক,যিনি রব মহান আল্লাহ পাক তিনি রোগ সম্পর্কে পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন “ আর বান্দা যখন রোগাক্রান্ত হয়, তখন মহান আল্লাহ পাক তিনিই আরোগ্য দান করেন’। (পবিত্র সুরা শুয়ারা শরীফ, পবিত্র আয়াত শরীফ ৮০)।
চিকিৎসা নেয়া খাছ সুন্নত উনার অন্তর্ভুক্ত । চিকিৎসা সম্পর্কে অনেক পবিত্র হাদীস শরীফ বর্নিত রয়েছে।
নুরে মুজাসসাম হাবিবুল্লাহ হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি নিজে যেমন চিকিৎসা মুবারক গ্রহন করতে কবুল করছেন তেমনি অন্যদের করার নির্দেশ মুবারক দিয়েছেন। চিকিৎসা গ্রহন করে সুস্থ্য থাকা খাছ সুন্নত। চিকিৎসা নেয়া কখনো ফরয হয়ে যায় যখন জীবন বাঁচানোর আশঙ্কা দেখা দেয়। কিন্তু পর্দা রক্ষার সাথে যেহেতু ঈমানের সম্পর্ক রয়েছে সেক্ষেত্রে পর্দা রক্ষা করেই চিকিৎসা নিতে হবে, চিকিৎসা দিতে হবে এবং কোন অবস্থাতেই পর্দার খেলাপ করা যাবেনা। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য মানুষ পর্দার গুরুত্ব না বোঝার কারণে সম্পূর্ণ বে-পর্দা হয়ে চিকিৎসা ব্যবস্থা গ্রহন করছে। পর্দা রক্ষার পরিবেশ নিয়ে আল মুতমাইন্নাহ মা ও শিশু হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার পূর্বে বাংলাদেশ, সউদী আরব সহ কোন মুসলিম দেশে এরকম কোন হাসপাতাল বা ক্লিনিক তৈরি হয়নি। যামানার ইমাম ও মুস্তাহিদ, সাইয়্যিদে মুজাদ্দিদে আযম আলাইহিস সালাম এবং সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাসসালাম পৃথিবীতে প্রথম সম্পূর্ণ শরীয়া ভিত্তিক আল মুতমাইন্নাহ মা ও শিশু হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করেন। সুবহানাল্লাহ।
মুতমা’ইন্নাহ পবিত্র কুরআন শরীফ উনার একটি শব্দ মুবারক। যার অর্থ ইতমিনান বা প্রশান্তি । আল মুতমা’ইন্নাহ মা ও শিশু হাসপাতাল এ শব্দ মুবারকের কায়িম মাকাম। সুবহানাল্লাহ । বর্তমানে চিকিৎসার সাথে "সেবা" শব্দের একটি সংযোগ থাকলেও বাস্তবে সেবার বিষয়টি প্রায় উপেক্ষিত । সেখানে আল মুতমাইন্নাহ মা ও শিশু হাসপাতালের একমাত্র লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হচ্ছে পর্দার ইসলামী অনুশাসন মেনে মানুষকে আন্তরিক সেবা ও চিকিৎসা প্রদানের মাধ্যমে দেহে ও মনে সুস্থতা-প্রশান্তি দেয়া।
১৪৩৫ হিজরি সনের পবিত্র শাবান মাস উনার ৩ তারিখ, লাইলাতুল ইসনাইনিল আযীম শরীফে (২ রা আউয়াল, ১৩৮২ শামসী, ১ লা জুন ২০১৪) আল মুতমাইন্নাহ মা ও শিশু হাসপাতালের শুভ উদ্ভোধন করা হয়। লাইলাতুল ইসনাইনিল আযীম শরীফে যামানার সুমহান মুজাদ্দিদ হযরত মুজাদ্দিদে আযম আলাইহিস সালাম তিনি হাসপাতালে তাশরীফ মুবারক নিয়ে পবিত্র মিলাদ শরীফ পাঠের পর বিশেষ দোয়া মুনাজাত করেন এবং ইয়াওমুল ইসনাইনিল আযীম শরীফে সাইয়িদাতুনা উম্মুল উমাম হযরত আম্মাজী কিবলা আলাইহাস সালাম তিনি তাশরীফ মুবারক গ্রহন করেন এবং একইভাবে মিলাদ শরীফ পাঠ করে দোয়া মুনাজাত পরিচালনা করেন। সুবহানাল্লাহ।
সংক্ষেপে আল মুতমাইন্নাহ মা ও শিশু হাসপাতালয়ের সার্ভিস সমূহ
১. হাসপাতাল : ১) দশ বেডের হাসপাতাল। অপারেশনের সুবিধা। যেমন, সিজার, এপেন্ডিসাইটিস, জরায়ু,হার্নিয়া, টিউমার,পাইলস, ছেলে শিশুদের খৎনা ইত্যাদি । ঠান্ডা ও গরম পানির ব্যবস্থা ।
২.কনসালটেশন সেন্টারঃ শিশু, গাইনী, মেডিসিন,সার্জারী, ,চর্ম, বক্ষব্যাধী, হরমোন, নাক-কান-গলা, ডায়াবেটিস ইত্যাদি প্রায় সকল বিভাগের ডাক্তার দেখানোর সুযোগ ।
৩.ডায়াগনস্টিক সেন্টারঃ সর্বোচ্চ মানের মেশিন ব্যবহার । ডিজিটাল এক্সরে, ওরাল সেন্সর, আল্ট্রাসনোগ্রাম । পবিত্র সাইয়্যিদুল আইয়াদ শরীফ উনার সম্মানার্থে আল মুতমাইন্নাহ মা ও শিশু হাসপাতালে ডায়াগনস্টিক টেস্টের উপর মাসব্যাপী থাকে বিভিন্ন আকর্ষণীয় পুরস্কার।
৪. চক্ষু বিভাগঃ ১) বিশেষজ্ঞ ডাক্তার কতৃক সর্বাধুনিক মেশিনের সাহায্যে চক্ষু পরীক্ষা এবং সুলভ খরচে ছানী অপারেশনের আয়োজন করা।
৫. ডেন্টাল বিভাগঃ যৌক্তিক খরচে দাঁতের চিকিৎসার সুব্যবস্থা।
৬. ফার্মেসীঃ রেজিস্টার্ড ফার্মাসিস্ট দ্বারা পরামর্শ নেয়ার সুযোগ।
৭. বিশেষ প্যাকেজ সুবিধাঃ
১) ডায়াবেটিক প্যাকেজঃ প্রতি মাসে ৫০০ টাকা প্রদান সাপেক্ষে চিকিৎসা সুবিধা ।
২) গর্ভকালীন প্যাকেজঃ এককালীন খরছ অনেকের জন্য কষ্টসাপেক্ষ বলে দেশে এই প্রথম আল মুতমাইন্নাহ হাসপাতালে গর্ভকালীন চিকিৎসায় কিস্তিতে অর্থ পরিশোধ করার সুযোগ।
৩) ভ্যাক্সিনেশন প্রোগ্রামঃ শিশুদের টিকা দেবার ব্যবস্থা
৪) স্পেশাল প্যাকেজঃ ছাত্র-ছাত্রী, বয়স্ক-বয়স্কা,পরিবারের সকলের জন্য রয়েছে বিভিন্ন চিকিৎসা প্যাকেজ ।
মা ও শিশুদের চিকিৎসা সেবার সকল সুবিধা প্রদানের পাশাপাশি পুরুষদের চিকিৎসার জন্যেও রয়েছে আলাদা সুব্যবস্থা ।
৫) হাসপাতালের ফার্মেসী ২৪ ঘন্টা খোলা।
রাজারবাগ শরীফ উনার পরিচিতি-৪২(ক)
রাজারবাগ শরীফ উনার পরিচিতি-৪২
আইনী কার্যক্রম বিষয়ক টিম ( এ পর্যন্ত যে সকল কার্যক্রম নেয়া হয়েছে এবং যা নেয়া হবে ইনশাআল্লাহ)
১) নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার শান-মান মুবারক উনার খিলাফ অনলাইনে ব্যঙ্গ চিত্রসহ কটুক্তি করা বিষয় গুলো বন্ধ করা। এ বিষয়ে উচ্চ আদালত থেকে রুল জারী করানো হয়।
২) পোপের আগমনের কারণে ১২ই শরীফ পালন করতে ডিএমপি’র ঢাকা শহরে সর্ব প্রকার অনুষ্ঠান নিষেধ করলে তাদের নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে হাইকোর্ট থেকে অর্ডার নিয়ে যথাযথ ভাবমর্যাদার সাথে কোটি কণ্ঠে পবিত্র মীলাদ শরীফ উদযাপন করা ও সারা ঢাকা শহর প্রদক্ষিন করে আনুষ্ঠানিকভাবে ১২ই শরীফ উৎযাপন করা হয়।
৩) সংবিধান থেকে রাষ্ট্র ধর্ম দ্বীন ইসলাম তুলে দেয়ার ষড়যন্ত্র বন্ধ করা অর্থাৎ উচ্চ আদালতে (হাইকোর্ট ও আপীল বিভাগ) উভয় স্থানেই এই বিষয়ে দুইটি রিট করে তা বহাল রাখা হয়।
৪) হাইকোর্টের সামনে মূর্তি স্থাপনের বিরুদ্ধে রিট করা হয়, যারফলে পরবর্তিতে প্রধান ভবন থেকে থেমিসের সেই মূর্তি সংযুক্ত ভবনে স্থানান্তর করা হয়।
৫) স্কুল কলেজে সাধারণ শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে অমঙ্গল শোভাযাত্রা বন্ধ করার জন্য হাইকোর্টে রিট ফাইল দাখিল করে শুনানী করলে পরবর্তী বৎসরে সরকার স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীদের অমঙ্গল শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণ বাধ্যতামূলক করা থেকে বিরত থাকে।
৬) হিন্দুদের গণশ্রাদ্ধ অনুষ্ঠানের বিরুদ্ধে মামলা করা হলে উচ্চ পর্যায়ের প্রসাশনের হস্তক্ষেপে তাদের ষড়যন্ত্রমূলক অনুষ্ঠানটি বন্ধ করতে বাধ্য হয় ।
৭) ভারতীয় টিভি চ্যানেল স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধ করতে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিট করা হয়, যা বর্তমানে আপিল বিভাগে শুনানীর অপেক্ষায় রয়েছে।
৮) নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার শান-মান মুবারক উনার খিলাফ বলার কারনে নাস্তিক শফিক রেহমানের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়।
৯) হিন্দুদের পূজার সময় নদীতে মূর্তি ডুবানোর বিরুদ্ধে রিট আবেদন করা হয়।
১০) যারা রাষ্ট্র দ্বীন ইসলাম বাতিল করতে চেয়েছিল, তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়।
১১) ঘরে টেলিভিশন না থাকলে এবং মহিলারা ঘর থেকে বাহিরে কম আসলে বুঝতে হবে তাদের মধ্যে সন্ত্রাসী প্রবণতা থাকতে পারে, নাউযুবিল্লাহ! পুলিশের আইজিপির এ বক্তব্যের বিরুদ্ধে আইনি নোটিশ পাঠানো হলে পরে সে এজন্য ক্ষমা চেয়ে দুঃখ প্রকাশ করে এবং পরবর্তীতে বলে, মাদ্রাসায় নয় বরং স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সন্ত্রাসী হবার প্রবণতা বেশি লক্ষ্যনীয়।
১২) নাস্তিকতাকে প্রাধান্য দিয়ে সিলেবাস করার বিষয়ে যে রিট হয়েছিল সেখানে সেই রিটে অন্তর্ভূক্ত হয়ে ফাইল করা হয়, পরবর্তীতে এ বিষয়ে উচ্চ আদালতে তারা আর কোন শুনানী করেনি।
১৩) উম্মুল মুমীনিন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের শান-মান মুবারকের খিলাফ অবমাননাকর বিষয় বস-২ নামক চলচিত্রে উপস্থাপন করায় জাজ মাল্টিমিডিয়াকে নোটিশ পাঠানো হয়।
১৪) ২০১৭ সালে সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী নির্ধারিত স্থানে কুরবানী করা বাধ্যতামূল করা হলে, এ বিষয়ে নোটিশ পাঠানো হয়। ফলে পরবর্তী বৎসর থেকে সরকার এ সিদ্ধান্ত থেকে বিরত থাকে।
১৫) মীলাদ শরীফ-ক্বিয়াম শরীফ নিয়ে ‍চু-চেরা করার কারণে আহমক শফীকে নোটিশ পাঠানো হয়।
১৬) পবিত্র রমাদ্বান শরীফে যেসকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে পরীক্ষা ও ক্লাস চালু রাখার হয়েছিল তাদের বিরুদ্ধে নোটিশ পাটানো হয়।
১৭) বিবস্ত্রতাকে উৎসাহিত করে তসলিমা নাসরিনের লেখা ছাপানোয় দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিনকে নোটিশ পাঠানো হলে তার জন্য তারা ক্ষমা প্রার্থনা করে এবং ভবিষ্যতে এ জাতিয় কাজ করা থেকে বিরত থাকবে বলে প্রতিশ্রুতি দেয়।
১৮) পবিত্র কুরবানী উনার পশুকে নিয়ে ব্যঙ্গ করায় প্রথম আলোকে নোটিশ পাঠানো হলে তারা ভবিষ্যতে এ জাতিয় কর্মকান্ড থেকে বিরত থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়ে মামলা হওয়া থেকে পার পায়।
২০) পবিত্র কুরআন শরীফ ও হাদীস শরীফ উনাদের অশ্লীল উল্লেখ করে লেখা ছাপানোয় দৈনিক ভোরের কাগজকে প্রথমে নোটিশ পরে মামলা করা হয়। যা বর্তমানে জজকোর্টে বিচারাধীন রয়েছে।
২১) মূর্তির বিপক্ষ অবলম্বন কারীদের গালি দেয়ায় নাস্তিক এম.পি. বাদলকে নোটিশ পাঠানো হয়।
২২) ‘বাংলাদেশে হিন্দি ভাষার ভবিষ্যৎ উজ্জল’ বলায় ভারতের হাই কমিশনারকে নোটিশ পাঠানো হলে তার অফিসিয়াল ওয়েব সাইটে দুঃখ প্রকাশ করে এবং বক্তব্যের ভিডিও মুছে দিয়ে তা প্রত্যাহার করে নেয়।
২৩) ‘বিবস্ত্র নারীর চিত্র রুপ সমাজের লিঙ্গ বৈষম্যে দূর হওয়ার প্রেরণা হতে পারে’ এমন অশ্লিল বক্তব্য গণমাধ্যমে দেয়ার কারনে তথ্য মন্ত্রী ইনুকে তিনবার নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
২৪) উচ্চ স্বরে গান-বাজনা বন্ধে সারা বাংলাদেশের মহানগর পুলিশকে নোটিশ পাঠানো হলে তারা সারা দেশে উচ্চ স্বরে গান-বাজনা নিষিদ্ধ করে। এ বিষয়ে প্রেস কনফারেন্স করে মিডিয়া বিশেষভাবে জানানো হয়।
২৫) কথিত বিশ্ব ভালবাসা দিবস উপলক্ষে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে চরম বেপর্দা বেহায়াপনা বিস্তারে ‘কাছে আসার রিক্সা’ ক্যাম্পেইন বন্ধে ইউনিলিভারকে নোটিশ পাঠানো হলে তারা ক্যাম্পেইনটি বন্ধ করতে বাধ্য হয়।
২৬) “দেখিয়ে দাও অদেখা তোমায়” নামক সুন্দরী প্রতিযোগীতা বন্ধে লাক্স-চ্যানেল আইকে সারা দেশ থেকে প্রায় ২০টি নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
২৭) মাদরাসায় অমঙ্গল যাত্রা করার অভিযোগে ২৮টি মাদরাসার প্রশাসনকে নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
২৮) “পাকিস্তান পরিকল্পিতভাবে বাংলাদেশ থেকে পূর্ব ভারতের রাজ্য আসামে অনুপ্রবেশ ঘটাচ্ছে” ভারতীয় সেনাপ্রধান জেনারেল বিপিন রাওয়াতের এমন মন্তব্যের কড়া প্রতিবাদ জানিয়ে তার বক্তব্য প্রত্যাহার করে ক্ষমা চাওয়ার আহবান জানিয়ে ভারতীয় হাইকমিশনে স্বারকলিপি পাঠানো হয়।
২৯) “আগামী ২০ বছরের মধ্যে দুই বাংলা এক হয়ে যাবে” ভারতের খাদ্য মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের দেয়া বক্তব্য প্রত্যাহার করে ক্ষমা চাওয়ার আহবান জানিয়ে ভারতের হাইকমিশনে স্বারকলিপি পাঠানো হয়।
৩০) নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ব্যঙ্গচিত্র প্রকাশ করায় ভারতে প্রোক্টর এন্ড গেম্বল কোম্পানীর পেমপার্সে বিরুদ্ধে শক্ত ভাষায় প্রতিবাদ জানিয়ে ভারতের হাইকমিশনে স্বারকলিপি পাঠানো হয়েছে।
৩১) মাদরাসায় বাধ্যতামূলক জাতীয় সংগীত পাঠ করা বন্ধ করতে হাইকোর্টে রিট করা হয়েছে।
৩২) সরকার ভূমি অধিগ্রহণ আইনের মাধ্যমে মসজিদ ভাঙ্গে ফেলা এবং পবিত্র মসজিদ উনার জমি অধিগ্রহণ করে নেয়া বন্ধ করতে হাইকোর্টে রিট করা হলে উচ্চ আদালত এ বিষয়ে রুল দিয়েছে।
৩৩) ১৯৭২ সালের পতাকা আইন লঙ্ঘন করে যত্রতত্র বিদেশি পতাকা উত্তোলন প্রশ্নে প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তাকে কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করানো হয়েছে হাইকোর্ট থেকে এছাড়া পতাকা আইন ও রুলস অনুযায়ী জাতীয় পতাকা ও বিদেশি পতাকা উত্তোলনের নিয়মাবলি জনস্বার্থে প্রচার করার জন্য কেন নির্দেশনা দেয়া হবে না, রুলে তা-ও জানতে চাওয়া হয়েছে।
৩৪) নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হূযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার শান মুবারকের খিলাফ লেখা ছাপানোর জন্য তসলিমা নাসরিনসহ ওমেন চ্যাপ্টারের তিন জন সংবাদিকের বিরুদ্ধে ৫৭ ধারায় মামলা করা হয়েছে।
৩৫) “বাংলাদেশের স্বাধীনতা ভারত বা ইন্দিরা গান্ধীর দয়ার দান” “আসামের প্রতিটা ধর্ষণেই বাংলাদেশী মুসলমানরা জড়িত। সারা বিশ্বেই মুসলমানদের অপরাধের হার সবচেয়ে বেশি।” ভারতের উচিত ছিল একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের পরই বাংলাদেশকে ভারতের অন্তর্ভুক্ত করে নেয়া। ভারতে আসামে বিজেপির মূখপাত্র এমএলএ শিলাদিত্য দেবের এমন বক্তব্যের কড়া প্রতিবাদ জানিয়ে ভারতের হাইকমিশনে স্বারকলিপি পাঠানো হয়েছে।
৩৬) পবিত্র শবে বরাত নিয়ে মিথ্যা অপপ্রচার চালানোর অভিযোগে ৮ জন ওলামায়ে সু’র বিরুদ্ধে ৫৭ ধারায় মামলা করা হয়েছে।
৩৭) নরসিংদীর বেলাবোতে আমাদের মসজিদ ভেঙ্গে ফেলার জন্য সাইনবোর্ড খুলে ফেলে এবং ইউএনও ও ওসির অন্যায় হুমকি ধামকির প্রতিবাদে আমাদের পক্ষ থেকে সরকারী আইনজীবির মাধ্যমে নোটিশ পাঠালে সেখানকার ইউ.এন.ও এবং ওসি চুপসে যায়। স্থানীয় এমপি তাদের উপস্থিতিতে মসজিদ থাকবে মর্মে ঘোষণা দেয়।
৩৮) মাদকাসক্ত চিহ্নিত করতে বিয়ের আগেই বরকনের রক্ত পরীক্ষা বাধ্যতামূলক করতে রিট করা হয়েছে।
৩৯) গত ৩০ সেপ্টেম্ব’২০১৮ বিজেপির সিনিয়র নেতা সুব্রামানিয়ান স্বামী ত্রিপুরায় একটি সংবাদ সম্মেলনে মন্তব্য করে, বাংলাদেশে মন্দির ধ্বংস করা হচ্ছে, হিন্দুদের মন্দিরকে মসজিদ বানানো হচ্ছে এবং হিন্দুদেরকে গায়ের জোরে মুসলমান বানানো হচ্ছে। বাংলাদেশে যদি হিন্দুদের ওপর এসব নির্যাতন বন্ধ না করা হয়, তাহলে তিনি ভারত সরকারকে সুপারিশ করবেন বাংলাদেশকে দখল করে নিতে। নাউযুবিল্লহ!
এর কিছুদিন আগে বিজেপির সভাপতি অমিত শাহ 'ভারতে অনুপ্রবেশকারী বাংলাদেশী নাগরিকদেরকে উইপোকা বলে অবমাননাকর মন্তব্য করেছে! এসব মন্তব্যসমূহ প্রত্যাহার করে ক্ষমা চাওয়ার জন্য ভারত সরকারের প্রতি আহবান জানিয়ে ভারতের হাইকমিশনে স্মারকলিপি পাঠানো হয়েছে।
৪০) পবিত্র কুরবানীর হাট বিষয়ক প্রেসক্লাবে কনফারেন্স করে ষড়যন্ত্রমূলক বক্তব্য দেয়ায় পবাকে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
৪১) পবিত্র কুরবাণীর পশুর চামড়া মাদ্রাসার ইয়াতিমগণের হক্ব হওয়া সত্যেও এ নিয়ে এলাকার সন্ত্রাসীদের সন্ত্রাসীপনা প্রবল আকার ধারন করলে তা রুখতে আইজিপি, ডিএমপি কমিশনার ও ঢাকা শহরের সকল থানায় বিশেষ নোটিশ পাঠানো হয়। ফলে অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছর সন্ত্রাসীদের আস্ফলন উল্লেখ্যযোগ্য ভাবে লক্ষ্যনীয় হয়নি। তারা বিষয়টিতে অত্যন্ত ভীত হয়।
৪২) সারা বাংলাদেশে অনৈতিক কাজ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করতে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিট ফাইল করা হয়েছে। ইতোমধ্যে বিষয়টি নিয়ে হাইকোর্টে শুনানী হয়েছে। নির্ধারিত সময়ে আরো শুনানী হবার জন্য কোর্ট থেকে জানানো হয়েছে।
প্রক্রিয়াধীন রয়েছে
১) নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার এবং সম্মানিত হযরত আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালামগণ উনাদের যে কোন বিষয়ে বিরোধীতা কারীদের মৃত্যুদণ্ড শাস্তির বিধান রেখে আইন পাশ করা।
২) মহান আল্লাহ পাক উনার প্রতি আস্থা ও ভরসা সংবিধানে পুণঃস্থাপনে রিট করা।
৩) পহেলা বৈশাখ ভাতা বন্ধ করে পবিত্র সাইয়্যিদুল আইয়াদ শরীফ উনার সম্মানার্থে ভাতা দেয়ার বিষয়টি চালু করা।
৪) অর্পিত সম্পত্তি আইন বাতিল বিষয়ক রিট করা।
৫) বাল্য বিবাহ নিরোধ আইন বাতিল করা।
৬) কোর্টে মাইলর্ড বলা বা মাথা নোয়ানোর বিরুদ্ধে রিট করা।
৭) স্কুল-কলেজ গুলোতে স্বরসতী পূজা করানো হচ্ছে এর বিরুদ্ধে রিট করা।
৯) পর্দানশীন নারীগণ যাতে ছবি ছাড়া সব রকম নাগরিক অধিকার বা সুবিধা ভোগ করতে পারেন সে জন্য রিট।
১০) দেশব্যাপী বেপর্দা বেহায়াপনা বন্ধ করার জন্য রিট।
১২) জনসার্থে বিদ্যুৎ, পানি ও গ্যাসের প্রি-পেইড মিটারের ভোগান্তি দূরীকরণে রিট করা।
১৩) রাজধানীতে স্থাপিত ডিজিটাল টিভি অপসারনে রিট করা।
১৪) বাংলাদেশের সকল গণমাধ্যমে তসলিমা নাসরিনের লেখা প্রকাশ করা নিষিদ্ধ করতে রিট করা ।
১৫) মাদ্রাসায় বাধ্যতামূলক ঠগের সংগীত পাঠ করা বন্ধ করতে রিট করা।
১৬) জি.এম. ও. ফুড নিয়ে রিট করা।
১৭) নিশ্চিতভাবে প্রকাশ্যে ধূমপান নিষিদ্ধ করতে প্রশাসন কর্তৃক মোবাইল কোর্ট ব্যবহার করার বিষয়ে রিট করা।
১৮) ইতিহাস বিকৃত করে চলচিত্র নির্মাণ, আমদানী ও তা বিভিন্ন চ্যানেলে প্রদর্শন করা নিষিদ্ধ করতে রিট করা।
রাজারবাগ শরীফ উনার পরিচিতি-৪১
রাজারবাগ শরীফ উনার পরিচিতি-৪১
আইনী কার্যক্রম বিষয়ক টিম
সাম্রাজ্যবাদীরা গণতন্ত্রের মত এক অর্থহীন- অচল- অকার্যকর পদ্ধতি বিশ্বে চাপিয়ে দিয়ে এবং তার মাধ্যমে নিজেদের সুবিধা আদায়ে সহায়ক শাসক শ্রেনী বসিয়ে বিশ্ব নিয়ন্ত্রণ কর যাচ্ছে। এইসব শাসক শ্রেনী কেবল ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য সাম্রাজ্যবাদীদের সুবিধাটুকুই দেখে প্রকারান্তরে বঞ্চিত থাকে আপামর জনগোষ্ঠী। এতদিন যাবত এই তথাকথিত গণতন্ত্র মানুষকে শিখিয়েছে "বিচার ব্যবস্থা" হচ্ছে স্বাধীন এবং সেখানে সুবিধা বঞ্চিত মানুষ তার ন্যায্য হক আদায় করতে সক্ষম হবে। যদিও এটা ছিল গণতন্ত্রীদের ফাকা বুলী বরং বাস্তবে দেখা যাচ্ছে এই বিচার ব্যবস্থাও মূলত শাসক শ্রেনী দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। আর বর্তমানে সাম্রাজ্যবাদীরা দখল নিয়েছে এই বিচার ব্যবস্থার উপর। যে দেশে তাদের অনুগত শাসক না থাকে সেখানে তাদের মতাদর্শের বিচারক বসিয়ে নিয়ন্ত্রণ করে নিচ্ছে আর্থসামাজিক, ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড এবং অনেকটা জোর করেই মানুষকে ইসলাম থেকে, ধর্মীয় শিক্ষা থেকে বঞ্চিত করার অপচেস্টা চালিয়ে যাচ্ছে। সাম্রাজ্যবাদীদের অনুগত বিচারক শ্রেণীদ্বারা বাংলাদেশের শিক্ষালয় থেকে পর্দা উঠিয়ে দেয়া, সংবিধান থেকে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম তুলে দেয়া, হাইকোর্ট প্রাঙ্গনে মূর্তি বসানোর মত সাহস দেখিয়েছিল কিন্তু সেখানে তারা সফল হতে পারেনি। এদেশ থেকে ইসলামী অনুশাসন,তাহযীব-তামাদ্দুন উঠিয়ে দেবার লক্ষ্যে এই সাম্রাজ্যবাদী গোষ্ঠী কখনো মিডিয়াকে, কখনো শাসক শ্রেনীকে এবং কখনো আদালতকে ব্যবহার করে তাদের স্বার্থ উদ্ধার করে যাচ্ছে। এমনকি শাসক শ্রেণী কোন বিষয়ে সম্মত না হলে, আনুগত্যতা না দেখালে তাদের পরিবর্তনেও সাম্রাজ্যবাদীরা কোর্টকে ব্যবহার করছে যার প্রমাণ এখন অনেক দেশে রয়েছে।
বর্তমান সময়ের যিনি সম্মানিত মুজাদ্দিদ, হযরত মুজাদ্দিদে আযম আলাইহিস সালাম তিনি কাফির-মুশরিক এবং সাম্রাজ্যবাদীদের এইসব অপকৌশল সম্পর্কে পরিপূর্ণভাবে অবগত। তিনি এই বাংলাদেশের আদালতে চাপিয়ে দেয়া বৃটিশ বেনিয়াদের রচিত মনগড়া আইনের ফাঁকফোকর জেনে তাদের তৈরি অস্ত্র প্রয়োগ করেই এদের প্রতিহত করার জন্য শুরু করেন "আইনী প্রক্রিয়া কার্যক্রম"। এই কার্যক্রমের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে মুসলমান উনাদের আকিদা বিশুদ্ধ করে ঈমান হিফাজত করা। আইনী কার্যক্রম ও বিচার প্রক্রিয়ার সাথে জড়িত মানুষদের সম্মানিত শরীয়ত সম্পর্কে নেই স্পষ্ট ধারণা আবার যাদের ছিটেফোঁটা যাও আছে সাম্রাজ্যবাদীদের প্রভাব বলয় থেকে বেরিয়ে এসে তারা সঠিক ইসলাম উনাকে উপস্থাপন করতে ভয় পায় ফলে এরই ফাঁকদিয়ে তারা সাধারণ মুসলমান উনাদের ঈমান হরণ করে নিয়ে যাচ্ছে। নাউযুবিল্লাহ। সে কারণেই হযরত মুজাদ্দিদে আযম আলাইহিস সালাম তিনি এই "আইনী প্রক্রিয়া কার্যক্রম" চালু করেন। সুবহানাল্লাহ। এই প্রক্রিয়াটি যেমনি ব্যয়বহুল তেমনি কস্টসাধ্য। কেননা সম্পূর্ণ বিপরীত স্রোতে হেঁটে এখানে কার্যক্রম চালানোর জন্য যেমনি প্রয়োজন ছিল দক্ষ এবং ইসলাম উনার অনুশাসন উপলব্ধিকারী আইনীজিবী তেমনি প্রয়োজন ছিল কার্যক্রম সঞ্চালনের জন্য লোকবল। কিন্তু যেহেতু হযরত মুজাদিদ্দে আযম আলাইহিস সালাম তিনি পরিপূর্ণভাবে আল্লাহপাক এবং উনার হাবীব সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উনাদের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত ফলে মহান আল্লাহপাক উনার কুদরত মুবারকের দ্বারা সকল অসাধ্য কাজও সম্পূর্ণ করিয়ে নিচ্ছেন। এখান থেকে অনেক বিষয়ে কার্যক্রম পরিচালনা করে সফলতা অর্জিত হয়েছে এবং অন্য অনেক বিষয়ে কার্যক্রম বর্তমানে চলছে।
রাজারবাগ শরীফ উনার পরিচিতি-৪০(খ)
রাজারবাগ শরীফ উনার পরিচিতি-৪০(খ)
কোটি কোটি কন্ঠে মিলাদ শরীফ পাঠ উনার কার্যক্রম (দুই)
কোটিকন্ঠে মিলাদ শরীফ উনার প্রথম অনুষ্ঠান পালিত হয় ১৪৩৭ সালের পবিত্র ১২ই রবীউল আউয়াল শরীফ। দেশের জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অগনিত মানুষ সমবেত হয়ে পবিত্র সাইয়্যিদুল আইয়াদ শরীফ উনার পতাকা বহন করে ফাল ইয়াফ রাহু শরীফ পালন করেন সুবহানাল্লাহ। ঢাকার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে দলে দলে মানুষ বাস-ট্রাক-গাড়ী-রিকশা করে এসে সেখানে ভিড় জমান। ট্রাকের উপর দাঁড়িয়ে উচ্চকন্ঠে মিলাদ শরীফ পাঠ শুরু হলে দূর দুরান্ত থেকে আগত সকল মানুষ পবিত্র মিলাদ শরীফ উনার সাথে পাঠ শুরু করলে এক জান্নাতি পরিবেশ সেখানে রচিত হয় ।সুবহানাল্লাহ। পবিত্র মিলাদ শরীফ পাঠ শেষে সম্মানিত রাজারবাগ দরবার শরীফ উনার পক্ষ থেকে মুবারক তবারুকের ব্যবস্থা করা হয়। একইভাবে ১৪৩৮ সালেও দেশের জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনেই কোটি কন্ঠে মিলাদ শরীফ উনার অনুষ্ঠান পালিত হয়। কিন্তু ১৪৩৯ সালে ঘটে এক অভাবনীয় ঘটনা।
১৪৩৯ সালের ১২ ই রবীউল আউয়াল শরীফে কোটি কোটি কন্ঠে মিলাদ শরীফ উনার অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় দরবার শরীফ উনার সামনের রাস্তায়। এ বছর খৃস্টানদের ক্যাথলিক সম্প্রদায়ের তথাকথিত ধর্মযাজক পোপ ফেন্সিস বাংলাদেশে আসা উপলক্ষে সরকার ঢাকার অনেক স্থানে সভা সমিতি করার উপর নিষেধাজ্ঞা জারী করে। এমনকি পবিত্র সাইয়্যিদুল আইয়াদ শরীফ উপলক্ষেও কোন র‍্যালী, মিছিল, সভাসমাবেশের উপর নিষেধাজ্ঞা আনে । নাউযুবিল্লাহ। এ সংবাদ শুনে যামানার সুমহান মুজাদ্দিদ হযরত মুজাদ্দিদে আযম আলাইহিস সালাম তিনি অত্যন্ত ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যাক্ত করেন এবং রিট করার নির্দেশ মুবারক দান করেন। অথচ এই রিট দাখিলের জন্য মাত্র হাতে সময়ছিল একদিন অর্থাৎ তার পরের দিন পালিত হবে সেই সু-সমহান সম্মানিত ১২ই শরীফ। কিন্তু মহান আল্লাহ পাক উনার অসীম রহমত এবং যামানার সুমহান মুজাদ্দিদ হযরত মুজাদ্দিদে আযম আলাইইস সালাম উনার নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযুর পাক সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উনার সঙ্গে নিসবত মুবারক থাকার কারণে সহজেই সকল কিছু পবিত্র সাইয়্যিদুল আইয়াদ শরীফ পালন করার পক্ষে চলে আসে । সুবহানাল্লাহ।
সে বছর বিভিন্ন রুটে ১২ টি করে গাড়ী করে মোট ১০০ টি গাড়ী শহর প্রদক্ষিনে বের হয় এবং সাথে থাকে অনেক মোটর বাইক। তাছাড়া ঘোড়া চালিত যানবাহনও পবিত্র ফাল ইয়াফরাহু শরীফ পালন উপলক্ষ্যে শহর প্রদক্ষিণ করে।
শহরের বিভিন্ন স্থানে গাড়ী সমূহ থেমে পবিত্র মিলাদ শরীফ পাঠ করে আবার যাত্রা শুরু করে এভাবে সকাল ১১ টার মধ্যে প্রদক্ষিণ শেষে সকলেই জমায়েত হন পবিত্র দরবার শরীফ উনার সামেন। অতঃপর মুহু মুহু তাকবীর ধ্বনিতে আকাশ বাতাস প্রকম্পিত হতে থাকে। এখানে সকলে জমায়েত হবার পর পুনরায় মিলাদ শরীফ পাঠ করা হয় এবং সকল মানুষকে সম্মানিত তাবারুক বন্টন করা হয়।সে বছর ১২ হাজার তবারুকের ব্যবস্থা করা হয়। কিন্তু যামানার সুমহান মুজাদ্দিদ হযরত মুজাদ্দিদে আযম আলাইহিস সালাম তিনি বলেন যেদিন ১২০০ কোটি তাবারুকের ব্যবস্থা করা যাবে তখনি কেবল ভাবা যেতে পারে কিছু করার চেস্টা করা হয়েছে। সুবহানাল্লাহ। কোটি কোটি কন্ঠে মিলাদ শরীফ এমন এক মহান অনুষ্ঠান যার মাধ্যমে দেশের সকল মানুষ সহ বিশ্বের সকল মানুষের বিশেষ রহমত প্রাপ্তির এক বিরাট উপলক্ষ্য তৈরি হয়েছে আর সে পথ রচনা করে দিয়েছেন পনেরো শতকের সম্মানিত মুজাদ্দিদ হযরত মুজাদ্দিদে আযম আলাইহিস সালাম। উনার চিন্তা-উপলব্ধি সাধারণ মানুষের ধারণ করার অনেক অনেক উরদ্ধে।সুবহানাল্লাহ।
রাজারবাগ শরীফ উনার পরিচিতি-৪০(ক)
রাজারবাগ শরীফ উনার পরিচিতি-৪০(ক)
কোটি কন্ঠে মিলাদ শরীফ পাঠ উনার কার্যক্রম (এক)
সময়টা চলছে মনস্তাত্ত্বিক যুদ্ধের। সারা বিশ্বজুড়ে কাফির-মুশরিকদের একটাই লক্ষ্য কি করে মুসলমান উনাদের ঈমান আনার পর আবার কি করে কাফির বানানো যায়। সারা বিশ্বজুড়ে বিধর্মীরা ইসলাম উনার সুশীতল তলে যেভাবে আশ্রয় নিচ্ছে এ বিষয়টিকেও বাধাগ্রস্ত করা যায়। কাফির- মুশরিকরা নানা অপকর্ম ঘটিয়ে মিডিয়ার মাধ্যমে তুলে ধরছে মুসলমানগণ হচ্ছে সন্ত্রাসী। নাউযুবিল্লাহ। পাশাপাশি ইউনেস্কোর সহায়তায় নানা মুসলিম দেশে চলছে ইসলাম বিরোধী, ইসলামী তাহযীব-তামাদ্দুন বিরোধী কর্মকাণ্ড অর্থাৎ সাংস্কৃতিক আগ্রাসন যাতে মুসলমানগণ সহজেই ইসলাম বিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে ঈমান হারিয়ে ফেলে।
এক ধরণের নর্তন কুর্দন কে সুফী নৃত্যের নামে তুরস্কে প্রচার প্রসারের নেপথ্যে রয়েছে ইহুদী সংঘের এই ইউনেস্কো। বাংলাদেশে কাফির লালন এবং তার অসামাজিক কার্যক্রমকে একজন আধ্যাত্মিক মানুষ ও তার ঈশ্বর পাবার উপায় হিসেবে জনমত তৈরির নেপথ্যেও আছে এই ইউনেস্কো। এই ইহুদী সংঘের সরাসরি মদদ ছাড়াও তাদের সমর্থনে প্রতিটি মুসলিম দেশে অনেক কর্পোরেট সংস্থাও নানান কার্যক্রম হাতে নিয়ে থাকে যাতে সেই মুসলিম দেশের ইসলামী তাহযীব-তামাদ্দুন নস্ট হয়ে যায়। বাংলাদেশে প্রথম আলো পত্রিকার ট্রান্সকম গ্রুপ ও ব্র্যাক এ দেশে এরকম অনেক ইসলাম বিরোধী কর্মকাণ্ডের নেপথ্যে রয়েছে। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযুর পাক সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উনার শান মান খিলাপ করে কার্টুন আকার দুঃসাহস দেখিয়েছিল এই প্রথম আলো পত্রিকা। নাউযুবিল্লাহ। বিশ্ববিদ্যালয়ে হিজাব পড়ে যাওয়াতে প্রথম নিষেধাজ্ঞা আনে ব্র্যাক গ্রুপ।
বাংলাদেশ সরকার ২০১৮ সালে আয়োজন করে খুব বড় করে জাতীয় সঙ্গীত গাওয়ার অনুষ্ঠান। এতে মাদরাসার ছাত্রদেরকেও বাধ্য করা হয় গান গাইবার জন্য। এই কর্মসূচি সফল করতে গত ২০ জানুয়ারি থেকে ১৫ মার্চ দেশব্যাপী প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সকল শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণে দলগত জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন প্রতিযোগিতার অনুষ্ঠান করা হয় । এতে ৬৪টি জেলার প্রাথমিক, মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক ও মাদ্রাসার ৬২ লাখ ৫২ হাজার ৩৫৩ জন ছাত্র, ৬৩ লাখ ৭০ হাজার ২৯৫ জন ছাত্রী (মোট ১ কোটি ২৬ লাখ ২২ হাজার ৬৪৮ জন শিক্ষার্থী) অংশগ্রহণ করে। নাউযুবিল্লাহ।
এ ছাড়া ভারতীয় কোম্পানি রবি আজিয়াটার উদ্যোগে এদেশে জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে ঠায় দাঁড়িয়ে ২৭ হাজার ১১৭ জন মানুষ পতাকা তৈরি করে জাতীয় সঙ্গীত গাওয়ার অনুষ্ঠান করে। বিশ্বের সবচেয়ে বড় মানব জাতীয় পতাকা নির্মাণের লক্ষ্যে সেনাবাহিনীর সহায়তায় এই আয়োজন করেছিল রবি নামে ভারতীয় কোম্পানী। অথচ তার এক বছর পূর্বে পাকিস্তানে ২৪ হাজার ২০০ মানুষ নিয়ে সবচেয়ে বড় জাতীয় পতাকা তৈরি হয়েছিল। অথচ এ সকল অনুষ্ঠান পালনের মাধ্যমে আসলে কোন জাতীয়তাবোধ, দেশাত্মবোধ জাগ্রত হয়না, হয় নারী-পুরুষে একাকার হয়ে হারাম কাজ পালন। এগুলো মানুষের চেতনার মধ্যে বিরুপ প্রতিক্রিয়া করে। কর্পোরেট সংস্থাগুলো এক ধরণের বিজ্ঞাপনের নামে আয়োজন করে এই অনুষ্ঠান আর ক্ষমতাশীল দলগুলো রাজনীতি হিসেবে ব্যবহার করে এই বিশয়গুলোকে। অথচ মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদের খাওয়ান-পরান, লালন-পালন করেন , নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযুর পাক সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তিনি রহমতুল্লিল আলামীন হিসেবে আমাদের রহমত মুবারক দ্বারা বেস্টন করে আছেন, উনারাই হচ্ছেন সকল প্রশংসার মূল এবং প্রশংসা পাবার একমাত্র দাবীদার। অথচ উনাদের সানা সিফত প্রকাশের লক্ষ্যে কোথাও কোন আয়োজন নেই, অনুষ্ঠান নেই। সকল দেশপ্রেম, ন্যায়-নীতি অর্জন হবে কেবল মাত্র উনাদের অনুসরণের মাধ্যমে উনাদের সানা-সিফত প্রকাশের মাধ্যমে। সুবহানাল্লাহ। তার তাই ১৫ শতকের সুমহান মুজাদ্দিদ, হযরত মুজাদ্দিদে আযম আলাইহিসসালাম তিনি এই হারাম বিষয়গুলোর প্রতিবাদের লক্ষ্যে এবং সারা দেশ ও বিশ্বসহ রহমত প্রাপ্তির এক বিরল উপলক্ষ্য তৈরির জন্য আয়োজন করেন " কোটি কন্ঠে মিলাদ শরীফ পাঠ" উনার কার্যক্রম । কাফির মুশরিকরা যেখানে আমাদের চেতনাকে নস্ট করতে চায় সেখানে হযরত মুজাদ্দিদে আযম আলাইহিস সালাম তিনি মুসলমান উনাদের চেতনাকে জাগ্রত করার লক্ষ্যে আয়োজন করেন এবং করে যাচ্ছেন এই বিশেষ অনুষ্ঠান। সুবহানাল্লাহ।
রাজারবাগ শরীফ উনার পরিচিতি-৩৯
রাজারবাগ শরীফ উনার পরিচিতি-৩৯
বিশেষ কোর্সের প্রচলন
পনেরো শতকের সম্মানিত মহান মুজাদ্দিদ উনার সকল কার্যক্রম পূর্ববর্তী মহান মুজাদ্দিদ উনাদের থেকে কিছুকিছু বিষয়ে একেবারেই আলাদা। উনার চিন্তার প্রখরতা, গভীরতা, তীক্ষ্মতা এত ব্যাপক যা কোন নির্দিষ্ট সময়ের গন্ডীর মধ্যে আবদ্ধ নয়; সময় ছাড়িয়ে তা চলে গেছে অনন্তকালের দিকে। মুরীদদের ইছলাহ হাছিলের জন্য সকল আউলিয়া কিরাম রহমতুল্লাহি আলাহিম উনারা নিজ নিজ যোগ্যতা অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতেন এবং নিয়েছেন। কিন্তু পনেরো শতকের সম্মানিত মুজাদ্দিদ উনি মুরিদগণের ইছলাহ এবং ইলম বিতরণের জন্য, আলেম প্রস্তুত করার জন্য, উনার মুবারক বিষয় সমূহ ধারণ করার জন্য তিনি অনেক ধরণের পদ্ধতির প্রচলন করেছেন তার মধ্যে একটি হচ্ছে “বিশেষ কোর্স তৈরি করে এবং তা শিখিয়ে আলেম দ্বীন বানানোর পদ্ধতি”। সুবহানাল্লাহ!
সাধারণ মানুষের ধারণা নামাজ পড়াবেন মাদরাসায় পাশ করা ব্যাক্তি, কুরবানীর পশু যবেহ করবেন তাও মাদরাসার ছাত্র বা শিক্ষক; জানাজা পড়ানো, মিলাদ শরীফ পড়ানো তাও যেন কেবল মাদরাসা থেকে পাশ করা হুযুরগনেরই কাজ। কিন্তু হযরত মুজাদ্দিদে আযম উনার চিন্তা একেবারেই ভিন্ন। তিনি বিশ্বাস করেন সম্মানিত ইসলাম তো কেবল মাদরাসা পড়া মানুষদের জন্য আসেনি, সম্মানিত ইসলাম এসেছে সকল মহিলা, পুরুষসহ জীন-ইনসান সকলের জন্য। ফলে সকলকেই শিখতে হবে নামায পড়ানো, পবিত্র কুরআন শরীফ পড়ানো, পবিত্র মীলাদ শরীফ, পবিত্র জানাজা পড়ানো, দাফন-কাফন করানো ইত্যাদি। তাই তিনি প্রথমে আলেমে দ্বীন তৈরির লক্ষ্যে উনার মুবারক তত্ত্বাবধানে ৯০ এর দশকে অনেক কলেজ- বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া লোকদের জন্য বিশেষ কোর্স তৈরি করে তালিম দিয়েছেন। সুবহানাল্লাহ! হযরত মুজাদ্দিদে আ’যম আলাইহিস সালাম তিনি নিজে উর্দু, আরবী, ফার্সি কাওয়ায়েদ তালিম দিয়েছেন এবং অনেককে ইসলাম উনার অনেক বিষয়ে সু-শিক্ষিত করেছেন যাদের মধ্যে আজও অনেকে শিক্ষকতা ও গবেষণা কাজে যুক্ত রয়েছেন। সুবহানাল্লাহ! সেখানে মাদরাসা থেকে পাশ করা অনেক আলেমগন আবার নতুন করে হযরত মুজাদ্দিদে আ’যম আলাইহিস সালাম উনার ছাত্র হওয়ার সৌভাগ্য লাভ করেছিলেন।
পরবর্তীতে লোকসংখ্যা অনেক বেশী বৃদ্ধি পাওয়ায় এবং উনাদের আবারও ইলম হাছিলের আরজু পেশ করার প্রেক্ষিতে এই বিশেষ কোর্স আবারও নতুনভাবে তৈরি করে তালিম দেবার বিশেষ ব্যবস্থা নেয়া হয়। সুবহানাল্লাহ!
উল্লেখ্য সাইয়্যিদাতুন নিসায়িল আলামীন, আফযালুন নিসা, উম্মুল উমাম আম্মাজী কিবলা আলাইহাস সালাম তিনিও পবিত্র রমাদান শরীফ এবং পবিত্র রবীউল আউয়াল শরীফ মাসে বিশেষ পদ্ধতিতে সকল পর্যায়ের মহিলাগনের জন্য অতীব প্রয়োজনীয় বিষয় সমূহ তালিম প্রদানের আয়োজন করে থাকেন। সুবহানাল্লাহ!
এছাড়াও সারা বৎসর ব্যাপী মহিলাদের জন্য বিশেষ তালীমের ব্যবস্থা করা হয়েছে। যা জারী রয়েছে।
রাজারবাগ শরীফ উনার পরিচিতি-৩৮
রাজারবাগ শরীফ উনার পরিচিতি-৩৮
সিলেবাস রচনার কার্যক্রম
পনেরো শতকের সম্মানিত মুজাদ্দিদ, হযরত মুজাদ্দিদে আযম আলাইহিস সালাম তিনি ৯০ দশকেই শিশু শ্রেণী থেকে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত সকল পাঠক্রমে পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ, হাদীস শরীফ, ইজমা-কিয়াস থেকে ৩৩ শতাংশ বাধ্যতামূলকভাবে রেখে সম্পূর্ণ ইসলামী ভাবধারা অনুযায়ী সিলেবাস রচনার উদ্যোগ গ্রহন করেছিলেন। সে সময় অনেকের পক্ষেই সেই সিলেবাস রচনার উদ্যোগের নিগুঢ় রহস্য অনুধাবন করা সম্ভব হয়নি। বর্তমানে কাফির মুশরিকদের প্ররোচনায় আমাদের দেশের বিভ্রান্ত শাসক গোষ্ঠী যেখানে সকল পর্যায়ে সিলেবাসের মধ্যে কুফরি-শিরক প্রবেশ করিয়ে দিয়েছে ফলে সেগুলো যারা পড়ছে, যারা পড়াচ্ছে এবং যে সকল অভিভাবকগণ এসব জেনেও কোন প্রতিবাদ করছে না তাদের সকলের ঈমান নস্ট হয়ে যাচ্ছে। নাউযুবিল্লাহ। সে কারণে যামানার ইমাম ও মুস্তাহিদ, মুজাদ্দিদে আযম, মামদুহ হযরত মুরশিদ কিবলা আলাইহিস সালাম তিনি আবারও নতুন করে সিলেবাস রচনার বিশেষ কার্যক্রম গ্রহন করেছেন এবং এর সাথে সংশ্লিষ্ট সকলকে বিশেষ তাওয়াজ্জুহ ফায়িজ দানে প্রতিপালন করে কার্যক্রম এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। সুবহানাল্লাহ।
বর্তমান সিলেবাসের প্রায় সকল ক্লাশের সাহিত্য,ইতিহাস, সমাজবিজ্ঞান, অর্থনীতি, ইসলাম শিক্ষা ইত্যাদির মধ্যে কেবল তথ্য বিকৃতিই ঘটানো হয়নি বরং সুকৌশলে ইসলাম উনার অবমাননা করা হয়েছে পাশাপাশি হিন্দুয়ানী সংস্কৃতি প্রবেশ করানো হয়েছে । নাউযুবিল্লাহ। মুসলমান লেখক উনাদের বিষয়সমূহ বাদ দিয়ে কাফেরদের লেখা প্রবেশ করানো হয়েছে। তাদের স্পর্ধা এতটাই বেড়েছে যে এমনকি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযুর পাক সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উনার শান মুবারকেও আপত্তিকর তথ্য সংযোজন করেছে। নাউযুবিল্লাহ।
বলা হয় একটি শিশু জাতির মেরুদণ্ড। অর্থাৎ শিক্ষা ব্যবস্থা উন্নত হলে একটা জাতি উন্নতির শিখড়ে পৌছবে। দক্ষিণ আফ্রিকার একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ পথে লেখা আছে "একটি জাতিকে ধ্বংস করতে চাইলে সে জাতির শিক্ষা ব্যবস্থার সিলেবাস ধ্বংস করে দাও।" তাহলে দেখা যাচ্ছে সেই পরিকল্পনা নিয়েই এগিয়ে যাচ্ছিল বাংলাদেশের বর্তমান সরকার। কিন্তু যেহেতু যামানার লক্ষ্যস্থল ওলী আল্লাহ , যামানার ইমাম ও মুস্তাহিদ, মুজাদ্দিদে আযম , পনেরো শতকের সম্মানিত মুজাদ্দিদ তিনি এই বাংলার যমীনে তাশরীফ নিয়েছেন তাই তিনি অনেক পূর্ব থেকেই এই সিলেবাসের চক্রান্তের বিষয়টি উপলব্ধি করতে পেরেছিলেন আর তার সমাধানের লক্ষ্যেই গড়ে তুলেছেন সিলেবাস রচনার টিম। সুবহানাল্লাহ।
রাজারবাগ শরীফ উনার পরিচিতি-৩৭
রাজারবাগ শরীফ উনার পরিচিতি-৩৭
অনুবাদক টিম
পৃথিবীতে অধিকাংশ মানুষ যে ভাষায় বেশি কথা বলে তাঁর মধ্যে চাইনিজ (ম্যান্ডারিন) ভাষা হচ্ছে প্রথমে, তৃতীয় স্থানে রয়েছে ইংরেজী, পঞ্চম স্থানে আরবী এবং সপ্তম স্থানে রয়েছে বাংলা। কিন্তু পৃথিবীর সকল মুসলমান উনাদের কাছে সহজে পৌছা যায় ইংরেজী ও আরবী ভাষা দিয়ে। পনেরো শতকের সম্মানিত মুজাদ্দিদ হযরত মুজাদ্দিদে আযম আলাইহিস সালাম তিনি যেহেতু পুরো বিশ্বের হিদায়েতের জন্য এসেছেন তাই উনার সকল তাজদীদী লেখনী মুবারক, মুবারক কওল শরীফ ইংরেজী ও আরবী ভাষায় অনুবাদ করে ছড়ানো হচ্ছে। এ ছাড়া সম্মানিত দরবার শরীফ উনার অনুবাদক টিম এ পর্যন্ত ইটালি, মালয়ান , ফার্সি, উর্দু ইত্যাদি ভাষাতেও অনুবাদ করেছেন। অনুবাদ টিমের সদস্য সংখ্যা এ যাবত প্রায় ৪০ জন তবে এ সংখ্যা ক্রমে বেড়েই চলেছে। সুবহানাল্লাহ।
দৈনিক আল ইহসান শরীফ পত্রিকার ব্যানার হেড লাইন্স প্রতিদিনই অনূদিত হচ্ছে এবং তা ছড়িয়ে দেয়া হচ্ছে বিশ্বব্যাপী। এ ছাড়াও অনেক ফতোয়া, রেসালা, মিলাদ শরীফ পাঠের বই, পোষ্টার ইত্যাদি ইংরেজী ভাষায় অনূদিত হয়েছে। সারা বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে কাফির-মুশরিকদের উপর যে আযাব-গযব আপতিত হচ্ছে তাঁর উপর ধারাবাহিকভাবে আলাদা একটি নিউজ কাভারেজ হয় দৈনিক আল ইহসান শরীফ উনার মাঝে, সেই আযাব-গযবের অংশটুকু ইংরেজিতে অনুবাদ করে ধারাবাহিকভাবে ছড়ানো অন-লাইনের মাধ্যমে।
কোন ভাষায় পারদর্শী যে কেউ এই অনুবাদ টিমে যোগদান করে ইসলাম উনার খিদমত করার মূল্যবান সুযোগ গ্রহন করতে পারেন।
রাজারবাগ শরীফ উনার পরিচিতি-৩৬
রাজারবাগ শরীফ উনার পরিচিতি-৩৬
কুরবানীর টিমঃ
নিছাব পরিমাণ অর্থ থাকলে কুরবানী করা ওয়াজীব। আগে আমাদের দেশের মুসলমান উনাদের ঘরে ঘরে এমনকি গ্রাম দেশে একটু সচ্ছলতা থাকলেই মানুষ গরু, মহিষ যবেহ করে কুরবানী করতেন এবং মানুষের মাঝে গোশত বিলাতেন। কিন্তু ইদানীং কিছু মানুষ লোক দেখাবার উদ্দেশ্যে (সকলে নয়) আলাদা পশু কুরবানী করলেও অধিকাংশ মানুষ তাদের আলাদাভাবে পশু কুরবানী করার সামর্থ্য থাকলেও দায়সারা ভাবে শেয়ারে কুরবানী করতে পছন্দ করে। নাউযুবিল্লাহ। এর অর্থ তাদের মাঝে কুরবানী করার রছম-রেওয়াজ আছে কিন্তু কুরবানীর হাকীকী শিক্ষা নেই।
দেশে অসংখ্য মাদ্রাসা থাকলেও সেখানকার ছাত্রদের কেবল কুরবানীর যৎ সামান্য শিক্ষা দিয়ে কুরবানীর পশু যবেহ করে চামড়া সংগ্রহেই নিয়োজিত করা হয়। যেহেতু এদের এ বিষয়ে তাকওয়া নেই ফলে তারা নিজেরাও সঠিকভাবে আমল করতে পারেনা আর মানুষকে তালিম দেবারতো প্রশ্নই আসেনা।
অথচ যিনি পনেরো শতকের সম্মানিত মুজাদ্দিদ, মুজাদ্দিদে আযম আলাইহিস সালাম তিনি এই কায়িনাতের বুকে কুরবানীর আমল করার এক অনবদ্য ইতিহাস সৃস্টি করেছেন সুবহানাল্লাহ।
তিনি সৃষ্টির শুরু থেকে যত হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম, হযরত সাহাবায়ে কিরাম রদিয়াল্লাহুতায়ালা আনহুম,আউলিয়া কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিম আল্লাহ পাক উনার দিদারে চলে গেছেন উনাদের সকলের নাম মুবারকে পর্যায়ক্রমে কুরবানী করে যাচ্ছেন। এভাবে তিনি দশ লক্ষ নাম মুবারকে কুরবানীর করার নিয়ত মুবারক করে আমল করে যাচ্ছেন । সুবহানাল্লাহ। আর প্রতি বছর নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্ললাহ হুযুর পাক সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম, হযরত আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম, হযরত খলীলুল্লাহ আলাইহিসসালাম, হযরত যাবীহুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনাদের শান মুবারকে কুরবানী করে থাকেন। সুবহানাল্লাহ। এ বছর ১০-১১- ১২ ই যিলহজ্জ শরীফে (১৪৪০ হিজরিতে) প্রায় ৩১২ টি গরু, ৭১২ টি খাসী কুরবানী করার উদ্যোগ নেয়া হয়। সুবহানাল্লাহ।
আমাদের দেশের তথাকথিত বিত্তশালীরা লোক দেখানোর উদ্দেশ্যে অনেক বেশী মূল্যে পশু কিনে নিজেদের নামে কুরবানী করে থাকে। এক্ষেত্রে পনেরো শতকের সম্মানিত মুজাদ্দিদ, হযরত মুজাদ্দিদে আযম আলাইহি সালাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, বাজারে পাওয়া সবচেয়ে দামী ও ভাল পশু কুরবানী হওয়া উচিত নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযুর পাক সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উনার এবং সম্মানিত আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের উদ্দেশ্যে। সুবহানাল্লাহ।
কিন্তু হযরত মুজাদ্দিদে আযম আলাইহিসসালাম তিনি কুরবানীর এই মহান শিক্ষা মানুষের মাঝে বিলিয়ে দেবার লক্ষ্যে তিনি আলাদা তায়াজ্জুহ-ফায়িয দিয়ে বিশেষভাবে তৈরি করেছেন যিনি হযরত শাহ দামাদে আউয়াল হযরত শাফীউল উমাম আলাইহিস সালাম উনাকে। তিনি এই তালিম মুবারক প্রদানের উদ্দেশ্যে নিরলস পরিশ্রম করে থাকেন। তিনি মাস ব্যাপী প্রতিদিন তালিম দিয়ে থাকেন। কখনো দিনে কয়েকবার এই তালিম প্রদান করে থাকেন। কেবল তালিমই নয়, তিনি বিশেষ পরিকল্পনা করে সকলকে প্রস্তুত করে থাকেন। উনার মুবারক তালিম পেয়ে তালিমগ্রহিতাগণ বিভিন্ন এলাকায় যেয়ে তালিম প্রদান করেন। মানুষকে শেখানোর উদ্দেশ্যে প্রকাশ করা হয়েছে কুরবানীর উপর বিশেষ রেসালা ।
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযুর পাক সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসালাম তিনি সূর্য উঠার কিছু পরেই অর্থাৎ মাকরুহ ওয়াক্ত শেষ হতেই তিনি পবিত্র ঈদগাহে গিয়ে দুই রাকাত পবিত্র ঈদুল আদহার নামাজ আদায় করেই কুরবানী করে নিতেন। সুবহানাল্লাহ। পবিত্র যিলহজ্জ শরীফ মাস উনার নয় দিন রোজা রাখার পর ১০ম দিন অর্থাৎ কুরবানীর দিন তিনি কুরবানীর পশুর গোশত ছাড়িয়ে নিয়ে, রান্না করিয়ে তা দিয়ে ইফতার মুবারক করতেন।সুবহানাল্লাহ। পনের শতকের সম্মানিত মুজাদ্দিদ হযরত মুজাদ্দিদে আযম আলাইহিস সালাম তিনি অবিকল সেই সুন্নত মুবারক জারী করেছেন ।
ঢাকা সহ বিভিন্ন জেলা থেকে আগত আমিল ভাইগণ পবিত্র ঈদুল আদহার নামাজ শেষ বের হয়ে যান ছুঁড়ি হাতে । মানুষকে কুরবানীর সঠিক তালিম দিয়ে,কুরবানী করে, সঠিক স্থানে চামড়া পৌছানোর ব্যাপারে উৎসাহিত করে, এতিমখানার জন্য চামড়া সংগ্রহের কাজে। সুবহানাল্লাহ। শ্রমিক থেকে সচিব, আমলা থেকে কামলা সকলকেই এইমুবারক কাজে আনজাম দিতে হয়। এই বিষয়টি যামানার সুমহান মুজাদ্দিদ মুজাদ্দিদে আযম আলাইহিস সালাম উনার বেমেছাল তাজদীদ মুবারকের অংশ। এর মধ্যে রয়েছে ইছলাহীর এক অনুপম রহস্য। সুবহানাল্লাহ।
রাজারবাগ সিলসিলার সকল মুরিদান যার উপর কুরবানী ওয়াজিব উনাদের সকলকেই নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযুর পাক সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উনার নাম মুবারকে কুরবানী করার বিশেষ তাগিদ দেয়া হয়ে থাকে যা পৃথিবীর আর কোথাও দেখা যায়না।
রাজারবাগ শরীফ উনার পরিচিতি-৩৫
রাজারবাগ শরীফ উনার পরিচিতি-৩৫
যাকাত আদায়ের টিম
যাকাত ইসলাম উনার একটি শক্ত বুনিয়াদ। যাকাত নিয়ে যদি আমাদের সমাজের মানুষগুলোকে শ্রেনীভুক্ত করা যায় তাহলে আমরা পাব
১) এক শ্রেনীর জানা আছে যাকাত ফরয, আদায়ও করছেন হিসেব করে। কিন্তু সঠিক মাসয়ালা না জানা থাকায় হিসেবে ভুল করছেন।
২) এক শ্রেনী যাকাত ফরয জেনেই আদায় করছেন, হিসেবেও সঠিক ভাবে করছেন কিন্তু দান করছেন এমন জায়গায় যেখানে বা যাদের দিলে যাকাত আদায় হচ্ছে না ।
৩) এক দল যাকাত ফরয জেনে আদায় করছেন কিন্তু হিসেব না করে মনগড়া আদায় করছেন।
৪) এক শ্রেনীর যাকাত ফরয জানা আছে কিন্তু কোন ঋণ থাকায় অজুহাত দিয়ে যাকাত আদায় থেকে দূরে থাকছেন। অর্থাৎ এখানেও মাসয়ালা না জানার বিষয় রয়েছে।
৫) ইনকাম ট্যাক্স আদায় করছে বলে সেটাকেই যাকাতের পরিপূরক মনে করছে। তারা আলাদাভাবে যাকাত আদায় করছে না। নাউযুবিল্লাহ।
৬) যাকাত ফরয এই নিয়ে জ্ঞানও নেই ফলে যাকাত আদায়ের গুরুত্বও নেই।
৭) একদলের জানা আছে যাকাত ইসলাম উনার একটি শক্তিশালী স্তম্ভ কিন্তু তারা ইসলাম অস্বীকার করে আর তাই যাকাত ব্যবস্থারও সমালোচনা করে। নাউযুবিল্লাহ।
৮) এক শ্রেনী যাকাত আদায় করুক বা না করুক তাদের যাকাত বিষয়ে ধারণা থাকলেও উশর সম্পর্কে একেবারেই ধারণা নেই।
৯) এক শ্রেনী উশর সম্পর্কে জানলেও তা আদায়ে উদাসীন
১০) কেবল মুস্টিমেয় মানুষ উশর সঠিকভাবে গণনা করে আদায় করে থাকেন।
এই সকল শ্রেনীকে যাকাত -উশরের জ্ঞান ভালভাবে পৌঁছে দেবার লক্ষ্যে সম্মানিত দরবার শরীফ থেকে যে কার্যক্রম নেয়া তা ইতিহাসে বিরল। কেবল যাকাত সংগ্রহ নয় বরং মানুষকে যাকাত বিষয়ে ওয়াকেবহাল করে কি করে নাজাতের পথ দেখানো যায় তার প্রচেস্টা কেবল সম্মানিত রাজারবাগ দরবার শরীফ থেকেই গ্রহন করা হয়।
পবিত্র জুমাদাল উখড়া মাস থেকেই শুরু হয় যাকাতের কার্যক্রম। যাকাত-উশরের জন্য আলাদাভাবে চিঠি ছাপিয়ে তা বিলি করা হয়। এই চিঠির মধ্যে যাকাতের মৌলিক জ্ঞান উল্লেখ করা থাকে।
রাজারবাগ শরীফ উনার সম্মানিত মুরশিদ কিবলা আলাইহিস সালাম উনার মুবারক দিক নির্দেশনায় উনার সম্মানিত শাহ দামাদে আউয়াল হযরত শাফিউল উমাম আলাইহিস সালাম তিনি যাকাত বিষয়ে গভীর ইলম যাকাত বিষয়ক তালিম ক্লাশে নিরলসভাবে দান করে যাচ্ছেন। উনার প্রচেষ্টায় একটি যাকাত বিষয়ক রেসালার প্রকাশ এবং ওয়েবসাইট খোলা হয়েছে। উনি এমনভাবে তালিমদান করেন যেন একজন তালিম গ্রহণকারী নিজেই তালিম হাছিল করে তালিমদাতা হিসেবে অন্য একজনকে তালিম দিতে পারেন।
তিনি যাকাত কার্যক্রম পরিচালনার জন্য কয়েকটি সুন্দর পদ্ধতি তৈরি করে দিয়েছেন। পাওয়ার পয়েন্টে উপস্থাপন করে কি করে সহজে মানুষকে বোঝানো যায় তারও উদ্যোগ নিয়েছেন।
আমাদের দেশে যেহেতু যাকাত আদায় হয়ে থাকে পবিত্র রমাদান শরীফ মাসে তাই সে মাসে ইফতার কর্মসূচীর মাধ্যমে যাকাতের তালিম দেয়ারও বিশেষ আয়োজন হয়ে থাকে।
শেষ কথা হল, যাকাত প্রদানের মাধ্যমে মানুষ কিভাবে নাজাত পেতে পারে, ইছলাহ হতে পারে এবং কিভাবে এই বিষয়ে সঠিক শররয়ী মাসয়ালা অবগত হওয়া যায়, কি করে যাকাত আদায়ের মত সম্মানিত কার্যক্রমে নিজেকে শরীক করা যায় তার সর্বচ্চো প্রচেস্টা সম্মানিত রাজারবাগ শরীফ থেকে নেয়া হয়।
রাজারবাগ শরীফ উনার পরিচিতি-৩৪
রাজারবাগ শরীফ উনার পরিচিতি-৩৪
সকল প্রকার আনজুমানের কার্যক্রম
দেশে কয়েকটি তথাকথিত আঞ্জুমানের কার্যক্রম কিছুটা দেখা গেলেও তাদের অপকর্মের ইতিহাস অনেক বড়। সে ইতিহাস অনেকটাই পর্দার আড়ালে। যাও কিছুটা প্রকাশিত হয় তাও আবার ঢেকে দেয়ার চেস্টায় ব্যস্ত থাকে সুবিধাভোগী শ্রেণী। ইসলাম উনার ধর্মীয় মূল্যবোধ অনুযায়ী আঞ্জুমানগুলো তৈরি এবং পরিচালিত হবার কথা থাকলেও তাদের প্রকৃত কার্যকলাপ অনেকটা কাফের-মুশরিকদের তৈরি তথাকথিত মানবতাবাদী সংগঠনগুলোর মত; অর্থাৎ প্রকাশ্যে সেবা আড়ালে ঈমান হরন ও ব্যবসা।
আঞ্জুমানে মুফিদুল ইসলাম লাশ দাফনের নামে ব্যবসা এবং লাশ থেকে হাড় খসিয়ে বিদেশে পাচারের দীর্ঘ প্রতিবেদন প্রকাশ হবার পর এ বিষয়ে আর বলার কিছু নেই।
কিন্তু আঞ্জুমানে আল-বাইয়্যিনাত প্রতিষ্ঠিত হয়েছে মানুষের কাছে কল্যানের বিষয়গুলো পৌছে দেবার লক্ষ্যে। যামানার সুমহান মুজাদ্দিদ, মুজাদ্দিদে আযম আযম আলাইহিস সালাম উনার সরাসরি তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হচ্ছে সকল কার্যক্রম।
ঈসায়ী ১৯৯৮ সাল থেকে শুরু হয়েছে আঞ্জুমানে আল বাইয়্যিনাত উনার কার্যক্রম। দেশে ও বিদেশে আঞ্জুমানের কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। বিভিন্ন জেলা ভিত্তিক, থানা ভিত্তিক যেমন আঞ্জুমান রয়েছে তেমনি রয়েছে পেশা ভিত্তিক আঞ্জুমান। অনেক আঞ্জুমানের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হচ্ছে মাসজিদ, মাদ্রসা, মক্তব ও লাইব্রেরী। মহিলাগণও পিছিয়ে নেই, উনারাও আঞ্জুমানের কার্যক্রমের মাধ্যমে মানুষকে সত্যিকারের কল্যাণ পৌছে দেবার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছেন। খাদ্য ও পানীয়, চিকিৎসা, বাসস্থান, শিক্ষা,বিবাহ, জনকল্যাণ,জনসচেতনতা ইত্যাদি বিষয়ে আঞ্জুমানে আল বাইয়্যিনাত কর্মসূচী নিয়ে থাকে।
রাজারবাগ শরীফ উনার পরিচিতি-৩৩
রাজারবাগ শরীফ উনার পরিচিতি-৩৩
"সাইয়্যিদুল আইয়াদ শরীফ" লেখা সম্বলিত ইমারতের স্থাপনা
ঢাকার ৫ আউটার সার্কুলার রোড, রাজারবাগ হচ্ছে সম্মানিত রাজারবাগ দরবার শরীফ উনার অবস্থান। দরবার শরীফ উনার মাঝে প্রবেশ করতেই চোখে পরবে বড় দুটি ইমারতের স্থাপনা । একটি প্রধান ফটকের উপর অন্যটি প্রধান ফটকের বাম পার্শ্বের ছোট ফটকের উপর। প্রধান ফটকের উপরের ইমারতের স্থাপনার মাঝে লেখা আছে "১২ ই রবীউল আউয়াল শরীফ, সাইয়্যিদুল আইয়াদ শরীফ"। আর ছোট ফটকের উপরে লেখা আছে " সাইয়্যিদুল আইয়াদ শরীফ জিন্দাবাদ, জারী থাকুক আবাদুল আবাদ"।
উল্লেখ্য প্রথমে প্রধান ফটকের সামনে বাঁশ ও কাপড়ের সাহায্যে বড় আকারের আকর্ষণীয় গেইট করা হত কিন্তু সময়ে বৃস্টিতে ভিজে আর রোদে পুড়ে নস্ট হয়ে যেত। কিন্তু যিনি পনেরো শতকের সম্মানিত মুজাদ্দিদ, হযরত মুজাদ্দিদে আযম আলাইহিস সালাম তিনি সাইয়্যিদুল আইয়াদ শরীফ উনার সম্মানার্থে তৈরি এই গেইট সরিয়ে ফেলা পছন্দ করতেন না তিনি চাইলেন এখানে এমন একটি স্থপনা তৈরি করতে যাতে কায়িনাতের সকলের কাছে পবিত্র সাইয়্যিদুল আইয়াদ শরীফ উনার বিষয়টি মানুষের স্মৃতি পটে চিরদিনের জন্য অঙ্কিত হয়ে যায়। রাস্তায় আসা-যাওয়ার পথে চোখে পরবে আর মানুষের স্মরণ হবে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযুর পাক সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উনার কথা। সুবহানাল্লাহ। মুজাদ্দিদে আযম আলাইহিস সালাম উনার মুবারক পরিকল্পনা মাফিক প্রথমে তৈরি করা হয় ইমারতের স্থাপনা। পরে সেখানে টাইলস বসিয়ে তার উপর লেখা হয়। লেখাগুলো স্টেইনলেস ষ্টীলের সাহায্যে এক্রেলিক ব্লক দ্বারা আবৃত করা হয় ভেতরে বিদ্যুতের সংযোগ ঘটিয়ে আলো জ্বালানোর ব্যবস্থা করা হয়, যা জ্বলে এবং নিভে। এইতো গেল সব সময়য়ের জন্য শক্ত স্থাপনা এবং তার উপরে লেখার বিষয়টি। কিন্তু বিশেষ বিশেষ দিন সমূহের বিশেষ বিশেষ কথা মানুষকে জানিয়ে দেবার লক্ষ্যে হযরত মুজাদ্দিদে আযম আলাইহিস সালাম তিনি পরিকল্পনা করেন এরই মাঝে ডিজিটাল ডিসপ্লে বসানোর। সেই লক্ষ্যে দুটি বড় আকারের ডিজিটাল ডিসপ্লে দুই দিকে বসানোর জন্য চায়না থেকে আমদানী করা হয়। এই পুরো প্রক্রিয়া শেষ হতে সময় নেয় এক থেকে দেড় বছর এবং প্রয়োজন হয় লক্ষ লক্ষ টাকার।
এখানে টাকা এবং একটি স্থপনা তৈরির বিষয়টি মুখ্য নয় বরং মুখ্য হচ্ছে যে মানসিকতা, অন্তর মুবারকের সুরভি-স্বচ্ছতা, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযুর পাক সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উনার প্রতি মুহব্বত-নিসবত এই স্থাপনা তৈরি করতে পনেরো শতকের সম্মানিত মুজাদ্দিদ, হযরত মুজাদ্দিদে আযম আলাইহিসালাম উনাকে অনুপ্রেরণা দিয়েছেন।সুবহানাল্লাহ। তিনি এমন এক বিরল, অভূতপূর্ব ঘটনার জন্ম দিয়েছেন যা কিয়ামত পর্যন্ত মানুষের জন্য একটি গভীর ফিকিরের বিষয় হয়ে থাকবে। এই লেখার এই পর্বে হযরত মুজাদ্দিদে আযম আলাহিস সালাম উনার মুবারক এক কওল শরীফ দিয়েই শেষ করতে চাই। অনেকে আরজি করেছিলেন যেন ইমারতের স্থাপনার মাঝে যেন "রাজারবাগ দরবার শরীফ" লেখা হয়। হযরত মুজাদ্দিদে আযম আলাহিসসালাম তিনি বলেছিলেন " আমি তোমাদেরকে অসীমের সাথে সংযোগ করতে চাই কিন্তু তোমরা কেবল সসীমের দিকে ধাবিত হও"। সুবহানাল্লাহ। এখানে রয়েছে গভীর এক উপলব্ধি যারা ফিকির করবেন।