আদ্ দুরারুল মুখতারাহ্ - ফী নিসবাতি সুলত্বানিন নাছীর (১ম খণ্ড) পর্ব-৯

৯. মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের প্রত্যেকের সাথে সংশ্লিষ্ট মহাসম্মানিত ও মহাপৰিত্ৰ সমস্ত আইয়্যামুল্লাহ শরীফ পালন করার ব্যাপারে মহাসম্মানিত ফায়ছালা মুবারক-


আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মুতুহ্হার, মুত্বহির, আছ ছমাদ মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন যে, “(১৪৩৫ হিজরী শরীফ) সাইয়্যিদাতুন নিসায়ি ‘আলাল আলামীন, আন নূরুর রবি'য়াহ সাইয়্যিদাতুনা হযরত যাহরা আলাইহাস সালাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশের দিবস মুবারক তথা ২০শে জুমাদাল উখরা শরীফ অত্যন্ত তা'যীম-তাকরীম মুবারক, সম্মান-ইয্যত মুবারক, মুহব্বত মুবারক ও সাখাওয়াতী মুবারক উনার সাথে পালন করার কারণে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি, হযরত উম্মাহাতুল মু'মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনারা এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনারা সকলে অত্যন্ত বেমেছাল খুশি ও সন্তুষ্টি মুবারক প্রকাশ করেছেন। সুবহানাল্লাহ!

ঠিক উম্মু আবীহা, আন নূরুর রবিয়াহ সাইয়্যিদাতুনা হযরত যাহরা আলাইহাস সালাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিছালী শান মুবারক প্রকাশের দিবস তথা মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ৩রা রমাদ্বান শরীফ অত্যন্ত তা'যীম-তাকরীম মুবারক, সম্মান-ইয্যত মুবারক, মুহব্বত মুবারক ও সাখাওয়াতী মুবারক উনার সাথে পালন করা হলে ওই তারীখে আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মুত্বহ্হার, মুত্বহির, আছ ছমাদ মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম


খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার একখানা মহাসম্মানিত বিশেষ শান মুবারক উনার বহিঃপ্রকাশ মুবারক ঘটেন। ওই তারিখে আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মুত্বহ্হার, মুত্বহির, আছ ছমাদ মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে মহান আল্লাহ পাক উনার এক আখাছুল খাছ বিশেষ মহাসম্মানিত দীদার মুবারক হয়। সুবহানাল্লাহ! নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনিও অত্যন্ত বেমেছাল খুশি ও সন্তুষ্টি মুবারক প্রকাশ করতে করতে বিশেষ শান মুবারক প্রকাশ করে সেখানে যাহির মুবারক হন। সুবহানাল্লাহ! অতঃপর সাথে সাথে হযরত উম্মাহাতুল মু'মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনারাসহ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনারাও অত্যন্ত খুশি ও সন্তুষ্টি মুবারক প্রকাশ করতে করতে উনাদের বিশেষ শান মুবারক প্রকাশ করে সেখানে যাহির মুবারক হন। উনারা সকলে অত্যন্ত বেমেছাল খুশি ও সন্তুষ্টি মুবারক প্রকাশ করতে থাকেন। সুবহানাল্লাহ! উনারা সকলেই নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত খিদমত মুবারক-এ আরজী মুবারক পেশ করতে থাকেন যে, ইয়া রসূলাল্লাহ! ইয়া হাবীবাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! উম্মু আবীহা, আন নূরুর রবি য়াহ সাইয়্যিদাতুনা হযরত যাহরা আলাইহাস সালাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশের দিবস মুবারক (মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ২০শে জুমাদাল উখরা শরীফ) এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিছালী শান মুবারক প্রকাশের দিবস মুবারক (মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ওরা রমাদ্বান শরীফ) যেভাবে সীমাহীন আদব-শরাফত মুবারক, মুহব্বত-মা'রিফত মুবারক, খুলুছিয়াত এবং সাখাওয়াতী মুবারক উনার সাথে পালন করা হয়েছে, আমাদের তথা মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের সাথে সংশ্লিষ্ট সকল দিবস মুবারকগুলোও যেন ঠিক একইভাবে পালন করা হয়। সুবহানাল্লাহ!


অতঃপর নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনিও অত্যন্ত খুশি এবং সন্তুষ্টি মুবারক উনার সাথে আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মুত্বহ্হার, মুত্বহহির, আছ ছমাদ মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে উদ্দেশ্য করে ইরশাদ মুবারক করেন, “হে আমার মহাসম্মানিত আওলাদ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আপনি, সাইয়্যিদাতুন নিসায়ি ‘আলাল আলামীন, আন নূরুর রবি য়াহ সাইয়্যিদাতুনা হযরত যাহরা আলাইহাস সালাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশের দিবস মুবারক (মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ২০শে জুমাদাল উখরা শরীফ) এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিছালী শান মুবারক প্রকাশের দিবস মুবারক (মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ওরা রমাদ্বান শরীফ) যেভাবে সীমাহীন আদব-শরাফত মুবারক, মুহব্বত-মা'রিফত মুবারক, খুলুছিয়াত এবং সাখাওয়াতী মুবারক উনার সাথে পালন করেছেন, এতে আমরা অত্যন্ত খুশি ও সন্তুষ্ট হয়েছি। সুবহানাল্লাহ! আপনি আমার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের সকলের মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশের দিবস মুবারক, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিছালী শান মুবারক প্রকাশের দিবস মুবারক এবং উনাদের সাথে সংশ্লিষ্ট সকল দিবস মুবারকগুলোও ঠিক একইভাবে পালন করবেন।” সুবহানাল্লাহ্!

মূলত, মহান আল্লাহ পাক উনার, উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের সাথে আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার যে বেমেছাল আখাচ্ছ্বল খাছ তায়াল্লুক-নিসবত মুবারক তা সর্বকালের সর্বযুগের সমস্ত ইমাম

মুজতাহিদ, সমস্ত জিন-ইনসান, তামাম কায়িনাতবাসী সকলের চিন্তা ও কল্পনার কোটি কোটি গুণ ঊর্ধ্বে। সুবহানাল্লাহ।

যারা আকলমান্দ তাদের জন্য এই মহাসম্মানিত ওয়াক্বিয়া মুবারক উনার মধ্যে সীমাহীন ইবরত নছীহত মুবারক নিহিত রয়েছেন, নিহিত রয়েছেন রূহানী খোরাক মুবারক। সুবহানাল্লাহ!

মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদের সবাইকে হাক্বীক্বী ইছলাহী, বিশুদ্ধ আক্বীদাহ, হুসনে যন এবং ছহীহ সমঝ দান করুন। আমীন!
আদ্ দুরারুল মুখতারাহ্ - ফী নিসবাতি সুলত্বানিন নাছীর (১ম খণ্ড) পর্ব-৮

৮. মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদুল আ'ইয়াদ শরীফ উনার মহাসম্মানিত বিশেষ মাক্বামত মুবারক সম্পর্কে বর্ণনা মুবারক-


আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মুত্বহ্হার, মুত্বাহির, আছ ছমাদ মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনিই পৃথিবীর ইতিহাসে একমাত্র সেই সুমহান ব্যক্তিত্ব মুবারক, যিনি অনন্তকালব্যাপী মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ‘ফালইয়াফরহূ শরীফ' সাইয়্যিদুল আ'ইয়াদ শরীফ মাহফিল মুবারক জারী করেছেন। সুবহানাল্লাহ! তিনি ইরশাদ মুবারক করেছেন, “আমরা নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানার্থে দুনিয়ার যমীনে তো অবশ্যই; হায়াতে-মউতে, কবরে, হাশরে-নগরে, মীযানে-পুলছিরাতে এবং সম্মানিত জান্নাত মুবারক উনার মধ্যে যেয়েও অনন্তকালব্যাপী দায়িমীভাবে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ‘ফালইয়াফরহ্ শরীফ' সাইয়্যিদুল আ'ইয়াদ শরীফ পালন করবো এবং সম্মানিত জান্নাত মুবারকসহ সমস্ত কায়িনাতকে সুসজ্জিত করবো।” সুবহানাল্লাহ!

আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মুত্বহ্হার, মুত্বাহির, আছ ছমাদ মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার এই মহাসম্মানিত ‘আমল মুবারক-এ খুশি হয়ে স্বয়ং যিনি খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি অর্থাৎ উনারা উনাকে এক আখাছ্‌ছুল খাছ বিশেষ মাক্বামত মুবারক হাদিয়া মুবারক করেছেন। যেটা কায়িনাতের বুকে দ্বিতীয় আর কাউকে হাদিয়া মুবারক করা হয়নি। সুবহানাল্লাহ! সুবহানাল্লাহ! সুবহানাল্লাহ!


এ প্রসঙ্গে আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মুতুহ্হার, মুত্বহির, আছ ছমাদ, মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ১৪৪০ হিজরী শরীফ উনার ১১ই ছফর শরীফ লাইলাতু সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আইয়্যাম শরীফ (লাইলাতুল ইছনাইনিল আযীম শরীফ বা সোমবার) বিশেষ মাহফিল মুবারক-এ ইরশাদ মুবারক করেন, “যিনি খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন

تخلفوا بأخلاق الله

অর্থ: “তোমরা যিনি খালিক মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার সম্মানিত চরিত্র মুবারক-এ চরিত্রবান হও।” সুবহানাল্লাহ! (তাফসীরে রূহুল মায়ানী ১৫/৩৯৫)

সাইয়্যিদুল আ'ইয়াদ শরীফ উনার আলাদা একটা মাক্বাম মুবারক আছেন। সুবহানাল্লাহ! এই মাক্বামটা খাছ! যিনি খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার অধীনে মাক্বামটা। এটা নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিয়্যীন, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার একদম হাক্বীক্বী নিসবত-কুরবতের মাক্কাম। সুবহানাল্লাহ! এক/দেড় সপ্তাহ আগে যিনি খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাকে নিয়ে গেছেন ঐ জায়গায়। মাক্বামে (মহান আল্লাহ পাক উনার ডান পাশে) একটা বড় আসন আছে। যিনি খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাকে ঐ আসন মুবারক-এ নিয়ে বসিয়ে দিয়ে বলেন, 'আপনি যে সাইয়্যিদুল আ'ইয়াদ শরীফ পালন করেন। এজন্য আপনাকে এটা হাদিয়া মুবারক করা হলো।' সুবহানাল্লাহ! নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি আছেন। আমরা যে অনন্তকালব্যাপী সাইয়্যিদুল আ'ইয়াদ শরীফ জারী করেছি। আমরা যে বলি, হায়াতে-মউতে, কবরে, হাশরে-নশরে, মীযানে-পুলছিরাতে, জান্নাতে যেয়ে অনন্তকাল যাবৎ সাইয়্যিদুল আ'ইয়াদ শরীফ পালন করবো। জান্নাত সুসজ্জিত করবো, সমস্ত কায়িনাত সুসজ্জিত

করবো, সবকিছু সুসজ্জিত করবো ইত্যাদি ইত্যাদি। তিনি খুশি হয়ে বললেন, এজন্য আপনাকে এই মাক্বামটা হাদিয়া মুবারক করা হলো। সুবহানাল্লাহ!


মহান আল্লাহ পাক উনার অধীনেই সম্মানিত খাছ মাক্বামটা। সুবহানাল্লাহ! অনেক বিরাট একটা আসন। এটা সর্বোচ্চ একটা মাক্বাম । বলা হয় যে, আবদিয়াতের মাক্বাম হচ্ছে সর্বোচ্চ মাক্কাম। তার চেয়ে সর্বোচ্চ হচ্ছেন এই মাক্বামটা। এটা যিনি খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নিসবত মুবারক প্রাপ্ত মাক্বাম।” সুবহানাল্লাহ!

মহান আল্লাহ পাক তিনি ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানার্থে আমাদের সবাইকে অনন্তকালব্যাপী মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র 'ফালাইয়াফর শরীফ' সাইয়্যিদুল আ'ইয়াদ শরীফ পালন করার তাওফীক্ব দান করুন। আমীন!
আদ্ দুরারুল মুখতারাহ্ - ফী নিসবাতি সুলত্বানিন নাছীর (১ম খণ্ড) পর্ব-৭


৭. হুযূরী পূর্ণতায় পৌঁছার শর্ত সম্পর্কে বর্ণনা মুবারক-


আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, আহলু বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মুতুহ্হার, মুত্বহহির, আছ ছমাদ মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে,

أخبرني عن الإحسان قال أن تعبد الله كانك تراه فإن لم تكن تراه فإنه

يراك

অর্থ: “আমাকে ইহ্সান সম্পর্কে সংবাদ দিন। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, তুমি এমনভাবে যিনি খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার সম্মানিত ইবাদাত মুবারক করো, যেন তুমি উনাকে দেখতে পাচ্ছো। আর যদি তুমি উনাকে দেখতে না পাও, তবে (ধারণা করো যে) তিনি তোমাকে দেখছেন।” সুবহানাল্লাহ! (মুসলিম শরীফ)

অর্থাৎ ইহ্সানের দুইটি দরজা- ১. যিনি খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনাকে দেখে দেখে ইবাদাত-বন্দেগী করতে হবে। ২. যদি তা সম্ভব না হয়, তাহলে ধারণা করতে হবে যিনি খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাকে দেখছেন। দায়িমীভাবে এই দুইটি অবস্থার যে কোনো একটি অবস্থা থাকতে হবে। সুবহানাল্লাহ!


আর দায়িমী হুযূরী বলতে যেটা বুঝায়- সেটা হচ্ছে, সবসময় যিনি খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনাকে দেখে দেখে ইবাদত

বন্দেগী করা। সুবহানাল্লাহ! আর ২৪ ঘন্টা দায়িমীভাবে তো হুযূরী থাকবেই, তবে সম্মানিত নামায উনার মধ্যে বিশেষ হুযূরী থাকবে। সুবহানাল্লাহ!

যিনি খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার অর্থাৎ উনাদের সাথে সাথে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে দায়িমীভাবে দেখে দেখে সমস্ত ইবাদত-বন্দেগী করতে হবে। সুবহানাল্লাহ! তাহলে হুযূরী পূর্ণতায় পৌঁছবে, অন্যথায় কস্মিনকালেও হুযূরী পূর্ণতায় পৌঁছবে না।” সুবহানাল্লাহ! সুবহানাল্লাহ! সুবহানাল্লাহ!

আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মুতুহ্হার, মুত্বহির, আছ ছমাদ মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ১৪৩৯ হিজরী শরীফ উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ২৩শে রমাদ্বান শরীফ লাইলাতুস সাত শরীফ (শনিবার) সম্মানিত তারাবীহ নামায এবং মহাসম্মানিত মক্ববূল মুনাজাত শরীফ শেষে ইরশাদ মুবারক করেন, “আজ আমি যখন সম্মানিত ‘ইশার নামায উনার সম্মানিত নিয়ত মুবারক করলাম, তখন দেখলাম যিনি উম্মুল মু'মিনীন আল ঊলা সাইয়্যিদাতুনা হযরত কুবরা আলাইহাস সালাম তিনি আমাকে উম্মুল মু'মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আল “আশিরহ্ আলাইহাস সালাম উনার বিশেষ যিয়ারত মুবারক করালেন। সুবহানাল্লাহ! সবসময় তো উনাদের সম্মানিত যিয়ারত মুবারক রয়েছেন, তবে এটা বিশেষ যিয়ারত মুবারক। মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনারা আমার সম্মানিত রুকু ও সম্মানিত সিজদাহ্ মুবারক উনার তাসবীহ্ মুবারকগুলো নিয়ন্ত্রণ মুবারক করে থাকেন। সুবহানাল্লাহ!


স্বাভাবিকভাবে যদি ধরা হয়, তাহলে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের পুরো বিষয়টা নিয়ন্ত্রণ করেন উম্মুল মু'মিনীন আল ঊলা সাইয়্যিদাতুনা হযরত কুবরা আলাইহাস সালাম তিনি। এরপরে হচ্ছেন বিনতু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদাতুনা হযরত আন নূরুছ ছালিছাহ আলাইহাস সালাম তিনি।” সুবহানাল্লাহ! সুবহানাল্লাহ! সুবহানাল্লাহ!

উপরোক্ত মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ওয়াক্বেয়াহ্ মুবারক দ্বারা সুস্পষ্ট হয়ে যায় যে, যিনি খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার, উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের সাথে আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মুত্বহ্হার, মুত্বাহির, আছ ছমাদ মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার কতো বেমেছাল মহাসম্মানিত তা'য়াল্লুক্ব-নিসবত মুবারক, যেটা সমস্ত জিন-ইনসান এবং তামাম কায়িনাতবাসী সকলের চিন্তা এবং কল্পনার উর্ধ্বে। সুবহানাল্লাহ! তিনি দায়িমীভাবেই উনাদের হাক্বীক্বী দায়িমী দীদার মুবারক-এ, তা'য়াল্লুক-নিসবত মুবারক-এ মশগুল রয়েছেন। সুবহানাল্লাহ! এটা আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মুত্বহ্হার, মুত্বাহির, আছ ছমাদ মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বেমেছাল শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত, বুযূর্গী-সম্মান মুবারক উনার বহি:প্রকাশ মুবারক । সুবহানাল্লাহ! এক কথায় তিনি শুধু যিনি খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি নন এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি নন; এছাড়া সমস্ত শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত, বুযূর্গী- -সম্মান মুবারক উনাদের


অধিকারী হচ্ছেন তিনি । সুবহানাল্লাহ!

মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদের সবাইকে আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার হাক্বীক্বী তা‘য়াল্লুক-নিসবত মুবারক, রেযামন্দি-সন্তুষ্টি মুবারক নছীব করুন। আমীন!
আদ্ দুরারুল মুখতারাহ্ - ফী নিসবাতি সুলত্বানিন নাছীর (১ম খণ্ড) পর্ব-৬

৬. রিয়া না করা, অহংকার না করা এবং দুনিয়ার মোহে মোহগ্রস্ত না হওয়ার বিষয়ে মহাসম্মানিত বিশেষ নির্দেশনা মুবারক-



আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ১৪৩৯ হিজরী শরীফ উনার ৩০শে যিলহজ্জ শরীফ লাইলাতুছ ছুলাছা শরীফ (মঙ্গলবার রাত্রে) আখাছুল খাছ মহাসম্মানিত বিশেষ নছীহত মুবারক প্রদানকালে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিশেষ ৩টি বিষয় ইরশাদ মুবারক করেন, “(১) স্বয়ং যিনি খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাকে বলেছেন, আমি যেন তোমাদেরকে বলি- তোমরা যেন রিয়া না করো। (২) সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি আমাকে বলেছেন, আমি যেন তোমাদেরকে বলি- তোমরা যেন অহংকার না করো। আর (৩) যিনি খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি অর্থাৎ উনারা উভয়ে আমাকে বলেছেন, আমি যেন তোমাদেরকে বলি- তোমরা যেন দুনিয়ার মোহে মোহগ্রস্ত না হও।” সুবহানাল্লাহ!

আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি আমাদের সবাইকে হিফাযত করুন। আমীন!
আদ্ দুরারুল মুখতারাহ্ - ফী নিসবাতি সুলত্বানিন নাছীর (১ম খণ্ড) পর্ব-৫

৫. একই মহাসম্মানিত দো'আ মুবারক প্রায় ৩৫ বার বা তার চেয়ে বেশি সংখ্যক বার পাঠ করার মহাসম্মানিত হাক্বীক্বত মুবারক-


আরেক

দিনের ওয়াক্বেয়াহ্ মুবারক- নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আব্বাজান সাইয়্যিদুনা হযরত যাবীহুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার সম্মানার্থে আয়োজিত বিশেষ মাহফিল মুবারক-এ আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মুত্বহ্হার, মুত্বহির, আছ ছমাদ মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি মহাসম্মানিত মক্কবূল মুনাজাত শরীফ-এ অন্যান্য দিনের তুলনায়

رب ارحمهما كما ربياني صغيرا.

এই মহাসম্মানিত দো'আ মুবারক অনেক বেশি সংখ্যক বার পাঠ করেন। প্রায় ৩৫ বার বা তার চেয়ে বেশি সংখ্যক বার পাঠ করেন। সুবহানাল্লাহ! আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মুত্বহ্হার মুত্বহির, আছ ছমাদ মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার এতো অধিক সংখ্যকবার এই মহাসম্মানিত দো'আ মুবারক পাঠ মুবারক দেখে মনে হচ্ছিলো যে, তিনি হয়তো এই মহাসম্মানিত দো'আ মুবারক পাঠ করা শেষ করবেন না। সুবহানাল্লাহ! তারপর আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মুত্বহার, মুত্বাহির, আছ ছমাদ মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ ছল্লাল্লাহু



আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি উনার মহাসম্মানিত তরতীব মুবারক মুতাবেক মহাসম্মানিত মক্ববুল মুনাজাত শরীফ শেষ করেন। অতঃপর তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, আজ একখানা বিশেষ মহাসম্মানিত ওয়াক্বেয়াহ্ মুবারক সংঘটিত হয়েছেন । আজকে যে মহাসম্মানিত মক্ববূল মুনাজাত শরীফ-এ

رب ارحمهما كما ربياني صغيرا

এই মহাসম্মানিত দো'আ মুবারক অনেক বেশি সংখ্যক বার পাঠ করা হয়েছে, তার কারণ হচ্ছে- আমি যখন এই মহাসম্মানিত দো'আ মুবারক পাঠ শুরু করলাম, তখন দেখলাম স্বয়ং সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি নিজেই এই মহাসম্মানিত দো'আ মুবারক পাঠ করছেন। তিনি যতবার এই মহাসম্মানিত দো'আ মুবারক পাঠ করেছেন, আমিও উনার কাছ থেকে শুনে শুনে ঠিক ততোবার এই মহাসম্মানিত দো'আ মুবারক পাঠ করেছি। সুবহানাল্লাহ! তিনি যখন এই মহাসম্মানিত দো'আ মুবারক পাঠ করা শেষ করেছেন, আমিও এই মহাসম্মানিত দো'আ মুবারক পাঠ করা শেষ করেছি।” সুবহানাল্লাহ!

তাহলে সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মুত্বহ্হার, মুত্বহহির, আছ ছমাদ মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার কত বেমেছাল মহাসম্মানিত তা'য়াল্লুক-নিসবত মুবারক, সেটা সমস্ত জিন-ইনসান, তামাম কায়িনাতবাসী সকলের চিন্তা ও কল্পনার উর্ধ্বে। সুবহানাল্লাহ!
আদ্ দুরারুল মুখতারাহ্ - ফী নিসবাতি সুলত্বানিন নাছীর (১ম খণ্ড) পর্ব-৪

৪. মহাসম্মানিত মক্ববুল মুনাজাত শরীফ উনার সময় স্বয়ং সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ‘আমীন! আমীন!' বলা-


আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি একবার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ‘ফালইয়াফর শরীফ' সাইয়্যিদুল আ'ইয়াদ শরীফ মাহফিল মুবারক-এ মহাসম্মানিত মক্ববূল মুনাজাত শরীফ শেষে ইরশাদ মুবারক করেন, “আমি যখন মুনাজাত শরীফ করছিলাম, তখন তোমরা অনেকেই গাফিল ছিলে। বিশেষ করে যখন কাফির-মুশরিকদের বিরুদ্ধে বদদো'আ করা হচ্ছিলো, তখন তোমরা জোরে জোরে আমীন বলোনি। তোমাদের এই অবস্থা দেখে সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি আমাকে বললেন- “অসুবিধা নেই, কেউ ‘আমীন!' বলুক অথবা না বলুক। আমি তো ‘আমীন! আমীন!' বলছি।” সুবহানাল্লাহ! সুবহানাল্লাহ! সুবহানাল্লাহ!

আমাদের সকলের জন্য ফরয হচ্ছে আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি যখন মহাসম্মানিত মক্ববুল মুনাজাত শরীফ করেন, বিশেষ করে যখন কাফির-মুশরিকদের বিরুদ্ধে বদদো'আ মুবারক করেন, তখন সর্বশক্তি দিয়ে জোরে জোরে 'আমীন! আমীন!' বলা। সুবহানাল্লাহ!
আদ্ দুরারুল মুখতারাহ্ - ফী নিসবাতি সুলত্বানিন নাছীর (১ম খণ্ড) পর্ব-৩

৩. সাইয়্যিদুনা হযরত যুন নূরাইন আলাইহিস সালাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় শাহাদাতী শান মুবারক প্রকাশের বছর, মাস, তারীখ, বার, ঘন্টা, মিনিট এবং সেকেন্ডসহ বর্ণনা মুবারক-



আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ১৪৩৯ হিজরী শরীফ উনার পহেলা মুহাররমুল হারাম শরীফ ইরশাদ মুবারক করেন, “সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি। আমাকে সাইয়্যিদুনা হযরত যুন নূরাঈন আলাইহিস সালাম তিনি কোন্ স্থান মুবারক-এ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় শাহাদাতী শান মুবারক প্রকাশ করেছেন, সেই সম্মানিত স্থান মুবারকখানা দেখিয়েছেন। সুবহানাল্লাহ! আমি সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত খিদমত মুবারক-এ জানতে চাইলাম- ইয়া রসূলাল্লাহ, ইয়া হাবীবাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! তিনি কোন্ সময় মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় শাহাদাতী শান মুবারক প্রকাশ করেছেন? তখন সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি আমাকে একটি কাটা ওয়ালা ঘড়ি মুবারক দেখালেন। আমি দেখলাম, তখনও উক্ত সম্মানিত ঘড়ি মুবারক-এ ১২:০০ টা বাজেনি। সেকেন্ডের কাটাটি আর ৪৫ সেকেন্ড অতিক্রম করলে ১২:০০ টা বাজবে । অর্থাৎ ১২:০০ টা বাজতে আর ৪৫ সেকেন্ড বাকি রয়েছে। অর্থাৎ ১১ টা বেজে ৫৯ মিনিট ১৫ সেকেন্ডে সাইয়্যিদুনা হযরত যুন নূরাইন আলাইহিস সালাম তিনি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় শাহাদাতী শান মুবারক প্রকাশ করেছেন।” সুবহানাল্লাহ!

আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশের ৬ বৎসর পর বা আমুল ফীলের ৬ বৎসর পর মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ওরা সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিশ শুহুরিল আ'যম শরীফ (মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র রবীউল আউওয়াল শরীফ) সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আইয়্যাম শরীফ (ইয়াওমুল ইছনাইনিল ‘আযীম শরীফ বা সোমবার) সাইয়্যিদুনা হযরত যুন নূরাঈন আলাইহিস সালাম তিনি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করেন। সুবহানাল্লাহ! আর তিনি ৩৫ হিজরী শরীফ উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ১৮ই যিলহজ্জ শরীফ ইয়াওমুল জুমুয়াহ শরীফ জুমুয়ার নামাযের পূর্বে ১১:০০ টা বেজে ৫৯ মিনিট ১৫ সেকেন্ডে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় শাহাদাতী শান মুবারক প্রকাশ করেন।” সুবহানাল্লাহ!

এই মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ওয়াক্বেয়াহ্ মুবারক উনার মাধ্যমে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বেমেছাল মহাসম্মানিত তাওয়াল্লুক নিসবত মুবারক উনার বিষয়টি স্পষ্টভাবে ফুটে উঠেছেন। সুবহানাল্লাহ! এতো গভীর মহাসম্মানিত তা'য়াল্লুক-নিসবত মুবারক! সাইয়্যিদুনা হযরত যুন নূরাঈন আলাইহিস সালাম তিনি যখন মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় শাহাদাতী শান মুবারক প্রকাশ করেন, তখন তো ঘড়ি ছিলো না। কিন্তু প্রায় দেড় হাজার বছর পরে এসে আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম

খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি এতো নিখুতভাবে বর্ণনা মুবারক করে দিলেন যে, সাইয়্যিদুনা হযরত যুন নূরাঈন আলাইহিস সালাম তিনি কয়টা বেজে, কতো মিনিটে এবং কতো সেকেন্ডে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় শাহাদাতী শান মুবারক প্রকাশ করেছেন! সুবহানাল্লাহ! সুবহানাল্লাহ! সুবহানাল্লাহ! প্রকৃতপক্ষে সন্দেহাতীতভাবে পৃথিবীর ইতিহাসে এটা এক নযীরবিহীন মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ওয়াক্বেয়াহ্ মুবারক, যেই মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ওয়াক্বেয়াহ্ মুবারক উনার মেছাল আর নেই। সুবহানাল্লাহ!

নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বেমেছাল মহাসম্মানিত তা'য়াল্লুক-নিসবত মুবারক উনার বিষয়টি উপলব্ধি করার জন্য চিন্তাশীল ও আকুলমান্দ উনাদের জন্য এই একখানা মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ওয়াক্বেয়াহ্ মুবারকই যথেষ্ট। সুবহানাল্লাহ!

যিনি খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদের সবাইকে হাক্বীক্বী ছহীহ সমঝ দান করুন। আমীন!