একজন কুতুবুজ্জামান- উনার দিদারে মাওলার দিকে প্রস্থান- সাইয়্যিদুনা হযরত দাদা হুযুর ক্বিবলা সাইয়্যিদ মুখলেছুর রহমান আলাইহিস সালাম উনার সাওয়ানেহে উমরী মুবারক-পর্ব-১২৪

 

ওলীয়ে মাদারজাদ, মুসতাজাবুদ্ দাওয়াত, আফযালুল ইবাদ, ছাহিবে কাশফ্ ওয়া কারামত, ফখরুল আওলিয়া, ছূফীয়ে বাতিন, ছাহিবে ইস্মে আযম, লিসানুল হক্ব, গরীবে নেওয়াজ, আওলাদে রসূল, আমাদের সম্মানিত দাদা হুযূর ক্বিবলা রহমতুল্লাহি আলাইহি-উনার স্মরণে-

একজন কুতুবুয্ যামান-উনার দিদারে মাওলা উনার দিকে প্রস্থান-

রাতের গভীরে অদৃশ্য স্থান থেকে গায়েবী

আওয়াজে দুআকবুলের স্বীকৃতি

অবাক বিস্ময়ে মুরীদের প্রশ্ন: হুযূর! আপনার কথা দুর্বোধ্য। জগৎ-সংসার, কুল কায়িনাত এবং সমুদয় আলম প্রতিপালন ও পরিচালনার দায়িত্বতো বান্দার নয়। এসব কাজ আল্লাহ পাক-উনার। দয়া করে যদি একটু বুঝিয়ে বলেন।শায়খ বললেন: তুমি নির্বোধ। বিষয়টি উপলব্ধির জন্য যে নিগূঢ় সমঝ্ দরকার, তা তোমার নেই। তুমি বুঝবে কি করে?” শায়খ বলতে থাকেনঃ আমি আমার সকল ইচ্ছা, আগ্রহ, উদ্দেশ্য এবং মত ও পথ আল্লাহ পাক-উনার ইচ্ছা, আগ্রহ, উদ্দেশ্য এবং মত-উনার সঙ্গে মিলিয়ে দিয়েছি। আল্লাহ পাক-উনার ইচ্ছা ও মত-উনার বিপরীতে আমার কোন ইচ্ছা ও মত নেই। কাজেই. আল্লাহ পাক যাচান, আমিও তাই চাই এবং যাচাই তাই হয়। মূলতঃ আল্লাহ পাক-উনার উদ্দেশ্য ও ইচ্ছাই বাস্তবায়িত হয়।

শায়খ উনার তাত্ত্বিক জাওয়াব প্রশ্নকারী মুরীদ কতোটুকু বুঝেছেন অথবা আদৌ বুঝেছেন কিনা, তা জানা যায় না। তবে শায়খ যা বলেছেন তাই সঠিক ও সত্য। আল্লাহ পাক এবং উনার প্রিয়তম হাবীব, আকরামুল আউয়ালীন ওয়াল আখিরীন, ছাহিবু লাওলাক, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-উনার সদয় ইচ্ছার বিরুদ্ধে কিছু চাওয়া ওলীআল্লাহগণের মুবারক বৈশিষ্ট্য, মান, শান, ইয্যত ও ঐতিহ্যের খিলাফ। আল্লাহ পাক-উনার ইচ্ছার বিরুদ্ধাচরণে ওলীত্ব অটুট থাকা দূরের কথা, একজন সাধারণ মুমিনের ঈমানইতো সমূলে বিনাশ হয়!

আলোচিত ঘটনায় জানা গেলো, মনোনীত ওলীআল্লাহগণের কোন চাওয়াই আল্লাহ পাক অপূর্ণ রাখেন না। খালিছ নায়িবে রসূলগণের মাধ্যমে আল্লাহ পাক-উনার উদ্দিষ্ট ব্যবস্থাদি বাস্তবায়িত হয়ে থাকে। প্রেক্ষিত কারণে ওলীয়ে মাদারজাদ, মুস্তাজাবুদ্ দাওয়াত, আফ্যালুল ইবাদ, ছাহিবে কাশ্ফ ওয়া কারামত, ফখ্রুল আওলিয়া, ছূফিয়ে বাতিন, ছাহিবে ইস্মে আযম, লিসানুল হক্ব, গরীবে নেওয়াজ, কুতুবুয্যামান, আওলাদে রসুল, শাহ্ ছূফী, আলহাজ্জ, সাইয়্যিদুনা হযরতুল আল্লামা সাইয়্যিদ মুহম্মদ মুখলিছুর রহমান  আলাইহিস সালাম-উনার সব দুআযে অনুক্ষণ আল্লাহ পাক কবুল করেন, এটাইতো সংগত ও স্বাভাবিক। উনার দুআকবুলের স্বীকৃত ঘটনা অগণিত। সে সবের মধ্যে কারামত-সমৃদ্ধ নিম্নের ঘটনাটি তাৎপর্যপূর্ণ।

ঘটনার বিবরণ-

আমার (লেখক) বেশ কজন আত্মীয় ইউরোপে থাকেন। তাদের দুজন পৃথকভাবে সেখানে গিয়ে বসবাসের জন্য সংশ্লিষ্ট দেশের সরকারের অনুমতির অপেক্ষায় দীর্ঘকাল অতিবাহিত করেন। দীর্ঘ অপেক্ষায় অনেক চেষ্টার পরও বাঞ্ছিত অনুমতি পাওয়া যাচ্ছিলো না। তাদেরকে অনুমতি দেয়া হবে না মর্মে ঐ দেশের সরকার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছিলো। অবশেষে অবস্থা এতোই প্রকট হলো যে, বাধ্য হয়ে সহসাই শূন্যহাতে তাদের দেশে ফিরে আসতে হবে। জীবনে সচ্ছল হওয়ার স্বপ্নীল আশায় বিপুল টাকা খরচ করে বিদেশে গিয়ে বিফল হয়ে ফিরে আসার যাতনা তাদের জন্য ছিলো দুর্বিষহ। বিষয়টি তারা আমাকে জানালে আমি বেদনাহত হই। ভাবতে থাকি কী করা যায়। কিন্তু এরূপক্ষেত্রে আমার কিছুইতো করার নেই। একসময় আমার মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা, খলীফাতুল্লাহ, খলীফাতু রসূলিল্লাহ, ইমামুশ্ শরীয়ত ওয়াত্ তরীক্বত, ইমামুল আইম্মাহ, মুহইস্ সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদে আযম, হুজ্জাতুল ইসলাম, ছাহিবু সুলত্বানিন্ নাছীর, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, আওলাদে রসূল আলাইহিস সালাম-উনার মুবারক ওসীলায় বদ্ধমূল ধারণা হলো, এ বিষয়ে মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম এবং উনার বুযুর্গ পিতা, আমার দাদা হুযূর ক্বিবলা, ওলীয়ে মাদারজাদ, মুস্তাজাবুদ্ দাওয়াত, ফখ্রুল আওলিয়া, ছাহিবে কাশ্ফ ওয়া কারামত, আফ্যালুল ইবাদ, ছাহিবে ইসমে আযম, লিসানুল হক্ব, ছূফিয়ে বাতিন, গরীবে নেওয়াজ, কুতুবুয্যামান, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা হযরতুল আল্লামা সাইয়্যিদ মুহম্মদ মুখলিছুর রহমান  আলাইহিস সালাম দুআকরলে সমস্যার সমাধান হবে। দুআর জন্য উনাদের কাছে বিনীত আরজু জানাতে আমি তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেললাম। এতে নিমিষে আমার উৎকণ্ঠা দূর হয়ে অন্তরে অনাবিল প্রশান্তি নেমে এলো। (চলবে)

আবা-১৮৪

একজন কুতুবুজ্জামান- উনার দিদারে মাওলার দিকে প্রস্থান- সাইয়্যিদুনা হযরত দাদা হুযুর ক্বিবলা সাইয়্যিদ মুখলেছুর রহমান আলাইহিস সালাম উনার সাওয়ানেহে উমরী মুবারক-পর্ব-১২৩

 


ওলীয়ে মাদারজাদ, মুসতাজাবুদ্ দাওয়াত, আফযালুল ইবাদ, ছাহিবে কাশফ্ ওয়া কারামত, ফখরুল আওলিয়া, ছূফীয়ে বাতিন, ছাহিবে ইস্মে আযম, লিসানুল হক্ব, গরীবে নেওয়াজ, আওলাদে রসূল, আমাদের সম্মানিত দাদা হুযূর ক্বিবলা রহমতুল্লাহি আলাইহিস সালাম-উনার স্মরণে-

একজন কুতুবুয্ যামান-উনার দিদারে মাওলা উনার দিকে প্রস্থান-

আজমীর শরীফ-এ চীশ্তিয়া তরীক্বার ইমাম,

কুতুবুল আক্তাব, সুল্তানুল হিন্দ, গরীবে নেওয়াজ, হাবীবুল্লাহ, হযরত খাজা সাইয়্যিদ মুঈনুদ্দীন হাসান চীশ্তি রহমতুল্লাহি আলাইহি-উনার সঙ্গে প্রত্যক্ষ সংযোগ স্থাপন/অনুপম কারামত-উনার বহিঃপ্রকাশ

 তবে বাহ্যিক কারামতও মহামূল্যবান। এতে বিদিশা মানুষের অনেকেই সিরাতুল মুস্তাক্বীম খুঁজে পায়। আত্মজ্ঞ, তত্ত্বজ্ঞ ও সমঝ্দার মানুষের সংখ্যা একান্তই অপ্রতুল হওয়ায় বাহ্যিক কারামত নিয়েই মানুষের মাতামাতি বেশি, যদিও বাহ্যিক কারামতের তাৎপর্য ও গভীরতা বুঝাও দুরূহ। আল্লাহ্ পাক এবং উনার প্রিয়তম হাবীব, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামও  অনুগ্রহবশতঃ মানুষের আত্মতুষ্টি এবং তাদের ঈমান ও আক্বীদা বিশুদ্ধ করণের লক্ষ্যে মাহবুব ওলীগণের তোফায়েলে বাহ্যিক কারামত-উনার দরজা প্রয়োজনমতে অবারিত করে রেখেছেন। বাহ্যিক ও অভ্যন্তরীণ কারামত উপলব্ধির ক্ষেত্রে সূক্ষ্মদর্শী ও সাধারণ মানুষ, উভয়ের জন্যই আল্লাহ্ পাক উনার মাহবুব্ ওলীগণের মান, শান, ইয্যত ও ঐতিহ্য প্রকাশের পথ খুলে রেখেছেন।

ওলীয়ে মাদারজাদ, মুস্তাজাবুদ্ দাওয়াত, আফযালুল ইবাদ, ছাহিবে কাশ্ফ ওয়া কারামত, ফখ্রুল আওলিয়া, ছূফীয়ে বাতিন, ছাহিবে ইস্মে আযম, লিসানুল হক্ব, গরীবে নেওয়াজ, কুতুবুয্যামান, আওলাদে রসূল, হযরতুল আল্লামা সাইয়্যিদ মুহম্মদ মুখলেছুর রহমান রহমতুল্লাহি আলাইহি এবং উনার মুজাদ্দিদে আযম আওলাদ আলাইহিস সালাম-উনার কামিয়াবীর অত্যুঙ্গঁ সোপান, অর্থাৎ উনাদের অভ্যন্তরীণ কারামত (মাক্বাম ও সম্মান) মানুষের উপলব্ধির সীমাহীন ঊর্ধ্বে বিধায় আল্লাহ পাক-উনার উদ্দিষ্ট ব্যবস্থায় উনাদের বাহ্যিক কারামত প্রকাশিত হওয়া প্রয়োজন। সে লক্ষ্যেই দলীলে কাবায়ে মাকসূদ, হুব্বুল আউয়ালীন ওয়াল আখিরীন, শাফিউল উমাম, রউফুর রহীম, হাবীবুল্লাহ্, নূরে মুজাস্সাম হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-উনার সদয় নির্দেশিত পন্থায় বেমেছাল বুযুর্গীর আধিকারী পিতা পুত্র, উভয়ের অগণিত কারামতের মধ্যে পাগড়ী মুবারকহাদিয়া প্রদানের মতো একটি অনন্য বাহ্যিক কারামত প্রকাশিত হয়েছে।

                                   রাতের গভীরে অদৃশ্য স্থান থেকে গায়েবী

আওয়াজে দুআকবুলের স্বীকৃতি

মাহবুব ওলীগণের সব দুআও মনোবাঞ্ছাই আল্লাহ পাক এবং উনার প্রিয়তম হাবীব, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাস্সাম, মাশুকে মাওলা, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কবুল করে থাকেন। কবুল হওয়ার বিষয়টি উনাদেরকে জানিয়েও দিয়ে থাকেন। উনাদের ইচ্ছা অনুক্ষণ আল্লাহ পাক-উনার ইচ্ছার সঙ্গে মিলিত থাকায় আরজু পূরণে কোন ব্যত্যয় ঘটে না। সূক্ষ্মদর্শী ওলীআল্লাহগণের নিজস্ব কোন মত ও পথ না থাকায় দুআকবুলের সকল ক্ষেত্রে আল্লাহ পাক-উনার ইচ্ছাই বাস্তবায়িত হয়। আপন উদ্দেশ্য ও ইচ্ছা বাস্তবায়নে আল্লাহ পাক এবং রহমতুল্লিল আলামীন, রউফুর রহীম, ছাহিবুল ওহী ওয়াল কুরআন, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নিরঙ্কুশ ক্ষমতার অধিকারী এবং ক্ষমতা প্রয়োগে বেপরোয়া। আল্লাহ পাক-উনার উদ্দিষ্ট ব্যবস্থায় নৈকট্যধন্য ওলীগণও আপন স্বভাবে স্বাধীন ও বেপরোয়া। আল্লাহ পাক-উনার ইচ্ছার প্রতি পরিপূর্ণরূপে সমর্পিত থাকায় একান্ত স্বাধীন ও বেপরোয়া হওয়া সত্ত্বেও ওলীআল্লাহগণ হিম্মতহীন। স্বতন্ত্র কোন ইচ্ছা পোষণ না করে আল্লাহ পাক-উনার নিয়ন্ত্রণে আপন স্বভাবে স্বাধীন থাকাই হিম্মতহীনহওয়ার মূল তাৎপর্য। অর্থাৎ, ওলীআল্লাহণের নিজস্ব কোন মত ও পথ না থাকা। এমন স্বাধীন ও বেপরোয়া মাহবুব ওলীগণের কোন মনোবাঞ্ছাই অপূর্ণ থাকে না। আপন মত ও পথ বিসর্জন দেয়াই উনাদের আরজু পূরণের নিগূঢ় বিষয়।

এ প্রসঙ্গে প্রণিধানযোগ্য একটি ঘটনা এখানে উল্লেখযোগ্য। একজন ময্যুব মুরীদ উনার শায়খের কাছে জানতে চাইলেন: হুযূর! আপনি কেমন আছেন?” শায়খের জাওয়াব: ভালো আছি। পুনরায় মুরীদের জিজ্ঞাসা: ভালো আছেন জানলাম, কিন্তু কতোটুকু ভালো হুযূর?” শায়খ জানালেন: অত্যন্ত ভালো আছি। আমার ভালো থাকার সীমা-পরিসীমা নেই। কারণ, আমি যাচাই তাই হয়, যাচাইনা তাহয় না। জগৎ-সংসার, এমনকি সমুদয় আলমের যাবতীয় বিষয়কর্ম আমার ইচ্ছাতেই সম্পাদিত হয়।” (চলবে)

আবা-১৮৩

একজন কুতুবুজ্জামান- উনার দিদারে মাওলার দিকে প্রস্থান- সাইয়্যিদুনা হযরত দাদা হুযুর ক্বিবলা সাইয়্যিদ মুখলেছুর রহমান আলাইহিস সালাম উনার সাওয়ানেহে উমরী মুবারক-পর্ব-১২২

 

ওলীয়ে মাদারজাদ, মুসতাজাবুদ্ দাওয়াত, আফযালুল ইবাদ, ছাহিবে কাশফ্ ওয়া কারামত, ফখরুল আওলিয়া, ছূফীয়ে বাতিন, ছাহিবে ইস্মে আযম, লিসানুল হক্ব, গরীবে নেওয়াজ, আওলাদে রসূল, আমাদের সম্মানিত দাদা হুযূর ক্বিবলা আলাইহিস সালাম-উনার স্মরণে-

একজন কুতুবুয্ যামান-উনার দিদারে মাওলা উনার দিকে প্রস্থান-

আজমীর শরীফ-এ চীশ্তিয়া তরীক্বার ইমাম,

কুতুবুল আক্তাব, সুল্তানুল হিন্দ, গরীবে নেওয়াজ, হাবীবুল্লাহ, হযরত খাজা সাইয়্যিদ মুঈনুদ্দীন হাসান চীশ্তি রহমতুল্লাহি আলাইহি-উনার সঙ্গে প্রত্যক্ষ সংযোগ স্থাপন/অনুপম কারামত-উনার বহিঃপ্রকাশ

চলমান অধ্যায়ের শুরুতে কারামতসম্পর্কে নাতিদীর্ঘ আলোচনা করা হয়েছে।  আলোচনার প্রাসঙ্গিকতায় আজমীর শরীফ থেকে হাদিয়া প্রাপ্ত পাগড়ী মুবারক-উনার সঙ্গে কারামত’-উনার সম্পৃক্ততা বিষয়ে এখানে কিঞ্চিত আলোকপাত প্রয়োজন। সাধারণভাবে কারামত দুভাগে বিভক্তঃ বাহ্যিক ও অভ্যন্তরীণ। দুপ্রকার কারামতেই মানুষের আক্বল, বুদ্ধি ও বিবেচনা পরাভূত হয়। কোন স্বাভাবিক বিষয় ও বস্তুর আকার, প্রকার, পরিধি, ইত্যাদি বদ্লে ফেলে অভিনব অন্য কিছু বানানোকে বাহ্যিক কারামতবলা হয়। অর্থাৎ, ওলীআল্লাহ্গণ কর্র্তৃক স্বাভাবিক নিয়মের ব্যতিক্রম কার্যাদি প্রকাশিত হওয়ার নামই বাহ্যিক কারামত। সাধারণ মানুষ অধিক হারে এ কারামত দেখার প্রত্যাশী। সত্য যে, এতে অনেকে হিদায়েতের দিকে ধাবিত হয়। তবে, এ ধাবমানতায় প্রকৃত হিদায়েতের উপলব্ধি (সমঝ্) ও বিশ্বাসের (ঈমান) বন্ধন দৃঢ় থাকেনা। কারণ, মাহবুব ওলীগণের মুবারক স্বভাব-সঞ্জাত অসাধারণ গুণ-বৈশিষ্ট্য এবং আল্লাহ্ পাক ও উনার প্রিয়তম হাবীব, নূরে মুজাস্সাম, মাশুকে মাওলা, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-উনার সঙ্গে উনাদের নিগূঢ় নৈকট্যজনিত মাক্বামের প্রকৃতি ও পরিধি সম্পর্কে অনবহিত থেকেই বাহ্যিক কারামতে বিস্মিত হয়ে সাধারণ মানুষ ঈমান গ্রহণ করে থাকে। অবশ্য কোশেশে নিয়োজিত থেকে পরিণতিতে তাদের অনেকেই মজবুত ঈমান, আক্বীদা ও আমলে আল্লাহ্ পাক এবং সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, হাবীবুল্লাহ্, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-উনার সন্তুষ্টিলাভে ধন্য হয়।

পক্ষান্তরে, আল্লাহ্ পাক এবং সরওয়ারে কাওনাইন, সিরাজুম্ মুনীরা, হাবীবুল্লাহ্, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-উনার সঙ্গে দায়িমী নিস্বত ও তায়াল্লুক (সম্পর্ক ও নৈকট্য) স্থাপনের মাধ্যমে লব্ধ পবিত্রতা, সত্যবাদিতা, অনাবিল আচরণ-বিচরণ, দুনিয়া বিরাগী মানসিকতা, ইবাদত-বন্দেগীতে নিবিষ্টতা, এবং যাবতীয় সুন্নত পালনের নিমগ্নতায় আল্লাহ্ পাক এবং উনার প্রিয়তম হাবীব, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ওয়া সাল্লাম- উভয় উনার মতে ও পথে ইস্তিক্বামত থেকে ওলীআল্লাহ্গণ নিষ্কলুষ জীবনলাভে অসাধারণ গুণ-বৈশিষ্ট্যের অধিকারী হয়ে থাকেন। এমন ওলীগণই প্রকৃত নায়িবে রসূল এবং প্রকৃত হাদী। এসব গুণ-বৈশিষ্ট্যই উনাদের মুবারক স্বভাব-সম্পৃক্ত অভ্যন্তরীণ কারামত। অভ্যন্তরীণ কারামতের অবস্থান আক্বল ও সমঝের সীমাহীন ঊর্ধ্বে থাকায় সাধারণ মানুষ বাহ্যিক কারামত দেখতে প্রত্যাশী হয় এবং বাহ্যিক কারামতকেই তারা প্রকৃত কারামত অভিধায় অভিষিক্ত করে থাকে। স্থূল বিবেচনার কারণে প্রকৃত, অর্থাৎ অভ্যন্তরীণ কারামত (প্রকৃত কারামত) অনুসন্ধানের কোন অবকাশই তাদের থাকেনা।

নবুওওয়াত ও রিসালত পরীক্ষার জন্য ইহুদীরা ছাহিবুল ওহী ওয়াল কুরআন, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে তত্ত্বমূলক অজস্র প্রশ্ন করেছে, যা কালামুল্লাহ্ শরীফে উল্লিখিত রয়েছে। তারা কখনো মুজিযা দেখতে চায়নি। মুজিযা দেখে সন্দেহ, সংশয় ও অবিশ্বাস নিরসন  অনিবার্য না হওয়ায় চাঁদ দুভাগ করার মুজিযা দেখেও কাট্টা কাফির আবূ জাহিল ঈমান গ্রহণ করেনি। অথচ সুদূর ইয়েমেন থেকে আসা সত্যান্বেষীগণ এ মুজিযা দেখে রিসালত সম্পর্কে প্রত্যয়ী হয়ে ঈমান গ্রহণ করে সাহাবীর (রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম) মর্যাদালাভ করেছেন। পূর্ববর্তী কিতাবসমূহেও সাইয়্যিদুল আম্বিয়া, ছাহিবে লাওলাক, খাতামুন নাবিয়্যীন, হাবীবুল্লাহ্, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-উনার আবির্ভাবের বিষয় উল্লেখ আছে, মুজিযার বিষয় উল্লেখ নেই। জলীলুল ক্বদর রসূল, হযরত মূসা কালীমুল্লাহু আলাইহিস্ সালাম-উনার মুজিযা দেখে ফিরাউন ঈমান আনেনি। কিন্তু বণী ইসরাঈলগণের ঈমান গ্রহণে মুজিযা প্রয়োজন হয়নি। কাফিররাই বাহ্যিক মুজিযার প্রত্যাশী ছিল। বারবার মুজিযা দেখেও তাদের সন্দেহ, সংশয় ও অবিশ্বাস দূর হয়নি। তারা একের পর আরেক মুজিযার প্রার্থী হয়েছে। মূলকথা, অভ্যন্তরীণ মুজিযা উপলব্ধিতে ব্যর্থ হওয়ার কারণে কাফিররা কাফিরই থেকে গেছে।

উপরের সংক্ষিপ্ত আলোচনায় স্পষ্ট হয়েছে যে, ওলী আল্লাহগণের মুবারক স্বভাব-সঞ্জাত অভ্যন্তরীণ কারামতই প্রকৃত কারামত। (অসমাপ্ত)

আবা-১৮২

একজন কুতুবুজ্জামান- উনার দিদারে মাওলার দিকে প্রস্থান- সাইয়্যিদুনা হযরত দাদা হুযুর ক্বিবলা সাইয়্যিদ মুখলেছুর রহমান আলাইহিস সালাম উনার সাওয়ানেহে উমরী মুবারক-পর্ব-১২১

 


ওলীয়ে মাদারজাদ, মুসতাজাবুদ্ দাওয়াত, আফযালুল ইবাদ, ছাহিবে কাশফ্ ওয়া কারামত, ফখরুল আওলিয়া, ছূফীয়ে বাতিন, ছাহিবে ইস্মে আযম, লিসানুল হক্ব, গরীবে নেওয়াজ, আওলাদে রসূল, আমাদের সম্মানিত দাদা হুযূর ক্বিবলা রহমতুল্লাহি আলাইহি-উনার স্মরণে-

একজন কুতুবুয্ যামান-উনার দিদারে মাওলা উনার দিকে প্রস্থান-

আজমীর শরীফ-এ চীশ্তিয়া তরীক্বার ইমাম,

কুতুবুল আক্তাব, সুল্তানুল হিন্দ, গরীবে নেওয়াজ, হাবীবুল্লাহ, হযরত খাজা সাইয়্যিদ মুঈনুদ্দীন হাসান চীশ্তি রহমতুল্লাহি আলাইহি-উনার সঙ্গে প্রত্যক্ষ সংযোগ স্থাপন/অনুপম কারামত-উনার

 

আজমীর শরীফ থেকে ওলীয়ে মাদারজাদ, মুসতাজাবুদ্ দাওয়াত, আফযালুল ইবাদ, ফখরুল আউলিয়া, লিসানুল হক্ব, গরীবে নেওয়াজ, আওলাদে রসূল, হযরতুল আল্লামা সাইয়্যিদ মুহম্মদ মুখ্লেছুর রহমান রহমতুল্লাহি আলাইহিকে যে পাগড়ী মুবারক হাদিয়া দেয়া হয়েছে, সে সম্পর্কে বক্ষ্যমান আলোচনার অন্তর্নিহিত তাৎপর্য গভীর চিন্তা ও ফিকিরের বিষয়। সব মানুষেরই, বিশেষতঃ তাসাউফপন্থীগণের জানা যে, বাংলাদেশ-পাকিস্তান-ভারত এবং তৎসংলগ্ন এলাকায় ওলী আল্লাহ হওয়ার জন্য ইমামুশ্ শরীয়ত ওয়াত্ তরীক্বত, কুতুবুল আক্তাব, সুলত্বানুল হিন্দ, গরীবে নেওয়াজ, হাবীবুল্লাহ, আওলাদে রসূল, হযরত খাজা সাইয়্যিদ মুঈনুদ্দীন হাসান চীশ্তি রহমতুল্লাহি আলাইহি-উনার প্রাথমিক অনুমোদন প্রয়োজন। কারণ সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিয়্যীন, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে সংশ্লিষ্ট জনপদের সুলত্বানকুতুব পদে ভূষিত করেছেন। মাশুকে মাওলা, নূরে মুজাস্সাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-উনার প্রতি মুহব্বত ও তাযীম-তাকরীমের কারণে সকলকেই নায়িবে রসূল ফিল হিন্দ, সুলত্বানুল আরিফীন, মঈনুল মিল্লাত ওয়াদ্দ্বীন, গরীবে নেওয়াজ, হাবীবুল্লাহ, আওলাদে রসূল, হযরত খাজা সাইয়্যিদ মুঈনুদ্দীন হাসান চীশ্তি রহমতুল্লাহি আলাইহি-উনার নিকট থেকে প্রয়োজনীয় নাজ-নিয়ামত ও অনুমোদন লাভের প্রত্যাশী হতে হয়।

এখানে লক্ষ্যণীয় যে, খলীফাতুল্লাহ, খলীফাতু রসুলিল্লাহ, সাইয়্যিদু উলিল আর্ম, মাখ্যানুল মারিফাত, খাজিনাতুর রহমত, মঈনুল মিল্লাত ওয়াদ্দ্বীন, লিসানুল উম্মাহ, তাজুল মুফাস্সিরীন, রঈসুল মুহাদ্দিছীন, ফখ্রুল ফুক্বাহা, হাকিমুল হাদীছ, হুজ্জাতুল ইসলাম, সাইয়্যিদুল মুজতাহিদীন, মুহইস সুন্নাহ, মাহিউল বিদয়াত, ছাহিবুল ইলহাম, রসূলে নোমা, সাইয়্যিদুল আউলিয়া, সুল্্ত্বানুল আরিফীন, ইমামুছ ছিদ্দীক্বীন, ছাহিবু সুলত্বানিন্ নাছীর, মুসতাজাবুদ্ দাওয়াত, কুতুবুল আলম, আল গাউছুল আযম, আল মুজাদ্দিদুল আযম, ক্বইয়ূমুয যামান, আল জাব্বারিউল আউয়াল, আল ক্বাবিউল আউয়াল, ইমামুল আইম্মাহ, ইমামুশ্ শরীয়ত ওয়াত তরীক্বত, ইমামে আযম, মুর্শিদে আযম, হাবীবুল্লাহ, ইমামুল হুদা, জামিউল আল্ক্বাব, ক্বায়িম মক্বামে রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মাদারজাদ ওলী, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা ঢাকা রাজারবাগ শরীফের হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী এবং উনার সম্মানিত পিতা ওলীয়ে মাদারজাদ, কুতুবুয যামান, ছাহেবে ইসমে আযম, লিসানুল হক্ব, আওলাদে রসূল, হযরতুল আল্লামা সাইয়্যিদ মুহম্মদ মুখলেছুর রহমান রহমতুল্লাহি আলাইহি না চাইতেই পাগড়ী মুবারক হাদিয়া দেয়া হলো। 

তাঁদের জন্য অবশ্য হাদিয়া, নাজ-নিয়ামত, অনুমোদন ইত্যাদি চাওয়ার বিষয়টি অবান্তর। কারণ, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, রফিকু ছাহিবিল কুদ্রত, ছাহিবু লাওলাক্ব, রউফুর রহীম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পূর্বেই যাবতীয় নিয়ামত সম্ভারে পিতা-পুত্র উভয়কে পরিপূর্ণ করেছেন। পরবর্তীতে এ মুবারক হাদিয়া প্রদানের বিষয়ে যে সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-উনার মুবারক নির্দেশনা ছিলো, তা সমঝ্দার মানুষের বুঝতে কষ্ট হওয়ার কথা নয়। অর্থাৎ এ হাদিয়ার মাধ্যমে সকল ওলীআল্লাহ ও বিশ্ববাসীকে জানানো হয় যে,  আল্লাহ পাক এবং সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, আকরামুল আওয়ালীন ওয়াল আখিরীন, মাশুকে মাওলা, নূরে মুজাস্সাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কর্তৃক মুজাদ্দিদে আযম মুদ্দা জিল্লুহুল আলী খাছভাবে মনোনীত ও কবুলকৃত।

বিষয়টি বিবেচনায় রেখেই পাগড়ী মুবারক হাদিয়া প্রদান সংক্রান্ত মহামূল্যবান ও বরকতময় ঘটনার আলোচনা কারামত অধ্যায়ের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। কারামত-উনার যতো প্রকার অর্থ দ্যোতনা, বিশ্লেষণ, তাৎপর্য ও মহিমাই থাকুকনা কেন, উনার মর্মার্থ হলো বুযূর্গী, সম্মান, মান, শান, ইয্যত ও ঐতিহ্য। মুজাদ্দিদে আযম পুত্র মুদ্দা জিল্লুহুল আলী-উনার পক্ষে মুবারক পাগড়ী হাদিয়া গ্রহণের মাধ্যমে ওলীয়ে মাদারজাদ, ছাহিবে কাশ্ফ ওয়া কারামত, আওলাদে রসূল, হযরতুল আল্লামা সাইয়্যিদ মুহম্মদ মুখলেছুর রহমান রহমতুল্লাহি আলাইহি-উনার বেমেছাল মর্যাদা, মর্তবা, বুযূর্গী ও উনার অগণিত কারামতের মধ্যে একটি অনন্য কারামত-উনার বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে। (চলবে)

আবা-১৮১

একজন কুতুবুজ্জামান- উনার দিদারে মাওলার দিকে প্রস্থান- সাইয়্যিদুনা হযরত দাদা হুযুর ক্বিবলা সাইয়্যিদ মুখলেছুর রহমান আলাইহিস সালাম উনার সাওয়ানেহে উমরী মুবারক-পর্ব-১২০

ওলীয়ে মাদারজাদ, মুসতাজাবুদ্ দাওয়াত, আফযালুল ইবাদ, ছাহিবে কাশফ্ ওয়া কারামত, ফখরুল আওলিয়া, ছূফীয়ে বাতিন, ছাহিবে ইস্মে আযম, লিসানুল হক্ব, গরীবে নেওয়াজ, আওলাদে রসূল, আমাদের সম্মানিত দাদা হুযূর ক্বিবলা রহমতুল্লাহি আলাইহিস সালাম-উনার স্মরণে-

একজন কুতুবুয্ যামান-উনার দিদারে মাওলা উনার দিকে প্রস্থান-

আজমীর শরীফে চীশ্তিয়া তরীক্বার ইমাম, কুতুবুল আক্তাব, সুল্তানুল হিন্দ, গরীবে নেওয়াজ, হাবীবুল্লাহ, হযরত খাজা সাইয়্যিদ মুঈনুদ্দীন হাসান চীশ্তি রহমতুল্লাহি আলাইহি-উনার সঙ্গে প্রত্যক্ষ সংযোগ স্থাপন/অনুপম কারামত-উনার বহিঃপ্রকাশ

ওলীয়ে মাদারজাদ, আওলাদে রসূল, মুজাদ্দিদে আযম, মুর্শিদে আযম, রাজারবাগ শরীফ-উনার মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালামও উনার মাক্বামের কথা কখনো বলেন না। কারণ, উনার মাক্বামের প্রকৃতি, পরিধি ও পরিণত স্তর মানুষের অবোধ্য ও অগম্য। উনার অতুলনীয় কামিয়াবীর অত্যুচ্চ সোপান মানুষ অনুমান করে থাকে মাত্র। তুলনামূলকভাবে যারা সমঝ্দার এবং অনুসন্ধিৎসায় তৎপর, কেবল তারাই জগৎব্যাপী উনার অপ্রতিরোধ্য তাজদীদের ব্যাপ্তি এবং বিশাল কর্মকুশলতা থেকে আপন বিবেচনায় উনার অবস্থানের আভাস পেয়ে থাকেন বলে মনে করেন। উলামায়ে ছূসহ সকল দুনিয়ালোভীরা উনার বিরোধিতায় নিরন্তর নিয়োজিত এবং নির্বোধরা এ বিষয়ে বেখবর। উনার ক্রমবর্ধিষ্ণু ধাবমানতা কেবলই ঊর্ধ্বপানে, অর্থাৎ আল্লাহ পাক এবং উনার প্রিয়তম হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-উনার দিকে। অনুক্ষণ তিনি আল্লাহ পাক এবং উনার মাশুক, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-উনার কুদরতী যিম্মায় রয়েছেন। যেমন মধ্যাকর্ষণ শক্তির উপরের অবস্থান থেকে একান্ত ইচ্ছায় না হলে নীচে নামার আর কোন সুযোগই থাকে না।

এ বিষয়ে সাইয়্যিদুত্ ত্বইফা, হযরত জুনাইদ বাগদাদী রহমতুল্লাহি আলাইহি বলেন, আল্লাহ পাক এবং উনার প্রিয়তম হাবীব, রহমতে আলম, রউফুর রহীম, হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-উনার মারিফাত ও মুহব্বত সম্পর্কে আফদ্বালুন নাছ, বাদাল আম্বিয়া, খলীফাতু রসূলিল্লাহ, ছিদ্দীক্বে আকবর, খলীফাতুল মুসলিমীন, আমীরুল মুমিনীন হযরত আবু বকর ছিদ্দীক্ব রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু যা বলেছেন, তাই যথার্থ। তিনি বলেছেন:

سبحان من لم يجعل لخلقه سبيلا بالعجز عن معرفته

অর্থঃ পবিত্র সেই মহান আল্লাহ পাক, যিনি উনার মারিফাত হাছিলের রাস্তা কেবল উনাকেই দেখিয়েছেন, যে উনার তত্ত্ব ও রহস্য উদ্ঘাটনের কোশেশে ব্রতী হয়ে অক্ষম হয়ে পড়েছে।এখানে অক্ষমতার নিগূঢ় অর্থ বান্দার আপেক্ষিক সক্ষমতা ও কামিয়াবী। আফদ্বালুন নাস, বাদাল আম্বিয়া হযরত আবু বকর ছিদ্দীক্ব রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু-উনার এ অমিয় বাণী পুরোপুরি মুজাদ্দিদে আযম আলাইহিস সালাম-উনার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য।

আল্লাহ পাক এবং সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, রহমতুল্লিল আলামীন, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কর্তৃক প্রদত্ত যাবতীয় নিয়ামত সম্ভারে সমৃদ্ধ মুজাদ্দিদে আযম আলাইহিস সালাম-উনার মান, শান, মর্যাদা, মর্তবা, ইয্যত ও ঐতিহ্যের গৌরবগাঁথায় উনার বুযুর্গ পিতা ওলীয়ে মাদারজাদ, মুসতাবুদ্ দাওয়াত, আফযালুল ইবাদ, ছাহিবে কাশ্ফ ও কারামত, ফখরুল আওলিয়া, ছূফিয়ে বাতিন, ছাহিবে ইস্মে আযম, লিসানুল হক্ব, গরীবে নেওয়াজ, কুতুবুয্যামান, আওলাদে রসূল, হযরতুল আল্লামা সাইয়্যিদ মুহম্মদ মুখলেছুর রহমান রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার মুবারক জীবনব্যাপী কোশেশ ও কামিয়াবীতে নিজেকে স্বার্থক মনে করেন। কারণ, তিনি জানেন, আজমীর শরীফ থেকে বহন করে আনা মুবারক পাগড়ী মুজাদ্দিদ আযম পুত্রের অতুলনীয় কামিয়াবী বহিঃপ্রকাশের একটি বিশেষ অনুষঙ্গ মাত্র।

এ মুবারক হাদিয়া উনার মাক্বামতের পরিবৃদ্ধি ঘটায়নি। যে নিয়ামত লাভে তিনি ক্বায়িম মক্বামে রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এবং উনার মাশুকে পরিণত হয়েছেন, সে নিয়ামততো হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পূর্বেই উনার মুবারক আওলাদ, মুজাদ্দিদে আযম আলাইহিস সালামকে দান করেছেন।(সুবহানাল্লাহ্) হযরতুল আল্লামা সাইয়্যিদ মুহম্মদ মুখলেছুর রহমান রহমতুল্লাহি আলাইহি বিষয়টি হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-উনার নিকট থেকেই যথাসময়ে জেনেছেন। পরবর্তীতে একই বিষয় ইমামুশ শরীয়ত ওয়াত্ তরীক্বত, সুল্ত্বানুল হিন্দ, গরীবে নেওয়াজ, নায়িবে রসূল ফিল হিন্দ, আতায়ে রসূল, সুল্ত্বানুল আরিফীন, মঈনুল মিল্লাত, মাখ্যানুল মারিফাত, মাহবুবে সুবহানী, ছাহিবুল আসরার, মুজাদ্দিদে যামান, আওলাদে ছাহিবে লাওলাক, হাবীবুল্লাহ হযরত খাজা সাইয়্যিদ মুঈনুদ্দীন হাসান চীশতি রহমতুল্লাহি আলাইহি উনাকে (ওলীয়ে মাদারজাদ, আওলাদে রসূল, হযরতুল আল্লামা সাইয়্যিদ মুহম্মদ মুখলেছুর রহমান রহমতুল্লাহি আলাইহি) নতুন করে জানিয়েছেন মাত্র। উনার মুবারক নিদর্শন স্বরূপ মুজাদ্দিদে আযম আলাইহিস সালামকে তিনি পাগড়ী মুবারক হাদিয়া দিয়েছেন। (চলবে)

আবা-১৮০