একজন কুতুবুজ্জামান- উনার দিদারে মাওলার দিকে প্রস্থান- সাইয়্যিদুনা হযরত দাদা হুযুর ক্বিবলা সাইয়্যিদ মুখলেছুর রহমান আলাইহিস সালাম উনার সাওয়ানেহে উমরী মুবারক-পর্ব-১১৭

 

ওলীয়ে মাদারজাদ, মুসতাজাবুদ্ দাওয়াত, আফযালুল ইবাদ, ছাহিবে কাশফ্ ওয়া কারামত, ফখরুল আওলিয়া, ছূফীয়ে বাতিন, ছাহিবে ইস্মে আযম, লিসানুল হক্ব, গরীবে নেওয়াজ, আওলাদে রসূল, আমাদের সম্মানিত দাদা হুযূর ক্বিবলা রহমতুল্লাহি আলাইহি-উনার স্মরণে-

একজন কুতুবুয্ যামান-উনার দিদারে মাওলা উনার দিকে প্রস্থান-

আজমীর শরীফে চীশ্তিয়া তরীক্বার ইমাম, কুতুবুল আক্তাব, সুল্তানুল হিন্দ, গরীবে নেওয়াজ, হাবীবুল্লাহ, হযরত খাজা সাইয়্যিদ মুঈনুদ্দীন হাসান চীশ্তি রহমতুল্লাহি আলাইহি-উনার সঙ্গে প্রত্যক্ষ সংযোগ স্থাপন/অনুপম কারামত-উনার বহিঃপ্রকাশ

নির্বাক মুজাদ্দিদ আযম (আলাইহিস সালাম) পরম শ্রদ্ধায় অবনত মস্তকে বুযুর্গ পিতা (রহমতুল্লাহি আলাইহি)-উনার পাশে দাঁড়িয়ে রয়েছেন। পাগড়ী মুবারক দেয়ার জন্য বুযুর্গ পিতা উনার হাত মুবারক প্রসারিত করলেন। মুজাদ্দিদে আযম আলাইহিস সালাম পরম আগ্রহে তা গ্রহণ করলেন। পিতা-আওলাদের পারস্পরিক ভাব, ভাবনা ও মুহব্বত বিনিময়ের এ এক অনুপম মুহূর্ত। প্রিয়তম আওলাদকে কেন্দ্র করে পিতার অন্তরে লালিত বাসনার আরো একটি ধাপ পূর্ণতা পেলো। উভয়েরই সার্বক্ষণিক লক্ষ্য এ মুবারক হাদিয়া প্রদানের সদয় নির্দেশ দানকারী সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন্ নাবিয়্যীন, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-উনার প্রতি। তাই দুজনের অন্তর মুবারকই এখন পরম প্রশান্তিতে ইত্মিনান।

আলোচনার পরম্পরায় বুঝতে কষ্ট হয় না যে, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন্নাবিয়্যীন, রহমতে আলম, রউফুর রহীম, নূরে মুজাস্সাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম অনেক পূর্বেই নিজ হাত মুবারকে উনার প্রিয়তম আওলাদ, উনার ক্বায়িম মক্বাম, মুজাদ্দিদে আযম আলাইহিস সালামকে যে পাগড়ী মুবারক পরিয়ে দিয়েছেন, আজমীর শরীফ থেকে হাদিয়া পাওয়া বর্তমান পাগড়ী মুবারক তারই ধারাবাহিকতা। অবধারিত যে, খলীফাতুল্লাহ, ক্বায়িম মক্বামে রসূলিল্লাহ, খলীফাতু রসূলিল্লাহ, মুহ্ইস সুন্নাহ, মুজাদ্দিদে আযম, খাছ নায়িবে নবী তিনিই হয়ে থাকেন, যাঁকে যাবতীয় নিয়ামত বণ্টনের নিরঙ্কুশ অধিকারী, খাযীনাতুর রহমত, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সকল ইল্ম ও লক্ববসহ পুঞ্জীভূত নিয়ামত সম্ভারের প্রতীক স্বরূপ আপন হাত মুবারকে পাগড়ী পরিয়ে দিয়ে থাকেন এবং হাত মুবারকে বাইয়াত করিয়ে থাকেন। পূর্বের সকল মাহবুব ওলীআল্লাহগণের কামিয়াবীর ক্ষেত্রেই এমন মুবারক ঘটনা ঘটেছে।

বিষয়টি ইতোপূর্বে যথাস্থানে বর্ণনা করা হয়েছে। আলোচনার সংগতিক্রমে এখানে সংক্ষেপে তা পুনরুল্লেখ করা হচ্ছে। সাইয়্যিদুল খালায়িক্ব, ফখ্রে বাহ্র ওয়া বার, সিরাজুম মুনীরা, সরওয়ারে কাওনাইন, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এক মুবারক স্বপ্ন দিদারে খলীফাতুল্লাহ, খলীফাতু রসূলিল্লাহ, ইমামুশ্ শরীয়ত ওয়াত্ তরীক্বত, ইমামুল আইম্মাহ, মুহ্ইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, ছাহিবে সুলতানিন্ নাছীর, হুজ্জাতুল ইসলাম, ক্বাইয়্যূমে আযম, গাউছুল আযম, ইমামুল আযম, মুজাদ্দিদে আযম, ক্বায়িম মক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, আওলাদে রসূল, মাওলানা, সাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম সাইয়্যিদ মুহম্মদ দিল্লুর রহমান আল হাসানী ওয়াল হুসাইনী ওয়াল কুরাঈশী (আলাইহিস সালাম) মুর্শিদ ক্বিবলা, রাজারবাগ শরীফ, ঢাকাকে, নিজ হাত মুবারকে পাগড়ী মুবারক পরিয়ে দেন এবং উনাকে মুজাদ্দিদে আযম লক্বব মুবারকে ভূষিত করেন। একই সঙ্গে উনাকে এবং উনার বুযুর্গ পিতা রহমতুল্লাহি আলাইহিকে বাইয়াতও করান। মুজাদ্দিদে আযম আলাইহিস সালামকে লক্ষ্য করে তিনি বলেন, এইতো আমার প্রিয়তম আওলাদ। তিনি আমার অবলুপ্ত সুন্নত যিন্দা করবেন এবং বিদ্য়াত দূরীভূত করবেন। উনার অপ্রতিরোধ্য তাজদীদে যাবতীয় অনাচার দূরীভূত হবে। উনার ওছীলায় অগণিত মানুষ হক্ব মত ও পথে অধিষ্ঠিত হবে। পুঞ্জীভূত নিয়ামত সম্ভারে আজ আমি আমার প্রিয়তম আওলাদকে সমৃদ্ধ করে দিলাম। আমার সঙ্গে অটুট বন্ধনে উনাকে আবদ্ধ করে নিলাম।

উল্লিখিত মুবারক মজলিশে উপস্থিত ছিলেন আফ্দ্বালুন নাস, বাদাল আম্বিয়া, হযরত আবূ বকর ছিদ্দীক্ব রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু, আশিদ্দাউ আলাল কুফ্ফার, হযরত উমর বিন খাত্তাব রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু এবং সকল তরীক্বার ইমামগণ (রহমতুল্লাহি আলাইহিম)। আরো উপস্থিত ছিলেন মুবারক স্বপ্ন দ্রষ্টা, ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী এবং একই ধারায় নিয়ামত লাভকারী আফ্যালুল ইবাদ, ছাহিবে কাশ্ফ ওয়া কারামত, ফখ্রুল আওলিয়া, ছূফীয়ে বাতিন, ছূফীয়ে ইসমে আযম, লিসানুল হক্ব, গরীবে নেওয়াজ, কুতুবুয্যামান, মুস্তাজাবুদ দাওয়াত, ওলীয়ে মাদারজাদ, আশিকুল্লাহ, আশিকু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, আওলাদে রসূল, হযরতুল আল্লামা সাইয়্যিদ মুহম্মদ মুখলেছুর রহমান আলাইহিস সালাম।

সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, শাফিউল উমাম, হুব্বুল আওওয়ালীন ওয়াল আখিরীন, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কর্তৃক উনার প্রিয়তম আওলাদ, মুজাদ্দিদে আযম আলাইহিস সালামকে পাগড়ী মুবারক দানসহ যাবতীয় নিয়ামত সম্ভারে সমৃদ্ধ করণের বিষয়টি তিনি (হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) অবহিত করেন মুজাদ্দিদে আযম আলাইহিস সালাম-উনার শায়খ (পীর ছাহিব ক্বিবলা) রহমতুল্লাহি আলাইহিকে। তিনি ঢাকা যাত্রা বাড়ীর মসজিদে নূর এবং খানকা-ই-মুহম্মদিয়া দরবার শরীফ-উনার প্রতিষ্ঠাতা কুতুবুল আলম, আমীরুশ্ শরীয়ত ওয়া রাহনুমায়ে তরীক্বত, সুল্তানুল আরিফীন, মুহ্ইস সুন্নাহ, মাহিউল বিদ্য়াত, মুজাদ্দিদে যামান, মাখ্যানুল মারিফাত, খাযীনাতুর রহমত, মঈনুল মিল্লাত, লিসানুল উম্মত, রঈসুল মুহাদ্দিছীন, তাজুল মুফাস্সিরীন, ফখ্রুল ফুক্বাহা ক্বারিউল র্কুরায়ী, আল্লামাতুল আইয়াম, নাজমুল আওলিয়া, ছাহিবুল ইল্হাম, মুস্তাজাবুদ দাওয়াত, মুফ্তিউল আযম, শাইখুল আসাতিযা, জামিউল উলূম ওয়াল হিকাম, সাইয়্যিদুত্ ত্বইফা, হুজ্জাতুল ইসলাম, আশিকু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, শাহ, ছূফী, হযরতুল আল্লামা আবুল খায়ের মুহম্মদ ওয়াজীহুল্লাহ নানুপুরী রহমতুল্লাহি আলাইহি। (চলবে)

আবা-১৭৭

0 Comments: