সাইয়্যিদুনা মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার মহা সম্মানিতা আম্মা আওলাদুর রসূল, সাইয়্যিদাতুনা আমাদের- হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম উনার সাওয়ানেহে উমরী মুবারক-পর্ব-৭৭

 

 উম্মু মুর্শিদিনা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে উম্মু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মালিকুদ দুনিয়া ওয়াল আখিরাহ, মুত্বহ্হার, মুত্বহ্হির, আছ ছমাদ, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদাতুনা আমাদের- হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা কা’বা ছল্লাল্লাহু আলাইহা ওয়া সাল্লাম উনার সীমাহীন ফাদ্বায়িল-ফদ্বীলত, বুযূর্গী-সম্মান, মান-শান, বৈশিষ্ট্য এবং উনার অনুপম মাক্বাম মুবারক সম্পর্কে কিঞ্চিৎ আলোকপাত-

মুবারক শৈশব ও কৈশোর থেকেই সাইয়্যিদাতুনা হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা কা’বা ছল্লাল্লাহু আলাইহা ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সুন্নত মুবারক এবং শরয়ী পর্দা পালনের একনিষ্ঠ অভ্যস্ততা

প্রাণের আক্বা, ক্বিবলা কা’বা, ছহিবে নিয়ামত, ছহিবু সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ, আলক্বাসিম, মালিকু আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম, আছ ছমাদ, মাখদুমুল কায়িনাত, সুলত্বানুন নাছীর, মালিকুদ দুনিয়া ওয়াল আখিরাহ, আল জাব্বারিউল আউওয়াল, আল ক্বউইউল আউওয়াল, মুত্বহ্হার, মুত্বহ্হির, আখছছুল খাছ আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ইমামুল উমাম, হাবীবুল্লাহ, আওলাদে রসূল, মাওলানা মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা কা’বা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি, উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আব্বাজান-আম্মাজান ছল্লাল্লাহু আলাইহিমাস সালাম, ক্বায়িম মাক্বামে হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম, আখছছুল খাছ আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, আছছমাদ, মাখদূমুল কায়িনাত, মুত্বহহার, মুত্বহহির, উম্মুল উমাম সাইয়্যিদাতুনা হযরত আম্মা হুযূর ক্বিবলা কা’বা ছল্লাল্লাহু আলাইহা ওয়া সাল্লাম এবং উনাদের মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আহলু পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহিম ওয়া সাল্লাম উনারা সকলেই হলেন উপরে বর্ণিত দু’টি গুণ-বৈশিষ্ট্যসহ সকল মর্যাদা- মাক্বামাতের সীমাহীন উর্ধ্বে। বরং এই সম্মানিত মর্যাদা ও মাক্বামাতগুলো উনারাই ব্যক্তির যোগ্যতা অনুসারে বণ্টন করে থাকেন। সুবহানাল্লাহ! (চলবে)

আবা-২৮৭

সাইয়্যিদুনা মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার মহা সম্মানিতা আম্মা আওলাদুর রসূল, সাইয়্যিদাতুনা আমাদের- হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম উনার সাওয়ানেহে উমরী মুবারক-পর্ব-৭৬

 উম্মু মুর্শিদিনা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে উম্মু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মালিকুদ দুনিয়া ওয়াল আখিরাহ, মুত্বহ্হার, মুত্বহ্হির, আছ ছমাদ, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদাতুনা আমাদের- হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা কা’বা আলাইহাস সালাম উনার সীমাহীন ফাদ্বায়িল-ফদ্বীলত, বুযূর্গী-সম্মান, মান-শান, বৈশিষ্ট্য এবং উনার অনুপম মাক্বাম মুবারক সম্পর্কে কিঞ্চিৎ আলোকপাত

মুবারক শৈশব ও কৈশোর থেকেই সাইয়্যিদাতুনা হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা কা’বা ছল্লাল্লাহু আলাইহা ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সুন্নত মুবারক এবং শরয়ী পর্দা পালনের একনিষ্ঠ অভ্যস্ততা

সম্মানিত শরয়ী পর্দাপালনের কারণে আমাদের পক্ষে এবং কায়িনাতবাসী কারো পক্ষেই আখাছছুল খাছ আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, উম্মু মুর্শিদীনা ছল্লাল্লাহু আলাইহা ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদাতুনা হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা কা’বা ছল্লাল্লাহু আলাইহা ওয়া সাল্লাম উনাকে দেখা সম্ভব হয়নি। তবে উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র জাওযুম মুকাররাম, আখাছছুল খাছ আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মাখদূমুল কায়িনাত, আছ ছমাদ, মুত্বহহার, মুত্বহহির, আবূ মুর্শিদীনা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদুনা হযরত দাদা হুযূর ক্বিবলা কা’বা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র ছোহবত মুবারক হাছিল করে আমরা যে বিষয়টি উপলব্ধি করতে পেরেছি তা হলো, উনারা (সাইয়্যিদুনা হযরত দাদা হুযূর ক্বিবলা কা’বা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এবং সাইয়্যিদাতুনা হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা কা’বা ছল্লাল্লাহু আলাইহা ওয়া সাল্লাম) উভয়েই নূরে মুজাসসাম, মাশুকে মাওলা হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মুবারক ইরশাদকৃত পবিত্র নিম্নোক্ত হাদীছ শরীফ উনার পরিপূর্ণ মিছদাক্ব:

قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نُصِرْتُ بِالرُّعْبِ

অর্থ: “নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, মাশুকে মাওলা হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেছেন: আমাকে রোব, অর্থাৎ ভীতিপ্রদ সম্মান মুবারক দ্বারা সাহায্য করা হয়েছে।” সুবহানাল্লাহ! আলোচ্য মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার তৃতীয় অংশ হলো:

وَالثِّقَةُ فِي الدِّيْنِ

অর্থ: “সম্মানিত দ্বীন-ইসলাম উনার মধ্যে উনারা (সম্মানিত সুন্নত পালনকারী) বিশুদ্ধতা, নির্ভরযোগ্যতা/ গ্রহণযোগ্যতায় পরিপূূর্ণতালাভ করবেন। অর্থাৎ উনারা সকলেরই আস্থাভাজন হবেন এবং সকলেরই অনুসরণকারী হিসেবে বিবেচিত হবেন।” বিশুদ্ধরূপে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ বর্ণনার ক্ষেত্রে ‘ছিক্বাহ রাবী’ হওয়া আবশ্যক। আর ‘ছিক্বাহ রাবী’ হওয়ার অপরিহার্য যোগ্যতা ও শর্ত হলো মূল দু’টি: ১. আদালত (ন্যায়পরায়ণতা) ২. দ্বব্ত্ (চূড়ান্ত পর্যায়ের স্মরণশক্তি) সুবহানাল্লাহ! (চলবে)

আবা-২৮৬

 

 মুরগির গোশ্ত খাওয়া মহাসম্মানিত মহাপবিত্র সুন্নত মুবারক

 মুরগির গোশ্ত খাওয়া মহাসম্মানিত মহাপবিত্র সুন্নত মুবারক 

 আমরা কম বেশি সবাই প্রতিনিয়ত মুরগির গোশ্ত খেয়ে থাকি। কিন্তু আমরা হয়তো ৯৯% মানুষ-ই জানিনা, মুরগির গোশ্ত যে মহাসম্মানিত সুন্নতী খাবার। যা স্বয়ং নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি গ্রহণ করেছেন অর্থাৎ মহাসম্মানিত আহার মুবারক করেছেন। সুবহানাল্লাহ! 
 
 মুরগির গোশ্ত খাওয়া যে মহাসম্মানিত সুন্নত মুবারক। এ সম্পর্কে মহাসম্মানিত মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে- 
 
عَنْ حَضْرَةْ زَهْدَمٍ الْجَرْمِيِّ رَضِيَ اللّٰهُ تَعَالٰى عَنْهُ قَالَ دَخَلْتُ عَلٰى حَضْرَةْ أَبِيْ مُوسٰى رَضِيَ اللّٰهُ تَعَالٰى عَنْهُ وَهُوَ يَأْكُلُ دَجَاجًا فَقَالَ ادْنُ فَكُلْ فَإِنِّيْ رَأَيْتُ رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى اللّٰهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَأْكُلُهٗ. 
 
 অর্থ: হযরত যাহদাম আল-জারমী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি হযরত আবূ মূসা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার নিকট গেলাম। তিনি তখন মুরগির গোশ্ত খাচ্ছিলেন। তিনি আমাকে উদ্দেশ্য করে বললেন, আমার সামনে এগিয়ে আসুন এবং খাবারে অংশগ্রহণ করুন। কারণ আমি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে মুরগির গোশ্ত খেতে দেখেছি। 
 
 মহাসম্মানিত মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে আরো ইরশাদ মুবারক হয়েছে- 
 
عَن حَضْرَةْ اَبِيْ مُوسٰى رَضِيَ اللّٰهُ تَعَالٰى عَنْهُ قَالَ رَأَيْتُ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَأْكُلُ لَحْمَ الدَّجَاجِ. 
 
 অর্থ: হযরত আবূ মূসা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে মুরগির গোশ্ত খেতে দেখেছি। 
 
উপরোক্ত মহাসম্মানিত মহাপবিত্র হাদীছ শরীফসমূহ দ্বারা প্রমাণিত যে, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি নিজে মুরগির গোশ্ত গ্রহণ করেছেন অর্থাৎ মহাসম্মানিত আহার মুবারক করেছেন। সুবহানাল্লাহ! 
 
 (দলীল সমূহঃ বুখারী শরীফ, মুসলিম শরীফ, তিরমিযী শরীফ, মুসনাদে আহমদ শরীফ, আখলাকুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) 
 
 মুরগির গোস্তের উপকারিতাঃ- 
 
 মুরগির গোস্তের উপকারিতা প্রচুর। আমরা প্রতিনিয়ত মুরগির গোশ্ত খাচ্ছি। কিন্তু এর উপকারিতা সম্পর্কে অনেকেই জানি না। সকলের সুবিধার্থে নিম্নে বর্ণনা করা হলো। 
 
  মুরগির গোশ্ত হার্টের জন্য ভালো এবং ওজন কমাতে সাহায্য করে। 
 
 মুরগির গোস্তে চর্বির পরিমাণ কম থাকায় এটি খাওয়া নিরাপদ। 
 
 মুরগির গোস্তে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন রয়েছে। যা আমাদের পেশীকে শক্তিশালী করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। 
 
 কম চর্বিযুক্ত প্রোটিন হওয়ায় এটি ওজন কমানোর ভালো উৎস হিসাবে কাজ করে। আর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া এটির কম। 
 
 মুরগির গোস্তে উচ্চ মাত্রায় ট্রাইফটোফ্যান নামক অ্যামিনো অ্যাসিড থাকে। 
 
 মুরগির গোস্তে হোমোকিস্টাইনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রেখে হার্টের বিভিন্ন ধরনের কার্ডিওভাস্কুলার রোগের প্রতিরোধ হিসেবে কাজ করে থাকে। 
 
 মুরগির গোশ্ত ফসফরাস সমৃদ্ধ হওয়ায় দাঁত ও হাড়ের জন্য ভালো। তাছাড়া ফসফরাস আমাদের কিডনি, লিভার ও স্নায়ুতন্ত্রের নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। 
 
 মুরগির গোস্তে ভিটামিন (বি)-ই ৬ শরীরে বিপাকের মাত্রা উন্নত করে। 
 
=========================== 
 
তথ্যসূত্রঃ দৈনিক আল ইহসান শরীফ  
 
০৪ জুমাদাল উলা শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী
সাইয়্যিদুনা মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার মহা সম্মানিতা আম্মা আওলাদুর রসূল, সাইয়্যিদাতুনা আমাদের- হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম উনার সাওয়ানেহে উমরী মুবারক-পর্ব-৭৫


 
উম্মু মুর্শিদিনা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে উম্মু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মালিকুদ দুনিয়া ওয়াল আখিরাহ, মুত্বহ্হার, মুত্বহ্হির, আছ ছমাদ, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদাতুনা আমাদের- হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা কা’বা ছল্লাল্লাহু আলাইহা ওয়া সাল্লাম উনার সীমাহীন ফাদ্বায়িল-ফদ্বীলত, বুযূর্গী-সম্মান, মান-শান, বৈশিষ্ট্য এবং উনার অনুপম মাক্বাম মুবারক সম্পর্কে কিঞ্চিৎ আলোকপাত-

মুবারক শৈশব ও কৈশোর থেকেই সাইয়্যিদাতুনা হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা কা’বা ছল্লাল্লাহু আলাইহা ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সুন্নত মুবারক এবং শরয়ী পর্দা পালনের একনিষ্ঠ অভ্যস্ততা

পূর্বোল্লিখিত পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মুবারক দ্বিতীয় অংশ হলো:

اَلْـهَيْـبَةُ فِىْ قُـلُوْبِ الْفَجَرَةِ

অর্থ: “গুনাহগার, ফাসিক, ফুজ্জারদের অন্তরে উনাদের প্রতি ভয়-ভীতির সঞ্চার হবে।” অর্থাৎ যে সকল সুমহান ব্যক্তিবর্গ উনারা মহা-সম্মানিত মহাপবিত্র সুন্নত মুবারক হিফাযত করেন, নিজেরা পালন করেন এবং উনাদের মুবারক উসীলায় অন্যরাও পালনে অভ্যস্ত হন, ওই সকল সম্মানিত ব্যক্তিবর্গ উনাদেরকে মহান আল্লাহ পাক তিনি খাছ চারটি নিয়ামত মুবারক দান করেন। তার মধ্যে দ্বিতীয়টি হচ্ছে: ফাসিক, ফুজ্জার, ও গুনাহগাররা উনাদেরকে ভয় করবে। সুবহানাল্লাহ!

মহাসম্মানিত, মহাপবিত্র সুন্নত মুবারক পালন এবং অন্যকে পালনে অভ্যস্ত করে তোলায় ক্বায়িম-মাক্বামে উম্মু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, উম্মু মুর্শিদিনা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া  সাল্লাম, মালিকুদ দুনিয়া ওয়াল আখিরাহ, মুত্বহহার, মুত্বহহির, আছ ছমাদ, আওলাদে রসূল, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদাতুনা হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা কা’বা ছল্লাল্লাহু আলাইহা ওয়া সাল্লাম এবং উনার যাওজুম মুকাররাম, ক্বায়িম-মাক্বামে আবূ রসূলিনা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মালিকুদ দুনিয়া ওয়াল আখিরাহ, মাখদূমুল কায়িনাত, মুত্বহ্হার, মুত্বহ্হির, আছ ছমাদ, লিসানুল হক, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদুনা হযরত দাদা হুযূর ক্বিবলা কা’বা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনারা কামিয়াবীর শীর্ষতম মাক্বামে অধিষ্ঠানের কারণে উনাদের প্রতি মানুষের সীমাহীন সম্মানবোধ ও ভীতির সঞ্চার হয়েছে। এই মুবারক বিষয়টিকেই অন্য পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে রোব বা ভীতিপ্রদ সম্মান হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে:

قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نُصِرْتُ بِالرُّعْبِ

অর্থ: “নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, রোব অর্থাৎ ভীতিপ্রদ সম্মান মুবারক দ্বারা আমি সাহায্যপ্রাপ্ত হয়েছি।” সুবহানাল্লাহ!

আবা-২৮৫



সাইয়্যিদুনা মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার মহা সম্মানিতা আম্মা আওলাদুর রসূল, সাইয়্যিদাতুনা আমাদের- হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম উনার সাওয়ানেহে উমরী মুবারক-পর্ব-৭৪

 

উম্মু মুর্শিদিনা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে উম্মু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মালিকুদ দুনিয়া ওয়াল আখিরাহ, মুত্বহ্হার, মুত্বহ্হির, আছ ছমাদ, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদাতুনা আমাদের-হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা কা’বা ছল্লাল্লাহু আলাইহা ওয়া সাল্লাম উনার সীমাহীন ফাদ্বায়িল-ফদ্বীলত, বুযূর্গী-সম্মান, মান-শান, বৈশিষ্ট্য এবং উনার অনুপম মাক্বাম মুবারক সম্পর্কে কিঞ্চিৎ আলোকপাত

মুবারক শৈশব ও কৈশোর থেকেই সাইয়্যিদাতুনা হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা কা’বা ছল্লাল্লাহু আলাইহা ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সুন্নত মুবারক এবং শরয়ী পর্দা পালনের একনিষ্ঠ অভ্যস্ততা

উনাদের মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র শান মুবারকেই মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফে ইরশাদ মুবারক হয়েছে:

إِنَّ اللهَ إِذَا أَحَبَّ عَبْدًا دَعَا حَضْرَتْ جِبْرِيْلُ عَلَيْهِ السَّلَامُ فَـقَالَ إِنِّيْ أُحِبُّ فُلَانًا فَأَحِبَّهٗ قَالَ فَـيُحِبُّهٗ حَضْرَتْ جِبْرِيْلُ عَلَيْهِ السَّلَامُ ثُمَّ يُـنَادِيْ فِي السَّمَاءِ فَـيَـقُوْلُ إِنَّ اللهَ يُحِبُّ فُلَانًا فَأَحِبُّوهُ.‏ فَـيُحِبُّهٗ أَهْلُ السَّمَاءِ قَالَ ثُمَّ يُـوْضَعُ لَهُ الْقَبُـوْلُ فِي الْأَرْضِ

অর্থ: “মহান আল্লাহ পাক তিনি যখন কোনো বান্দা বান্দীকে মুহব্বত করেন, তখন মহান আল্লাহ পাক তিনি হযরত জিবরীল আলাইহিস সালাম উনাকে ডেকে বলেন, হে হযরত জিবরীল আলাইহিস সালাম! আমি অমুক বান্দা-বান্দীকে মুহব্বত করি, কাজেই আপনিও উনাকে মুহব্বত করুন। তখন হযরত জিবরীল আলাইহিস সালাম তিনি ওই বান্দা-বান্দীকে মুহব্বত করতে থাকেন এবং আসমানে ঘোষণা দিতে থাকেন, হে আসমানবাসী! মহান আল্লাহ পাক তিনি অমুক বান্দা-বান্দীকে মুহব্বত করেন। কাজেই আপনারাও উনাকে মুহব্বত করুন। ফলে আসমানবাসী সকলেই সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে মুহব্বত করতে থাকেন এবং পরবর্তীতে যমীনে উনার শান-মান-মর্যাদা-ব্যাপকতা বৃদ্ধি পায় ও জমীনবাসী মুহব্বত করা শুরু করে, অর্থাৎ গ্রহণযোগ্যতা প্রতিষ্ঠিত হওয়াসহ কায়িনাতব্যাপী তা বিস্তারলাভ করে।” সুবহানাল্লাহ!

সাইয়্যিদাতুনা হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা কা’বা ছল্লাল্লাহু আলাইহা ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদুনা হযরত দাদা হুযূর ক্বিবলা কা’বা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, প্রাণের আক্বা ক্বিবলা কা’বা সাইয়্যিদুনা মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা কা’বা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদাতুনা উম্মুল উমাম আম্মাজী ক্বিবলা কা’বা ছল্লাল্লাহু আলাইহা ওয়া সাল্লাম এবং উনাদের মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহিম ওয়া সাল্লাম উনারা সকলেই উপরোক্ত মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার হাক্বীক্বী মিছদাক্ব। সুবহানাল্লাহ!  (চলবে)

আবা-২৮৪




নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আ’মাম (চাচা) আলাইহিমুস সালাম উনাদের এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত ‘আম্মাত (ফুফু) আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের সংক্ষিপ্ত পরিচিতি মুবারক

  নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আ’মাম (চাচা) আলাইহিমুস সালাম উনাদের এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত ‘আম্মাত (ফুফু) আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের সংক্ষিপ্ত পরিচিতি মুবারক

সাইয়্যিদুনা হযরত জাদ্দু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম (সাইয়্যিদুনা হযরত আব্দুল মুত্ত্বালিব আলাইহিস সালাম) উনার মহাসম্মানিতা আযওয়াজুম মুত্বহ্হারাত (আহলিয়া) আলাইহিন্নাস সালাম উনারা ছিলেন সর্বমোট ৬ জন। উনাদের মাধ্যমে সাইয়্যিদুনা হযরত জাদ্দু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মোট ১৩ জন মহাসম্মানিত ছেলে আওলাদ আলাইহিমুস সালাম উনারা এবং ৬ জন মেয়ে আওলাদ আলাইহিন্নাস সালাম উনারা মহাসম্মানিত বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করেন। সুবহানাল্লাহ! নিম্নে উনাদের প্রত্যেকের তালিকা উল্লেখ করা হলো-

১. সাইয়্যিদাতুনা হযরত ফাত্বিমাহ্ বিনতে আমর ইবনে ‘আয়িয আলাইহাস সালাম :

উনার ছেলে আওলাদ ছিলেন ৪ জন এবং মেয়ে আওলাদ ছিলেন ৫ জন।

ছেলে আওলাদ উনারা হলেন-

১.আবূ রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদুনা হযরত যাবীহুল্লাহ আলাইহিস সালাম,

২.সাইয়্যিদুনা হযরত যুবাইর আলাইহিস সালাম,

৩. সাইয়্যিদুনা হযরত আব্দুল কা’বাহ্ আলাইহিস সালাম,

৪. খাজা আবূ ত্বালিব,

মেয়ে আওলাদ উনারা হলেন-

১. সাইয়্যিদাতুনা হযরত ‘আতিকাহ্ আলাইহাস সালাম,

২. সাইয়্যিদাতুনা হযরত উমাইমাহ্ আলাইহাস সালাম,

৩. সাইয়্যিদাতুনা হযরত বাইদ্বা’ আলাইহাস সালাম,

৪. সাইয়্যিদাতুনা হযরত র্বারাহ আলাইহাস সালাম এবং

৫. সাইয়্যিদাতুনা হযরত আরওয়া আলাইহাস সালাম,

২.সাইয়্যিদাতুনা হযরত ছফিয়্যাহ বিনতে জুনদুব আলাইহাস সালাম। উনার সম্মানিত লক্বব মুবারক সাইয়্যিদাতুনা হযরত ক্বায়লা আলাইহাস সালাম:

উনার ছেলে আওলাদ ২ জন-

১ সাইয়্যিদুনা হযরত হারিছ আলাইহিস সালাম,

২. সাইয়্যিদুনা হযরত কুছাম আলাইহিস সালাম,

৩. সাইয়্যিদাতুনা হযরত হালাহ বিনতে ওয়াহাইব আলাইহাস সালাম। তিনি ছিলেন সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মু রসূলিনা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আপন চাচাতো বোন।

উনার ছেলে আওলাদ ছিলেন ৩ জন এবং মেয়ে আওলাদ ছিলেন ১ জন।

ছেলে আওলাদ উনারা হলেন-

১.সাইয়্যিদুনা হযরত মুক্বওওইম আলাইহিস সালাম,

২.সাইয়্যিদুনা হযরত হাজ্ল আলাইহিস সালাম,

৩.সাইয়্যিদুনা হযরত সাইয়্যিদুশ্ শুহাদা আলাইহিস সালাম,

মেয়ে আওলাদ হলেন-

১. সাইয়্যিদাতুনা হযরত ছফিয়্যাহ আলাইহাস সালাম,

৪. সাইয়্যিদাতুনা হযরত নুতাইলাহ্ বিনতে জানাব আলাইহাস সালাম :

উনার ছেলে আওলাদ ২ জন-

১. সাইয়্যিদুনা হযরত দ্বিরার আলাইহিস সালাম,

২. সাইয়্যিদুনা হযরত খ্বতিমুল মুহাজিরীন আলাইহিস সালাম,

৫. সাইয়্যিদাতুনা হযরত লুব্না বিনতে হাজার আলাইহাস সালাম :

উনার ছেলে আওলাদ ১ জন-

১. আবূ লাহাব,

৬. সাইয়্যিদাতুনা হযরত মুমান্না‘আহ্ বিনতে ‘আমর আলাইহাস সালাম:

উনার ছেলে আওলাদ ১ জন-

১. সাইয়্যিদুনা হযরত গাইদাক্ব আলাইহিস সালাম।

কাজেই, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আ’মাম (চাচা) আলাইহিমুস সালাম উনারা ছিলেন মোট ১২ জন। অর্থাৎ আবূ রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদুনা হযরত যাবীহুল্লাহ আলাইহিস সালাম তিনিসহ উনারা ছিলেন মোট ১৩ ভাই। নিম্নে উনাদের সংক্ষিপ্ত পরিচিতি মুবারক তুলে ধরা হলো-

১. সাইয়্যিদুনা হযরত হারিছ আলাইহিস সালাম: তিনি মহাসম্মানিত ভাই আলাইহিমুস সালাম উনাদের মধ্যে সর্বপ্রথম মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করেন। তিনি সম্মানিত যমযম কূপ মুবারক খননের সময় সাইয়্যিদুনা হযরত জাদ্দু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে সহযোগিতা করেন। সাইয়্যিদুনা হযরত যাবীহুল্লাহ আলাইহিস সালাম তিনি যখন মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুল ইহ্সান মুবারক (মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মারীদ্বী শান মুবারক) প্রকাশ করেন, তখন সাইয়্যিদুনা হযরত জাদ্দু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সাইয়্যিদুনা হযরত যাবীহুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার অবস্থা মুবারক জানার জন্য সাইয়্যিদুনা হযরত হারিছ আলাইহিস সালাম উনাকে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মদীনা শরীফ প্রেরণ করেন। সুবহানাল্লাহ!

সাইয়্যিদুনা হযরত হারিছ আলাইহিস সালাম তিনি সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার যুগ পাননি। উনারই মহাসম্মানিত আওলাদ হচ্ছেন- বিশিষ্ট বদরী ছাহাবী সাইয়্যিদুনা হযরত ‘উবাইদাহ্ ইবনে হারিছ রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু তিনি। সুবহানাল্লাহ! সাইয়্যিদুনা হযরত মুগীরাহ্ ইবনে নাওফেল ইবনে হারিছ রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু  তিনি ছিলেন সাইয়্যিদুনা হযরত হারিছ আলাইহিস সালাম উনার নাতী। ইমামুল আউওয়াল সাইয়্যিদুনা হযরত কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহূ আলাইহিস সালাম উনার পর সাইয়্যিদুনা হযরত মুগীরাহ্ ইবনে নাওফেল ইবনে হারিছ রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু  উনার সাথেই সিবত্বতু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদাতুনা হযরত উমামা বিনতে যুন নূর আলাইহাস সালাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নিসবতে আযীম শরীফ সম্পন্ন হন। সুবহানাল্লাহ!

২. সাইয়্যিদুনা হযরত যুবাইর আলাইহিস সালাম: উনার সম্মানিত কুনিয়াত মুবারক ছিলেন সাইয়্যিদুনা হযরত আবূ ত্বাহির আলাইহিস সালাম। তিনি ‘হারবুল ফিজারে’ বনূ হাশিম গোত্রের নেতৃত্ব দেন। সুবহানাল্লাহ! তিনি ছিলেন হিলফুল ফুযূলের প্রতিষ্ঠাতা। সুবহানাল্লাহ! সাইয়্যিদুনা হযরত জাদ্দু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পর তিনিও নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত গোলামী মুবারক উনার আনজাম মুবারক দেন। তিনি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে অত্যন্ত মুহব্বত মুবারক করতেন এবং তিনি উনার সম্মানিত মুহ্ববত মুবারক-এ সম্মানিত না’ত শরীফও পাঠ করেছেন। সুবহানাল্লাহ! এক বর্ণনা মতে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত বয়স মুবারক যখন দুনিয়াবী দৃষ্টিতে ১৪ বছর, তখন তিনি উনার মহাসম্মানিত চাচা সাইয়্যিদুনা হযরত যুবাইর আলাইহিস সালাম উনার সাথে ইয়ামেনে সফর মুবারক করেন। সুবহানাল্লাহ! উনারই মহাসম্মানিত আওলাদ হচ্ছেন- বিশিষ্ট ছাহাবী সাইয়্যিদুনা হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে যুবাইর ইবনে আব্দুল মুত্ত্বালিব রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু তিনি। সুবহানাল্লাহ!

৩. সাইয়্যিদুনা হযরত আব্দুল কা’বাহ্ আলাইহিস সালাম: তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নুবুওওয়াত এবং রসালাত মুবারক প্রকাশের পূর্বেই মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিছালী শান মুবারক প্রকাশ করেন। সুবহানাল্লাহ! উনার কোনো আওলাদ ছিলেন না।

৪. সাইয়্যিদুনা হযরত মুক্বওওইম আলাইহিস সালাম: উনার সম্মানিত কুনিয়াত মুবারক ছিলেন আবূ বকর। সুবহানাল্লাহ! সাইয়্যিদুনা হযরত জাদ্দু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি যখন মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিছালী শান মুবারক প্রকাশ করেন, তখন উনার সম্মানিত বয়স মুবারক ছিলেন ২৫ বছর। তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নুবুওওয়াত এবং রসালাত মুবারক প্রকাশের ৬ বছর পূর্বে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিছালী শান মুবারক প্রকাশ করেন। সুবহানাল্লাহ! উনারই মহাসম্মানিত আওলাদ হচ্ছেন- বিশিষ্ট মহিলা ছাহাবী সাইয়্যিদাতুনা হযরত হিন্দ বিনতে মুক্বওওইম রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহা তিনি। সুবহানাল্লাহ!

৫. সাইয়্যিদুনা হযরত হাজ্ল আলাইহিস সালাম: উনার সম্মানিত নাম মুবারক হচ্ছেন- ‘সাইয়্যিদুনা হযরত মুগীরাহ আলাইহিস সালাম’। ‘হাজল’ উনার সম্মানিত লক্বব মুবারক। সুবহানাল্লাহ!

৬. সাইয়্যিদুনা হযরত দ্বিরার আলাইহিস সালাম: তিনি কুরাইশদের মধ্যে অত্যন্ত সুদর্শন এবং বেমেছাল দানশীল ছিলেন। সুবহানাল্লাহ! তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নুবুওওয়াত এবং রসালাত মুবারক প্রকাশের পূর্বেই মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিছালী শান মুবারক প্রকাশ করেন। সুবহানাল্লাহ!

৭. সাইয়্যিদুনা হযরত কুছাম আলাইহিস সালাম: তিনি দুনিয়াবী দৃষ্টিতে অল্প বয়স মুবারক-এ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিছালী শান মুবারক প্রকাশ করেন। সুবহানাল্লাহ!

৮. সাইয়্যিদুনা হযরত গাইদাক্ব আলাইহিস সালাম: উনার সম্মানিত নাম মুবারক ‘সাইয়্যিদুনা হযরত মুছ‘আব আলাইহিস সালাম’। তিনি অধিক দান করতেন, এজন্য উনাকে ‘গাইদাক্ব’ বলা হতো। সুবহানাল্লাহ! তিনি প্রচুর সম্পদের অধিকারী এবং বেমেছাল দানশীল ছিলেন। সুবহানাল্লাহ!

৯. খাজা আবূ ত্বালিব: তিনি একাধারে প্রায় ৪২ বছর নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সল্লাম উনার বেমেছাল সম্মানিত খিদমত মুবারক উনার আনজাম মুবারক দিয়েছেন। সুবহানাল্লাহ! ক্বিয়ামতের পূর্বে শেষ যামানায় হযরত ঈসা রূহুল্লাহ আলাইহিস সালাম তিনি আসমান থেকে নাযিল হওয়ার পর তিনি যে জলীলুল ক্বদর নবী এবং রসূল এই বিষয় প্রমাণ বা তাছদীক্ব করার জন্য খাজা আবূ ত্বালিব তিনি কবর থেকে জীবিতাবস্থায় উঠবেন। তখন তিনি প্রকাশ্যে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কালিমা শরীফ পাঠ করতে থাকবেন এবং তা সত্যায়ন মুবারক করবেন। সুবহানাল্লাহ! অতঃপর ঈমান প্রকাশ করে হযরত ঈসা আলাইহিস সালাম উনার সহযোগী হিসেবে দ্বীনি খেদমতের আনজাম দিবেন। আনজাম দিয়ে ঈমানের সাথে বিছাল শরীফ লাভ করবেন। সুবহানাল্লাহ!

১০. আবূ রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদুনা হযরত যাবীহুল্লাহ আলাইহিস সালাম: উনার সবচেয়ে বড় পরিচয় মুবারক হচ্ছেন- তিনি হলেন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আব্বাজান আলাইহিস সালাম। সুবহানাল্লাহ! তিনি শুধু মহান আল্লাহ পাক তিনি নন এবং নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি নন; এছাড়া সমস্ত শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত, বুযূর্গী-সম্মান মুবারক উনাদের অধিকারী হচ্ছেন তিনি। সুবহানাল্লাহ! উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় ইসিম বা নাম মুবারক হচ্ছেন- ‘সাইয়্যিদুনা হযরত আব্দুল্লাহ আলাইহিস সালাম’। সুবহানাল্লাহ! তিনি ‘সাইয়্যিদুনা হযরত যাবীহুল্লাহ আলাইহিস সালাম’ এই মহাসম্মানিত ও মহপবিত্র লক্বব মুবারক-এ মহাসম্মানিত পরিচিতি মুবারক গ্রহণ করেছেন। সুবহানাল্লাহ!

সাইয়্যিদুনা হযরত যাবীহুল্লাহ আলাইহিস সালাম তিনি সম্মানিত হিজরত মুবারক উনার ৭৮ বছর ৮ মাস ১০ দিন পূর্বে মহাসম্মানিত ও মহপবিত্র ২রা রজবুল হারাম শরীফ লাইলাতুস সাব্ত শরীফ (শনিবার) মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মক্কা শরীফ উনার মহাসম্মানিত ও মহপবিত্র কুরাইশ বংশে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করেন। সুবহানাল্লাহ! সাইয়্যিদাতুনা উম্মু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নিসবতে ‘আযীম শরীফ অনুষ্ঠিত হন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহপবিত্র বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশের ৮ মাস ১২ দিন পূর্বে সম্মানিত ও পবিত্র রজবুল হারাম শরীফ মাস উনার মহাসম্মানিত ও মহপবিত্র ১লা তারীখ মহাসম্মানিত ও মহপবিত্র লাইলাতুল জুমুয়াহ শরীফ তথা ইয়াওমুল খমীস দিবাগত বা’দ মাগরিব। সুবহানাল্লাহ! তিনি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহপবিত্র বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করার ২ মাস ১০ দিন পূর্বে মহাসম্মানিত ও মহপবিত্র ২রা মুহাররমুল হারাম শরীফ ইয়াওমুল জুমুয়াহ শরীফ সকালে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিছালী শান মুবারক করেন। সুবহানাল্লাহ! তিনি দুনিয়ার যমীনে ২৫ বছর ৬ মাস অবস্থান মুবারক করেন। উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র রওযা শরীফ ‘মহাসম্মানিত ও মহপবিত্র আবওয়া শরীফ’ উনার মধ্যে অবস্থিত। সুবহানাল্লাহ!

১১. আবূ লাহাব: তার অপর নাম আব্দুল উয্যা। সে বেআদবী করার কারণে তার ধ্বংস ঘোষণা করে পবিত্র সূরা মাসাদ শরীফ নাযিল হন। তারপরও নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সংবাদ মুবারক শুনে ঐ সময় খুশি প্রকাশ করার কারণে সে প্রতি সাইয়্যদু সাইয়্যিদিল আইয়্যাম শরীফ তথা ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম শরীফ (সোমবার) কুদরতী শীতল ঠা-া পানি লাভ করে থাকে। সুবহানাল্লাহ! যা চুষে চুষে পান করার কারণে তার বিগত এক সাপ্তাহের আযব-গযব অনুভব হয় না। সুবহানাল্লাহ!

১২. আসাদুল্লাহ ওয়া আসাদু রসূলিহী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদুনা হযরত সাইয়্যিদুশ্ শুহাদা আলাইহিস সালাম: উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ইসিম বা নাম মুবারক হচ্ছেন- ‘সাইয়্যিদুনা হযরত হামযাহ্ আলাইহিস সালাম’। সুবহানাল্লাহ! উনার মহাসম্মানিত ও মহপবিত্র কুনিয়াত মুবারক হচ্ছেন- ‘সাইয়্যিদুনা হযরত আবূ ইয়া’লা আলাইহিস সালাম এবং সাইয়্যিদুনা হযরত আবূ ‘আম্মারাহ্ আলাইহিস সালাম’। উনাকেও সাইয়্যিদাতুনা হযরত ছুওয়াইবাহ্ আলাইহাস সালাম তিনি মহাসম্মানিত দুধ মুবারক পান করিয়েছিলেন। সেই দিক থেকে তিনি ছিলেন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহপবিত্র দুধ ভাই উনার অন্তর্ভুক্ত। সুবহানাল্লাহ! তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে মহাসম্মানিত ও মহপবিত্র নুবুওওয়াত এবং রিসালাত মুবারক প্রকাশের ৫ম বছর মহাসম্মানিত দ্বীন ইসলাম গ্রহণ করেন। সুবহানাল্লাহ!  আর তিনি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় শাহাদাতী শান মুবারক প্রকাশ করেন সম্মানিত উহুদ জিহাদ মুবারক-এ। উনার জন্য স্বয়ং নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি নিজেই মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুল মুহব্বত মুবারক প্রকাশ করেন (মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কান্না মুবারক করেন)। সুবহানাল্লাহ!

১৩. সাইয়্যিদুনা হযরত খ্বতিমুল মুহাজিরীন আলাইহিস সালাম: উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ইসিম বা নাম মুবারক হচ্ছেন- ‘সাইয়্যিদুনা হযরত আব্বাস আলাইহিস সালাম’। উনার সম্মানিত কুনিয়াত মুবারক হচ্ছেন- ‘সাইয়্যিদুনা হযরত আবুল ফযল আলাইহিস সালাম’। তিনি প্রথম যামানায়ই ঈমান আনেন ও পবিত্র দ্বীন ইসলাম গ্রহন করেন। তবে প্রকাশ্যে প্রকাশ করেননি। পরবর্তীতে অর্থাৎ সম্মানিত বদর জিহাদ মুবারক উনার পর আনুষ্ঠানিকভাবে সম্মানিত ঈমান মুবারক প্রকাশ করেন। সুবহানাল্লাহ!

নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ‘আম্মাত (ফুফু) আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের সংক্ষিপ্ত পরিচিতি মুবারক:

নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ‘আম্মাত (ফুফু) আলাইহিন্নাস সালাম। উনারা হলেন,

১. সাইয়্যিদাতুনা হযরত ‘আতিকাহ্ আলাইহাস সালাম: তিনি সম্মানিত হিজরত মুবারক উনার পূর্বেই সম্মানিত ঈমান মুবারক প্রকাশ করেন। তারপর সম্মানিত হিজরত মুবারক করেন। সুবহানাল্লাহ! উনার দুইজন আওলাদ সাইয়্যিদুনা হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আবী উমাইয়্যাহ্ রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু তিনি এবং সাইয়্যিদাতুনা হযরত কুরাইবাহ্ কুবরা বিনতে আবী উমাইয়্যাহ্ রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহা তিনি অর্থাৎ উনারাও মহাসম্মানিত দ্বীন ইসলাম গ্রহণ করেন। সুবহানাল্লাহ! উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র রওযা শরীফ জান্নাতুল বাক্বী’ শরীফ উনার মধ্যে অবস্থিত। সুবহানাল্লাহ!

২. সাইয়্যিদাতুনা হযরত উমাইমাহ্ আলাইহাস সালাম: তিনি হচ্ছেন মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আস সাবি‘আহ্ আত্বওয়ালু ইয়াদান আলাইহাস সালাম উনার মহাসম্মানিত ও মহপবিত্র আম্মাজান আলাইহাস সালাম। সুবহানাল্লাহ! উনার মহাসম্মানিত ও মহপবিত্র নিসবতে ‘আযীম শরীফ হন সাইয়্যিদুনা হযরত জাহাশ ইবনে রিআব আসাদী আলাইহিস সালাম উনার সাথে। উনাদের মোট ৬ জন আওলাদ ছিলেন। উনাদের মধ্যে অন্যতম হচ্ছেন- বিশিষ্ট ছাহাবী সাইয়্যিদুনা হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে জাহাশ রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু তিনি। সাইয়্যিদাতুনা হযরত উমাইমাহ আলাইহাস সালাম তিনি সম্মানিত হিজরত মুবারক উনার পূর্বেই সম্মানিত ঈমান মুবারক প্রকাশ করেন। তারপর সম্মানিত হিজরত মুবারক করেন। সুবহানাল্লাহ!

৩. সাইয়্যিদাতুনা হযরত বাইদ্বা’ আলাইহাস সালাম: উনার মহাসম্মানিত ও মহপবিত্র কুনিয়াত মুবারক- ‘সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মু হাকীম আলাইহাস সালাম’। উনার প্রথম মহাসম্মানিত ও মহপবিত্র নিসবতে আযীম শরীফ হন সাইয়্যিদুনা হযরত কুরাইয ইবনে রবী‘আহ আলাইহিস সালাম উনার সাথে। তখন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আরওয়া বিনতে কুরাইয রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহা তিনি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করেন। আর সাইয়্যিদাতুনা হযরত আরওয়া বিনতে কুরাইয রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহা উনারই মহাসম্মানিত আওলাদ হচ্ছেন তৃতীয় খলীফা সাইয়্যিদুনা হযরত যুন নূরাঈন আলাইহিস সালাম তিনি। সুবহানাল্লাহ!

৪. সাইয়্যিদাতুনা হযরত র্বারাহ আলাইহাস সালাম: তিনি মহাসম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার যুগ পাননি। উনারই মহাসম্মানিত আওলাদ হচ্ছেন- বিশিষ্ট বদরী ছাহাবী সাইয়্যিদুনা হযরত আবূ সালামাহ্ ইবনে আব্দুল আসাদ রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু তিনি। তিনি ছিলেন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ফুফাতো ভাই এবং মহাসম্মানিত দুধ ভাই উনাদের অন্তর্ভুক্ত। বিশিষ্ট বদরী ছাহাবী সাইয়্যিদুনা আবূ সাব্রাহ্ ইবনে আবূ রুহ্ম রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু তিনিও সাইয়্যিদাতুনা হযরত র্বারাহ আলাইহাস সালাম উনার মহাসম্মানিত আওলাদ। তিনি সম্মানিত বদর জিহাদ মুবারক-এ শাহাদাতী শান মুবারক প্রকাশ করেন। সুবহানাল্লাহ!

৫. সাইয়্যিদাতুনা হযরত আরওয়া আলাইহাস সালাম: তিনি মহাসম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার সূচনালগ্নেই সম্মানিত ঈমান মুবারক প্রকাশ করেন এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মদীনা শরীফ হিজরত মুবারক করেন। সুবহানাল্লাহ! উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র রওযা শরীফ জান্নাতুল বাক্বী’ শরীফ উনার মধ্যে অবস্থিত। সুবহানাল্লাহ! উনারই মহাসম্মানিত আওলাদ হচ্ছেন- বিশিষ্ট বদরী ছাহাবী সাইয়্যিদুনা হযরত তুলাইব ইবনে ‘উমাইর রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু তিনি। সুবহানাল্লাহ!

৬. সাইয়্যিদাতুনা হযরত ছফিয়্যাহ আলাইহাস সালাম: তিনি মহাসম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার সূচনালগ্নে সম্মানিত ঈমান মুবারক প্রকাশ করেন। উনারই মহাসম্মানিত ও মহপবিত্র আওলাদ হচ্ছেন আশারায়ে মুবাশ্শারা উনাদের মধ্যে বিশেষ ব্যক্তিত্ব মুবারক সাইয়্যিদুনা হযরত যুবাইর ইবনুল ‘আওওয়াম রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু তিনি। সুবহানাল্লাহ! সাইয়্যিদাতুনা হযরত ছফিয়্যাহ আলাইহাস সালাম তিনি সম্মানিত উহুদ জিহাদ মুবারক-এ বেমেছাল সাহসিকতার পরিচয় মুবারক উনার বহিঃপ্রকাশ মুবারক ঘটান। এছাড়াও তিনি প্রায় প্রত্যেকটি সম্মানিত জিহাদ মুবারক-এ নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে উপস্থিত ছিলেন। সুবহানাল্লাহ! সম্মানিত খন্দক জিহাদ মুবারক উনার সময় মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মদীনা শরীফ উনার অভ্যন্তরে ইহুদীরা বিদ্রোহ করার চক্রান্ত করে এবং গোপনে কিছু ইহুদীকে পাঠায়। তখন সাইয়্যিদাতুনা হযরত ছফিয়্যাহ আলাইহাস সালাম তিনি এক ইহুদীকে হত্যা করে তার গর্দান কেটে ইহুদীদের মধ্যে ছুঁড়ে মারেন। তখন ইহুদীরা ভয়ে ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। সুবহানাল্লাহ!

তিনি সাইয়্যিদুনা হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম উনার মহাসম্মানিত ও মহপবিত্র খিলাফত মুবারককালে ২০ হিজরী শরীফ-এ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিছালী শান মুবারক প্রকাশ করেন। উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র রওযা শরীফ মহাসম্মানিত ও মহপবিত্র জান্নাতুল বাক্বী’ শরীফ উনার মধ্যে অবস্থিত। সুবহানাল্লাহ!

 আবা-২৮৪তম 


সাইয়্যিদুনা মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার মহা সম্মানিতা আম্মা আওলাদুর রসূল, সাইয়্যিদাতুনা আমাদের- হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম উনার সাওয়ানেহে উমরী মুবারক-পর্ব-৭৩


 উম্মু মুর্শিদিনা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে উম্মু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মালিকুদ দুনিয়া ওয়াল আখিরাহ, মুত্বহ্হার, মুত্বহ্হির, আছ ছমাদ, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদাতুনা আমাদের- হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা কা’বা আলাইহাস সালাম উনার সীমাহীন ফাদ্বায়িল-ফদ্বীলত, বুযূর্গী-সম্মান, মান-শান, বৈশিষ্ট্য এবং উনার অনুপম মাক্বাম সম্পর্কে কিঞ্চিৎ আলোকপাত-

মুবারক শৈশব ও কৈশোর থেকেই সাইয়্যিদাতুনা হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা কা’বা আলাইহাস সালাম উনার সুন্নত মুবারক এবং শরয়ী পর্দা পালনের একনিষ্ঠ অভ্যস্ততা:

এই সম্মানিত নিয়ামতরাজির হিস্যা কায়িনাতবাসী ক্বায়িম-মাক্বামে উম্মু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মুত্বহ্হার, মুত্বহ্হির, আছ ছমাদ, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদাতুনা হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা কা’বা আলাইহাস সালাম উনার এবং উনার যাওজুম মুকাররাম, ক্বায়িম-মাক্বামে আবূ রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মুত্বহ্হার, মুত্বহ্হির, আছ ছমাদ, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদুনা হযরত দাদা হুযূর ক্বিবলা কা’বা আলাইহিস সালাম উনাদের হাদিয়াকৃত পবিত্র রাজারবাগ দরবার শরীফ থেকে লাভ করছেন। সুবহানাল্লাহ!

প্রতি বছর পবিত্র যিলহজ্জ শরীফ মাসে পবিত্র কুরবানী উপলক্ষে হাজার হাজার গরু, মহিষ, খাসী ইত্যাদি কুরবানী করা হচ্ছে। এ ছাড়া প্রতি আরবী মাসের পবিত্র ১২ই শরীফে পবিত্র মাহফিল সমূহের ইন্তিজামসহ শত শত গরু, মহিষ, খাসী ইত্যাদি পবিত্রতম নাম মুবারকসমূহে আক্বীক্বা করা হচ্ছে। এই সকল নিয়ামত মুবারকসমূহ সাইয়্যিদাতুনা হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা কা’বা আলাইহাস সালাম উনার এবং সাইয়্যিদুনা হযরত দাদা হুযূর ক্বিবলা কা’বা আলাইহিস সালাম উনাদের মুবারক উসীলাতেই কায়িনাতবাসী হাছিল করছেন। সুবহানাল্লাহ!

উপরোক্ত পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার বাস্তবতায় চতুর্থ পর্যায়ের নিয়ামত মুবারক, অর্থাৎ সম্মানিত দ্বীন-ইসলাম উনার ব্যাপারে নির্ভরযোগ্যতা ও গ্রহণযোগ্যতার পরিপূর্ণ ধারক ও বাহক হয়েছেন বলেই সাইয়্যিদাতুনা হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা কা’বা আলাইহাস সালাম উনার এবং সাইয়্যিদুনা হযরত দাদা হুযূর ক্বিবলা কা’বা আলাইহিস সালাম উনাদের পক্ষে পবিত্র রাজারবাগ দরবার শরীফসহ উল্লিখিত যাবতীয় নিয়ামতসম্ভার কায়িনাতবাসীকে হাদিয়া করা সম্ভব হয়েছে। সুবহানাল্লাহ!

উপরোক্ত পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার প্রথম বিষয়টি অর্থাৎ-

اَلْمَحَبَّةُ فِىْ قُلُوْبِ الْبَرَرَةِ …..

অর্থ: “নেককার আল্লাহওয়ালাগণ ওই ব্যক্তিকে মুহব্বত করবেন।” মহান আল্লাহ পাক বিশ্বব্যাপী উনার আখাছছুল খাছ বান্দা-বান্দী উনাদের সকলকেই মুহব্বত করবেন। আওলাদে রসূল, আখাছছুল খাছ আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদাতুনা হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা কা’বা আলাইহাস সালাম তিনি এবং উনার জাওযুল মুকাররাম, আওলাদে রসূল, আখাছছুল খাছ আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদুনা হযরত দাদা হুযূর ক্বিবলা কা’বা আলাইহিস সালাম আলোচ্য পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার পরিপূর্ণ মিছদাক্ব। সে কারণে উনারা মহান আল্লাহ পাক উনার মক্ববুল প্রিয় মাহবূবা ও মাহবূব এবং এ কারণে উনাদের শান-মান-মর্যাদা-মাক্বাম সারা বিশ্বে প্রকাশিত ও সমাদৃত। সুবহানাল্লাহ!

আবা-২৮৩


সাইয়্যিদুনা মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার মহা সম্মানিতা আম্মা আওলাদুর রসূল, সাইয়্যিদাতুনা আমাদের- হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম উনার সাওয়ানেহে উমরী মুবারক-পর্ব-৭২

 উম্মু মুর্শিদিনা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে উম্মু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মালিকুদ দুনিয়া ওয়াল আখিরাহ, মুত্বহ্হার, মুত্বহ্হির, আছ ছমাদ, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদাতুনা আমাদের- হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা কা’বা আলাইহাস সালাম উনার সীমাহীন ফাদ্বায়িল-ফদ্বীলত, বুযূর্গী-সম্মান, মান-শান, বৈশিষ্ট্য এবং উনার অনুপম মাক্বাম সম্পর্কে কিঞ্চিৎ আলোকপাত-

মুবারক শৈশব ও কৈশোর থেকেই সাইয়্যিদাতুনা হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা কা’বা আলাইহাস সালাম উনার সুন্নত মুবারক এবং শরয়ী পর্দা পালনের একনিষ্ঠ অভ্যস্ততা:

 এ কামিয়াবী প্রসঙ্গে মালিকুত তামাম, ক্বাসিমুন নিয়াম, সাইয়্যিদুল আনাম, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, মাশুকে মাওলা, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন:

مَنْ حَفِظَ سُنَّتِىْ اَكْرَمَهُ اللهُ تَعَالٰى بِاَرْبَعِ خِصَالٍ اَلْمَحَبَّةُ فِىْ قُلُوْبِ الْبَرَرَةِ وَالْـهَيْبَةُ فِىْ قُلُوْبِ الْفَجَرَةِ وَالسَّعَةُ فِى الرِّزْقِ وَالثِّقَةُ فِى الدِّيْنِ

অর্থ: “যে ব্যক্তি আমার সম্মানিত সুন্নত মুবারক হিফাজত করলেন, মহান আল্লাহ পাক তিনি ওই ব্যক্তিকে চারটি নিয়ামত মুবারক দ্বারা সম্মানিত করবেন। যথা: ১. নেককার আল্লাহওয়ালাগণ ওই ব্যক্তিকে মুহব্বত করবেন। ২. ফাসিক্ব-ফুজ্জার ও গুনাহগার লোকেরা উনাকে ভয় করবেন। ৩. মহান আল্লাহ পাক তিনি উনার রিযিকে স্বচ্ছলতা দান করবেন। ৪. সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার ব্যাপারে মহান আল্লাহ পাক উনাকে সকলের কাছে গ্রহণযোগ্য করে তুলবেন।” সুবহানাল্লাহ!

সাইয়্যিদাতুনা হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা কা’বা আলাইহাস সালাম তিনি সম্মানিত সুন্নত মুবারক পরিপূর্ণরূপে হিফাজত করেছেন। এ কারণে মহান আল্লাহ পাক এবং উনার প্রিয়তম হাবীব সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, আকরামুল আউওয়ালীন ওয়াল আখিরীন, নূরে মুজাসসাম, মাশুকে মাওলা, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে (মহাসম্মানিতা সাইয়্যিদাতুনা হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা কা’বা আলাইহাস সালাম) উপরোক্ত পবিত্র হাদীছ শরীফে বর্ণিত সকল নিয়ামত মুবারকে ধন্য করেছেন। সুবহানাল্লাহ! অর্থাৎ কুল কায়িনাতের সকল গউস, কুতুব, আবদাল, ইমাম, মুজতাহিদ, মুজাদ্দিদ, নজীব-নুক্বাবা, নক্বীব-নুক্বাবাসহ সকল জাহিরী ও বাতিনী আউলিয়ায়ে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিমগণ উনারা সাইয়্যিদাতুনা হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা কা’বা আলাইহাস সালাম উনার প্রতি অনুরক্ত হয়ে এবং উনাকে মুহব্বত করে যাবতীয় নিয়ামত সম্ভারে ধন্য হয়েছেন। সুবহানাল্লাহ!

দ্বিতীয়ত: সকল ফাসিক্ব-ফুজ্জার, কাফির, বেদ্বীন, বদদ্বীন, মুনাফিক এবং উলামায়ে সূ’সহ সকল বাতিল গোষ্ঠীর কাছে তিনি ভীতির কারণ হয়েছেন। সুবহানাল্লাহ!

তৃতীয়ত: দুনিয়াবী ও উখরবী যাবতীয় কল্যাণসহ সকল নিয়ামতপূর্ণ রিযিকদানে মহান আল্লাহ পাক তিনি এবং নূরে মুজাসসাম, মাশুকে মাওলা, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি উনাকে ধন্য করেছেন। সুবহানাল্লাহ! (চলবে)

আবা-২৮২



সাইয়্যিদুনা মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার মহা সম্মানিতা আম্মা আওলাদুর রসূল, সাইয়্যিদাতুনা আমাদের- হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম উনার সাওয়ানেহে উমরী মুবারক-পর্ব-৭১

উম্মু মুর্শিদিনা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে উম্মু রসূলিনা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মালিকুদ দুনিয়া ওয়াল আখিরাহ, মুত্বহ্হার, মুত্বহ্হির, আছ ছমাদ, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদাতুনা আমাদের- হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা কা’বা আলাইহাস সালাম উনার সীমাহীন ফাদ্বায়িল-ফদ্বীলত, বুযূর্গী-সম্মান, মান-শান, বৈশিষ্ট্য এবং উনার অনুপম মাক্বাম সম্পর্কে কিঞ্চিৎ আলোকপাত-

মুবারক শৈশব ও কৈশোর থেকেই সাইয়্যিদাতুনা হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা কা’বা আলাইহাস সালাম উনার সুন্নত মুবারক এবং শরয়ী পর্দা পালনের একনিষ্ঠ অভ্যস্ততা:

উপরোক্ত পবিত্র আয়াত শরীফ অনুযায়ী আমলের কারণে উনাদের মর্যাদা-মাক্বাম কতো সীমাহীন উচ্চতায়, তা কায়িনাতবাসীর অবোধ্য। সুবহানাল্লাহ! বিশুদ্ধ আক্বীদা ও মুহব্বতে সম্মানিত সুন্নত মুবারক পালনের মাধ্যমে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে হাক্বীক্বীভাবে অনুসরণ-অনুকরণ করাই হলো ইবাদত-বন্দেগী। এর ব্যত্যয়ে হালাকী ছাড়া জ্বীন-ইনসানের আর কিছুই পাওনা নেই। নাউযুবিল্লাহ!

আখাছ্ছুল খাছ আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদুনা হযরত দাদা হুযূর ক্বিবলা কা’বা আলাইহিস সালাম এবং আখাছছুল খাছ আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদাতুনা হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা কা’বা আলাইহাস সালাম উনারা পবিত্র বিছালী শান মুবারক প্রকাশ করা অবধি সম্মানিত শরীয়ত হাক্বীক্বীভাবে পালনে ইস্তিকামত ছিলেন। এ কারণেই উনারা কায়িনাতবাসীকে হাদিয়া করতে পেরেছেন আন নি’মাতুল উজমা আলাল আলাম, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদুনা মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা কাবা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে। সুবহানাল্লাহ!

মহান আল্লাহ পাক তিনি উনার বান্দা-বান্দীকে দুআ’ করার জন্য নির্দেশ প্রদান করেছেন। এই মর্মে পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ উনার মধ্যে তিনি ইরশাদ মুবারক করেন:

رَبَّنَاۤ اٰتِنَا فِي الدُّنْيَا حَسَنَةً وَّفِي الْاٰخِرَةِ حَسَنَةً وَّقِنَا عَذَابَ النَّارِ

অর্থ: “আয় মহান আল্লাহ পাক! আপনি আমাদেরকে দান করুন দুনিয়াবী ও আখিরাতের কল্যাণ এবং জাহান্নামের আগুন থেকে আমাদেরকে মুক্তি দান করুন।” (পবিত্র সূরা বাক্বারা শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ২০১)

পবিত্র এ আয়াত শরীফ উনার হাক্বীক্বী অর্থ হলো, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি তিনি সম্মানিত সুন্নত মুবারক এবং সম্মানিত শরীয়ত পালন করার মাধ্যমে মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার প্রিয়তম রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের রিযামন্দি ও সন্তুষ্টি মুবারক লাভ করেন, তিনি দুনিয়া ও আখিরাতে সার্বিক কল্যাণ লাভ করেন এবং সীমাহীন শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত, মর্যাদা-মাক্বাম হাছিল করেন। উম্মু মুর্শিদিনা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম-মাক্বামে উম্মু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মালিকুদ দুনিয়া ওয়াল আখিরাহ, মুত্বহ্হার, মুত্বহ্হির, আছ ছমাদ সাইয়্যিদাতুনা হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা কা’বা আলাইহাস সালাম তিনি উপরোক্ত পবিত্র আয়াত শরীফ উনার হাক্বীক্বী মিছদাক্ব। সুবহানাল্লাহ!

উম্মু মুর্শিদিনা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম-মাক্বামে উম্মু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মালিকুদ দুনিয়া ওয়াল আখিরাহ, মুত্বহ্হার, মুত্বহ্হির, আছ ছমাদ, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদাতুনা হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা কা’বা আলাইহাস সালাম তিনি সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্ম, পুঙ্খানুপুঙ্খরূপে সম্মানিত সুন্নত মুবারক ইত্তিবা করার কারণেই ইহকালীন ও পরকালীন চূড়ান্ত  কামিয়াবীর শীর্ষতম মাক্বামে উপনীত হয়েছেন। সুবহানাল্লাহ! (চলবে)

আবা-২৮১

সাইয়্যিদুনা মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার মহা সম্মানিতা আম্মা আওলাদুর রসূল, সাইয়্যিদাতুনা আমাদের- হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম উনার সাওয়ানেহে উমরী মুবারক-পর্ব-৭০

 উম্মু মুর্শিদিনা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে উম্মু রসূলিনা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মালিকুদ দুনিয়া ওয়াল আখিরাহ, মুত্বহ্হার, মুত্বহ্হির, আছ ছমাদ, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদাতুনা আমাদের- হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা কা’বা আলাইহাস সালাম উনার সীমাহীন ফাদ্বায়িল-ফদ্বীলত, বুযূর্গী-সম্মান, মান-শান, বৈশিষ্ট্য এবং উনার অনুপম মাক্বাম সম্পর্কে কিঞ্চিৎ আলোকপাত-

মুবারক শৈশব ও কৈশোর থেকেই সাইয়্যিদাতুনা হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা কা’বা আলাইহাস সালাম উনার সুন্নত মুবারক এবং শরয়ী পর্দা পালনের

একনিষ্ঠ অভ্যস্ততা:

পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ উনার মধ্যে মহান আল্লাহ পাক সুহানাহূ ওয়া তায়ালা তিনি ইরশাদ মুবারক করেন:

مَنْ يُّطِعِ اللهَ وَرَسُوْلَهٗ فَقَدْ فَازَ فَوْزًا عَظِيْمًا

অর্থ: “যে ব্যক্তি মহান আল্লাহ পাক এবং উনার প্রিয়তম রসূল, নূরে মুজাসসাম, মাশূকে মাওলা, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের ইত্তিবা করবেন, তিনি বিরাট সফলতা লাভ করবেন।” সুবহানাল্লাহ! (পবিত্র সূরা আহযাব শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ৭১)

দুনিয়ার জীবনে প্রত্যেক মানুষকেই কোনো না কোনো বিশ্বাস ও আমলে নিয়োজিত থাকতে হয়। মানুষ বিদয়াতী ও কুফরী বিশ্বাস ও আমলে অভ্যস্ত হতে পারে অথবা পবিত্রতম শরয়ী ও সম্মানিত সুন্নতী আমলেও অভ্যস্ত হতে পারে। কুফরী বিশ্বাস ও আমলের পরিণতি জাহান্নাম। পক্ষান্তরে, সম্মানিত শরীয়ত এবং সম্মানিত সুন্নতী আমলের পরিণতি রিযামন্দী-সন্তুষ্টি, অর্থাৎ সম্মানিত জান্নাত মুবারক। সুবহানাল্লাহ!

কায়িম-মাক্বামে হযরত উম্মু রসূলিনা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদাতুনা হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা  কা’বা আলাইহাস সালাম এবং উনার জাওযুম মুকাররাম, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদুনা হযরত দাদা হুযূর ক্বিবলা কা’বা আলাইহিস সালাম উনারা নিজেরা যেমন পবিত্র শরয়ী পর্দা পালন এবং সম্মানিত সুন্নতী আমল মুবারক করেছেন, তদনুযায়ী উনাদের মুবারক উসীলায় কায়িনাতবাসী লাভ করেছেন পবিত্র সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ, কোটি কোটি কণ্ঠে পবিত্র মীলাদ শরীফ, পবিত্র আইয়্যামুল্লাহ শরীফ, আন্তর্জাতিক সম্মানিত সুন্নত মুবারক প্রচার-প্রসার কেন্দ্র, সম্মানিত সুন্নত পালনের অভ্যস্ততা ইত্যাদি। সুবহানাল্লাহ!

আবা-২৮০



সাইয়্যিদুনা মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার মহা সম্মানিতা আম্মা আওলাদুর রসূল, সাইয়্যিদাতুনা আমাদের- হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম উনার সাওয়ানেহে উমরী মুবারক-পর্ব-৬৯

 পঞ্চদশ হিজরী শতকের মুজাদ্দিদ, মুজাদ্দিদে আ’যম, আওলাদুর রসূল, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার সাইয়্যিদুনা মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার মহা সম্মানিতা আম্মা, আওলাদুর রসূল, সাইয়্যিদাতুনা আমাদের- হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা কা’বা আলাইহাস সালাম উনার সীমাহীন ফাদ্বায়িল-ফদ্বীলত, বুযূর্গী-সম্মান, মান-শান, বৈশিষ্ট্য এবং উনার অনুপম মাক্বাম সম্পর্কে কিঞ্চিৎ আলোকপাত-

মুবারক শৈশব ও কৈশোর থেকেই সাইয়্যিদাতুনা হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা কা’বা আলাইহাস সালাম উনার সুন্নত মুবারক এবং শরয়ী পর্দা পালনের একনিষ্ঠ অভ্যস্ততা:

পবিত্র হাদীছে কুদসী শরীফে ইরশাদ মুবারক হয়েছে:

لَا يَزَالُ عَبْدِي يَتَقَرَّبُ إلَيَّ بِالنَّوَافِلِ حَتّٰى أُحِبَّهٗ، فَإِذَا أَحْبَبْتُهٗ كُنْتُ سَمْعَهُ الَّذِيْ يَسْمَعُ بِهٖ، وَبَصَرَهُ الَّذِيْ يُبْصِرُ بِهٖ، وَيَدَهُ الَّتِي يَبْطِشُ بِهَا، وَرِجْلَهُ الَّتِيْ يَمْشِيْ بِهَا، وَلَئِنْ سَأَلَنِيْ لَأُعْطِيَنَّهٗ

অর্থ: “বান্দা নিরবিচ্ছিন্নভাবে আমার নফল ইবাদত করতে করতে এতটুকু নৈকট্য-সান্নিধ্য লাভ করেন যে, স্বয়ং আমি উনার কান হয়ে যাই, তিনি আমার কুদরতী কান মুবারকে শোনেন। আমি উনার চক্ষু হয়ে যাই, তিনি আমার কুদরতী চক্ষু মুবারকে দেখেন। আমি উনার হাত হয়ে যাই, তিনি আমার কুদরতী হাত মুবারকে স্পর্শ করেন। আমি উনার পা হয়ে যাই, তিনি আমার কুদরতী পা মুবারকে চলালচল করেন। ওই বান্দা যদি আমার কাছে কোনো নিয়ামত চান, আমি সাথে সাথেই উনাকে তা দিয়ে দিই।” সুবহানাল্লাহ! পাবিত্র হাদীছ শরীফখানা বক্ষমাণ নিবন্ধে পূর্বেও উল্লেখ করা হয়েছে।

ওলীয়ে মাদারযাদ, আওলাদে রসূল, ক্বায়িম-মাক্বামে উম্মু রসূলিনা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, আখাছছুল খাছ আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদাতুনা হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা কা’বা আলাইহাস সালাম তিনি একনিষ্ঠ ও দায়িমীভাবে যে সম্মানিত শরয়ী পর্দা পালন করেছেন, তা সকলের জন্যই মুবারক দৃষ্টান্ত হয়ে আছেন। সুবহানাল্লাহ!

আখাছছুল খাছ আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদাতুনা হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা কা’বা আলাইহাস সালাম এবং ওলীয়ে মাদারযাদ, আওলাদে রসূল, ক্বায়িম-মাক্বামে হযরত আবূ রসূলিনা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ফখরুল আউলিয়া, ছাহিবে ইসমে আ’যম, গরীবে নেওয়াজ, লিসানুল হক্ব, আওলাদুর রসূল, আখাছছুল খাছ আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, আল মুত্বহ্হার, আল মুত্বহ্হির, আছ ছমাদ সাইয়্যিদুনা হযরত দাদা হুযূর ক্বিবলা কা’বা আলাইহিস সালাম উনাদের সম্মানিত সুন্নত এবং সম্মানিত শরয়ী পর্দা পালনের কারণেই কায়িনাতবাসী সাইয়্যিদে মুজাদ্দিদে আ’যম,  ইমামুল উমাম, আন নি’মাতুল উযমা আলাল আলাম, হুজ্জাতুল ইসলাম, ছাহিবে কুন ফাইয়াকুন, ইমামুদ দুনিয়া ওয়াল আখিরাহ, আছ ছমাদ, আওলাদুর রসূল, হাবীবুল্লাহ, আখাছছুল খাছ আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদুনা মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা কা’বা আলাইহিস সালাম উনাকে, উনার ছাহিবাতুল মুকাররামা, ওলীয়ে মাদারযাদ, আওলাদে রসূল, ক্বায়িম-মাক্বামে হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম, আখাছছুল খাছ আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, আল মুত্বাহ্হার, আল মুত্বহ্হির, আছছমাদ সাইয়্যিদাতুনা হযরত আম্মা হুযূর ক্বিবলা কা’বা আলাইহাস সালাম উনাকে এবং উনাদের মহাসম্মানিত হযরত আহলু পাক আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে লাভ করতে পেরেছেন। সুবহানাল্লাহ!

একই কারণে কায়িনাতবাসী পবিত্র “ফালইয়াফরহূ শরীফ” অর্থাৎ পবিত্র সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ, কোটি কোটি কণ্ঠে মীলাদ শরীফ এবং পবিত্র রাজারবাগ দরবার শরীফ উনাদের সীমাহীন নিয়ামত লাভে ধন্য হচ্ছেন। (চলবে)

আবা-২৭৯


সাইয়্যিদুনা মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার মহা সম্মানিতা আম্মা আওলাদুর রসূল, সাইয়্যিদাতুনা আমাদের- হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম উনার সাওয়ানেহে উমরী মুবারক-পর্ব-৬৮

 পঞ্চদশ হিজরী শতকের মুজাদ্দিদ, মুজাদ্দিদে আ’যম, আওলাদুর রসূল, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার সাইয়্যিদুনা মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার মহা সম্মানিতা আম্মা, আওলাদুর রসূল, সাইয়্যিদাতুনা আমাদের- হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা কা’বা আলাইহাস সালাম উনার সীমাহীন ফাদ্বায়িল-ফদ্বীলত, বুযূর্গী-সম্মান, মান-শান, বৈশিষ্ট্য এবং উনার অনুপম মাক্বাম সম্পর্কে কিঞ্চিৎ আলোকপাত-

মুবারক শৈশব ও কৈশোর থেকেই সাইয়্যিদাতুনা হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা কা’বা আলাইহাস সালাম উনার সুন্নত মুবারক এবং শরয়ী পর্দা পালনেরএকনিষ্ঠ অভ্যস্ততা:

পূর্ব প্রকাশিত পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার সম্মানিত আমল মুবারক জীবনে বাস্তবায়ন করতে গিয়ে হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম, আখাছছুল খাছ হযরত আউলিয়া কিরাম  রহমতুল্লাহি আলাইহিম, মহান মুজাদ্দিদ রহমতুল্লাহি আলাইহিম, গউস, কুতুব-আবদাল, নজীব-নুজাবা, নক্বীব-নুক্বাবা, ইমাম-মুজতাহিদ রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনারা প্রত্যেকেই আপন আপন অবস্থান অনুযায়ী পবিত্রতম দরূদ শরীফ পাঠ, পবিত্রতম ক্বিয়াম শরীফ, পবিত্রতম মীলাদ শরীফ পাঠ এবং সম্মানিত সুন্নত শরীফ উনাদের সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্ম ও পুঙ্খানুপুঙ্খ অনুসরণসহ মুবারক জীবনব্যাপী সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাপবিত্রতম ছানা-ছিফত মুবারক করেছেন, শান-মান, মর্যাদা-মাক্বাম বর্ণনা করেছেন এবং হাক্বীক্বীভাবে পালন করার আপ্রাণ কোশেশ করেছেন। সুবহানাল্লাহ!

ওলীয়ে মাদারযাদ, আওলাদে রসূল, ক্বায়িম-মাক্বাম উম্মু রসূলিনা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, উম্মু সাইয়্যিদে মুজাদ্দিদিদিল আ’যম আলাইহিস সালাম, জাদ্দাতু হযরত খলীফাতুল উমাম আলাইহিস সালাম, আখাছছুল খাছ আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদাতুনা হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা কা’বা আলাইহাস সালাম তিনি উপরোক্ত মুবারক সকল বিষয়  মুবারক মন ও মননে ধারণ, অনুধাবন, করেছেন এবং পবিত্রতম বিছাল শরীফ অবধি দায়িমীভাবে আমল করেছেন। সুবহানাল্লাহ!

অর্থাৎ সাইয্যিদাতুনা হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা কা’বা আলাইহাস সালাম তিনি উনার সমগ্র মুবারক জীবন নির্বাহে যাবতীয় কার্যাদি পরিপূর্ণরূপে শরয়ী পর্দাপালনসহ পবিত্র সুন্নাহ শরীফ তথা সম্মানিত শরীয়ত অনুযায়ী পবিত্রতম হায়াতে যিন্দেগী মুবারক উনার প্রতিটি মুহূর্ত অতিক্রম করেছেন। এ কারণেই তিনি উপরোক্ত পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার পরিপূর্ণ মিছদাক্ব। সুবহানাল্লাহ! (চলবে)

আবকা-২৭৮



সাইয়্যিদুনা মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার মহা সম্মানিতা আম্মা আওলাদুর রসূল, সাইয়্যিদাতুনা আমাদের- হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম উনার সাওয়ানেহে উমরী মুবারক-পর্ব-৬৭

 পঞ্চদশ হিজরী শতকের মুজাদ্দিদ, মুজাদ্দিদে আ’যম, আওলাদুর রসূল, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার সাইয়্যিদুনা মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার মহা সম্মানিতা আম্মা, আওলাদুর রসূল, সাইয়্যিদাতুনা আমাদের- হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা কা’বা আলাইহাস সালাম উনার সীমাহীন ফাদ্বায়িল-ফদ্বীলত, বুযূর্গী-সম্মান, মান-শান, বৈশিষ্ট্য এবং উনার অনুপম মাক্বাম সম্পর্কে কিঞ্চিৎ আলোকপাত-

মুবারক শৈশব ও কৈশোর থেকেই সাইয়্যিদাতুনা হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা কা’বা আলাইহাস সালাম উনার সুন্নত মুবারক এবং শরয়ী পর্দা পালনের একনিষ্ঠ অভ্যস্ততা:

পবিত্র এই আয়াত শরীফ উনার প্রেক্ষিতে পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে: “হযরত উবাই বিন কা’ব রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত:

عَنْ حَضْرَتْ أُبَـىِّ بْنِ كَعْبٍ رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ قَالَ قُلْتُ يَا رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِنِّـيْ أُكْثِرُ الصَّلاَةَ عَلَيْكَ فَكَمْ أَجْعَلُ لَكَ مِنْ صَلَاتِيْ فَقَالَ ‏”‏مَا شِئْتَ‏”‏ ‏.‏ قَالَ قُلْتُ الرُّبُعَ ‏.‏ قَالَ ‏”‏مَا شِئْتَ فَإِنْ زِدْتَ فَهُوَ خَيْرٌ لَّكَ”‏ ‏.‏ قُلْتُ النِّصْفَ ‏.‏ قَالَ ‏”‏مَا شِئْتَ فَإِنْ زِدْتَ فَهُوَ خَيْرٌ لَّكَ‏”‏ ‏.‏ قَالَ قُلْتُ فَالثُّلُثَيْنِ ‏.‏ قَالَ ‏”‏مَا شِئْتَ فَإِنْ زِدْتَ فَهُوَ خَيْرٌ لَّكَ”‏ ‏.‏ قُلْتُ أَجْعَلُ لَكَ صَلاَتِيْ كُلَّهَا‏.‏ قَالَ ‏”‏إِذًا تُكْفٰى هَـمُّكَ وَيُغْفَرُ لَكَ ذَنْبُكَ”‏

অর্থ: “হযরত উবাই বিন কা’ব রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি একদা নিবেদন করেন: ইয়া রসূলাল্লাহ, ইয়া হাবীবাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আমি আপনার পবিত্রতম শান মুবারকে অধিক পরিমাণে পবিত্র ছলাত শরীফ পাঠ করতে চাই। সুতরাং, পবিত্র ছলাত শরীফ পাঠে আমি কতোটুকু সময় নির্ধারণ করবো? নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন: যতটুকু সময় আপনি ইচ্ছা করেন। তখন হযরত উবাই বিন কা’ব রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি নিবেদন করেন: ইয়া রসূলাল্লাহ, ইয়া হাবীবাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আমি চার ভাগের একভাগ সময় ব্যয় করতে চাই। এই প্রেক্ষিতে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন: আপনার ইচ্ছা। তবে আরো বেশি করতে পারলে আপনার জন্য কল্যাণকর হবে। হযরত উবাই বিন কা’ব রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি নিবেদন করেন: ইয়া রসূলাল্লাহ, ইয়া হাবীবাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! তা হলে আমি অর্ধেক সময় পবিত্র ছলাত শরীফ পাঠে ব্যয় করতে চাই। তখন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন: আপনার ইচ্ছা। তবে সময় আরো বৃদ্ধি করলে আপনার জন্য কল্যাণকর হবে। হযরত উবাই বিন কা’বা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি তখন নিবেদন করেন: ইয়া রসূলাল্লাহ ইয়া হাবীবাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আমি আমার জীবনের দুই-তৃতীয়াংশ সময় আপনার পবিত্রতম শান মুবারকে পবিত্র ছলাত শরীফ পাঠে ব্যয় করতে চাই। এই প্রেক্ষিতে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন: আপনার ইচ্ছা। তবে আরো সময় বৃদ্ধি করতে পারলে আপনি আরো বেশি লাভবান হবেন। তখন হযরত উবাই বিন কা’বা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি নিবেদন করেন: ইয়া রসূলাল্লাহ, ইয়া হাবীবাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! তাহলে আমি আমার জীবনের পুরো সময়টাই আপনার পবিত্রতম শানে ছলাত শরীফ পাঠে, তথা পবিত্র ছানা-ছিফত মুবারকে ব্যয় করবো। সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিয়্যীন, মাশুকে মাওলা, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি এ প্রেক্ষিতে ইরশাদ মুবারক করেন: যদি আপনি তা করতে পারেন, তাহলে আপনার জীবনের সমস্ত চাহিদা পূরণ করে আপনার সমস্ত গুনাহ ক্ষমা করে দেয়া হবে। সুবহানাল্লাহ! (তিরমিযী শরীফ, মিশকাত শরীফ)

উপরোক্ত পবিত্র হাদীছ শরীফ থেকে প্রমাণিত হয় যে, প্রত্যেক জিন-ইনসান, বিশেষ করে প্রত্যেক মুসলমান পুরুষ-মহিলা সকলের জন্য দায়িমীভাবে সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম, মাশুকে মাওলা, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্রতম শান মুবারকে পবিত্র ছলাত-সালাম শরীফ পাঠ করা অর্থাৎ পবিত্রতম ছানা ছিফত মুবারকে মশগুল থাকা ফরয আইনের অন্তর্ভুক্ত। (চলবে)

লিংক-২৭৭



সাইয়্যিদুনা মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার মহা সম্মানিতা আম্মা আওলাদুর রসূল, সাইয়্যিদাতুনা আমাদের- হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম উনার সাওয়ানেহে উমরী মুবারক-পর্ব-৬৬


 
পঞ্চদশ হিজরী শতকের মুজাদ্দিদ, মুজাদ্দিদে আ’যম, আওলাদুর রসূল, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার সাইয়্যিদুনা মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার মহা সম্মানিতা আম্মা, আওলাদুর রসূল, সাইয়্যিদাতুনা আমাদের- হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা কা’বা আলাইহাস সালাম উনার সীমাহীন ফাদ্বায়িল-ফদ্বীলত, বুযূর্গী-সম্মান, মান-শান, বৈশিষ্ট্য এবং উনার অনুপম মাক্বাম সম্পর্কে কিঞ্চিৎ আলোকপাত

মুবারক শৈশব ও কৈশোর থেকেই সাইয়্যিদাতুনা হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা কা’বা আলাইহাস সালাম উনার সুন্নত মুবারক এবং শরয়ী পর্দা পালনের একনিষ্ঠ অভ্যস্ততা:

মহান আল্লাহ পাক সুবহানাহু ওয়া তা’য়ালা তিনি পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন:

كُلَّ يَوْمٍ هُوَ فِـىْ شَأْنٍ

অর্থ: “মহান আল্লাহ পাক তিনি প্রতিদিন তথা প্রতি মুহূর্ত, প্রতিক্ষণ, অনুক্ষণ নতুন নতুন শান মুবারকে অধিষ্ঠিত থাকেন।” (পবিত্র সূরা আররহমান শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ২৯)

পবিত্র আয়াত শরীফ উনার ব্যাখ্যায় বলা হয়, মহান আল্লাহ পাক তিনি সদা-সর্বদা সমভাবে একই শান মুবারকে অধিষ্ঠিত থাকেন। তিনি নতুন কোনো শান মুবারক ধারণ ও প্রকাশ করেন না। তবে মহান আল্লাহ পাক উনার সীমাহীন শান মুাবরক থেকে কোনো কোনো শান মুবারক কখনো কখনো প্রকাশিত হয়। সুবহানাল্লাহ!

এ ক্ষেত্রে একান্ত সূক্ষ্মভাবে উপলব্ধির বিষয় হলো, সাইয়্যিদুল আম্বিয়া ওয়াল মুরসালীন, খতামুন নাবিয়্যীন, আকরামুল আউওয়ালীন ওয়াল আখিরীন, রহমাতুল্লিল আলামীন, মাশুকে মাওলা, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহানতম শানে নিরবচ্ছিন্ন মুহব্বত মুবারকে মহান আল্লাহ পাক উনার দায়িমীভাবে মশগুল থাকা এবং পবিত্রতম ছলাত শরীফ পাঠ করা, অর্থাৎ সীমাহীন ছানা-ছিফত মুবারক করার বিষয়টি “কখনো কখনো নয় (বিরতিহীনভাবে নয়)” বরং সার্বক্ষণিকভাবে। মহান আল্লাহ পাক তিনি অনুক্ষণ উনার প্রিয়তম হাবীব, প্রিয়তম মাশুক, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সীমাহীন, উনার অন্তহীন শান মুবারকে দায়িমীভাবে পবিত্রতম ছলাত শরীফ পাঠ এবং উনার পবিত্রতম ছানা-ছিফত মুবারকে মশগুল রয়েছেন। সুবহানাল্লাহ!

খলিক্ব, মালিক, রব মহান আল্লাহ পাক সুবহানাহূ ওয়া তায়ালা তিনি শুধু নিজেই যে পবিত্র ছলাত শরীফ পাঠে এবং পবিত্র ছানা ছিফতে মশগুল রয়েছেন এমন নয়। সমস্ত মাখলূক্বাতকেও তিনি উনার প্রিয়তম হাবীব, প্রিয়তম মাশুক, আকরামুল আউওয়ালীন ওয়াল আখিরীন, সাইয়্যিদুল আম্বিয়া ওয়াল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত ছলাত শরীফ পাঠে এবং উনার মহাসম্মানিত ছানা ছিফত মুবারকে মশগুল থাকার জন্য পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ উনার মধ্যে নির্দেশনা মুবারক দিয়েছেন। সুবহানাল্লাহ! (চলবে)

সাইয়্যিদুনা মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার মহা সম্মানিতা আম্মা আওলাদুর রসূল, সাইয়্যিদাতুনা আমাদের- হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম উনার সাওয়ানেহে উমরী মুবারক-পর্ব-৬৫

 

পঞ্চদশ হিজরী শতকের মুজাদ্দিদ, মুজাদ্দিদে আ’যম, আওলাদুর রসূল, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার সাইয়্যিদুনা মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার মহা সম্মানিতা আম্মা, আওলাদুর রসূল, সাইয়্যিদাতুনা আমাদের- হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা কা’বা আলাইহাস সালাম উনার সীমাহীন ফাদ্বায়িল-ফদ্বীলত, বুযূর্গী-সম্মান, মান-শান, বৈশিষ্ট্য এবং উনার অনুপম মাক্বাম সম্পর্কে কিঞ্চিৎ আলোকপাত-

মুবারক শৈশব ও কৈশোর থেকেই সাইয়্যিদাতুনা হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা কাবা আলাইহাস সালাম উনার সুন্নত মুবারক এবং শরয়ী পর্দা পালনের একনিষ্ঠ অভ্যস্ততা:

সাইয়্যিদে মুজাদ্দিদে আযম, গাউছুল আযম, ইমামুল আইম্মাহ, ইমামুল উমাম, আন নিমাতুল উজমা আলাল আলাম, হাবীবুল্লাহ, আওলাদুর রসূল, সাইয়্যিদুনা মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা কাবা আলাইহিস সালাম উনাকে মূল নিয়ামত হিসেবে পবিত্রতম রেহেম শরীফে ধারণকালে সাইয়্যিদাতুনা হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা কাবা আলাইহাস সালাম তিনি কোনোই কষ্টভোগ করেননি। অত্যন্ত হালকাবোধ করেছেন। সুবহানাল্লাহ!

অনেক গউছ, কুতুব, আবদাল, নজীব-নুজাবা, নক্বীব-নুক্বাবা, ইমাম, মুজতাহিদ, মুজাদ্দিদ, ওলীআল্লাহ উনারা প্রতিনিয়ত সাইয়্যিদাতুনা হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা কাবা আলাইহিস সালাম উনার খিদমত মুবারক রূহানীভাবে তাশরীফ মুবারক এনে উনাকে সশ্রদ্ধ সালাম মুবারক পেশ করেছেন। উনাকে সুসংবাদ মুবারক দিয়েছেন যে, তিনি (সাইয়্যিদাতুনা হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা কাবা আলাইহাস সালাম) কায়িনাতবাসির সার্বিক কল্যাণের জন্য যাঁকে হাদিয়া করতে যাচ্ছেন, তিনি হলেন কুল কায়িনাতের শ্রেষ্ঠতম নিমাতে উজমা, কুল কায়িনাতের রাহবারে আযম, গোটা বিশ্বের সকল জিন-ইনসানের মুক্তির একমাত্র দিশারী, সকল বিধর্মীদের নিপাতকারী, সর্বনিকৃষ্ট ধর্ম ব্যবসায়ী উলামায়ে সূদের বিনাশসাধনকারী, সম্মানিত সুন্নত যিন্দাকারী এবং নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার রেখে যাওয়া সম্মানিত দ্বীন-ইসলাম উনাকে হাক্বীক্বীভাবে যিন্দাকারী এবং যমীনে বাস্তবায়নকারী। সুবহানাল্লাহ!

স্বয়ং সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, মাশুকে মাওলা হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি উনার খাছ আওলাদ, উনার খাছ আহলু বাইত শরীফ, ওলীয়ে মাদারযাদ, আওলাদে রসূল, ক্বায়িম মাক্বামে সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মু রসূলিনা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদাতুনা হযরত দাদীজান ক্বিবলা কাবা আলাইহাস সালাম উনাকে অনেকবার, বহুবার, শতবার, হাজারবার মুবারক সুংবাদ জানিয়েছেন যে, তিনি উনার পবিত্রতম রেহেম শরীফে ধারণ করেছেন, বেমেছাল মর্যাদা ও মাক্বামসম্পন্ন এমন এক মহাসম্মানিত আওলাদ, যিনি সাইয়্যিদে মুজাদ্দিদে আযম, যিনি ইমামুল উমাম, যিনি আন নিমাতুল উজমা আলাল আলাম, যিনি হাক্বীক্বী ক্বায়িম-মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। আরো জানিয়েছেন যে, ক্বিয়ামতব্যাপী পরিব্যাপ্ত ও কার্যকর উনার অপ্রতিরোধ্য তাজদীদ মুবারক উনার প্রভাব ও বিস্তার ঘটবে কুল কায়িনাতব্যাপী। তিনি বাতিল বিনাশকারী, তিনি হক্ব প্রতিষ্ঠাকারী। সুবহানাল্লাহ!

প্রাণের আক্বা, ক্বিবলা কাবা সাইয়্যিদে মুজাদ্দিদে আযম, ইমামুল উমাম, আন নিমাতুল উজমা আলাল আলাম, সাইয়্যিদুনা মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি পবিত্র রেহেম শলীফে মুবারক তাশরীফ গ্রহণের পর উনার মহাসম্মানিত আম্মাজান আলাইহাস সালাম উনাকে স্বপ্নে ও জাগরণে প্রতিদিন, প্রতি মুহূর্ত জানানো হয়েছে: আপনি মহা-সম্মানিতা। আপনি পরম ভাগ্যবতী। পবিত্র রেহেম শরীফে আপনি যে মহাসম্মানিত এবং মহা মর্যাদা ও মাক্বামসম্পন্ন বুযুর্গ আওলাদ ধারণ করেছেন, তিনি কায়িনাবাসীর সর্বক্ষণের ধ্যান, জ্ঞান, মনোযোগ, আনুগত্য ও মুরকাবার ক্বিবলা কাবা। উনার দূর্বার তাজদীদে সম্মানিত দ্বীন-ইসলাম নবায়ন হবে। সুবহানাল্লাহ!

মহান আল্লাহ পাক সুবহানাহু ওয়া তায়ালা তিনি পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন:

إِنَّ اللهَ وَمَلَائِكَتَهيُصَلُّوْنَ عَلَى النَّبِيِّ

অর্থ: নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক তিনি এবং উনার সমস্ত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনারা নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, মাশুকে মাওলা হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র শান মুবারকে সৃষ্টির আদিকাল থেকে পবিত্রতম সাইয়্যিদুল আইয়াদ শরীফ পালনে মশগুল রয়েছেন। সুবহানাল্লাহ! (পবিত্র সূরা আহযাব শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ- ৫৬)

ওলীয়ে মাদারযাদ, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদাতুনা হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা কাবা আলাইহাস সালাম তিনি এমন এক বুযুর্গ আওলাদ কায়িনাতবাসীকে হাদিয়া করেছেন, যিনি মহান আল্লাহ পাক উনার আখাছছুল খাছ আমল মুবারক, অর্থাৎ মহাপবিত্রতম সাইয়্যিদুল আইয়াদ শরীফ অনন্তকালের জন্য জারী করেছেন এবং সর্বক্ষণ পালন করে যাচ্ছেন। সুবহানাল্লাহ!  (চলবে)

আবা-২৭৫