সাইয়্যিদুনা মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার মহা সম্মানিতা আম্মা আওলাদুর রসূল, সাইয়্যিদাতুনা আমাদের- হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম উনার সাওয়ানেহে উমরী মুবারক-পর্ব-৭৬

 উম্মু মুর্শিদিনা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে উম্মু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মালিকুদ দুনিয়া ওয়াল আখিরাহ, মুত্বহ্হার, মুত্বহ্হির, আছ ছমাদ, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদাতুনা আমাদের- হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা কা’বা আলাইহাস সালাম উনার সীমাহীন ফাদ্বায়িল-ফদ্বীলত, বুযূর্গী-সম্মান, মান-শান, বৈশিষ্ট্য এবং উনার অনুপম মাক্বাম মুবারক সম্পর্কে কিঞ্চিৎ আলোকপাত

মুবারক শৈশব ও কৈশোর থেকেই সাইয়্যিদাতুনা হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা কা’বা ছল্লাল্লাহু আলাইহা ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সুন্নত মুবারক এবং শরয়ী পর্দা পালনের একনিষ্ঠ অভ্যস্ততা

সম্মানিত শরয়ী পর্দাপালনের কারণে আমাদের পক্ষে এবং কায়িনাতবাসী কারো পক্ষেই আখাছছুল খাছ আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, উম্মু মুর্শিদীনা ছল্লাল্লাহু আলাইহা ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদাতুনা হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা কা’বা ছল্লাল্লাহু আলাইহা ওয়া সাল্লাম উনাকে দেখা সম্ভব হয়নি। তবে উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র জাওযুম মুকাররাম, আখাছছুল খাছ আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মাখদূমুল কায়িনাত, আছ ছমাদ, মুত্বহহার, মুত্বহহির, আবূ মুর্শিদীনা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদুনা হযরত দাদা হুযূর ক্বিবলা কা’বা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র ছোহবত মুবারক হাছিল করে আমরা যে বিষয়টি উপলব্ধি করতে পেরেছি তা হলো, উনারা (সাইয়্যিদুনা হযরত দাদা হুযূর ক্বিবলা কা’বা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এবং সাইয়্যিদাতুনা হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা কা’বা ছল্লাল্লাহু আলাইহা ওয়া সাল্লাম) উভয়েই নূরে মুজাসসাম, মাশুকে মাওলা হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মুবারক ইরশাদকৃত পবিত্র নিম্নোক্ত হাদীছ শরীফ উনার পরিপূর্ণ মিছদাক্ব:

قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نُصِرْتُ بِالرُّعْبِ

অর্থ: “নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, মাশুকে মাওলা হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেছেন: আমাকে রোব, অর্থাৎ ভীতিপ্রদ সম্মান মুবারক দ্বারা সাহায্য করা হয়েছে।” সুবহানাল্লাহ! আলোচ্য মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার তৃতীয় অংশ হলো:

وَالثِّقَةُ فِي الدِّيْنِ

অর্থ: “সম্মানিত দ্বীন-ইসলাম উনার মধ্যে উনারা (সম্মানিত সুন্নত পালনকারী) বিশুদ্ধতা, নির্ভরযোগ্যতা/ গ্রহণযোগ্যতায় পরিপূূর্ণতালাভ করবেন। অর্থাৎ উনারা সকলেরই আস্থাভাজন হবেন এবং সকলেরই অনুসরণকারী হিসেবে বিবেচিত হবেন।” বিশুদ্ধরূপে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ বর্ণনার ক্ষেত্রে ‘ছিক্বাহ রাবী’ হওয়া আবশ্যক। আর ‘ছিক্বাহ রাবী’ হওয়ার অপরিহার্য যোগ্যতা ও শর্ত হলো মূল দু’টি: ১. আদালত (ন্যায়পরায়ণতা) ২. দ্বব্ত্ (চূড়ান্ত পর্যায়ের স্মরণশক্তি) সুবহানাল্লাহ! (চলবে)

আবা-২৮৬

 

0 Comments: