সাইয়্যিদুনা মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার মহা সম্মানিতা আম্মা আওলাদুর রসূল, সাইয়্যিদাতুনা আমাদের- হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম উনার সাওয়ানেহে উমরী মুবারক-পর্ব-৬২

 

পঞ্চদশ হিজরী শতকের মুজাদ্দিদ, মুজাদ্দিদে আ’যম, আওলাদুর রসূল, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার সাইয়্যিদুনা মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার মহা সম্মানিতা আম্মা, আওলাদুর রসূল, সাইয়্যিদাতুনা আমাদের-

হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা কা’বা আলাইহাস সালাম

উনার সীমাহীন ফাদ্বায়িল-ফদ্বীলত, বুযূর্গী-সম্মান, মান-শান, বৈশিষ্ট্য এবং উনার অনুপম মাক্বাম সম্পর্কে কিঞ্চিৎ আলোকপাত-

মুবারক শৈশব ও কৈশোর থেকেই সাইয়্যিদাতুনা হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা কা’বা আলাইহাস সালাম উনার সুন্নত মুবারক এবং শরয়ী পর্দা পালনের একনিষ্ঠ অভ্যস্ততা:

 

এমন সম্মানিত সুন্নতপালনের সীমাহীন ফাযায়িল-ফযীলত সম্পর্কে সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন:

مَنْ اَحَبَّ سُنَّتِـيْ فَقَدْ أَحَبَّنِـيْ وَمَنْ أَحَبَّنِـيْ كَانَ مَعِىَ فِي الْـجَنَّةِ

অর্থ: “যিনি আমার সম্মানিত সুন্নত মুবারক উনাকে মুহব্বত করলেন, তিনি যেনো স্বয়ং আমাকে মুহব্বত করলেন। আর যিনি আমাকে মুহব্বত করলেন, তিনি আমার সাথেই সম্মানিত জান্নাতে অবস্থান মুবারক করবেন।” সুবহানাল্লাহ! সাইয়্যিদাতুনা হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা কা’বা আলাইহাস সালাম তিনি এই পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার পরিপূর্ণ মিছদাক্ব ছিলেন। সুবহানাল্লাহ!

অর্থাৎ ওলীয়ে মাদারযাদ, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদাতুনা হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা কা’বা আলাইহাস সালাম তিনি উনার হায়াতে তইয়্যিবা মুবারকে স্বতঃপ্রবৃত্ত হয়ে সম্মানিত সকল সুন্নত মুবারক সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্মভাবে এবং পুঙ্খানুপুঙ্খরূপে পালন করছেন। এ কারণে তিনি পবিত্রতম বিছালী শান মুবারক প্রকাশের পর নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার দায়িমী দীদারে মশগুল রয়েছেন এবং সম্মানিত জান্নাতেও একই শান মুবারকে অবস্থান মুবারক করবেন। সুবহানাল্লাহ!

প্রত্যেক পিতা-মাতারই একান্ত আরজু থাকে যে, উনাদের সন্তান উনাদের চেয়ে বড় হোক, অতুলনীয় গুণাবলী বিশিষ্ট কর্ম অবদানে জগৎ-সংসার আলোকিত ও আন্দোলিত করুক। একথা স্বতঃসিদ্ধ যে, দ্বীনদার আল্লাহওয়ালা-আল্লাহওয়ালী বুযুর্গ পিতা-মাতার ঘরেই নেকে সন্তানের আগমন ঘটে থাকে। সুবহানাল্লাহ!

যেমন গাউসুল আ’যম, মাহবূবে সুবহানী, কুতুবে রব্বানী, সাইয়্যিদুল আউলিয়া, মুজাদ্দিদে যামান, আওলাদে রসূল, মুহিউদ্দীন, হযরত বড়পীর ছাহিব রহমতুল্লাহি আলাইহি উনাকে পাওয়ার জন্য চরম ও পরমভাবে হালাল-হারাম যাচাইকারী হযরত আবূ ছালেহ মূসা জঙ্গীদোস্ত রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার এবং পরিপূর্ণরূপে সম্মানিত শরীয়ত ও পর্দাপালনকারিণী একজন বুযূর্গ আম্মা আলাইহাস সালাম উনার প্রয়োজন হয়েছিলো। সুবহানাল্লাহ!

একইভাবে আফদ্বালুল আউলিয়া ক্বইয়্যূমে আউওয়াল, আবুল বারাকাত, ছিলাহে উম্মত, শায়েখ আহমদ ফারূক্বী সিরহিন্দী হযরত মুজাদ্দিদে আলফেসানী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনাকে পাওয়ার জন্য বিশ্বখ্যাত ওলীআল্লাহ হযরত শায়েখ আবদুল আহাদ রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার এবং পরিপুর্ণরূপে সম্মানিত শরীয়ত ও পর্দাপালনকারিণী একজন বুযুর্গ আম্মা আলাইহাস সালাম উনার প্রয়োজন হয়েছিলো। সুবহানাল্লাহ!

অনুরূপ সুলত্বানুল হিন্দ, গরীবে নেওয়াজ, ইমামুল আইম্মাহ, খাজায়ে খাজেগা, মুজাদ্দিদে যামান, আওলাদে রসূল, হাবীবুল্লাহ হযরত খাজা ছাহিব রহমতুল্লাহি আলাইহি উনাকে পাওয়ার জন্যও সম্মানিত শরীয়ত ও পর্দাপালনকারী উনার বুযুর্গ পিতা আলাইহিস সালাম এবং বুযুর্গ আম্মা আলাইহাস সালাম উনাদের প্রয়োজন হয়েছিলো। সুবহানাল্লাহ! (চলবে)

আবা-২৭২

0 Comments: