একজন কুতুবুজ্জামান- উনার দিদারে মাওলার দিকে প্রস্থান- সাইয়্যিদুনা হযরত দাদা হুযুর ক্বিবলা সাইয়্যিদ মুখলেছুর রহমান আলাইহিস সালাম উনার সাওয়ানেহে উমরী মুবারক-পর্ব-৬৪

 

ওলীয়ে মাদারজাদ, মুসতাজাবুদ দাওয়াত, আফযালুল ইবাদ, ছহিবে কাশফ ওয়া কারামত, ফখরুল আউলিয়া, ছূফীয়ে বাতিন, ছহিবে ইসমে আযম, লিসানুল হক্ব, গরীবে নেওয়াজ, আওলাদুর রসূল, আমাদের সম্মানিত দাদা হুযূর ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার স্মরণে-

একজন কুতুবুজ্জামান-উনার দিদারে মাওলা উনার দিকে প্রস্থান-

হজ্ব এবং যিয়ারত শেষে দেশে ফেরার পালা ॥ মন পড়ে রয়েছে পবিত্র রওযা মুবারকে-

         নৈকট্য সুধাদানে মাহবুব ওলীগণকে কামিয়াবী দান করার ক্ষেত্রে এই নির্দেশনা আল্লাহ্ পাক এবং উনার প্রিয়তম হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-উনার অতুলনীয় বখ্শিশ।

যে সব ওলী আল্লাহ্গণ এই অনুপম নিয়ামতে সমৃদ্ধ হয়েছেন মাদারজাদ ওলী, আওলাদে রসুল, ফখরুল আউলিয়া, কুতুবুজ্জামান, হযরতুল আল্লামা সাইয়্যিদ মুহম্মদ মুখলেছুর রহমান রহমতুল্লাহি আলাইহি উনাদের অন্যতম। আশিকে রসূল সকল সম্মানিত আউলিয়া-ই-কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিমগণের অনুসৃত পথে পবিত্র মদীনা শরীফ থেকে দেশে ফেরার পূর্বে তিনি তাজেদারে মদীনা, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-উনার মুবারক নির্দেশের প্রতীক্ষায় থাকবেন, এটাইতো সংগত। মূলতঃ উনার জন্য এটি অপরিহার্য।

 কারণ জীবন যাপনসহ উনার যাবতীয় কার্যাদি নবীয়ে আক্বদাস, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-উনার আদেশ, নির্দেশ ও উপদেশে পরিচালিত হয়। আল্লাহ্ পাক-উনার পরম নৈকট্য হাছিলের অগ্রযাত্রা, জীবনের উদ্দিষ্ট সকল কাজ সমাপন এবং সংকট ও সমস্যা নিরসনে ছহিবু লাওলাক, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-উনার মুবারক নির্দেশনার জন্য বিনয়ী প্রত্যাশা, প্রত্যাশা পূরণের প্রতীক্ষা এবং পরম নিয়ামত লাভ করেই তো তিনি বর্তমান অবস্থানে উপনীত হয়েছেন।

এ দুনিয়ায় যতো আনন্দ, প্রশান্তি ও নিয়ামত রয়েছে, উনার মূল হলো রহমাতুল্লিল আলামীন, ছহিবু তাতমাইন্নুল কুলুব, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-উনার সঙ্গে মুবারক দায়িমী সান্নিধ্য-সংযোগ। অর্থাৎ উনার পরিপূর্ণ সন্তুষ্টি হাছিলে ধন্য হওয়া।

 এই সন্তুষ্টি হাছিলে আশিক উম্মতের  ব্যথাতুর অন্তরে যে ঐশ্বর্য, আগ্রহ, আকর্ষণ ও আকুলতার দরকার, একান্তভাবে তাআল্লাহ্ পাক-উনার দান এবং উনার প্রিয়তম হাবীব, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-উনার খাছ অনুগ্রহ। মাশুক হাবীব, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-উনার অনুগ্রহ ও সংযোগ বিচ্ছিন্নতায় এমন অন্তর বিশিষ্ট আশিক উম্মতের প্রাণ বাঁচেনা।

তাইতো বিরহ কাতরতায় অধীর আওলাদে রসূল, মুসতাজাবুদ্ দাওয়াত, আফযালুল ইবাদ, লিসানুল হক্ব, ছহিবু কাশফ ওয়া কারামত, কুতুবুজ্জামান, হযরতুল আল্লামা, সাইয়্যিদ মুহম্মদ মুখলেছুর রহমান রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার মাশুক হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-উনার সদয় অনুমতি ও নির্দেশনার প্রহর গুণছেন। নিত্যদিন অবিরাম দিদার ও সাক্ষাৎ সংঘটিত হচ্ছে। তবু আরো পাবার প্রত্যাশা ফুরায়না। কারণ অনন্ত ধারায় এ পাওয়ার শেষ নেই।

সদয় নির্দেশনা সংবলিত অনুমতির প্রতীক্ষা এ কারণে নয় যে, দেশে ফেরার জন্য তিনি অধীর হয়ে উঠেছেন। পূর্ণতা প্রাপ্তির পবিত্র কেন্দ্রভূমিতে হাজির হয়ে আত্মীয়-পরিজন ও জগৎ সংসার তিনি ভুলে গেছেন। জীবন-মরণ ও ইহকাল-পরকাল এখন একাকার হয়ে গছে। পরম নৈকট্যযোগে যে নিয়ামত হাছিলের জন্য জীবনের এতোগুলো দিন দুঃসহ কৃচ্ছতায় সযত্নে গুছিয়ে তোলা হয়েছে, তার পরিপূর্ণতায় জীবনের অন্যসব গৌণ প্রয়োজনের আয়োজন থেমে গেছে। কে বলে পবিত্র মদীনা শরীফের সমমর্যাদা সম্পন্ন স্থান আর কোথাও আছে? কে বলে পবিত্র রওযা মুবারক ছেড়ে দেশে ফিরে গেলে ভালো লাগবে? কে বলে মদীনা শরীফ ছেড়ে গেলে জীবনের স্বাভাবিক গতিময়তা সুস্থির ও এতমিনান থাকবে? (অসমাপ্ত)

আবা-১২৩

0 Comments: