সাইয়্যিদুনা মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার মহা সম্মানিতা আম্মা আওলাদুর রসূল, সাইয়্যিদাতুনা আমাদের- হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম উনার সাওয়ানেহে উমরী মুবারক-পর্ব-৫৫

 

পঞ্চদশ হিজরী শতকের মুজাদ্দিদ, মুজাদ্দিদে আ’যম, আওলাদুর রসূল, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার সাইয়্যিদুনা মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার মহা সম্মানিতা আম্মা, আওলাদুর রসূল, সাইয়্যিদাতুনা আমাদের-

হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা কা’বা আলাইহাস সালাম

উনার সীমাহীন ফাদ্বায়িল-ফদ্বীলত, বুযূর্গী-সম্মান, মান-শান, বৈশিষ্ট্য এবং উনার অনুপম মাক্বাম সম্পর্কে কিঞ্চিৎ আলোকপাত-

মুবারক শৈশব ও কৈশোর থেকেই সাইয়্যিদাতুনা হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা কা’বা আলাইহাস সালাম উনার সুন্নত মুবারক এবং শরয়ী পর্দা পালনের একনিষ্ঠ অভ্যস্ততা:

আলোচ্য পবিত্র হাদীছ শরীফ দ্বারা এটিও প্রমাণিত হয় যে, মহিলাদের পর্দাপালনের পাশাপাশি পুরুষদের জন্যও শরয়ী পর্দাপালন ফরয। অর্থাৎ পুরুষদের চলাফেরা ও গতিবিধি এমন হবে যে, তারাও কখনো বেপর্দা হবে না। সম্মানিত শরয়ী পর্দাপালনের জন্য মহান আল্লাহ পাক সুবহানাহূ ওয়া তায়ালা তিনি এবং নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি অর্থাৎ উনারা মহিলা ও পুরুষ উভয়কেই সমভাবে পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ উনার মধ্যে এবং পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে মুবারক নির্দেশনাদান করেছেন। সুবহানাল্লাহ!

উপরোক্ত পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মাধ্যমে যে সূক্ষ্ম বিষয়টি উপলদ্ধিতে আসে তা হলো, আন নূরুর রবিয়া, উম্মু আবীহা, সাইয়্যিদাতুনা হযরত যাহরা আলাইহাস সালাম তিনি স্বয়ং নিজে পরিপূর্ণরূপে সম্মানিত শরীয়ত ও পর্দাপালন করার কারণে সাইয়্যিদুল ক্বওনাইন ওয়াছ ছাক্বালাইন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি উনার প্রতি পরম সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন। তিনি যে বিদ্বয়াতুম মির রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তথা মহা-সম্মানিত হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের অন্তর্ভুক্ত, সে মুবারক বিষয়টি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি প্রকাশ করেছেন। সুবহানাল্লাহ!

অর্থাৎ যিনি মহা-সম্মানিত হযরত আহলূ বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের অন্তর্ভুক্ত হন তথা যিনি অনুরূপ বেমেছাল মর্যাদা ও মাক্বাম হাছিল করেন, তিনি অবশ্যই সম্মানিত শরীয়ত ও সম্মানিত সুন্নত উনাদের অনুসরণকারী ও অনুকরণকারী হয়ে থাকেন। সুবহানাল্লাহ!

এই মর্মে সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিয়্যীন, মাশুকে মাওলা, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন:

من سلك على طريقى فهو عيالى

অর্থ: “যে ব্যক্তি আমার সম্মানিত তর্জ-তরীক্বা অুসরণে নিজে চলেন এবং অন্যকে চালান, তিনি আমার মহা-সম্মানিত হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যান।” সুবহানাল্লাহ!

ওলীয়ে মাদারযাদ, আওলাদে রসূল, ক্বায়িম-মাক্বামে উম্মু রসূলিনা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদাতুনা হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা কা’বা আলাইহাস সালাম তিনি হাক্বীক্বীভাবে রহমতুল্লিল আলামীন, রউফুর রহীম, মাশুকে মাওলা, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহা-সম্মানিত হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের অন্তর্ভুক্ত। বিষয়টি উনার মুবারক বংশগত সম্পৃক্ততা দ্বারা প্রমাণিত। একইভাবে পরিপূর্ণরূপে উনার সম্মানিত শরীয়ত, সম্মানিত সুন্নত মুবারক ও পর্দাপালন এবং যাবতীয় নেক আমল সম্পাদন দ্বারাও সুষ্পষ্টভাবে প্রমাণিত। সুবহানাল্লাহ!

একই কারণে ওলীয়ে মাদারযাদ, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা দাদা হুযূর ক্বিবলা কা’বা হযরতুল আল্লামা সাইয়্যিদ মুহম্মদ মুখলিছুর রহমান আলাইহিস সালাম তিনিও মুবারক বংশগতভাবে এবং পরিপূর্ণরূপে সম্মানিত শরীয়ত, সম্মানিত সুন্নত ও যাবতীয় নেক আমল সম্পাদনের মাধ্যমে নূরে মুজাসাসম, মাশুকে মাওলা হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্রতম হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের অন্তর্ভুক্ত। সুবহানাল্লাহ! (চলবে)

আবা-২৬৫

0 Comments: