একজন কুতুবুজ্জামান- উনার দিদারে মাওলার দিকে প্রস্থান- সাইয়্যিদুনা হযরত দাদা হুযুর ক্বিবলা সাইয়্যিদ মুখলেছুর রহমান আলাইহিস সালাম উনার সাওয়ানেহে উমরী মুবারক-পর্ব-১৩৬

 

ওলীয়ে মাদারজাদ, মুসতাজাবুদ্ দাওয়াত, আফযালুল ইবাদ, ছাহিবে কাশফ্ ওয়া কারামত, ফখরুল আওলিয়া, ছূফীয়ে বাতিন, ছাহিবে ইস্মে আযম, লিসানুল হক্ব, গরীবে নেওয়াজ, আওলাদে রসূল, আমাদের সম্মানিত দাদা হুযূর ক্বিবলা আলাইহিস সালাম-উনার স্মরণে-

একজন কুতুবুয্ যামান-উনার দীদারে মাওলা উনার দিকে প্রস্থান- 

রাতের গভীরে অদৃশ্য স্থান থেকে গায়িবী

আওয়াজে দুআ কবুলের স্বীকৃতি

এ প্রসঙ্গে আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ করেন:

عالم الغيب فلا يظهر على غيبه احدا الا من ارتضى من رسول.

অর্থ: æতিনি (আল্লাহ পাক) আলিমুল গইব-উনার ইল্মে গইব, উনার মনোনীত রসূল ব্যতীত কারো নিকট প্রকাশ করেন না। অর্থাৎ রসূলগণ উনাদেরকে তিনি ইল্মে গইব দান করেছেন। (সূরা জ্বিন-২৬,২৭)

কুরআন শরীফ-এ আল্লাহ পাক তিনি আরো ইরশাদ করেন:

وما كان الله ليطلعكم على الغيب ولكن الله يجتبى من رسله من يشاء.

অর্থ: æএটি আল্লাহ পাক-উনার দায়িত্ব নয় যে, অদৃশ্য সম্পর্কে তোমাদের (সাধারণ মানুষদের) অবহিত করবেন। তবে আল্লাহ পাক-উনার রসূলগণ উনাদের মধ্যে ইচ্ছে অনুযায়ী ইল্মে গইব দান করেন। (সূরা আলে ইমরান-১৭৯)

উনাদের সকলের ইল্মে গইব অর্জিত হয়েছে রহমতুল্লিল আলামীন, মাশুকে মাওলা, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহ ওয়া সাল্লাম-উনার মুবারক বণ্টনের কারণে। যাঁরা ক্বায়িম-মক্বামে হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, যাঁরা হক্কানী ওলীআল্লাহ, উনাদেরকেও আল্লাহ পাক-উনার প্রিয়তম হাবীব, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-উনার মুবারক উছীলায় ইল্মে গইব দান করেছেন। এ প্রসঙ্গে আল্লাহ পাক তিনি বলেন:

وعلمناه من لدنا علما

অর্থ: æআর আমি আমার পক্ষ থেকে উনাকে, অর্থাৎ আমার ওলী উনাকে গইবের ইল্ম দান করেছি। (সূরা কাহফ-৬৫)

বুঝা গেলো, মহান আল্লাহ পাক-উনার মনোনীত এবং উনার প্রিয়তম হাবীব, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, যিনি যাবতীয় নিয়ামত বণ্টনকারী উনার ক্বায়িম-মক্বাম, হাক্বীক্বী নায়িবগণ উনারাও ইল্মে গইবের অধিকারী হয়ে থাকেন। এমন স্তরের ওলীআল্লাহগণ উনাদের মুবারক উপলব্ধি ও দৃষ্টিতে দৃশ্য ও অদৃশ্য বস্তু ও বিষয়ের মধ্যে কোন ভেদ রেখা থাকে না। এটি উনাদের মহা শান, অতুলনীয় মর্যাদা এবং সাধারণের অবোধ্য অত্যুঙ্গ মাক্বাম। মহান আল্লাহ পাক-উনার দান এবং নূরে মুজাস্সাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-উনার মুবারক বণ্টনের মাধ্যমে উনার প্রিয়তম আওলাদ, উনার ক্বায়িম-মক্বাম, উনার খাছ নায়িব, বর্তমান পঞ্চদশ হিজরী শতকের মুজাদ্দিদ, মুজাদ্দিদে আযম, খলীফাতুল্লাহ, খলীফাতু রসূলিল্লাহ, ইমামুশ্ শরীয়ত ওয়াত তরীক্বত, ইমামুল আইম্মাহ, মুহ্ইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, হুজ্জাতুল ইসলাম, ছাহিবু সুলত্বানিন নাছীর, সাইয়্যিদুনা হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আল হাসানী ওয়াল হুসাইনী ওয়াল কুরাঈশী আলাইহিস সালাম, তিনি ইলমে গইবের অধিকারী। যুগপৎ যাহির ও বাতিন উনার মুবারক উপলব্ধি ও দৃষ্টিতে একাকার। অর্থাৎ পরিপূর্ণরূপে দৃশ্যমান (সুবহানাল্লাহ)! সাধারণ মানুষের উপলব্ধির সীমাহীন ঊর্ধ্বে এটি উনার বেমেছাল ফযীলত ও মর্যাদার এক অন্যতম মাক্বাম।

পঞ্চদশ হিজরী শতকের মুজাদ্দিদ, মুজাদ্দিদে আযম আলাইহিস সালাম-উনার বুযূর্গ পিতা, যিনি ওলীয়ে মাদারজাদ, মুস্তাজাবুদ্ দাওয়াত, আফ্যালুল ইবাদ, ছাহিবে কাশফ্ ওয়া কারমাত, ফখ্রুল আউলিয়া, ছূফীয়ে বাতিন, ছাহিবে ইস্মে আযম, লিসানুল হক্ব, গরীবে নেওয়াজ, আশিকে রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, আওলাদে রসূল, আলহাজ্জ, শাহ ছূফী সাইয়্যিদুনা হযরতুল আল্লামা সাইয়্যিদ মুহম্মদ মুখলিছুর রহমান আল হাসানী ওয়াল হুসাইনী ওয়াল কুরাঈশী আলাইহিস সালাম, উনাকে ও আল্লাহ পাক এবং সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন্ নাবিয়্যীন, রউফুর রহীম, নূরে মুজাস্সাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম- যাহির, বাতিন, দৃশ্য-অদৃশ্য যাবতীয় বিষয় অবলোকন ও উপলব্ধির যোগ্যতা ও মাক্বাম দান করেছেন। কুল কায়িনাতের সর্বত্র বিচরণের অবাধ গতিময়তা দান করেছেন। (সুবহানাল্লাহ)! অর্থাৎ তিনি ইল্মে গইবের পরিমিত হিস্যা লাভে ধন্য হয়েছেন। কাজেই অতুলনীয় মর্যাদা ও মাক্বামের তুলনায় তিনি রাতের গভীরে অদৃশ্য স্থান থেকে গায়িবী আওয়াজে দুআ কবুলের স্বীকৃতি লাভ করবেন, এটি তো অত্যন্ত সাধারণ ও স্বাভাবিক বিষয়।

কারণ তিনি তো আল্লাহ পাক-উনার তরফ থেকে ইল্হাম, ইল্ক্বা প্রাপ্ত হয়ে এবং দায়িমীভাবে মাশুকে মাওলা, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-উনার সঙ্গে তায়াল্লুক-নিছ্বতের কারণে এবং দিদারের মাধ্যমে সকল বিষয়ের কার্যকারণ সম্পর্কে পরিপূর্ণরূপে ওয়াকিফহাল এবং দৃশ্য ও অদৃশ্য বিষয় সংঘটনের দর্শক। এ দর্শনে তন্দ্রা, ঘুম অথবা চক্ষু মুবারক বন্ধ করার প্রয়োজন হয় না। যেমন সাধারণ যাহিরী যাবতীয় বিষয়ের অস্তিত্ব, চলমানতা ও সংঘটন সংক্রান্ত অবস্থা অবলোকনে সাধারণ মানুষের দৃষ্টি স্বাভাবিক ক্ষেত্রে কখনো বাধাগ্রস্ত হয় না। (চলবে)

আবা-১৯৬

0 Comments: