খলীফায়ে ছানী, আমরিুল মু’মনিীন, খলীফাতুল মুসলমিীন, সাইয়্যদিুনা হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহসি সালাম উনার র্পদা ও সুন্নত পালনরে দৃঢ়তা

খলীফায়ে ছানী, আমরিুল মু’মনিীন, খলীফাতুল মুসলমিীন, সাইয়্যদিুনা হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহসি সালাম উনার র্পদা ও সুন্নত পালনরে দৃঢ়তা


পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত হয়েছে, একবার খলীফায়ে ছানী আমীরুল মু’মিনীন, খলীফাতুল মুসলিমীন, সাইয়্যিদুনা হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম তিনি উনার সম্মানিত মেয়ে, উম্মুল মু’মিনীন আর রবি’য়াহ সাইয়্যিদাতুনা হযরত ইবনাতু আবীহা আলাইহাস সালাম উনার সাথে একত্রে একটি রুমে বসে কিছু বিষয় আলাপ-আলোচনা করতেছিলেন। এমন সময় খলীফায়ে ছানী, আমীরুল মু’মিনীন, খলীফাতুল মুসলিমীন, সাইয়্যিদুনা হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম উনার একখানা পবিত্র হাদীছ শরীফ স্মরণ হলো। সাথে সাথে তিনি দ্রুত দাঁড়িয়ে গেলেন এবং দ্রুত সেই রুম থেকে বের হতে যাচ্ছিলেন। বের হওয়ার সময় দরজার চৌকাঠের সাথে উনার মাথা মুবারক লেগে উনার কপাল মুবারক ফেটে যায় ও দরদর করে রক্ত মুবারক ঝরতে থাকে। রক্ত মুবারক ঝরা অবস্থায়ই তিনি আখিরী রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মুবারক খিদমতে প্রবেশ করেন। উনার কপাল মুবারক থেকে রক্ত ঝরতে দেখে স¦য়ং আখিরী রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি উনাকে জিজ্ঞাসা করলেন, “হে হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম! কে আপনার কপাল মুবারক ফাটিয়ে দিয়েছে? উত্তরে তিনি বলেন, ইয়া রসূলাল্লাহ, ইয়া হাবীবাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! বেয়াদবী ক্ষমা চাই, আরবের বুকে এমন কোনো সন্তান জন্মগ্রহণ করেনি যে, আমার কপাল মুবারকে আঘাত করতে পারে। তবে আপনার একখানা পবিত্র হাদীছ শরীফ আমার কপালে আঘাত করে আমার কপাল মুবারক ফাটিয়ে দিয়েছেন। আখিরী রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি পুনঃ জিজ্ঞাসা করলেন, কোন পবিত্র হাদীছ শরীফখানা আপনার মাথা মুবারকে আঘাত করলেন? উত্তরে তিনি বললেন, ইয়া রসূলাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আমি এবং আমার সম্মানিত কন্যা, উম্মুল মু’মিনীন আর রবি’য়াহ সাইয়্যিদাতুনা হযরত ইবনাতু আবীহা আলাইহাস সালাম তিনিসহ আমরা দু’জন একটি কক্ষে কিছু জরুরী বিষয় আলাপ-আলোচনা করছিলাম। এমন সময় আমার স্মরণ হলো, “কোনো পুরুষ কোনো গাইরে মাহরাম মহিলার সাথে একাকী একত্রিত হলে সেখানে তাদের তৃতীয় সঙ্গী হয় শয়তান।” এ পবিত্র হাদীছ শরীফখানা আমার স্মরণ হওয়ার সাথে সাথে আমি দ্রুত উঠে বের হওয়ার সময় আমার কপাল মুবারক চৌকাঠে লেগে কপাল মুবারক ফেটে যায় ও রক্ত মুবারক ঝরতে থাকে। সুবহানাল্লাহ!
এ মুবারক ঘটনা থেকে ফিকির ও চিন্তার বিষয় হচ্ছে- উম্মুল মু’মিনীন আর রবি’য়াহ সাইয়্যিদাতুনা হযরত ইবনাতু আবীহা আলাইহাস সালাম তিনি খলীফায়ে ছানী, আমীরুল মু’মিনীন, খলীফাতুল মুসলিমীন, সাইয়্যিদুনা হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম উনার সম্মানিত মেয়ে। তিনি একদিকে উম্মুল মু’মিনীন, অন্য দিকে সরাসরি মাহরাম। সে হিসেবে উনারা একজন আরেকজনের পিতা ও তনয়া। সুতরাং পরস্পর পরস্পরের দিকে দয়া দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকাতে অন্য পবিত্র হাদীছ শরীফ অনুযায়ী প্রতি দৃষ্টিতে একেকটি কবুল হজ্জের ছওয়াব হয়েছে। সুবহানাল্লাহ! তারপরেও বর্ণিত পবিত্র হাদীছ শরীফ বা পবিত্র সুন্নাহ শরীফ উনার আমল করতে গিয়ে তিনি কতটুকু গুরুত্ব দিয়েছেন এবং পবিত্র পর্দা পালন করার প্রতিও খলীফায়ে ছানী সাইয়্যিদুনা হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম তিনি কতটুকু গুরুত্ব দিয়েছেন তা ফিকির করতে হবে।

0 Comments: