শবে মি’রাজ এর আমল ।

Image result for শবে মিরাজশবে মি’রাজ এর আমল ।

আজ দিবাগত রাতটিই সেই পবিত্র শবে মি’রাজ শরীফ এর বরকতময় রাত। তাই প্রত্যেক মুসলমান পুরুষ-মহিলা, ছেলে-মেয়ে সকলের জন্যই দায়িত্ব ও কর্তব্য হচ্ছে, এ বরকতময় রাত্রিতে ইবাদত-বন্দেগী, তওবা-ইস্তিগফার, পবিত্র মীলাদ শরীফ, পবিত্র ক্বিয়াম শরীফ ও দোয়া-মুনাজাত করা এবং পরের দিন অর্থাৎ ইয়াওমুল ছুলাছা (মঙ্গলবার) দিনে রোযা রাখা।

ওলীয়ে মাদারজাত, সাইয়্যিদুল আউলিয়া,গাউছুল আযম, আওলাদুর রসূল সাইয়্যিদ মহিউদ্দিন আব্দুল কাদির জিলানী বড়পীর ছাহেব রহমতুল্লাহি আলাইহি তার বিশ্বখ্যাত কিতাব “গুন্ইয়াতুত তালিবীন” নামক কিতাবে শবে মিরাজ-এর তথা রজব মাসে ২৭ তারিখের রোযার ফযীলত সম্পর্কে হাদীছ শরীফগুলো বর্ণনা করেন।
“হযরত আবূ হুরায়রা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ করেন, যে ব্যক্তি রজবুল হারাম শরীফ মাস এর ২৭ তারিখে তথা শবে মিরাজ শরীফ এর দিবাভাগে রোযা রাখবে তার আমলনামায় ৬০ মাসের রোযা রাখার ছওয়াব লেখা হবে। (সুবহানাল্লাহ)
সুত্রঃ
* আল ইতহাফ ৫ম খণ্ড পৃষ্ঠা ২০৮,
* আল মা’য়ানী আনিল হামলিল ইসফার প্রথম খণ্ড ৩৬৭ পৃষ্ঠা,
* গুনিয়াতুত তালিবীন, ক্বিসমুস ছায়ালিস ৩৩২ পৃষ্ঠা)
এ প্রসঙ্গে উক্ত কিতাবে আরো বর্ণিত আছে,
“হযরত আবূ হুরায়রা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু এবং হযরত সালমান ফারিসী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনাদের উভয়েই বর্ণনা করেন। হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, রজবুল হারাম শরীফ মাস উনার এমন একটি দিন ও রাত আছে ওই রাত্রে যে ব্যক্তি ইবাদত-বন্দিগী করবে এবং দিবাভাগে রোযা রাখবে তার আমলনামায় ওই পরিমাণ ছওয়াব লেখা হবে যে পরিমাণ ছওয়াব কোন ব্যক্তি একশত বছর রাতে ইবাদত-বন্দিগী করলে এবং একশত বছর দিনের বেলায় রোযা রাখলে তার আমলনামায় যেরূপ ছওয়াব লেখা হয়। আর সেই মুবারক রাত ও দিনটিই হচ্ছে রজবুল হারাম শরীফ মাস উনার ২৭ তারিখ তথা পবিত্র শবে মি’রাজ শরীফ উনার রাত ও দিনটি।” (সুবহানাল্লাহ)
*ইমাম বায়হাকী রহমতুল্লাহি আলাইহি ফাযায়েলুল
আওকাত.-পৃ-৯৬ হাদিস নং১১
নিশ্চয় জান্নাতে একটি নদী আছে যার নাম রজব | এই নদীর পানি দুধের চেয়েও শুভ্র এবং মধুর চেয়েও মিষ্টি | যে ব্যক্তি রজব মাসে একদিন রোযা রাখবে আল্লাহ তায়ালা তাকে ঐ নদীর পানি পান করাবেন |
* ইমাম বায়হাকী.রহমতুল্লাহি আলাইহি ফাযায়েলুল আওকাত.পৃ.৯০,হাদিস নং-৮

তাই আমাদের সকলের উচিৎ দিনটির যথাযথ মর্যাদা দেয়া।




0 Comments: