একমাত্র হযরত আদম আলাইহিস সালাম ব্যতীত পৃথিবীর কোন মানুষ মাটির সৃষ্টি নয় ,পর্ব-৪

Related imageএকমাত্র হযরত আদম আলাইহিস সালাম ব্যতীত পৃথিবীর কোন মানুষ মাটির সৃষ্টি নয় ,পর্ব-৪
মানুষ মাটির সৃষ্টি বলতে কুরআন শরীফে যত আয়াত শরীফে রয়েছে প্রতিটা আয়াত শরীফে মানুষ দ্বারা শুধুমাত্র হযরত আদম আলাইহিস সালাম উনাকে বুঝান হয়েছে।

(বিগত পর্বের পর)

৪ নং আয়াত শরীফ :

আল্লাহ পাক কালামুল্লাহ শরীফে ইরশাদ মুবারক করেন-

واذ قال ربك للملءكة اني خالق بشرا من طين

অর্থ: যখন আপনার পালনকর্তা ফেরেশতাগনকে বললেন, আমি মাটির মানুষ সৃষ্টি করবো।'”

[সূরা ছোয়াদ ৭১ নং আয়াত শরীফ]

মূলত উক্ত আয়াত শরীফ এর তাফসীরে সকল তাফসীরের কিতাবেই এসেছে “মাটির মানুষ” হচ্ছেন হযরত আদম আলাইহিস সালাম।

→এ প্রসঙ্গে বিখ্যাত মুফাসসিরে কুরআন, আল্লামা আবু লাইছ সমারকান্দী রহমাতুল্লাহি আলাইহি বলেন-

(اني خالق بشرا من طين) يعني ادم عليه السلام

অর্থ: (নিশ্চয়ই আমি সৃষ্টি করবো মাটি থেকে বাশার) অর্থাৎ হযরত আদম আলাইহিস সালাম উনাকে।”

দলীল-
√ তাফসীরে সামারকান্দী ৩য় খন্ড ১৪১ পৃষ্ঠা।

→ ইনামুল মুফাসসিরিন, আল্লামা আলাউদ্দীন আলী ইবনে মুহম্মদ ইবনে ইব্রাহিম বাগদাদী রহমাতুল্লাহি আলাইহি লিখেন-

(اني خالق بشرا من طين) يعني ادم عليه السلام

অর্থ: নিশ্চয়ই আমি মাটি থেকে বাশার অর্থাৎ হযরত আদম আলাইহিস সালাম উনাকে সৃষ্টি করেছি।”

এছাড়া উক্ত আয়াত শরীফে “খালিক্বুম বাশারাম মিন ত্বীন” দ্বারা পৃথিবীর সকল তাফসীরের কিতাবে শুধুমাত্র হযরত আদম আলাইহিস সালাম উনাকেই মাটির সৃষ্ট মানুষ বুঝানো হয়েছে।

দলীল –
√ মুদ্বিহুল কুরআন ৪৮১ পৃষ্ঠা।

√ তাফসীরে ক্বাদেরী ২য় খন্ড ৩২৩ পৃষ্ঠা।

√ তাফসীরে বাগবী।

√ তাফসীরে মাযহারী।

√ তাফসীরে রুহুল বয়ান।

√ তাফসীরে রুহুল মায়ানী।

√ তাফসীরে কবীর।

√ তাফসীরে কুরতুবী।

ইত্যাদি তাফসীরের কিতাব সহ দুনিয়ার সকল আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াতের তাফসীরের কিতাব দ্রষ্টব্য।

সূতরাং, পবিত্র কুরআন শরীফের “সূরা ছোয়াদ ৭১ নং আয়াত শরীফ” উনার তাফসীরে জগৎ বিখ্যাত সকল তাফসীরর কিতাব থেকেই আমরা জানতে পারলাম উক্ত আয়াত শরীফ দ্বয়ে “মানুষ মাটির সৃষ্টি” বলতে শুধুমাত্র হযরত আদম আলাইহিস সালাম উনাকেই বুঝানো হয়েছে, পৃথিবীর আর কোন মানুষকে বুঝানো হয় নাই।



0 Comments: