পুরুষের জন্য লাল রংয়ের পোশাক ব্যবহার করা হারাম- পর্ব-৬

“হানাফী মাযহাব মতে পুরুষের জন্য লাল রংয়ের ঊাশাক তথা রুমাল, পাগড়ী, ঊার্তা, লুঙ্গি, চাদর ইত্যাদি পরিধান বা ব্যবহার করা হারাম ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া” ঊঊকরতে পারায় মহান আল্লাহ পাক-এর দরবারে অসংখ্য ঊরিয়া।
হানাফী মাযহাব মতে পুরুষের জন্য লাল রংয়ের ঊাশাক তথা রুমাল, পাগড়ী, ঊার্তা, লুঙ্গি, চাদর ইত্যাদি পরিধান বা ব্যবহার করা হারাম ও তার
সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া ঊয়ার উঊশ্য
সুন্নতের পথিকঊ, হক্বের অতন্দ্র প্রহরী, দ্বীন ইসলামের নির্ভীক ঊনিক, সারা জাহান ঊকে কুফরী, শিরকী ও বিদ্য়াতের মূলোৎপাটনকারী, বাতিলের আতঙ্ক এবং আহ্লে সুন্নত ওয়াল জামায়াতের আক্বীদায় বিশ্বাসী একমাত্র দলীলভিত্তিক তাজদীদী মুখপত্র- মাসিক আল বাইয়্যিনাতপত্রিকায় এ যাবৎ যত ঊখা বা ফতওয়াই প্রকাশ বা পত্র¯ঊহয়েছে এবং ইনশাআল্লাহ হবে তার প্রতিটিরই উঊশ্য বা মাকছূদ খালিছ হক্ব মত-পথ তালাশ করা বা ছহীহ ও সুন্নতী আমলের মাধ্যমে আল্লাহ পাক ও তাঁর হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাঊআলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর ঊজামন্দি বা সন্তুিঊহাছিল করা। অর্থাৎ মাসিক আল বাইয়্যিনাতেএমন সব ঊখাই পত্র¯ঊ হয়, যা মানুষের ছহীহ আক্বীদা লাভ ও আমলসমূহ পরিঊ করণে বিশেষ সহায়ক।
প্রসঙ্গতঃ মাসিক আল বাইয়্যিনাতে’ “হানাফী মাযহাব মতে পুরুষের জন্য লাল রংয়ের ঊাশাক তথা রুমাল, পাগড়ী, ঊার্তা, লুঙ্গি, চাদর ইত্যাদি পরিধান বা ব্যবহার করা হারাম ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া” ঊয়ার মাকছুদ এবং উঊশ্যও ঠিক তাই।
স্মর্তব্য ঊ, মহান আল্লাহ পাক পবিত্র কালামে পাকে সূরা মায়িদা৮২নং আয়াত শরীফে ইরশাদ করেন,
لتجدن اشد الناس عدا وة للذين امنوا اليهود والذين اشركوا.
অর্থঃ-“ঊামরা ঊামাদের সবচেয়ে বড় শত্রঊহিসেবে পাবে ইহুদীদেরকে। অতঃপর যারা মুশরিক তাদেরকে।
বিশেষতঃ বর্তমানে ইহুদীদের এজেন্ট হিসেবে মুসলমানদের ঈমান আমলের সবচেয়ে ঊশী ক্ষতি করছে যারা, তারা হলো- উলামায়ে ছু।  উল্লেখ্য, ইহুদীদের এজেন্ট বাতিল মতাবলম্বী উলামায়ে ছূরা হারাম টিভি চ্যানেল, পত্র-পত্রিকা, কিতাবাদি ও বক্তব্য বা বিবৃতির মাধ্যমে একের পর এক হারামকে হালাল, হালালকে হারাম, জায়িযকে নাজায়িয, নাজায়িযকে জায়িয বলে প্রচার করছে।
ঊমন, তারা প্রচার করছে- ফরয নামাযের পর মুনাজাত করা বিদয়াত ও হারাম, নিয়ত করে রওযা শরীফ ও মাযার শরীফ যিয়ারত করা শিরক, কদমবুছী করা নাজায়িয ও শিরক, মাযহাব মানার ঊান প্রয়োজন ঊই, পীর-মুরীদী শরীয়ত বিরোধী প্রথা, ঈদে মীলাদুন্ নবী পালন করা বিদ্য়াত, মীলাদ ক্বিয়াম করা র্শিক-বিদ্য়াত। শবে বরাত পালন করা বিদ্য়াত। তারাবীহ নামায জরুরী ঊান নামায নয়, আট রাকায়াত তারাবীহ পড়লেই চলে ইত্যাদি ইত্যাদি। (নাঊযুবিল্লাহ)
অথচ উল্লিখিত প্রতিটি বিষয়ই কুরআন শরীফ ও সুন্নাহ শরীফ তথা শরীয়তসম্মত এবং তন্মধ্যে ঊানটা সুন্নত আবার ঊানটা  ফরয।
পক্ষান্তরে উলামায়ে ছূতথা দুনিয়াদার মাওলানারা ইসলামের নামে ছবি, ঊলিভিশন, সিনেমা, নাটক, ঊাবেল, হরতাল, ঊপর্দা হওয়া, নারী ঊতঊ¡ মানা, ঊাট ঊয়া, ঊাযা অবস্থায় ইনজেকশন ঊয়া, মহিলাদের  জামায়াতের জন্যে মসজিদে যাওয়া, মহিলাদের বাইরে ঊর হওয়ার সময় হাত ও মুখ ঊালা রাখা, হরতাল করা, লংমার্চ করা, গণতন্ত্র ও ঊাট-নির্বাচন করা, ব্লাসফেমী আইন চাওয়া, ঊৗলবাদী দাবী করা, কুশপুত্তলিকা দাহ করা, টিভি চ্যানেলে ঊ্রাগ্রাম বা অনুষ্ঠান করা ইত্যাদি নাজায়িয কাজগুলোকে জায়িয বলে প্রচার করছে। (নাঊযুবিল্লাহ) অর্থাৎ তাদের উঊশ্য হচ্ছে, মুসলমানদেরকে ইসলাম ঊকে সরিয়ে, ইবাদত ঊকে সরিয়ে অনৈসলামিক ও হারাম কাজে মশগুল করে দিয়ে ঊঈমান করে ঊয়া।
উল্লেখ্য, ইহুদীদের এজেন্ট, বাতিল মতাবলম্বী দাজ্জালে কায্যাব তথা উলামায়ে ছূরা উল্লিখিত বিষয়গুলোর ন্যায় লাল রংয়ের ঊাশাক বা রুমালসম্পর্কেও সমাজে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে।
তারা বিভিনঊপত্র-পত্রিকা, কিতাবাদী ও বক্তব্যের মাধ্যমে প্রচার করে ঊড়াচ্ছে ঊ, ‘পুরুষের জন্য লাল রংয়ের ঊাশাক পরিধান বা ব্যবহার করা জায়িয।’ (নাউযুবিল্লাহ)
অথচ অসংখ্য, নির্ভরযোগ্য ও অকাট্য দলীলের দ্বারা সুস্পষ্টভাবে প্রমাণিত ঊ, হানাফী মাযহাবের মুখতার বা গ্রহণযোগ্য ও ফতওয়াগ্রাহ্য মতে পুরুষের জন্য লাল রংয়ের ঊাশাক পরিধান বা ব্যবহার করা হারাম তথা নিষিদ্ধ। অর্থাৎ সম্পূর্ণটা লাল হলে হারাম, অধিকাংশ লাল হলে মাকরূহ তাহরীমী ও কম লাল হলে মাকরূহ তানযীহী। আর ঊহেতু হানাফী মাযহাব মতে লাল রংয়ের ঊাশাক পরিধান করা পুরুষের জন্য হারাম। তাই এখন যারা তা পরিধান করবে তারা দায়িমীভাবেই হারাম কাজে লিপ্ত থাকবে। অর্থাৎ তারা হারাম কাজ করার গুণাহে গুণাহ্গার হবে। সাথে সাথে সাদা রংয়ের রুমাল ব্যবহার করা খাছ সুন্নতএ মহান সুন্নতের আমল ঊকে সম্পূর্ণ মাহরূম হয়ে যাবে। অথচ সুন্নতের ইত্তিবাই হচ্ছে মহান আল্লাহ পাক ও তাঁর হাবীব ছল্লাল্লাঊআলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর খাছ ঊযামন্দী বা সন্তুিঊলাভের একমাত্র মাধ্যম।
অতএব, যারা লাল রংয়ের ঊাশাক বা রুমাল সম্পর্কে ভুল, মনগড়া ও বিভ্রান্তিকর ফতওয়া দিয়ে মুসলমানদের ঈমান-আমল ধ্বংস করছে তাদের ঊই ঈমান-আমল বিধ্বংসী ফতওয়া ঊকে সাধারন মুসলমানদের ঈমান-আমল হিফাজতের লঊ ও লাল রুমাল সম্পর্কিত সঠিক ও দলীলভিত্তিক ফায়ছালা তুলে ধরার উঊশ্যেই মাসিক আল বাইয়্যিনাতে হানাফী মাযহাব মতে পুরুষের জন্য লাল রংয়ের ঊাশাক তথা রুমাল, পাগড়ী, ঊার্তা, লুঙ্গি, চাদর ইত্যাদি পরিধান বা ব্যবহার করা হারাম ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া” ঊয়া হলো। যাতে করে লাল রংয়ের ঊাশাক বা রুমাল সম্পর্কিত সঠিক ও দলীলভিত্তিক ফায়ছালা অবগত হয়ে ঊ অনুযায়ী আমল করে আল্লাহ পাক ও তাঁর হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাঊআলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর সন্তুিঊলাভ করতে পারে। সাথে সাথে যারা লাল রংয়ের ঊাশাক বা রুমাল নিয়ে বিভ্রান্তিতে রয়েছে তারা বিভ্রান্তি ঊকে ঊঁচে হক্বের উপর দায়িম-ক্বায়িম থাকতে পারে।
হানাফী মাযহাব মতে পুরুষের জন্য লাল রংয়ের ঊাশাক নিষিদ্ধ হওয়ার প্রমাণ ও সিলেট খারিজী মাদ্রাসার তথাকথিত মুফতী!ছাহেবেরমনগড়া বক্তব্যের খন্ডনমূলক জাওয়াব
আমাদের হানাফী মাযহাব মতে, পুরুষের জন্য সম্পূর্ণ বা অধিকাংশ লাল রংয়ের রুমাল বা কাপড় পরিধান করা হারাম ও মাকরূহ তাহরীমী, আর লালের ভাগ কম হলে মাকরূহ তানযীহী”- বাতিলের আতঙ্ক, যামানার তাজদীদী মুখপত্র মাসিক আল বাইয়্যিনাত-এর এ ফতওয়াই ছহীহ, গ্রহণযোগ্য, দলীলভিত্তিক ও কুরআন শরীফ, হাদীছ শরীফ, ইজমা ও ক্বিয়াসসম্মত।
বলার অপেক্ষাই রাখে না ঊ, মাসিক আল বাইয়্যিনাত ঊকে সংকলিত ফতওয়াটিই ছহীহ যা গ্রহণযোগ্য, দলীলভিত্তিক। অর্থাৎ কুরআন শরীফ, হাদীছ শরীফ, ইজমা ও ক্বিয়াসসম্মত। কারণ  উক্ত ফতওয়ায় নিজস্ব ঊান মত ঊশ করা হয়নি। বরং মাসিক আল বাইয়্যিনাত-এর বক্তব্যই হুবঊসংকলন করা হয়েছে মাত্র।
পক্ষান্তরে সিলেট কাসেমুল উলূম খারিজী মাদ্রাসার তথাকথিত মুফতী (!) লাল রংসম্পর্কিত উক্ত ফতওয়াটি খণ্ডন করতে গিয়ে ঊ বক্তব্য ঊশ করেছে তা সম্পূর্ণরূপে অঊ, বিভ্রান্তিকর, দলীলবিহীন ও জিহালতপূর্ণ হয়েছে।
কথিত মুফতী ছাহেব ঊত্র বিশেষে নিজের মনগড়া মতকে ছাবেত করার লঊ্য ঊান ঊান হাদীছ শরীফ ও কিতাবের ইবারতের মনগড়া ও ভুল তরজমা ও ব্যাখ্যা দিয়েছে। অর্থাৎ তথাকথিত উক্ত মুফতী ছাহেব তার উক্ত ফতওয়ার মাধ্যমে ঊাকা ও প্রতারণার চরম দঊান্ত স্থাপন করেছে।
মূলত: তথাকথিত উক্ত খারিজী মুফতী (!) ছাহেব লাল রং সম্পর্কিত আরবী শঊর সঠিক অর্থ ও তাহক্বীক্ব সম্পর্কে অবগত না হওয়ার কারণে এবং হাদীছ শরীফ ও কিতাবের ইবারতসমূহের সঠিক ব্যাখ্যা ও মর্ম অনুধাবনে ব্যর্থ হওয়ার কারণেই লাল রং সম্পর্কে এরূপ অঊ ও বিভ্রান্তিকর ফতওয়া প্রদান করেছে এবং আল বাইয়্যিনাতে প্রদত্ত লাল রং সম্পর্কিত ছহীহ ও দলীলভিত্তিক ফতওয়াটি ঊয়ঙ্গম করতে চরমভাবে ব্যর্থ হয়েছে।
(পূর্ব প্রকাশিতের পর)
তথাকথিত মুফতী (!) ছাহেবের ৭ম বক্তব্য
সিলেট খারেজী মাদ্রাসার তথাকথিত মুফতী (!) ছাহেব নিজের বাতিল মতকে অর্থাৎ লাল রুমালকে জায়িয করার লঊ্য ঢালাওভাবে লাল কাপড় হারামহওয়া সম্পর্কিত সমস্ত হাদীছ শরীফগুলোকেই জঈফ প্রমাণ করার অপচেষ্টা করেছে। ঊমন ঊ লাল কাপড় নিষিদ্ধ সম্পর্কিত দুখানা হাদীছ শরীফ উল্লেখ করতঃ উমদাতুল ক্বারী, ফতহুল বারী ও ইলাউস সুনান ঊকে তিনটি ইবারত উল্লেখ করে প্রমাণ করতে ঊয়েছে ঊ, লাল রং নিষেধ হওয়া  সম্পর্কিত হাদীছ শরীফগুলো জঈফ ও জাল।
তথাকথিত মুফতী (!) ছাহেবের ৭ম বক্তব্যের
খণ্ডনমূলক জবাব
খারেজী ক্বওমী, ঊওবন্দী তথা ওহাবীদের একটি বদ স্বভাব হলো, ঊ সকল হাদীছ শরীফগুলো তাদের বিপঊ যায় তারা হয়তো ঊগুলোর অপব্যাখ্যা করে নতুবা ঊগুলোকে একচেটিয়া জঈফ, জাল বলে চালিয়ে ঊয়। অথচ হাদীছ শরীফের কিতাবে এরূপ বঊহাদীছ শরীফ রয়েছে ঊগুলোকে ঊউ ঊউ জঈফ বলেছেন আবার ঊউ ঊউ ছহীহ বলেও মত ঊশ করেছেন।। ঊমন ছিহাহ ছিত্তাতেই এরঊবঊহাদীছ শরীফ রয়েছে ঊগুলোকে ইমাম বুখারী রহমতুল্লাহি আলাইহি  জঈফ বলে তরক করেছেন, কিন্তু ইমাম মুসলিম রহমতুল্লাহি আলাইহি ঊগুলোকে ছহীহ বলে গ্রহণ করেছেন। অনুরূপ ইমাম তিরমিযী, আবূ দাঊদ, নাসাঈ ও ইবনে মাজাহ সম্পর্কেও বর্ণিত রয়েছে। যদি তাই হয়ে থাকে তবে কি করে একপঊর মতের উপর ভিত্তি করে একচেটিয়া বা ঢালাওভাবে সমস্ত হাদীছ শরীফগুলোকে জঈফ বা  জাল বলা ঊতে পারে? লাল রং সম্পর্কিত বর্ণনাগুলো ঊ ছহীহ এরূপ মতও ঊা কিতাবে রয়েছে। কাজেই দুএকটি কিতাবের বর্ণনার উপর ভিত্তি করে লাল রং নিষিদ্ধ হওয়া সম্পর্কিত হাদীছ শরীফগুলোকে জঈফ বা বাতিল বলে তথাকথিত মুফতী (!) ছাহেব চরম ঊহালতী ও ঊামরাহীর পরিচয় দিয়েছে। সাথে সাথে উমদাতুল ক্বারী ও ফতহুল বারী ঊকে লাল রং নিষিদ্ধ হওয়া সম্পর্কিত চারখানা হাদীছ শরীফের মধ্যে মাত্র দুখানা উল্লেখ করে এবং দুখানা ঊাপন ঊখে চরম ঊাকাবাজী ও প্রতারণা করেছে। তাই নিমেঊউল্লিখিত চারখানা হাদীছ শরীফ উল্লেখ করতঃ তার বিঊতা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো- 
 পুরুষের জন্য লাল রং নিষিদ্ধ হওয়া সম্পর্কিত আরো কতিপয় ছহীহ বা বিঊ ছহীহ হাদীছ শরীফ
ফতহুল বারী ও উমদাতুল ক্বারীকিতাবুল লিবাস বাবুছ্ ছাওবিল্ আহমার পরিচ্ছেদে যথাক্রমে ১০জিঃ ৩০৬ পঊা ও ২২ জিঃ  ২৩ পঊায় বর্ণিত আছে,
[২৭৩-২৭৬]

(1)  ان انسا روى ان رسول الله صلى الله عليه وسلم كان يكره الحمرة.
(2) حديث عباد بن كثير عن هشام عن ابيه ان النبى صلى الله عليه وسلم كان يحب الخضرة ولايحب الحمرة.
(3) حديث الحسن ابن ابى الحسن ان النبى صلى الله عليه وسلم فال الحمرةزينة الشيطان والشيطان يحب الحمرة
(4) سن الحسن عن رافع بن يزيد الثقفى رفعه ان الشيطان يحب الحمرة وايا كم والحمرة.

১. অর্থঃ হযরত আনাস রদ্বিয়াল্লাহ আনঊঊকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নিশ্চয়ই হযরত রসূলুল্লাহ ছল্লাল্লাঊআলাইহি ওয়া সাল্লাম লাল রংকে অপছন্দ করতেন।
২. অর্থঃ হযরত ইবাদ ইবনে কাছীর রহমতুল্লাহি আলাইহি হযরত হিশাম রহমতুল্লাহি আলাইহি ঊকে, তিনি তাঁর পিতা ঊকে বর্ণনা করেছেন। নিশ্চয়ই হযরত নবী করীম ছল্লাল্লাঊআলাইহি ওয়া সাল্লাম সবুজ রং পছন্দ করতেন কিন্তু লাল রং অপছন্দ করতেন।
৩. অর্থঃ হযরত হাসান ইবনে আবুল্ হাসান রহমতুল্লাহি আলাইহি ঊকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নিশ্চয়ই হযরত নবী করীম ছল্লাল্লাঊআলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, লাল রং শয়তানের ঊাশাক বা সাজ-সজ্জা। আর শয়তান লাল রংকে পছন্দ করে। (পুরুষের ঊঊ)
৪. অর্থঃ হযরত হাসান রহমতুল্লাহি আলাইহি হযরত রাফিইবনে ইয়াযীদ আছ ছাক্বাফী রহমতুল্লাহি আলাইহি ঊকে মারফুসূঊ বর্ণিত আছে। হুযূর পাক ছল্লাল্লাঊআলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, নিশ্চয়ই শয়তান লাল রংকে পছন্দ করে। তাই ঊামরা পুরুষেরা লাল রং ঊকে ঊঁচে থাক।
প্রথম তিনটি হাদীছ শরীফ সম্পর্কে হযরত আল্লামা আইনী রহমতুল্লাহি আলাইহি বলেছেন, এগুলো সনদের দিক ঊকে শক্তিশালী নয়। এটি আল্লামা আইনী রহমতুল্লাহি আলাইহি-এর একেবারেই নিজস্ব মত। আসলে হাদীছ শরীফগুলো শাহিদপর্যায়ের হাদীছ শরীফ বিধায় তা ছহীহ ও শক্তিশালী।
তথাকথিত মুফতী (!) ছাহেবের  প্রতারণা
 ও ঊাঁকাবাজির নমুনা
তথাকথিত মুফতী (!) ছাহেব নিজস্ব মনগড়া মত প্রতিষ্ঠার লঊ্য ও ঊাঁকা ঊয়ার উঊশ্যে ফতহুল বারীরউদ্ধঊত দিয়ে লিখেছে, হাসান ইবনে আবুল হাসান রহমতুল্লাহি আলাইহি ঊকে বর্ণিত হাদীছ শরীফ নাকি যঈফ ও জুযাকানীর মতে বাতিল। অথচ ফতহুল বারীতেএ হাদীছ শরীফ খানা এভাবে একই রাবী ঊকে উল্লেখ ঊই। ফতহুল বারীতে” ঊ হাদীছ শরীফ খানা উল্লেখ আছে, তা আমাদের উল্লেখিত ৪র্থ হাদীছ শরীফ। যাকে মারফু সূঊ বর্ণনা করা হয়েছে। তাই মারফুসূঊ বর্ণিত হাদীছ শরীফকে যারা যঈফ ও বাতিল বলেছেন এটা একান্তই তাদের ব্যক্তিগত মত। কারো ব্যক্তিগত মত গ্রহণযোগ্য নয়। মূলতঃ উপরোক্ত চারটি হাদীছ শরীফই ছহীহ ও শক্তিশালী। যার প্রমাণঃ মুতাবায়াত ও শাহাদাত হাদীছ শরীফ সম্পর্কে আলোচনা করলে স্পষ্ট হবে।
মুতাবায়াত ও শাহাদাত হাদীছ শরীফের সংজ্ঞা
এক রাবীর হাদীছ শরীফের অনুরূপ যদি অপর রাবীর ঊান হাদীছ শরীফ পাওয়া যায়, তাহলে এই দ্বিতীয় রাবীর হাদীছ শরীফটিকে প্রথম রাবীর হাদীছ শরীফটির মুতাবেবলে। যদি উভয় হাদীছ শরীফের মূল রাবী (অর্থাৎ ছাহাবী) একই ব্যক্তি হন তবে এরূপ হওয়াকে মুতাবায়াতবলে। আর যদি মুল ব্যক্তি একই ব্যক্তি না হন, তাহলে দ্বিতীয় ব্যক্তির হাদীছ শরীফটিকে প্রথম ব্যক্তির হাদীছ শরীফের শাহিদবলে। আর এরূপ হওয়াকে শাহাদতবলে। মুতাবায়াত ও শাহাদত দ্বারা প্রথম হাদীছ শরীফটির শক্তি বৃদ্ধি পায়। (মিশকাত শরীফের মুকাদ্দামা, সমুহ উছুলে হাদীছের কিতাব)
হাদীছ শরীফকে শক্তিশালী করার এ প্রক্রিয়া  অনুযায়ী উল্লেখিত ৪টি হাদীছ শরীফ ছহীহ, হাসান ও মারফুঊননা, হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আমর ইবনে আছ রদ্বিয়াল্লাঊতায়ালা আনঊঊকে احمر লাল রং ও معصفر কুসুম রং নিষিদ্ধ ও অপছন্দনীয় সম্পর্কিত হাদীছ শরীফ বর্ণিত আছে। ঊমন, হাদীছ শরীফে ইরশাদ হয়েছে,
[২৭৭-২৮০]
عن عبد الله بن عمرو رضى الله عنه قال مر رجل وعليه ثوبان احمران فسلم على النبى صلى الله عليه وسلم فلم يرد عليه النبى صلى الله عليه وسلم هذا حد يث حسن. غريب من هذا الوجه.
অর্থঃ হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আমর রদ্বিয়াল্লাঊতায়ালা আনঊঊকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা লাল বর্ণের দুটি কাপড় (ইযার ও চাদর) পরিহিত এক ব্যক্তি হযরত নবী করীম ছল্লাল্লাঊআলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় তাঁকে সালাম দিল। কিন্তু হযরত নবী করীম ছল্লাল্লাঊআলাইহি ওয়া সাল্লাম তার সালামের জাওয়াব ঊননি। হযরত আবূ ঈসা তিরমিযী রহমতুল্লাহি আলাইহি বলেন, এ হাদীছ শরীফখানা হাসান এবং উপরোক্ত সনদে গরীব। (তিরমিযী শরীফ, আবূ দাউদ শরীফ, মিশকাত শরীফ, নাইলুল আওতার)
[২৮১-২৮৫]
عن عبد الله بن عمرو بن العاص رضى الله عنه قال رانى رسول الله صلى الله عليه وسلم قال ابو على اراه وعلى ثوب مصبوغ بعصفر موردا فقال ما هذا فا نطلقت فحر قته فقال النبى صلى الله عليه وسلم ما صنعت بثوبك فقلت اخر قته قال افلا كسوته بعض اهلك. قال ابو داود رواه ثور عن خالد فقال موردا وطاؤس قال معصفر.
অর্থঃ- হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আমর ইবনে আছ রদ্বিয়াল্লাঊতায়ালা আনঊঊকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা হযরত রসূলুল্লাহ ছল্লাল্লাঊআলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাকে ঊখেন। হযরত আবূ আলী রহমতুল্লাহি আলাইহি (যিনি হযরত আবূ দাঊদ রহমতুল্লাহি আলাইহি-এর ছাত্র) বলেন, তাঁকে ঊখে এ অবস্থায় ঊ, (তিনি বলেন,) তখন আমার পরণে উছফুর দ্বারা রঞ্জিত ঊালাপী লাল রংয়ের একখানা কাপড় ছিল। তিনি জিজ্ঞাসা করলেন, এটা কি? তৎক্ষনাৎ আমি ফিরে গিয়ে তা আগুনে জ্বালিয়ে ঊলি। এরপর তিনি আমাকে জিজ্ঞাসা করলেন, তুমি ঊামার কাপড়টি কি করেছ? আমি বললাম, আমি তা জ্বালিয়ে ঊলেছি। তখন তিনি (হুযূর পাক ছল্লাল্লাঊআলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, তুমি ঊন এটি ঊামার  পরিবার¯ঊঊান মহিলাকে পরিধান করালেনা। হযরত আবূ দাঊদ রহমতুল্লাহি আলাইহি বলেন, হযরত ছাওর রহমতুল্লাহি আলাইহি হযরত খালিদ রহমতুল্লাহি আলাইহি ঊকে مورد শঊর এবং হযরত ত্বাউস রহমতুল্লাহি আলাইহি معصفر শঊর বর্ণনা করেছেন। (আবূ দাঊদ শরীফ, মুসনাদে আহমদ বিন হাম্বল, ইবনু মাজাহ শরীফ, মিশকাত শরীফ, নাইলুল্ আওতার)
[২৮৬-২৯০]
عن عبد الله بن عمرو بن العاص رضى الله تعالى عنه قال راى رسول الله صلى الله عليه وسلم على ثوبين معصفرين فقال ان هذه من ثياب الكفار فلاتلبسها. (مسلم شريف كتاب اللباس باب الهى عن لبس الرجل الثوب المعصفر الجذد الثانى ص 193، مسند احمد بن حنل، نسائى شربف كناب لزينة با ب ذكر النهى عن لبس المعصفر المجلد الثا نى ص 297، مشكوة شريف كتاب اللباس الفصل الا ول ص 374، نيل الا وطار كتاب اللباس باب نهى الرجال عن المعصفر وما جا، فى الا حمرج 2 ص 94)
অর্থঃ হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আমর ইবনে আছ রদ্বিয়াল্লাঊতায়ালা আনঊঊকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা হযরত রসূলুল্লাহ ছল্লাল্লাঊআলাইহি ওয়া সাল্লাম আমার পরনে উছফুর তথা কুসুম রংয়ের দুখানা কাপড় ঊখে বললেন, নিশ্চয়ই ইহা কাফিরদের ঊাশাাক। তাই তুমি ইহা পরিধান করোনা।  (মুসলিম শরীফ, মুসনাদে আহমদ বিন হাম্বল, নাসায়ী শরীফ, মিশকাত শরীফ, নাইলুল আওতার)
এছাড়াও আবূ দাঊদ শরীফ ২য় জিঃ ২০৮ পঊা ২নং হাশিয়াতে, মিরক্বাত শরীফ ৮ম জিঃ ২৫৭, ২৫৮ পঊায় বর্ণিত আছে,
[২৯১-২৯২]
وروى الطبرا نى عن عمران بن حصين مرفو عا اب كم والحمره فا نها احب الز ينة الى الشبطان.
অর্থঃ- হযরত ইমাম ত্ববারানী রহমতুল্লাহি আলাইহি হযরত ইমরান ইবনে হুছাইন রদ্বিয়াল্লাঊতায়ালা আনঊঊকে মারফুসনদে বর্ণনা করেছেন। হুযূর পাক ছল্লাল্লাঊআলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ঊামরা লাল রং ঊকে ঊঁচে থাক। ঊননা, নিশ্চয়ই ইহা শয়তানের নিকট অধিক পছন্দনীয় ঊাশাক।
উল্লিখিত হাদীছ শরীফগুলোর মধ্যে প্রথমটিঃ হাসান, গরীব, ছহীহ, দ্বিতীয়টিঃ ছহীহ, তঊীয়টিঃ ছহীহ ও চতুর্থটিঃ  মারফু। এ হাদীছ শরীফগুলোর মূল মাফহুম হচ্ছে লাল রংয়ের ঊাশাক অপছন্দনীয়, কাফিরদের ঊাশাক, শয়তানের কাছে প্রিয় ইত্যাদি প্রমাণ করা।
এ হাদীছ শরীফগুলো সাক্ষ্য দিচ্ছে ঊ, উল্লেখিত চারটি হাদীছ শরীফ (ঊগুলোর ব্যাপারে খারিজী পন্থী ঊাকেরা স¿দহ করে) সবগুলোই ছহীহ ও শক্তিশালী।
আর আল্লামা জাফর আহমদ উছমানী ছাহেব তার ইলাউস্ সুনান কিতাবে  উল্লেখিত হাদীছ শরীফগুলোকে জঈফ বলেননি বরং ছহীহ বা বিঊ বলেই উল্লেখ করেছেন। ঊমন তিনি বলেন,
[২৯৩]
وبالجملة فالا حاديث فى لبس الا حمر اصح ا سنا نا من احاديث النهى عنه.
অর্থঃ- মুল কথা হলঃ احمر ঊধ হওয়া সম্পর্কিত হাদীছগুলো লাল রং নিষেধকারী হাদীছ শরীফগুলোর ঊকে সনদের দিক দিয়ে অধিক ছহীহ। অর্থাৎ তার মতে লাল রং নিষেধ সম্পর্কিত হাদীছ শরীফগুলোও ছহীহ। (ইলাউস্ সুনান ১৭ জিঃ ৩৬০ পঊা)
অতএব, প্রমানিত হল ঊ, উল্লেখিত সবগুলো হাদীছ শরীফ ছহীহ, মারফু, হাসান ও শক্তিশালী। কাজেই যঈফ ও মাওযূ বলা অঊ। সুতরাং তথাকথিত মুফতী (!) ছাহেবের এ বক্তব্যটিও মনগড়া বিভ্রান্তিকর, প্রতারণামূলক ও জিহালতিপূর্ণ প্রমাণিত হল।
তথাকথিত মুফতী ছাহেবের ৮ম বক্তব্য
সিলেট খারেজী মাদ্রাসার তথাকথিত মুফতী (!) ছাহেব হাদীছ শরীফের অপব্যাখ্যার পর নিজের বাতিল ও ঊামরাহী মতকে তথা হারামকে হালাল সাব্যস্ত করার কুট উঊশ্যে ফিক্বাহের কিতাবের ইবারতেরও অপব্যাখ্যা করেছে এবং ঊত্র বিশেষে ইবারত কারচুপি করেছে। ঊমন ঊ ফিক্বাহের কিতাব দুররুল মুখতার” ঊকে একটি ইবারত উল্লেখ করে প্রমাণ করতে ঊয়েছে ঊ, পুরুষের জন্য লাল রংয়ের  ঊাষাক পরিধান করা মুস্তাহাব। আর মাকরূহ হলেও মাকরূহ তানযিহী। মাকরূহ তাহরীমী নয়।
তথাকথিত মুফতী (!) ছাহেবের
৮ম বক্তব্যের খণ্ডনমূলক জবাব
সিলেট খারেজী মাদ্রাসার তথাকথিত মুফতী (!) ছাহেব দুরুরুল মুখতারকিতাবের ইবারতের সঠিক মর্ম বুঝতে চরমভাবে ব্যর্থ হয়েছে। তাই ঊ বলতে ঊরেছে লাল রংয়ের কাপড় পরিধান করা মুস্তাহাব বা মাকরূহ তানযীহী।
মুলতঃ দুররুল মুখতারকিতাবে মুজতবা, কুহিস্তানী ও শরহুন্ নিক্বায়া-এর বরাতে ঊ বলা হয়েছে, মাকরূহ তানযীহী। তাদ্বারা মুলতঃ ঐ কাপড়কেই বুঝানো হয়েছে, ঊ কাপড়ের লাল রংয়ের পরিমাণ কম। ঊননা তানবীরুল আবছার ও তুহফা কিতাবে অধিকাংশ লাল রংয়ের কাপড় পরিধান করাকে মাকরূহ তাহরীমী বলে উল্লেখ করা হয়েছে। আর এটাই মুলতঃ সঠিক ও গ্রহণযোগ্য মত।
আর শরাম্বলালী ঊকে মুস্তাহাব সম্পর্কিত ঊ মতটি উল্লেখ আছে তা লাল রং সম্পর্কে নয়। রবং حلة حمراء হুল্লাতুল হামরা তথা গন্ধম বা ঊানালী ঊাড়া সম্পর্কিত। অর্থাৎ গন্ধম বা ঊানালী রংয়ের ঊাষাক পরিধান করা মুস্তাহাব-সুন্নত। ঊহেতু তা রসূলে পাক ছল্লাল্লাঊআলাইহি ওয়া সাল্লাম পরিধান করেছেন। এটাই দুররুল মুখতার কিতাবের সঠিক মর্ম বা ব্যাখ্যা। যা সিলেটের তথাকথিত মুফতী (!) ছাহেব কম জ্ঞান, কম বুঝের কারনে দুররুল মুখতার কিতাবের ইবারত বুঝতে চরমভাবে ব্যর্থ হয়েছে।
তথাকথিত মুফতী (!) ছাহেবের ইবারত কারচুপির নমুনা
সিলেট খারেজী মাদ্রাসার তথাকথিত মুফতী (!) ছাহেব নিজের বাতিল মতকে ছাবেত করার লঊ্য ঊু ঊ দুররুল মুখতারেরইবারতের ভুল অর্থ ও অপব্যাখ্যা করেছে তাই নয়। বরং ঊ উক্ত কিতাবের ইবারতও কারচুপি করেছে। অর্থাৎ আল্লামা শামী রহমতুল্লাহি আলাইহি  বিভিনঊ কিতাব ঊকে বিভিনঊজনের মত উল্লেখ করার পর সর্বশেষ ঊ ফায়ছালা দিয়েছেন তথাকথিত  মুফতী (!) ছাহেব তা উল্লেখ না করে ঊাপন করে ঊখেছে। কারণ তথাকথিত মুফতী (!) ছাহেব ভাল করেই জানে ঊ, তা উল্লেখ করলে তার লাল রুমাল জায়িয করার সমস্ত কুটকৌশলই ঊঊ যাবে। তাই বাধ্য হয়েই ঊ উক্ত ইবারত খানা কারচুপি করেছে বা ঊাপন ঊখেছে। আমরা তথাকথিত মুফতী (!) ছাহেবের লাল রুমাল জায়িয করার সকল কুটকৌশলের বিষ দাঁত ঊঊ দিতে আল্লামা শামীর মুল ফায়ছালাটি নিমেঊতুলে ধরলাম-
[২৯৪-২৯৫]
اقول: ولكن جل الكتب على الكراهة كالسراج والمحيط والا ختيار وا لمنتقى والذ خيبرة وغيرها، وبه افتى العلا مة قاسم، (رد المحتار كتاب الحظر والا باحة فصل فى اللبسج 9 ص 516، اعلاء السن ج 17 ص 359)
অর্থঃ আমি (রদ্দুল মুহতার প্রন্থকার আল্লামা ইবনে আবিদীন শামী রহমতুল্লাহি আলাইহি) বলতেছি, হানাফী মাযহাবের বড় বড় ফিক্বাহ ও ফতওয়ার কিতাবসমূহে পুরুষদের জন্য লাল ঊাশাক পরিধান করা মাকরূহ তাহরীমী ফতওয়া ঊয়া হয়েছে। ঊমন- সিরাজ, মুহীত, ইখতিয়ার, মুন্তাক্বা, যখীরাহ্ ও অন্যান্য ফিক্বাহর ফতওয়ার কিতাব। আর এরই উপর আল্লামা ক্বাসিম হানাফী রহমতুল্লাহি আলাইহি-এর চুড়ান্ত ফতওয়া প্রদান করেছেন। (যিনি হানাফী মাযহাবের একজন বিখ্যাত আলিম ও মুজতাহিদ।) (রদ্দুল মুহতার কিতাবুল হাযার ওয়াল ইবাহাহ্ ফাছলুন্ ফিল্ লুব্স ৯ম জিঃ ৫১৬ পঊা, ইলাউস্ সুনান ১৭ জিঃ ৩৫৯ পঊা)
এ ফতওয়ার পর আর ঊান মত থাকতে পারে না যা আল্লামা শামী রহমতুল্লাহি আলাইহি গ্রহণ করেছেন। পুরুষের মাথায় ব্যবঊ রুমাল লাল রং হওয়ায় তাও মাকরূহ তাহরীমী। ঊননা এটিও পুরুষের ঊাশাক। আল্লামা জাহিদীর বরাতে মাথায় ব্যবহার মাকরূহ নয় বিষয়ে ফতওয়ায়ে শামীতে যা উল্লেখ করা হয়েছে, তা ঊহেতু মুখতার ও ফতওয়াগ্রাহ্য মত নয় তাই পরিত্যাজ্য।
মুলকথা হলো- আমাদের হানাফী মাযহাব মতে সম্পূর্ণ বা অধিকাংশ লাল হলে হারাম ও মাকরূহ তাহরীমী আর অঊলাল হলে মাকরূহে তানযীহী হবে। এটাই ফতওয়াগ্রাহ্য ও মুখতার মত। নির্ভরযোগ্য কিতাবসমূহের বক্তব্য পর্যালোচনা করলে এটাই সাব্যস্ত হয়। তাই নিমেঊনির্ভরযোগ্য ফিক্বাহের কিতাব ঊকে এ সম্পর্কিত বিস্তারিত বর্ণনা তুলে ধরা হলো।
[২৯৬-২৯৭]
وكره لبس المعصفر والمز عفر الا حمر والا صفر للر جال ولا باس بسا ئر الالوان. (ردالمحتار كتاب الحظر والا باحة فصل فى اللبس ج 9ص515)
অর্থঃ- তানবীরুল আবছারগ্রন্থকার বলেন, পুরুষদের জন্য কুসুম (লাল ও হলুদ) রং, যাফরানী লাল রং ও হলুদ রংয়ের  ঊাশাক পরিধান করা মাকরূহ তাহরীমী। এছাড়া অন্য ঊ ঊান রংয়ে ঊান অসুবিধা ঊই। (রদ্দুল্ মুহতার কিতাবুল হাযার ওয়াল ইবাহাহ ফাছলুন্ ফিল লুবস্ ৯ম জিঃ ৫১৫ পঊা)
রদ্দুল মুহতার (শামী) কিতাবুল হাযার ওয়াল ইবাহাহ ফাছলুন ফিল লুবস ৯ম জিঃ ৫১৫ ও ৫১৬ পঊায় আদ দুররুল মুখতার’-এর ইবারতে উল্লেখ আছে,
[২৯৮-২৯৯]
مفاده ان لا يكره للنساء
অর্থঃ- প্রমাণিত হয় ঊ, মহিলাদের জন্য কুসুম (লাল ও হলুদ) রং, যাফরানী লাল রং ও হলূদ রংয়ের ঊাশাক পরিধান করা মাকরূহ নয়। (ইলাউস্ সুনান)
রদ্দুল মুহতার (শামী) কিতাবুল হাযারওয়াল ইবাহাহ্ ফাছলুন ফিল লুব্স ৯ম জিঃ৫১৫ ও ৫১৬ পঊায় উল্লেখ আছে,
[৩০০-৩০৩]
لكن صرح فى التحفة با لحرمة فافاد انها تحريمة وهى المحمل عند الا طلاق، قاله المصنف.
অর্থঃ- তুহফাহ্কিতাবে লাল রং হারাম হওয়ার ব্যাপারে স্পষ্ট বর্ণনা রয়েছে। এতে বুঝা যায় মাকরূহ দ্বারা মাকরূহ তাহরীমী উঊশ্য। আর সাধারণতঃ মাকরূহ বলতে মাকরূহ তাহরীমীই বুঝায়। উহাই তানবীরুল আবছার’-এর মুছান্নিফ বলেছেন। অর্থাৎ তিনি লাল রংয়ের ঊাশাক পুরুষদের জন্য মাকরূহ তাহরীমীই ফতওয়া দিয়েছেন। (ইলাউস্ সুনান)
[৩০৪-৩০৫]
وفى الحاوى الزاهدى: يكره للر جال لبس المعصفر والمز عفر والمورس والمحمر: اى الاحمر حريرم كان اوغيره اذا كان فى صبغه دم والا فلا، ونقله عن عدة كتب.
অর্থঃ- আল হাবিয্ যাহিদীকিতাবে উল্লেখ আছে, পুরুষদের জন্য কুসুম (লাল ও হলুদ) রং, যাফরানী (লাল ও হলুদ) রং, ওর্য়াস (লাল ও হলুদ) রং ও যাবতীয় লাল রংয়ের ঊাশাক পরিধান করা মাকরূহ তাহরীমী। অর্থাৎ লাল ঊশমী ঊাশাক ঊাক অথবা ইহা ছাড়া ঊ ঊান লাল ঊাশাক ঊাক, তা মাকরূহ তাহরীমী। যখন তার রং হবে রঊর রংয়ের মত অর্থাৎ  লাল রং। আর যদি লাল রং না হয় তাহলে মাকরূহ তাহরীমী হবেনা। আল্ হাবিয্ যাহিদীকিতাবের লিখক ইহা অনেক নির্ভরযোগ্য কিতাব ঊকে সংকলন করে লিখেছেন। (ইলাউস্ সুনান)
[৩০৬-৩০৭]
وفى مجمع الفتا وى: لبس الا حمر مكروه.
অর্থঃ- মাজউল্ ফাতাওয়াকিতাবে বর্ণিত আছেঃ পুরুষদের জন্য লাল রংয়ের ঊাশাক মাকরূহ তাহরীমী। (ইলাউস্ সুনান)
হাশিয়াতুত্ ত্বহত্বাবী আলাদ্ দুররিল মুখতারকিতাবুল্ হাযার ওয়াল ইবাহাহ্ ফাছলুন্ ফিল লূব্স ৪র্থ জিঃ ১৮০ পঊায় উল্লেখ আছে,
[৩০৮]
وفيه ان ارادة التشبه بالنساء او التكبر مكروه تحر يما لا تنزيها.
অর্থঃ- এর মধ্যে উঊশ্য হচ্ছে, মহিলাদের সাথে সাদঊ্য ও অহংকার পয়দা হওয়ার কারণে লাল ঊাশাক পুরুষদের জন্য মাকরূহ তাহরীমী, মাকরূহ তানযীহী নয়।
আল বাহরুর রায়িক শরহে কানযুদ দাক্বায়িককিতাবুল্ কারাহিয়্যাহ ফাছলুন্ ফিল লুব্স ৮ম জিঃ ১৯০ পঊায় উল্লেখ আছে,
[৩০৯]
ويكره لبس الثوب المعصفر.
অর্থঃ- পুরুষের জন্য কুসুম (লাল ও হলুদ) রংয়ের ঊাশাক পরিধান করা মাকরূহ তাহরীমী।
[৩১০]
وفى المنتقى عن الا مام يكره للر جال ان يلبسوا الثوب المصبو غ بالعصفر او الوس او الزعفران .
অর্থঃ- ইমাম আযম আবূ হানীফা রহমতুল্লাহি আলাইহি ঊকে মুন্তাক্বাকিতাবে বর্ণিত আছে, পুুরুষদের জন্য কুসুম (লাল ও হলুদ) রং, ওয়ারস (লাল ও হলুদ) রং ও যাফরানী (লাল ও হলুদ) রংয়ের রঞ্জিত ঊাশাক পরিধান করা মাকরূহ তাহরীমী।
[৩১১]
وفى الذ خيرة عن محمد النهى عن لبس المعصفر.
অর্থঃ- যখীরাহকিতাবে হযরত ইমাম মুহম্মদ রহমতুল্লাহি আলাইহি ঊকে বর্ণিত আছে, পুরুষদের জন্য কুসুম তথা লাল ও হলুদ রংয়ের ঊাশাক মাকরূহ তাহরীমী।
[৩১২]
وورد اياكم والا حمر فانه زى الشيطان.
অর্থঃ হাদীছ শরীফে বর্ণিত আছে, হুযূর পাক ছল্লাল্লাঊআলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ঊামরা বিশেষভাবে লাল রং ঊকে ঊঁচে থাক। ঊননা, নিশ্চয়ই লাল রং শয়তানের সাজ-সজ্জা।
খুলাছাতুল ফাতাওয়া কিতাবুল কারাহিয়্যাহ আল ফাছলুস্ সাবিফিল লুবস ৪র্থ জিঃ ৩৬৮ পঊায় উল্লেখ আছে,
[৩১৩]
ويكره ان يلبس الثياب المصبو غة بالعصفر او الزعفران او الورس
অর্থঃ- পুরুষদের জন্য কুসুম (লাল ও হলুদ) রং, যাফরানী (লাল ও হলুদ) রং ও ওর্য়াস (লাল ও হলুদ) রংয়ে রঞ্জিত ঊাশাক পরিধান করা মাকরূহ তাহরীমী।
ফতওয়ায়ে আলমগীরীর হাশিয়ায় ফতওয়ায়ে ক্বাযীখান’ (খানিয়াহ) কিতাবুল হাযার ওয়াল ইবাহাহ বাবুন মা ইউকরাঊমিনাছ ছিয়াবি ওয়াল হাল্লী ওয়ায যীনাহঃ ৩য় জিঃ ৪১২ পঊায় উল্লেখ আছে,
[৩১৪]
ويكره للر جل ان يلبس الثوب المصبوغ بالعصفر  والز عفران والورس.
অর্থঃ পুরুষদের জন্য কুসুম (লাল ও হলুদ) রং, যাফরানী (লাল ও হলুদ) রং ও ওয়ারস (লাল ও হলুদ) রংয়ে রঞ্জিঞ্জত ঊাশাক পরিধান করা মাকরূহ তাহরীমী।
আল ফাতাওয়াল্ আলমগীরিয়্যাহ কিতাবুল কারাহিয়্যাহ আল্ বাবুত তাসিফিল লুবছ ৫ম জিঃ ৩৩২ পঊায় উল্লেখ আছে,
[৩১৫-৩১৬]
ويكبره للر جل ان يلبس الثوب المصبوغ بالعصفر والزعفران والورس كذا فى فتاوى قاضيخان.
অর্থঃ পুরুষদের জন্য কুসুম (লাল ও হলুদ) রং, যাফরানী (লাল ও হলুদ) রং ও ওর্য়াস (লাল ও হলুদ) রংয়ে   রঞ্জিত ঊাশাক পরিধান করা মাকরূহ তাহরীমী। অনুরূপ ফতওয়ায়ে কাযীখানকিতাবে আছে।
ফতওয়ায়ে আলমগীরীর হাশিয়ায় আল ফাতাওয়াল বায্যায়িয়্যাহকিতাবুল কারাহিয়্যাহ আল ফাছলুস্ সাবিফিল লুব্স ৬ঊজিঃ ৩৬৮ পঊায় উল্লেখ আছে,
[৩১৭]
ويكره الثياب المصبو غة بالز عفران والعصفر والورس.
অর্থঃ পুরুষদের জন্য যাফরানী (লাল ও হলুদ) রং, কুসুম (লাল ও হলুদ) রং ও ওর্য়াস (লাল ও হলূদ) রংয়ে   রঞ্জিত ঊাশাক পরিধান করা মাকরূহ তাহরীমী।
ইলাউস্ সুনান কিতাবুল খাতার ওয়াল ইবাহাহ্ باب كراهة لبس الثوب المعصفر للر جال دون النساء ১ম জিঃ ৩৫৬, ৩৫৭, ৩৫৮, ৩৫৯, ৩৬০, ৩৬১, ৩৬২ পঊায় উল্লেখ আছে,
[৩১৮-৩১৯]
وفى اشعة اللمعات: ان المختا ر عند الحنفية كراهة المعصفر تحريما للر جال ويكره الصلاة فيه (296:3
অর্থঃ আশয়াতুল্ লুময়াতকিতাবে আছে, হানাফী ইমামগণের মুখতার বা গ্রহণযোগ্য মতে, পুরুষদের জন্য কুসুম (লাল ও হলুদ) রংয়ের ঊাশাক পরিধান করা মাকরূহ তাহরীমী। উহা পরিধান করে নামায আদায় করাও মাকরূহ তাহরীমী। (৩য় জিঃ ২৯৬ পঊা)।

[৩২০]
قلت: لم يقل ابو حنيفة بجواز المعصفر.
অর্থঃ আমি (জাফর আহমদ উছমানী) বলিঃ হযরত ইমাম আযম আবূ হানীফা রহমতুল্লাহি আলাইহি কখনো কুসুম রং (তথা  লাল ও হলুদ রং) জায়িয হওয়ার পঊ বলেননি।
[৩২১]
قلت: والاوفق بالحد يث ان يقال بكراهة المعصفر للر جال تحريما.
অর্থঃ- আমি (জাফর আহমদ উছমানী) বলিঃ হাদীছ শরীফের দ্বারা প্রমাণীত ঊ, পুরুষদের জন্য কুসুম (তথা লাল ও হলুদ) রংয়ের ঊাশাক পরিধান করা মাকরূহ তাহরীমী।
উপরোক্ত ফিক্বহী আলোচনা দ্বারা প্রমাণিত হল ঊ, পুরুষের জন্য ঊু লাল, উছফুর মিশানো লাল, যাফরানী লাল, ঊালাপী লাল অর্থাৎ সর্বপ্রকার লাল রংয়ের ঊাষাক পরিধান করাই মাকরুহ তাহরীমী। এটাই হানাফী মাযহাবের মুখতার বা ফতওয়াগ্রাহ্য অভিমত। স্মরনীয় ঊ, ফিক্বাহের ঊসকল ইবারতে احمر আহমারনিষিদ্ধ বা মাকরুহ বুঝা যায় উক্ত احمر আহমারদ্বারা লাল অর্থ বুঝতে হবে। আর ঊ احمر আহমারদ্বারা ঊধ বা মুস্তাহাব বুঝা যায় তা দ্বারা গন্ধম বা ঊানালী রং বুঝতে হবে। ঊহেতু হানাফীদের মতে লাল রং নিষিদ্ধ আর গন্ধম বা ঊানালী রং ঊধ।
তথাকথিত মুফতী (!) ছাহেবের ৯ম বক্তব্য
সিলেট ক্বাসেমুল উলূম খারেজী মাদ্রাসার তথাকথিত মুফতী (!) ছাহেব ফতওয়ায়ে আলমগীরী, বজলুল মাজহুদ ও ইলাউস সুনান”-এর তিনখানা ইবারত উল্লেখ করে লাল রুমালকেজায়িয করার ব্যর্থ ঊষ্টা চালিয়েছে।
তথাকথিত মুফতী (!) ছাহেবের
৯ম বক্তব্যের খণ্ডনমূলক জবাব
তথাকথিত মুফতী (!) ছাহেব উল্লিখিত তিনখানা কিতাব ঊকে তিনখানা ইবারত উল্লেখ করে ঊালা পানিতে মাছ শিকার করার ঊষ্টা করেছে। অর্থাৎ ঊ উক্ত ইবারত উল্লেখ করে চরম জালিয়াতি ও প্রতারণার আশ্রয় নিয়েছে। আমরা তার উল্লিখিত তিনখানা ইবারত উল্লেখ করতঃ তার বিস্তারিত ব্যাখ্যা ও ফায়ছালা তুলে ধরব। যাতে ব্যাপারটি আরো সুস্পষ্ট ভাবে প্রমাণিত হবে। ঊমন তথাকথিত মুফতী (!) ছাহেব লিখেছে, “ফতওয়ায়ে আলমগীরী৫ম খণ্ড ৩৩২ পঊায় লিখেন,
[৩২২]
ويكره للر جل ان يلمسن الثوب المصبوغ بالعصفر والز. عفران والورس كذا فى القا ضى خان و كذا فى الخلاصة والبزازية ......... وعن ابى حنيفة لا باس الصبغ الا حمر والاسود كذا فى الملتقط.
তথাকথিত মুফতী (!) ছাহেব উক্ত ইবারতের অর্থ করেছে এভাবে - পুরুষের জন্য জাফরান, উছফুর ও ওরস দ্বারা রঙ্গানো কাপড় পরা মাকরূহ ঊমন ফাতাওয়ায়ে ক্বাজীখানে আছে। অনুরূপ খুলাছা ও বাযযাযিয়্যাহতে উল্লেখ আছে। আবূ হানীফা (রহঃ) ঊকে বর্ণিত আছে ঊ, লাল ও কালো রং এ ঊান অনুসবিধা ঊই। ঊমন মুলতাক্বাত কিতাবে রয়েছে।
 সিলেট খারেজী মাদরাসার কথাকথিত মুফতী (!) ছাহেব ঊ কত বড় জালিয়াত, ঊাকাবাজ ও প্রতারক তা তারকঊ অনুবাদেই প্রমাণ পাওয়া যায়। ঊ উক্ত ইবারতের অনুবাদে লিখেছে, “পুরুষের জন্য জাফরান, উছফুর ও ওরস দ্বারা রঙানো কাপড় পরা মাকরূহ।
তথাকথিত মুফতী ছাহেব উক্ত ইবারতে বর্ণিত عصفر، زعفرانورس শব্দগুলোর অর্থ না করে সরাসরী উক্ত শব্দগুলোই অনুবাদে লিখে দিয়েছে। কারণ ঊ জানে উক্ত শব্দগুলোর অর্থ করলে উক্ত ইবারত খানা তার বিপঊই যাবে। ঊননা উক্ত ইবারতে মুলতঃ লাল রংয়ের কাপড় পরিধান করাকে মাকরূহ তাহরীমী বলা হয়েছে। ঊমন উক্ত ইবারতে উল্লেখ আছে,
[৩২৩]
يكره للرجل ان يلبس الثوب المصبوغ بالعصفر والزعفران والورس.
উক্ত ইবারতের সঠিক তরজমা বা অনুবাদ হলো-  পুরুষদের জন্য কুসুম (লাল ও হলুদ) রং, যাফরানী (লাল ও হলুদ) রং ও ওর্য়াস (লাল ও হলুদ) রংয়ে রঞ্জিত ঊাশাক পরিধান করা মাকরূহ তাহরীমী। অনুরূপ ফতওয়ায়ে কাযীখানকিতাবে আছে।
ঊননা লুগাত বা অভিধান সমূহে উল্লিখিত শব্দগুলোর অনুরূপ অর্থই উল্লেখ আছে। অর্থাৎ প্রতিটি শঊদ্বারা মুলতঃ লাল রংকেই বুঝানো হয়েছে। ঊহেতু লাল অনেক  প্রকার রয়েছে। অর্থাৎ উছূফুর দ্বারা রঙ্গানো লাল, উছফুর  বা কুসুম লাল, জাফরানী লাল ও ওয়ারস লাল সমস্ত লালই মাকরূহ তাহরীমী।
অতএব, প্রমাণিত হলো ঊ, তথাকথিত মুফতী ছাহেবের উল্লিখিত ইবারতের প্রথম অংশ মুলতঃ তার বিপঊই দলীল। কারণ এ অংশে লাল কাপড় জায়িয হওয়ার ঊান কথাই উল্লেখ ঊই বরং নাজায়িয বা মাকরূহ তাহরীমী হওয়ার কথাই সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ আছে।
এবার দ্বিতীয় অংশের আলোচনায় আশা যাক। দ্বিতীয় অংশে উল্লেখ আছে,
عن ابى حنيفة لا باس بالصبغ الا حمر والاسود.
এখানে তথাকথিত মুফতী (!) ছাহেব কিন্তু ঠিকই احمر শঊর অর্থ করেছে লাল রং। অথচ ইবারতের  প্রথম অংশে বর্ণিত শব্দগুলোর অর্থ না করে সরাসরি উক্ত শব্দগুলোই উঠিয়ে দিয়েছে। ঊমন উছফুর, জাফরান, ওরস। এটা জালিয়াতী, ঊাকাবাজ ও প্রতারণা নয় কি?
তার উল্লিখিত উক্ত ইবারতের দ্বিতীয় অংশের ব্যাপারে আমাদের প্রথম কথা হলো যদিও ঊান ঊান কিতাবে হযরত আবূ হানীফা রহমতুল্লাহি আলাইহি ঊকে এরূপ মত উল্লেখ আছে। কিন্তু এটাই  গ্রহণযোগ্য বা ফতওয়াগ্রাহ্য মত নয়। অর্থাৎ এ মতের উপর ফতওয়া নয় বা এটাই হানাফী মাযহাবের  চুড়ান্ত মত নয়। বরং হানাফী মাযহাবের চুড়ান্ত বা ফতওয়াগ্রাহ্য মতে লাল কাপড় পরিধান করা মাকরূহ তাহরীমী। ঊমন এ প্রসঊ ফিক্বাহের বিখ্যাত রদ্দুল মুহতারএর ৯ম জিঃ ৫১৬ পঊায় আল্লামা শামী লাল রং সম্পর্কে বিভিনঊজনের বিভিনঊমত উল্লেখ করার পর চুড়ান্ত ফায়ছালা দিয়ে বলেন,
[৩২৪-৩২৯]
اقول ولكن جل الكتب على الكراهة كالسراج والمحيط والا ختيار المنتقى والذ خيرة وغيرها وبه افتى العلا مة قاسم.
অর্থঃ- “(লাল রং সম্পর্কে যদিও অনেক অনেক মত ঊশ করেছে) কিন্তু আমি বলছি, বড় বড় (হানাফী ফিক্বাহের) কিতাব ঊমন সিরাজুল ওয়াহহাজ, মুহীত, ইখতিয়ার, মুনতাক্বা, জখীরাসহ আরো অন্যান্য কিতাব সমূহে লাল রংয়ের ঊাষাক মাকরূহ তাহরীমী হওয়ার ব্যাপারেই ফতওয়া ঊয়া হয়েছে। আর (হানাফী মাযহাবের বিখ্যাত ফক্বীহ) আল্লামা কাসিম রহমতুল্লাহি আলাইহি-এর উপরই ফতওয়া দিয়েছেন।
সুতরাং উপরোক্ত ইবারতে বর্ণিত "وبه افستى" দ্বারা সুস্পষ্টভাবেই প্রমাণিত হলো ঊ, লাল কাপড় পরিধান করা মাকরূহ  তাহরীমীএ মতটিই হানাফী মাযহাবের ফতওয়াগ্রাহ্য মত।
আবূ দাঊদ শরীফের ২য় জিঃ ২০৮ পঊায় ২নং হাশিয়ায় বিখ্যাত মুহাদ্দিছ ও হানাফী ফক্বীহ হযরত আব্দুল হক্ব মুহাদ্দিছ ঊহলভী রহমতুল্লাহি আলাইহি-এর আশয়াতুল লুমায়াতেরবরাতে লিখা হয়েছে,
[৩৩০]
والمختار من المذهب ان الكراهة انما هى لا جل اللون لا لمعصفر بخصو صه كذا حققه الشيخ قا سم الحنفى احد اعلظم علماء مصر من المتا خرين معاصر الشيخ ابن حجر العسقلانى.
অর্থঃ- হানাফী মাযহাবের মুখতারবা গ্রহণযোগ্য মত হলো, উছফুরের শর্ত ছাড়াই ঊু লাল রং হওয়ার কারণেই তা পরিধান করা মাকরূহ তাহরীমী। এটা মিশরের মুতাআখখিরীন আলিমগণের মধ্যে একজন অন্যতম বড় হানাফী আলিম যিনি আল্লামা ইবনে হাজার আসক্বালানী রহমতুল্লাহি আলাইহি-এর সমসমায়িক ছিলেন ঊই আল্লামা শায়খ কাসেম হানাফী রহমতুল্লাহি আলাইহি-এর তাহক্বীক্ব বা ফতওয়া।
বিখ্যাত মুহাদ্দিছ ও হানাফী ফক্বীহ আল্লামা শায়খ আব্দুল হক্ব মুহাদ্দিছ ঊহলভী রহমতুল্লাহি আলাইহি তাঁর বিখ্যাত ব্যাখ্যা গ্রন্থ আশয়াতুল লুময়াতএর ৩য় জিঃ ৫৪২ পঊায় লিখেন,


[৩৩১]
ومختاردر مذھب حنفی کراھت تجریمی ست ونماز گاردن  باں مکروہ ودر رنگ سر خ از غبر معصفر نیز خلاف ست  وشیخ تاسم حنفی کہ از اعا ظم علماء متا خرین مصر  واستاد قسطلا نی سن تحقیق نمودہ و فتوی دادہ بہ جرمت ازبھت لون ست نہ صبغ پس ھر سرخ خرام ومکروہ باشد.
অর্থঃ- হানাফী মাযাহাবের মুখতার বা গ্রহণযোগ্য মতে লাল কাপড় পরিধান করা মাকরূহ তাহরীমী এবং লাল কাপড় বা রুমাল পরিধান করে নামায পড়াও মাকরূহ তাহরীমী। উছফুর ব্যতীত লাল রংয়ের ব্যাপারেও মতভেদ রয়েছে। তবে শায়খ কাসেম হানাফী যিনি মিশরের মুতায়াখখিরীন আলিমগণের মধ্যে একজন অন্যতম বড় আলিম এবং ইমাম কুস্তালানী রহমতুল্লাহি আলাইহি-এর উস্তাদ তিনি তাহক্বীক্ব করে ফতওয়া দিয়েছেন ঊ, লাল রংয়ের কাপড় ঊু মাত্র লাল রং এর কারণেই হারাম। উছফুর মিশানোর কারণে নয়। সুতরাং প্রত্যেক প্রকার লাল রংয়ের কাপড় পরিধান করাই হারাম ও মাকরূহ তাহরীমী হবে।
আবূ দাঊদ শরীফের হাশিয়া ও আশয়াতুল লুময়াতকিতাবের উপরোক্ত ইবারত দ্বারা সুস্পষ্ট ও অকাট্যভাবেই প্রমাণিত হলো ঊ, পুরুষের জন্য সর্বপ্রকার লাল রংয়ের কাপড় পরিধান করা হারাম বা মাকরূহ তাহরীমী। আর এটাই হানাফী মাযহাবের  মুখতার বা গ্রহণ ঊাগ্য অভিমত। ঊননা উক্ত ইবারতদ্বয়ে সুস্পষ্ট ভাবেই একথা উল্লেখ আছে ঊ,


[৩৩২]
والمختار من المذ هب ومختار درمذ هب حنفى
সুতরাং লাল রং মাকরূহ তাহরীমী হওয়ার মতটিই ফতওয়াগ্রাহ্য  ও মুখতার বা গ্রহণযোগ্য। কাজেই যদিও ঊান কিতাবে ইমাম আবূহানাফী ঊকে لاباس ঊান অসুবিধা ঊইএ কথা উল্লেখ আছে কিন্তু এটা ইমাম আবূ হানীফা রহমতুল্লাহি আলাইহি-এর বা হানাফী মাযহাবের مفتى به বা مختار অর্থাৎ ফতওয়া গ্রাহ্য বা গ্রহণযোগ্য মত নয়। অতএব, উক্ত ইবারত দলীল হিসেবে উল্লেখ করা মাযহাব এবং ফতওয়া ও উছুলে ফিক্বাহ সম্পর্কে চরম অজ্ঞতারই পরিচায়ক এবং চরম জালিয়াতী ও প্রতারণা ঊ কিছুই নয়।
দ্বিতীয় কথা হলো, ইমামে আযম আবূ হানীফা রহমতুল্লাহি আলাইহি ঊকে ঊ বর্ণিত আছে,
[৩৩৩]
لابأس بالصبخ الاحمر والا سود
উল্লিখিত ইবারতে বর্ণিত احمر শঊদ্বারা ইমামে আযম আবূ হানীফা রহমতুল্লাহি আলাইহি গন্ধম বা ঊানালী রংও ঊা মুরাদ নিতে পারেন। ঊহেতু احمر শব্দটি গন্ধম বা ঊানালী রংয়ের অর্থেও ব্যবঊ হয়। আর হানাফী মাযহাবেও গন্ধম বা ঊানালী রং ব্যবহারে ঊান অনুবিধা ঊই অর্থাৎ জায়িয।
সুতরাং এদিক ঊকেও উক্ত ইবারতখানা তথাকথিত মুফতী ছাহেবের মতের পঊ দলীল হিসেবে ঊাটেও গ্রহণযোগ্য হয়না।
ঊাট কথা হলো, “ফতওয়ায়ে আলমগীরীরউক্ত ইবারত দ্বারা মুলতঃ সর্ব প্রকার লাল রংয়ের কাপড় পরিধান করা মাকরূহ তাহরীমী সাব্যস্ত করা হয়েছে। কাজেই উক্ত ইবারত কিভাবে তথাকথিত মুফতী (!) ছাহেবের পঊ দলীল হলো?
তথাকথিত মুফতী (!) ছাহেবের দ্বিতীয় পুঁজি হচ্ছে, ‘বজলুল মাজহুদতথাকথিত মুফতী (!) ছাহেব লিখেছে, বজলুল মাজহুদ (আবূ দাঊদের ব্যাখ্যা গ্রন্থ) ৫/৫১ পৃঃ লিখেন,
[৩৩৪]
قال القاضى عياض ولهذا حجة لما ذهب اليه الشا فعى وغيره ان لبس الثوب الا حمر اذا لم يكن حريرالاكر هة فيه قلت وعند الحنفية اذالم يكن حريرا ولا معصفرا يجوز لبسه.
উক্ত ইবারতে হযরত ক্বাযী আয়ায রহমতুল্লাহি আলাইহি এর বক্তব্য দ্বারা বুঝা যাচ্ছে ঊ, লাল রং এর কাপড় যদি ঊশমী না হয় তবে তা জায়িয, মাকরূহ নয়। এটা মূলতঃ শাফিয়ী মাযহাবের অভিমত। অর্থাৎ শাফেয়ী মাযহাবে লাল রংয়ের কাপড় পরিধান করা জায়িয়।
কাজেই বজলুল মাজহুদের এ অংশে হানাফীদের জন্য বা তথা কথিত মুফতী (!) ছাহেবের জন্য ঊানই দলীল ঊই। রবং তথাকথিত মুফতী (!) ছাহেব শাফেয়ী মাযহাবের মতকে দলীল হিসেবে ঊশ করে এটাই প্রমাণ করলো ঊ, ঊ মাযহাব সম্পর্কেও ঊহায়েতই অজ্ঞ।
এবার বজলুল মাযহুদের লিখকের বক্তব্যের আলোচনায় আসা যাক, বজলুল মাজহুদের লিখক খলীল আহমদ সাহারানপূরী ঊওবন্দী লিখেছেন,
[৩৩৫]
قلت وعند الحنفية اذا لم بكن حريرا ولا معصفرا يجوز لبسه.
মুলতঃ উক্ত ইবারতের জবাব দুভাবেই হতে পারে। প্রথমতঃ বজলুল মাযহুদ কিতাবখানা এবং উক্ত কিতাবের মুছান্নিফ সকলের নিকট নির্ভরযোগ্য ও গ্রহণযোগ্য নয়। সঙ্গতঃ কারণেই উক্ত কিতাবের সকল মতের উপর নির্ভর করা যায়না। তাছাড়া বজলুল মাজহুদেরউক্ত মতটি একান্তই লিখকের নিজস্ব মত যার স্বপঊ লিখক নির্ভরযোগ্য ঊান ব্যক্তি বা কিতাবের দলীল ঊশ করতে পারেনি। মুলতঃ তার উক্ত মতটি হানাফী মাযহাবের বড় বড় ফক্বীহ ও কিতাবের মতের সম্পূর্ণই খিলাফ। সুতরাং এরূপ একটি বক্তব্য দলীল হিসেবে কি করে গ্রহণযোগ্য হতে পারে? তাছাড়া নির্ভরযোগ্য কিতাবের বিপরীত মতও উল্লেখ আছে। ঊমন এ প্রসঊ শামায়িলুত্ তিরমিযীর শরাহ জামউল ওয়াসায়িল১ম জিঃ ১৪৪ পঊায় উল্লেখ আছে,
[৩৩৬]
وتحقيق القول فيها ان كا نت من حرير غير حمراء فاستعما لها ممنوع لاجل انها من الحرير واستعمال الحريرللرجل حرام لا صيما ان كا نت مع ذلك حمراء وان كا نت غير حرير فالنهى فيها.
অর্থঃ এখানে মূল কথা হলঃ যদি কাপড় লাল রং ছাড়াই ঊশমী হয়, তাহলে তা হারীর তথা ঊশমী হওয়ার কারণে নিষেধ বা হারাম। পুরুষদের জন্য ঊশমী ঊাশাক পরিধান করা হারাম, তার সাথে লাল রং থাকলেও হারাম। হারীর বা ঊশমী ছাড়াই যদি লাল রংয়ের কাপড় হয়, তাহলে তাও নিষেধ বা হারাম।
দ্বিতীয়তঃ বযলুল মাজহুদের লিখকের উক্ত মতটি সম্পূর্ণরূপেই হানাফী মাযহাবের ফতওয়াগ্রাহ্য  ও মুখতার মতের খিলাফ। ঊননা হানাফী মাযহাবের ফতওয়াগ্রাহ্য ও মুখতার মত হলো লাল রং যদি উছফুর মিশানো ছাড়াও হয় তবুও তা মাকরূহ তাহরীমী। ঊমন এ প্রসঊ আবূ দাঊদ শরীফের ২য় জিঃ ২০৮ পঊায় ২নং হাশিয়ায় বিখ্যাত মুহাদ্দিছ ও হানাফী ফক্বীহ হযরত আব্দুল হক্ব মুহাদ্দিছ ঊহলভী রহমতুল্লাহি আলাইহি-এর আশয়াতুল লুমায়াতেরবরাতে লিখা হয়েছে,
[৩৩৭]
والمختاز من المذ هب ان الكرا هة انما هى لا جل اللون لا لمعصفر بخصوصه كذا حققه الشيخ قاسم الحنفى احد اعال ظم علماء مصز من المتا خرين معاصر الشيخ ابن حجر العسقالانى.
অর্থঃ- হানাফী মাযহাবের মুখতারবা গ্রহণযোগ্য মত হলো, উছফুরের শর্ত ছাড়াই ঊু লাল রংয়ের হওয়ার কারণেই তা পরিধান করা মাকরূহ তাহরীমী। এটা মিশরের মুতায়াখখিরীন আলিমগণের মধ্যে একজন অন্যতম বড় হানাফী আলিম যিনি আল্লামা ইবনে হাজার আসক্বালানী রহমতুল্লাহি আলাইহি-এর সমসমায়িক ছিলেন ঊই আল্লামা শায়খ কাসেম হানাফী রহমতুল্লাহি আলাইহি-এর তাহক্বীক্ব বা ফতওয়া।
বিখ্যাত মুহাদ্দিছ ও হানাফী ফক্বীহ আল্লামা শায়খ আব্দুল হক্ব মুহাদ্দিছ ঊহলভী রহমতুল্লাহি আলাইহি তাঁর বিখ্যাত ব্যাখ্যা গ্রন্থ আশয়াতুল লুময়াতএর ৩য় জিঃ ৫৪২ পঊায় লিখেন,
[৩৩৮]
ومختاردرمذھب حنفی کراھت تحربمی ست ونماز  گزاردن باں مکروہ ودر رنگ سرخ از غیر معصفر نیز خلاف ست وشیخ قاسم حمفی کہ از اعاظم علماء متا خرین مصر واستاد قسطلانی ست تحقیق نمودہ و فنوی دادہ کہ حر مت از بھت لون ست نہ ثبغ پس ھر سرخ حرام ومکروہ باشد.
অর্থঃ- হানাফী মাযহাবের মুখতার বা গ্রহণযোগ্য মতে লাল কাপড় পরিধান করা মাকরূহ তাহরীমী এবং লাল কাপড় বা রুমাল পরিধান করে নামায পড়াও মাকরূহ তাহরীমী। উছফুর ব্যতীত লাল রংয়ের ব্যাপারেও মতভেদ রয়েছে। তবে শায়খ কাসেম হানাফী যিনি মিশরের মুতায়াখখিরীন আলিমগণের মধ্যে একজন অন্যতম বড় আলিম এবং ইমাম কুস্তালানী রহমতুল্লাহি আলাইহি-এর উস্তাদ তিনি তাহক্বীক্ব করে ফতওয়া দিয়েছেন ঊ, লাল রংয়ের কাপড় ঊু মাত্র লাল রং এর কারণেই হারাম। উছফুর মিশানোর কারণে নয়। সুতরাং প্রত্যেক প্রকার লাল রংয়ের কাপড় পরিধান করাই হারাম ও মাকরূহ তাহরীমী হবে।
কাজেই উছফুর মিশানো না হলে লাল রং জায়িয বজলুল মাজহুদের লিখক ঊওবন্দী ঊৗলবী ছাহেব তথাকথিত মুফতী (!) ছাহেবের স্বগোত্রীয় খলীল আহমদ সাহারানপূরীর এ বক্তব্য ভুল ও হানাফী মাযহাবের ফতওয়াগ্রাহ্য ও মুখতার মতের স¤র্ূেই খিলাফ বলে প্রমাণিত হলো। সুতরাং তথাকথিত মুফতী (!) ছাহেবের উল্লিখিত বযলুল মাজহুদের উক্ত ইবারতটিও দলীল হিসেবে টিকছেনা।
অতঃপর  তথাকথিত মুফতী (!) ছাহেব তার আরেক স্বগোত্রীয় ও ঊওবন্দী জাফর আহমদ উছমানী ছাহেবের লিখিত কিতাব লাউস সুনানেরএক খানা ইবারত উল্লেখ করেছে। ঊমন ঊ লিখেছে লাউস্ সুনান”  গ্রুর ১৭/৩৬১ পঊায় লিখেন,
[৩৩৯]
قلت: والاوفق بالحسديث ان يقال بكراهة المعصفر للر جال تحريما وجواز الاحمر سواء الا انه خلاف الاولى.
লাউস্ সুনানের উক্ত ইবারত খানাও কয়েকটি কারণে দলীল হিসেবে গ্রহণযোগ্য নয়। প্রথমতঃ ঊহেতু উক্ত বক্তব্য লিখকের অর্থাৎ জাফর আহমদ ওছমানী ছাহেবের একান্তই নিজস্ব বা ব্যক্তিগত মত। সুতরাং কারো ব্যক্তিগত মত কখনোই দলীল হতে পারে না।
দ্বিতীয়তঃ উক্ত ইবারতের প্রথম অংশে উল্লেখ আছে,
[৩৪০]
والا وفق بالحديث ان يقال بكراهة المعصفر للر جال تحريما.
অর্থাৎ- হাদীছ শরীফের আলোকে এটাই প্রমাণিত হয় ঊ, পুরুষের জন্য উছফুর লাল রংয়ের কাপড় পরিধান করা মাকরূহ তাহরীমী।
মুলতঃ উক্ত ইবারত দ্বারা উছফুর লালও ঊ নাজায়িয ঊটাই বুঝানো হয়েছে। আর দ্বিতীয় অংশে ঊ বলা হয়েছে,
وجواز الا حمر سواه الا انه خلاف الاولى.
জাফর আহমদ উছমানী ছাহেবের এ মতটি ঊহেতু হানাফী মাযহাবের ফতওয়া গ্রাহ্য ও মুখতার বা গ্রহণযোগ্য মতের সম্পূর্ণই খিলাফ তাই তার এমতটি দলীল হিসেবে ঊাটেও গ্রহণযোগ্য নয়। তার মতটি ঊ ফতওয়াগ্রাহ্য ও মুখতার মতের খিলাফ তার প্রমাণ বযলুল মাযহুদেরবক্তব্যের জবাবেও রয়েছে। ঊখানেও এ কথা সুস্পষ্টভাবেই উল্লেখ আছে ঊ, হানাফী মাযহাবের মুখতার মতে পুরুষের জন্য সর্ব প্রকার লাল রংয়ের কাপড় পরিধান করা মাকরূহ তাহরীমী। কাজেই হানাফী মাযাহাবের ফতওয়াগ্রাহ্য ও মুখতার মতের বিপরীতে জাফর আহমদ ওছমানী ছাহেবের একান্তই নিজস্ব বা ব্যক্তিগত মত কি করে দলীল হিসেবে গ্রহণযোগ্য হতে পারে? মুলতঃ এরূপ মতকে দলীল হিসেবে ঊশ করা জিহালতীপ্রতারণা ও জালিয়াতী ঊ কিছুই নয়।
মুলকথা হলো, তথাকথিত মুফতী (!) ছাহেবের উল্লিখিত ফতওয়ায়ে আলমগীরী, বজলুল মাজহুদ ও ইলাউস সুনানের বক্তব্য দ্বারা লাল রংয়ের কাপড় পরিধান করা কখনোই জায়িয প্রমাণিত হয়না।
(অসমাপ্ত)

0 Comments: