কাদিয়ানি রদ - ৫


মির্জ্জা গোলাম আহমদ সাহেব প্রতিশ্রুত মাহদী হইতে পারেন কিনা?
(পূর্ব প্রকাশিতের পর)
 (১৮) শেখ আলি মোত্তাকির প্রণীত রোরহান কেতাবে আছে,
يجى من الحجاز حتى يستوى  على منبرد مشق.
মাহদী হেজাজ হইতে আগমন করিয়া দেমাশকের মিম্বরে (খোৎবা পড়িতে) বসিবেন।
(১৯) মিশকাত শরীফ’, ৪৬৭ পৃষ্ঠা-
عن ابى هريرة ان النبى صنعم قال هل سمعتم بمدينة جاتب منها فى الير وجائب منها فى البحر قالوانعم يا رسول الله قال لا تقوم الساعة حتى يغزوها ستعون الفامن بنى اسحاق فلما جاؤ ها نزلوا قلم يقاتلوا بسلاح ولم يرموا بسهم قالو الا اله الا الله والله اكبر فيسقط احد جا نبيها قال ثوربن يزيد الراوى لا اعلمه الاقال الذى فى البحر ثم يقولون الثانيه لا اله الا الله والله اكبر فيسقط جائبها الاخرثم يقولون الثالثة لا اله الا اله والله اكبر فيفرج لم فيد خلونها فيغنمون فبيناهم يقتسمون المغائم اذحاء هم الصربخ فغقال ان الدجال قد خرج فيتر كون كل شى ويرحعون رواه مسلم.
আবু হোরায়রা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি রেওয়াত করিয়াছেন, নিশ্চয় নবী করিম ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বলিয়াছেন, তোমরা কি এরূপ একটি শহরের কথা শ্রবণ করিয়াছ- যাহার একদিক স্থল এবং অন্যদিক সমুদ্র? তাঁহারা বলিলেন হাঁ, ইয়া রসূলাল্লাহ, হজরত বলিলেন, ক্বিয়ামত উপস্থিত হইবেনা- যতক্ষণ (না) ৭০ সহস্র বনু ইছহাক (শামী মুছলমান) উক্ত শহরবাসিদিগের সহিত যুদ্ধ করেন, যখন তাঁহারা উক্ত শহরের নিকট উপস্থিত হইবেন, উহার চতুর্দিকে অবতরণ করিবেন। তাহারা অস্ত্রশস্ত্র দ্বারা যুদ্ধ করিবেন না এবং তীর নিক্ষেপ করিবেন না, বরং তাঁহারা বলিবেন, লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ আল্লাহু-আকবর, ইহাতে উহার একদিক (রাবি ছওর ইবনে ইজিদ বলেন, সমুদ্রের দিকস্থ প্রাচীর) ভাঙ্গিয়া পড়িবে। তৎপরে তাঁহারা উক্ত কালেমা দ্বিতীয় বার বলিবেন, ইহাতে উহার দ্বিতীয় দিকের প্রাচীর পতিত হইবে। তৎপরে তাঁহারা তৃতীয়বার উক্ত শব্দ বলিবেন, ইহাতে তাঁহাদের জন্য উহার দ্বার উদঘাটিত করা হইবে। তাঁহারা উক্ত শহরের মধ্যে প্রবেশ করিয়া যুদ্ধ সম্বার লুক্তন করিবেন। তৎপরে তাঁহারা লুক্তিত দ্রব্যগুলি বন্টন করিতে থাকিবেন, এমতাবস্থায় একজন ঘোষণাকারী তাঁহাদের নিকট উপস্থিত হইয়া বলিবে, নিশ্চয় দাজ্জাল বাহির হইয়াছে, তখন তাঁহারা সমস্ত বস্তু ত্যাগ করিয়া রওয়ানা হইয়া যাইবেন। মোছলেম ইহা বর্ননা করিয়াছেন।
(২০) এবনো মাজাশরিফ-
قال رسول الله صلى الله عليه وسلم لول بيق من الدنيا الا يوم واحد لطوله الله عزوجل حتى بملك رجل ن اهل بيتى جبل الد يلم والقسطنطينة.
রাছুলুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বলেন, যদি দুনিয়ার কেবল এক দিবস ব্যতীত বাকী না থাকে, তবু বোজর্গবরতর খোদা উহা (দিবসকে) লম্বা করিয়া দিবেন, এমন কি আমার আহলে-বয়েত একব্যক্তি দয়লম পর্ব্বত ও কনষ্টান্টিনোপলের মালিক হইয়া যাইবে।
উপরোক্ত হাদিসগুলিতে বুঝা যাইতেছে যে, এমাম মাহদীর প্রকাশিত হওয়ার পূর্বে তুরস্ক রাজ্য বিধ্বস্ত হইবে। মদীনা শরিফের নিকটস্থ খয়বর অবধি কেবল মুসলমানদের অধিকার ভুক্ত থাকিবে। তুরস্ক, এরাক ও শাম সমস্তই খৃষ্টানদের রাজ্য ভুক্ত হইবে। এমম মাহদী খলিফা হইবেন। সমস্ত খৃষ্টান শক্তি তাঁহার বিরুদ্ধে প্রয়োগ করা হইবে, ইমাম মাহদী ও তাঁহার সহায়তাকারী মোজাহেদগন উক্ত যুদ্ধে জয়ী হইয়া কনষ্টান্টিনোপল ও সমস্ত মুসলমান রাজ্য অধিকারভুক্ত করিয়া লইবেন। এই যুদ্ধকে হাদিছ শরিফে ভয়ঙ্কর যুদ্ধ বলা হইয়াছে, এই খ্রিস্টানদের সেনাদলের সংখ্যা ৯৬০০০০ হইবে।
(২১) মেশকাত শরীফ, ৪৬৭ পৃষ্ঠা-
عن معاذبن جبل قال قال رسول الله صلعم عمران بيت المقدس خراب يثرب وخراب يثراب خروج الملحمة وخروج الملحمة فتح قسطنطينة وفتح قسططينة خروج الدجال رواه ابوداؤد.
বয়তুল মোকাদ্দছের উন্নতি মদিনা শরিফের উৎসন্ন হওয়ার কারণ হইবে। পবিত্র মদীনা শরীফের শ্রীহীন হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ভয়ঙ্কর যুদ্ধ উপস্থিত হইবে। উক্ত যুদ্ধের পরেই কনষ্টান্টিনোপল অধিকারে আসিবে, উহা অধিকৃত হওয়ার পরেই দাজ্জাল বাহির হইবে। আবু দাউদ শরীফ উহা রেওয়াএত করিয়াছেন।” (অসমাপ্ত)

0 Comments: