হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র নসবনামা মুবারক

পবিত্র নসবনামা মুবারক
হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র নসবনামা মুবারক
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহা পবিত্র সুমহান. জীবনী মুবারক (৫০)
খাইরু খালক্বিল্লাহ, খাইরুল আলামীন, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র নসবনামা মুবারক হাদীছ শরীফ-এ এসেছে,
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ করেন, لم ازل انقل من اصلاب الطاهرين الى ارحام الطاهرات.
অর্থ: “আমি সব সময় পবিত্র পুরুষগণের পৃষ্ঠ মুবারক হতে পবিত্রা নারীগণের রেহেম শরীফ-এ স্থানান্তরিত হয়ে যমীনে তাশরীফ এনেছি।” (তাহক্বীকুল মাকাম আল কিফাইয়াতিল আওয়াম)
আল্লাহ পাক উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নসব মুবারক কায়িনাতের সর্বশ্রেষ্ঠ সর্বোত্তম নসব মুবারক। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পিতা ও পিতামহ আলাইহিমুস সালাম উনার এবং মাতা ও মাতামহ আলাইহিন্নাস সালাম উনারা হযরত আদম আলাইহিস সালাম ও হযরত হাওয়া আলাইহিস সালাম পর্যন্ত সকলেই ছিলেন নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম বা খাঁটি ঈমানদার। উনাদের মধ্যে কেউই ফাসিক, কাফির ছিলেন না। উনারা সকলেই পূত-পবিত্র ছিলেন। মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বলেন, “আল্লাহ পাক আমাকে সব সময় এমন পবিত্র পৃষ্ঠ মুবারক হতে পবিত্র রেহেম শরীফ-এ স্থানান্তরিত করতেছিলেন যা পূর্ব হতেই পবিত্র, সুসজ্জিত এবং মনোনীত ছিলো। (সুবহানাল্লাহ)। যখন দুটি শাখা বের হতো তখন আমি এই দুটি শাখার সর্বোত্তম শাখায় থাকতাম।” (বারাহীনুল ক্বাতইয়্যাহ, মাওয়াহিবুল লাদুননিয়া- ১/১৩, সীরাতুল হালবিয়া- ১/৩১)
সম্মানিত পিতার দিক থেকে
১। সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হযরত মুহম্মদ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম।
২। সাইয়্যিদুনা হযরত আব্দুল্লাহ আলাইহিস সালাম। হাদীছ শরীফ-এ ইরশাদ হয়েছে, “আল্লাহ পাক উনার নিকট অতি প্রিয় নাম হচ্ছে আব্দুল্লাহ ও আব্দুর রহমান।” আখিরী রসূল, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত পিতা সেই প্রিয় নামেরই অধিকারী ছিলেন। সুবহানাল্লাহ! (সীরাতুল হালাবিয়া ১/৯)
৩। সাইয়্যিদুনা হযরত আব্দুল মুত্তালিব আলাইহিস সালাম। তিনি উনার সম্প্রদায়ের সাইয়্যিদ বা সরদার ছিলেন। (রওদুল উনফ ১/২৩) তিনি সেই ব্যক্তি যিনি জাহিলী যুগেই নিজের জন্য শরাবকে হারাম করেছেন। তিনি ছিলেন মুজতাজাবুত দাওয়াত। কুরাঈশদের সহনশীল ধৈর্যশীল এবং সর্বাধিক জ্ঞানী ব্যক্তিগণের মধ্যে শ্রেষ্ঠ। মানুষ উনার দানশীলতার জন্য উনাকে “ফাইয়াজ” লক্ববে অবহিত করতেন।” সুবহানাল্লাহ! (সীরাতুল হালাবিয়া- ১/৯)
৪। সাইয়্যিদুনা হযরত হাশিম আলাইহিস সালাম।
৫। সাইয়্যিদুনা হযরত আবদে মানাফ আলাইহিস সালাম। উনার নাম মুগীরা। তিনি অতি সুন্দর সীরত-ছূরত মুবারক-এর অধিকারী ছিলেন। সেই সৌন্দর্যের কারণে উনাকে ‘উপত্যকার চাঁদ’ লক্ববে সম্বোধন করা হতো।” সুবহানাল্লাহ! (সীরাতুল হালাবিয়া- ১/১৩ রওদুল উনফ ১/২৫, তারিখুত তাবারী ১/২৩৭) মূলত সেই পবিত্র নসব নামা মুবারক-এর সকলেরই আকৃতি-প্রকৃতি, সীরত-ছূরত ছিলো অতি উজ্জ্বল এবং সৌন্দর্যময়। আর তার কারণ ছিলো সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার অজুদ মুবারক বা নূর মুবারক-এর অবস্থান।
৬। সাইয়্যিদুনা হযরত কুসাই আলাইহিস সালাম।
৭। সাইয়্যিদুনা হযরত কিলাব আলাইহিস সালাম।
৮। সাইয়্যিদুনা হযরত মুররা আলাইহিস সালাম।
৯। সাইয়্যিদুনা হযরত কা’ব আলাইহিস সালাম।
১০। সাইয়্যিদুনা হযরত লুয়াই আলাইহিস সালাম।
১১। সাইয়্যিদুনা হযরত গালিব আলাইহিস সালাম।
১২। সাইয়্যিদুনা হযরত ফিহির আলাইহিস সালাম।
১৩। সাইয়্যিদুনা হযরত মালিক আলাইহিস সালাম।
১৪। সাইয়্যিদুনা হযরত নযর আলাইহিস সালাম।
১৫। সাইয়্যিদুনা হযরত কিনানাহ আলাইহিস সালাম।
১৬। সাইয়্যিদুনা হযরত খুযাইমাহ আলাইহিস সালাম।
১৭। সাইয়্যিদুনা হযরত মাদরিকাহ আলাইহিস সালাম। উনার নাম মুবারক আমর। এই কারণে উনাকে মাদরিকাহ বলা হয় যে, তিনি সেই যুগের সমস্ত সম্মান-ইজ্জত ও গৌরবের অধিকারী ছিলেন। উনার মধ্যে আখিরী রসূল, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নূর মুবারকের এমন উজ্জলভাবে প্রকাশ ঘটেছিল যা সবাই দেখতে পেতেন।” সুবহানাল্লাহ! (সীরাতুল হালাবিয়া- ১/২৭ রওদুল উনফ ১/৩০)
১৮। সাইয়্যিদুনা হযরত ইলিয়াস আলাইহিস সালাম। তিনি ছিলেন উনার সম্প্রদায়ের সাইয়্যিদ।
হাদীছ শরীফে ইরশাদ হয়েছে, “তোমরা ইলিয়াস আলাইহিস সালাম উনাকে গালি দিওনা। কারণ, তিনি ছিলেন প্রকৃত মু’মিন। তিনিই উনার পিঠ মুবারকের মধ্যে আখিরী রসূল, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার তালবিয়া (যা হজ্জের মধ্যে পড়া হয়) পাঠ শুনতে পেতেন।” (সীরাতুল হালাবিয়া- ১/২৭, রওদুল উনফ- ১/৩০)
১৯। সাইয়্যিদুনা হযরত মুদ্বার আলাইহিস সালাম। উনার কণ্ঠস্বর মুবারক ছিলো অত্যন্ত সুন্দর।
হাদীছ শরীফ-এ ইরশাদ হয়েছে, “তোমরা মুদ্বার আলাইহিস সালাম উনাকে গালি দিওনা, মন্দ বলিও না। কারণ তিনি হযরত ইবরাহীম আলাইহিস সালাম উনার দ্বীনের উপর প্রতিষ্ঠিত ছিলেন।” (সীরাতুল হালাবিয়া- ১/২৭ রওদুল উনফ ১/৩০)
২০। সাইয়্যিদুনা হযরত নিযার আলাইহিস সালাম। তিনি স্বীয় চোখের সামনে আখিরী রসূল, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নূর মুবারক দেখতে পেতেন।” সর্ব প্রথম আরবী ভাষায় বিশুদ্ধ কিতাব তিনিই রচনা করেন। (সীরাতুল হালাবিয়া- ১/২৮)
২১। সাইয়্যিদুনা হযরত মা’য়াদ আলাইহিস সালাম। তিনি যুদ্ধ প্রিয় ছিলেন। এমন কোন যুদ্ধ নেই যে, তিনি বিজয়ী হননি। (সীরাতুল হালাবিয়া- ১/২৮)
২২। সাইয়্যিদুনা হযরত আদনান আলাইহিস সালাম।
২৩। সাইয়্যিদুনা হযরত আদদ আলাইহিস সালাম।
২৪। সাইয়্যিদুনা হযরত মা’কুম আলাইহিস সালাম।
২৫। সাইয়্যিদুনা হযরত নাহুর আলাইহিস সালাম।
২৬। সাইয়্যিদুনা হযরত তারিহ আলাইহিস সালাম।
২৭। সাইয়িদুনা হযরত ইয়ারিব আলাইহিস সালাম
২৮। সাইয়িদুনা হযরত ইয়াশযুব আলাইহিস সালাম
২৯। সাইয়িদুনা হযরত নাবিত আলাইহিস সালাম
৩০। সাইয়িদুনা হযরত ইসমাইল আলাইহিস সালাম
তিনি আল্লাহ পাক উনার জলিলুল ক্বদর রসূল। সাইয়্যিদুল মুরসালীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বলেন-
انا ابن الذ بحين
অর্থ: “আমি দুই যবেহের সন্তান”। হযরত ইসমাইল আলাইহিস সালাম এবং উনার সম্মানিত পিতা হযরত আব্দুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনাদেরকে বুঝিয়েছেন। উনারা দু’জন যবেহ হননি এবং হযরত ইবরাহীম আলাইহিস সালাম উনাকে আগুন পোড়াতে পারেনি। কারণ উনাদের পিঠ মুবারকে অব¯’ান নিয়েছিলেন আখিরী রসূল, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নূর মুবারক।
৩১। সাইয়্যিদুনা হযরত ইবরাহীম আলাইহিস সালাম। তিনি মুসলিম মিল্লাতের পিতা।আল্লহ পাক উনার জলিলুল কদর রসূল।
৩২। সাইয়্যিদুনা হযরত তারিখ আলাইহিস সালাম।কেঊ কেঊ বলে যে সাইয়্যিদুনা হযরত ইবরাহীম আলাইহিস সালাম উনার পিতার নাম ছিল আযর। (নাউযুবিল্লাহ) এটা কুফরী আক্বীদা। কারণ আযর কাফির ছিলো।
মূলত তাদের এ বক্তব্য সম্পূর্ণ ভুল ও অশুদ্ধ এবং কাট্টা কুফরী। কারণ সীরাতুল হালাবিয়াসহ অন্যান্য সীরাত গ্রন্থে উল্লেখ আছে-
اجمع اهل الكتاب على ان ازر كان عمه والعرب سمى العم ابا كما تسمى الخالة اما فقد حكى الله عن يعقوب عليه السلام انه قال ابائى ابراهيم واسماعيل ومعلوم ان اسماعيل انما هوعمه.
অর্থাৎ আহলে কিতাবগণের ইজমা হয়েছে যে, আযর ছিল হযরত ইবরাহীম আলাইহিস সালাম উনার চাচা। আরবরা সাধারণত চাচাকে বাবা বলে সম্বোধন করতেন। যেমন খালাকে মা বলে সম্বোধন করতেন। আল্লাহ পাক তিনি হযরত ইয়াকুব আলাইহিস সালাম উনার ঘটনা উল্লেখ করেছেন সেখানে তিনি বলেছেন, “আমার পিতা হযরত ইবরাহীম আলাইহিস সালাম এবং ইসমাঈল আলাইহিস সালাম।” আর ইহা সর্বজন বিদিত যে, ইসমাঈল আলাইহিস সালাম তিনি ছিলেন উনার চাচা। (সীরাতুল হালাবিয়া-১/৪৫)
৩৩। সাইয়্যিদুনা হযরত নাহুর আলাইহিস সালাম
৩৪।সাইয়িদুনা হযরত আরগুবি আলাইহিস সালাম
৩৫। সাইয়িদুনা হযরত সারিহ আলাইহিস সালাম
৩৬। সাইয়িদুনা হযরত ফালিহ আলাইহিস সালাম
৩৭।সাইয়িদুনা হযরত আবির আলাইহিস সালাম
৩৮।সাইয়িদুনা হযরত শালিখ আলাইহিস সালাম
৩৯।সাইয়িদুনা হযরত আরফাখশাজ আলাইহিস সালাম
৪০। সাইয়িদুনা হযরত সাম আলাইহিস সালাম
৪১।সাইয়িদুনা হযরত নূহ আলাইহিস সালাম
তিনি আল্লাহ পাক-এর জলিলুর ক্বদর রসূল।
৪২।সাইয়িদুনা হযরত লাকুম আলাইহিস সালাম
৪৩। সাইয়িদুনা হযরত মাতুশালাখ আলাইহিস সালাম
৪৪।সাইয়িদুনা হযরত আখনুখ আলাইহিস সালাম। যিনি হযরত ইদরীস আলাইহিস সালাম নামে মাশহুর। (তারিখুত তাবারী ১/৫১৮)
৪৫। সাইয়িদুনা হযরত ইয়ারদ আলাইহিস সালাম
৪৬।সাইয়িদুনা হযরত মাহলাইল আলাইহিস সালাম।
৪৭।সাইয়িদুনা হযরত কাইনান আলাইহিস সালাম
৪৮।সাইয়িদুনা হযরত আনুশ আলাইহিস সালাম ।
৪৯।সাইয়িদুনা হযরত শীছ আলাইহিস সালাম তিনিও আল্লাহ পাক উনার রসূল ছিলেন। উনার উপর ৫০ খানা সহীফা নাযিল হয়েছিল।
৫০।সাইয়িদুনা আবুল বাশার হযরত আদম আলাইহিস সালাম।
(দালায়িলুন নবুওওয়াত লিল বাইহাক্বী ১/১৭৯- সীরাতু ইবনে হিশাম- ১/১-২, সীরাতুল হালাবিয়া- ১/৯, মাওয়াহিবুল লাদুন্নিয়া, তারিখুত তাবারী ১/৪৯৭ রাওদুল উনফ ১/২৩ শরহুল আল্লামাতিয যারকানী ১/৩৫ ইত্যাদি)
সম্মানিতা মাতার দিক থেকে
১। সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম।
২। সাইয়্যিদাতুনা হযরত আমিনা আলাইহাস সালাম। যিনি আল্লাহ পাক উনার হাবীব নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আম্মাজান। যিনি হ”েছন সর্বশ্রেষ্ঠ মাতা।
হযরত আমিনা আলাইহাস সালাম তিনি ছিলেন কুরাইশ বংশের সবচেয়ে বেশি মর্যাদাসম্পন্ন ও সম্ভ্রান্ত। সুবহানাল্লাহ! (সীরাতুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)
৩। হযরত আমিনা আলাইহাস সালাম উনার পিতা ছিলেন সাইয়্যিদুনা ওয়াহাব আলাইহিস সালাম।
৪। সাইয়্যিদুনা হযরত আবদে মানাফ আলাইহিস সালাম।
৫। সাইয়্যিদুনা হযরত যুহরা আলাইহিস সালাম।
৬। সাইয়্যিদুনা হযরত কিলাব আলাইহিস সালাম।
৭। সাইয়্যিদুনা হযরত মুররা আলাইহিস সালাম।
৮। সাইয়্যিদুনা হযরত কা’ব আলাইহিস সালাম।
৯। সাইয়্যিদুনা হযরত লুয়াই আলাইহিস সালাম।
১০। সাইয়্যিদুনা হযরত গালিব আলাইহিস সালাম।
১১। সাইয়্যিদুনা হযরত ফিহির আলাইহিস সালাম।
১২। সাইয়্যিদুনা হযরত মালিক আলাইহিস সালাম।
১৩। সাইয়্যিদুনা হযরত নযর আলাইহিস সালাম।
১৪। সাইয়্যিদুনা হযরত কিনানাহ আলাইহিস সালাম।
১৫। সাইয়্যিদুনা হযরত খুযাইমাহ আলাইহিস সালাম।
FAVOURITE QUOTES
মুবারক হো! পবিত্র সাইয়্যিদুল আইয়াদ শরীফ উপলক্ষ্যে রাজারবাগ দরবার শরীফ-এ শুরু হয়েছে অনন্তকাল ব্যাপী আজিমুশ্বান মাহফিল।
সাইয়্যিদুল আইয়াদ, সাইয়্যিদে ঈদে আযম, সাইয়্যিদে ঈদে আকবর পবিত্র ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে উপলক্ষ্য করে যামানার মহান ইমাম ও মুজতাহিদ মুজাদ্দিদে আযম , সুলত্বানিন নাছির, জাব্বারিউল আউওয়াল, ক্ববিউল আউওয়াল, হাবীবুল্লাহ সাইয়্যিদুনা আস সাফফাহ আলাইহিস সালাম তিনি উনার পবিত্র রাজারবাগ দরবার শরীফ উনার মাঝে সুদীর্ঘ অনন্তকাল ব্যাপী ব্যাপী আজিমুশ শান প্রতিযোগিতা মাহফিল, ওয়াজ শরীফ, সামা শরীফ উনাদের আয়োজন করেছেন।
মুবারক এই উপলক্ষ্যকে কেন্দ্র করে আপনাদের সুপ্রিয়‘সবুজ বাংলা ব্লগ’-এ আপনাদের জন্য কিছু আয়োজন।
*.
পবিত্র সাইয়্যিদুল আইয়াদ শরীফ পালন করা মুসলমান তো অবশ্যই বরং জিন-ইনসানসহ কায়িনাতের সকলের জন্যই ফরযে আইন।
হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি। যিনি সমগ্র কায়িনাতের মূল বা উৎস। উনার মুবারক শানে মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ করেন,
ورفعنا لك ذكرك.
অর্থ: “আমি আপনার সুমহান মর্যাদাকে বুলন্দ করেছি।” (সূরা ইনশিরাহ)
এ আয়াত শরীফ-এ মহান আল্লাহ পাক তিনি উনার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মর্যাদা বুলন্দিরকোনো সীমা নির্ধারণ করেননি। কাজেই কোন মাখলূকাতের জন্যই সাইয়্যিদুল আম্বিয়া ওয়াল মুরসালীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মর্যাদা মর্তবার সীমা নির্ধারণ করা তো জায়িয হবেই না। বরং মর্যাদা-মর্তবার সীমা নির্ধারণের চিন্তা করাটাও কুফরীর অন্তর্ভুক্ত।
মূলত মহান আল্লাহ পাক উনার পরেই হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার স্থান। এক কথায় তিনি শুধু আল্লাহ পাক নন, এছাড়া সমস্ত মর্যাদা ও মর্তবার অধিকারী হচ্ছেন- নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি। সুবহানাল্লাহ!
মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে যমীনে ও মানবজাতির মধ্যে বিলাদত শরীফ দান করেছেন; সেজন্যই উনার বিলাদত শরীফ উপলক্ষে ঈদ বা খুুশি প্রকাশ করার নির্দেশ দিয়েছেন। যা মাখলূকাতের জন্য ফরয-ওয়াজিবের অন্তর্ভুক্ত। এ সম্পর্কে মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ করেন-
يايها الناس قد جاءتكم موعظة من ربكم وشفاء لما فى الصدور وهدى ورحمة للمؤمنين. قل بفضل الله وبرحمته فبذالك فليفرحوا هو خير مما يجمعون
অর্থ: “হে মানবজাতি! অবশ্যই তোমাদের মধ্যে মহান আল্লাহ পাক উনার পক্ষ থেকে এসেছেন মহান নছীহতকারী, তোমাদের অন্তরের সকল ব্যাধিসমূহ দূরকারী, কুল-কায়িনাতের মহান হিদায়েত দানকারী ও ঈমানদারদের জন্য মহান রহমতস্বরূপ (হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ।হে হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আপনি বলে দিন, তোমরা মহান আল্লাহ পাক উনার দয়া, ইহসান ও রহমত (হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে পেয়ে) উনার জন্য ঈদ উদযাপন তথা খুশি প্রকাশ করো। (তোমরা যতো কিছুই করোনা কেনো) তিনিই হচ্ছেন সমগ্র কায়িনাতের জন্য সবচেয়ে বড় ও সর্বোত্তম নিয়ামত।” (সূরা ইউনুস : আয়াত শরীফ ৫৭-৫৮)
অর্থাৎ মহান আল্লাহ পাক তিনি মানবজাতির প্রতি আল্লাহ পাক উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিলাদত শরীফ উপলক্ষে খুশি প্রকাশ করাকে ফরয করে দিয়েছেন।