সম্মানিত ও পবিত্র মাযহাব চতুষ্ঠয় উনাদের মধ্যে যে কোন একটি সম্মানিত ও পবিত্র মাযহাব উনার উপর মউত পর্যন্ত ইস্তিক্বামত থাকা ফরয ( ৬ নং )


পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ, পবিত্র ইজমা শরীফ ও পবিত্র ক্বিয়াস শরীফ উনাদের দৃষ্টিতে সম্মানিত ও পবিত্র মাযহাব চতুষ্ঠয় উনাদের মধ্যে যে কোন একটি সম্মানিত ও পবিত্র মাযহাব মানা ও অনুসরণ করা ফরয ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া”-
পেশ করতে পারায় মহান আল্লাহ পাক উনার পবিত্র দরবার শরীফ-এ শুকরিয়া জ্ঞাপন করছি।

সম্মানিত ও পবিত্র মাযহাব চতুষ্ঠয় উনাদের মধ্যে যে কোন একটি সম্মানিত ও পবিত্র মাযহাব উনার উপর মউত পর্যন্ত ইস্তিক্বামত থাকা ফরয



যে কোন একটি পবিত্র মাযহাব ইন্তিকাল পর্যন্ত মান্য করা ফরয-ওয়াজিব এবং পবিত্র মাযহাব পরিবর্তন করা হারাম
বা নাজায়িয হওয়ার প্রমাণ


পূর্ব প্রকাশিতের পর
(১৮৩)
وكذا للعامى الانتقال من مذهب الى مذهب فى زماننا لا يجوز لظهور الخيانة . (التحرير للعلامة مولانا بحر العلوم رحمة الله عليه)
অর্থ : বর্তমান যুগে সর্বসাধারণের জন্য এক মাযহাব ছেড়ে অন্য মাযহাব গ্রহণ করা নাজায়িয। কেননা, এমনটি করার দ্বারা দীন ইসলাম উনার সাথে খিয়ানত বা ইহানত করা প্রকাশ পায়। (আত্ তাহরীর-হযরত আল্লামা মাওলানা বাহরুল্ উলূম রহমাতুল্লাহি আলাইহি)
(১৮৪)
 کہ   مخالفت صاحب مذھب خود  کردن نزد  ھیچ کس روا نبود   
অর্থ : আপন ইমাম উনার মাযহাবের খিলাফ করা কারো মতেই জায়িয নেই। এ কারণে সে পাপী হবে এবং এমনটি করা হারাম হবে। (কিমিয়ায়ে সায়াদাত- হযরত ইমাম গাযালী শাফিয়ী রহমাতুল্লাহি আলাইহি ২৩৫ পৃষ্ঠা)
(১৮৫)
اتفاق محصلات امت کہ ہو کہ بخلاف اجتہاد  خود یا بخلاف اجتہاد صاحب مذہب خود کارے  کند او عامی است پس بحقیقت حرام است  .
অর্থ : হযরত উলামা কিরাম রাহমাতুল্লাহি আলাইহিম উনারা ইজমাবা ঐক্যমত পোষণ করেছেন, যে ব্যক্তি নিজ ইজতিহাদের তথা নিজ মাযহাবের ইমামের ইজতিহাদের খিলাফ কোন কাজ করে সে ব্যক্তি গুনাহ্গার হবে। আপন ইমামের ইজতিহাদের খিলাফ করা মূলত: হারাম। (কিমিয়ায়ে সায়াদাত-হযরত ইমাম গাযালী শাফিয়ী রহমাতুল্লাহি আলাইহি)
(১৮৬)
قرار  داد علماء و مصلحات دید ایشان کہ در آخر  زمان تعین مذہب و تخصیص مذہب ہست . (سفر السعادة الصفحة  ۲۱ )
অর্থ : হক্কানী-রব্বানী উলামায়ে কিরাম রহমাতুল্লাহি আলাইহিম উনাদের স্থির সিদ্ধান্ত ও কল্যাণকর ফায়ছালা মতে, আখিরী যামানায় নির্দিষ্ট মাযহাব গ্রহণ করা জরুরী। এ পন্থাতেই ইহ-পরকালের কার্যাবলী সুশৃঙ্খলাযুক্ত ও সুসম্পন্ন হয়ে থাকে। (সিফরুস সায়াদাত ২১ পৃষ্ঠা)
(১৮৭)
و استفت عنه صلى الله عليه و سلم ثلاثة امور خلاف ما كان عندى الخ . (فيض الحرامين للامام شاه ولى الله احمد بن عبد الرحيم المحدث الدهلوى الحنفى الماتريدى رحمة الله عليه الصفحة ۶۴)
অর্থ : হযরত শাহ ওয়ালিউল্লাহ মুহাদ্দিছ দিহ্লবী হানাফী মুতুরীদী রহমাতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেছেন, তিন খানা মাসয়ালায় আমি আমার মনে যা ধারনা করতাম কিন্তু তার বিপরীতে (মুরাকাবা-মুশাহাদার সময়) হযরত রসূলুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নিকট হতে আমি সঠিক সিদ্ধান্ত শিক্ষা গ্রহণ করেছি। তা মহান আল্লাহ তায়ালা উনার পক্ষ থেকে একটি দলীল স্বরূপ হলো। আমি ধারণা রাখতাম যে, কোন এক নির্দিষ্ট মাযহাব অবলম্বন করা জরুরী নয়। কিন্তু হযরত নবী করীম ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মুশাহাদাকালে আমাকে বললেন, চার মাযহাব উনাদের যে কোন একটি মাযহাব  নির্দিষ্ট ভাবে গ্রহণ করে এতে স্থির প্রতিজ্ঞ থাকা ওয়াজিব। (ফাইদুল্ হারামাঈন-হযরত ইমাম শাহ্ ওয়ালিউল্লাহ আহমদ বিন আব্দুর রহীম মুহাদ্দিছ দিহ্লবী হানাফী মাতুরীদী রহমাতুল্লাহি আলাইহি ৬৪ পৃষ্ঠা)
(১৮৮)
تاملته صلى الله عليه و سلم الى اى مذهب من المذاهب من الفقه يميل لاتبعه و اتمسك به فاذا المذاهب كلها عنده على السواء . (فيض الحرامين للامام شاه ولى الله احمد بن عبد الرحيم المحدث الدهلوى الحنفى الماتريدى رحمة الله عليه الصفحة ۳۰)
অর্থ : হযরত শাহ ওয়ালিউল্লাহ মুহাদ্দিছ দিহলবী রহমাতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেছেন, আমি হযরত রসূলুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার খিদমত মুবারক আকাঙ্খা প্রকাশ করলাম যে, আপনি ফিক্হী মাযহাব গুলির মধ্যে কোন মাযহাব পছন্দ করেন। ইহা এজন্য যে আমি উক্ত মাযহাব উনাদের অনুসরণ করব এবং তা মজবূত ভাবে আঁকড়িয়ে ধরে থাকবো। এতে অনুমতি হলো যে, উনার নিকট সমস্ত মাযহাবই সমানভাবে হক্ব বলে বিবেচিত। (ফাইদুল্ হারামাঈন-হযরত ইমাম শাহ্ ওয়ালিউল্লাহ আহমদ বিন আব্দুর রহীম মুহাদ্দিছ দিহ্লবী হানাফী মাতুরীদী রহমাতুল্লাহি আলাইহি ৩০ পৃষ্ঠা)
(১৮৯)
والمستفتى ان كان مجتهدا فقد سبق او عاميا او محصلا لعلم معتبر فوظيفته الاتباع على المختار . (بديع الاصول)
অর্থ : ফাতাওয়া প্রার্থী যদি মুজতাহিদ-ইমাম হন, এ ব্যাপারে পূর্বেই সমাধান দেয়া হয়েছে। আর ফাতাওয়া প্রার্থী যদি সর্বসাধারণ ব্যক্তি অথবা উপযুক্ত আলিম হন, তাহলে গ্রহণ যোগ্য মতে তার জন্য একটি মাযহাব মান্য করা কর্তব্য। (বাদীউল উছূল)
(১৯০)
و الرسم للتقليد اخذ مذهب + للغير دون العلم بالمستوجب. و يلزم الفاقد الاهلية + للاجتهاد و فى سوى اصلية . (اَلْفِيَا للعلامة جمال الدين رحمة الله عليه)
অর্থ : তাকলীদের তাৎপর্য হলো, দলীল সম্মত কথায় দলীল অবগত না হয়ে অন্যের মাযহাব গ্রহণ করা। ইজতিহাদ করতে অক্ষম ব্যক্তির জন্য নির্দিষ্ট একটি মাযহাব উনার আনুগত্য করা ওয়াজিব। (আলফিয়া-আল্লামা জামালুদ্দীন রহমাতুল্লাহি আলাইহি)
(১৯১)
يجب التقليد على من لم يبلغ رتبة الاجتهاد المطلق عاميا محضا او غيره. (عقد الفريد للعلامة سيد صمهدى رحمة الله عليه)
অর্থ : যে লোক ইজতিহাদে মুতলাক তথা মূল উছূল আবিস্কার করার স্তরে পৌঁছেনি সে লোক সাধারণ জনতা হোক অথবা আলিম নামের হোক তার উপর যে কোন একটি মাযহাব উনার অনুসরণ করা ওয়াজিব। (আকদুল্ ফরীদ-আল্লামা সাইয়্যিদ ছামহুদী রহমতুল্লাহি আলাইহি,  মুহাদ্দিছ)
(১৯২-১৯৪)
قَالَ الْعَارِفُ الشَّعْرَانِيُّ : فَإِنْ قُلْت فَهَلْ يَجِبُ عَلَى الْمَحْجُوبِ عَن الِاطِّلَاعِ عَلَى الْعَيْنِ الْأُولَى التَّقَيُّدُ بِمَذْهَبٍ مُعَيَّنٍ ؟ 
فَالْجَوَابُ: نَعَمْ يَجِبُ عَلَيْهِ ذَلِكَ لِئَلَّا يَضِلَّ فِي نَفْسِهِ وَيُضِلَّ غَيْرَهُ. (الخلاصة في أحكام الاجتهاد والتقليد إعداد : علي بن نايف الشحود الجزء ۱ الصفحة ۸۶، فتح العلي المالك فى الفتوى على مذهب الإمام مالك [فتاوى ابن عليش رحمه الله] الـمؤلف : محمد بن أحمد بن محمد عليش المالكي الاشعري رحمة الله عليه ۱۲۱۷ ه - ۱۲۹۹ هـ  الجزء ۱ الصفحة ۲۵۱، ميزان الشعراني للعلامة الامام العارف الشعراني رحمة الله عليه الصفحة ۱۹)
অর্থ : হযরত ইমাম আরিফ শারানী রহমাতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, যদি আপনি প্রশ্ন করেন, যে লোক শরীয়াত উনার প্রথম ঝরণা (কুরআন মাজীদ ও সুন্নাহ শরীফ) উনার প্রকৃত মর্ম্মার্থ সম্পর্কে না জানে, তার জন্য কি (মাযহাব চতুষ্ঠয়ের মধ্যে) এক নির্দিষ্ট মাযহাবের অনুসরণ করা ওয়াজিব হবে? এ প্রশ্নের জবাবে আমি বলবো- হ্যাঁ, সে লোকের জন্য (মাযহাব চতুষ্ঠয়ের মধ্যে) এক নির্দিষ্ট মাযহাবের অনুসরণ করা ওয়াজিব হবে। কেননা, নির্দিষ্ট মাযহাব গ্রহণ না করলে সে লোক নিজেই গুমরাহ হবে এবং অপরকেও গুমরাহ করবে। (আল্ খুলাছাহ ফী আহকামিল্ ইজতিহাদ ওয়াত্ তাকলীদ: আলী বিন নায়িফ শাহূদ ১ম খন্ড ৮৬ পৃষ্ঠা, ফাতহুল্ আলিল্ মালিক ফিল্ ফাতাওয়া আলা মাযহাবিল ইমাম মালিক মাশহূর ফাতাওয়া ইবনু আলীশ রহমাতুল্লাহি আলাইহি’: হযরত মুহম্মদ বিন আহমদ বিন মুহম্মদ আলীশ মালিকী আশয়ারী রহমাতুল্লাহি আলাইহি জন্ম ১২১৭ হিজরী ওফাত ১২৯৯ হিজরী ১ম খন্ড ২৫১ পৃষ্ঠা, মীযানুশ শারানী-আল্লামা ইমাম শারানী রহমাতুল্লাহি আলাইহি ১৯ পৃষ্ঠা)
(১৯৫)
و كان سيدي على الخواس رحمه الله تعالى اذا ساله انسان عن التقليد بمذهب معين الان هل هو واجب ام لا ؟ يقول له يجب عليك التقليد بمذهب ما دمت لم تصل الى عين الشريعة الاولى خوفا من الوقوع فى الضلالة و عليه عمل الناس اليوم . (ميزان الشعراني للعلامة الامام الشعراني رحمة الله عليه الصفحة ۳۰)
অর্থ : যখনই কোন লোক বর্তমানে (মাযহাব চতুষ্ঠয়ের মধ্যে) যে কোন একটি নির্দিষ্ট মাযহাব অবলম্বন করা ওয়াজিব কি না ? এ সম্পর্কে হযরত সাইয়্যিদী আলী খাওওয়াস রহমাতুল্লাহি আলাইহি উনাকে জিজ্ঞাসা করত। তখনই তিনি সে ব্যক্তিকে বলতেন, যতক্ষণ তুমি ইসলামী শরীয়াত উনার প্রথম ঝরণা (পবিত্র কুরআন মাজীদ ও পবিত্র হাদীছ শরীফ) উনাদের পরিপূর্ণ তাৎপর্য্য অবগত না হও, ততক্ষণ গুমরাহীতে পতীত হওয়ার আশঙ্কায় তোমার প্রতি এক নির্দিষ্ট  মাযহাব উনাদের অনুসরণ করা ওয়াজিব হবে। এটাই সকল মুমিন-মুসলিমের সর্বসম্মত সম্মিলিত আমল অর্থাৎ বর্তমান যামানা পর্যন্ত সকল মুসলমান এ চার মাযহাব উনাদের অনুসরণ করে আসছেন। যা অস্বীকার করার উপায় নেই। (মীযানুশ শারানী-আল্লামা ইমাম শারানী রহমাতুল্লাহি আলাইহি ৩০ পৃষ্ঠা)
(১৯৬-১৯৭)
و قد قدمنا فى ايضاح الميزان وجوب اعتقاد الترجيح على كل من لم يصل الى الاشراف على العين الاولى من الشريعة المطهرة و به صرح امام الحرمين و ابن السمعانى و الغزالى و الكيا الهراسى و غيرهم و قالوا لتلامذهم يجب عليكم التقليد بمذهب امامكم الشافعى و لا عذرلكم عند الله تعالى فى العدول عنه اه و لا خصوصية للامام الشافعى فى ذلك عند كل من سلم من التعصب بل كل مقلد من مقلدى الائمة يجب عليه اعتقاد ذلك فى امامه ما دام لم يصل الى شهود عين الشريعة الاولى . (ميزان الشعرانى للعلامة الامام الشعرانى رحمة الله عليه الصفحة ۳۷، ايضاح الميزان للعلامة الامام الشعرانى رحمة الله عليه)
অর্থ : (হযরত আল্লামা ইমাম শারানী রহমাতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন) আমি ইতি পূর্বে ইদ্বাহুল্ মীযানকিতাবে উল্লেখ করেছি- যে ব্যক্তি ইসলামী শরীয়াত উনার প্রথম ঝরণা (পবিত্র কুরআন মাজীদ ও পবিত্র হাদীছ শরীফ) উনাদের প্রকৃত তাৎপর্য উপলব্ধি করতে পারেনি, তার জন্য নিজের ইমাম উনার মাযহাব উনাকে প্রবল বিশ্বাসে অনুসরণ করা ওয়াজিব। হযরত ইমামুল হারামাইন রহমাতুল্লাহি আলাইহি, হযরত ইবনুস্ সাময়ানী রহমাতুল্লাহি আলাইহি, হযরত ইমাম গাযযালী রহমাতুল্লাহি আলাইহি, হযরত কায়াল হিরাসী রহমাতুল্লাহি আলাইহি প্রভৃতি ইমামগণ অনুরূপ ফায়সালা স্পষ্টভাবে উল্লেখ করেছেন। উনারা আপন ছাত্রগণকে বলেছেন, তোমাদের পক্ষে তোমাদের ইমাম হযরত শাফিয়ী রহমাতুল্লাহি আলাইহি উনার মাযহাব অনুসরণে স্থির থাকা ওয়াজিব। মহান আল্লাহ তায়ালা উনার নিকট উক্ত শাফিয়ী মাযহাব ত্যাগ করার ব্যাপারে তোমাদের কোনই ইখতিয়ার নেই। প্রত্যেক হিংসা-বিদ্বেষ বর্জ্জিত ব্যক্তির নিকট এই বিষয়ে ইমাম শাফিয়ী রহমাতুল্লাহি আলাইহি উনার আলাদা কোন বিশেষত্ব নেই। (অর্থাৎ সম্মানিত মাযহাব উনার ইমাম হিসেবে চার ইমাম রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনারা সকলেই মুজতাহিদে মুতলাক্ব। কাজেই এই দিক থেকে কারো আলাদা কোন খুছূছিয়ত নেই। তবে তাক্বওয়া, পরহেযগারী, ছমঝ, আক্বল ইত্যাদি বিষয় পার্থক্য থাকা স্বাভাবিক।) বরং ইমামগণের মাযহাব অনুসারীদিগের মধ্যে প্রত্যেকের জন্য কর্তব্য এই যে, যতক্ষণ সে ইসলামী শরীয়াত উনার প্রথম ঝরণা (পবিত্র কুরআন মাজীদ ও পবিত্র হাদীছ শরীফ) পরিপূর্ণ উপলব্ধি করতে অক্ষম থাকে, ততক্ষণ নিজের ইমাম সম্পর্কে তার উন্নত ইতিকাদ রেখে উনার অনুসরণ করা ওয়াজিব। (মীযানুশ শারানী-আল্লামা ইমাম শারানী রহমাতুল্লাহি আলাইহি ৩৭ পৃষ্ঠা, ঈদ্বাহুল্ মীযান-আল্লামা ইমাম শারানী রহমাতুল্লাহি আলাইহি)
(১৯৮-১৯৯)
ارتحل الى مذهب الشافعي يعزّر . سراجية . (الدر المختار شرح تنوير الابصار في فقه مذهب الإمام أبي حنيفة : العلامة الفقيه الامام محمد علاء الدين بن علي الحصكفي الحنفي الماتريدي رحمة الله عليه  المتوفى : ۱۰۸۸ هـ كتاب الحدود باب التعزير الجزء السادس الصفحة ۱۳۲ دار الكتب العلمية بيروت لبنان ، سراجية)
অর্থ : যে ব্যক্তি (ব্যক্তিগত সার্থে সুযোগ সন্ধানীর মতো) নিজ মাযহাব পরিত্যাগ করে শাফিয়ী মাযহাব গ্রহণ করে সে শাস্তির উপযুক্ত। অনুরূপ সিরাজিয়াহকিতাবে উল্লেখ আছে। (আদ্ দুররুল্ মুখতার শরহে তানবীরুল্ আবছার ফী ফিকহিল্ মাযহাবিল্ ইমাম আবী হানীফাহ রহমাতুল্লাহি আলাইহি : আল্লামা ফক্বীহ ইমাম মুহম্মদ আলাউদ্দীন বিন্ আলী হাছ্কাফী হানাফী মাতুরীদী রহমাতুল্লাহি আলাইহি ওফাত : ১০৮৮ হিজরী অধ্যায় : হুহূদ পরিচ্ছেদ : তাযীর ৬ষ্ঠ খন্ড ১৩২ পৃষ্ঠা প্রকাশনা : দারুল্ কুতুবিল্ ইলমিয়াহ বাইরূত লিব্নান, সিরাজিয়াহ, ফতোয়ায়ে ছিদ্দীকিয়া : মাহবূবে ছুবহানী, কুতুবে রব্বানী, মুহ্ইস্ সুন্নাহ, দাফিউল্ বিদ্য়াত, রাহবারে মিল্লাত, আমীরুশ্ শরীয়াত ওয়াত্ তরীকাত, আল্ হাজ্জ হযরত মাওলানা শাহ্ ছূফী নিছারুদ্দীন আহমদ ফুরফুরাবী হানাফী মাতুরীদী রহমাতুল্লাহি আলাইহি চতুর্থ অধ্যায় ২২১ পৃষ্ঠা, আদ্ দুররুল্ মুখতার শরহে তানবীরুল্ আবছার, সিরাজিয়াহ)
(২০০)
حكى ان ابا حفص ابن عبد الله بن ابى حفص الكبير البخارى ارتحل الى مذهب الشافعى رحمة الله عليه لكثرة الشفعوية فامر بالتعزير و نفى عن البلدة . (سراجية باب التعزير)
অর্থ : নিশ্চয়ই আবূ হাফ্ছ বিন্ আব্দুল্লাহ বিন্ আবূ হাফ্ছ কবীর বুখারী (অর্থাৎ হযরত আবূ হাফ্ছ কবীর বুখারী রহমাতুল্লাহি আলাইহি উনার পুত্র আব্দুল্লাহ আর আব্দুল্লাহ্র পুত্র আবূ হাফ্ছ এ ব্যক্তি তার এলাকায়) শাফিয়ীগণের আধিক্য বশত: নিজ মাযহাব ত্যাগ করে শাফিয়ী মাযহাব গ্রহণ করেছিলেন, এ কারণে তার প্রতি শাস্তি ও দেশত্যাগের আদেশ জারী করা হয়েছিল। (সিরাজিয়াহ তাযীর অধ্যায়)
(২০১-২০৩)
ينبوعইয়াম্বুকিতাবে শিফায়ে ইয়াজকিতাব থেকে উল্লেখ করিতেছেন-
وفى الشفاء للعياض يتاكد عليك غاية التأكيد الذى لا رخصة فيه ان لا تفضل بعض المذاهب على بعض تفضيلا يودى الى تنقيض المفضل عليه فان ذلك يودى المقت و الخزى فى الدنيا و الاخرة و سيأتى عن الله انه قال من اذى لى وليا فقد اذنته للحرب و علماء المسلمين العاملين كلهم اولياء الله تعالى غير شك و لا ريب و كثير ما يودى لتفيل الى الخصام القبيح بين السفهاء و من لا خلو قلهم و لا تقواى الى ان يظهر من بعضهم قبيح الا صبية و حميبة الجاهلية اه . 
অর্থাৎ : তোমাকে সাবধান করিয়া দেওয়া যাইতেছে যে, কোনও মাযহাবকে এরূপ সম্মান দেখাইবে না যাহাতে একটির চেয়ে অপরটি নিকৃষ্ট প্রমাণ হয়। এইরূপ কার্য্য দুনিয়া ও আখিরাতে আযাব ও গ্লানীর উপযুক্ত করে। আল্লাহ তায়ালা বলিয়াছেন, যে ব্যক্তি আমার কোন প্রিয়জনকে কষ্ট দিয়েছে, তাহাকে আমি যুদ্ধের জন্য আহ্বান করিতেছি এবং নি:সন্দেহ বাআমল আলিমগণ সকলেই আল্লাহর ওলী (পরস্পর মাযহাবের মধ্যে তুলনা করতে যেয়ে লোকে ওলী আওলিয়াগণের প্রতি দোষারোপ কয়িা থাকে) এবং ধর্ম জ্ঞানহীন ইতর স্বভাবের লোকের মধ্যে অতি জঘণ্য ঝগড়া কলহের সূত্রপাত হয়ে এমন কি এতে মুর্খজনোচিত অহঙ্কার ও নিচাশয়তার পরিচয় পাওয়া যায়।” (ফতোয়ায়ে ছিদ্দীকিয়া : মাহবূবে ছুবহানী, কুতুবে রব্বানী, মুহ্ইস্ সুন্নাহ, দাফিউল্ বিদ্য়াত, রাহবারে মিল্লাত, আমীরুশ্ শরীয়াত ওয়াত্ তরীকাত, আল্ হাজ্জ হযরত মাওলানা শাহ্ ছূফী নিছারুদ্দীন আহমদ ফুরফুরাবী হানাফী মাতুরীদী রহমাতুল্লাহি আলাইহি চতুর্থ অধ্যায় ২২১-২২২ পৃষ্ঠা, শিফায়ে ইয়াজ, ইয়াম্বু)