রেজাল শাস্ত্রের কিতাব ছাড়াও উইকিপিডিয়া সূত্রমতে শবে বরাতের হাদীস শরীফ সহীহ

রেজাল শাস্ত্রের কিতাব ছাড়াও উইকিপিডিয়া সূত্রমতে শবে বরাতের হাদীস শরীফ সহীহ



হযরত আলী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বলেনহুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ করেনযখন অর্ধ শা’বান তথা শবে বরাতের আগমন ঘটে তখন ওই রাতে তোমরা ইবাদত-বন্দেগী করে জাগ্রত থাকবে এবং দিবাভাগে রোযা রাখবে। কেননানিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক ওই শবে বরাতে সূর্যাস্তের সাথে সাথেই নিকটবর্তী আকাশে নাযিল হন এবং বলতে থাকেনকোন ক্ষমাপ্রার্থনাকারী আছ কিযাকে আমি ক্ষমা করে দিব। কোন রিযিক প্রার্থনাকারী আছ কিযাকে আমি অপরিমিত রিযিক দিয়ে দিব এবং কোন বিপদে বিপন্ন ব্যক্তি আছ কিযাকে আমি বিপদ থেকে মুক্ত করে দিব। সাবধান! সাবধান! এভাবেই মহান আল্লাহ পাক ফজর পর্যন্ত ডাকতে থাকেন।” (ইবনে মাজাহ ১/১৪৪: হাদীস ১৩৮৮ইবনে হিব্বান: হাদীস ১৩৮৮বায়হাকী শুয়াবুল ঈমনি ৫/৪৫৪: হাদীস ৩৮২২মিশকাতুল মাসাবীহ ২/২৪৫ : হাদীস ১২৩৩দায়লামী শরীফ ১/২৫৯: হাদীস ১০০৭তারগীভ ওয়াত তারহীব ২/৭৫: হাদীস ১৫৫বায়হাক্বী – ফযায়েলে ওয়াক্ত ১/১২২ : হাদীস ২৪জামেউস সগীল লি সুয়ুতী : হাদীষ ১৬৬৫মিসবাহুল জুজাহ : হাদীস ৪৯১কানযুল উম্মাল ১২/৩১৪ : ৩৫১৭৭উমদাতুল ক্বারী শরহে বুখারী ১১/৮২মাওয়াহেবে লাদুন্নিয়াহ ৩/৩০০মিরকাত ৩য় খ-১৯৫-১৯৬মিরয়াতুল মানাজিহ ৩য় খ- ২৯৩-২৯৪-২৯৫লুময়াতআশয়াতুল লুময়াত ৪/২১২)
সালাফীরা এই হাদীছ শরীফ মানতে নারাজ। তাদের বক্তব্য এই হাদীছ শরীফের একজন রাবী রয়েছে যার নাম “হযরত ইবনু আবি সাবরা রহমতুল্লাহি আলাইহি”। উনাকে সালাফীরা মানে না। যে কারনে হাদীছ শরীফটি তারা জাল বলে। অথচ ইমাম যাহাবী রহমতুল্লাহি আলাইহির বিখ্যাত কিতাব সিয়ারু আলামীন নুবালামিযানুল এতেদাল .... হযরত ইবনে হাজার আসকালানী রহমতুল্লাহি আলাইহির তাহযীবুত তাহযীব কিতাবে উনাকে অনেক বড় ফক্বীহ বলেছেনসেই সাথে ইরাকের কাজী হিসাবে উল্লেখ করেছেন। ইমাম আবু দাউদ রহমতুল্লাহি আলাইহি উনাকে মদীনা শরীফের মুফতী বলে আখ্যায়িত করেছেন। (সিয়ারু আলামীন নুবালা ১৩/৩৭৪)
মজার বিষয় উইকিপিডিয়াতেও উনার সম্পর্কে তথ্য দেয়া হয়েছেযেটার স্কিনশট দেয়া হয়েছে। সেখানে উল্লেখ আছে,
الفقيه الكبير قاضي العراق. قال أبو داود: كان مفتي أهل المدينة. وروى معن عن مالك بن أنس قال: "قال لي أبو جعفر المنصور: يا مالك من بقي بالمدينة من المشيخة؟ قلت: ابن أبي ذئب، وابن أبي سبرة، وابن أبي سلمة الماجشون
অর্থ: তিনি ছিলেন বড় ফক্বীহইরাকের কাজী। ইমাম আবু দাউদ রহমতুল্লাহি আলাইহি বলেছেন তিনি মদীনা শরীফের মুফতী ছিলেন। ইমাম মালেক রহমতুল্লাহি আলাইহিকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিলো মদীনা শরীফের মাশায়েখদের মধ্যে কে কে জীবত আছেনউত্তরে ইমাম মালেক রহমতুল্লাহি আলাইহি বলেন ইবনু আবী জীবইবনে আবী সাবরাহইবনু আবী সালমাহ রহমতুল্লাহি আলাইহিম।  উইকিপিডিয়া সূত্র
দেখা যাচ্ছে ইমাম মালেক রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার মতে ইবনু আবী সাবরাহ রহমতুল্লাহি আলাইহি মদীনা শরীফের জীবিত মাশায়েখদের মধ্যে অন্যতম। 

এতবড় একজন বিখ্যাত আলেম ও ব্যাক্তিত্বকে কোন সাহসে সালাফীরা ইনকার করে???

0 Comments: