১০০টি চমৎকার ঘটনা - পর্ব-২৫ (একটি রুটি ও তিনটি স্বর্ণের ইট)


একটি রুটি ও তিনটি স্বর্ণের ইট- পর্ব-২৫

মহান আল্লাহ পাক উনার নবী হযরত ঈসা রুহুল্লাহ আলাইহিস সালাম, উনার প্রতি নাযিলকৃত কিতাব ইনজিল শরীফ অনুসারে তিনি মানুষকে দ্বীনের দাওয়াত দিতেন। এই উদ্দেশ্যে সারা এলাকা তিনি সফর করে বেড়াতেন। একদিন সফর করতে করতে তিনি এক স্থানে গিয়ে পৌঁছলেন। সেখানে একজন ইহুদী লোক ছিল। সে হযরত রুহুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনাকে বললো, “হে মহান আল্লাহ পাক উনার নবী হযরত রুহুল্লাহ আলাইহিস সালাম! আমি চাচ্ছি আপনার দ্বীন গ্রহণ করতে। আপনার অনুসারী হতে।' তার কথা শুনে হযরত রুহুল্লাহ আলাইহিস সালাম খুশী হলেন। লোকটা উনার দ্বীন গ্রহণ করার পর হযরত রুহুল্লাহ আলাইহিস সালাম বললেন, ‘আমি তো এখন চলে যাবো, কারণ আমি সফর করতে বের হয়েছি। তোমাকে যা নিয়ম-কানুন বলে দিলাম, তুমি সে অনুযায়ী আমল করবে।' কিন্তু লোকটা বললো, ‘হুযূর, বেয়াদবী মাফ করবেন। আমার মনে আপনার সঙ্গে সফর করার ইচ্ছা ছিল। আমি মহান আল্লাহ পাক উনার যমীন একটু ঘুরে দেখতে চাই আর আপনার ছোহবত ইখতিয়ার করে মহান আল্লাহ পাক উনার সন্তুষ্টি মুবারক হাছিল করতে চাই। আপনি দয়া করে আমাকে আপনার সঙ্গে নিন।' লোকটার কাকুতি-মিনতি শুনে হযরত রুহুল্লাহ আলাইহিস সালাম রাজী হলেন। লোকটাকে সাথে নিয়ে রওয়ানা হলেন।

বেশ কিছুদূর সফর করার পর হযরত রুহুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার ক্ষুধা লাগলো। উনার কাছে একটা আটার রুটি ছিল। তিনি সেটা বের করে খেলেন। লোকটির কাছেও রুটি ছিল, সেও একটা রুটি বের করে খেল। হযরত নবী আলাইহিমুস সালাম উনারা সবাই মহান আল্লাহ পাক উনার তরফ থেকে গায়েবী ইলমপ্রাপ্ত। সুতরাং হযরত রুহুল্লাহ আলাইহিস সালাম জানতেন যে, লোকটির কাছে আরেকটি রুটি রয়েছে। কিন্তু তাকে যখন এ ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করলেন, সে বললো, 'না হুযূর! আমার কাছে দ্বিতীয় কোনো রুটি নেই; একটিই রুটি ছিল। আপনি যেমন একটি রুটি খেলেন, আমিও একটি খেলাম।' তার অস্বীকার করার কারণ হলো, সে ভেবেছিল দ্বিতীয় রুটিটি বের করলে অর্ধেক রুটি হযরত রুহুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনাকে দিতে হবে। নাঊযুবিল্লাহ! হযরত রুহুল্লাহ আলাইহিস সালাম আর বেশী কিছু না বলে সফর করতে লাগলেন।

বেশ কিছুদূর যাওয়ার পর আবার ক্ষুধা লাগলো। কিন্তু সেখানে খাদ্যের কোনো ব্যবস্থা ছিল না। কোনো ঘর-বাড়ীও ছিল না, শুধু একটা লোক মেষ চরাচ্ছিল। হযরত রুহুল্লাহ আলাইহিস সালাম সেই মেষপালকের কাছে নিজের পরিচয় দিয়ে বললেন যে, তিনি মহান আল্লাহ পাক উনার নবী হযরত ঈসা আলাইহিস সালাম। পরিচয় পেয়ে মেষপালক ব্যাকুল হয়ে গেলো, কারণ সে হযরত রুহুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনাকে অনেক তালাশ করেছে, কিন্তু কোথাও পায়নি। আর আজকে তিনি নিজে এসে পরিচয় দিয়েছেন। সে মহান আল্লাহ পাক উনার শুকরিয়া আদায় করে হযরত রুহুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনাকে বললো, “হুযূর! আমি আপনার কি খেদমত করতে পারি? আপনি আমাকে আদেশ করুন।' তখন হযরত রুহুল্লাহ আলাইহিস সালাম বললেন, তোমাকে তেমন কোনো খেদমত করতে হবে না। তবে আমাদের ক্ষুধা লেগেছে আর তোমার অনেক মেষ রয়েছে। তাই একটা মেষ যদি আমাকে দাও, আমি আবার সেটা তোমাকে ফিরিয়ে দিবো।' মেষপালক বললো, “হুযূর! শুধু একটা কেন, আপনি যদি চান আমার সমস্ত মেষপাল আপনাকে দিয়ে দিবো।' হযরত রুহুল্লাহ আলাইহিস সালাম বললেন, 'না সবটা তো আমার দরকার নেই।' তিনি একটা পছন্দমত মেষ নিলেন ও সেটা যবেহ করে খাওয়া-দাওয়া করলেন। খাওয়া শেষে মেষের হাড়গুলো একসাথে করে বললেন,
“মহান আল্লাহ পাক উনার নির্দেশে যিন্দা হয়ে যাও।' মেষটা আবার যিন্দা হয়ে গেলো। তিনি মেষপালককে মেষটা ফেরত দিয়ে বললেন, 'তোমার থেকে আমি যে মেষ নিয়েছিলাম, তা শোধ করে দিলাম।' সুবহানাল্লাহ! তারপর হযরত রুহুল্লাহ আলাইহিস সালাম সেই লোকটিকে বললেন, "মহান আল্লাহ পাক উনার কসম, যে মহান আল্লাহ পাক এই মুর্দা মেষটাকে যিন্দা করে দিলেন! তোমার সাথে তো দ্বিতীয় আরেকটা রুটি ছিল। সেটা কোথায় গেলো বলো দেখি?' লোকটি বললো, ‘মহান আল্লাহ পাক উনার কসম, আমার সাথে

কোনো দ্বিতীয় রুটি নেই।' হযরত রুহুল্লাহ আলাইহিস সালাম আর কিছু না বলে চলতে থাকলেন।

হযরত রুহুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার সাথে একটা আছা বা লাঠি মুবারক ছিল। সেই লাঠি মুবারকের গুণাবলী সম্পর্কে মহান আল্লাহ পাক তিনি বলেছেন, “সেই লাঠিটি দিয়ে যদি কোনো মুর্দাকে স্পর্শ করা হতো তাহলে মহান আল্লাহ পাক উনার নির্দেশে সে যিন্দা হয়ে যেত। জন্মান্ধকে যদি স্পর্শ করা হতো, সে চোখ ফিরে পেত। কুষ্ঠ রোগীকে স্পর্শ করলে সে সুস্থ হয়ে যেত।” সুবহানাল্লাহ! সফর করতে করতে কিছুদূর গিয়ে হযরত রুহুল্লাহ আলাইহিস সালাম দেখলেন, একটা লোক মরে পড়ে আছে। তিনি সেই লাঠি দিয়ে মুর্দাকে স্পর্শ করে বললেন,

মুর্দা যিন্দা হয়ে গেলো, হযরত রুহুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার সাথে সালাম-কালাম করে বিদায় নিয়ে চলে গেলো। তখন হযরত রুহুল্লাহ আলাইহিস সালাম ঐ লোকটিকে আবার বললেন, “মহান আল্লাহ পাক উনার কসম, যে মহান আল্লাহ পাক এই মুর্দাকে যিন্দা করলেন! তোমার দ্বিতীয় রুটিটি কোথায়?' লোকটি এবারও অস্বীকার করলো। তারপর হযরত রুহুল্লাহ আলাইহিস সালাম সেখান থেকে কিছুদূর গিয়ে একটা জন্মান্ধকে লাঠি দ্বারা স্পর্শ করলেন। মহান আল্লাহ পাক উনার কুদরতে জন্মান্ধ সুস্থ হয়ে গেলো। তিনি আবার লোকটিকে কসম দিয়ে বললেন, 'তোমার দ্বিতীয় রুটিটি কোথায়?' সে আবারও অস্বীকার করলো। এরপর হযরত রুহুল্লাহ আলাইহিস সালাম একটা কুষ্ঠ রোগীকে লাঠি দ্বারা স্পর্শ করলেন, সেও সুস্থ হয়ে গেলো। আবার তিনি কসম দিয়ে লোকটিকে জিজ্ঞাসা করলেন যে, “তোমার দ্বিতীয় রুটিটি কোথায়?' লোকটি এবারও অস্বীকার করলো।

হযরত রুহুল্লাহ আলাইহিস সালাম সফর করতে করতে অনেক দূর চলে গেলেন। একস্থানে গিয়ে দেখলেন, তিনটা স্বর্ণের ইট পড়ে রয়েছে। ইহুদী বললো, “হুযূর! এই স্বর্ণের ইট তিনটা আমরা নিয়ে নেই। আমাদের কাজে লাগবে।” কিন্তু হযরত রুহুল্লাহ আলাইহিস সালাম বললেন, “আমাদের এগুলো দরকার নেই। মহান আল্লাহ পাক কুদরতীভাবে আমাদের সবকিছুর ফায়সালা করবেন। এগুলো যারা দুনিয়াদার তাদের জন্য।” তারপর হযরত রুহুল্লাহ আলাইহিস সালাম সেখান থেকে সরে অন্যস্থানে চলে গেলেন। ক্লান্তির কারণে একটি গাছের ছায়ায় উনার লাঠি মুবারক পাশে রেখে শুয়ে ঘুমিয়ে গেলেন। এই সুযোগে সেই লোকটি লাঠি মুবারক চুরি করে নিয়ে পালিয়ে গেলো। হযরত রুহুল্লাহ আলাইহিস সালাম যখন সজাগ হলেন, তখন দেখলেন যে, লোকটিও নেই, লাঠিও নেই। তিনি বুঝতে পারলেন, লোকটিই লাঠিটি নিয়ে পালিয়েছে।

এদিকে লোকটি অনেক দূরে চলে গেলো। এক এলাকায় গিয়ে দেখে, সেখানকার এক নবাব খুব অসুস্থ। ঘোষণা করা হচ্ছে, 'যে ডাক্তার, কবিরাজ বা হেকিম নবাবকে সুস্থ করে দিবে, তাকে পাঁচ হাজার দিরহাম দেয়া হবে।' ঘোষণা শুনে লোকটি গেলো লাঠি নিয়ে, কারণ সে তো মনে করেছে স্পর্শ করলেই সুস্থ হয়ে যাবে। সে বললো, 'আমি যদি সুস্থ করে দিতে পারি, আমাকে কি তোমরা পাঁচ হাজার দিরহাম দিবে?' লোকেরা বললো, 'হ্যাঁ দিব।' তখন লোকটি লাঠি মুবারক দিয়ে নবাবকে স্পর্শ করলো। মহান আল্লাহ পাক উনার কি কুদরত! সেই নবাব ইন্তেকাল করলো। এটা দেখে লোকেরা লোকটিকে পাকড়াও করলো। তারা বললো, ‘তোমাকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হবে। কারণ তুমি নবাবকে মেরে ফেলেছো।'

ঘটনাক্রমে হযরত রুহুল্লাহ আলাইহিস সালাম তিনিও সফর করতে করতে সেখানে এসে পৌঁছলেন। লোকটিকে ফাঁসি দেয়া হবে সেজন্য সেখানে অনেক লোক ভীড় করেছিল। হযরত রুহুল্লাহ আলাইহিস সালাম লক্ষ্য করলেন, যাকে ফাঁসি দেয়া হবে, সে হলো সেই লোকটি। তিনি তাকে বললেন, ‘তোমার কি অবস্থা?' সেতো উনার কদম মুবারক ধরে কান্নাকাটি করতে শুরু করলো, বারবার অনুরোধ করতে লাগলো, ‘হুযূর! আমাকে বাঁচান। এবারকার মতো আমাকে বাঁচিয়ে দিন।' হযরত রুহুল্লাহ আলাইহিস সালাম তার থেকে সম্পূর্ণ ঘটনা শুনলেন। তারপর এলাকাবাসীদের বললেন, 'হে এলাকাবাসী! আমি যদি তোমাদের সেই নবাবকে সুস্থ করে দিতে পারি, যিন্দা করে দিতে পারি, তাহলে কি তোমরা এই ব্যক্তিকে ছেড়ে দিবে?' এলাকাবাসী তাতে রাজী হলো। তখন হযরত রুহুল্লাহ আলাইহিস সালাম গিয়ে মৃত নবাবকে স্পর্শ করলেন, সাথে সাথে সে যিন্দা হয়ে গেলো। সুবহানাল্লাহ! তারপর লোকটিকে মুক্ত করে হযরত রুহুল্লাহ আলাইহিস সালাম জিজ্ঞাসা করলেন, ‘সেই মহান আল্লাহ পাক উনার কসম, যিনি তোমাকে মৃত্যু থেকে বাঁচালেন! তোমার দ্বিতীয় রুটিটি কোথায়, বলো দেখি?' দুনিয়ার মুহব্বত কত কঠিন! সে এবারও বললো, 'আমার কোনো দ্বিতীয় রুটি নেই।'

ঘুরতে ঘুরতে হযরত রুহুল্লাহ আলাইহিস সালাম আবার সেই আগের স্থানে এসে পৌঁছলেন, যেখানে তিনটি স্বর্ণের ইট ছিল। এবার সেখানে দেখলেন,

চারটা লোক মৃত অবস্থায় পড়ে আছে। তিনি প্রতিটা লোককে যিন্দা করে জিজ্ঞাসা করলেন, 'তোমরা এখানে কি কারণে মারা গিয়েছো? আমরা তো কিছুক্ষণ আগে এই রাস্তা দিয়ে গিয়েছিলাম এখানে আমরা কাউকে দেখিনি। তোমরা কোথা থেকে এসে কি কারণে মারা গেলে এখানে?' তখন তারা বললো, 'হুযূর! বেয়াদবি মাফ করবেন। আমরা দুনিয়ার মোহে মোহগ্রস্ত ছিলাম, যার জন্য মারা গিয়েছি। এখানে আমরা যে চারজন লোক রয়েছি, তার মধ্যে তিনজন ঘনিষ্ঠ বন্ধু, আর একজন বাইরের লোক। আমরা যখন এখানে এসে তিনটা স্বর্ণের ইট দেখলাম, তখন মনে মনে চিন্তা করলাম যে, তিনটা ইট নিয়ে কি করা যেতে পারে? কারণ আমরা তো তিনজন বন্ধু, আর একজন অতিরিক্ত। তারপর আমরা সেই অতিরিক্ত একজনকে বাজারে পাঠালাম কিছু খাদ্য নিয়ে আসার জন্য। সে চলে গেলে আমরা পরিকল্পনা করলাম, সে ফিরে আসার সাথে সাথেই তাকে পিটিয়ে হত্যা করবো, আর তিনজনে তিনটা ইট ভাগ করে নিয়ে যাবো। এদিকে অতিরিক্ত লোকটা বাজারে গিয়ে মনে মনে ফিকির করলো, সে যদি আমাদের মেরে ফেলতে পারে, তাহলে নিজেই তিনটা ইট নিয়ে নিতে পারবে। তাই সে খাদ্যের মধ্যে বিষ মিশিয়ে নিয়ে আসলো। তারপর সে খাবার নিয়ে ফিরে আসার সাথে সাথে আমরা তাকে পিটিয়ে মেরে ফেললাম। আর তার বিষযুক্ত খাদ্য খেয়ে নিজেরাও মারা গেলাম।' তারপর তারা বললো, ‘হুযূর আমাদেরকে মাফ করে দিন! আমরা আর দুনিয়ার মোহে মোহগ্রস্ত থাকবো না। আমরা যেন মহান আল্লাহ পাক উনার মতে-পথে আমাদের বাকী জীবন অতিবাহিত করতে পারি, সেজন্য দোয়া করবেন।' তারা সেই স্বর্ণের ইটগুলো রেখে চলে গেলো।

তখন হযরত রুহুল্লাহ আলাইহিস সালাম বললেন, 'হে ব্যক্তি! তুমি তো সফরে আমার সঙ্গী। এখন যেহেতু স্বর্ণের ইট তিনটা পাওয়া গিয়েছে, তাহলে বন্টন হবে কি করে? আমার একটা, তোমার একটা। আর অতিরিক্ত একটি রুটি যার কাছে রয়েছে, সে পাবে আরেকটি ইট।' তখন সেই দুষ্ট লোকটি তার কোমর থেকে একটি রুটি বের করে বললো, ‘হুযূর! আপনি তো দেখেছেন আমাকে একটা খেতে, আর এই হলো আরেকটা। কাজেই আমাকে দুইটা ইট দিয়ে দিন।' তখন হযরত রুহুল্লাহ আলাইহিস সালাম বললেন, “তুমি কতবড় বদনসীব! আমি তোমাকে এতবার মহান আল্লাহ পাক উনার কসম দিয়ে জিজ্ঞাসা করলাম, তুমি একবারও স্বীকার করলে না। কিন্তু এখন স্বর্ণের ইট পাওয়ার লোভে তুমি স্বীকার করছো। হে বখীল! তুমি তিনটা ইটই নিয়ে যাও, অতিশীঘ্রই তোমার উপর মহান আল্লাহ পাক উনার গযব নাযিল হবে।” লোকটি এতই নিকৃষ্ট যে হযরত রুহুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার কথায় ভীত না হয়ে বরং খুশি মনে তিনটি ইট নিয়ে রওয়ানা হলো। মহান আল্লাহ পাক উনার নবী, উনার কথা তো ওহীর অন্তর্ভুক্ত। তাই কথা অনুসারে ওই লোকটি কিছুদূর যাওয়ার পর পরই তার উপরে মাটি ধ্বসে সে নিশ্চিহ্ন হয়ে গেলো। নাঊযুবিল্লাহি মিন যালিক!

পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত হয়েছে, “দুনিয়ার মুহাব্বত সমস্ত পাপের মূল।” দেখা যায় সাধারণ লোভ লালসাকে প্রাধান্য দিতে গিয়ে মানুষ আপাতদৃষ্টিতে সাধারণ গুনাহ করে থাকে। যদিও কোনো গুনাহই সাধারণ নয়। এভাবে সাধারণ গুনাহকে গুনাহ মনে না করার কারণে মূলত মানুষ ক্রমেই বড় বড় গুনাহের বিষয়েও বেপরোয়া হতে থাকে, যা মানুষকে ধ্বংসের দিকে টেনে নিয়ে যায়। তাই গুনাহ থেকে বেঁচে থাকতে হলে আমাদেরকে দুনিয়ার মোহ ত্যাগ করতে হবে।

0 Comments: