১০০টি চমৎকার ঘটনা - পর্ব-১৮ (রহস্যময় গাভী)


রহস্যময় গাভী- পর্ব-১৮

মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল হযরত মূসা কালীমুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার যামানায় এক নেককার ব্যক্তির একটি মাত্র পুত্র সন্তান ছিল। উনার পরিবারে স্ত্রী ও সেই সন্তান ছাড়া সহায় সম্বল বলতে আর একটা মাত্র বাছুর ছিল। একদিন সেই ব্যাক্তি উনার সন্তানসহ বাছুরটা নিয়ে এক জঙ্গলে গেলেন। জঙ্গলে গিয়ে সেই ব্যক্তি মহান আল্লাহ পাক উনার কাছে দোয়া করলেন, “আয় আল্লাহ পাক! আমার শরীর অসুস্থ, হায়াত হয়তো বেশি দিন নেই। কিন্তু আমার একটা সন্তান রয়েছে। আমি গরুর বাছুরটা আপনার

জিম্মাদারীতে দিয়ে দিলাম।” এ দোয়া করে তিনি বাছুরটিকে জঙ্গলে ছেড়ে দিলেন এবং বললেন, “আয় আল্লাহ পাক! আমার কোনো সহায়-সম্পত্তি, জায়গা-যমীন কিছুই নেই। এই বাছুরটা আমি ছেড়ে দিলাম। আমার ছোট্ট একটা ছেলে সন্তান রয়েছে, এই ছেলেটা যখন বড় হবে তখন আপনি দয়া করে এই বাছুরের মাধ্যমে তার রিযিকের ফায়সালা করে দিবেন।” সে ব্যাক্তি সন্তানের জন্য এভাবে দোয়া করে বাছুরটা ছেড়ে দিয়ে বাড়ীতে চলে গেলেন। বাড়ীতে গিয়ে উনার স্ত্রীকে বললেন, “আমি গরুটা ছেড়ে দিয়ে এসেছি, আমি মহান আল্লাহ পাক উনার কাছে দোয়া করেছি যে, আল্লাহ পাক! আমার সন্তান বড় হলে এই গরুর বাছুর দ্বারা যেন তার আজীবনের রিযিকের ফায়সালা হয়ে যায়। আশা করি মহান আল্লাহ পাক কবুল করেছেন।”

কিছুদিন পর সেই ব্যাক্তি ইন্তেকাল করলেন। এদিকে সেই শিশুটিকে তার মা অনেক কষ্টে লালন-পালন করলেন। ছেলেটা বড় হলো। বড় হয়ে সে পিতা-মাতার হক্ব, ইবাদত-বন্দেগী ইত্যাদি সম্পর্কে মোটামুটি জ্ঞান অর্জন করেছিল। তবে দুনিয়াবী শিক্ষা তেমন গ্রহণ করতে পারেনি। সে জঙ্গলে গিয়ে কাঠ কেটে এনে বাজারে বিক্রি করে সংসার চালাতো। সে কাঠ কেটে বিক্রি করে যা পেত তার একভাগ মহান আল্লাহ পাক উনার রাস্তায় দান করে দিত। একভাগ তার মায়ের খেদমতের জন্য ব্যয় করতো। আর একভাগ তার নিজের জন্য খরচ করতো। সে দিনটাকে কাজে-কর্মে অতিবাহিত করতো। তাই রাত্রিকে সে তিনভাগ করে নিয়েছিল। একভাগ তার মায়ের খিদমতের জন্য, একভাগ তার বিশ্রামের জন্য আর একভাগ তার ইবাদত-বন্দেগীর জন্য । এভাবে সে চলতে লাগলো।

বেশ কিছু দিন অতিবাহিত হয়ে গেলো। একদিন তার মায়ের সেই বাছুরের কথাটা স্মরণ হলো। তখন তিনি বললেন, “হে আমার সন্তান! তুমি যখন ছোট ছিলে, তোমার পিতা তোমার জন্য একটা বাছুর রেখে গিয়েছেন। যেন তার দ্বারা মহান আল্লাহ পাক তোমাকে সচ্ছল করে দেন এবং এতমিনানের সাথে তুমি জীবন-যাপন করতে পারো। সে বাছুরটা এতদিনে বড় হয়ে খুব সুন্দর একটা গাভী হয়ে গিয়েছে নিশ্চয়ই।”

সেই গাভীটা গভীর জঙ্গলে থাকতো। যখন বের হয়ে আসতো মানুষ সেটাকে দেখতো। তখন যদি কেউ তাকে ধরতে চাইতো, সেটা এত দ্রুত গতিতে পালিয়ে যেত যে কারো পক্ষে ধরা সম্ভব হতো না।

সেই ছেলের মা তাকে বললেন যে, “তুমি এক কাজ করো, তুমি জঙ্গলে যাও,

জঙ্গলে গিয়ে একটা খুব সুন্দর গাভী দেখবে সেটা ধরে নিয়ে আসবে।” ছেলে বললো, আমি সেটা কি করে ধরবো? তখন তার মা বললে, “এমনিতে তুমি গাভীটিকে ধরতে পারবে না। তুমি এক কাজ করবে, সেই গাভীটা যখন তুমি দেখবে তখন তাকে বলবে, 'হে গাভী! তোমার প্রতি মহান আল্লাহ পাক উনার কসম! তুমি আমার কাছে চলে আসো। তুমি কসম দিয়ে ডাকলে গাভীটা তোমার কাছে চলে আসবে।” সত্যিই সে জঙ্গলে গেলো তার মায়ের নির্দেশ মুতাবিক। যখন জঙ্গলে গেলো তখন সেখানে সেই গাভীটিকে দেখতে পেলো, কিন্তু গাভীটি তাকে দেখে খুব দ্রুতগতিতে পালাতে লাগলো। সে তখন সেই গাভীটাকে সম্বোধন করে বললো, “হে গাভী! তোমার প্রতি মহান আল্লাহ পাক উনার কসম! তুমি আমার কাছে চলে আসো।” বলার সাথে সাথে গাভীটা সত্যিই থেমে গেলো। আস্তে আস্তে হেঁটে হেঁটে সেই ছেলেটার কাছে আসলো। ছেলেটা গাভীটির শিং ধরে বললো, আমার সাথে বাড়িতে চলো। যখন সে গাভীটিকে নিয়ে বাড়ির দিকে রওয়ানা হলো। তখন মহান আল্লাহ পাক উনার কুদরত, গাভীটির জবান খুলে গেলো। গাভীটি বললো, 'হে নেক সন্তান! তুমি এক কাজ করো, তুমি আমার পিঠে চড়ে বসো। রাস্তা অনেক লম্বা। তোমার কষ্ট হবে।' কিন্তু ছেলেটি বললো, 'হে গাভী! দেখ, আমার মা আমাকে বলেছেন তোমাকে শিং ধরে নিয়ে যেতে, তোমার পিঠে চড়তে আমাকে বলেননি। কাজেই আমার মায়ের নির্দেশ অমান্য করে তোমার পিঠে চড়া আমার পক্ষে সম্ভব নয়।' একথা শুনে গাভী বললো, “তুমি তো তোমার মায়ের উপযুক্ত সন্তান। যে সন্তান মায়ের বাধ্যগত হয়, মহান আল্লাহ পাক তার দোয়া অবশ্যই কবুল করেন।” সে গরুটিকে শিং ধরে বাড়িতে নিয়ে গেলো। বাড়িতে গিয়ে যখন পৌঁছলো, তার মা গাভীটিকে দেখে বললো, “বাবা এক কাজ করো, এটা নিয়ে তুমি বাজারে যাও। বাজারে গেলে কেউ দাম জানতে চাইলে বলবে, এটার মূল্য হচ্ছে তিন দীনার। তবে শর্ত হচ্ছে, বিক্রির পূর্বে পুনরায় আমার মায়ের অনুমতি নিতে হবে। অন্যথায় বিক্রি হবে না।” সে মায়ের কথামতো গাভীটা বাজারে নিয়ে গেলো। যখন গাভীটা বাজারে তুললো - এদিকে মহান আল্লাহ পাক ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে জানিয়ে দিলেন যে দেখ, আমার এই বান্দা সে তার মায়ের কত অনুগত! মায়ের কথা ছাড়া এক কদমও ফেলে না।

তখন ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনারা বললেন: তাহলে সে যখন বাজারে বিক্রি করতে যাবে, আমরা সেখানে কিনতে যাবো এবং তাকে কিছু পরীক্ষা করবো যে, সে কতটুকু তার মায়ের অনুগত। সে যখন গাভীটা বাজারে নিয়ে গেলো তখন ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনারা মানুষের

ছুরতে এসে বললেন, হে ছেলে! তুমি কি গাভীটি বিক্রি করবে?

ছেলে বললো

: হ্যাঁ।

উনারা বললেন : কত?

ছেলে বললো

: এর মূল্য তিন দীনার। তবে শর্ত হচ্ছে, পুনরায় আমার মায়ের অনুমতি নিতে হবে। তারপর দিতে পারবো।

উনারা বললেন

: ঠিক আছে। এক কাজ করো, ছয় দীনার দিয়ে দেই। মায়ের অনুমতির কি দরকার রয়েছে? তোমার মা তিন দীনার বলেছে আমরা ছয় দিনার দিয়ে দিবো, গাভীটা আমাদেরকে দিয়ে দাও।

ছেলেটি বললো : না, এটা হবে না।

ছেলে সেই গাভী নিয়ে আবার মায়ের কাছে গেলো।

মা বললেন : ঠিক আছে। এক কাজ করো, তাহলে গিয়ে বলো যে এখন থেকে এটার দাম ছয় দীনার।

ছেলেটি পুনরায় দাম জেনে ফিরে এলো। এসে দেখে সেই লোকগুলো নেই। উনারা চলে গিয়েছেন, অন্য কিছু লোক এসেছেন।

উনারা বললেন : এক কাজ করো, আমাদের কাছে বিক্রি করে দাও। কত বিক্রি করবে?

ছেলে বললো

: ছয় দীনার। তবে আমার মায়ের অনুমতি সাপেক্ষে।

উনারা বললেন

: এক কাজ করো, আমরা বারো দীনার দিয়ে দেই, তোমার মায়ের অনুমতির কি দরকার রয়েছে? তোমার মা যা বলেছেন তার ডবল।

ছেলেটি বললো : না, এটা সম্ভব নয়।

ছেলে আবার সেই গাভীটিকে নিয়ে মায়ের কাছে আসলো। মা তখন বললেন যে দেখ, ব্যাপারটা অন্য রকম মনে হচ্ছে। নিশ্চয়ই উনারা মানুষ নন, উনারা ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম হবেন। তুমি এক কাজ করো তাদের কাছে

গিয়ে পরামর্শ করো। জিজ্ঞাসা করো, গাভীটার মূল্য কত হবে? কত দিয়ে বিক্রি করা যাবে? কখন বিক্রি করবো? ছেলেটির মা প্রকৃত বিষয়টি বুঝতে পেরেছিলেন।

ছেলেটি ফিরে এসে দেখলো, লোকগুলো তখনও রয়েছে। সে জিজ্ঞাসা করলো: আচ্ছা, আপনাদের কাছে আমার মা পাঠিয়েছেন পরামর্শ করার জন্য। এটার কত মূল্য হতে পারে এবং কখন কোথায় এটা বিক্রি করবো? তখন ফেরেশতাগণ বললেন এক কাজ করো, তুমি এটা এখন বিক্রি করো না। কিছুদিন পর মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল, হযরত মূসা কালীমুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার একটি ঘটনা ঘটবে। সে ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে লোকদের একটা গাভীর প্রয়োজন হবে তখন তারা তোমার গাভীটা কিনে নিবে। তুমি বলবে, এই গাভীর চামড়াটা ছাড়িয়ে নেয়ার পর তা পরিপূর্ণ করতে যত স্বর্ণের দরকার ঠিক সেই পরিমাণ স্বর্ণ দিয়ে গাভীর চামড়া পূর্ণ করে দিলে গাভীটি বিক্রি করবো। এছাড়া তুমি রাজী হবে না। আর এখন এটা বিক্রি করো না।

ঠিকই কয়েকদিন পর সেই ঘটনা ঘটলো। যে ঘটনা সম্পর্কে পবিত্র সূরা বাক্বারা শরীফে বর্ণিত আছে। বনী ইসরাঈলের এক ব্যক্তি নিহত হলো। কিন্তু কে তাকে হত্যা করেছে তা সকলের অজানা। সেই নিহত ব্যক্তির চাচাতো ভাই বাদী হয়ে বিচার প্রার্থনা করলো এবং সে এর জন্য এক ব্যক্তিকে অভিযুক্ত করলো। তখন এ বিষয়টির ফায়সালার জন্য তারা হযরত কালীমুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার নিকট আসলো। তিনি তখন মহান আল্লাহ পাক উনার আদেশ মুতাবিক বিষয়টির ফায়সালা করলেন। সে সম্পর্কে মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র কুরআন শরীফে উল্লেখ করেন, যখন হযরত কালীমুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার সম্প্রদায়কে বললেন, হে আমার সম্প্রদায়! মহান আল্লাহ পাক তোমাদেরকে একটা গাভী যবেহ করার আদেশ করেছেন।

তারা বললো, হে হযরত কালীমুল্লাহ আলাইহিস সালাম! আপনি কি আমাদের সাথে ঠাট্টা করেন?

তিনি বললেন, আমি জিহালত বা মূর্খতা থেকে মহান আল্লাহ পাক উনার কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করছি। মহান আল্লাহ পাক উনার নবী এবং রসূলগণ কখনও ঠাট্টা বিদ্রূপ করেন না।

তখন তারা বললো, হে হযরত কালীমুল্লাহ আলাইহিস সালাম! আপনি মহান

আল্লাহ পাক উনার কাছে জিজ্ঞাসা করুন, গাভীটি কেমন হবে?

তিনি বললেন, গাভীটি কচি বাচ্চাও হবে না আবার বৃদ্ধাও হবে না, মাঝামাঝি বয়সের হবে। যা আদেশ করা হয়েছে, তোমরা সেটা পালন করো।

তখন তারা আবার বললো, হে হযরত কালীমুল্লাহ আলাইহিস সালাম! আপনি মহান আল্লাহ পাক উনার কাছে জিজ্ঞাসা করুন, গাভীটির রং কেমন হবে? মহান আল্লাহ পাক জানিয়ে দিলেন, সেটা গাঢ় হলুদ রংয়ের হবে। এমন সুন্দর রং হবে যে, মানুষ দেখলে খুশী হয়ে যায়।

তখন তারা আবার বললো, হে হযরত কালীমুল্লাহ আলাইহিস সালাম! আপনি মহান আল্লাহ পাক উনার কাছে আর একটু জিজ্ঞাসা করুন, সেটা কেমন হবে? সমস্ত গাভী তো আমাদের কাছে এক রকম। ইনশাআল্লাহ অবশ্যই আমরা সঠিক পথ প্রাপ্ত হবো।

যখন তারা একথা বললো, তখন হযরত কালীমুল্লাহ আলাইহিস সালাম বললেন, মহান আল্লাহ পাক তিনি জানিয়েছেন সেটা কখনও পানি টানেনি, যমীন চাষ করেনি। নিখুঁত, যার মধ্যে কোনো দাগ নেই এমন সুন্দর একটা গাভী। তখন তারা বললো যে, আপনি সত্য কথাই বলেছেন। যেটা তাদের করার ইচ্ছা ছিল না। তারা সেটা করলো।

তারা যখন গাভী তালাশ করা শুরু করলো, তালাশ করতে গিয়ে যখন কোনো গাভী পাওয়া গেলো না। শেষ পর্যন্ত সেই ছেলের গাভীটিই তাদের পছন্দ হলো। হযরত কালীমুল্লাহ আলাইহিস সালাম যা বর্ণনা করেছেন হুবহু সেটার সাথে মিলে গিয়েছে। তখন তারা গিয়ে বললো, হে ছেলে! তোমার গাভীটি আমরা কিনতে চাই। তুমি এটার মূল্য কত নিবে? তখন সেই ছেলে হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালামগণ উনারা তাকে যে পরামর্শ দিয়েছিলেন সে মুতাবিক বললো, এটার মূল্য হচ্ছে, গাভীটি জবাই করে চামড়া খুলে তার চামড়ার মধ্যে যত স্বর্ণ জায়গা হবে ঠিক ততগুলো স্বর্ণ ওজন করে দিতে হবে। তাহলে আমি গাভী বিক্রি করবো। অবশেষে যখন তারা অনেক তালাশ করেও কোনো গাভী পেল না শেষ পর্যন্ত সেই গাভীটিই ক্রয় করলো এবং গাভীটি যবেহ করে তার চামড়া ছাড়িয়ে নিয়ে তাতে একটা গাভী পরিমাণ স্বর্ণ ভর্তি করে মেপে সেই স্বর্ণ তাকে দিয়ে দিলো। মহান আল্লাহ পাক উনার কুদরত! এভাবেই সেই সন্তানের আজীবনের রিযিকের ফায়সালা হয়ে গেলো। সুবহানাল্লাহ!

এদিকে মূল ঘটনা হলো, বনী ইসরাঈলের এক লোক তার চাচাতো ভাইয়ের সম্পত্তি আত্মসাত করার জন্য তাকে হত্যা করে অন্য একজনের নামে দোষ দেয়। অতঃপর সে নির্দোষ সাজার জন্য হযরত কালীমুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার কাছে বিচার প্রার্থনা করে। তখন, মহান আল্লাহ পাক হযরত কালীমুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনাকে বলে দিলেন, সেই জবাইকৃত গাভীর একটা অংশ দিয়ে মুর্দাকে স্পর্শ করো। তাহলে মুর্দা জিন্দা হয়ে বলে দিবে কে তার হত্যাকারী? যখন তারা গাভীটার একটা অংশ কেটে নিয়ে সেই মুর্দার গায়ে স্পর্শ করলো সাথে সাথে মুর্দা জিন্দা হয়ে বলে দিলো, আমার যে চাচাতো ভাই বিচারপ্রার্থী হয়েছে, সেই আমাকে হত্যা করেছে। এভাবেই মহান আল্লাহ পাক তিনি সত্য প্রকাশ করে দিলেন। যা কালামুল্লাহ শরীফ উনার সূরা বাক্বারা শরীফের ৭২ ও ৭৩নং আয়াত শরীফে উল্লেখ হয়েছে।

আর আলোচ্য ঘটনার মূল বিষয় হচ্ছে, সন্তানের প্রতি পিতার দোয়া। এখানে পিতা তার সন্তানের জন্য দোয়া করেছিলেন যে, আল্লাহ পাক! আমার বিষয় সম্পত্তি তেমন নেই, এই বাছুরটা আমি রেখে গেলাম, এটা বড় হলে যেন এটার মাধ্যমে তার রিযিকের ফায়সালা হয়ে যায়। মহান আল্লাহ পাক তার পিতার দোয়া সম্পূর্ণ কবুল করে নিয়েছিলেন এবং তার মা তাকে যে আদেশ-নিষেধ করেছেন সে হুবহু তা পালন করেছে। সে কারণেই তার রিযিকের ফায়সালা এইভাবে হয়ে গেলো, এক গাভীর সমপরিমাণ স্বর্ণ সে লাভ করলো, তার আজীবনের জন্য এবং তার পরবর্তী বংশধরদের জন্য রিযিকের ফায়সালা হয়ে গেলো। সুবহানাল্লাহ!

0 Comments: