নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদরে মহাসম্মানিত মাক্বাম মুবারক সমস্ত সৃষ্টির ঊর্ধ্বে-পর্ব-৪৯
আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ১৪৪২ হিজরী শরীফ উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ১৬ই মুহররমুল হারাম শরীফ লাইলাতুল আহাদ শরীফ (রবিবার রাত) মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ফালইয়াফরহূ শরীফ সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ মাহফিল মুবারক-এ ইরশাদ মুবারক করেন, “আলমে খ¦লক্ব ও আলমে আমর মিলে হচ্ছে আলমে ইমকান। আলমে খলক্ব হচ্ছে যেটা আরশে আযীমের নীচে। অর্থাৎ তাহ্তাছ ছারা বা মাটির নি¤ড়বতম স্তর থেকে আরশে আযীম পর্যন্ত হচ্ছে আলমে খ¦লক্ব। এটা মহান আল্লাহ পাক তিনি ছয় ধাপে সৃষ্টি মুবারক করেছেন। এ প্রসঙ্গে মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন,
اَللهُ الَّذِىْ خَلَقَ السَّمٰوتِٰ وَالَْرْضَ وَمَا بَيْنَهُمَا فِىْ سِتَّةِ اَيَّمٍ
অর্থ: “সেই খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক যিনি আসমানসমূহ (সাত আসমান) এবং সমস্ত যমীন (সাত যমীন) এবং উভয়ের মাঝে যা কিছু আছে, এ সমস্ত কিছু ছয় দিন তথা ছয় ধাপে সৃষ্টি মুবারক করেছেন।” সুবহানাল্লাহ! (সম্মানিত ও পবিত্র সূরা সিজদাহ শরীফ : সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ ৪)
আবার আরশে আযীম থেকে ঠিক সম উচ্চতা হচ্ছে আলমে আমর। অর্থাৎ তাহতাছ ছারা থেকে আরশে আযীম পর্যন্ত যে পরিমাণ জায়গা ঠিক আরশে আযীম থেকে সেই পরিমাণ উচ্চতা হচ্ছে আলমে আমর। যা খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার হুকুম মুবারক হওয়া মাত্রই সৃষ্টি হয়েছে। মহান আল্লাহ পাক তিনি বলেছেন, كُنْ فَيَكُوْنُ অর্থ: ‘হও, হয়ে গেছে।’
আলমে আমর হচ্ছে ফাঁকা জায়গা। আলমে খ¦লক্ব হলো নফ্স, আব, আতেশ, খাক্ ও বাদ্। আর আলমে আমর হলো- ক্বল্ব, রূহ্, সির, খফী এবং আখ্ফা। উপরে ৫টি এবং নীচে ৫টি। আরশে আযীম হচ্ছে আলমে খলক্বের মধ্যে। এর উপরে হচ্ছে আলমে আমর।
আলমে খলক্ব ও আলমে আমর মিলে হচ্ছে আলমে ইমকান তথা সম্পূর্ণ সৃষ্টি জগত। সুবহানাল্লাহ! আর এই সমস্ত কিছুই সৃষ্টি করা হয়েছে, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার এক কাতরা নূর মুবারক থেকে। সুবহানাল্লাহ!
এখন আরশে আযীমের মধ্যে মহান আল্লাহ পাক উনার কুদরত মুবারক যাহির হয়, সেখান থেকে এটা সারা কায়িনাতে প্রচার-প্রসার হয়। সাধারণভাবে মানুষ মনে করে, আরশে আযীম থেকে মূল বিষয় প্রকাশ পায়। ঠিক আছে হয়, ঠিকই হয়। কিন্তু আরশে আযীম- যে ফায়দা লাভ করে, এটা কিভাবে লাভ করে? আরশে আযীমের ৭০ হাজার ভাগের একভাগ নূর মুবারক যাহির হলো তূর পাহাড়ে, হযরত কালীমুল্লাহ আলাইহিস সালাম তিনি না’লাইন শরীফ খুলে গেলেন। তাহলে আরশে আযীম ফায়দা লাভ করছে কিভাবে? এটা আল্লাহ পাক উনার তরফ থেকে আসে। তাহলে এটা শুধু মহান আল্লাহ পাক উনার তরফ থেকেই আসে? উনার তরফ থেকে শুধু আসে না। আর আরশে আযীমে যে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে দাওয়াত দিয়ে নিয়ে যাওয়া হলো, এটা তো একটা তরতীব করা হয়েছে। অর্থাৎ মহান আল্লাহ পাক উনার সাথে উনার হাবীব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম্ উনার যে নিসবত-কুরবত মুবারক, নৈকট্য মুবারক সেটা সৃষ্টি জগতের মাঝে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রমাণ করার জন্য করা হয়েছে। আরশে আযীমকে আলমে খলক্বের শেষ স্তর হিসেবে বুঝানো হয়েছে। সেখানে পৌঁছানো হয়েছে। কিন্তু আসলে এখন যেটা দেখা যাচ্ছে, আমি যেটা দেখতেছি- এর উর্ধ্বে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার, উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আব্বা আলাইহিস সালাম উনার এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আম্মা আলাইহাস সালাম উনার অর্থাৎ উনাদের, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিনড়বাস সালাম উনাদের এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আবনাউ রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বানাতু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের অবস্থান মুবারকগুলো। সুবহানাল্লাহি ওয়া রসূলিহী ওয়া আহলি বাইতিহী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! উনাদের তরফ থেকে যে নূর মুবারকগুলো যাহির হচ্ছেন, সেগুলো আরশে আযীমে পড়তেছে। মহান আল্লাহ পাক উনার তরফ থেকে তো আছেই, উনার কুদরত মুবারক যাহির হচ্ছেন এবং নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনারও মু’জিযা শরীফ যাহির হচ্ছেন সেখানে। সুবহানাল্লাহি ওয়া রসূলিহী ওয়া আহলি বাইতিহী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! উনারা তো আরশে আযীমের অধীনে না। আরশে আযীম উনাদের অধীন। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার এক কাতরা নূর মুবারক দিয়ে আরশে আযীম তৈরী করা হয়েছে। তাহলে উনারা এর অধীন হন কিভাবে? বরং আরশে আযীম উনাদের অধীন, মুহতাজ এবং উনাদের দ্বারাই আরশে আযীম সম্মানিত। শুধু তাই নয়; নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার স্পর্শ মুবারক-এ যা এসেছেন, প্রত্যেকটাই আরশ, কুরসী, লৌহ, ক্বলম সমস্ত কিছু থেকে লক্ষ কোটি গুণ বেশি সম্মানিত, পবিত্র ও ফযীলতপ্রাপ্ত। আরশ, কুরসী, লৌহ, ক্বলম সমস্ত কিছু উনার এক কাতরা নূর মুবারক দ্বারা তৈরী। সুবহানাল্লাহি ওয়া রসূলিহী ওয়া আহলি বাইতিহী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! সেই বিষয়টিই যেটা দেখা যাচ্ছে যে, মহান আল্লাহ পাক উনার তো কুদরত মুবারক যাহির হচ্ছেনই, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মু’জিযা শরীফ যাহির হচ্ছেন। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার, উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আব্বা আলাইহিস সালাম উনার এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আম্মা আলাইহাস সালাম উনার অর্থাৎ উনাদের, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আবনাউ রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বানাতু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের তরফ থেকে যেই নূর ঝরতেছে, ওটা দিয়ে আরশে আযীম সম্মানিত। সুবহানাল্লাহি ওয়া রসূলিহী ওয়া আহলি বাইতিহী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! উনাদের অবস্থান তো তার চেয়ে উর্ধ্বে। আল্লাহ পাক তিনি তো কোনো সময়, স্থান, কাল, পাত্রের মধ্যে না। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনিও সময়, স্থান, কাল, পাত্রের মধ্যে না। উর্ধ্বে। কোনো সময়, স্থান, কাল, পাত্রের সাথে নির্দিষ্ট করা ঠিক হবে না। জিসিম মুবারক হিসেবে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র রওযা শরীফ-এ অবস্থান মুবারক করেতেছেন, এটা আলাদা বিষয়। হাক্বীক্বত তিনি কোন সময়, স্থান, কাল, পাত্রের অধীন না। সবকিছুর উর্ধ্বে তিনি। উনার হাক্বীক্বী যে মাক্বাম, সেটা তো কোন স্থান-কাল-পাত্রের মধ্যে না।
মহান আল্লাহ পাক তিনি আসমা ও ছিফত দ্বারা যাহির। হাক্বীক্বত তিনি যাহির নন। ইলিম ও কুদরত দ্বারা হাযির-নাযির। হাক্বীক্বীত তো মহান আল্লাহ পাক তিনি সমস্ত কায়িনাতের মধ্যেই আছেন। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিষয়টিও ঠিক একই রকম। মহান আল্লাহ পাক তিনি খালিক্ব মালিক রব হিসেবে, আর নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন হিসেবে।
মহান আল্লাহ পাক তিনি উনার মাহবূব হাবীব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে সৃষ্টি মুবারক করার পর উনার সম্মানিত কুদরত মুবারক উনার মধ্যে রাখেন। সুবহানাল্লাহ! তখন মহান আল্লাহ পাক তিনি এবং উনার মাহবূব হাবীব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি অর্থাৎ উনারা ব্যতীত আর কোনো কিছুরই অস্তিত্ব ছিলো না। সুবহানাল্লাহ!
এ সম্পর্কে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে,
عَنْ حَضْرَتْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللهِ الَْنْصَارِىِّ رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ قَالَ
قُلْتُ يَ رَسْوُلَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَِبِىْ اَنْتَ وَاُمِّىْ اَخْبِرْنِىْ عَنْ
قَالَ يَ حَضْرَتْ جَابِرُ رَضِىَ ءٍ خَلَقَهُ اللهُ تَعَالٰى قَبْلَ الَْشْيَاءِ اَوَّلِ شَىْ
اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ اِنَّ اللهَ تَعَالٰى قَدْ خَلَقَ قَبْلَ الَْشْيَاءِ نوُْرَ نَبِيِّكَ مِنْ نوُّْرِهٖ
فَجَعَلَ ذٰلِكَ النُّوْرُ يَدُوْرُ بِلْقُدْرَةِ حَيْثُ شَاءَ اللهُ تَعَالٰى
অর্থ: “হযরত জাবির ইবনে আব্দুল্লাহ আনছারী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি আরয করলাম, ইয়া রসূলাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আমার পিতা-মাতা আপনার জন্য কুরবান হোক, দয়া করে আমাকে এ বিষয়ে সংবাদ মুবারক দান করুন যে, মহান আল্লাহ পাক তিনি সর্বপ্রথম কোন জিনিস সৃষ্টি করেছেন। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, হে হযরত জাবির রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু! নিশ্চয়ই নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক তিনি সমস্ত কিছুর পূর্বে সর্বপ্রথম আপনার যিনি মহাসম্মানিত নবী ও রসূল, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূর মুবারক উনাকে অত্যান্ত মুহব্বত উনার সাথে সম্মানিত সৃষ্টি মুবারক করেন। সুবহানাল্লাহ! তখন সেই মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূর মুবারক মহান আল্লাহ পাক উনার সম্মানিত ইচ্ছা মুবারক অনুযায়ী উনার সম্মানিত কুদরত মুবারক উনার মধ্যে ঘূর্ণায়মান ছিলেন।” সুবহানাল্লাহ! (মাওয়াহিবুল লাদুননিয়্যাহ, শারহুয যারক্বানী ‘আলাল মাওয়াহিব, নূরে মুহম্মদী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মাদারেজুন নুবুওওয়াত, ফতওয়ায়ে হাদীছিয়্যাহ ইত্যাদি)
আলমে খলক্ব ও আলমে আমর সমস্ত কিছু সৃষ্টির পূর্বে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে সৃষ্টি করা হয়েছেন। তখন তিনি মহান আল্লাহ পাক উনার কুদরত মুবারক ও দীদার মুবারক উনাদের মধ্যে ছিলেন। সুতরাং মহান আল্লাহ পাক তিনি যেমন কায়িনাতের কোনো কিছুর মুহ্তায নন, ঠিক তেমনিভাবে উনার মাহবূব হাবীব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনিও একমাত্র মহান আল্লাহ পাক তিনি ব্যতীত সৃষ্টির কোনো কিছুর মুহ্তায নন। সুবহানাল্লাহ! তিনি সৃষ্টির শুরুতেই মহান আল্লাহ পাক উনার মহাসম্মানিত কুদরত মুবারক ও দীদার মুবারক উনাদের মধ্যে ছিলেন, আছেন এবং অনন্তকাল থাকবেন। সুবহানাল্লাহ!
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার, উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আব্বা আলাইহিস সালাম উনার এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আম্মা আলাইহাস সালাম উনার অর্থাৎ উনাদের, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আবনাউ রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বানাতু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের সকলের নূর মুবারক ঝরে আরশে আযীম একাকার হচ্ছে।
আরশে আযীম হচ্ছে আলমে খলক্বের শেষ সীমানা। এর উপরে হচ্ছে আলমে আমর। এটাও সৃষ্টি জগতের মধ্যে। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার, উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আব্বা আলাইহিস সালাম উনার এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আম্মা আলাইহাস সালাম উনার অর্থাৎ উনাদের, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আবনাউ রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বানাতু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের সম্মানার্থেই সমগ্র কায়িনাত তথা আলমে খলক্ব ও আলমে আমর সৃষ্টি করা হয়েছে। তার উর্ধ্বে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার, উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আব্বা আলাইহিস সালাম উনার এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আম্মা আলাইহাস সালাম উনার অর্থাৎ উনাদের, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আবনাউ রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বানাতু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের সম্মানিত অবস্থান মুবারক। উনাদের থেকে নূর মুবারক ঝরেই সবকিছু হচ্ছে।
কয়েকদিনের মধ্যে আমি যেটা দেখলাম, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার, উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আব্বা আলাইহিস সালাম উনার এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আম্মা আলাইহাস সালাম উনার অর্থাৎ উনাদের, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আবনাউ রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বানাতু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের থেকে নূর মুবারক ঝরে পড়তেছে। পড়তে পড়তে সেগুলো পড়তেছে আরশে আযীমের মধ্যে। আল্লাহ পাক উনার কুদরত মুবারক যেমন যাহির হয়, এ রকম। সেখান থেকে সারা কায়িনাতে বণ্টিত হয়। মানুষতো আর এগুলো বুঝবে না। আরশে আযীম পর্যন্ত। না আসলে আরশে আযীম পর্যন্ত।
সমস্ত সৃষ্টি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার, উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আব্বা আলাইহিস সালাম উনার এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আম্মা আলাইহাস সালাম উনার অর্থাৎ উনাদের, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আবনাউ রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বানাতু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের অধীন। উনারা সমস্ত সৃষ্টির উর্ধ্বে। উনারা অনেক উর্ধ্বে।
ক্বা’বা শরীফ যেমন একটা ক্বিবলা এদিক ফিরে নামায পড়তে হয়। অনুরূপভাবে আরশে আযীম হচ্ছে একটা কেন্দ্র, সেখান থেকে সমস্ত কিছু বণ্টিত হয়।
কুর্সী হচ্ছে একটা যমীন, আরশ হচ্ছে একটা আসন। আসন হিসেবে সেখানে নিয়ামতগুলো বর্ষিত হয়, আর সেখান থেকে কায়িনাতে বণ্টিত হয়। সুবহানাল্লাহ! আরশে আযীমের উপরে যে আলমে আমর রয়েছে, তারও উপরে হচ্ছে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার, উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আব্বা আলাইহিস সালাম উনার এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আম্মা আলাইহাস সালাম উনার অর্থাৎ উনাদের, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আবনাউ রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বানাতু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের অবস্থান মুবারকগুলো। সুবহানাল্লাহ! আর এটাই স্বাভাবিক। কেননা নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার, উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আব্বা আলাইহিস সালাম উনার এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আম্মা আলাইহাস সালাম উনার অর্থাৎ উনাদের, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আবনাউ রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বানাতু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের গোলামী করার জন্যই সমস্ত কায়িনাত সৃষ্ট করা হয়েছে।
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি কুদরত মুবারক উনার মধ্যে ছিলেন, আছেন এবং থাকবেন। তাহলে কুদরত মুবারক কোথায় থাকবে? সৃষ্টির মধ্যে, না সৃষ্টির উর্ধ্বে? সৃষ্টির উর্ধ্বে। তাহলে তো তিনি আপসে আপ সৃষ্টির উর্ধ্বে আছেন। এখানে তো আসার প্রশড়বই উঠে না।
সমস্ত কিছু সৃষ্টি করার পূর্বে তিনি কুদরত মুবারক উনার মধ্যে তিনি ছিলেন। তাহলে আলমে ইমকান যে বলা হয়, আলমে খলক্ব ও আলমে আমর, এর উর্ধ্বে তিনি আগে থেকেই। তাহলে তিনি সৃষ্টির মধ্যে আসেন কি করে?
তিনি সৃষ্টির উর্ধ্বে তো আগে থেকেই। তাহলে তিনি নীচে আসেন কি করে? তাহলে উনার মাক্বাম মুবারক আরশে আযীম পর্যন্ত হয় কি করে?
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার গোলামী মুবারক উনার আনজাম মুবারক দেয়ার জন্য আরশ, কুর্সী, লৌহ, ক্বলম সারা কায়িনাত সৃষ্টি করা হয়েছে। উনার শান-মান প্রকাশের জন্য আরশে আযীম সৃষ্টি করা হয়েছে। তাহলে তিনি আগে থেকেই তো সৃষ্টির উর্ধ্বে। উনার তরফ থেকে আরশে আযীমে নিয়ামত মুবারক যাহির হচ্ছে। আর সেখান থেকে সারা কায়িনাতে ছড়িয়ে পড়ছে। সুবহানাল্লাহ!
আরশ, কুর্সী, লৌহ, ক্বলম উনার সম্মানার্থে সৃষ্টি। তাহলে উনি এগুলোর অধীন হবেন কেন?
সমস্ত সৃষ্টির উর্ধ্বে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার, উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আব্বা আলাইহিস সালাম উনার এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আম্মা আলাইহাস সালাম উনার অর্থাৎ উনাদের, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিনড়বাস সালাম উনাদের এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আবনাউ রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বানাতু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের অবস্থান মুবারক। উনাদের কারণেই সমগ্র সৃষ্টি সম্মানিত হয়েছে। আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনারা তো ঈমান। উনাদের থেকে সব সৃষ্টি হয়েছে।” (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!)
তাহলে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের সাথে ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার কত বেমেছাল মহাসম্মানিত তা‘য়াল্লুক্ব-নিসবত মুবারক, সেটা সমস্ত জিন-ইনসান, তামাম কায়িনাতবাসী সকলের চিন্তা ও কল্পনার উর্ধ্বে। এক কথায় তিনি শুধু মহান আল্লাহ পাক তিনি নন এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি নন; এছাড়া সমস্ত শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত, বুযূর্গী-সম্মান মুবারক উনাদের অধিকারী হচ্ছেন তিনি। সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!

0 Comments:
Post a Comment