হুব্বে রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-৩

 হুব্বে রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-৩

বদরের জিহাদে সময় হযরত আব্দুল্লাহ ইবন মাস'উদ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু থেকে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, 'আমি আল-মিকদাদ ইবনুল আসওয়াদ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু এর একটি শান মুবারক দেখেছি, যে সে ভূমিকায় অবতীর্ণ হওয়া আমার নিকট পৃথিবীর সমস্ত বস্তুর চেয়ে অধিক প্রিয়।
হযরত আল-মিকদাদ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি হাবীবুল্লাহ হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নিকট এমন সময় আসলেন, যখন হাবীবুল্লাহ হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মুশরিকদের বিরুদ্ধে দু'আ করছিলেন। হযরত আল-মিকদাদ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বলেন,
لَا تَقُولُ كَمَا قَالَ قَوْمُ مُوسَى اذْهَبْ أَنْتَ وَرَبُّكَ فَقَاتِلَا وَلَكِنَّا نُقَاتِلُ عَنْ يَمِينِكَ وَعَنْ شِمَالِكَ وَبَيْنَ يَدَيْكَ وَخَلْفَكَ فَرَأَيْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَشْرَقَ وَجْهُهُ وَسَرَّهُ
আমরা এমনটি বলবো না, যেমন হযরত মুসা কালীমুল্লাহ আলাইহিস সালামকে উনার কওম বলেছিল, 'আপনি আর আপনার রব দুজনে গিয়ে যুদ্ধ করুন', বরং আমরা আপনার ডান পাশে, বাম পাশে, সম্মুখ থেকে এবং পেছন থেকে লড়াই করবো'। আমি হাবীবুল্লাহ হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার দিকে তাকিয়ে দেখলাম যে, (আল-মিকদাদ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুর এ কথার পর) উনার মুখমন্ডল উজ্জ্বল হয়ে উঠেছে। তিনি আনন্দিত হয়েছেন' ।
একইভাবে আনাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু আরো বলেন,
فَقَامَ سَعْدُ بْنُ عُبَادَةَ، فَقَالَ : إِيَّانَا تُرِيدُ يَا رَسُولَ اللَّهِ؟ وَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ، لَوْ أَمَرْتَنَا أَنْ تُحِيضَهَا الْبَحْرَ لَأَحْضْنَاهَا ، وَلَوْ أَمَرْتَنَا أَنْ نَضْرِبَ أَكْبَادَهَا إِلَى بَرْكِ الْغمَادِ لَفَعَلْنَا،
তখন সা'দ ইবন 'উবাদাহ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু দাঁড়ালেন, অতঃপর বলেন, হে আল্লাহর রাসূল! ঐ সত্তার শপথ, যার হাতে আমার জীবন! আপনি যদি আমাদের ঘোড়াসহ সমুদ্রে ঝাঁপ দিতে নির্দেশ করেন আমরা অবশ্যই সাগরে ঝাঁপ দেব। আপনি যদি নির্দেশ দেন যে, আমরা ঘোড়াগুলোকে পদাঘাত করে অগ্রসর হয়ে বারকুল গিমাদ পর্যন্ত পৌছে যাই, আমরা অবশ্যই তা করব' (মুসনাদে আহমদ ৩৬৯৮, ১৩৭০৩)
মদীনা শরীফ থেকে বারকুল গিমাদ সাগর তীর প্রায় ১৭০০ কিলোমিটার দূরত্ব।

0 Comments: