সম্মানিত ও পবিত্র মাযহাব চতুষ্ঠয় উনাদের মধ্যে যে কোন একটি সম্মানিত ও পবিত্র মাযহাব উনার উপর মউত পর্যন্ত ইস্তিক্বামত থাকা ফরয ( ২৩ নং )


পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ, পবিত্র ইজমা শরীফ ও পবিত্র ক্বিয়াস শরীফ উনাদের দৃষ্টিতে
সম্মানিত ও পবিত্র মাযহাব চতুষ্ঠয় উনাদের মধ্যে যে কোন একটি সম্মানিত ও পবিত্র মাযহাব মানা ও অনুসরণ করা ফরয ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া”- পেশ করতে পারায় মহান আল্লাহ পাক উনার পবিত্র দরবার শরীফ-এ শুকরিয়া জ্ঞাপন করছি।

সম্মানিত ও পবিত্র মাযহাব চতুষ্ঠয় উনাদের মধ্যে যে কোন একটি সম্মানিত ও পবিত্র
মাযহাব উনার উপর মউত পর্যন্ত ইস্তিক্বামত থাকা ফরয

পূর্ব প্রকাশিতের পর

পবিত্র তাফসীর শরীফ উনাদের নির্ভরযোগ্য কিতাব থেকে আত-তাক্বলীদুশ্ শারয়ী তথা শরীয়াত সমর্থিত অনুসরণউনার সমর্থনে পবিত্র আয়াত শরীফ সমূহ উনাদের ছহীহ ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ ও আহকাম

পবিত্র কুরআন মাজীদ, পবিত্র হাদীছ শরীফ, ইজমাউল উম্মাহ ও ছহীহ ক্বিয়াস শরীফ উনাদের দলীল-আদিল্লাহ মোতাবেক সম্মানিত ইসলামী শরীয়াত উনার যাবতীয় হুকুম-আহকাম মেনে চলার জন্য কারো অনুসরণ করাকে আত-তাকলীদুশ শারয়ী তথা শরীয়াত সমর্থিত অনুসরণবলে। উনাকে তাকলীদুল ইসলাম’, ‘তাকলীদুদ্ দীনতাকলীদুদ্ দালায়িলিল আরবায়াহঅর্থাৎ পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার চারখানা দলীল উনাদের অনুসরণও বলা হয়ে থাকে।
নি¤œ পবিত্র তাফসীর শরীফ উনাদের নির্ভরযোগ্য কিতাব থেকে আত-তাক্বলীদুশ্ শারয়ী তথা শরীয়াত সমর্থিত অনুসরণউনার সমর্থনে পবিত্র আয়াত শরীফ সমূহ উল্লেখ করে উনাদের ছহীহ ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ ও আহকাম বা বিধি-বিধান আলোচনা করা হলো।
পবিত্র আয়াত শরীফ নম্বর- ১৮
وَمَنْ اَحْسَنُ دِينًا مِمَّنْ اَسْلَمَ وَجْهَه لله وَهُوَ مُحْسِنٌ وَاتَّبَعَ مِلَّةَ ابْرَاهِيمَ حَنِيفًا وَاتَّخَذَ اللهُ ابْرَاهِيمَ خَلِيلًا. (سورة النساء الشريف ১২৫ الاية الشريف)
অর্থ: পবিত্র দ্বীন উনার ব্যাপারে কে উত্তম, উনার অপেক্ষা যিনি মহান আল্লাহ তায়ালা উনার নিকট আত্মসমর্পণ করেন? আর তিনি হন সৎকর্মপরায়ণ। তিনি একনিষ্ঠভাবে হযরত ইবরাহীম খলীলুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার মিল্লাত অনুসরণ করেন। মহান আল্লাহ তায়ালা হযরত ইবরাহীম আলাইহিস সালাম উনাকে খলীল হিসেবে গ্রহণ করেছেন। (পবিত্র সূরাতুন নিসা শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ১২৫)
অত্র পবিত্র আয়াত শরীফ উনার বিশুদ্ধ
তাফসীর বা ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ
(৪৭৩)
{وَمَنْ احْسَنُ دِيناً} احكم ديناً واحسن قولاً {مِمَّنْ اسْلَمَ وَجْهَه لِلّهِ} اخلص دينه وعمله لله {وَهُوَ مُحْسِنٌ} موحد محسن بالقول والفعل {واتَّبَعَ مِلَّةَ ابْرَاهِيمَ حَنِيفاً} مسلماً {واتخذَ اللهُ ابْرَاهِيمَ خَلِيلاً} مصافيا. (تنوير المقباس من تفسير ابن عباس رضي الله عنهما المتوفى سنة ۶۸ هجري سورة النساء ۱۲۵ الاية الكريمة جمعه محمد بن يعقوب الفيروز آبادى رحمة الله عليه المتوفى سنة ۸۱۷ هجري(
অর্থ: (পবিত্র দীন উনার ব্যাপারে কে উত্তম) কার দীন অধিক মজবূত এবং কার কথা অধিক উত্তম? (উনার অপেক্ষা যিনি মহান আল্লাহ তায়ালা উনার নিকট আত্মসমর্পণ করেন) অর্থাৎ যিনি দীনী বিষয়ে একনিষ্ঠ হয়ে মহান আল্লাহ তায়ালা উনার জন্যই আমল সমূহ সম্পাদন করেন (আর তিনি হন সৎকর্মপরায়ণ) অর্থাৎ তাওহীদে বিশ্বাসী এবং কথা-কাজে ইখলাছের সাথে সৎকর্মপরায়ণ (তিনি একনিষ্ঠভাবে হযরত ইবরাহীম খলীলুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার মিল্লাত অনুসরণ করেন) অর্থাৎ মুসলমান (মহান আল্লাহ তায়ালা হযরত ইবরাহীম আলাইহিস সালাম উনাকে খলীল হিসেবে গ্রহণ করেছেন) অর্থাৎ প্রকৃত বন্ধুরূপে গ্রহণ করেছেন। (তানবীরুল মাকবাস মিন তাফসীরি ইবনি আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু আনহুমা ওয়াফাত মুবারক: ৬৮ হিজরী পবিত্র সূরাতুন্ নিসা শরীফ ১২৫ নম্বর আয়াত শরীফ সংকলক: হযরত মুহাম্মাদ বিন ইয়াকূব ফীরোজাবাদী রহমাতুল্লাহি আলাইহি ওয়াফাত: ৮১৭ হিজরী)
(৪৭৪)
{وَمَنْ اَحْسَنُ دِيناً مِمَّنْ اَسْلَمَ وَجْهَه} اي اخلص دينه {لِلّهِ وَهُوَ مُحْسِنٌ} فى عمله ويقال: وهو موحد {واتَّبَعَ مِلَّةَ ابراهيم حَنِيفاً} اى مستقيماً، ويقال: مائلاً الى دين الاسلام. (بحر العلوم اى تفسير السمرقندي سورة النساء ১২৫ الاية الكريمة المؤلف: أبو الليث نصر بن محمد بن أحمد بن إبراهيم السمرقندى الحنفى رحمة الله عليه المتوفى سنة ৩৭৩ هجري(
অর্থ: (পবিত্র দীন উনার ব্যাপারে কে উত্তম উনার অপেক্ষা যিনি মহান আল্লাহ তায়ালা উনার নিকট আত্মসমর্পণ করেন) অর্থাৎ যিনি দীনী বিষয়ে একনিষ্ঠ হন (আর তিনি হন সৎকর্মপরায়ণ) অর্থাৎ উনার আমলের ব্যাপারে এবং তিনি তাওহীদে বিশ্বাসী (তিনি একনিষ্ঠভাবে হযরত ইবরাহীম আলাইহিস সালাম উনার মিল্লাত অনুসরণ করেন) অর্থাৎ দৃঢ়ভাবে, বলা হয় তিনি পবিত্র ইসলাম পালনে অগ্রগামী। (বাহরুল উলূম অর্থাৎ তাফসীরুস্ সামারকান্দী পবিত্র সূরাতুন্ নিসা শরীফ ১২৫ নম্বর আয়াত শরীফ সংকলক: হযরত আবুল লাইছ নাছর বিন মুহাম্মাদ বিন আহমাদ বিন ইবরাহীম সামারকান্দী হানাফী রহমাতুল্লাহি আলাইহি ওয়াফাত: ৩৭৩ হিজরী)
(৪৭৫)
{وَمَنْ اَحْسَنُ دِينًا} احكمُ دينًا {مِمَّنْ اَسْلَمَ وَجْهَه لِلّهِ} اي اخلص عمله لله. (معالم التنزيل اى تفسير البغوي سورة النساء ۱۲۵ الاية الكريمة المؤلف: محيي السنة أبو محمد الحسين بن مسعود البغوي رحمة الله عليه المتوفى سنة ۵۱۰ هجري(
অর্থ: (পবিত্র দীন উনার ব্যাপারে কে উত্তম) কার দীন অধিক মজবূত? (উনার অপেক্ষা যিনি মহান আল্লাহ তায়ালা উনার নিকট আত্মসমর্পণ করেন) অর্থাৎ যিনি দীনী বিষয়ে একনিষ্ঠ হয়ে মহান আল্লাহ তায়ালা উনার জন্যই আমল সমূহ সম্পাদন করেন। (মায়ালিমুত্ তানযীল অর্থাৎ তাফসীরুল বাগবী পবিত্র সূরাতুন্ নিসা শরীফ ১২৫ নম্বর আয়াত শরীফ সংকলক: মুহইস্ সুন্নাহ হযরত আবূ মুহাম্মাদ বিন মাসঊদ বাগবী রহমাতুল্লাহি আলাইহি ওয়াফাত: ৫১০ হিজরী)




(৪৭৬)
حدثنى يحيى بن ابى طالب قال اخبرنا يزيد قال اخبرنا جويبر عن الضحاك قال: فضّل الله الاسلام على كل دين فقال: "ومن احسن دينًا ممن اسلم وجهه لله وهو محسن" الى قوله: "واتخذ الله ابراهيم خليلا" وليس يقبل فيه عملٌ غير الاسلام وهى الحنيفيّة. (جامع البيان في تأويل القران اى تفسير الطبري سورة النساء شريف الاية ۱۲۵ الاية الكريمة المؤلف: محمد بن جرير بن يزيد بن كثير بن غالب الآملي ابو جعفر الطبري رحمة الله عليه المتوفى ۳۱۰ هجري(
অর্থ: হযরত আবূ জাফর ত্ববারী রহমাতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন: আমার কাছে হাদীছ শরীফ বর্ণনা করেছেন হযরত ইয়াহইয়া বিন আবূ ত্বালিব রহমাতুল্লাহি আলাইহি, তিনি বলেন আমাদের কাছে খবর দিয়েছেন হযরত ইয়াযীদ রহমাতুল্লাহি আলাইহি, তিনি বলেন আমাদের কাছে খবর দিয়েছেন হযরত জুওয়াইবার রহমাতুল্লাহি আলাইহি, তিনি হযরত দ্বহহাক রহমাতুল্লাহি আলাইহি উনার থেকে বর্ণনা করেন যে- তিনি বলেন: মহান আল্লাহ রব্বুল আলামীন সকল দীনের উপরে পবিত্র দীন ইসলাম উনাকেই মর্যাদা দিয়েছেন।
وَمَنْ اَحْسَنُ دِينًا مِمَّنْ اَسْلَمَ وَجْهَه لله وَهُوَ مُحْسِنٌ وَاتَّبَعَ مِلَّةَ ابْرَاهِيمَ حَنِيفًا وَاتَّخَذَ اللهُ ابْرَاهِيمَ خَلِيلًا
অত্র পবিত্র আয়াত শরীফ উনার ব্যাখ্যায় তিনি আরো বলেন: পবিত্র দীন উনার ক্ষেত্রে পবিত্র ইসলাম ব্যতীত অন্য কোন আমল গ্রহণ করা হবে না। আর এ পবিত্র দীন ইসলাম উনি হচ্ছেন হানীফিয়্যাহ অর্থাৎ সরল-সঠিক পথ। (জামিউল বয়ান ফী তাবীলিল কুরআন অর্থাৎ তাফসীরুত ত্ববারী পবিত্র সূরাতুন্ নিসা শরীফ ১২৫ নম্বর আয়াত শরীফ লেখক: হযরত মুহাম্মাদ বিন জারীর বিন ইয়াযীদ বিন কাছীর বিন গালিব আমালী আবূ জাফর ত্ববারী রহমাতুল্লাহি আলাইহি ওয়াফাত: ৩১০ হিজরী)
এখানে ইখলাছ তথা একনিষ্ঠভাবে মহান আল্লাহ তায়ালা উনার জন্য মিল্লাতে হযরত ইবরাহীম আলাইহিস সালাম অর্থাৎ দ্বীন ইসলাম উনার ইত্তিবা করতে নির্দেশ করা হয়েছে।
পবিত্র আয়াত শরীফ নম্বর- ১৯
اَلْيَوْمَ اَكْمَلْتُ لَكُمْ دِيْنَكُمْ وَاَتْمَمْتُ عَلَيْكُمْ نِعْمَتِىْ وَرَضِيْتُ لَكُمُ الْاسْلَامَ دِيْنًا. (سورة المائدة الشريف ۳ الاية الشريف(
অর্থ: আজ (পবিত্র বিদায় হজ্জে আরাফার দিন) আমি তোমাদের জন্য তোমাদের পবিত্র দীন উনাকে পরিপূর্ণ করে দিলাম, তোমাদের প্রতি আমার পবিত্র নিয়ামত সম্পুর্ণ করে দিলাম এবং সম্মানীত ইসলাম উনাকে তোমাদের পবিত্র দীন (জীবন ব্যবস্থা) হিসেবে মনোনীত করে সন্তুষ্ট হলাম। (পবিত্র সূরাতুল্ মায়িদাহ শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ নং ৩)
অত্র পবিত্র আয়াত শরীফ উনার বিশুদ্ধ
তাফসীর বা ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ
(৪৭৭)
اكملت لكم ما تحتاجون إليه في تكليفكم من تعليم الحلال والحرام والتوقيف على شرائع الاسلام وقوانين القياس. (مدارك التنزيل وحقائق التأويل اى تفسير النسفي سورة المائدة الشريف ۳ الاية الشريف المؤلف: ابو البركات عبد الله بن احمد بن محمود النسفي الحنفي الماتريدي المتوفى ۷۱۰ هجري(
অর্থ: আমি তোমাদের প্রয়োজনীয় সকল হালাল ও হারাম স্পষ্ট বর্ণনা করে শিক্ষা দিলাম, পবিত্র ইসলামী শরীয়াত উনাকে পূর্ণ করলাম এবং পবিত্র ছহীহ ক্বিয়াস উনার পদ্ধতি শিক্ষা দিলাম। (মাদারিকুত তানযীল ওয়া হাক্বায়িকুত তাবীল অর্থাৎ তাফসীরুন নাসাফী পবিত্র সূরাতুল্ মায়িদাহ শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ নং ৩ লেখক: হযরত আবুল বারাকাত আব্দুল্লাহ বিন আহমাদ বিন মাহমূদ নাসাফী হানাফী মাতুরীদী রহমাতুল্লাহি আলাইহি ওয়াফাত: ৭১০ হিজরী)
(৪৭৮)
اَلْيَوْمَ اَكْمَلْتُ لَكُمْ دِينَكُمْ بالتنصيص على قواعد العقائد والتوقيف على اصول الشرائع من الفرائض والواجبات والسنن والآداب والحلال والحرام والمكروه وموجبات الفساد لما له وجود شرعى كالصلوة والصوم والبيع ونحوها وقوانين الاجتهاد فيما لا نص فيه. (التفسير المظهرى سورة المائدة الشريف ۳ الاية الشريف المؤلف: محمد ثناء الله العثماني الهندي اليانى بنى النقشبندى الحنفي المتوفى سنة ۱۲۱۶ هجري(
অর্থ: আজ আমি তোমাদের জন্য তোমাদের পবিত্র দীন উনাকে পরিপূর্ণ করে দিলাম। অর্থাৎ আক্বীদাহ ও বিশ্বাসের বিষয়গুলো স্পষ্টভাবে বর্ণনা করলাম। পবিত্র শরীয়াত উনার বিধান উনার মূলনীতি উনার জ্ঞান দান করলাম। যেমন: ফরয, ওয়াজিব, সুন্নাত, মুস্তাহাব, হালাল, হারাম, মাকরূহ এবং ছলাত, ছাওম ও ব্যবসায় প্রভৃতি শরীয়াত উনার নির্দেশাবলী কি কি কারণে নষ্ট হয়ে যায়, তাও জানিয়ে দিলাম। আর যে সব বিষয়ে স্পষ্ট বিধান নেই সে সব বিষয়ে ইজতিহাদ ও গবেষণা করার পদ্ধতি শিখিয়ে দিলাম। (আত্ তাফসীরুল মাযহারী পবিত্র সূরাতুল্ মায়িদাহ শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ নং ৩ লেখক: হযরত মুহাম্মাদ ছানাউল্লাহ উছমানী হিন্দী পানীপথী নকশ্বন্দী হানাফী মাতুরীদী রহমাতুল্লাহি আলাইহি ওয়াফাত: ১২১৬ হিজরী)
(৪৭৯)
{اليوم اكملت لكم دينكم} بالنصر والاظهار على الاديان كلها او بالتنصيص على قواعد العقائد والتوقيف على اصول الشرائع وقوانين الاجتهاد. (روح البيان اى تفسير الحقي سورة المائدة الشريف ۳ الاية الشريف المؤلف: اسماعيل حقي بن مصطفى الحنفي الماتريدي تاريخ الوفاة ۱۱۲۷ هجري(
অর্থ: (আজ আমি তোমাদের জন্য তোমাদের পবিত্র দীন উনাকে পরিপূর্ণ করে দিলাম) দলীলের মাধ্যমে এবং সকল দীনের উপর প্রাধান্য দিয়ে। অথবা আক্বায়িদী পদ্ধতি ও শরয়ী উছূল প্রকাশ করে দেয়া হলো এবং ইজতিহাদ উনার পদ্ধতি জানিয়ে দেয়া হলো। (রূহুল বয়ান অর্থাৎ তাফসীরুল্ হাক্কী পবিত্র সূরাতুল্ মায়িদাহ শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ নং ৩ লেখক: হযরত ইসমাঈল হাক্কী বিন মুস্তফা হানাফী মাতুরীদী রহমাতুল্লাহি আলাইহি ওয়াফাত: ১১২৭ হিজরী)
অত্র পবিত্র আয়াত শরীফ উনার মধ্যে পবিত্র ছহীহ ক্বিয়াস যে পবিত্র কুরআন মাজীদ ও পবিত্র হাদীছ শরীফ উনাদের মতোই দীন ইসলাম উনার অকাট্য দলীল তা প্রমাণ করা হয়েছে। পবিত্র ছহীহ ক্বিয়াস উনাকে অস্বীকার করা কুফরী। আর উনার খিলাফ করা হারাম। তাই তা মান্য করা ফরযে আইন।
পবিত্র আয়াত শরীফ নম্বর- ২০
يَهْدِىْ بِه الله مَنِ اتَّبَعَ رِضْوَانَه سُبُلَ السَّلَامِ وَيُخْرِجُهُمْ مِنَ الظُّلُمَاتِ الَى النُّورِ بِاذْنِه وَيَهْدِيهِمْ الى صِرَاطٍ مُسْتَقِيمٍ. (سورة المائدة الشريف ۱۶ الاية الشريف(
অর্থ: উনার (সাইয়্যিদুল্ মুরসালীন হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনি এবং উনার আনিত পবিত্র দীন ইসলাম) দ্বারা মহান আল্লাহ তায়ালা তিনি উনার সন্তুষ্টি কামনাকারীদেরকে শান্তির পথ প্রদর্শন করেন এবং স্বীয় নির্দেশে তাঁদেরকে অন্ধকার থেকে বের করে আলোর দিকে নিয়ে আসেন এবং সরল-সঠিক পথে পরিচালনা করেন। (পবিত্র সূরাতুল্ মায়িদাহ শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ নং ১৬)
অত্র পবিত্র আয়াত শরীফ উনার বিশুদ্ধ
তাফসীর বা ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ
(৪৮০)
{يَهْدِي بِهِ} بمحمد صلى الله عليه وسلم والقران {الله مَنِ اتبع رِضْوَانَه} توحيده {سُبُلَ السلام} دين الاسلام والسلام هو الله {وَيُخْرِجُهُمْ مّنِ الظلمات الَى النور} من الكفر الى الايمان {بِاذْنِه} بامره ويقال بتوفيقه وكرامته {وَيَهْدِيهِمْ الى صِرَاطٍ مُّسْتَقِيمٍ} يثبتهم على ذلك الدين بعد الاجابة. (تنوير المقباس من تفسير ابن عباس رضى الله عنهما المتوفى ۶۸ هجري سورة المائدة الشريفة ۱۶ الاية الشريفة جمعه: محمد بن يعقوب الفيروز آبادى الحنفى الماتريدى رحمة الله عليه المتوفى ۸۱۷ هجري (
অর্থ: (উনার দ্বারা) সাইয়্যিদুল মুরসালীন ইমামুল মুরসালীন খতামুন নাবিয়্যীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ও পবিত্র কুরআন মাজীদ (মহান আল্লাহ তায়ালা তিনি উনার সন্তুষ্টি কামনাকারীদেরকে পথ প্রদর্শন করেন) তাওহীদ (শান্তির পথ) দীন ইসলাম, আর সালাম হচ্ছেন স্বয়ং মহান আল্লাহ তায়ালা (এবং উনাদেরকে অন্ধকার থেকে বের করে আলোর দিকে নিয়ে আসেন) কুফরী থেকে পবিত্র ঈমান উনার দিকে (স্বীয় নির্দেশে) স্বীয় আদেশে, বলা হয়- স্বীয় তাওফীক ও সম্মানার্থে (এবং উনাদেরকে সরল-সঠিক পথে পরিচালনা করেন।) উনারা পবিত্র ঈমান আনার পর উনাদেরকে উক্ত দীন ইসলাম উনার উপর অবিচল রাখেন। (তানবীরুল মাকবাস মিন তাফসীরি ইবনি আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু আনহুমা ওয়াফাত: ৬৮ হিজরী পবিত্র সূরাতুল্ মায়িদাহ শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ নং ১৬ লেখক: হযরত মুহাম্মাদ বিন ইয়াকূব ফিরোজাবাদী হানাফী মাতুরীদী রহমাতুল্লাহি আলাইহি ওয়াফাত: ৮১৭ হিজরী)
(৪৮১)
قوله تعالى: {يَهْدِى بِهِ الله} يعني بالقران {مَنِ اتبع رِضْوَانَه} يعني مَنْ طلب الحق ورغب فيه {سُبُلَ السلام} يعني دين الله الاسلام، والسبل جماعة السبيل وهو الطريق يعني به طريق الهدى، والسلام اسم من اسماء الله تبارك وتعالى يعني هو دين الله تعالى. ثم قال {وَيُخْرِجُهُمْ مّنِ الظلمات الَى النور بِاذْنِه} يعني يخرج من قلوبهم حلاوة الكفر ويدخل فيها حلاوة الايمان ويوفقهم لذلك {وَيَهْدِيهِمْ الى صراط مُّسْتَقِيمٍ} يعني يوفقهم الى دين الاسلام. (بحر العلوم اى تفسير السمرقندي سورة المائدة الشريفة ۱۶ الاية الشريفة المؤلف : ابو الليث نصر بن محمد بن احمد بن ابراهيم السمرقندي الحنفي رحمة الله عليه المتوفى ۳۷۳ هجري(
অর্থ: মহান আল্লাহ তায়ালা উনার বানী: (মহান আল্লাহ তায়ালা তিনি পথ প্রদর্শন করেন উনার দ্বারা) অর্থাৎ পবিত্র কুরআন মাজীদ উনার দ্বারা (উনার সন্তুষ্টি কামনাকারীদেরকে) অর্থাৎ যে হক্ব তালাশ করে এবং উনার মধ্যে গরক্ব থাকে বা ডুবে থাকে (শান্তির পথ) অর্থাৎ মহান আল্লাহ তায়ালা উনার দীন ইসলাম উনার পথে, সুবুল শব্দ খানা সাবীল শব্দের বহুবচন, আর সাবীল অর্থ ত্বরীক্ব বা পথ, অর্থাৎ যা হিদায়াত উনার পথ, আর সালাম হচ্ছেন মহান আল্লাহ তাবারাক ওয়া তায়ালা উনার একখানা নাম মুবারক, অর্থাৎ ইহা মহান আল্লাহ তায়ালা উনার প্রদত্ত দীন ইসলাম। অতপর তিনি বলেন: (এবং তিনি স্বীয় নির্দেশে উনাদেরকে অন্ধকার থেকে বের করে আলোর দিকে নিয়ে আসেন) অর্থাৎ তিনি উনাদের অন্তর থেকে কুফরীর স্বাদ বের করে উনাদের অন্তরে পবিত্র ঈমান উনার স্বাদ প্রবেশ করান এবং উনাদেরকে এতে তাওফীক্ব দান করেন (এবং উনাদেরকে সরল-সঠিক পথে পরিচালনা করেন।) অর্থাৎ উনাদেরকে তিনি দীন ইসলাম পালন করতে তাওফীক্ব দান করেন। (বাহরুল উলূম অর্থাৎ তাফসীরুস সামারকান্দী পবিত্র সূরাতুল্ মায়িদাহ শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ নং ১৬ লেখক: হযরত আবুল লাইছ নছর বিন মুহাম্মাদ বিন আহমাদ বিন ইবরাহীম সামারকান্দী হানাফী  রহমাতুল্লাহি আলাইহি ওয়াফাত: ৩৭৩ হিজরী)
(৪৮২)
{يَهْدِي بِهِ الله} اى بالقران {مَنِ اتبع رِضْوَانَه} من امن منهم {سُبُلَ السلام} طرق السلامة والنجاة من عذاب الله او سبل الله فالسلام السلامة او الله {وَيُخْرِجُهُمْ مِّنَ الظلمات الَى النور} من ظلمات الكفر الى نور الاسلام {بِاذْنِه} بارادته وتوفيقه {وَيَهْدِيهِمْ الى صراط مُّسْتَقِيمٍ}. (مدارك التنزيل وحقائق التأويل اى تفسير النسفى سورة المائدة الشريفة ۱۶ الاية الشريفة المؤلف: ابو البركات عبد الله بن احمد بن محمود النسفي الحنفى الماتريدي المتوفى ۷۱۰ هجري(
অর্থ: (মহান আল্লাহ তায়ালা তিনি পথ প্রদর্শন করেন উনার দ্বারা) অর্থাৎ পবিত্র কুরআন মাজীদ উনার দ্বারা (উনার সন্তুষ্টি কামনাকারীদেরকে) উনাদের মধ্যে যে উনার প্রতি পবিত্র ঈমান এনেছেন (শান্তির পথ) শান্তির পথ সমূহ এবং মহান আল্লাহ তায়ালা উনার আযাব থেকে নাজাতের পথ, অথবা মহান আল্লাহ তায়ালা উনার পথ সমূহ দেখান, সালাম দ্বারা এখানে শান্তি অথবা মহান আল্লাহ তায়ালা তিনি উদ্দেশ্য (এবং তিনি উনাদেরকে অন্ধকার থেকে বের করে আলোর দিকে নিয়ে আসেন) কুফরীর অন্ধকার থেকে পবিত্র ইসলাম উনার আলোর দিকে নিয়ে আসেন, (স্বীয় আদেশে) উনার নিজ ইচ্ছায় ও তাওফীক্বে (এবং উনাদেরকে সরল-সঠিক পথে পরিচালনা করেন)। (মাদারিকুত তানযীল ওয়া হাক্বায়িকুত তাবীল অর্থাৎ তাফসীরুন নাসাফী পবিত্র সূরাতুল্ মায়িদাহ শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ নং ১৬ লেখক: হযরত আবুল বারাকাত আব্দুল্লাহ বিন আহমাদ বিন মাহমুদ নাসাফী হানাফী মাতুরীদী রহমাতুল্লাহি আলাইহি ওয়াফাত: ৭১০ হিজরী)
অত্র পবিত্র আয়াত শরীফ ও উনার তাফসীর দ্বারা প্রমানীত হলো যে, পবিত্র দীন ইসলাম তথা ছিরাতুল মুস্তাক্বীম উনার অনুসরণ করা সকলের জন্য ফরয উনার অন্তর্ভূক্ত।
পবিত্র আয়াত শরীফ নম্বর- ২১
وَمَنْ لَمْ يَحْكُمْ بِمَا اَنْزَلَ اللهُ فَاُولئِكَ هُمُ الْكَافِرُونَ. (سورة المائدة الشريفة ۴۴ الاية الشريفة(
অর্থ: মহান আল্লাহ তায়ালা তিনি যা (সম্মানীত শরীয়াত) নাযিল করেছেন, সে অনুযায়ী যারা বিচার-ফায়সালা করে না তারা কাফির। (পবিত্র সূরাতুল্ মায়িদাহ শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ নং ৪৪)
অত্র পবিত্র আয়াত শরীফ উনার বিশুদ্ধ
তাফসীর বা ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ
(৪৮৩)
{وَمَن لَّمْ يَحْكُم بِمَا انزَلَ الله} مستهيناً به {فَاولئِكَ هُمُ الكافرون} قال ابن عباس رضي الله عنهما: من لم يحكم جاحداً فهو كافر وان لم يكن جاحداً فهو فاسق ظالم. (مدارك التنزيل وحقائق التأويل اى تفسير النسفى سورة المائدة الشريفة ۴۴ الاية الشريفة المؤلف: ابو البركات عبد الله بن احمد بن محمود النسفي الحنفى الماتريدى رحمة الله عليه المتوفى ۷۱۰ هجرى(
অর্থ: (মহান আল্লাহ তায়ালা তিনি যা নাযিল করেছেন, সে অনুযায়ী যারা বিচার-ফায়সালা করে না) অর্থাৎ মহান আল্লাহ তায়ালা উনার বিধানকে ইহানত বা তুচ্ছ জ্ঞান করে (তারা কাফির।) হযরত ইবনু আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু আনহুমা তিনি বলেন, মহান আল্লাহ তায়ালা উনার বিধান অস্বীকার করার কারণে যে ব্যক্তি সে অনুযায়ী বিচার-ফায়সালা করে না, সে ব্যক্তিই কাফির। আর যে মহান আল্লাহ তায়ালা উনার বিধানকে অস্বীকার করে না, সে ব্যক্তি ফাসিক্ব ও যালিম। (মাদারিকুত তানযীল ওয়া হাক্বায়িকুত তাবীল অর্থাৎ তাফসীরুন নাসাফী পবিত্র সূরাতুল্ মায়িদাহ শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ নং ৪৪ লেখক: হযরত আবুল বারাকাত আব্দুল্লাহ বিন আহমাদ বিন মাহমূদ নাসাফী হানাফী মাতুরীদী রহমাতুল্লাহি আলাইহি ওয়াফাত: ৭১০ হিজরী)
পবিত্র আয়াত শরীফ নম্বর- ২২
 وَمَنْ لَمْ يَحْكُمْ بِمَا اَنْزَلَ اللهُ فَاُولئِكَ هُمُ الظَّالِمُونَ. (سورة المائدة الشريفة ۴۵ الاية الشريفة(
অর্থ: মহান আল্লাহ তায়ালা তিনি যা (সম্মানীত শরীয়াত) নাযিল করেছেন, সে অনুযায়ী যারা বিচার-ফায়সালা করে না তারা যালিম বা অত্যাচারী। (পবিত্র সূরাতুল্ মায়িদাহ শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ নং ৪৫)
অত্র পবিত্র আয়াত শরীফ উনার বিশুদ্ধ
তাফসীর বা ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ
(৪৮৪)
{وَمَن لَّمْ يَحْكُم بِمَا اَنزَلَ الله فَاُولئِكَ هُمُ الظالمون} بالامتناع عن ذلك. (مدارك التنزيل وحقائق التأويل اى تفسير النسفى سورة المائدة الشريفة ۴۵ الاية الشريفة المؤلف: ابو البركات عبد الله بن احمد بن محمود النسفي الحنفى الماتريدى المتوفى ۷۱۰ هجرى(
অর্থ: (মহান আল্লাহ তায়ালা তিনি যা নাযিল করেছেন, সে অনুযায়ী যারা বিচার-ফায়সালা করে না, তারা যালিম বা অত্যাচারী।) অর্থাৎ মহান আল্লাহ তায়ালা উনার বিধান অনুযায়ী বিচার-ফায়সালা করতে যারা বাধা দান করে তারাই যালিম বা অত্যাচারী। (মাদারিকুত তানযীল ওয়া হাক্বায়িকুত তাবীল অর্থাৎ তাফসীরুন নাসাফী পবিত্র সূরাতুল্ মায়িদাহ শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ নং ৪৫ লেখক: হযরত আবুল বারাকাত আব্দুল্লাহ বিন আহমাদ বিন মাহমূদ নাসাফী হানাফী মাতুরীদী রহমাতুল্লাহি আলাইহি ওয়াফাত: ৭১০ হিজরী)
পবিত্র আয়াত শরীফ নম্বর- ২৩
وَمَنْ لَمْ يَحْكُمْ بِمَا اَنْزَلَ الله فَاُولئِكَ هُمُ الْفَاسِقُونَ. (سورة المائدة الشريفة ۴۷ الاية الشريفة(
অর্থ: মহান আল্লাহ তায়ালা তিনি যা (সম্মানীত শরীয়াত) নাযিল করেছেন, সে অনুযায়ী যারা বিচার-ফায়সালা করে না তারা ফাসিক্ব বা পাপী। (পবিত্র সূরাতুল্ মায়িদাহ শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ নং ৪৭)
অত্র পবিত্র আয়াত শরীফ উনার বিশুদ্ধ
তাফসীর বা ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ
(৪৮৫)
{وَمَن لَّمْ يَحْكُم بِمَا اَنزَلَ الله فَاُولئِكَ هُمُ الفاسقون} الخارجون عن الطاعة. (مدارك التنزيل وحقائق التأويل اى تفسير النسفى سورة المائدة الشريفة ۴۷ الاية الشريفة المؤلف: ابو البركات عبد الله بن احمد بن محمود النسفي الحنفى الماتريدى المتوفى ۷۱۰ هجرى(
অর্থ: (মহান আল্লাহ তায়ালা তিনি যা নাযিল করেছেন, সে অনুযায়ী যারা বিচার-ফায়সালা করে না, তারাই ফাসিক্ব বা পাপী।) তারা আনুগত্যতা থেকে বাইরে। (মাদারিকুত তানযীল ওয়া হাক্বায়িকুত তাবীল অর্থাৎ তাফসীরুন নাসাফী পবিত্র সূরাতুল্ মায়িদাহ শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ নং ৪৭ লেখক: হযরত আবুল বারাকাত আব্দুল্লাহ বিন আহমাদ বিন মাহমূদ নাসাফী হানাফী মাতুরীদী রহমাতুল্লাহি আলাইহি ওয়াফাত: ৭১০ হিজরী)
উল্লেখিত তিনখানা পবিত্র আয়াত শরীফ উনাদের ব্যাখ্যা থেকে বুঝা যায় যে, পবিত্র আয়াত শরীফ উনাদের মধ্যে মহান আল্লাহ তায়ালা উনার বিধান অনুযায়ী ইমাম-মুজতাহিদ উনাদেরকে বিচার-ফায়সালা করতে নির্দেশ করা হয়েছে। আর সে নির্দেশ সকলের জন্য পালন করা ফরযে আইন।
আর সেই বিচার উনাকে যাঁরা মান্য করে তাঁরাই প্রকৃত মুমিন-মুসলমান আর যারা সেই বিচার অস্বীকার করে তারা কাফির।