হুযুরপাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র জীবনী মুবারক । (পর্ব- ৯২৫-১০৬৯) (ঘ)


হযরত মায়মূন ইবনে ইয়ামীন রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার পবিত্র ইসলাম গ্রহণ:
হযরত মায়মূনা ইবনে ইয়ামীন রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি ছিলেন ইহুদী সম্প্রদায়ের মধ্যে একজন নেতৃস্থানীয়। তিনি সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পুত-পবিত্র নূরানী চেহার মুবারক দেখে পবিত্র দ্বীন ইসলাম গ্রহণ করেন। উনার অবস্থাও হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে সালাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার মতো হয়েছিলো। হযরত মায়মূনা ইবনে ইয়ামীন রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র খিদমত শরীফ-এ উপস্থিত হয়ে আরয করলেন, ইয়া রসূলাল্লাহ, ইয়া হাবীবাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! দয়া করে আপনি ইহুদীদেরকে ডাকুন এবং আমার সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করুন, অবশ্যই তাদেরকে আমার প্রতি আকৃষ্ট দেখবেন। সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি হযরত মায়মূন রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনাকে একটি গোপন কক্ষে অবস্থান করতে বললেন এবং ইহুদীদেরকে আহ্বান করলেন। তারা সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পুতঃপবিত্র খিদমত শরীফ-এ এলো এবং উনার সঙ্গে কথাবার্তা বললো। সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করলেন, তোমরা আমার এবং তোমাদের মাঝে একজন বিচারক হিসেবে তোমাদের ইহুদীদের মধ্য থেকে তোমাদের পছন্দমতো কোনো ব্যক্তিকে মনোনীত করো। ইহুদীরা বললো, আমরা আমাদের মধ্যে যিনি সম্মানিত হযরত মায়মূন ইবনে ইয়ামীন রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনাকে মনোনীত করতে সম্মত আছি। তিনি আপনার সম্পর্কে যা ফায়ছালা করেন অর্থাৎ তিনি যদি আমাদেরকে আপনার প্রতি ঈমান আনতে বলেন, তবে আমরা ঈমান আনবো। আর যদি বিপরীত কিছু বলেন আমরা তাই করবো। অতঃপর সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ডাক দিলেন, হে হযরত মায়মূন রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু! আপনি বেরিয়ে আসুন। হযরত মায়মূন ইবনে ইয়ামীন রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বেরিয়ে আসলেন এবং তিনি বললেন, “আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, ইনি অর্থাৎ সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল ও হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম।” দেখা গেলো, ইহুদীরা তা হক্ব বা সত্য বলে মেনে নিতে অস্বীকার করলো। নাঊযুবিল্লাহ! (ফতহুল বারী, সীরাতুল মুস্তফা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)


বনী নাজ্জারের নক্বীব হযরত আবু উমামা আসয়াদ ইবনে যুরারা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার বিছাল শরীফ:

আল বিদায়া ওয়ান নিহায়া’ গ্রন্থের ২য় জিলদ ২২৯ ও ২৩০ পৃষ্ঠায় উল্লেখ রয়েছে,
حضرت أبي أمامة أسعد بن زرارة  ابن عدس بن عبيد بن ثعلبة بن غنم بن مالك بن النجار رَحْمَةُ اللهِ عَلَيْهِ  أحد النقباء الاثني عشر ليلة العقبة على قومه بني النجار، وقد شهد العقبات الثلاث وكان أول من بايع رسول الله صلى الله عليه وسلم ليلة العقبة الثانية في قول وكان شابا وهو أول من جمع بالمدينة في نقيع الخضمات في هزم النبيت
অর্থ: “হযরত আসআদ ইবনে যুরারা ইবনে আদাস ইবনে উবায়ীদ ইবনে ছা’লাবা ইবনে গানাম ইবনে মালিক ইবনে নাজ্জার রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি আকাবার বাইয়াত উনার রাত্রে বনূ নাজ্জার কাওমের ১২ জন নক্বীবের অন্যতম। আকাবা উনার বাইয়াতে তিনি উপস্থিত ছিলেন। আকাবার দ্বিতীয় বাইয়াতের রাত্রিতে বর্ণনা এক মতে তিনি সর্বপ্রথম নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার হাত মুবারকে বাইয়াত হন। আর তখন তিনি ছিলেন একজন যুবক।”
উল্লেখ্য যে, হাযমুন নাবীত নামক অঞ্চলে ‘নাকীউল খাযমাত’ নামক স্থানে তিনিই সর্বপ্রথম হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের নিয়ে পবিত্র মদীনা শরীফ উনার পবিত্র জুমুয়ার নামায আদায় করেন।
আরো বর্ণনা রয়েছে,
قال حضرت محمد بن إسحاق رحمة الله عليه : وهلك في تلك الاشهر حضرت أبو أمامة أسعد بن زرارة رحمة الله عليه والمسجد يبنى أخذته الذبحة - أو الشهقة - وقال حضرت ابن جرير رحمة الله عليه  في التاريخ: عن حضرت أنس رضى الله تعالى عنه أن رسول الله صلى الله عليه وسلم كوى حضرت  أسعد بن زرارة رضى الله تعالى عنه في الشوكة
অর্থ: হযরত ইবনে ইসহাক্ব রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, পবিত্র মসজিদুন নববী শরীফ উনাকে নির্মানকালের মাসগুলোতে হযরত আবু উমাম আসআদ ইবনে যুরারা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি গলায় বা বুকে ব্যথার কারণে বিছাল শরীফ গ্রহণ করেন। (হযরত ইবনে ওয়াকিদী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন সময়টি ১ম হিজরীর নবম মাসের গোড়ার দিকে। যা সম্মানিত বদর জিহাদ উনার পূর্বে।)
হযরত ইবনে জারীর রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি উনার ইতিহাস গ্রন্থে উল্লেখ করেন, হযরত আনাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। নিশ্চয়ই নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি হযরত আসআদ ইবনে যুরারা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনাকে শাওকা ব্যধিতে লোহা গরম করে দাগান। (সীরাতুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)
আরো বর্ণিত রয়েছে,
قال حضرت  ابن إسحاق رحمة الله عليه :  عن  حضرت يحيى بن عبد الله بن عبد الرحمن بن أسعد بن زرارة رحمة الله عليه .قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: " بئس الميت حضرت أبو أمامة رضى الله تعالى عنه، ليهود ومنافقي العرب، يقولون: لو كان نبيا لم يمت صاحبه، ولا أملك لنفسي ولا لصاحبي من الله شيئا " وهذا يقتضي أنه أول من مات بعد مقدم النبي صلى الله عليه وسلم
অর্থ: হযরত ইবনে ইসহাক্ব রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, হযরত ইয়াহইয়া ইবনে আব্দুল্লাহ ইবনে আব্দুর রহমান ইবনে আসয়াদ ইবনে যুরারা রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেছেন, হযরত আবূ উমাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার বিছাল শরীফ পবিত্র মদীনা শরীফ উনার ইহুদী এবং আরব মুনাফিকদের বিপদের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছিলো। ইহুদী ও মুনাফিকরা বলতো সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি নবী ও রসূল হলে উনার ছাহাবী তিনি বিছাল শরীফ গ্রহণ করতেন না। অথচ মহান আল্লাহ পাক উনার ওহী ছাড়া আমার বিষয় ও আমার হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের বিষয় কোনো কিছুই করি না।
এ বর্ণনার দাবী এই যে, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি পবিত্র মদীনা শরীফ উনার মধ্যে তাশরীফ মুবারক নেয়ার পর হযরত আসআদ ইবনে যুরারা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি সর্বপ্রথম বিছাল শরীফ গ্রহণ করেন।”
বর্ণিত রয়েছে,
ذكر حضرت محمد بن إسحاق رحمة الله عليه : عن حضرت عاصم بن عمر بن قتادة رحمة الله عليه: أن بني النجار سألوا رسول الله صلى الله عليه وسلم أن يقيم لهم نقيبا بعد حضرت أبي أمامة أسعد بن زرارة رضى الله تعالى عنه  فقال: " أنتم أخوالي وأنا بما فيكم وأنا نقيبكم " وكره أن يخص بها بعضهم دون بعض.فكان من فضل بني النجار الذي يعتدون به على قومهم أن كان رسول الله صلى الله عليه وسلم نقيبهم.
অর্থ: হযরত মুহম্মদ ইবনে ইসহাক্ব রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি হযরত আছিম ইবনে উমর ইবনে কাতাদাহ রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার উদ্ধৃতি দিয়ে উল্লেখ করেন যে, হযরত আসআদ ইবনে যুরারা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার বিছাল শরীফ গ্রহণের পর বনু নাজ্জারের জন্য একজন নক্বীব নির্ধারনের নিমিত্তে উনারা সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নিকট আবেদন জানালে তিনি উনাদেরকে বললেন, আপনারা হলেন আমার মাতৃকুলের বংশধর। আপনাদের সমস্ত প্রয়োজন আমি দেখবো এবং আমি আপনাদের নক্বীব। তিনি হযরত আবু উমামা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার পরিবর্তে অন্য কাউকে বিশেষভাবে নক্বীব নির্দিষ্ট করা অপছন্দ করলেন। বনু নাজ্জার সম্প্রদায় অন্য গোত্রদের উপর এ কারণে শ্রেষ্ঠত্বের দাবি করতেন যে, স্বয়ং নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি উনাদের নক্বীব।” সুবহানাল্লাহ!
আরো বর্ণিত রয়েছে,
قال حضرت أبو جعفر بن جرير رحمة الله عليه في التاريخ : كان أول من توفي بعد مقدمه عليه السلام المدينة من المسلمين - فيما ذكر - صاحب منزله كلثوم بن الهدم، لم يلبث بعد مقدمه إلا يسيرا حتى مات، ثم توفي بعده أسعد بن زرارة
অর্থ: “আবু জা’ফর ইবনে জারীর তবারী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি উনার ইতিহাস গ্রন্থে উল্লেখ করেন, “পবিত্র মদীনা শরীফ উনার মধ্যে তাশরীফ মুবারক আনার পর মুসলমানগণ উনাদের মধ্যে সর্বপ্রথম বিছাল শরীফ গ্রহণ করেন হযরত মালিক কুলছুম ইবনে হিদাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু। অতঃপর হযরত আসআদ ইবনে যুরারা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বিছাল শরীফ গ্রহণ করেন।” (সীরতে ইবনে হিশাম)

হযরত সালমান ফারসী ইবনে ইসলাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার পবিত্র দ্বীন ইসলাম গ্রহণ:
হযরত সালমান ফারসী ইবনে ইসলাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার নাম মুবারক সালমান, ডাক নাম আবু আব্দুল্লাহ। হযরত হাফিজ আসকালানী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, হযরত সালমান ফারসী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনাকে সালমান ইবনে ইসলাম এবং সালমান ইবনে খাইরও বলা হয়। অর্থাৎ ইসলাম উনার নিকট পিতৃতুল্য এবং তিনি পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার পুত্রস্বরূপ। তিনি পারস্য স¤্রাজ্যের রাম হুরমুয এলাকার ‘জাঈ’ গ্রামের অধিবাসী ছিলেন। তিনি ছিলেন পারস্য স¤্রাটের বংশধর। যদি কখনো কেউ উনাকে জিজ্ঞাসা করতো, আপনি কার পূত্র? তিনি জবাব দিতেন-
انا سلمان بن الاسلام
অর্থ: “আমি পবিত্র ইসলাম উনার পুত্র সালমান।” (আল ইসতিয়াব)
হযরত সালমান ফারসী ইবনে ইসলাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি দীর্ঘ হায়াত মুবারক পেয়েছিলেন। বলা হয়ে থাকে যে, তিনি হযরত ঈসা রুহুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনাকে পেয়েছিলেন। আবার কেউ কেউ বলেন, হযরত ঈসা রুহুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনাকে পাননি বরং উনার একজন হাওয়ারী (সাহায্যকারী) ও অছী উপদেষ্টাকে পেয়েছিলেন।
হাফিয যাহাবী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, উনার বয়স মুবারক সম্পর্কে অনেক মত রয়েছে, তবে সর্বসম্মত মতে উনার বয়স মুবারক দুইশত পঞ্চাশ বছরের বেশি। 
হাফিয ইবনে ক্বায়্যিম রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি হযরত সালমান ফারসী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার সম্পর্কে বলেন, যদি জিজ্ঞাসা করেন উনার নাম মুবারক কি? তবে আমি বলবো- আব্দুল্লাহ। যদি বংশধারা জিজ্ঞাসা করেন, তাহলে তা ইবনুল ইসলাম। যদি উনার সম্পদ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করেন, তবে তা হলো ফাকীর বা দুনিয়া বিরাগী। পবিত্র মসজিদুন নববী শরীফ উনার বাসস্থান। উনার উপার্জন হলো ছবর বা ধৈর্য্য। উনার পোশাক তাক্বওয়া বা আল্লাহভীতি। উনার শয্যা হচ্ছে জাগরণ। তিনি হলেন পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার নিকটজন। নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, হযরত সালমান রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি আমাদের আলের অন্তর্ভুক্ত।”
যদি উনার উদ্দেশ্য সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করেন তা হলে উনার উদ্দেশ্য মুবারক একমাত্র মহান আল্লাহ পাক ও উনার রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের সন্তুষ্টি মুবারক কাম্য। যদি জিজ্ঞাসা করেন, তিনি কোথায় যাচ্ছেন? তাহলে বুঝে নিন তিনি জান্নাতের দিকে যাচ্ছেন। যদি জানতে চান এ ছফরে উনার পথ প্রদর্শক ও রাহনুমা কে? তবে জেনে রাখুন উনার পথ প্রদর্শক হলেন- সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, যিনি সমস্ত নবী আলাইহিমুস সালাম উনাদের নবী, সমস্ত রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের রসূল, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। (সীরাতুল মুস্তফা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)
হযরত সালমান ফার্সী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার পবিত্র ইসলাম গ্রহণ সম্পর্কে পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে,
أخرج حضرت ابن سعد رحمة الله عليه و حضرت البيهقي رحمة الله عليه و حضرت ابو نعيم رحمة الله عليه من طريق حضرت ابن اسحاق رحمة الله عليه قال حدثني حضرت عاصم بن عمر بن قتادة رحمة الله عليه عن حضرت محمود بن لبيد رحمة الله عليه عن حضرت ابن عباس رحمة الله عليه قال حدثني حضرت سلمان الفارسي رضى الله تعالى عنه قال كنت رجلا من أهل فارس وكان أبي دهقان أرضه فكان يحبني حبا شديدا حتى حبسني في بيت كما تحبس الجارية واجتهدت في المجوسية حتى كنت قطن النار الذي يوقدها فكنت كذلك لا اعلم من أمر الناس شيئا إلا ما أنا فيه
অর্থ: হযরত ইবনে সা’দ রহমতুল্লাহি আলাইহি, হযরত বাইহাক্বী রহমতুল্লাহি আলাইহি ও হযরত আবু নায়ীম রহমতুল্লাহি আলাইহি উনারা হযরত ইবনে ইসহাক্ব রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার সূত্রে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, আমার নিকট বর্ণনা করেছেন হযরত আছিম ইবনে আমর ইবনে কাতাদাহ রহমতুল্লাহি আলাইহি, তিনি হযরত মাহমূদ ইবনে লাবীদ রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার থেকে, তিনি হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে। তিনি বলেন, আমার নিকট বর্ণনা করেছেন হযরত সালমান ফারসী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু। তিনি বলেন, আমি পারস্যের এক কৃষকের সন্তান। আমার প্রতি আমার পিতার ¯œহ-মমতা এতো গভীর ছিলো যে, তিনি আমাকে কন্যাদের মত গৃহে অন্তরীন করে রেখেছিলেন। অগ্নিপূজায় আমার অনুরাগ এতো তীব্র ছিল যে, আমি সেই অগ্নিরই সেবাদাস হয়ে রইলাম, যা আমার পিতা প্রজ্বলিত করতো। তাই বাইরের জগৎ সম্পর্কে আমার তেমন কোন খবরই ছিল না যা আমি করতাম তা ছাড়া।
وكان لأبيضيعة فيها بعض العمل فدعاني فقال أي بني اني قد شغلت عن ضيعتي هذه ولا بد لي من إطلاعها فانطلق اليها فمرهم بكذا وكذا ولا تحتبس عني فإنك إن احتبست عني شغلتني عن كل شيء فخرجت أريد ضيعته فمررت بكنيسة النصارى فسمعت أصواتهم فيها فقلت ما هذا فقالوا هؤلاء النصاري يصلون فدخلت انظر فأعجبني ما رأيت من حالهم فوالله ما زلت جالسا عندهم حتى غربت الشمس وبعث ابي في طلبي في كل وجه حتى جئته حين أمسيت ولم أذهب إلى ضيعته فقال أبي أين كنت ألم أكن قلت لك فقلت يا ابتاه مررت بناس يقال لهم النصارى فأعجبني صلاتهم ودعاؤهم فجلست أنظر كيف يفعلون
 একবার আমার পিতা আমাকে ডেকে বললেন, হে বৎ! ক্ষেত-খামারের কোন খবর নেই। এর খবর নেয়া জরুরী। আপনি এখন ক্ষেত খামারের খবর নিন। আমি ক্ষেতের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়ে গেলাম। পথিমধ্যে আমি খ্রিষ্টানদের একটি গির্জা পেলাম। তাদের শব্দ শুনে আমি একজনকে জিজ্ঞাসা করলাম, এখানে কি হচ্ছে? সে বললো, খ্রিষ্টানরা নামায পড়ছে। আমি ভিতরে প্রবেশ করে দেখতে লাগলাম। দৃশ্যটি আমার কাছে খুবই মনোরম মনে হলো। আমি সূর্যাস্ত পর্যন্ত সেখানেই বসে রইলাম। এদিকে আমার পিতা আমার খোঁজে লোকজন পাঠিয়ে দিলেন। আমি তো ক্ষেতে যাইনি। সন্ধ্যায় গৃহে পৌঁছলে পিতা বললেন, আপনি কোথায় ছিলেন? আমি বললাম না তারাতারি চলে আসতে? আমি বললাম, আমি খ্রিষ্টানদেরকে দেখেছি। তাদের নামায আমার খুব পছন্দ হয়েছে। ফলে অপলক নেত্রে তাদের উপাসনা প্রত্যক্ষ করেছি যা তারা করছে।
فقال أي بني دينك ودين آبائك خير من دينهم فقلت لا والله ما هو بخير من دينهم هؤلاء قوم يعبدون الله ويدعونه ويصلون له ونحن إنما نعبد نارا نوقدها بأيدينا إذا تركناها ماتت فخافني فجعل في رجلي حديدا وحبسني في بيت عنده فبعثت إلى النصارى فقلت لهم اين اصل هذا الدين الذي أراكم عليه فقالوا بالشام فقلت فإذا قدم عليكم من هناك ناس فأذنوني فقالوا نفعل فقدم عليهم ناس من تجارهم فبعثوا إلي انه قد قدم علينا تجار من تجارنا فبعثت إليهم إذا قضوا حوائجهم وأرادوا الخروج فأذنوني فقالوا نفعل فلما قضوا حوائجهم وأرادوا الرحيل بعثوا إلي بذلك فطرحت الحديد الذي في رجلي ولحقت بهم فانطلقت معهم
পিতা বললেন, আপনার এবং আপনার বাপ-দাদার ধর্ম তাদের ধর্মের চেয়ে উত্তম। আমি বললাম, অসম্ভব। তাদের ধর্মই উত্তম। কারণ তারা মহান আল্লাহ পাক উনার ইবাদত করে, উনাকেই ডাকে এবং উনার জন্য নামায পড়ে। আর আমরা সেই অগ্নির পূজা করি, যা নিজেরাই প্রজ্বলিত করি। যখন ছেড়ে দেই, তখন নির্বাপিত হয়ে যায়। আমার পিতা এসব কথা বার্তা শুনে ভীত হয়ে পড়লেন। তিনি আমার হাতে পায়ে শিকল পরিয়ে দিলেন। কিন্তু আমি গোপনে খ্রিস্টানদেরকে লোক মারফত জিজ্ঞাসা করলাম যে, তোমাদের ধর্ম সম্পর্কে উচ্চতর জ্ঞান অর্জন করার উপায় কি? তারা বললো, আপনাকে শাম দেশে যেতে হবে। অতঃপর আমি তাদের কাছে সংবাদ পাঠালাম যে, শাম দেশের কোন কাফেলা আগমন করলে আমাকে যেনো সংবাদ দেয়া হয়। কিছুদিন পর তাদের কাছে ব্যবসায়ীদের একটি কাফেলা আগমন করলে তারা আমাকে সংবাদ দিলো। এরপর বাণিজ্যিক কাফেলা প্রয়োজনাদি শেষ করে ফিরে যাওয়ার উদ্যোগ নিলে খ্রিস্টানরা আমার কাছে লোক পাঠিয়ে দিলো। আমি শিকল খুলে কাফেলার সাথে রওয়ানা হয়ে গেলাম এবং বাইতুল মুকাদ্দাস শরীফ-এ পৌঁছে গেলাম।
حتى قدمت الشام فلما قدمتها قلت من أفضل أهل هذا الدين فقالوا الأسقف صاحب الكنيسة فجئته فقلت له إني أحببت ان أكون معك في كنيستك وأعبد الله فيها معك وأتعلم منك الخير قال فكن معي قال فكنت معه وكان رجل سوء كان يأمرهم بالصدقة ويرغبهم فيها فإذا جمعوها إليه اكتنزها ولم يعطها للمساكين فأبغضته بغضا شديدا لما رأيت من حاله فلم يلبث ان مات فلما جاءوا ليدفنوه قلت لهم إن هذا رجل سوء كان يأمركم بالصدقة ويرغبكم فيها حتى اذا جمعتموها إليه اكتنزها ولم يعطها للمساكين فقالوا وما علامة ذلك فقلت أنا أخرج لكم كنزه فقالوا فهاتهفأ خرجت لهم سبع قلال مملوءة ذهبا وورقا فلما رأوا ذلك قالوا والله لا يدفن أبدا فصلبوه على خشبة ورموه بالحجارة
বাইতুল মুকাদ্দাস শরীফ-এ গিয়ে লোকজনকে জিজ্ঞাসা করলাম যে, এই ধর্মের সর্বাপেক্ষা বড় আলিম কে? লোকেরা বললো, গির্জার পাদ্রী। আমি তার কাছে গেলাম এবং বললাম, আমি আপনার সাথে গির্জায় থাকতে চাই, যাতে ইবাদত ও ধর্ম সম্পর্কে ইলম বা শিক্ষা লাভ করতে পারি। পাদ্রীর সম্মতি পেয়ে আমি তার সাথে থাকতে লাগলাম। কিন্তু সেই পাদ্রী তেমন ভালো লোক ছিল না। সে মানুষকে দান-খয়রাতের উপদেশ দিতো। মানুষ যখন টাকা পয়সা ও ধন সম্পদ তার কাছে আনতো, তখন সে সেগুলো গরীবদেরকে দেয়ার পরিবর্তে নিজের কাছে রেখে দিতো। তার এ কাজ আমি পছন্দ করতাম না। কিছুদিন পর এই পাদ্রী মারা গেলে মানুষ তাকে সমাহিত করার জন্যে সমবেত হলে আমি তাদের পাদ্রীর অন্যায়ভাবে ধন-সম্পদ আহরণের কথা বলে দিলাম। লোকেরা বললো, এই অভিযোগের প্রমাণ কি? এ কথা শুনে আমি পাদ্রীর ধনভান্ডার বাইরে নিয়ে এলাম। এগুলো ছিল সোনা রূপায় ভর্তি সাতটি বৃহৎ পাত্র। লোকেরা তার এই কা- দেখে বলতে লাগলো, আমরা তাকে দাফন করবো না। তারা পাদ্রীর মৃত দেহ কাঠে ঝুলিয়ে পাথর নিক্ষেপ করলো।
وجاءوا برجل آخر فجعلوه مكانه فلا والله مارأيت رجلا قط لا يصلي الخمس أرى أنه أفضل منه أشد اجتهادا ولا زهادة في الدنيا ولا أدأب ليلا ونهارا منه ما أعلمني احببت شيئا قط قبله حبه فلم أزل معه حتى حضرته الوفاة فقلت يا فلان قد حضرك ما ترى من امر الله واني والله ما احببت شيئا قط حبك فماذا تأمرني وإلى من توصيني فقال لي أي بني ما أعلم إلا رجلا بالموصل فأته فإنك ستجده على مثل حالي فلما مات لحقت الموصل فأتيت صاحبها فوجدته على مثل حاله من الاجتهاد والزهادة في الدنيا فقلت له إن فلانا اوصى بي اليك أن آتيك واكون معك قال فأقم أي بني فأقمت عنده على مثل أمر صاحبه حتى حضرته الوفاة فقلت له إن فلانا أوصى بي اليك وقد حضرك من امر الله ما ترى فإلى من توصيني قال والله ما اعلم أي بني إلا رجلا بنصيبين وهو على مثل ما نحن عليه فالحق به
এরপর তারা একজনকে এনে পাদ্রী নিযুক্ত করলো। মহান আল্লাহ পাক উনার ক্বসম, আমি তার মতো উপাসনাকারী কাউকে দেখিনি। সে দিবারাত্র ইবাদতে ডুবে থাকতো। ফলে আমি তাকে অত্যধিক মুহব্বত করতে লাগলাম। আমি সর্বক্ষণ তার সঙ্গে থাকতাম। অবশেষে তার ওফাত নিকটবর্তী হলো, তখন একদিন বললাম, এখন আপনার অন্তিম সময়। আপনার সাথে আমার ঘণিষ্ঠ ভালবাসার সম্পর্ক ছিল। এখন আপনিই বলে দিন আপনার পরে আমি কার কাছে যাবো? পাদ্রী বললেন, মুসেল-এ এক ব্যক্তি আছে তার কাছে চলে যান। তাকেও আমার মতোই পাবেন। মোট কথা, এই পাদ্রীর ওফাতের পর আমি মুসেল-এ পৌঁছে গেলাম। এখানে নতুন পাদ্রীর সাথে সাক্ষাতের পর তাকেও পূর্বের পাদ্রীর ন্যায় অত্যন্ত ইবাদতকারী ও সংসারত্যাগী পেলাম। আমি তাকে বললাম, অমুক পাদ্রী আপনার কাছে থাকার জন্য পাঠিয়েছেন। এরপর আমি তার কাছে থাকতে লাগলাম। অবশেষে তারও ওফাত নিকটবর্তী হলো। আমি তাকে বললাম, এখন আমি কার কাছে যাবো? তিনি বললেন, হে বৎ! নসীবাইন-এ এক ব্যক্তি আছে, তিনিও আমাদের মতোই। তার কাছে চলে যান।
فلما دفناه لحقت بالآخر فقلت له يا فلان إن فلانا اوصى بي إلى فلان وفلان أوصى بي اليك قال فاقم يا بني فأقمت عنده على مثل حالهما حتى حضرته الوفاة فقلت له يا فلان انه قد حضرك من أمر الله ما ترى وقد كان فلان اوصى بي إلى فلان وأوصى بي فلان الى فلان وأوصى بي فلان اليك فإلى من توصيني قال أي بني ما اعلم أحدا على مثل ما نحن عليه إلا رجلا بعمورية من أرض الروم فأته فانك ستجده على مثل ما كنا عليه فلما واريته خرجت حتى قدمت على صاحب عمورية فوجدته على مثل حالهم فأقمت عنده واكتسبت حتى كانت لي غنيمة وبقرات ثم حضرته الوفاة فقلت يا فلان إن فلانا اوصى بي إلى فلان وفلان الى فلان وفلان الى فلان وفلان اليك وقد حضرك ما ترى من أمر الله تعالى فإلى من توصيني قال أي بني والله ما اعلم بقي احد على مثل ما كنا عليه آمرك ان تأتيه ولكنه قد اظلك زمان نبي يبعث من الحرم مهاجره بين حرتين إلى أرض سبخة ذات نخيل وأن فيه علامات لا تخفى بين كتفيه خاتم النبوة يأكل الهدية ولا يأكل الصدقة فإن استطعت ان تخلص إلى تلك البلاد
অতপর উনার দাফন শেষ হলো উনার কথা মতে আমি তার কাছে চলে গেলাম এবং বললাম, অমুক পাদ্রী আমাকে আপনার কাছে প্রেরণ করেছেন। তিনি বললেন, হে বৎ! আপনি আমার কাছে থাকুন। আমি থাকতে লাগলাম। অবশেষে তারও অন্তিম সময় ঘনিয়ে এলো। আমি বললাম, এখন আপনি আমাকে কার কাছে পাঠাবেন? তিনি বললেন, রোম দেশে ওমুরিয়া নামক স্থানে একজন পাদ্রী আছেন। আপনি তার কাছে চলে যান। তিনিও আমাদের মতো। মোট কথা, তার মৃত্যুর পর আমি ওমুরিয়া পৌঁছে গেলাম। এই পাদ্রীকেও পূর্ববর্তী পাদ্রীদের ন্যায় ইবাদতকারী পেলাম। তার কাছে থাকাকালে কিছু উপার্জন করে আমি কিছু সংখ্যক ছাগল ও গরুর মালিক হয়ে গেলাম। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তারও শেষ সময় উপস্থিত হলে আমি বললাম, আপনার শেষ সময় এসে গেছে। এখন আমি কার কাছে যাবো? তিনি বললেন, হে প্রিয় বৎ! এখন এমন কোন লোক নেই, যার কাছে আমি আপনাকে পাঠাতে পারি। কিন্তু একজন সম্মানীত নবী আখিরী রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আগমনের সময়কাল সন্নিকটে। যিনি পবিত্র মক্কা শরীফ উনার মধ্যে বিলাদত শরীফ গ্রহণ করবেন এবং পবিত্র মদীনা শরীফ উনার মধ্যে হিজরত মুবারক গ্রহণ করবেন। উনার নুবুওওয়াত উনার সুস্পষ্ট নিদর্শনাবলী থাকবে। উভয় কাঁধ মুবারক উনার মধ্যে সম্মানিত মহরে নুবুওওয়াত থাকবে। তিনি হাদিয়া গ্রহণ করবেন, কিন্তু ছদকা গ্রহণ করবেন না। সম্ভব হলে আপনি সেখানে পৌঁছে যেতে পারেন। কারণ উনার আগমনের সময়কাল খুব নিকটে এসে গেছে।
فافعل فانه قد اظلك زمانه فلما واريناه أقمت حتى مر بنا رجال من تجار العرب من كلب فقلت لهم تحملوني معكم حتى تقدموا بي أرض العرب وأعطيكم غنيمتي هذه وبقراتي قالوا نعم فأعطيتهم إياها وحملوني حتى إذا جاءوا بي وادي القرى ظلموني فباعوني عبدا من رجل من يهود بوادي القرى فوالله لقد رأيت النخل وطمعت ان يكون البلد الذي نعت لي صاحبي وما حقت عندي حتى قدم رجل من بني قريظة من يهود وادي القرى فابتاعني من صاحبي الذي كنت عنده فخرج بي حتى قدم بي المدينة فوالله ما هو إلا أن رأيتها فعرفت نعته فأقمت في رقي مع صاحبي
এই পাদ্রীর ওফাতের অল্প কয়েকদিন পরেই বনূ কলবের কয়েকজন আরব ব্যবসায়ী সেখানে গমন করলো। আমি তাদের সাথে দেখা করে বললাম, আপনারা আমাকে সঙ্গে করে আরব দেশে নিয়ে চলেন। এর বিনিময়ে আমি তাকে আমার পশুপাল দিয়ে দিবো। আমি আপনাদেরকে ছাগলগুলো দিয়ে দিলাম এবং তারা আমাকে সঙ্গে নিয়ে নিলো। কিন্তু কুবা উপত্যকায় পৌঁছে কাফেলার লোকেরা আমার উপর জুলুম করলো। তারা আমাকে এক ইহুদীর কাছে বিক্রি করে দিলো। আমি সেখানে খেজুর বৃক্ষ দেখে অনুমান করলাম যে এটাই সেই দেশ, যার সম্পর্কে পাদ্রী বলেছিলেন। এরপর বনূ কুরায়যার এক ইহুদী কুবা উপত্যকায় আগমন করলো। সে আমাকে ক্রয় করে পবিত্র মদীনা শরীফ উনার মধ্যে নিয়ে এলো। মহান আল্লাহ পাক উনার ক্বসম, পবিত্র মদীনা শরীফ উনাকে দেখার সাথে সাথে আমার চিনতে বাকী রইলো না যে, এখানেই মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি হিজরত মুবারক করবেন। আমি গোলামীর জীবন অতিবাহিত করতে লাগলাম।
وبعث الله رسوله صلى الله عليه وسلم بمكة لا يذكر لي شيء من امره مع ما أنا فيه من الرق حتى قدم رسول الله صلى الله عليه وسلم قباء وأنا اعمل لصاحبي في نخله فوالله إني لفيها إذ جاءني ابن عم له فقال فلان قاتل الله بني قيلة والله إنهم الان لفي قباء مجتمعون على رجل جاء من مكة يزعمون انه نبي فوالله ما هو إلا ان سمعتها فأخذتني العرواء يقول الرعدة حتى ظننت لاسقطن على صاحبي ونزلت اقول ما هذا الخبر ما هو فرفع مولاي يده فلكمني لكمة شديدة وقال ما لك ولهذا اقبل على عملك فقلت لا شيء إنما سمعت خبرا فأحببت ان اعلمه فخرجت وسألت فلقيت امرأة من أهل بلادي فسألتها فإذا أهل بيتها قد أسلموا فدلتني على رسول الله صلى الله عليه وسلم فلما أمسيت وكان عندي شيء من طعام فحملته وذهبت به إلى رسول الله صلى الله عليه وسلم وهو بقباء فقلت إنه بلغني انك رجل صالح وأن معك أصحابا لك غرباء وقد كان عندي شيء من الصدقة فرأيتكم احق من بهذه البلاد به فها هو ذا فكل منه فأمسك رسول الله صلى الله عليه وسلم يده وقال لأصحابه كلوا ولم يأكل فقلت في نفسي هذه خلة مما وصف لي صاحبي ثم رجعت وتحول رسول الله صلى الله عليه وسلم إلى المدينة
নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি পবিত্র মক্কা শরীফ উনার মধ্যে আগমন করলেন; কিন্তু আমি তা জানতে পারলাম না। অবশেষে তিনি হিজরত করে পবিত্র মদীনা শরীফ উনার মধ্যে পৌঁছে গেলেন। আমি মালিকের বাগানে কাজ করছিলাম। তার ভ্রাতুষ্পুত্র আমার কাছে এসে বলতে লাগল, বনী কুরায়যার সর্বনাশ হোক। পবিত্র মক্কা শরীফ উনার মধ্য থেকে একজন লোক এসেছেন। তারা সকলেই উনার চারপাশে সমবেত হয়ে বলে বেড়াচ্ছেন যে, তিনি হযরত নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। একথা শুনামাত্রই আমার সর্বাঙ্গে কম্পন এসে গেলো। আমি মালিকের উপর পড়ে যেতে লাগলাম। বললাম, এ কেমন সংবাদ! মালিক আমাকে একটি আঘাত করে বললো, এতে আপনার কি? আপনার নিজের কাজ করুন। আমি বললাম না, না! আমার কিছু না। অতঃপর আমি এই সংবাদের সত্যতা জানার জন্য পাগলপারা হয়ে গেলাম। আমি সেখান থেকে বের হলাম। পথিমধ্যে আমি আমার এক স্বদেশিনী নারীকে পেলাম। উনার গোটা পরিবার পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার মধ্যে দীক্ষিত ছিলেন। তিনি আমাকে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ঠিকানা বলে দিলেন। আমার কাছে কিছু খাদ্য সামগ্রী ছিলো। সেগুলো নিয়ে কুবায় নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার খিদমতে হাযির হয়ে গেলাম। আমি আরজ করলাম, আমি জেনেছি আপনি মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। তাই আপনার নিকট এই ছদকার খাদ্য সামগ্রী নিয়ে এসেছি। দয়া করে এগুলো নিন। নূরে মুজসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি নিজের হাত মুবারক গুটিয়ে রাখলেন এবং ছদক্বা খাওয়ার যোগ্য হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদেরকে তা খেতে দিলেন। আমি মনে মনে বললাম, একটি আলামত তো দেখা হলো। আমি ফিরে এলাম। আখিরী নবী, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি কু’বা শহর থেকে পবিত্র মদীনা শরীফ উনার মধ্যে চলে এলেন।
فجمعت شيئا كان عندي ثم جئت به فقلت إني قد رأيتك لا تأكل الصدقة وهذه هدية وكرامة ليست بالصدقة فأكل رسول الله صلى الله عليه وسلم وأكل أصحابه فقلت هذه خلتان ثم جئت رسول الله صلى الله عليه وسلم وهو يتبع جنازة وعليه شملتان وهو في أصحابه فاستدرت به لأنظر الى الخاتم في ظهره فلما رآني رسول الله صلى الله عليه وسلم استدرته عرف أني استثبت شيئا قد وصف لي فوضع رداءه عن ظهره فنظرت إلى الخاتم بين كتفيه كما وصف لي صاحبي فأكببت عليه أقبله وأبكي فقال تحول يا سلمان هكذا فتحولت فجلست بين يديه وأحب ان يسمع أصحابه حديثي عنه فحدثته
আমি আবার কিছু খাদ্যদ্রব্য নিয়ে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার খিদমতে উপস্থিত হলাম। আরজ করলাম, আমি দেখেছি যে, আপনি ছদকা খান না। তাই এই হাদিয়া নিয়ে এসেছি। একথা শুনে তিনি নিজেও তা খেলেন এবং হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদেরকে খেতে বললেন। আমি মনে মনে বললাম, উভয় আলামত দেখা হয়ে গেলো। এরপর আমি নূরে মুজসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার কাছে গেলাম। তিনি এক জায়গায় হেঁটে যাচ্ছিলেন। উনার শরীর মুবারকে দু’টি পশমী চাদর মুবারক ছিল। আমি সম্মানিত নুবুওওয়াত উনার মহর দেখার উদ্দেশ্যে ঘুরে উনার পিছনে এলাম। নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি জানেন যে আমি সেই সম্মানিত মহরে নবুওওয়াত খোঁজ করছি তা দেখার জন্য। কাজেই মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি উনার চাদর মুবারক সরিয়ে নিলেন। আমি সম্মানিত মহরে নুবুওওয়াত উনাকে দেখতে পেলাম।
আমি ক্রন্দন করছিলাম এবং সম্মানিত মহরে নুবুওওয়াত উনাকে চুম্বন করে যাচ্ছিলাম। নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বললেন, হে সালমান ফারসী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু! আপনি সামনে আসেন। আমি সামনে এসে বসে পড়লাম। এরপর আমি আমার জীবনের সকল ঘটনা শুনালাম। মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি চাচ্ছিলেন যে আমার ঘটনা মুবারক তা হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনারা শুনুক। কাজেই আমি তা শুনালাম। সুবহানাল্লাহ!
فلما فرغت قال كاتب يا حضرت سلمان رضى الله تعالى عنه فكاتبت صاحبي على ثلاثمائة نخلة وأربعين أوقية وأعانني اصحاب رسول الله صلى الله عليه وسلم بالنخل ثلاثين ودية وعشرين ودية وعشر كل رجل منهم على قدر ما عنده فقال لي رسول الله صلى الله عليه وسلم فقر لها فاذا فرغت فآذني حتى اكون أنا الذي أضعها بيدي ففقرتها وأعانني أصحابي يقول حفرت لها حيث توضع حتى فرغنا منها فجاء رسول الله صلى الله عليه وسلم فكنا نحمل اليه الودي ويضعه بيده ويسوي عليها
নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করলেন, হে হযরত সালমান ফারসী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু আপনি আপনার মালিকের সাথে মুকাতাবাতের চুক্তি সম্পাদন করে নিন। (অর্থাৎ কোন গোলাম তার মুনিবের সাথে এভাবে চুক্তি বদ্ধ হতো যে, সে মুনিবকে এতো এতো সম্পদ দিতে সক্ষম হলে মুনিব তাকে মুক্তি দিবে। পবিত্র ইসলাম উনার মধ্যে এ ধরনের চুক্তিকে কিতাবাত এবং চুক্তিবদ্ধ গোলামকে মুকাতিব বলে) আমি মালিকের  সাথে তিনশত খর্জূর বৃক্ষ রোপন ও চল্লিশ আওকিয়া স্বর্ণের বিনিময়ে চুক্তি সম্পাদন করলাম। হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনারা প্রত্যেকেই আমাকে খেজুর গাছের চারা দিলেন কেউ ত্রিশটি কেউ বিশটি এবং অন্যরা দশটি করে দিলেন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করলেন, এসব চারা রোপনের জন্য মালিকের যমীনে গর্ত খনন করুন। খননের পর রোপনের জন্য আমাকে খবর দিন। আমি গর্ত খনন করলাম এ কাজে হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনারা আমাকে সহযোগীতা করলেন। খনন সমাপ্ত  হলে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি আগমন করলেন। আমরা চারা তুলে তুলে উনার পুতঃ পবিত্র হাত মুবারকে দিতে লাগলাম, এবং তিনি সেগুলো গর্তে স্থাপন করতে লাগলেন এবং বরকতের দোয়া করলেন।
فوالذي بعثه بالحق ما ماتت منها ودية واحدة وبقيت علي الدراهم فأتاه رجل من بعض المعادن بمثل بيضة الحمامة من ذهب فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم خذ هذه يا حضرت سلمان رضى الله تعالى عنه فأدها مما عليك فقلت يا رسول الله وأين تقع هذه مما علي قال فإن الله سيؤدي بها عنك فوالذي نفسي بيده لو زنت لهم منها أربعين اوقية فأديتها إليهم وبقي عندي مثل ما اعطيتهم

সেই মহান আল্লাহ পাক উনার ক্বসম! যিনি হক্ব বা সত্য হিসেবে আখিরী রসূল, হাবীবুল্লাহ হুযূল পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে প্রেরণ করেছেন। এক বছর অতিক্রান্ত হতে না  হতেই সেই গাছগুলোতে ফল এলো এবং এমন একটি চারাও পাওয়া গেলোনা যেটি শুকিয়ে গেছে। সবগুলোই সবুজ ও তরুতাজা হয়েছিলো এবং সবগুলোতেই ফল এলো। গাছের শর্ত তো পূরণ হলো, কেবল দিরহাম অবশিষ্ট রয়ে গেলো। একদিন এক ব্যক্তি ডিমের আকারে একটি স্বর্ণখন্ড নিয়ে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র খিদমত শরীফে উপস্থিত হলেন।
তিনি ইরশাদ মুবারক করলেন, চুক্তিবদ্ধ ছাহাবী হযরত সালমান ফারসী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি কোথায়? উনাকে ডাকা হোক। তিনি বলেন, আমি উপস্থিত হলে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি আমাকে ওই ডিমের আকারের স্বর্ণখ-টি হাদিয়া করলেন এবং বললেন এটি নিয়ে যান এবং আপনার নিকট যে পাওনা রয়ে গেছে এ থেকে মালিককে তা চুকিয়ে দিন। আমি আরজ করলাম, ইয়া রসূলাল্লাহ, ইয়া হাবীবাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! এটা তো সামান্য মাত্র স্বর্ণ, এর দ্বারা আমার ঋণ কিভাবে আদায় হবে? নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করলেন, যান এর দ্বারাই মহান আল্লাহ পাক তিনি আপনার ঋণ পরিশোধ করে দিবেন। সুবহানাল্লাহ!
সেই মহান আল্লাহ পাক উনার ক্বসম! যার হাত মুবারকে আমার প্রাণ মুবারক, আমি সেই স্বর্ণখ- থেকে চল্লিশ আওকিয়া মালিককে পরিশোধ করে দিলাম এবং সেই পরিমাণ আমার নিকট রয়ে গেলো। সুবহানাল্লাহ!
(খাছায়িছুল কুবরা ১ম জিলদ ৩৩-৩৬ পৃষ্ঠা)

0 Comments: