কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের কথিত নামধারী হাদীস বিশারদ খন্দকার আ.ন.ম আবদুল্লাহ জাহাঙ্গীর নামের এক ব্যক্তির মিথ্যাচার

 

কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের কথিত নামধারী হাদীস বিশারদ খন্দকার আ.ন.ম আবদুল্লাহ জাহাঙ্গীর নামের এক ব্যক্তির আরেকটি মিথ্যাচার-

আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর তার বইতে লিখেছে-

‘‘ইবন আব্বাস বলেন, একদিন তিনি নিজ বাড়িতে রাসূলুল্লাহ ﷺ-এর জন্মের ঘটনাবলি বর্ণনা করছিলেন। তখন রাসূলুল্লাহ ﷺ আগমন করেন এবং বলেন: তোমাদের জন্য আমার শাফাআত পাওনা হলো।’’ (জালিয়াত লক্ষ্য করেনি যে, ইবন আববাসের বয়স ৮ বৎসর পূর্ণ হওয়ার আগেই রাসূলুল্লাহ ﷺ-এর ইন্তেকাল হয়। তিনি কি ৫/৬ বৎসর বয়সে ছেলেমেয়েদের হাদীস শুনাচ্ছিলেন!) ///

তথ্যসূত্র- ওহাবী/আহলে হাদীসদের ওয়েবসাইট- http://www.hadithbd.com/showqa.php?b=37&s=393

পাঠক লক্ষ্য করুন, ওহাবী আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর লিখেছে নবীজী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিছাল শরীফের সময় হযরত ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু আনহু এর বয়স নাকি ৮ বছরে কম ছিলো। মাদ্রসায় পড়ুয়া আলিম শ্রেনীর ছাত্র অথবা জেনারেল শিক্ষিত ইন্টারনেট সম্পের্কে নূন্যতম ধারনা সম্পন্ন লোকের পক্ষেও জাহাঙ্গীরে জালিয়াতি ধরা সহজ।

হাদীস শরীফের রাবীদের পরিচিতি নিয়ে লিখিত ‘আসমাউর রেজাল’ খুলে দেখুন, সেখানে স্পষ্ট লেখা আছে ‘ হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার হিযরতের ৩ বছর আগে হযরত ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু আনহু জন্মগ্রহন করেন। ’ অথাৎ নবীজীর বেছাল শরীফের সময় ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু আনহুর বয়স হয় ১১+৩= ১৪ বছর। অর্থাৎ ১১ হিজরী হচ্ছে বিছাল গ্রহন আর তিন বছর যোগ করে হয় ১৪ বছর।

ইন্টারনেটে উইকিপিডিয়তে সার্চ করে দেখেন সেখানেও পাবেন হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিছাল শরীফের সময় হযরত ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু আনহুর বয়স ছিলো ১৪ বছর। উইকিপিডিয়তে আছে হযরত ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু আনহুর জন্ম ৬১৯ সালে। সূতরাং (৫৭০+৬৩) = ৬৩৩। এখন এই ৬৩৩ সাল থেকে ৬১৯ সাল বিয়োগ করুন (৬৩৩-৬১৯)= ১৪ বছর।

তথ্যসূত্রঃ https://en.wikipedia.org/wiki/Abd_Allah_ibn_Abbas

আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর লিখেছে-

ইবন আববাসের বয়স ৮ বৎসর পূর্ণ হওয়ার আগেই রাসূলুল্লাহ ﷺ-এর ইন্তেকাল হয়। //

তাহলে সহজেই বোঝা যচ্ছে ওহাবী আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর মীলাদুন্নবী অস্বীকার করার জন্য চরম মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে ১৪ বছর বয়সী একজন ছাহাবীর বয়স ইচ্ছাকৃতভাবে অর্ধেক কমিয়ে ৮ বছরের কম বলার ধৃষ্টতা দেখিয়েছে। এভাবে সে নিজে বিভিন্ন রকম জালিয়াতি করে পূর্বের সমস্ত আলেমদের নামে মিথ্যাচার করে সাধারণ মুসলমানদের ধোঁকা দিয়ে যাচ্ছে।

ইতিপূর্বে সে নিজের এবং তার দল আহলে হাদীসদের অপছন্দের কারণে একটি সহীহ হাদীসকে জাল বলে প্রচারের জালিয়াতি নিয়েছিল। বিস্তারিত দেখুন-

https://www.facebook.com/SolutionInIslam/photos/a.764276776918415.1073741837.479488178730611/968694496476641


[মূলপোষ্ট https://www.facebook.com/noore.julfikar.3/posts/1735064556712586 থেকে সংগৃহীত এবং এডিটকৃত]

অপ্রাসঙ্গিক মন্তব্য পরিহারের বিনীত অনুরোধ রইল।

মূলপোষ্ট-

ভাত রান্না হয়েছে কিনা এটা বুঝতে পাতিলের সবগুলো ভাত টিপে দেখতে হয় না। দুই একটা ভাত টিপলেই পুরা পাতিলের খবর জানা যায়। ওহাবী মতবাদের প্রচারকারী, সৌদী থেকে ওহাবী মতবাদে দীক্ষা লাভ করে বাংলাদেশে প্রচারকরী আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীরে পতিলের খবর জানতেও তার সবকিছু গবেষনা করার দরকার নাই। ঈদে মীলাদুন্নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর বিরোধীতা করতে গিয়ে সে যে নিকৃষ্ট মিথ্যাচারের আশ্রয় গ্রহন করেছে তা দেখে ইবলিসও লজ্জা পাবে।
এই ওহাবী এজেন্ট আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর তার বইতে লিখেছে - // ‘‘ইবন আববাস বলেন, একদিন তিনি নিজ বাড়িতে রাসূলুল্লাহ ﷺ-এর জন্মের ঘটনাবলি বর্ণনা করছিলেন। তখন রাসূলুল্লাহ ﷺ আগমন করেন এবং বলেন: তোমাদের জন্য আমার শাফাআত পাওনা হলো।’’ (জালিয়াত লক্ষ্য করে নি যে, ইবন আববাসের বয়স ৮ বৎসর পূর্ণ হওয়ার আগেই রাসূলুল্লাহ ﷺ-এর ইন্তেকাল হয়। তিনি কি ৫/৬ বৎসর বয়সে ছেলেমেয়েদের হাদীস শুনাচ্ছিলেন!)///
পাঠক লক্ষ্য করুন, ওহাবী আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর লিখেছে নবীজী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিছাল শরীফের সময় হযরত ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু আনহু এর বয়স নাকি ৮ বছরে কম ছিলো। মাদ্রসায় পড়ুয়া আলিম শ্রেনীর ছাত্র অথবা জেনারেল শিক্ষিত ইন্টারনেট সম্পের্কে নূন্যতম ধারনা সম্পন্ন লোকের পক্ষেও জাহাঙ্গীরে জালিয়াতি ধরা সহজ।
হাদীস শরীফের রাবীদের পরিচিতি নিয়ে লিখিত ‘আসমাউর রেজাল’ খুলে দেখুন, সেখানে স্পষ্ট লেখা আছে ‘ হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার হিযরতের ৩ বছর আগে হযরত ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু আনহু জন্মগ্রহন করেন। ’ অথাৎ নবীজীর বেছাল শরীফের সময় ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু আনহুর বয়স হয় ১১+৩= ১৪ বছর। অর্থাৎ ১১ হিজরী হচ্ছে বিছাল গ্রহন আর তিন বছর যোগ করে হয় ১৪ বছর।
ইন্টারনেটে উইকিপিডিয়তে সার্চ করে দেখেন সেখানেও পাবেন হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিছাল শরীফের সময় হযরত ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু আনহুর বয়স ছিলো ১৪ বছর। উইকিপিডিয়তে আছে হযরত ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু আনহুর জন্ম ৬১৯ সালে। সূতরাং (৫৭০+৬৩) = ৬৩৩। এখন এই ৬৩৩ সাল থেকে ৬১৯ সাল বিয়োগ করুন (৬৩৩-৬১৯)= ১৪ বছর।
অথচ মুনাফিক, ইহুদী নাছারাদের টাকার পরিচালিত এজেন্ট আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর লিখেছে // ইবন আববাসের বয়স ৮ বৎসর পূর্ণ হওয়ার আগেই রাসূলুল্লাহ ﷺ-এর ইন্তেকাল হয়। //
তাহলে সহজেই বোঝা যচ্ছে ওহাবী আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর মীলাদুন্নবী অস্বীকার করার জন্য চরম মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে ১৪ বছর বয়সী একজন ছাহাবীর বয়স ইচ্ছাকৃতভাবে অর্ধেক কমিয়ে ৮ বছরের কম বলার ধৃষ্টতা দেখিয়েছে।
লেখার শুরুতেই যেটা বললাম, পাতিলের ভাত সব টিপতে হয় না। সূতরাং আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীরের লেখায় হযরত ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু আনহুর বয়স হের ফের করার হাতে নাতে চুরির প্রমান দ্বারাই বোঝা যায় তার লেখায় সবগুলো কথাই চুরি এবং মিথ্যাচারে পরিপূর্ন । সূতরাং তার ঈদে মীলাদুন্নবী সম্পের্কে আপত্তি মোটেও গ্রহনযোগ্য নয়।

0 Comments: