একজন কুতুবুজ্জামান- উনার দিদারে মাওলার দিকে প্রস্থান- সাইয়্যিদুনা হযরত দাদা হুযুর ক্বিবলা সাইয়্যিদ মুখলেছুর রহমান আলাইহিস সালাম উনার সাওয়ানেহে উমরী মুবারক-পর্ব-১১০

 


ওলীয়ে মাদারজাদ, মুসতাজাবুদ্ দাওয়াত, আফযালুল ইবাদ, ছাহিবে কাশফ্ ওয়া কারামত, ফখরুল আওলিয়া, ছূফীয়ে বাতিন, ছাহিবে ইস্মে আযম, লিসানুল হক্ব, গরীবে নেওয়াজ, আওলাদে রসূল, আমাদের সম্মানিত দাদা হুযূর ক্বিবলা আলাইহিস সালাম-উনার স্মরণে-

একজন কুতুবুয যামান উনার দিদারে মাওলা উনার দিকে প্রস্থান-

 আজমীর শরীফে চীশতিয়া তরীক্বার ইমাম,

কুতুবুল আক্তাব, সুলতানুল হিন্দ, গরীবে নেওয়াজ, হাবীবুল্লাহ, হযরত খাজা সাইয়্যিদ মুঈনুদ্দীন হাসান চীশতি রহমতুল্লাহি আলাইহি-উনার সঙ্গে প্রত্যক্ষ সংযোগ স্থাপন/অনুপম কারামত মুবারক-উনার বহিঃপ্রকাশ

ওলীআল্লাহগণের পারস্পরিক ভাব বিনিময় এবং লব্ধ নিয়ামত, মুহব্বত ও মারিফাতের লেনদেন একটি অব্যাহত ধারা। উনাদের ফয়জ, তাওয়াজ্জুহ ও নেক দৃষ্টির কারণে সাধারণের অন্তরে আল্লাহ পাক এবং উনার প্রিয়তম হাবীব, ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-উনার মারিফাত ও মুহব্বতের ফল্গুধারা সঞ্চারিত হয়ে থাকে। ওলীআল্লাহগণের মুবারক ছোহ্বতে লব্ধ নিয়ামতে মানুষ খালিছ আল্লাহওয়ালা হয়ে যায়। মুহব্বতের বন্ধনে কামিয়াবীর শীর্ষে অধিষ্ঠানকারী মাহ্বুব ওলীগণেরও পারস্পরিক রূহানী সংযোগে নাজ-নিয়ামতের আদান-প্রদান স্বাভাবিক নিয়মরেই অন্তর্ভুক্ত। এক্ষেত্রে সূক্ষ্মদর্শী ওলীআল্লাহগণের মধ্যে কে ছোট আর কে বড়, তাসাধারণের বিবেচ্য নয়। উনাদের মাক্বামের সোপান নির্ধারণের সদয় কর্তৃত্ব সংরক্ষণ করেন নিয়ামত বন্টনকারী সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন্ নাবিয়্যীন, রউফুর রহীম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলইহি ওয়া সাল্লাম।

ইমামুশ্ শরীয়ত ওয়াত্ তরীক্বত, দলীলুল আরিফীন, খাজায়ে খাজেগাঁ, সুলতানুল হিন্দ, গরীবে নেওয়াজ, ইমামূল আইম্মাহ, হাবীবুল্লাহ, আওলাদে রসুল, হযরত খাজা সাইয়্যিদ মুঈনুদ্দীন হাসান চীশতি রহমতুল্লাহি আলাইহি-উনার সঙ্গে পর্দার অন্তরাল বিহীন মধুর সম্মিলন ও আলাপন শেষে ফখ্রুল আওলিয়া, আশিকে ইলাহী, আশিকে রসূল, ছাহিবে কাশ্ফ ওয়া কারামত, ছাহিবে ইস্মে আযম, লিসানুল হক্ব, আফ্জালুল আওলিয়া, ওলীয়ে মাদারজাদ, আওলাদে রসুল, হযরতুল আল্লামা সাইয়্যিদ মুহম্মদ মুখলেছুর রহমান রহমতুল্লাহি আলাইহিকে বিশেষ হাদিয়া দেয়া হবে। এরূপ হাদিয়া পূর্বেও অনেক ওলীআল্লাহকে দেয়া হয়েছে। যেমনঃ ইমামুশ্ শরীয়ত ওয়াত্ তরীক্বত, ইমামে রব্বানী, মাহ্বুবে সুব্হানী, কুতুবুল আলম, নূরুন্ আযীম, ক্বাইউমে আউয়াল, কুতুবুল ইরশাদ, আফ্জালুল আওলিয়া, হযরত ইমাম শায়খ আহ্মদ ফারুক্বী সিরহিন্দী মুজাদ্দিদে আল্ফে ছানী রহমতুল্লাহি আলাইহি একবার নায়িবে রসূল ফিল্ হিন্দ, আতায়ে রসূল, সুলতানুল আরিফীন, হাবীবুল্লাহ, আওলাদে রসূল, হযরত খাজা সাইয়্যিদ মুঈনুদ্দীন হাসান চীশতি রহমতুল্লাহি আলাইহি-উনার মাযার শরীফ যিয়ারত করতে যান।

হযরত খাজা সাইয়্যিদ মুঈনুদ্দীন হাসান চীশতি রহমতুল্লাহি আলাইহিকে কুতুবুল হিন্দ”, “সুলতানুল হিন্দলক্বব দান করেছেন সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, ছাহিবু লাওলাক, মাশুকে মাওলা, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। সার্বক্ষণিক রূহানী সংযোগ স্থাপিত থাকা সত্বেও এ লক্ববের প্রতি সম্মান প্রদর্শন ও বরকত হাছিলের জন্য সুদূর সিরহিন্দ শরীফ থেকে তিনি মাযার শরীফ যিয়ারতে যান। উনার সঙ্গে ইমামুশ্ শরীয়ত ওয়াত্ তরীক্বত, মুঈনুল হক্ব ওয়াদ্দীন, কুতুবুল হিন্দ, মাহ্বুবে সুব্হানী, সুলতানুল আরিফীন, গরীবে নেওয়াজ, হাবীবুল্লাহ, আওলাদে রসূল, হযরত খাজা সাইয়্যিদ মুঈনুদ্দীন হাসান চীশতি সান্জারী ছুম্মা আজমিরী রহমতুল্লাহি আলাইহি-উনার সঙ্গে প্রত্যক্ষ সংযোগ স্থাপিত হয়। আলোচনা ও ভাব বিনিময় হয়। মুহব্বত ও মারিফাতের আদান-প্রদান হয়। উভয়ের নিগূঢ় সংযোগ ও সাক্ষাতে সৃষ্ট মুহব্বত ও মারিফাতের নির্যাসের উৎসারণ আল্লাহ পাক এবং উনার প্রিয়তম হাবীব, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পর্যন্ত পরিব্যপ্ত হয়।

প্রত্যক্ষ সাক্ষাৎ, অন্তর্গূঢ় আলাপন ও অনির্বচনীয় ভাববিনিময় শেষে মাযার শরীফ থেকে উনার আপাত বিদায়ের পালা সমাগত। এমন বেদনা-বিধূর মুহূর্তে কুতুবুল হিন্দ, সুলতানুল আরিফীন, ইমামুল আইম্মাহ, হাবীবুল্লাহ, আওলাদে রসূল, হযরত খাজা সাইয়্যিদ মুঈনুদ্দীন হাসান চীশতি রহমতুল্লাহি আলাইহি জানালেনঃ হে হাজার বছরের মুজাদ্দিদ! ইমামে রব্বানী, মাহ্বুবে সুব্হানী, ইমামুল আওলিয়া, সিরাজুল উম্মত, খাজিনাতুর রহমত, কুতুবুল ইরশাদ, আফ্জালুল আওলিয়া, ইমামুল আইম্মাহ, হযরত ইমাম শায়খ আহমদ ফারুক্বী সিরহিন্দী মুজাদ্দিদে আল্ফে ছানী মুদ্দা জিল্লুহুল আলী! আপনার জন্য একটি বিশেষ হাদিয়া রয়েছে। দয়া করে তাসঙ্গে নিয়ে যাবেন।কী বিশেষ হাদিয়া, সবিনয়ে তাজান্তে চাওয়া হলে জানানো হলোঃ আমার মাযার শরীফের গিলাফ।

বিদায় বেলায় মাযার শরীফের মুবারক গিলাফহাদিয়া দেয়া হলো। এ হাদিয়া হাতে নিয়ে এবং তাবক্ষ মুবারকে ধারণ করে বেদনা-বিমুগ্ধ অনুভূতিতে হাজার বছরের মুজাদ্দিদ, মাহ্বুবে সামদানী, ছেলাহে উম্মত, নূরূন্ আযীম, জামিয়ুল কুতুবাইন, মুহ্ইস্ সুন্নাহ্, মাহিয়ুল বিদ্য়াত, কুতুবুল আক্তাব, হযরত ইমাম শায়খ আহ্মদ ফারুক্বী সিরহিন্দী মুজাদ্দিদে আল্ফে ছানী রহমতুল্লাহি আলাইহি আপন গন্তব্য সিরহিন্দ শরীফের দিকে রওয়ানা হলেন।  (চলবে)

আবা-১৭০

0 Comments: