যখন নিয়ামত নাযিল হয় তখন কেউ যদি গাফিল থাকে তাহলে কঠিন পরিণতি হবে। এর উদাহরণটা কি? ১০১

যখন নিয়ামত নাযিল হয় তখন কেউ যদি গাফিল থাকে তাহলে কঠিন পরিণতি হবে। এর উদাহরণটা কি?
=================================================
যখন নিয়ামত নাযিল হয় তখন কেউ যদি গাফিল থাকে তাহলে কঠিন পরিণতি হয় এর উদাহরণ হচ্ছে-
১. ইহুদিরা। তারা হাজার বছর ধরে অপেক্ষা করেছিল সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার জন্য। বনু কায়নুকা, বনু নাযির ইত্যাদি ইহুদি গোত্রসমূহ হাজার বছর ধরে অপেক্ষমান ছিল আখেরী নবী উনার জন্য। যখন তিনি তাশরিফ মুবারক নিলেন তখন তারা নফসানিয়াতের কাছে হেরে গেল। তারা ভেবেছিল তিনি বনী ইসরাইল এর মধ্যে আগমন করবেন কিনতু তিনি বনী ইসমাঈলে হযরত যবীহুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার মধ্যে আগমন করার কারণে তারা বিদ্বেষী হয়ে উঠল। তারা নফসানিয়াতের কাছে হেরে গেল। চির লা’নতগ্রস্থ হয়ে গেল।
২. উদাহরণ মক্কাবাসী মুশরিকরা। তারা প্রচলিত রীতিনীতি ছাড়তে পারলনা। তারাও চির লা’নতগ্রস্থ হযে গেল।
৩. আরেকটি উদাহরণ হল কুফাবাসী। আশুরার দিনে তারা ইমামুছ ছালিছ হযরত ইমাম হুসাইন আলাইহিস সালাম উনার খিদমত মুবারকে সাড়া না দিয়ে তারা ব্যক্তিগত কাজে ব্যস্ত ছিল। তারাও চির লা’নতগ্রস্থ হযে গেল।
৪. আর একটি উদাহরণ হচ্ছে- সা’য়লাবা ইবনে হাতিফ। তার চরম পরিণতি। তার অন্তরে মুনাফিকি তৈরী করে দেয়া হয়েছে ইলা ইয়াওমিয়াল কাওনাহু। কেউ তার যাকাত গ্রহণ করেনি। কেন, যখন তাকে শুকরিয়া আদায় করতে বলা হলো তখন সে শুকরিয়া আদায় করেনি।
যারা সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ উনাকে অবহেলা করবে, সাধারণভাবে নিবে তাদেরও ঠিক একই পরিণতি হবে।

0 Comments: