হিন্দুরা মুসলমানদের উৎসবে বোনাস নেয় না, মুসলমানরা হিন্দুর উৎসবে বোনাস নেবে কেন ? ১১৯

হিন্দুরা মুসলমানদের উৎসবে বোনাস নেয় না, মুসলমানরা হিন্দুর উৎসবে বোনাস নেবে কেন ?
=================================================
হিন্দুরা মুসলমানদের উৎসবে বোনাস নেয় না, মুসলমানরা হিন্দুর উৎসবে বোনাস নেবে কেন ?
বাংলাদেশর মুসলমানরা ধর্মীয় উৎসবে বোনাস পায় দুটি। একটি রোজার ঈদে, অন্যটি কোরবানীর ঈদে। অপরদিকে হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টানরা রোজার ঈদ বা কোরবানীর ঈদ উপলক্ষে কোন বোনাস পায় না। পায় দূর্গা পূজা, বৌদ্ধ পূর্নিমা কিংবা ক্রিসমাস উপলক্ষে। তবে বোনাসের অর্থে সমতা আনার ক্ষেত্রে দূর্গা পূজা, বৌদ্ধ পূর্নিমা কিংবা ক্রিসমাসে মুসলমানদের ভাতা দ্বিগুন করে বোনাস প্রদান করা হয়।
এই বিষয়টি দ্বারা বোঝা যায়, অমুসলিমরা মুসলমানদের ধর্মীয় অনুষ্ঠানের জন্য কোন বোনাস নেয় না, নেয় তাদের ধর্মীয় অনুষ্ঠানকে উপলক্ষ করে।
বর্তমানে  পহেলা বৈশাখ উৎসব উপলক্ষে মূল বেতনের ২০ শতাংশ বোনাস পাচ্ছেন সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা । যদিও পহেলা বৈশাখ মুসলমানদের কোন অনুষ্ঠান নয়, হিন্দু-বৌদ্ধ-মজুসিদের ধর্মীয় উৎসব। তাই পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে মুসলমানদের বোনাস না দিয়ে অন্য কোন ইসলামী উপলক্ষকে কেন্দ্র করে ভাতা দেয়া উচিত।
আর মুসলমানদের সেই বিশেষ দিবসটি হচ্ছে পবিত্র সাইয়্যিদুল আইয়াদ শরীফ তথা ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। এদিনটি ঈদ বা খুশির দিন যা রাষ্ট্রীয়ভাবে উদযাপন করা উচিত, অথচ সরকারের কোন পৃষ্ঠপোষকতা সেখানে চোখে পড়ে না। সরকারের উচিত পবিত্র সাইয়্যিদুল আইয়াদ শরীফ ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উপলক্ষে বোনাস ভাতা প্রদান করে, মুসলমানদের আরো শান-শওকত ও জজবার সাথে দিবসটি পালনের সুযোগ করে দেয়া।

0 Comments: